মেন্যু
rag korben na

রাগ করবেন না-হাত বাড়ালেই জান্নাত

কোন বিষয়ে বই রচনা যখন করা হয়, তখন কিন্তু রচনা করা হয় বইয়ের গুরুত্বের প্রতি লক্ষ্য রেখেই। আপনাদের হাতে যে গ্রন্থটি উপস্থাপন করা হচ্ছে সেটা আরবের প্রখ্যাত দাঈ মুহাম্মদ ইবনে... আরো পড়ুন
পরিমাণ

36  60 (40% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

5 রিভিউ এবং রেটিং - রাগ করবেন না-হাত বাড়ালেই জান্নাত

4.8
Based on 5 reviews
5 star
80%
4 star
20%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    lamyeaferdousy205:

    খুব উপকারী বই
    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    ফারহানা আকতার:

    #কালান্তর_ওয়াফিলাইফ_রিভিউ_প্রতিযোগিতা

    “কোনো বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের বাসনায় তার ক্রোধের ঢোক গলাধঃকরণ করলে, আল্লাহর নিকট সওয়াবের দিক থেকে তার চেয়ে অধিক মর্যাদাপূর্ণ কোন ঢোক নেই।”
    [আহমাদ]

    ★ভূমিকা-
    –––––––
    মানুষের অন্তরের একটি নিকৃষ্ট ব্যাধি হচ্ছে ক্রোধান্বিত হওয়া। এর চিকিৎসা হলো আল্লাহর সিদ্ধান্তের প্রতি সন্তুষ্ট থাকার উপর নিজেকে অভ্যস্ত করে নেওয়া। কারন ক্রোধ শয়তানের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ।
    আমাদের এই অনাকাঙ্ক্ষিত ক্রোদকে সংবরণ করতে একটি গ্রন্থের প্রয়োজন ছিল ;যা আমাদের ক্রোধ থেকে বের হয়ে আসার পথ বাতলে দেবে। এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ছোট্ট গ্রন্থ “রাগ করবেন না”। যাঁর লেখক আরব জাহানের বিখ্যাত দাঈ ড.মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফি। পাঠকদের জন্য এই মহামূল্যবান বইয়ের কাজ হাতে নিয়েছে বর্তমান ইসলামি সাহিত্যের সফল প্রকাশন ‘কালান্তর প্রকাশনি’। তাদের এই কাজে মহান রাব্বুল আলামিন বারাকাহ দান করুক এই কামনায়–।

    ★পাঠ সংক্ষেপ–
    –––––––––––
    সৃষ্টির আদিকাল থেকে মানবমন নানা ব্যাধিতে জর্জরিত। হিংসা-বিদ্বেষ, অহংকার-দাম্ভিকতা, ঈর্ষাকাতরতা, ফিতনা-ফাসাদ, ক্রোধসহ আরো বহুবিধ রোগ মহামারির মতো চারপাশে ছড়িয়ে রয়েছে। ক্রোধ এমনই একটি নিকৃষ্ট ব্যাধি যা ইতিহাসের মহা দানবের মতো আপনার সকল নেক আমলকে গ্রাস করে। আপনার অন্তরকে দ্বীনের পথে অবিচল রাখতে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়াই।
    ক্রোধ এমন একটি নিকৃষ্ট অন্তর-ব্যাধি যা আপনাকে রবের সন্তুষ্টি অর্জন থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। যার দরুণ আপনি হয়ে উঠেন পরিবারের এমনকি বন্ধু-সমাজেও অপ্রিয় একটি মুখ। ক্রোধের সময় আমরা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলি, ভুলে যায় ন্যায়-অন্যায়ের তফাত। ক্রোধের বশে যখন খারাপ আচরণ করি তখন তার ভবিতব্য ফলাফল কী হবে তার চিন্তা করি না। পরে হয়তো বলি- “হায়! আফসোস! এমনটি যদি না করতাম তাহলে কতই না উত্তম হতো।”
    ‘রাগ করবেন না’ নামক বইয়ে লেখক জনাব আবদুর রহমান আরিফি বেশ দক্ষতার সাথে রাগের খারাপ দিকগুলো উপস্থাপন করেছেন। এই বইয়ের বিষয়বস্তু মূলত তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
    ১.রাগের খারাপ দিক ও প্রভাব
    ২. ইহকাল ও পরকালে রাগ নিয়ন্ত্রণের সুফল
    ৩.একজন মুসলিম হিসেবে কখন আপনার রাগ করা উচিত!
    শুরুতে রয়েছে রাগের খারাপ প্রভাব, কীভাবে রাগ আপনাকে আশেপাশের সবার কাছে অপ্রিয় করে তুলে, কীভাবে আপনি হয়ে উঠেন সকলের হাসির পাত্র। রেগে যাওয়া মানে সাহসিকতা নয় বরং তা আপনার হীন মানসিকতার পরিচয় বহন করে।

    পরের কয়েক পৃষ্ঠায় রয়েছে রাগ নিয়ন্ত্রণ করার সুফল। যে ব্যক্তি ধৈর্য সহকারে নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে জানে সে-ই প্রকৃত বুদ্ধিমান এবং সাহসী। অনেকে মনে করে রেগে যাওয়া মানে নিজের সাহসিকতার পরিচয় দেওয়া, রেগে যাওয়া মানে নিজেকে শক্তিশালি কিংবা সাহসী হিসেবে প্রকাশ করা। মূলত এমন চিন্তা-ভাবনা আপনার মনের নিচতা প্রকাশ করে সাহসিকতা নয়।

    শেষের দুই-তিন পৃষ্ঠায় রয়েছে আপনি কখন ক্রোধান্বিত হবেন? রাগ করবেন কিন্তু সেটা কখন? যখনই আপনি দেখবেন মুসলিম উম্মাহ নির্যাতিত হচ্ছে কাফেরদের হাতে। যারা উপযুক্ত সময়ে যথার্থ স্থানে ক্রোধান্বিত হয় পৃথিবী তাদের কাছে মাথা নত করে। যখন দেখবেন ইসলাম হুমকির মুখে তখনই আপনি ক্রোধান্বিত হোন। কারন পৃথিবী উদাসীন জাতির কাছে কিছু আশা করে না। ঘুরে দাড়ান, আপনার বোনকে শত্রুর থাবা থেকে মুক্ত করতে ক্রোধান্বিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

    ★লেখক পরিচিতি-
    আব্দুর রহমান আরিফি ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন দাম্মামে। এরপর সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন এবং রিয়াদের বাদশা সউদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।তিনি জীবনের মূল কাজ হিসেবে বেছে নিয়েছেন ‘দাওয়াহ ইয়াল্লাহকে’। তিনি একজন সুবক্তাও। তিনি প্রায় ত্রিশটি পুস্তক রচনা করেছেন।

    ★পাঠক কেন বইটি পাঠ করবে–
    রাগ কী? তার খারাপ দিক, কখন আপনি ক্রোধান্বিত হবেন! এসকল বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে বইটি খুবই ফলপ্রসূ হবে বলে আমি মনে করি।
    আপনি কি চান না – সকল বিষয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে?
    আপনি কি চান না; বিনয়ের সাথে কথা বলে পরিবার কিংবা বন্ধুদের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান দাখিল করতে?
    আপনি কি চান না ;জাহান্নামের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ থেকে রক্ষা পেতে?
    কিংবা সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আপনার কি উচিত নয়; পশুপাখির সাথে সহানুভূতিশীল আচরণ করা?
    তাহলে বইটি পাঠ করার আহ্বান জানাচ্ছি প্রতিটি পাঠককে। এর উছিলায় আপনি হয়তো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সফল হবেন। ইনশাআল্লাহ।

    ★পাঠ_প্রতিক্রিয়া
    গল্প-উপন্যাসের বই পাঠ করলে হৃদয়ে অস্থিরতা তৈরি হয়। আর দ্বীনি বই পাঠে হৃদয় শান্ত হয়, প্রভুর প্রতি ভালোবাসা বাড়ে এবং নিজের আমলে দ্বীনি পরিবর্তন আসে। ‘রাগ করবেন না’ এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ বই। বইটি পাঠ করার সময় আমি আমার অনিয়ন্ত্রিত রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আল্লাহর দরবারে এরজন্য প্রার্থনা করেছি বহুবার। বইটি পাঠ করতে করতে কখন যে নিজের মধ্যে পরিবর্তন আসবে আপনি বুঝতেও পারবেন না।

    ★বইটির ভালো দিক–
    রাগ করবেন না’ বইয়ের সবচেয়ে ভালো দিক হলো এর ভাষা সহজ ও সাবলীল। এখানে কোনো গম্ভীর ও দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। সকল স্তরের পাঠকের জন্য বইটি পাঠোপযোগী। আল্লাহর বাণী ও হাদিসসমূহের যথাযথ দলিল পেশ করে গ্রন্থটিকে আরো সহীহ করা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

    বইঃ রাগ করবেন না’
    লেখকঃ ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফি
    অনুবাদকঃ মাওলানা আবদুল হাদী
    প্রকাশকঃ কালান্তর প্রকাশনী
    মূল্যঃ ৬০ টাকা
    পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৩২

    3 out of 4 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 4 out of 5

    Saadman Yasser:

    #কালান্তর_ওয়াফিলাইফ_রিভিউ_প্রতিযোগিতা
    পোস্ট : ০২
    📖 বই : রাগ করবেন না হাত বাড়ালেই জান্নাত
    🖊 মূল : ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফি
    📁 অনুবাদ : মাওলানা আবদুল হাদী
    ⏹️ প্রকাশনা : কালান্তর প্রকাশনী

    বিসমিল্লাহির রহমানীর রহীম।
    রাগ আবেগের অংশবিশেষ। রেগে গেলে অনেক সময় মানুষ কি করে তা সে নিজেও অনেক সময় বুঝতে পারেনা। একটা কথা বেশ প্রচলিত, তা হলো “রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন”। রাগ কখন করতে হয়, কখন রাগ না করে বিবেক খাটাতে হয় সে বিষয় সম্পর্কে জানতে ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফি এর ” রাগ করবেন না হাত বাড়ালেই জান্নাত” বইটি আপনার জন্যই।

    রাগ না করেও প্রিয়নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে মানুষের সাথে কথা বলতেন,ভালো উপদেশ দিতেন, তার একটা বাস্তব  চিত্র এই ছোট বইটিতে ফুটে উঠেছে। বইয়ের প্রতিটি পাতা শিক্ষনীয় লেখায় ভরপুর। বিশেষ করে কিভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে অন্য কাউকে নসিহত করবেন, কিভাবে অনর্থক কথা-বার্তা থেকে দূরে থাকবেন,কিভাবে নিজের আত্মমর্যাদা বজায় রাখবেন, কিভাবে নববি পন্থায় জীবন উপভোগ করবেন ইত্যাদি জানার জন্য এই বইটি সেরা।

    এই বইয়ের বিশেষত্ব হলো “রাগ করবেন না” বইটির নাম হলেও রাগ যে একেবারেই করবেন না তা কিন্তু নয়! অন্যায়ের প্রতিবাদ কখন করবেন সেটাও আছে এই বইয়ে। বইয়ের ৩১ পৃষ্টায় উল্লেখ্যঃ “ক্রোধান্বিত হোন! আল্লাহ মানুষ কে উদাসিনভাবে বসে থাকার জন্য সৃষ্টি করেন নি।”
    “ক্রোধান্বিত হোন! আল্লাহর কসম! আল্লাহ কখনোই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতির অপমান সহ্য করবেন না।”

    বইটি একটানে পড়ে ফেলেছি। বইয়ে বানান ভুল নেই বললেই চলে। আর পৃষ্টা রঙিন হওয়ায় বইটা পড়তেও ভালো লেগেছে। বইটি পড়ার সময় মনে হচ্ছিল দারুণ একটা লেকচার অনুভব করতে পারছিলাম, মাওলানা আবদুল হাদী এতোটাই চমকপ্রদ করে অনুবাদ করেছেন। বইটি দারুন এক সুখপাঠ্য হবে পাঠকের জন্য ইনশাআল্লাহ ।
    #TheMSYR

    2 out of 2 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    ma2189484:

    মানুষকে বোঝানোর দু’ রকমের কায়দা রয়েছে।
    ১. ইতিবাচক এবং
    ২. নেতিবাচক।

    আমাদের মাঝে একটি ভুল ধারণা বিরাজমান আছে। তা হচ্ছে আমরা ভাবি একটা মানুষকে খারাপ থেকে ভালোর পথে ফিরিয়ে আনতে ‘না’ বাচক শব্দ ব্যবহার করার বিকল্প নেই। এই যেমন, এটা করো না, এটা বলো না……ইত্যাদি। কিন্তু আমরা এটা বুঝি না যে একটা মানুষকে সারাক্ষণ এই ‘না’ বাচক শব্দগুলো ব্যবহার করে আহ্বান করার ফলে সে বিরক্ত হয়ে যায়। ফলে হিতের বিপরিতটা ঘটে৷ অথচ আমরা শুধু ভাবি ‘কী ব্যাপার! একটা মানুষকে এত নসিহত করার পরেও সে ভালো হচ্ছে না কেন?’। কিন্তু কখনো ভেবে দেখি না এই নসিহতটা আধৌ ঠিক হচ্ছে কি না!

    আবার অনেক সময় চোখের সামনে অন্যায় দেখে যখন ‘না’ বাচক শব্দ ব্যবহার করে প্রতিবাদ করি আর যদি দেখি সেই অন্যায়কারী নসিহতটা মানছে না তখন মেজাজ প্রচণ্ড খারাপ হয়। আমরা ক্রোধান্বিত হয়ে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ি। যার কারণে সমাজে একটা বিশৃঙখলা সৃষ্টি হয়; মানুষ নিজেদের ঈমান হারাতে থাকে।

    আবার অনেকে আছে নিজের মতের সাথে অন্যের মত না মিললেই ক্রোধান্বিত হয়ে পড়ে। ইতিবাচক শব্দ দিয়ে অপর পক্ষকে নিজের মতটা বুঝাতে পারে না। যার জন্য বিশৃঙখলা সৃষ্টি হয়। ক্রোধান্বিত ব্যক্তি মনে মনে ভাবেন দ্বীনের পথে অবিচল থাকার পরেও শয়তান কে কেন তিনি বিতাড়িত করতে পারেন না!

    তাই নসিহত করার সময় মানুষের নিজেকে খেয়াল করা প্রয়োজন। নয়তো নসিহত করতে গিয়ে কেউ যদি রেগে যায় তাহলে ফলাফল শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। প্রচলিত কথা আছে, ‘রাগ করলেন তো হেরে গেলেন’। তাই মুসলিম উম্মাহকে নসিহত করার পাশাপাশি নিজের রাগকে কন্ট্রোল করা শিখতে হবে। নইলে সামনে অনেক বড় বিপদ হতে পারে।

    তো কী করে নিজেদের রাগ কন্ট্রোলে রেখে মানুষকে নসিহত করবেন?

    তাহলে আপনার জন্যই দরকার ‘রাগ করবেন না হাত বাড়ালেই জান্নাত’ বইটি।

    এই বইটিতে রাগের বিভিন্ন কুফল কুরআন হাদিসের আলোকে দেখানো হয়েছে। রাগ না করেও মহানবী (সাঃ) কী করে উম্মাহকে নসিহত করেছেন তার কিছু উদাহরণ আছে। যাতে মানুষের বুঝতে সুবিধা হয়। শুধু তাই নয়, কোন অবস্থার এবং পেশার মানুষকে আপনি কীভাবে ‘না’ বাচক শব্দ ব্যবহার না করে ‘হ্যাঁ’ বাচক শব্দ ব্যবহার করে নসিহত করবেন তা সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। বইটি পড়তে পড়তে মনে হবে যে, “আচ্ছা, আমরা কি কোন অবস্থাতেই রাগ করতে পারবো না? চোখের সামনে অন্যায় দেখলেও তার প্রতিবাদ করবো না?” মজার ব্যাপার হচ্ছে শুরু থেকে নসিহতের মাধ্যমে অন্যকে বুঝানোর কৌশল দেখিয়ে দেখিয়ে মনের মধ্যে এই প্রশ্নটি ঢুকিয়ে দিয়ে একদম শেষে এসে আপনাকে চমকে দেবে এই বইটি। যার কারণে ক্রোধের সুফল-কুফল, ব্যবহার… আপনার কাছে ক্লিয়ার হয়ে যাবে। আর এটাই বইটির একটি বিশেষত্ব।

    ‘রাগ করবেন না হাত বাড়ালেই জান্নাত’ বইটি মূলত কোন বই নয়। এটি একটি খুতবার হার্ড কপি। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফি’র খুতবার এই হার্ডকপিটি অনুবাদ করেছেন মাওলানা আবদুল হাদী। বইটি পড়লে বুঝা যায় অনুবাদক কতটা স্ট্রং অনুবাদ করেছেন। বইটি পড়তে গিয়ে হুবহু একটি লেকচার/খুতবার ফিলিং পাওয়া যায়। কী সাবলীল অনুবাদ! ছোট্ট এই বইটি এক বসাতেই পড়ে ফেলার মতো। তবে ধীরে ধীরে বুঝে বুঝে পড়লে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।

    বইটির ৩১ পৃষ্টার একটি প্যারা হচ্ছে-
    ক্রোধান্বিত হোন! যখন আপনি আপনার সন্তানকে বোমার ধ্বংসাবশেষের ধুলো পরিষ্কার করতে। আর আপনার বোনকে দেখেন জালিমদের সাথে যুদ্ধ করতে।
    আমার মনে হয় এই পারাটি ৩ বাক্যে বিভক্ত না করে ২ বাক্যে করলে ভালো হতো। এভাবে-
    ক্রোধান্বিত হোন! যখন আপনি আপনার সন্তানকে বোমার ধ্বংসাবশেষের ধুলো পরিষ্কার করতে আর আপনার বোনকে দেখেন জালিমদের সাথে যুদ্ধ করতে।
    এতে করে পাঠকদের পড়তে গিয়ে হোঁচট খাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    যাই হোক, বইটির কভার, পেজ, বাইন্ডিং সবকিছুই মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর৷ এদিক থেকে প্রকাশনী প্রশংসার দাবীদার। অনুবাদক তার হাতের ছোঁয়ায় জাদু দেখিয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে বইটি সবার জন্য উপকারী একটি বই। আর আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি এটি সবার জন্য সুখপাঠ্য হবে ইনশাআল্লাহ।

    বই: রাগ করবেন না হাত বাড়ালেই জান্নাত
    মূল লেখক: ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদূর রহমান আরিফি
    অনুবাদক: মাওলানা আবদুল হাদী
    প্রকাশক: কালান্তর প্রকাশনী
    পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩২
    মুদ্রিত মূল্য: ৫০৳
    পারসোনাল রেটিং: ৯/১০

    2 out of 2 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  5. 5 out of 5

    saifulislam19667:

    আল্লাহ wifi life এর ভাইদের ইসলামের জন্য কবুল করুন।
    আল্লাহ বইটির লেখকে উত্তম প্রতিদান দান করুণ।
    বইটি পড়লে মনে হয়। আর জীবনে হারাম ছাড়া অন্য কোন কিছুর জন্য রাগ করা একবারে বোকামি। অসাধারণ বইটি।।
    9 out of 9 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No