মুসলিম উম্মাহর পতনে বিশ্বের কী ক্ষতি হলো?
এই মহামূল্যবান বইটি লেখা হয়েছিল আরবীতে ‘মা যা খাসিরুল আলাম বি ইনহিত্বাতিল মুসলিমীন’ নামে। এটি ১৯৫০ সালে মিশরের কায়রো একাডেমী অফ রিসার্চ এর জন্যে প্রকাশিত হয়। প্রকাশের সাথে সাথেই বইটি আরব বিশ্বে তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এক বছরের মধ্যেই বইটির দ্বিতীয় সংস্করণ ছাপাতে হয়েছিল যেটিতে শহীদ সাইয়িদ কুতুব (রহঃ) সুন্দর একটি ভূমিকা লিখে দেন। এ বইটি এ পর্যন্ত পারস্য, ইংরেজী, তুর্কি, উর্দু, হিন্দী, বাংলাসহ অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বাংলা ভাষায় মাওলানা আবু তাঁহের মিছবাহ (দা.বা.) হুজুরের অনুবাদটি পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে যা দারুল কলম থেকে প্রকাশিত হয়
আপনি কেন বইটি পড়বেন কিংবা কেন প্রত্যেক সচেতন মুসলিমের বইটি পড়া উচিত সেটা বোঝাতে আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইসলামী চিন্তাবিদ ড. মুহম্মদ ইউসুফ মূসা রহ. এর একটা কথা না বললেই নয়। তিনি বলেন, “বইটি হাতে পেয়ে একদিনেরও কম সময়ে তা পাঠ করেছি। এমনকি পড়া শেষ করে আমার কপিটির শেষ পৃষ্ঠায় এ বাক্যটি লিখে রেখেছি-
“ইসলামের মর্যাদা ও গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছে, এমন প্রত্যেকের অপরিহার্য কর্তব্য হলো, এ বইটি পড়া (এবং মনে রাখা)।
ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে বিশ্বের অবস্থা কেমন ছিল? ইসলামের আগে বিশ্বের জাতিগুলোর মানবিক আচার-ব্যবহার, সামাজিক শ্রেণীবিভাগ, অর্থনীতি, ধর্মীয় আকীদা এবং জীবনযাপনের রীতিই বা কেমন ছিল? সমাজের উচু আর নিচু শ্রেণীর বৈষম্য কী পরিমাণে ছিল? সে সময়ের জালিম শাসকদের স্বরুপ কেমন ছিল? নবী (সা) বিশ্বমানবতায় কী পরিবর্তন আনলেন? নবী (সা) এর শিক্ষকতায় তার সাহাবা (রা) গণ যে ধর্মীয় প্রশিক্ষণ আর মানবিকতার উন্নয়ন সাধনের শিক্ষা লাভ করেছিলেন তা কীরুপ ছিল? মুসলিমরা বিশ্বের নতুন পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পরিণতি কী ছিল? মুসলিম দেশগুলোতে মানবতার অবস্থা কীরুপ ছিল আর শাসকগন কতটুকু ন্যায়পরায়ণ ছিলেন? তারপর মুসলিমদের পতন হওয়া কেন শুরু হয়েছিল? কোন জিনিসগুলো বদলে যাওয়ায় মুসলিমদের পতন হল? মুসলিমদের পতন আর ইউরোপের উত্থানে ক্ষমতার এ পালাবদলে বিশ্ব কোন ক্ষতিগুলোর সম্মুখীন হচ্ছে? —– এ প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার জন্যেই বইটি পড়বেন।
-
-
hotশিকড়ের সন্ধানে
লেখক : হামিদা মুবাশ্বেরাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন430 ৳314 ৳পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৯৬ টি কভার: পেপার ব্যাক ‘Know ...
-
hotগল্পগুলো অন্যরকম
লেখক : সিহিন্তা শরীফা, আনিকা তুবা, আফিফা আবেদিন সাওদা, আরমান ইবন সোলাইমান, আরিফ আজাদ, আরিফ আবদাল চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম, আলী আবদুল্লাহ, জাকারিয়া মাসুদ, নুসরাত জাহান, মাহমুদুর রহমান, যাইনাব আল-গাযি, শারিন সফি, শিহাব আহমেদ তুহিন, শেখ আসিফ, সাদিয়া হোসাইন, সানজিদা সিদ্দীক কথাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন350 ৳245 ৳জীবনের কাছে মাঝে মাঝে গল্পও তুচ্ছ ...
-
save offইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা
লেখক : হেদায়াতুল্লাহ মেহমান্দপ্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন414 ৳306 ৳'ইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা' বইটি মূলত ...
-
hotইসলামের ইতিহাস (নববী যুগ থেকে বর্তমান)
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আসলাফ500 ৳370 ৳অনুবাদক: কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক সম্পাদক: মীযান ...
-
hotভারতবর্ষে মুসলিম শাসন : হাজার বছরের ইতিহাস
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল ইসলাম770 ৳385 ৳ভাষান্তর : মুহাম্মাদুল্লাহ ইয়াহইয়া অতিরিক্ত টীকা সংযোজন ...
-
save offলস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি (ইসলামের হারানো ইতিহাস) (পেপার ব্যাক)
লেখক : ফিরাস আল খতিবপ্রকাশনী : প্রচ্ছদ প্রকাশন300 ৳216 ৳লস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি’র ভাষা প্রাঞ্জল ও ...
-
hotসীরাত বিশ্বকোষ (১১ খণ্ড)
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার11,000 ৳5,500 ৳মোট খণ্ড ১১ এবং পৃষ্ঠাসংখ্যা : ...
-
featureমুসলিমজাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে (চার খণ্ড)
লেখক : ড. রাগিব সারজানীপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল হাসান1,450 ৳অনুবাদক : আবদুস সাত্তার আইনী (১ম, ...
-
hotআন্দালুসের ইতিহাস (দুই খণ্ড)
লেখক : ড. রাগিব সারজানীপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল হাসান1,300 ৳650 ৳আন্দালুস। অতীত-পৃথিবীতে একটি সুদীর্ঘ সময় অতিবাহিত ...
-
hotমুসলিম সভ্যতার ১০০১ আবিষ্কার
প্রকাশনী : সুলতানস700 ৳490 ৳প্রফেসর সেলিম টি এস আল-হাসসানি রচিত ...
-
শাহরিয়ার – :
রাকিবুল ইসলাম – :
আমরা এমন একটি মুসলিম সমাজে বাস করছি, যখন অধিকাংশ মুসলিমই ইসলামের ব্যাপারে পরাজিত মানসিকতা দ্বারা লজ্জাজনকভাবে প্রভাবিত। তার মূল কারণ আমরা বেড়ে উঠেছি এমন জাহেলিয়াতে যখন আমরা পরিপূর্ণ ইসলামের স্বাদ পাইনি, পেয়েছি শুধু জাহালাতপূর্ণ পরাজিত মানসিকতার এক উম্মাহ, যারা ইসলামকে গুটি কয়েক বিধানের মাধ্যমে আবদ্ধ রেখেছে। ( লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ)
.
আমাদের এই দৈন্যতার অন্যতম কারণ আমরা আমাদের সালাফ তথা পূর্বপূরুষদের সম্পর্কে জানি না। আমরা আমাদের সোনালী অতীত সম্পর্কে বেখবর। আমরা বর্তমান কাফিরদের এই ফাঁপা উন্নতিতে নিজেদের দৃষ্টিকে নিবৃত্ত করে রেখেছি। আমরা ভাবি পৃথিবীর সমস্ত অবদান বুঝি কাফিরদের। তাই আমরা আজ পাশ্চাত্যের জাতিগোষ্ঠিকে অনুসরণ করে বস্তুবাদের এবং ভোগবাদের খপ্পরে পড়ে অজ্ঞান হয়ে আছি।
.
এই ঘুমন্ত জাতিকে একটু ঝাঁকিয়ে দিতে বইটি অবশ্যই পড়া উচিত এই উম্মার। বইটিকে আমি যদি উনবিংশ শতাব্দীর সেরা অর্জন গুলির মধ্যে একটি বলি, তাহলে অত্যুক্তি হবে না।
.
বইটির সারাংশঃ
বইটিতে লেখক চমৎকার উপস্থাপনার মাধ্যমে ইসলামের আলো আসার পূর্বে পৃথিবীর জাহালত কিরূপ ছিল? তার ঐতিহাসিক খুঁটিনাটি তুলে ধরেছেন, তারপর ইসলাম কিভাবে এই জাহালত মিটিয়ে দিল তারও সম্পূর্ণ ইতিহাস উঠে এসেছে। সমস্ত ঐতিহাসিক ঘটনা এবং সে যুগের পরিবেশ পরিস্থিতি ন্যায়ানুগ ও যুক্তিনিষ্ঠরূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। ইসলাম কিভাবে নেতৃত্বের শ্রেষ্ঠ আসনে অধিষ্ঠ হল, সেই ইতিহাস ও কারণ বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন। তারপর কিভাবে মুসলিম জাতি অবক্ষয় অধপতনের স্বীকার হল, নেতৃত্ব থেকে ছিটকে গেল, তার সমস্ত মৌলিক কারণ পর্যালোচনা করেছেন। ইসলামের পতনে মানবজাতির কি ক্ষতি সাধিত হল তার বিবরণও এসেছে। বর্তমান পাশ্চাত্য সমাজে ভোগবাদের প্রতিযোগিতার আলোকচিত্র তুলে ধরেছেন। পরিশেষে কিভাবে এই জাতি নেতৃত্ব পুরুদ্ধার করতে পারবে তারো রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছেন।
.
আত্নপ্রেরণামূলকঃ বইটির এই বৈশিষ্ট্য বলাও ভুল হবে না, কারণ বর্তমান হীনমন্যতার স্বীকার মুসলিম যুবকদের অবশ্যই এটি পড়া উচিত, যেমনটি ‘ইখওয়ানুল মুসলিমীন’ এর সকল সংগ্রামী সাথীদের পড়ার জন্য তাগিদ দেয়া হয়েছিল।
.
এই জাহেলিয়াত থেকে উম্মাহর সংশোধনঃ
খন্ডিত সংস্কার তথা একটি দুটি দোষ সংশোধন কোন পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম নয়। [পৃ.১৪২ অনুচ্ছেদ] সংশোধন সম্পর্কে ইমাম মালেক রাহ. কওলটিকে পছন্দ করেছেন লেখক, তিনি বলেন,
❝এই উম্মাহর শুরুর সংশোধন যেভাবে হয়েছে, সেভাবেই হবে শেষ ভাগের সংশোধন।❞ [৩৬২ পৃ.]
.
লেখক সম্পর্কেঃ
লেখকের জ্ঞান কত বিস্তৃত পাঠক বইটি পড়ার সময়ই উপলব্ধি করতে পারবেন। সীরাত থেকে ইতিহাস, ইতিহাস থেকে দর্শন ও সাহিত্য পর্যন্ত সর্বত্রই তার অবাধ বিচরণ। পাঠক, সেই সাথে তার অসাধারণ প্রজ্ঞার উপস্থিতি অবশ্যই বোধগম্য হবে।
.
অনুবাদকঃ অাদবী হুজুরের অনুবাদ সত্যিই অনবদ্য। আপনি তার অনুবাদ শিল্পে যদি পরিচিত হয়ে থাকেন, তাহলে বুঝতে পারবেন, তার অনুবাদ যেন প্রায় মূল বইয়ের স্বাদ দিতে সক্ষম। আর এই বইটি আরবী+উর্দু দুটি বইকে সামনে রেখে অনুবাদ হয়েছে, তাই সেটি আরো সাবলীল হয়েছে।
.
ত্রুটিঃ বইটিতে কিছু বানান ভুল এসেছে, সেক্ষেত্রে প্রকাশনীর জন্য পরামর্শ থাকবে বইটির প্রুভ রিডিং করে সংশোধন করার জন্য।
mr.tahmid – :
এ বইটি এ পর্যন্ত পারস্য, ইংরেজী, তুর্কি, উর্দু, হিন্দী, বাংলাসহ অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বাংলা ভাষায় মাওলানা আবু তাঁহের মিছবাহ (দাবা) এর অনুবাদটি পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে, যা দারুল কলম থেকে প্রকাশিত হয়।
.
পাঠানুভূতিঃ এটি শুধু একটি বই নয়, এটি যেন একটি গবেষনাপত্র; যা লিখা হয়েছে একজন অসামান্য প্রতিভাবান ব্যাক্তির কলমে। পাঠক ভুল করে ভেবে বসতে পারেন যে, বইটি হয়ত কোন অভিজ্ঞ গবেষক বা ঐতিহাসিক অথবা মানবাধিকার আন্দোলনের কোন নেতার দ্বারা লেখা হয়েছে। আমি জানিনা লেখক বইটি লিখতে গিয়ে ঠিক কতটুকু পড়ালেখা করেছিলেন, কিন্তু বইটির পাতায় পাতায় অসংখ্য বই বা জার্নাল (যেগুলোর অধিকাংশই প্রাচ্যের এবং পাশ্চাত্যের বিখ্যাত সব লেখকদের লেখা গবেষণাপত্র) থেকে উদ্ধৃত করা রেফারেন্সে আপনি চমকিত হবেন। আরেকটি নজরকাঁড়া ব্যাপার হচ্ছে, বইর আলোচনা অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে এগিয়েছে, যা পাঠকদের বিমোহিত করবে।
.
এ বইটি মুসলিমদের উত্থান ও পতনের ইতিহাসের বিবরণী নয়। এটি আলোচনা করেছে মুসলিমদের আগমনে এবং পতনে সমগ্র বিশ্বের উপর কী প্রভাব পড়েছিল তা নিয়ে। লেখকের এ বই লেখার পেছনে উদ্দেশ্য ছিলঃ
ক/ মানবজাতির ইতিহাসে মুসলিমদের ঐশ্বর্যময় অবদান সম্পর্কে পাঠকগণ যাতে অবগত হতে পারেন।
খ/ পাঠকের মনে যাতে এ প্রশ্ন জাগ্রত হয় যে, বিশ্ব মানবতা পুনরুদ্ধারের যে মহান মিশন নিয়ে মুসলিমরা যাত্রা শুরু করেছিল সে মিশনে আমাদের প্রজন্ম কতটুকু সফল হতে পেরেছে, এবং,
গ/ ইসলামের সৃষ্টিশীল, চমৎকার শিক্ষা থেকে নিজেদের মন-মগজ বন্ধ করে দিয়ে মুসলমানেরা শুধু নিজেদেরই নয়, বিশ্বমানবতারই কী ক্ষতি সাধন করছে , পাঠক যাতে তা উপলব্ধি করতে পারেন।
মুহাম্মাদ আসাদ যথার্থই বলেছিলেন, ‘মুসলিমরা ইসলামকে মহৎ করেনি। বরঞ্চ ইসলামই মুসলিমদের মহৎ করেছিল।’
.
বইয়ের ভূমিকায় লেখা হয়েছে- বইটির একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল, লেখক যখনই মানবজাতির অধঃপতনের বিবরণ দিয়েছেন, তখনই তিনি এটিকে জাহিলিয়াত বলেছেন। এটি ইসলামী চেতনা এবং বস্তুবাদের মধ্যে যে চিরায়ত সংঘাত ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে বিশ্বে মজুদ ছিল এবং ইসলাম বিশ্বনেতৃত্বের আসন হারানোর পর থেকে আমাদের বিশ্বে বর্তমান আছে, তা ফুটিয়ে তুলেছে।
.
জাহিলিয়াতের যুগের বর্ণনা শেষে লেখক বিশ্বমানবতার পুনর্গঠনে ইসলামের আগমন ও অবদান নিয়ে আলোচনা করেছেন যথাযথভাবে। ইসলাম মানুষের আত্মাকে মুক্তি দিয়েছিল সকল কুসংস্কার, শঠতা ও বেহায়াপনা থেকে; মানবজাতিকে শিকলমুক্ত করেছিল দাসত্ব ও অধঃপতন থেকে; আর মানুষকে মুক্তি দিয়েছেল সকল জালিম বাদশাহ আর পুরোহিতদের রাজত্ব থেকে। এটি মানবজীবনকে ধন্য করেছিল বিশ্বাস, জ্ঞান, ন্যায়পরায়ণতা, আত্মবিশ্বাস এবং ভ্রাতৃত্ববোধের মন্ত্রের দ্বারা। ইসলাম মানুষের বিশ্বাস ও মানবতাকে করেছিল পরিশুদ্ধ।
.
তারপর একটা সময় আসলো যে ইসলাম বিশ্ব নেতৃত্বের আসন হারিয়ে ফেলল, চলে গেল ব্যাকসিটে। ইসলাম মানবজাতির অভিভাবক হওয়ার যে দায়িত্ব মুসলিমদের দিয়েছে, মুসলিমরা তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হল। লেখক এ অংশে বেশ মুন্সিয়ানার সাথে মুসলিমদের বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক পতনের কারণ বর্ণনা করার প্রয়াস চালিয়েছেন। আরো তুলে ধরেছেন, মুসলিমরা ইসলামের শিক্ষা, মূলনীতি এবং কর্তব্য থেকে দূরে সরে যাওয়ার বিশ্ব কী মাসূল দিচ্ছে এবং কোন ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তা।
.
বইটি কেন পড়বো?
স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে এ বই আপনি কেন পড়বেন। কী জানতে পারবেন এ বই পড়লে? সংক্ষেপে বললে বইটি পড়লে আপনি নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে পারবেন।
.
ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে বিশ্বের অবস্থা কেমন ছিল? ইসলামের আগে বিশ্বের জাতিগুলোর মানবিক আচার-ব্যবহার, সামাজিক শ্রেণীবিভাগ, অর্থনীতি, ধর্মীয় আকীদা এবং জীবনযাপনের রীতিই বা কেমন ছিল? সমাজের উচু আর নিচু শ্রেণীর বৈষম্য কী পরিমাণে ছিল? সে সময়ের জালিম শাসকদের স্বরুপ কেমন ছিল? নবী (সা) বিশ্বমানবতায় কী পরিবর্তন আনলেন? নবী (সা) এর শিক্ষকতায় তার সাহাবা (রা) গণ যে ধর্মীয় প্রশিক্ষণ আর মানবিকতার উন্নয়ন সাধনের শিক্ষা লাভ করেছিলেন তা কীরুপ ছিল? মুসলিমরা বিশ্বের নতুন পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পরিণতি কী ছিল? মুসলিম দেশগুলোতে মানবতার অবস্থা কীরুপ ছিল আর শাসকগন কতটুকু ন্যায়পরায়ণ ছিলেন? তারপর মুসলিমদের পতন হওয়া কেন শুরু হয়েছিল? কোন জিনিসগুলো বদলে যাওয়ায় মুসলিমদের পতন হল? মুসলিমদের পতন আর ইউরোপের উত্থানে ক্ষমতার এ পালাবদলে বিশ্ব কোন ক্ষতিগুলোর সম্মুখীন হচ্ছে? —– এ প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার জন্যেই বইটি পড়বেন।
.
শেষকথাঃ এ বইটি একটি মাস্টারপিস। এ বই এর মত এত সুন্দর, সাবলীল আর নির্ভুল ঐতিহাসিক বর্ণনা খুব কম লেখকই লিখতে পেরেছেন। মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে সকল ইতিহাস এবং তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ব্যাপারে আগ্রহী পাঠকদের তাই এ বইটি পড়া উচিত।