ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে
প্রকাশনী : হুদহুদ প্রকাশন
ড.মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আরিফী রচিত ﺻﺮﺧﺔ ﻓﻲ ﻣﻄﻌﻢ ﺍﻟﺠﺎﻣﻌﺔ এর বংলা অনুবাদ “ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে” In the Cantteen of the University নারী অধিকার ও পর্দা সম্পর্কে লেখা ।বইটিতে অনেক যত্নের সাথে তুলে ধরা হয়েছে পর্দার বিধানের আদ্যোপান্ত ও মা-বোনদের মুখাবয়ব ঢেকে রাখার আবশ্যিকতার বিষয়টি। পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে ইসলামের এই বিষয়ে দিক-নির্দেশনাও। শব্দের বাহুল্য নয় অন্তরমুখী করেই লেখা হয়েছে এই বইটি – আমাদের সমাজেরই তরুণ-তরুণীর জন্য।
ড.মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আরিফী রচিত ﺻﺮﺧﺔ ﻓﻲ ﻣﻄﻌﻢ ﺍﻟﺠﺎﻣﻌﺔ এর বংলা অনুবাদ "ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে" In the Cantteen of the University নারী অধিকার ও পর্দা সম্পর্কে লেখা ।বইটিতে অনেক যত্নের... আরো পড়ুন
-
-
hotমুহস্বানাত (পবিত্র নারীদের পাঠশালায়)
লেখক : আব্দুল্লাহ ইবনে জা'ফর, খন্দকার মারিয়াম হুমায়ুন, বারিয়াহ বিনতে আতিয়ার, শাইখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, সায়মা সাজ্জাদ মৌসিপ্রকাশনী : ইনবাত পাবলিকেশন440 ৳330 ৳নারী। যাদের জীবনে অনেক দায়িত্ব। শৈশবকাল ...
-
hotজীবন যদি হতো নারী সাহাবীর মত
লেখক : ড. হানান লাশিনপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন186 ৳136 ৳অনুবাদ: আব্দুল্লাহ মজুমদার সম্পাদনা: উস্তায আবুল হাসানাত ...
-
save offকুরআন-সুন্নাহর আলোকে পোশাক, পর্দা ও দেহ-সজ্জা
প্রকাশনী : আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স360 ৳252 ৳পৃষ্ঠা: ৩৬৮ কভার: হার্ড কভার 'সতর' এর সংজ্ঞা ...
-
save offহে আমার মেয়ে (হুদহুদ প্রকাশন)
লেখক : শাইখ আলী তানতাভীপ্রকাশনী : হুদহুদ প্রকাশন80 ৳40 ৳লেখক আলী আল তানতাবী মিশরের একজন ...
-
hotতুমি ফিরবে বলে (ফিমেল ভার্সন)
লেখক : জাকারিয়া মাসুদপ্রকাশনী : সাবিল পাবলিকেশন300 ৳219 ৳শারঈ সম্পাদক: হাফিজ আল মুনাদী তারুণ্যের জোয়ার ...
-
hotমহিলা মাসাইল
লেখক : শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল উসাইমীন (রহঃ), শাইখ বিন বায (রঃ), শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল জিবরীন, সৌদি আরবের স্থায়ী ফাতাওয়া কমিটিপ্রকাশনী : সবুজপত্র পাবলিকেশন্স340 ৳245 ৳পৃষ্ঠা: ৩০৪ (হার্ড কভার) বনি আদমের যে ...
-
save offহে বোন কে তুমি কী তোমার পরিচয়
লেখক : উম্মে হাবীবা রিফায়ীপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল হেরা40 ৳20 ৳"বোন, কখনো কি ভেবেছো তুমি তোমার ...
-
hotগল্পে আঁকা মহীয়সী খাদিজা
লেখক : ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভীপ্রকাশনী : রাহনুমা প্রকাশনী360 ৳198 ৳পৃষ্ঠা: ২২৪ কভার: হার্ড কভার খাদিজা বেরিয়ে এলেন ...
-
mmhmahody – :
—নারী পর্দার গুরুত্ব;
—পর্দা সম্পর্কিত ভ্রান্ত ধারণা এবং
এর ব্যাখ্যা ও সমাধান;
—কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে
পর্দার সঠিক বিধান।
⏺ইসলামে নারী–পুরুষ উভয়েরই পর্দা করা ফরয।‘ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে’ নারীর পর্দা নিয়ে রচিত একটি বই।সাম্প্রতিক কয়েক দশক ধরে চলে আসা ঘটনার প্রেক্ষিতে নারীর পর্দার মতো ফরয বিধান পালন করা আজ ঐচ্ছিক পর্যায়ে পৌঁছেছে।এমনকি যুগের তালে গুরুত্ব হারিয়ে ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।এর মূলে রয়েছে ধর্মীয় অজ্ঞতা ও কিছু বিভ্রান্তিকর ধারণা(যেমন– মুখবয়ব খোলা রেখে পর্দা করা) ।বইটিতে লেখক একজন দ্বীনি বোন ও দুই বোনের(পর্দা নিয়ে অজ্ঞ) কথপোকথনের মাধ্যমে পর্দার বিধান সহজ,সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন।বইটিতে পর্দা সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন,ধারণার উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন আলেমগণের মতামত ও সমন্বয় বইটিকে অনন্য মাত্রা দিয়েছে।
⏺আমার মতামত : পর্দা নিয়ে মনের নানা প্রশ্নের উত্তর পেতে পড়তে পারেন বইটি।আর সাথে বইটিতে উল্লেখিত নারী সাহাবিদের পালিত পর্দার বিবরণ ও অসংখ্য রেফারেন্স আপনার নিকট বইটির গ্রহণযোগ্যতা
আরো বৃদ্ধি করবে।
SUMMA JAHAN – :
বই:ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে
লেখক : ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী
প্রকাশনী : হুদহুদ প্রকাশন
বিষয় : ইসলামে নারী
মূল্য:২৪০ টাকা-৪০% ছাড়=১৪৪ টাকা
সেকেলে কিছুই এখন আর মানানসই নয় আমাদের সমাজে। নারীদের পর্দার মতো ফরজ বিষয়েও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে হবে। যেখানে নবী মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেই গেছেন মেয়েদের পর্দা কেমন হবে।
নামাজ, রোজা যেমন ফরজ ইবাদত তেমন মেয়েদের পর্দাও ফরজ ইবাদত।পারবেন নামাজ রোজাকে আধুনিক করতে?যেমন রোজা সারাদিন না রেখে, অর্ধেক বেলা রাখা তাহলে আধুনিক লাগবে। নামাজ এভাবে রুকু সিজদা করলে আধুনিক লাগবে।এটা কখনোই পারবেন না। কারণ এটা কুরআন হাদীস অনুযায়ী প্রমানিত বিধান। মেয়েদের পর্দাও কোরআন হাদিস অনুযায়ী ফরজ ইবাদতের বিধান তাহলে সেটা কেন মডিফাই করতে হবে? আবার নারীদের সমঅধিকারের জন্য শিক্ষিত সমাজের উচ্চ স্বরের কমতি নেই।
***বইয়ের সারাংশ***
_____________________
ড.মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আরিফী রচিত ﺻﺮﺧﺔ ﻓﻲ ﻣﻄﻌﻢ ﺍﻟﺠﺎﻣﻌﺔ এর বংলা অনুবাদ “ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে” In the Cantteen of the University নারী অধিকার ও পর্দা সম্পর্কে লেখা । আমরা কলেজ ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া তরুণ তরুণীরা মনে করি, আমরা শিক্ষিত জনগোষ্ঠী আমাদের অন্যদের থেকে একটু আলাদা লাগাটা স্বাভাবিক — কথায়, কাজে, পোশাকে।
অধিকার সমানই হবে, কেন ছেলে মেয়ের মধ্যে বিভেদ থাকবে ?কিন্তু আমরা কি পেয়েছি সমঅধিকার? পেরেছি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে? পুরুষশাসিত এই সমাজকে বদলে দিতে?
অথচ ইসলাম বলে মেয়েদের অধিকার সমান নয়। মেয়েদের অধিকার ৯০ ভাগ আর পুরুষদের ১০ভাগ। এজন্যই প্রিয় নবী (স:)বলে গেছেন মায়ের পায়ের নিচে বেহেশত”বাবার পায়ের নিচে নয় ।হাদিস গ্রন্থে উল্লেখ আছে নারী সাহাবীদের ঘর বলা হয়েছে সেখানে।যেমন– মা আয়েশার ঘর মা ফাতেমার ঘর।নবী(স:) মেয়েদের মেয়েদের সম্মান ছেলেদের থেকে অনেক বেশি করেছিল আমরা সেটা না বুঝে কমিয়েছি। আমরা সেটা বেশি থেকে সম করতে চাচ্ছি। এগুলো আমাদের বোঝার ভুল ।এগুলো আমাদের ঈমানের দুর্বলতা। এগুলো পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাব।এই জন্যই মেয়েদের এখন পণ দিয়ে বিয়ে করে না, উল্টো যৌতুক দিতে হয়। কাবিন এর টাকা টাও পরিশোধ না করে বাসর রাতে মাফ চেয়ে নেয়। আমরাই মেয়েদের সহজলভ্য বানিয়েছি। আধুনিকতাই মেয়েদের সহজলভ্য বানিয়েছে।
বইটিতে অনেক যত্নের সাথে তুলে ধরা হয়েছে পর্দার বিধানের আদ্যোপান্ত ও মা-বোনদের মুখাবয়ব ঢেকে রাখার আবশ্যিকতার বিষয়টি। মেয়েদের পর্দাকে এখন তুলে ধরা হয়েছে ফ্যাশনাবল পর্দা হিসেবে।
পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে ইসলামের এই বিষয়ে দিক-নির্দেশনাও। শব্দের বাহুল্য নয় অন্তরমুখী করেই লেখা হয়েছে এই বইটি – আমাদের সমাজেরই তরুণ-তরুণীর জন্য।
বইটির বিশেষত্ব হচ্ছে আমরা এখনকার সময়ে যেভাবে জীবন যাপন করছি—তার একটি আয়না এই বইটি।
ইসলাম সেকেলেও নয়, আধুনিকও নয়, ইসলাম চিরন্তন ও শ্বাশ্বত।
মোহাম্মদ ওমর – :
লেখকঃ ড.মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আরিফী হাফি.
প্রকাশনীঃ হুদহুদ প্রকাশন
মুদ্রিত মূল্যঃ ২৪০
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ১২৮
===================
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে বইটি ড.মুহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আরিফী হাফি. রচিত “In the Cantteen of the University” এর বঙ্গানুবাদ।
বইটি মুলত নারীর পর্দার গুরুত্ব বিষয়ক একটি ইসলামিক সাহিত্য। গল্প আকারে লেখক প্রমাণ ও দলিলসহ নারীদের পর্দার প্রতি গুরুত্বারোপের কারণ উপস্থাপণ করেছেন।
ইসলামের মহাগ্রন্থ আল কোরআনে ‘নিসা’ অর্থাৎ ‘মহিলা’ শব্দটি ৫৭ বার এবং ‘ইমরা’আহ’ অর্থাৎ ‘নারী’ শব্দটির ২৬ বার উল্লেখ হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ‘নিসা’ তথা ‘মহিলা’ শিরোনামে নারীর অধিকার ও কর্তব্য সংক্রান্ত একটি স্বতন্ত্র বৃহৎ সূরাও রয়েছে। এ ছাড়া কোরআনের বিভিন্ন আয়াত ও হাদিসে নারীর অধিকার, মর্যাদা ও তাদের মূল্যায়ণ সম্পর্কে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। ইসলাম নারীর ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছে। দিয়েছে নারীর জান-মালের নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সম্মান। তাছাড়াও আমাদের বোন এবং মায়েরা আল্লাহর পাকের অপূর্ব সৃষ্টি। আল্লাহ পাক তার সেই সৃষ্টিকে সম্মানিত করেছেন এবং মর্যাদা দিয়েছেন।
আর পর্দার মাধ্যমে তাদের সেই সম্মান ও মর্যাদাকে বহুগুণে। বাড়িয়ে দিয়েছেন।
সারা নামের একজন ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ে ছিলো কাঞ্জ দ্বীপের বাসিন্দা। মেয়েটি ছিল সবার থেকে অন্যরকম। ভিন্ন প্রকৃতির। একদিন মেয়েটির সাথে দেখা হয় আরো দুজন মেয়ের, মিহা এবং উরাইয তারা দুইজন ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারনায় পতিত ছিল। এবং ইসলামে নারীর অধিকার নিয়ে অন্য সবার মত ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করতো। কিন্তু সারা তাদের সেই ভ্রান্ত ধারণা দূর করে দেয় বলিষ্ঠ ইমানের সাথে।
তাদের এই কথপোকথন হলো এই বইয়ের মূল আকর্ষণ।
তাছাড়াও এই বইয়ে আরো আছে কুরআন ও হাদিসের আলোকে নারীর পর্দা সম্পর্কে দেয়া বিধানগুলো ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। মুখ খোলা পর্দা বিষয়ে যে মতবিরোধ রয়েছে আলেম-ওলামাগণের মধ্যে, সে বিষয়েও সুন্দরভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। প্রত্যেক মুসলিম ভাই-বোনদের অবশ্যই পঠনীয় একটা বই।
সবাইকে পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
azhar2ahmed88 – :
▶ সার-সংক্ষেপঃ-
গল্পের প্রধান চরিত্র সারা। সে কানজ দ্বীপের বাসিন্দা। দ্বীপের অধিকাংশ মহিলা পর্দা পালনের ক্ষেত্রে খুব সচেতন ছিল । একদিন সারা তার অন্তঃসত্ত্বা মাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। হাসপাতালে গিয়ে সারার সাথে পরিচয় হয় উরাইজ নামে এক মেয়ের সাথে। যার পরনে ছিল সাদামাটা বোরকা। চেহারা ছিল অনাবৃত।
কথায় কথায় সারা জানতে পারলো পর্দা সম্পর্কে উরাইজের মনে অনেক সংশয় রয়েছে। সারা একে একে উরাইজের পর্দা ও নারী স্বাধীনতা নিয়ে উরাইজের সকল সংশয়ের উত্তর দিতে লাগলো। পথিমধ্যে তাদের আলোচনায় যোগ দিলো উরাইজের বোন মিহা। মিহার পরিধেয় বোরকাটিও ছিল খুবই সংকুচিত ও অন্তর্শোভা পরিদৃশ্যকারী। এসময় সারা ও উরাইজের আলোচনায় মিহাও যোগ দেয়।
তাদের আলোচনা হাসপাতালে শুরু হলেও পরে একদিন তারা আলোচনার জন্য ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনেও উপস্থিত হয়। সেখানেও তাদের মধ্যে পর্দা বিষয়ক বিভিন্ন আলোচনা হয়। সারা একসময় উরাইজ ও মিহা কে বুঝাতে সমর্থ হয় যে পর্দার ব্যাপারে কোন অজুহাতেই কখনো শিথিলতা দেখানো উচিত নয়। বরং পরিপূর্ণভাবে পর্দা করাই হলো ইমানের দাবী।
বইটি কেন পড়বেন এবং কি পাবেন?
(১) যারা মনে করেন মেয়েদের পর্দা করতে হলে মুখমন্ডল ঢেকে রাখার প্রয়োজন নেই তারা বইটি একবার হলেও পড়ুন। জানতে পারবেন মহিলাদের পর্দার ব্যাপারে ইসলামের সঠিক দিকনির্দেশনা কি।
(২) বইতে লেখক গল্পাকারে খুবই চমৎকারভাবে ও অকাট্যভাবে দলীল সহকারে নারীর পর্দা সম্পর্কিত যাবতীয় বিধি-বিধান তুলে ধরেছেন।
(৩) যারা মনে করেন পর্দা কি শুধুই মেয়েদের জন্য, নাকি পুরুষদের জন্যও পর্দা রয়েছে। কুরআন হাদিসে কি কি নির্দেশ আছে পর্দার ব্যাপারে? মুখমন্ডল খোলা রাখার ব্যাপারে আলিমগণের মতামত কি? এসব নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে ভুগেন তারা বইটি অবশ্যই পড়ুন।
▶ সমালোচনাঃ-
বইতে সমালোচনা করার মত তেমন কিছু নেই। তবে-
(১) বইয়ের মূল কন্টেন্ট খুব সুন্দর হলেও অনুবাদের মান ততটা ভালো হয় নি।
(২) বইয়ের প্রত্যেক পাতা বিভিন্ন ছবি দ্বারা কালার প্রিন্ট করা যা আমার কাছে ভালো লাগে নি।
.
▶ ব্যক্তিগত অনূভুতিঃ-
মহিলাদের পর্দা নিয়ে এক কথায় অসাধারণ একটি বই হলো “ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে”। বইটি পড়ার পর পাঠক বুঝতে পারবেন মহিলাদের পর্দা করে চলাফেরা করা কতো জরুরী। বইতে লেখক গল্পাকারে খুবই চমৎকারভাবে ও অকাট্যভাবে দলীল সহকারে নারীর মুখাবয়ব ঢেকে রাখার আবশ্যিকতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন, পাশাপাশি ইসলামের সঠিক দিকনির্দেশনাও তুলে ধরেছেন। যা পড়লে যে কোন মানুষের মনে জমে থাকা পর্দা সম্পর্কিত সংশয় দূর হবে বলে আমার বিশ্বাস। তাই সকলের প্রতি বইটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
আজহার আহমেদ – :
লেখক : ড.মুহাম্মদ বিন অাব্দুর রহমান অারিফি
অনুবাদক : মাওলানা মাহমুদুল হাসান
প্রকাশনী : হুদহুদ প্রকাশন
মুদ্রিত মূল্য : ২৪০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১২৮
ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে বইটির নাম দেখে প্রথমে যেকোন পাঠক মনে করবেন এটি মনে হয় ইউনিভার্সিটি কেন্দ্রিক কোন গল্প উপন্যাসের বই। কিন্তু পড়ার পর এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হবে। কেননা এটি এটি গতানুগতিক ইউনিভার্সিটির কোন গল্প নয়। বরং বইটি গল্প আকারে মহিলাদের পর্দার উপরে লেখা। যে পর্দা প্রথা মহিলাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বইটি লিখেছেন প্রখ্যাত লেখক ও গবেষক আব্দুর রহমার আরেফি। অনুবাদ করেছেন মাওলানা মাহমুদুল হাসান।
▶ সার-সংক্ষেপঃ-
গল্পের প্রধান চরিত্র সারা। সে কানজ দ্বীপের বাসিন্দা। দ্বীপের অধিকাংশ মহিলা পর্দা পালনের ক্ষেত্রে খুব সচেতন ছিল । একদিন সারা তার অন্তঃসত্ত্বা মাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। হাসপাতালে গিয়ে সারার সাথে পরিচয় হয় উরাইজ নামে এক মেয়ের সাথে। যার পরনে ছিল সাদামাটা বোরকা। চেহারা ছিল অনাবৃত।
কথায় কথায় সারা জানতে পারলো পর্দা সম্পর্কে উরাইজের মনে অনেক সংশয় রয়েছে। সারা একে একে উরাইজের পর্দা ও নারী স্বাধীনতা নিয়ে উরাইজের সকল সংশয়ের উত্তর দিতে লাগলো। পথিমধ্যে তাদের আলোচনায় যোগ দিলো উরাইজের বোন মিহা। মিহার পরিধেয় বোরকাটিও ছিল খুবই সংকুচিত ও অন্তর্শোভা পরিদৃশ্যকারী। এসময় সারা ও উরাইজের আলোচনায় মিহাও যোগ দেয়।
তাদের আলোচনা হাসপাতালে শুরু হলেও পরে একদিন তারা আলোচনার জন্য ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনেও উপস্থিত হয়। সেখানেও তাদের মধ্যে পর্দা বিষয়ক বিভিন্ন আলোচনা হয়। সারা একসময় উরাইজ ও মিহা কে বুঝাতে সমর্থ হয় যে পর্দার ব্যাপারে কোন অজুহাতেই কখনো শিথিলতা দেখানো উচিত নয়। বরং পরিপূর্ণভাবে পর্দা করাই হলো ইমানের দাবী।
বইটি কেন পড়বেন এবং কি পাবেন?
(১) যারা মনে করেন মেয়েদের পর্দা করতে হলে মুখমন্ডল ঢেকে রাখার প্রয়োজন নেই তারা বইটি একবার হলেও পড়ুন। জানতে পারবেন মহিলাদের পর্দার ব্যাপারে ইসলামের সঠিক দিকনির্দেশনা কি।
(২) বইতে লেখক গল্পাকারে খুবই চমৎকারভাবে ও অকাট্যভাবে দলীল সহকারে নারীর পর্দা সম্পর্কিত যাবতীয় বিধি-বিধান তুলে ধরেছেন।
(৩) যারা মনে করেন পর্দা কি শুধুই মেয়েদের জন্য, নাকি পুরুষদের জন্যও পর্দা রয়েছে। কুরআন হাদিসে কি কি নির্দেশ আছে পর্দার ব্যাপারে? মুখমন্ডল খোলা রাখার ব্যাপারে আলিমগণের মতামত কি? এসব নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে ভুগেন তারা বইটি অবশ্যই পড়ুন।
▶ সমালোচনাঃ-
বইতে সমালোচনা করার মত তেমন কিছু নেই। তবে-
(১) বইয়ের মূল কন্টেন্ট খুব সুন্দর হলেও অনুবাদের মান ততটা ভালো হয় নি।
(২) বইয়ের প্রত্যেক পাতা বিভিন্ন ছবি দ্বারা কালার প্রিন্ট করা যা আমার কাছে ভালো লাগে নি।
.
▶ ব্যক্তিগত অনূভুতিঃ-
মহিলাদের পর্দা নিয়ে এক কথায় অসাধারণ একটি বই হলো “ইউনিভার্সিটির ক্যান্টিনে”। বইটি পড়ার পর পাঠক বুঝতে পারবেন মহিলাদের পর্দা করে চলাফেরা করা কতো জরুরী। বইতে লেখক গল্পাকারে খুবই চমৎকারভাবে ও অকাট্যভাবে দলীল সহকারে নারীর মুখাবয়ব ঢেকে রাখার আবশ্যিকতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন, পাশাপাশি ইসলামের সঠিক দিকনির্দেশনাও তুলে ধরেছেন। যা পড়লে যে কোন মানুষের মনে জমে থাকা পর্দা সম্পর্কিত সংশয় দূর হবে বলে আমার বিশ্বাস। তাই সকলের প্রতি বইটি পড়ার অনুরোধ রইলো।