মেন্যু
double standard 1

ডাবল স্ট্যান্ডার্ড

কভার : হার্ড কভার
কিছু লোক ইসলামকে সে শত্রু হিসেবে নিয়েছে বিভিন্ন কারণে। তাদের কাজই হল ইসলামের খুঁত খুঁজে বের করে প্রচার করা। খুঁজতে গিয়ে তারা পেয়ে যায় পশ্চিমা ঐতিহাসিকদের কিছু প্রলাপ, টেপ রেকর্ডার।... আরো পড়ুন
পরিমাণ

280  400 (30% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

9 রিভিউ এবং রেটিং - ডাবল স্ট্যান্ডার্ড

5.0
Based on 9 reviews
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    AlamgirAhamedChowdhury:

    বর্তমান শিক্ষা ব্যাবস্থায় নতুন জেনারেশনকে ধর্ম বিমুখতা থেকে ধর্মকে তাচ্ছিল্য করার যে জোয়ার বইছে, এই বইটি সেই জোয়ারের বিপরিতগামী জোয়ার আনার শক্তিশালী হাতিয়ারের মতই কার্যকর। সবার উচিত এমন বই নিজে পড়া এবং অপরের পড়ার জন্য প্রচারনায় ভুমিকা রাখা।
    4 out of 5 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    robiul.techman:

    আমাদের সকলেরই উচিত চিন্তা ভাবনাকে পরিবর্তন করার। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলের চিন্তা ভাবনায় আমূল পরিবর্তন আনুক। আমিন।
    5 out of 6 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    nishumoshiur:

    ইসলাম একটি শ্বাশত জীবনের ধর্ম। একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্ম ও একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এটাকে এক কথা, কয়েক বাক্য বা সামান্য কিছু বই দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব না। জিনিস যেটা বড়, তার বর্ণনাও বড়ই হবে। ইসলামের প্রতিটি বিধানই কল্যাণময়। কখনও কোন বিষয়ে তাৎক্ষণিক কল্যাণময়। আবার কখনও বিশেষ বিষয়ে কল্যাণ আপাততভাবে ধীরগতির হলেও সামষ্টিক ভাবে অবশ্যই কল্যাণ। ইসলামের বিধানে কোন যুক্তি নেই, এই কথাটা ভুল।
    লেখক ডা. শামসুল আরেফীন পেশায় একজন চিকিৎসক হলেও লেখক জগতে অল্প কিছুদিনেই ভালই সুনাম কুড়িয়েছেন। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও তিনি দ্বীনের একজন বড় দাঈ। তাই আধুনিক শিক্ষিত মানুষদের মানসিকতা বেশ ভালভাবেই বোঝেন। বোঝেন বর্তমান সমাজের সমস্যার শিকড় কোথায়। তাই উনার এই প্রয়াস।
    গ্রন্থ পর্যালোচনাঃ
    বর্তমান আধুনিক সমাজে কোন খবর যতদ্রুত ছড়ানো সম্ভব, তা অতীতে কোন কালেই ছিল না। তাই ভাল কোন খবর যেমন ছড়ায় দ্রুত, তেমনি গুজবও ছড়ায়। অপরদিকে ধর্মীয় শিক্ষাবিহীন যখন আমাদের আধুনিক শিক্ষা, তখন ধর্ম নিয়ে মানুষের ধারণা স্পষ্ট না। ফলে ধর্মীয় বিষয়ে ভুল, অযুক্তি ও মিথ্যা সংবাদ যখন ছড়ায়, তখন সাধারণ মানুষ পড়ে যায় বিভ্রান্তিতে।
    ইসলামের উপর এই আক্রমণ অনেক আগে থেকেই। নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগ থেকেই এই ধারাবাহিকতা বহাল আছে। বর্তমানে শুধু কৌশল ও মাধ্যম আলাদা। অন্য ধর্মে বা নিজেদের সাথে এই বিরোধীরা একরকম অথচ ইসলামের বেলায় অন্য রকম। এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড মানসিকতা এরা তাদের অন্তরে লালন করে। এই ইসলাম বিরোধী ও তাদের দ্বারা প্রভাবে প্রভাবিত কিছু মানুষ অযথা কিছু আপত্তিকর প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। অথচ এটা সুনির্দিষ্ট যুক্তি ও দলিলসহ ব্যাখ্যা করা যায়। মূলত এই বিষয়কে মাথায় রেখেই লেখক বইটির অধ্যায়গুলো সাজিয়েছেন।
    ঈমান যেহেতু ইসলামের মূলভিত্তি, তাই লেখক প্রথমেই “না দেখে বিশ্বাস” করা নিয়ে গল্পটি সাজিয়েছেন। আমরা প্রতিনিয়ত না দেখে অনেক বিষয়েরই অস্তিত্ব স্বীকার করি, তাহলে স্রষ্টাকে কেন দেখে বিশ্বাস করা যাবে না! এবং এর স্বার্থকতা কি, তা ব্যাখ্যা করেছেন দালিলিকভাবে।
    দ্বিতীয় গল্পে ইসলামে দাসপ্রথা নিয়ে যেসব আপত্তি তোলা হয়, সেসবের সুন্দরভাবে খণ্ডন করা হয়েছে। এরপর ইসলামে নারীদের কিছু বিধান নিয়ে বিরোধীদের বেশ কিছু আপত্তিগুলোর যুক্তিপূর্ণভাবে ও দলিলসহ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যেমন- নারীদাসিদের সাথে আচরণ, স্ত্রীকে শস্যক্ষেত্র বলার ব্যাখ্যা।
    সমাজতন্ত্রকে যারা অনেকে সব সমস্যার সমাধান মনে করে, তাদেরকে নিয়ে এরকম একটা গল্প সাজানো হয়েছে। যেখানে একে একে সমাজতন্ত্রের ইতিহাস থেকে শুরু এর উত্থান ও পতন সব গল্পের ছলে তুলে ধরা হয়েছে, যা সাধারণ পাঠকের বুঝতে কোন সমস্যা হবে না।
    শেষ পর্যায়ে এসে কাল্পনিক সাইন্স ফিকশন গল্পকে কেন্দ্র করে ইসলামের দাওয়াতের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।
    মন্তব্যঃ ইসলামকে অনেকেই শুধু কিছু ইবাদত ও আচার অনুষ্ঠানের ধর্ম মনে করে। আর অনেকে সেকেলে মনে করে। বইটিতে ইসলামের সঠিকরুপটাই তুলে ধরা চেষ্টা করা হয়েছে। গল্পগুলোর প্রেক্ষাপট এমনভাবে সাজানে হয়েছে, যাতে পাঠকের যাতে রসবিহীন মনে না হয়। প্রতিটি পাতায় লেখকে নিখুত পরিশ্রমের চিহ্ন পাঠক উপলব্ধি করতে পারবে। বইটির কভারের পিছনে বলা হয়েছে, যে আপনি মুসলিম বা অমুসলিম, প্র্যাক্টিসিং বা নন- প্র্যাক্টিসিং, নাস্তিক বা আস্তিক যেই হন, বইটা আপনার চিন্তার জগতে অবশ্যই আলোড়ন সৃষ্টি করবে, ইন শা আল্লাহু
    3 out of 3 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    Muhammad Abdul Wares:

    “ডাবল স্ট্যান্ডার্ড” বইটিতে লেখক ডা. শামসুল আরেফীন প্রত্যেক গল্রে আলাদা আলাদা পেশার দায়ীকে উপস্থাপন করেছেন। আসলে আমরা মুসলমান ঘরে শুধু জন্মগ্রহণ করেছি কিন্তু নিজস্ব সংস্কৃতি জানিনা এবং জানার চেস্টাও করিনা, ফলে অপসংস্কৃতি লালন করার কারণে তাদের সংস্কৃতিই নিজস্ব সংস্কৃতি হিসেবে মনে করি।এখন ইসলামী সংস্কৃতির কথা বললে নতুন লাগে। সব মিলে বইটি অনেক ভাল লেগেছে। এরকম বই বেশি বেশি প্রয়োজন। আল্লাহ তায়ালা লেখক, প্রকাশকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে উত্তম জাজা দান করুন। আমিন।।
    2 out of 3 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  5. 5 out of 5

    আব্দুর রহমান:

    আল্লাহর নিকট একমাত্র মনোনীত ধর্ম ইসলাম। ইসলাম কেবলমাত্র একটি ধর্মই নয় বরং এটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। এখানে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে করণীয়- বর্জনীয় সব কিছু আলোচনা করা হয়েছে। ইসলামের এমন কোন বিধান নেই যা মানব সভ্যতার জন্য অকল্যাণকর। ইসলামী বিধান পালনে করলে নেই কোন ক্ষতিকর সাইড ইফেক্ট।
    এত কিছুর পরেও ইসলাম বিরোধী অপশক্তি তথা নাস্তিক ও সেক্যুলার সমাজ ইসলাম কে নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে কুরআন ও হাদীসে দেয়া ইসলামের বিধানগুলো নিয়ে মানুষের মাঝে সংশয়ের সৃষ্টি করছে। সাধারণ মানুষ তাদের ধোকায় পতিত হচ্ছে । কেউবা এসবের উত্তর খুজতে গিয়ে নাস্তিকদের পাতানো ফাদে পা দিচ্ছে। বর্তমান মুসলিম সমাজও অবাধ স্বাধীনতা ও তথ্য প্রবাহের এই যুগে ইসলামের প্রকৃত উদ্দেশ্য বুঝতে ব্যর্থ।
    কিন্তু ইসলাম কে বুঝতে হলে নাস্তিকদের  যুক্তি দিয়ে বুঝানোর দরকার নেই। কেননা ইসলাম কোন যুক্তির ধর্ম না। বরং যুক্তি যেখানে শেষ সেখান থেকেই ইসলামের শুরু। ইসলাম থেকে খুজে নিতে হয় কল্যান। যে ইসলাম দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যান লাভের একমাত্র মাধ্যম।
    ইসলামের বিধান বুঝার ক্ষেত্রে যুক্তি ও বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের কার্যকারিতা আছে । কিন্তু সেটা একমাত্র মানদন্ড নয়। কেননা যুক্তি ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা আছে। সেই সাথে এগুলো সর্বদা পরিবতনশীল । পক্ষান্তরে ইসলাম শাশ্বত জীবনব্যাবস্থা। ধর্ম, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, যুদ্ধনীতি সহ সর্বক্ষেত্রে ইসলাম স্বমহিমায় উদ্ভাসিত।
    এই নীতিমালা সামনে রেখেই ডা: শামসুল আরেফিন রচনা করেছেন একটি অনন্য বই ” ডাবল   স্টান্ডার্ড “। বইটি নাস্তিকদের যুক্তি ও অপব্যাখায়া গুলোর প্রতিবাদ করেই লেখা। আস্তিক নাস্তিক বিভিন্ন চরিত্র সৃষ্টির মাধ্যমে বইটিতে মোট এগারোটি গল্প সন্নিবেশিত আছে । মন কে নাস্তিকদের বোনা অবিশ্বাসের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করে একই সাথে বিশ্বাসের ভিত্তি মজবুত করার জন্য লেখক এখানে শব্দের পর শব্দের পশরা সাজিয়েছেন। কখনো বিজ্ঞান, কখনো ধর্ম, আবার কখনো যুক্তি, দর্শন, ও ইতিহাসের সাহায্যে তথ্যগুলোকে সহজ ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। বইটির  প্রতিটি গল্পই নাস্তিকদের বিভিন্ন সন্দেহ ও সংশয়ের জবাবে এক একটি হাতিয়ার স্বরুপ।

    ***ব্যক্তিগত অনুভূতি:-***
    বইটির কভার, প্রচ্ছদ, বাইন্ডিং, ও ভিতরের পাতা মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর। অনূভুতি যদি বলতেই হয় তাহলে বলবো বইটি এককথায় অসাধারন। বিভিন্ন দলিল প্রমানাদি ও তথ্যসমৃদ্ধ প্রতিটি গল্পেই রয়েছে শিক্ষনীয় মেসেজ। সহজ, সাবলীল ও বোধগম্য ভাষায় রচিত। বাস্তবতা ও সুন্দর উপস্থাপনার মিশেলে বইটিকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। বইটিতে নাস্তিকরা যেমন পাবে তাদের উপস্থাপিত প্রশ্নগুলোর উপযুক্ত  জবাব। তেমনি আল্লাহতে বিশ্বাসী মুসলিমদেরও বিশ্বাসের ভিত্তি আরো মজবুত হবে। বইটিতে সকলের জন্যই রয়েছে চিন্তার খোরাক।
    বইতে ভালো লাগার আরেকটি দিক হলো এখানে নির্দিষ্ট কোন চরিত্র কে ইসলামি ভাবধারা অনুযায়ী উপস্থাপন করা হয়নি। বরং কখনো ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক আবার কখনো ছাত্র প্রভৃতি সবাই ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করছে। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি একদিন সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে ইসলামের সুমহান আলো ছড়িয়ে পড়বে। মুসলিমরা সবখানে তাদের বিরুদ্ধে উপস্থাপিত প্রশ্নগুলোর যুক্তি,  বিজ্ঞান কুরআন হাদীস থেকে রেফারেন্স সমৃদ্ধ উত্তর প্রদানের মাধ্যমে সরিয়ে দিবে অবিশ্বাসের জঞ্জাল সেই সাথে ফুটিয়ে তুলবে ইসলামের সৌন্দর্য।
    .
    ***প্রিয় উক্তিঃ-***
    (1) সময় এসেছে পাল্টা ধাওয়া ও দুআর। তাই নাস্তিকের জন্য দুআ, নাস্তিকতার জন্য ধাওয়া।
    (2) জমিটুকু চাষীর সম্বল। ওটাই তার দুনিয়া। পরম নির্ভরতা ও আবেগের জায়গা। তার কাছে ঐ জমিটুকুই সবকিছু।
    (৩) নাস্তিকরা হলো শিশুর মত। অবুঝ, অপরিণত। একই প্রশ্ন বারবার করে।
    .
    ***সমালোচনাঃ-***
    একটি বই প্রকাশের পিছনে লেখক, সম্পাদক ও প্রকাশকের অসংখ্য রাত জাগার ইতিহাস থাকে, বইটিকে নির্ভুল করার জন্য। বইটিকে পঠনোপযোগী করতে প্রকাশনী যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। আল্লাহ তাদের খেদমত কবুল করুক। তারপরও কিছু ভুলভ্রান্তি থেকে যায়। যা অনিচ্ছাগত। আমি সেগুলোই তুলে ধরব এই অংশে–
    (1) বইটিতে অনেকগুলো বানান ভুল লক্ষ্য করেছি। কোন কোন জায়গায় দুটি শব্দ একখানে হয়ে গেছে। হয়তোবা এটা প্রথম সংস্করণ হওয়ার কারনেই হয়েছে।
    (2) সপ্তম অধ্যায়টির  নাম ” আরব সংস্কৃতি মানবো কেন ” না হয়ে ইসলামী সংস্কৃতি মানবো কেন হলে  ভালো হতো।
    .
    ***শেষ কথা:-***
    পরিশেষে বলতে হয় বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী এত সুন্দর একটি বই লেখার আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বইয়ের লেখক, প্রকাশক, পাঠক সহ  সবাইকে কবুল করুন। দোয়া করি আল্লাহ লেখকের জ্ঞানের পরিধি বাড়িয়ে নেক হায়াত দান করেন এবং দ্বীনের পথে তার এই পরিশ্রম কবুল করেন । আমিন

    2 out of 2 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No