অনুবাদক: সানজিদা সিদ্দিকী কথা
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। আমাদেরকে অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন। দেখিয়েছেন সরল-সঠিক পথ। যাকে বলা হয় ‘সিরাতল মুস্তাকিম’। যে পথে রয়েছে চিরশান্তি, রবের সন্তুষ্টি। দুনিয়া ও আখিরাতের সফলতা।
কিন্তু দুনিয়ার চোরাবালিতে আমরা সে পথ হারিয়ে ফেলি। হারিয়ে যাই অন্ধকারের অতলে। হতাশা ও বিষণ্ণতায় ছেয়ে যায় পুরো জীবন। নিমিষেই শেষ করে ফেলি নিজেকে।
কিন্তু কেন? পথহারা কি পেতে পারে না সঠিক পথের দিশা? কী সেই পথ? কীভাবে পাবো আলোর দিশা?
তারই ধারাবাহিক বর্ণনা—‘আই লস্ট মাই ওয়ে : হতাশামুক্ত জীবনের খোঁজে’।
গ্রন্থটি আপনাকে দেখাবে সঠিক পথ। শোনাবে হতাশামুক্ত জীবনের নানা কথা। দেবে হতাশার শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা।
অনুবাদক: সানজিদা সিদ্দিকী কথা
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। আমাদেরকে অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন। দেখিয়েছেন সরল-সঠিক পথ। যাকে বলা হয় ‘সিরাতল মুস্তাকিম’। যে পথে রয়েছে চিরশান্তি, রবের সন্তুষ্টি। দুনিয়া ও আখিরাতের...
আরো পড়ুন
esrat.jahan.esha.khan – :
যখন কারো পা ভেঙে যায় তখন আশেপাশের সবাই তা দেখতে পায় কিন্তু যখন কারো হৃদয় ভাঙ্গে তখন খুব কম মানুষই তা বুঝতে পারে। যার পা ভেঙে যায় তার যেমন চিকিৎসার প্রয়োজন, সে যেমন হুট করেই হাটাচলা করতে পারে না, ঠিক তেমনি যার হৃদয় ভেঙে যায়, হৃদয়ের ক্ষত সারাবার উদ্দেশ্যে তার জন্যও দরকারি হয়ে পড়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া।
“আই লষ্ট মাই ওয়ে” বইটি মূলত ইয়াসমিন মুজাহিদ রচিত দুটি বই “I lost my way” ও “Shattered Glass” এর অনুদিত রুপ।
যার প্রথম পর্বে আলোচনা করা হয়েছে সেই বিষয়গুলো নিয়ে যা আমাদের ক্ষত হৃদয়ের সুস্থতার পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়, হৃদয়ের ক্ষত আরো বাড়িয়ে দেয় কিংবা সুস্থতাকে পিছিয়ে দেয়, রোগ প্রতিরোধের উপায় প্রভৃতি নিয়ে এবং ভাঙা হৃদয়ের জন্য নসীহত প্রদান করা হয়েছে।
আর দ্বিতীয় পর্বে আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে, আল্লাহর ওয়াদার কথা- “আল্লাহ কখনোই তার কোনো বান্দাকে সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেন না”, আশার কথা- “আল্লাহ তো সেই মহান সত্তা, যিনি আত তাওয়াব এবং আল আলা। তিনিই তো আর রহমান এবং আর রাহিম। আর তাই তিনিই ক্ষমা করেন, তিনি দয়া করেন, তিনি পাপ মুছে দেন। আর কে আছে তাঁর মতো করে আমাদের এতটা ভালোবাসবে?”, সুখ কি এবং কৃতজ্ঞতার কথা এবং সবশেষে আমরা কেন হারিয়ে যাই…
“সূরা তোয়াহাতে বলা আছে যে, যারা আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল হয়ে যাবে, তাদের জন্য রয়েছে সংকীর্ণ ও দুর্ভোগময় জীবন এবং তারা কিয়ামতের দিন অন্ধ হয়ে পুনরুত্থান করবে। তারা আল্লাহকে জিজ্ঞেস করবে, ‘আমাকে কেন এভাবে অন্ধ করে পুনরুত্থান করা হলো, যেখানে আমরা দুনিয়াতে দেখতে পারতাম?’
এটা দুর্ভাগ্য। তারা মনে করত যে, তারা দেখতে পায়। তারা শুধু তাদের চোখ দিয়েই দেখতে পেত কিন্তু মনের দিক থেকে তারা ছিল একেবারেই অন্ধ। আল্লাহ বলেন, ‘আমার নিদর্শনগুলো তোমার কাছে এসেছিল কিন্তু তুমি সেগুলো ভুলে গিয়েছিলে। এজন্য আজ আমি তোমাদেরকে ভুলে যাব।’ এটা সবচেয়ে ভয়ংকর কথোপকথন। এটাই অন্ধত্ব, যখন আপনি সালাত এবং আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল হয়ে যাবেন। আল্লাহ বলেন, এটা চোখ নয়, যেটা অন্ধ হয়ে যায়, এটা অন্তর, যেটা বুকের ভেতর থাকে, সেটা অন্ধ হয়ে যায়। সেই অন্ধত্ব আপনাকে আপনার সহজ পথ থেকে ছিটকে ফেলে দেয়। আপনি হারিয়ে যান এবং এভাবেই ঘোর অমানিশা প্রতিফলিত হয় আপনার জীবনে।”