মেন্যু
vul shongsodhone nobobi poddhoti

ভুল সংশোধনে নববি আদর্শ

অনুবাদক ও সম্পাদক : হাসান মাসরুর বইটির পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৬০ ভুল মানুষের প্রকৃতিগত বিষয়—মানুষ থেকে ভুল প্রকাশ পাবে। তবে আবশ্যক হলো, ভুলের পর তারা সংশোধন হবে, তাওবা করে সঠিক পথে ফিরে... আরো পড়ুন
পরিমাণ

154  208 (26% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

3 রিভিউ এবং রেটিং - ভুল সংশোধনে নববি আদর্শ

5.0
Based on 3 reviews
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    nahedujjaman:

    ভুল! আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। ভুল মানুষের প্রকৃতিগত বিষয়৷ কেননা রাসূল ﷺ বলেছেন: “প্রত্যেক আদম সন্তানই ভুলকারী৷” আমাদের ইচ্ছা, অনিচ্ছা বা অসতর্কতার কারণে শিশু থেকে বয়স্ক, অভিজ্ঞ থেকে অনভিজ্ঞ সবারই ভুল হয়েই যায়৷

    আমরা কেউই ভুলের উর্ধ্বে নই৷ এই ভুল সংশোধন করতে গিয়ে আমরা করি আরেক ভুল! ভুল সংশোধন করতে গিয়ে আমরা যেন আরেকটি ভুলে জড়িয়ে না পড়ি সেজন্য আমাদের উচিত ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম উপায় গ্রহণ করা৷ আর প্রকৃতপক্ষে ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে রাসূল্লাহ ﷺ এর কর্মপদ্ধতিই সবচেয়ে সঠিক ও যথাযথ পদ্ধতি৷

    বইটি সম্পর্কে যত কথা:
    বইটির লেখক শাইখ মুহাম্মদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ ”ভুল সংশোধনে নববি আদর্শ” বইটিকে প্রধানত দুইটি অংশে ভাগ করেছেন৷ বইয়ের প্রথম অংশে ভুল করার ক্ষেত্রে সতর্কতাসমূহ নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন৷ আর ভুল হয়ে গেলে তা সংশোধন করা আবশ্যক৷ ভুল হলে তা সংশোধনের নববি পদ্ধতি কী সে সম্পর্কে বইয়ের দ্বিতীয় অংশে আলোচনা করা হয়েছে৷

    কাদের জন্য বইটি:
    আসলে আদম আ.-এর সৃষ্টি থেকে বর্তমানে বনি আদম, কেউই ভুলের উর্ধ্বে ছিল না। তাই আমাদের সকলেরই উচিত বইটি সংগ্রহ করে পড়া এবং সে অনুযায়ী আমল করা৷ কারণ নববি পথ ও পদ্ধতির অনুসরণ মানেই নবীজি ﷺ এর অনুসরণ, আর তাঁর অনুসরণে রয়েছে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে বিশাল প্রতিদান৷

    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    আব্দুর রহমান:

    ভুল মানুষের স্বভাবগত বিষয়। যেকোনো মানুষের ভুল হতেই পারে। রাসূল (স:) বলেছেন, ‘প্রত্যেক আদম সন্তান ভুলকারী। আর সর্বোত্তম ভুলকারী সেই যে তওবা করে (মিশকাত, হাদীস নং ২৩৪১)। তবে ভুল হয়ে থাকলে তার সংশোধন করা জরুরী। আর তাইতো ভুল সংশোধনের জন্য রাসূল (স:) নির্দেশিত কর্মপদ্ধতির আলোকে রুহামা পাবলিকেশন বাজারে এনেছে শায়খ সালিহ আল মুনাজ্জিদ রচিত একটি অন্যতম বই। যার নাম “ভুল সংশোধনে নববী আদর্শ।

    ➤ সার-সংক্ষেপঃ-
    ভুল সংশোধনে নববি আদর্শ বইটিকে লেখক শায়খ সালিহ আল মুনাজ্জিদ দুটি অধ্যায়ে বিভক্ত করে আলোচনা করেছেন। যথা-
    ১। ভুল সংশোধনে প্রয়োজনীয় সতর্কতা:-
    এ অধ্যায়ে ভুল সংশোধনের পূর্বে সংশোধনকারীদের যেসব বিষয়ে নজর দিতে হবে তা বিভিন্ন শিরোনামে আলোচনা করা হয়েছে। কেননা ভুল সংশোধনের মত কাজে নেমে পড়ার পূর্বে কিছু সতর্কতা ও সাবধানতামূলক বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরী। যাতে আশানূরুপ ফল অর্জিত হবে।
    ২। ভুল সংশোধনে মানুষের নববি আচরণের মূলনীতি:-
    এ অধ্যায়ে লেখক ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে নবী মুহাম্মদ (স:) কতৃক গৃহিত পদ্ধতি সমূহ ৩৮ টি পয়েন্ট এর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
    .
    ➤ বইটি কেন পড়বেন?
    মানুষ সর্বদা ভুলের উপর নিমজ্জিত। কিন্তু তাই বলে সর্বদা ভুলের ওপরই অটল ও অবিচল থাকলে চলবে না। আর আমাদের মত ভুলের মধ্যে নিমজ্জিত মানুষের ভুলগুলোকে নবী (স:) এর দেখানো পদ্ধতিতে সংশোধনের জন্য বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    ➤ ব্যক্তিগত অনূভুতি:-
    বইয়ের অনুবাদ বেশ সাবলীল মনে হয়েছে। বইটি পড়ে ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রে রাসূল (স:) কতৃক গৃহীত নীতিমালাগুলো খুব সহজভাবে জানতে পেরেছি। যারা ভুল করেও সংশোধন কিভাবে করবেন তা খুঁজে পাচ্ছেন না তারা এই বইটি অবশ্যই পড়ুন। কেননা তা আপনাকে আরো গভীরভাবে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। কিছু কিছু বিষয় নতুনভাবে উপলদ্ধি করতে শেখাবে।

    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    mr.tahmid:

    প্রিয় পাঠক, আজ সীরাতবিষয়ক অসম্ভব সুন্দর একটি বইয়ের রিভিউ নিয়ে হাজির হচ্ছি। প্রথমেই বলে দিই, এ বইটা আমার কাছে অত্যন্ত উপকারী ও শিক্ষণীয় একটি বই বলেই মনে হয়েছে।

    ☞পাঠ-নির্যাসঃ
    কথা না বাড়িয়ে সংক্ষেপে মূল বইয়ের আলোচনায় চলে যাই। শুরুতে সুন্দর একটি ভূমিকা সংযুক্ত হয়েছে যাতে সংশোধনের কোরআনি পদ্ধতি আলোচিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অনুত্তম কোন কাজ করলে আল্লাহতালা যেসব আয়াত নাযিল করে তা সংশোধন করতেন তা উল্লেখ করা হয়েছে।
    .
    ভূমিকাতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভুল সংশোধনের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করতেন। তাই এগুলোর উপর ইজতেহাদ করে কোন সময়, কোন ব্যক্তির ভুলের জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে তা নির্ণয় করার দায়িত্ব আহলুল ইলমদের।
    .
    মূল বইকে দুই অংশে ভাগ করা যায়। প্রথম অংশে ভুল সংশোধন করার আগে সংশোধনকারীদের যেসব বিষয়ে নজর দিতে হবে এরকম ১২টি পয়েন্ট আলোচনা করা হয়েছে।
    .
    সংশোধনকারীকে অবশ্যই ইখলাসের সাথে বিশুদ্ধ নিয়তে ভুল সংশোধন করতে হবে। এই পয়েন্টের আলোচনায় নিয়ত সহীহ না হওয়ার কারণে একজন দানশীল, শহীদ ও হাফেজ ব্যক্তিকে দিয়ে জাহান্নামের আগুন প্রজ্বলিত করা হবে- সেই বিশাল হাদীসটি সংযুক্ত করা হয়েছে।
    .
    আরেকটি জরুরী বিষয় হলো ভুলের অপনোদন করতে হবে শরয়ী দলিল দিয়ে, আবেগ দিয়ে নয়। নবী কারীম (ﷺ) ও সাহাবীগণের আমল এমনই ছিলো যা পরে আলোচনা করছি।
    .
    ভুল যদি বড় হয় তা সংশোধনে অধিক যত্নবান হতে হবে। নবীজি আকিদা সংক্রান্ত ভুল ধৈর্যের সাথে, বিশদ ব্যখ্যাসহ অবস্থান স্পস্ট করার মাধ্যমে সংশোধন করে দিতেন। এই বিষয়টি স্পস্ট করার জন্য লেখক সীরাত থেকে একাধিক ঘটনা তুলে এনেছেন।
    .
    ভুল কিন্তু মানুষে স্বভাবজাত বিষয়। তাই যত্নের সাথে সমাধান করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে নিজের অবস্থান ও মর্যাদার প্রতিও।
    .
    আমি নিশ্চয়ই আমার বন্ধুর ভুল যেভাবে সংশোধন করবো, আমার উস্তাদের কিংবা কম পরিচিত কারো ভুল একইভাবে সংশোধন করবোনা। এবিষয়ে সুন্দর আলোচনা করা হয়েছে। এজন্য আমরা দেখতে পাই রাসূলুল্লাহ ঘনিষ্ট সাহাবীদের ভুল কিছুটা কঠোরভাবে, কিন্তু বেদুইনদের ভুল অপেক্ষাকৃত কোমলভাবে শুধরে দিতেন।
    .
    একবার মুয়াবিয়া (রা) রাসূলুল্লাহর (ﷺ) পেছনে নামাজ পড়লেন। একজন সাহাবী হাঁচি দিলে মুয়াবিয়া নামাজের মধ্যেই ইয়ারহামুকাল্লাহ বলে ফেলেন। তিনি জানতেন না নামাজে কথা বলা নিষেধ করা হয়েছে। নামাজ শেষে নবীজি কোমল ভাষায় তাকে বিষয়টা বুঝিয়ে দেন। তাই না জেনে ভুল আর জেনে বুঝে করা ভুলের মধ্যে পার্থক্য নিরুপণ করাও সংশোধনকারীর একটি গুণ।
    .
    অনেক ভুল হয়ে থাকে ভুল ইজতিহাদের কারণে। ইজতিহাদি ভুল কিন্তু সে অর্থে ভুল নয়। সঠিক ইজতিহাদের জন্য দুইটি পুরষ্কার আর ভুল ইজতিহাদের জন্য একটি পুরষ্কার রয়েছে। (সহীহ বুখারী)। তবে ইজতিহাদ করার যোগ্যতা থাকতে হবে। ভুল ধরার আগে জানতে হবে এ বিষয়ে আলেমদের মতভেদ আছে কিনা।
    .
    ভুল সংশোধনে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা যাবেনা। শরীয়তের বিধান ক্ষমা করার ইখতিয়ার মানুষের নেই। নবীজি বলেছিলেন, মুহাম্মাদের মেয়ে ফাতেমাও চুরি করলে আমি তাঁর হাত কেটে ফেলতাম। (সহীহ বুখারী)
    .
    নবীজি যখন ব্যক্তিগতভাবে কোন সাহাবীর ভুল সংশোধন করতেন তখন সরাসরি উনাকে উনার ভুল দেখিয়ে দিতেন। কিন্তু খুতবাতে বা সকল সাহাবীদের সামনে ওই একই ভুল নিয়ে কথা বললে শুধু ভুল কী এবং কী কারণে এটি ভুল তা বলে সংশোধন করতেন, ভুলকারীর নাম অধিকাংশ ক্ষেত্রে উহ্য রাখতেন।
    .
    আরেকটি উসূল হলো ছোট ভুল শুধরাতে গিয়ে যদি বড় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে তা না শুধরানো। বড় ক্ষতির আশংকায় নবীজি কাবা’ শরীফকেও তাঁর আসল আকৃতিতে পুনঃনির্মাণ করেন নি।
    .
    আল্লাহর রাসূল তাঁর ব্যক্তি আক্রমণের বদলা নিতেন না, কিন্তু দ্বীন ইসলামের প্রতি আঘাতকে বরদাশত করতেন না। অনেক সময় নবীজি সিনিয়র, আমলদার সাহাবীদের ছোটখাটো ভুল সহ্য করতেন। এগুলো ছাড়াও ভুল সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় আরো কিছু আদব লেখক সীরাত ও সাহাবীদের জীবনী থেকে উদাহারণসহ বিশ্লেষণ করেছেন।
    .
    বইয়ের দ্বিতীয় অংশ মূলত এ বইয়ের প্রাণ। এ অংশে ভুল সংশোধনকল্পে আমাদের প্রিয় নবীজির (ﷺ) তরীকাগুলো পয়েন্ট আকারে উল্লেখিত হয়েছে।
    .
    নবীজি কিছু ভুল সাথে সাথে শুধরে দিতেন আর কিছু ভুল ব্যখ্যার মাধ্যমে শুধরানোর জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতেন। ভুলের তাৎক্ষণিক সংশোধনই অধিকাংশ সময় করতেন, কিন্তু কোন কাজকে সাথে সাথেই ভুল বলে দিতেন না। ভুল বলার আগে সম্পূর্ণ কাজকে যাচাই করে যতটুকু ভুল হয়েছে ততটুকু শুধরে দিতেন। অনেক সময় তো তিনি নিজে হাতে কলমে দেখিয়েও দিতেন।
    .
    নবীজির ভুল সংশোধনের একটি মূলনীতি হচ্ছে শরীয়তের যে উসূল ভঙ্গ হওয়ার কারণে ভুল হয়েছে তা তুলে ধরা। তিনি ভুলের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করে তা অপনোদন করতেন। এটি নিঃসন্দেহে ভুল শুধরানোর অনুপম এক পদ্ধতি।
    .
    একবার তিনজন সাহাবী বৈরাগ্যবাদের জীবন বেঁছে নিতে চান। তাদের যুক্তি ছিলো যে নবীজির তো পূর্বাপর সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়েছে, কিন্তু তাদের হয়নি। তাই তারা ভাবলেন যে তাদের উচিত নবীজির চেয়ে বেশি ইবাদাত করা। এই ভুলের কারণ অনুসন্ধান করে তা সংশোধনের যে পদ্ধতি নবীজি (ﷺ) অবলম্বন করেন তাতে অনেক শিক্ষা রয়েছে। তিনি যখন সবার উদ্দেশ্যে কথা বললেন ওই তিনজনের নাম উল্লেখ করলেন না। কিন্তু উসুল জানিয়ে দিয়ে বললেন- যদিও তাঁর সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়েছে, তিনিই আল্লাহকে সবচেয়ে বেশি ভয় পান, সবচেয়ে বেশি তাকওয়ার উপর প্রতিষ্ঠিত। ইবাদাতের ক্ষেত্রে নবীজির আদর্শই চূড়ান্ত। আমরা যেন তাই নবীজির সুন্নতের অনুসরণ করি। এভাবেই আদর্শ শিক্ষক নবীজি ভুল চিন্তার অপনোদন করতেন।
    .
    সংশোধনের আরেকটি পরীক্ষিত পদ্ধতি হলো নাসীহাহ ও পরকালের ভয় প্রদর্শনের মাধ্যমে সংশোধন। এতে যিনি ভুল করেছেন তার মনে গভীর প্রভাব পড়ে যায়। অপরাধের ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা হলে আপনাতেই মানুষ সে কাজ থেকে সরে আসে।
    .
    নবীজির ভুল সংশোধনে অনেক সময় বিপরীতমুখী পদ্ধতিও লক্ষ্য করা যায়। একবার এক বেদুঈন মসজিদে প্রস্রাব করে ফেললো, সাহাবীগণ বিচলিত হলেন। কিন্তু নবীজি ঠান্ডা মাথায় তাকে প্রস্রাব সম্পন্ন করতে দিলেন। তারপর বেদুঈন ব্যক্তিকে বুঝালেন মসজিদে প্রস্রাব করা যায়না।
    .
    অপরদিকে আমরা দেখতে পাই, উমার (রা) যখন তাওরাতের অংশ নিয়ে এসেছিলেন কিংবা হুনাইন যুদ্ধের সময় সাহাবীগণ অস্ত্র ঝুলানোর জন্য আলাদা গাছের আবদার করেছিলেন তখন রাগে নবীজির চেহারার রং পাল্টে গিয়েছিলো।
    .
    এর কারণ হচ্ছে, আকীদার ক্ষেত্রে কাছের সাহাবীদের ভুল চিন্তার সংস্কার করতে নবীজি রাগ করতেন, অপরাধের ভয়াবহতা বুঝাতেন। অপরপক্ষে নতুন দ্বীনে আসা গাফেল বেদুঈন যে জানে না, তার সাথে তিনি মোলায়েম আচরণ করতেন। আসলেই নবীজির প্রকৃতি ছিলো কোমল।
    .
    তিনি ভুলকারীদের প্রতি সহমর্মী ছিলেন। ভুল করার পর তা থেকে উত্তরণের পথ দেখিয়ে দিতেন, গুনাহ হলে কাফফারার পথ দেখিয়ে দিতেন। অনেক সময় বিকল্প জায়েজ পন্থা দেখিয়ে দিতেন।
    .
    কখনো নবীজি ভুল না ধরিয়ে দিয়ে ঐ কাজ আবার করতে বলতেন। এতে ভুলকারীর মনে জিজ্ঞাসা তৈরি হতো, ভুল সংশোধনে আগ্রহ বৃদ্ধি পেতো।
    .
    আরেকটি ফলদায়ক পদ্ধতি হচ্ছে ভুলকারীকে বয়কট করা। এই চরম পদ্ধতি তাদের ক্ষেত্রে নেয়া হতো যাদের ভুল অনেক বড়।
    .
    কখনোবা নবীজি কারো কিছু ভুল দেখিয়ে দিতেন আর কিছু ভুল এড়িয়ে যেতেন। স্ত্রীদের সব ভুল ধরিয়ে দিতেন না, তাদের স্বাভাবিক প্রকৃতির প্রতি নজর রেখে ছোটখাটো ভুল এড়িয়ে যেতেন।
    .
    শেষদিকে খুব জরুরী কিছু উসূল বর্ণনা করেছেন। নবীজি ভুলকারীকে ভুল স্বীকারে উৎসাহ দিতেন। ভুলের পেছনের মূল কারণ অনুসন্ধান করে তা শুধরাতেন। ভুলের বিষয়টি স্পস্টভাবে জানিয়ে দিতেন।
    .
    লেখক বইটি শেষ করেছেন নববী তরিকায় তরবিয়ত প্রদানের স্বরুপ তুলে ধরে। মাশাল্লাহ, কতই না শিক্ষণীয় একটি বই! প্রকাশনী ও অনুবাদককে ধন্যবাদ!
    .
    ☞ পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ সালিহ আল মুনাজ্জিদের লেখার মূল বিশেষত্ব হচ্ছে লেখক পয়েন্ট আকারে আলোচনা অতি সহজবোধ্য ভঙ্গিমায় উপস্থাপন করেন। লেখকের লেখায় প্রচুর রেফারেন্স যুক্ত থাকে, যা এই বইয়েও বিদ্যমান। এটি সীরাত বিষয়ক অনবদ্য এক বই।
    .
    বইয়ের অনুবাদ নিয়ে আমি কিছু বলছিনা কারণ অনুবাদকৃত বইটি আমার পড়া হয় নি। আমি বইয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে কথা বললাম। আশা করছি, অনুবাদ ভালই হবে। রুহামা প্রকাশনীর অনুবাদ ভালই হয়ে থাকে।
    .
    .

    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top