মেন্যু
he amar meye

হে আমার মেয়ে (হুদহুদ প্রকাশন)

প্রকাশনী : হুদহুদ প্রকাশন
কভার : পেপার ব্যাক
লেখক আলী আল তানতাবী মিশরের একজন প্রখ্যাত আলিম। তিনি আল-আজহার এর গ্র্যান্ড ইমাম ছিলেন। তিনি হৃদয় থেকে মেয়েদের আন্তরিক ভাবে উপদেশ দিয়েছেন তাদের সম্ভ্রম রক্ষা করার জন্য, বিয়ে ছাড়া ছেলেদের... আরো পড়ুন
পরিমাণ

40  80 (50% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

10 রিভিউ এবং রেটিং - হে আমার মেয়ে (হুদহুদ প্রকাশন)

5.0
Based on 10 reviews
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    Mst Halima Akter:

    প্রারম্ভ কথন : একজন বৃদ্ধ পিতা তার মেয়েকে নসিহত করা হৃদয় নিংড়ানো কথামালা গুলো নিজের মেয়েকে বলা কথা গুলোই সংকলন করা ‘হে আমার মেয়ে ‘বইটিতে। যদিও তিনি কথা গুলো তার মেয়েকে বলেছেন তবুও সেটা পুরো নারীজাতিকেই উদ্দেশ্যে করে বলা।স্নেহ – মমতায় মাখা প্রতিটি কথা। একজন নারীর
    চলার পথে প্রতিটি বিষয়ই বইটাতে দিক – নির্দেশনা দেওয়া। একজন নারীর সম্রম রক্ষা করা, পর্দায় নিজেকে আবদ্ধ রাখা। একজন পর – পুরুষ কে কখনো বিশ্বাস না করা। পর-পুরুষের প্ররোচনায় পড়ে নিজেকে বিলিয়ে না দেয়ার জন্য একজন বাবার তার মেয়ের প্রতি উপদেশ। এ উপদেশ প্রতিটা নারীর জন্য।

    বইয়ের প্রচ্ছদ :
    অসম্ভব সুন্দর একটা প্রচ্ছদ পাঠকের নজরকাড়ার মতো। প্রচ্ছদ টা দেখলেই বইটা পড়ার ইচ্ছা জাগে।

    বইয়ের কিছু অংশ:
    “হে আমার মেয়ে! সংশোধনের দরজা তোমার সামনে। দরজার চাবিও তোমার হাতে। বদ্ধ তালা খুলে ভিতরে প্রবেশ করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”
    “তোমাকে কোনো যুবক যদি বলে,সে তোমার উত্তমচরিত্রে মুগ্ধ, তোমার আচার- ব্যবহারে আকৃষ্ট এবং সে কেবল তোমার সাথে একজন বন্ধুর মতোই আচরণ করে এবং সে হিসাবেই তোমার সাথে কথা বলতে চায় ; তাহলে তা তুমি বিশ্বাস করো না। আল্লাহর শপথ! সে মিথ্যুক!”
    “হে আমার মেয়ে! তোমার সম্মান তোমার হাতেই রেখে দিলাম এবং তোমার ইজ্জত-আব্রু ও মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব তোমার উপরেই ছেড়ে দিলাম।
    সুতরাং তোমার বোনদেরকে উপদেশ দাও।বিপদগামীদের সংশোধন কর এবং সুপথে ফিরিয়ে আনো।”

    পাঠ্য অনুভূতি :
    ‘হে আমার মেয়ে ‘ বইটা পড়তে গিয়ে মনে হলো উপদেশ গুলো জেনো আমার জন্যই। প্রতিটা কথা অন্তর ছুঁয়ে যায়। ছোট একটা বই কিন্তু তার গভীরতা অনেক। বইটার সম্পর্কে যতই বলবো আমার কাছে কম মনে হবে। প্রতিটা নারীর ‘হে আমার মেয়ে ‘বইটা একবার হলেও পড়া উচিত।

    পরিশেষে:
    এই বইটা শুধু একজন বাবার তার মেয়েকে দেওয়া উপদেশ ই না শুধু সমগ্র নারী জাতিকে দেওয়া উপদেশ।পরম মমতায় নসিহত করা। প্রিয় বোনদের সকলের উচিত বইটা পড়া। আল্লাহ আমাদের সকল কে হিফাজত করুন।আমিন।

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    জুয়াইরিয়া কাজিমা:

    উঠতি বয়সী তরুণীদের মাঝে একরকম আবেগ কাজ করে। যে আবেগকে সামলাতে না পেরে তারা দুনিয়ার পেছনে ছুটতে শুরু করে। দুনিয়ার ভোগ-বিলাসিতা তাদের সম্পূর্ণ ঘায়েল করে দেয়। তরুণীরা এই সামান্য সুখের জগতকে চিরস্থায়ী ভেবে তাতে নিজেদের বিলীন করে দেয়।ফলস্বরূপ একজন তরুণীকে হারাতে হয় নিজের সম্ভ্রম! যা তার কাছে সব চাইতে দামি। এই নব্য জাহিলিয়াতের যুগে মেয়েরা নিজেদের কন্ট্রোল করতে না পেরে বিলিয়ে দিচ্ছে ক্ষণিকের রঙিন দুনিয়ায়। নিজেদের তুলে দিচ্ছে নেকড়েদের হাতে। যারা থাবায় সে মূহুর্তে জর্জরিত হয়ে যায়। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার শরীর এবং সতীত্ব।

    পৃথিবীর বর্তমান অবস্থা খুবই করুণ। মেয়েরা এখন জাহেলিয়াতের যুগের অনুরূপ পন্যের মতো হয়ে গেছে।
    তারা পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে এসেছে নিজেদের সৌন্দর্য প্রদর্শনের জন্য। পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি যখন তার শরীরে পড়ে তখন সে আনন্দ আত্মহারা হয়ে যায়। সে ভাবে এটাতেই হয়তো তার স্বার্থকতা। কিভাবে নিজেকে আরেকটু আর্কষণীয় করে কথিত পুরুষদের মুগ্ধ করা যায় সে নিয়ে সে বিভোর।

    নারীরা আজ নিজেদের হায়া হারাতে বসেছে। অথচ ইসলাম তাদের কত সম্মান এবং শান্তির পথ বাতলে দিয়েছেন। ছেলেদের সাথে চলাফেরা না করলে যেন তাকে সবাই গেঁয়ে ভাববে। পুরুষদের সাথে অবাধ মেলামেশা, নিজেকে সম্পূর্ণ উন্মোচন করে দিয়ে চলা, অশ্লীল পোশাকে নিজেকে প্রদর্শন করানো এসব যেন আজকের নারীদের প্রধান কর্ম।

    আপন কন্যা তুল্য কন্যাদের এই অবনতি দেখে কোন পিতা নিজেকে সংবরণ করতে পারে! জীবনের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে আপন কন্যাদের প্রতি একজন বয়বৃদ্ধ পিতার হৃদয় নিংড়ানো একগুচ্ছ সচ্ছ মেসেজ পাঠিয়েছেন। কন্যাদের প্রতি পিতার আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ এবং উপদেশাবলি দিয়ে বইটি তৈরিকরণ হয়েছে।

    নারীরা আজ যাকে অনাবিল সুখ ভেবে নিজেদের ভাসিয়ে দিচ্ছেন তার সবই নাফসের ধোঁকা। দিনের পর দিন নিজের সৌন্দর্যকে যেভাবে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরছেন তার সবই শয়তানের ওয়াসওয়াসা। লেখক একজন পিতার দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে স্বীয় কন্যা সমতুল্য সকল কন্যাদের দরদ মাখা সুরে ভালোবেসে উপদেশ দিয়েছেন।

    বিয়ে একটি হালাল সম্পর্ক। বিয়ের পর একজন নারীর সবচেয়ে কাছের মানুষ তার স্বামী। নারীর উচিত স্বামীর পাশাপাশি তার সংসারের দায়িত্ব পালনে সতর্ক হওয়া। কিভাবে স্বামীর সাথে সুখে শান্তিতে সংসার করা যায় তা নিয়ে ভাবা। কিভাবে স্বামীর প্রিয় হয়ে থাকা যায় তাকে আপন বাঁধনে আগলে রাখা যায় সেসকল বিষয়ে উল্লেখিত বইটিতে কন্যাদের নসীহত নামা প্রেরণ করেছেন।

    বর্তমান সমাজে নারীদের চিত্র দেখে লেখক অত্যন্ত ব্যথিত হলেন। তিনি কলম হাতে একজন পিতার দায়িত্ব পালনে এগিয়ে এলেন। যিনা আজ আমাদের মাঝে এমনভাবে বিস্তার করেছে যার দরুন যেদিকেই তাকাই চোখ ঝাপসা হয়ে যায়। এই যিনার কড়াল ছায়া থেকে কিভাবে একজন নারী পর্দায় থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবে এবং পরপুরুষের সাথে সাথে উঠা-বসা এবং সর্বপরি যে ভয়াবহতা রয়েছে তা লেখক তুলে ধরেছেন এই বইয়ে।

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    আয়েশা সিদ্দিকা:

    হে আমার মেয়ে, যারা সভ্যতার নামে নারী-পুরুষের মধ্যাকার ব্যবধান উঠিয়ে দিতে চায় এবং উভয় শ্রেণীর জন্য সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবী জানিয়ে কর্মক্ষেত্রে মিশ্রিত হয়ে যাওয়ার আহবান জানায় তারা মিথ্যুক। কারণ এর মাধ্যমে তারা নিজেদের মনের চাহিদা মেটাতে চায় এবং অন্যের স্ত্রী-কন্যাকে পাশে বসিয়ে নারীদের সৌর্ন্দয উপভোগ করতে চায়।

    হে আমার মেয়ে, বইটি বর্তমান মেয়েদের জন্য খুবই উপকারী। বর্তমানে সহ-শিক্ষার নামে ছেলে-মেয়েদের যে অবাধ মেলা-মেশা চলছে তা খুবই ভয়াবহ পরিণীতি। মেয়েরা তাদের পবিত্র জীবন হারাচ্ছে যা কিনা চলে গেলে হাজার বিনিময়ের মূল্যেও ফেরত পাওয়া সম্ভব নয়। কোনো নারী যদি স্বীয় ইজ্জত হারা হয়ে সমাজ থেকে ছিটকে পড়ে কেউ তার হাত ধরবে না। অথচ যতদিন সে নারীর শরীরে যৌবন-সৌর্ন্দয ছিল ততদিন পাপিষ্ঠরা তার চারপাশে ঘুর ঘুর করেছে এবং তারা প্রশংসা করেছে।

    হে মেয়ে কোনো যুবক অগণিত নারীকে নষ্ট করলেও আমাদের জালেম সমাজ তাকে একদিন ক্ষমা করে দিবে। সমাজ বলবে একটি যুবক পথ হারা ছিল। সে সুপথে ফিরে এসেছে। এই অজুহাতে সে হয়ত সমাজের কাছে গৃহীত হবে এবং সকলেই তাকে গ্রহণ করবে। আর তুমি অপমানিত,লাঞ্চিত হয়ে চিরদিন পড়ে থাকবে। আজীবন তোমার জীবনে দাগ লেগে থাকবে। আমাদের জালেম সমাজ তোমাকে ক্ষমা করবে না,মেনে নিবে না। হে আমার মেয়ে, সময় থাকতে….. সাবধান হও।

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    বিনতে রেদওয়ান:

    উঠতি বয়সী তরুণীদের মাঝে একরকম আবেগ কাজ করে। যে আবেগকে সামলাতে না পেরে তারা দুনিয়ার পেছনে ছুটতে শুরু করে। দুনিয়ার ভোগ-বিলাসিতা তাদের সম্পূর্ণ ঘায়েল করে দেয়। তরুণীরা এই সামান্য সুখের জগতকে চিরস্থায়ী ভেবে তাতে নিজেদের বিলীন করে দেয়।ফলস্বরূপ একজন তরুণীকে হারাতে হয় নিজের সম্ভ্রম! যা তার কাছে সব চাইতে দামি। এই নব্য জাহিলিয়াতের যুগে মেয়েরা নিজেদের কন্ট্রোল করতে না পেরে বিলিয়ে দিচ্ছে ক্ষণিকের রঙিন দুনিয়ায়। নিজেদের তুলে দিচ্ছে নেকড়েদের হাতে। যারা থাবায় সে মূহুর্তে জর্জরিত হয়ে যায়। ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার শরীর এবং সতীত্ব।

    পৃথিবীর বর্তমান অবস্থা খুবই করুণ। মেয়েরা এখন জাহেলিয়াতের যুগের অনুরূপ পন্যের মতো হয়ে গেছে।
    তারা পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে এসেছে নিজেদের সৌন্দর্য প্রদর্শনের জন্য। পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি যখন তার শরীরে পড়ে তখন সে আনন্দ আত্মহারা হয়ে যায়। সে ভাবে এটাতেই হয়তো তার স্বার্থকতা। কিভাবে নিজেকে আরেকটু আর্কষণীয় করে কথিত পুরুষদের মুগ্ধ করা যায় সে নিয়ে সে বিভোর।

    নারীরা আজ নিজেদের হায়া হারাতে বসেছে। অথচ ইসলাম তাদের কত সম্মান এবং শান্তির পথ বাতলে দিয়েছেন। ছেলেদের সাথে চলাফেরা না করলে যেন তাকে সবাই গেঁয়ে ভাববে। পুরুষদের সাথে অবাধ মেলামেশা, নিজেকে সম্পূর্ণ উন্মোচন করে দিয়ে চলা, অশ্লীল পোশাকে নিজেকে প্রদর্শন করানো এসব যেন আজকের নারীদের প্রধান কর্ম।

    আপন কন্যা তুল্য কন্যাদের এই অবনতি দেখে কোন পিতা নিজেকে সংবরণ করতে পারে! জীবনের সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে আপন কন্যাদের প্রতি একজন বয়বৃদ্ধ পিতার হৃদয় নিংড়ানো একগুচ্ছ সচ্ছ মেসেজ পাঠিয়েছেন। কন্যাদের প্রতি পিতার আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ এবং উপদেশাবলি দিয়ে বইটি তৈরিকরণ হয়েছে।

    নারীরা আজ যাকে অনাবিল সুখ ভেবে নিজেদের ভাসিয়ে দিচ্ছেন তার সবই নাফসের ধোঁকা। দিনের পর দিন নিজের সৌন্দর্যকে যেভাবে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরছেন তার সবই শয়তানের ওয়াসওয়াসা। লেখক একজন পিতার দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে স্বীয় কন্যা সমতুল্য সকল কন্যাদের দরদ মাখা সুরে ভালোবেসে উপদেশ দিয়েছেন।

    বিয়ে একটি হালাল সম্পর্ক। বিয়ের পর একজন নারীর সবচেয়ে কাছের মানুষ তার স্বামী। নারীর উচিত স্বামীর পাশাপাশি তার সংসারের দায়িত্ব পালনে সতর্ক হওয়া। কিভাবে স্বামীর সাথে সুখে শান্তিতে সংসার করা যায় তা নিয়ে ভাবা। কিভাবে স্বামীর প্রিয় হয়ে থাকা যায় তাকে আপন বাঁধনে আগলে রাখা যায় সেসকল বিষয়ে উল্লেখিত বইটিতে কন্যাদের নসীহত নামা প্রেরণ করেছেন।

    বর্তমান সমাজে নারীদের চিত্র দেখে লেখক অত্যন্ত ব্যথিত হলেন। তিনি কলম হাতে একজন পিতার দায়িত্ব পালনে এগিয়ে এলেন। যিনা আজ আমাদের মাঝে এমনভাবে বিস্তার করেছে যার দরুন যেদিকেই তাকাই চোখ ঝাপসা হয়ে যায়। এই যিনার কড়াল ছায়া থেকে কিভাবে একজন নারী পর্দায় থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখবে এবং পরপুরুষের সাথে সাথে উঠা-বসা এবং সর্বপরি যে ভয়াবহতা রয়েছে তা লেখক তুলে ধরেছেন এই বইয়ে।

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  5. 5 out of 5

    Hasnain Islam Emon:

    ❀বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।

    ❝ (হে নবী!) আপনি আপনার পত্মীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, যখন কোনো প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হয়, তখন তারা যেন তাদের চাদরের একাংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এমনকি চেহারাও যেন খোলা না রাখে। তারা যেন বড় চাদরের ঘোমটা দ্বারা নিজেদের চেহারাকে আবৃত করে রাখে।) ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।’ (সূরা আহযাব, আয়াত : ৫৯) ❞

    ইসলাম বিশ্বজনীন এক ‍চিরন্তন ও শাশ্বত পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলামে রয়েছে নারীর সম্মান, মর্যাদা ও সকল অধিকারের স্বীকৃতি, রয়েছে তাদের সতীত্ব সুরক্ষা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপক কর্মসূচী। তাদের সম্মান, মর্যাদা ও সতীত্ব অক্ষুন্ন রাখতেই ইসলাম তাদের উপর আরোপ করেছে পর্দা পালনের বিধান।

    মুসলিম নারীসমাজ আজ আধুনিকতার ছোঁয়ায় এবং পাশ্চাত্য সভ্যতাকে অনুকরন করতে গিয়ে নিজের পর্দা,ঈমান,সম্মান সব হারিয়ে বেপর্দা,ব্যভিচার, হারাম রিলেশনশিপের দিকে পা বাড়িয়েছে,যা ইসলাম সমর্থন করেনা।

    কিশোরী এবং যুবতী মুসলিম নারীদেরকে যুগের এই ফিতনা থেকে বাঁচাতে হুদহুদ প্রকাশনী এবং লেখক শাইখ আলী তানতাভী আমাদের মুসলিম বোনদের জন্য আয়োজন করেছেন ❝ হে আমার মেয়ে ❞ নামক বইটি।আমাদের আজকের আলোচনা এই বইটিকে ঘিরেই।

    ♦বইটিতে যা যা রয়েছে সংক্ষেপেঃ

    বিশিষ্ট আরবি সাহিত্যিক এবং লেখক আলী তানতাভী তার ইহজীবনকালের শেষ সময়ে দাঁড়িয়ে তার নিজের মেয়ের প্রতি হৃদয় নিংড়ানো কিছু কথা লিখেন। সে কথামালাগুলোতে তিনি যেসব বিষয় উল্লেখ করেছেন , সেই বিষয়গুলোর সারনির্যাসের তৈরী হয়েছে ❝ হে আমার মেয়ে ❞ নামক বইটি।

    পাশ্চাত্য সভ্যতা এবং সংস্কৃতিকে অনুকরন করতে গিয়ে বর্তমান বিশ্বে নারীদের যে অধঃপতন, সেই ফিতনা থেকে মুসলিম নারী/বোনদের ইসলামের পথে পরিপূর্ণভাবে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব তিনি তার স্বীয় কন্যাসন্তানের উপর দিয়ে গিয়েছেন এবং ধীরে ধীরে কিভাবে এই দাওয়াতি কাজ চালিয়ে যেতে হবে এবং কিভাবে সফলতা আসবে তাও তিনি এই বইয়ে বলে দিয়েছেন। আলী তানতাবী তার মেয়েকে বলেন বলেন,
    ❝ আমরা বিদায় নিয়ে, তোমার দ্বীনি বোনদের ইজ্জত,সম্ভ্রম ও সতীত্ব রক্ষার দায়িত্ব তেমার হাতে ছেড়ে দিলাম। ❞

    বইটির প্রতিপাদ্য বিষয় হলো- একজন নারীই পারে
    অন্যান্য মুসলিম নারীদের ইসলামের পথে যথাযথভাবে ফিরিতে আনতে এবং ফিতনার হাত থেকে বাঁচাতে। কারন, একজন নারী অন্যএকজন নারীর ধরন,মন খুব সহজেই বুঝতে পারে।বইটির বিষয়বস্তু গুলো এমন ভাবে সাজানো হয়েছে যা পড়ে যেকোনো মুসলিম বোন একবার হলেও অনুধাবন করবেন আসলে আপনার কি করনীয় ছিলো,আপনি কোন উদ্দেশ্যে দুনিয়াতে এসেছেন আর আধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতাকে অনুসরন করতে গিয়ে আপনি কি করছেন।

    ♦আমার অনুভূতিঃ

    আলহামদুলিল্লাহ। এবারের অনুভূতি একদমই অন্যরকম। এমন বই একটি মুসলিম সমাজের সকল মেয়েদের হাতে পৌছানো দরকার।

    বইটিতে লেখক মুসলিম বোনদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে নিজের পর্দা,নিজেকে খারাপ পুরুষের লোলুপ দৃষ্টি থেকে হেফাযত করার প্রযোজনীয়তা
    অক্ষরে অক্ষরে বুঝিয়ে দিবে। পুরুষের সঙ্গে সহশিক্ষা, একসাথে একরুমে শিক্ষকের কাছে পড়া,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেপর্দা খোলামেলা ওঠা-বসা,চলাফেরা এগুলো ফিতনার জন্ম দেয়। বিভিন্ন ক্লাব,নৈশ পার্টিতে অনেক নামেমাত্র মুসলিমরাই তাদের মুসলিমা স্ত্রীদের পরপুরুষের সাথে নাচানাচি করতে দেয়,এটাকে তারা বলে থাকেন আধুনিকতা।
    এসব থেকে জন্ম নেয় পরকিয়া,ব্যভিচার,হারাম রিলেশনশিপ, ধর্ষন। এর মাধ্যমে একটা নারী তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস সতীত্বকে হারিয়ে
    ফেলে।এসকল কিছু বাদ দিয়ে নিজের পর্দা এবং সতীত্বকে রক্ষা করে কেবলমাত্র বিবাহের মাধ্যমেই হালাল জীবনযাপন করতে পারে।পার্থিব সম্মান,ক্ষমতা-দাপটে একজন নারী যত উঁচুতেই পৌছে যাক না কেন,বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ছাড়া পূর্ন সৌভাগ্য ও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছাতে পারে না, কারন- রূপ, লাবন্য চিরদিন থাকে না,বৃদ্ধা আপনাকে হতেই হবে এবং আপনার একটা পরিবারের দরকার হবেই। বিবাহের মাধ্যমেই একজন নারী হয়ে উঠবে সতী স্ত্রী,সম্মানিত মা,একজন সাংসারিক গৃহিণী।

    তাই বোনদের বলছি আজই ফিরে আসুন। দ্বীন ইসলামকে অন্তরে ধারন করুন। আপনি অবশ্যই উপকৃত হবেন।মুসলিম বোনদেরকে নিজের ইজ্জত,সম্ভ্রম, সতীত্ব এবং পর্দা রক্ষা করতে
    ❝ হে আমার মেয়ে ❞ বইটি নতুন করে একটি জাগরন সৃষ্টি করবে বলে আমাট বিশ্বাস।

    ♦ বইটি পড়া কেনো জরুরিঃ

    ইসলাম পর্দা পালনের যে বিধান আরোপ করেছে তা মূলত অশ্লীলতা ও ব্যভিচার নিরসনের লক্ষ্যে এবং সামাজিক অনিষ্টতা ও ফেতনা-ফাসাদ থেকে বাঁচার নিমিত্তেই করেছে। নারীদের প্রতি কোনো প্রকার অবিচার কিংবা বৈষম্য সৃষ্টির জন্য করেনি। বরং তাদের পবিত্রতা ও সতীত্ব রক্ষার্থেই তাদের উপর এ বিধানের পূর্ণ অনুসরণ অপরিহার্য করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, “আল্লাহ তো কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতাকে দূরীভূত করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।” (সূরা আহযাব: ৩৩)

    বইটি একজন নারীকে তার ভুলগুলো সংশোধন,দোজাহানের শান্তি, সফলতা,নিজের হেফাজত, নিজের সম্মান,আল্লাহর ভয়, পবিত্র জীবনের সন্ধান অর্থাৎ বিয়ে এবং আল্লাহর রহমত কিভাবে পাওয়া যাবে তা গভীরভাবে
    অনুধাবন করতে সাহায্য করবে। বইটি শুধু মুসলিম নারীদের জন্যই নয়,বরং প্রতিটি মুসলিম ভাইয়েরও পড়া জরুরু বলে আমি মনে করছি।মহান রব্বুল আলামীন বইটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে কবুল করুক,আমিন।

    ♦এক নজরে বইটিঃ

    বইঃ ❝ হে আমার মেয়ে ❞
    লেখক : শাইখ আলী তানতাভী
    প্রকাশনী : হুদহুদ প্রকাশনী
    বিষয় : ইসলামে নারী
    মূল্যঃ ৩৬৳ (৪০% ছাড়ে)

    3 out of 3 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No