হুজুর হয়ে হাসো কেন
পৃষ্ঠা সংখ্যা ১২০
একটা সময় ছিল যখন অনলাইন জগত ছিল সেকুলাঙ্গারদের কবলে, ইন্টারনেটে কেউ
ইসলাম নিয়ে কথা বললে সবাই ছেঁকে ধরত। এরপর আসলো একটা সময় যখন আল্লাহ
সুবহানাহু ওয়া তা’আলা চাইলেন তাঁর দ্বীনের কথা অনলাইনে ছড়াক, তাই তিনি তাঁর কিছু
বান্দাকে এই কাজে নিয়োজিত করলেন। কিন্তু দেখা গেল যখন মুসলিম ভাইয়েরা
বুদ্ধিমত্তার সাথে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে সেকুলাঙ্গারদের ধরাশায়ী করতে লাগলেন
তখন সেই সেকুলাঙ্গাররা কুযুক্তি আর হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমে আলোচ্য বিষয়গুলো থেকে
মানুষদের দূরে সরিয়ে নিতে লাগলো। তখনই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার ইচ্ছায়
তাঁর এমন কিছু বান্দার আবির্ভাব ঘটলো যারা সেকুলাঙ্গারদের হাসি-ঠাট্টার জবাব
হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমেই দিবে, কিন্তু দু’পক্ষের মাঝে মৌলিক কিছু পার্থক্য থাকবে।
অনলাইন জগতে ‘হুজুর হয়ে’ এমনই একটি দল যারা এই কাজটি সুনিপুণভাবে করে
যাওয়ার চেষ্টা করছে। সময়টা এমন এসেছে যে মিডিয়ার কল্যাণে (নাকি অকল্যাণে?)
মানুষ এত নেতিবাচক বিষয় চারিদিকে দেখে যে তারা হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমে বাস্তবতা
থেকে দূরে থাকতে চায়। তাই ‘হুজুর হয়ে’ চেষ্টা করলো হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমেই
জনসাধারণকে বাস্তবতায় ফিরিয়ে আনার জন্য। তারা হাসির ছলে আমাদের সমাজের
অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আর অসংগতিগুলো তুলে ধরছে যেগুলো আমরা অনেকেই
উপলব্ধি করি না বা করলেও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারি না। তাদের প্রচেষ্টা এমনই হয়
যেন প্রত্যেক কাজেই কিছু না কিছু শিক্ষামূলক থাকে এবং সঠিক পথনির্দেশ পাওয়া
যায়।
তাদের এই উদ্যোগ যেন অনলাইনেই সীমাবদ্ধ না থাকে এবং অফলাইনের মানুষও যেন
এ থেকে উপকৃত হতে পারে সেজন্য ‘সমর্পণ প্রকাশন’-এর উদ্যোগে প্রকাশিত হচ্ছে ‘হুজুর হয়ে’ টিমের রম্য রচনা সমগ্র
‘হুজুর হয়ে হাসো কেন?’। আমরা দু’আ করি যেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা এর
মাধ্যমে রসবোধসম্পন্ন চিন্তাশীল মানুষদের মাঝে ইসলাম সম্পর্কে আগ্রহী করে
তোলেন এবং একে তাদের হিদায়াতের মাধ্যম বানিয়ে দেন।
- ৫৯৯ টাকা অর্ডারে ১টি ফ্রি আমল চেকলিষ্ট।
- ৮৯৯ টাকা অর্ডারে ১টি ফ্রি বই।
-
-
hotআরবি রস
লেখক : আবদুল্লাহ মাহমুদ নজীবপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন186 ৳136 ৳আরবি রস একটি মজার বই। আরবি ...
-
hotআরবি রস (দ্বিতীয় খণ্ড)
লেখক : আবদুল্লাহ মাহমুদ নজীবপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন255 ৳186 ৳আরবি ভাষায় যারা পারদর্শী কিংবা যারা ...
-
save offআলীবাবা ও ৪১ দুর্নীতিবাজ
লেখক : এনামুল করীম ইমামপ্রকাশনী : আবরণ প্রকাশন (থানবি লাইব্রেরী)180 ৳104 ৳
-
Shahriar Ahammed Sheam – :
– হুজুর হয়ে এটা করো কেন, ওটা করো কেন?
– হুজুর হইছো নাকি?
দাড়ি রাখলে, টাখনুর ওপর কাপড় পড়লে, পর্দা করলে আপনাকেও শুনতে হয় নাকি এমন কথা? কথা শুনতে শুনতে ত্যক্ত-বিরক্ত-হতাশ? তাহলে আর নয় হতাশা, আপনার জন্য থাকছে সমর্পণ প্রকাশনের “হুজুর হয়ে হাসো কেন?”। এক ফাইলই যথেষ্ট। মাত্র ১৭৫ ৳। আর নিশ্চিত ৩০-৩৫% ডিসকাউন্ট তো থাকছেই।
রম্য রচনার রিভিউতে যদি একটু রম্য না থাকে তাহলে চলে না। অন্তত এই ১১৮ পৃষ্ঠার বইটা পড়ার পরও যদি লেখায় একটু রসবোধ না আসে তাহলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করার দরকার।
হুজুর কথাটির কীভাবে সমাজে প্রচলন তা আমার জানা নেই। একসময় তালিবুল ইলম/ আলেমদের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হলেও, এখন দাড়িয়ালা দেখলেই হুজুর আর পর্দা করা মেয়ে দেখলেই হুজুরনী বলে ডাক দেয়। প্রশংসার উদ্দেশ্যে যে বলা হয় না তা তো স্পষ্ট। তবে, আমাদের হুজুরদের বয়েই গেছে ওনাদের কথায় মাইণ্ড খাইতে।
বইটিকে তিনভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। বিটিভি সমগ্র, নাটিকা এবং ফুলান সিরিজ। বিটিভি সমগ্র মূলত হলে বিটিভিতে প্রকাশিত তথাকথিত দর্শক নন্দিত কিছু অনুষ্ঠানের ইসলামিক ভার্সন। যেমনঃ মীনা, নানা-নাতি ইত্যাদি। তবে, এখানে হিমুর নামেও একটা লেখা আছে ” হিমুর মুখে ১০৮ টি আজওয়া খেজুর”। এর সাথে বিটিভির কি সম্পর্ক বোধগম্য হয়নি। তবে, প্রত্যেকটি লেখাই খুব উপভোগ করেছি।
দ্বিতীয় অংশ ছিল নাটিকা। হুজুর এবং গায়ক সম্ভবত এক মেসে থাকে। হুজুরের জ্বালায় গায়কের জীবন পুরাই ত্যানা-ত্যানা অবস্থা। গায়ক যখনই কোনো গান ধরে, তখন হুজুর কীভাবে যেন সেখানে ইসলাম ঢুকিয়ে দেয়। একটা উদাহরণ দিই।
বাগানে একটা ভ্রমর খুঁজছিল গায়ক। না পেয়ে শেষে একটা মৌমাছিকে একটা কৌটায় আটকাল। তারপর সেটাকে নাকের কাছে ধরে গান গাইতে লাগল, “ভ্রমর কইয়ো গিয়াআআআআ…”
পেছন থেকে হুজুর গেয়ে উঠল, “জাহান্নামের গরম অনলেএএএ…”
গায়কের অসাবধানতায় কৌটা থেকে মৌমাছি বেরিয়ে গায়কের গায়ে হুল ফুটিয়ে চলে গেল। “অঙ্গ যায় জ্বলিয়া রে” বলে চিৎকার করতে করতে সারা বাগানে দৌড়াতে লাগল গায়ক।
না, না এখনই হাসবেন না। মূল আকর্ষণ এখনো বাকি। জি, হ্যাঁ ফুলান সিরিজ। রিপোর্টার আবু ফুলান এবং ইবনে ফুলান। একের পর এক ধরাশায়ী করে ভ্যালেন্টাইনস ডে, পয়লা বৈশাখ, নিউ ইয়ারসহ আরও বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধিকে। বইয়ের সব থেকে ভালো অংশ হলো এটি। কারণ, এখানে সৃজনশীল কাজ করা হয়েছে। ১ম অংশে প্যারোডির মতো কাজ ছিল, ২য় অংশেও গানের ব্যবহার হয়েছে। কিন্তু ৩য় তথা ফুলান সিরিজের অংশটি সম্পূর্ণ মৌলিক। অনুরোধ থাকবে “হুজুর হয়ে টিম” যেন এই ফুলান সিরিজটি চলমান রাখে।
বইয়ে বানান ভুল সংক্রান্ত তেমন কোনো ভুল ছিল না। তবে, ৫৯ পৃষ্ঠায় বড়দিন পর্ব শুরু করা হয়েছে। আবার ৬০ পৃষ্ঠায়ও আবারও বড়দিন পর্ব শুরু করা হয়েছে। “সমর্পণ প্রকাশন” এর কাছে অনুরোধ থাকবে পরবর্তী সংস্করণে যেন এ বিষয়টি সংশোধন করা হয়।
যারা এতোক্ষণ কষ্ট করে পড়লেন আপনাদেরকে অবশ্যই বলবো বইটা পড়তে। শুধু সময় কাটানোর জন্যই না বরং কিছু বিষয় জানার এবং এখনই সচেতন হওয়ার জন্য। কারণ, আমাদের সমাজে এমন অনেক অপসংস্কৃতি সংস্কৃতির নাম নিয়ে ঢুকে গেছে যে কোনটা কুফফারদের অনুষ্ঠান আর কোনটা আমাদের ঐতিহ্য বুঝে ওঠা দায়। এ সম্বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় জানার জন্য হলেও বইটা পড়া দরকার। পরিচিত হওয়া দরকার হুজুর আবু ফুলান আর ইবনে ফুলানের সাথে। জাযাকুমুল্লাহ খাইর।
ফররুখ শিয়ার – :
কিন্তু ইসলামের নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের কারণে মুসলমানের পক্ষে উক্ত দুটি প্রক্রিয়ায় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার ভাবনাটা একসময় অসম্ভব মনে হতো। কিন্তু বাস্তবে তা নয়।
হাস্যরসের মাধ্যমেও সত্যকে উপস্থাপন করা যায়।
আল্লামা আশরাফ আলী থানভী রহ. এর “মুসলমানের হাসি” নামক বইটি আমি পড়েছি। অনেক হেসেছি এবং শিক্ষাও গ্রহণ করেছি,যারা পড়েছেন তারা ঠিকই বুঝতে পারবেন।
এর পর থেকে হাস্যরসের মাধ্যমে ইসলামের সত্যকে প্রকাশ করার পদ্ধতিটা ক্রমশঃ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে তা প্রকাশ্য দিবালোকের মতো সত্য।
সেই পদ্ধতিটা ব্যবহার করেই কতক হুজুর-যারা প্রকৃতপক্ষে হুজুর নন,হুজুদের মতো লেবাস ধরেন মাত্র! যাদেরকে লোকেরা হুজুর বলেই সম্বোধন করে থাকে-“হুজুর হয়ে” নামক একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করেন। পেজটিতে উনারা হাস্যরসাত্মক ভাবে ইসলামের সত্যকে উপস্থাপন করে থাকেন।
সে পেজটিতে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত বিভিন্ন ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের হাস্যরসাত্মক জবাবের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে “হুজুর হয়ে হাসো কেন?” বইটি সংকলন করা হয়েছে।
পাঠকপ্রিয় এই মজাদার বইটিকে কয়েকটি অধ্যায়ে ভাগ করে অনেক মজা করে সত্য উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে।
প্রথম অধ্যায়টির নাম হলো বিটিভি সমগ্ৰ। এতে বাংলাদেশ টেলিভিশন অর্থাৎ বিটিভিতে প্রচারিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রধান চরিত্রকে হুজুর বানিয়ে সে সকল অনুষ্ঠানের ভঙ্গিতেই সত্য উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে।
চরিত্রগুলোর হুজুরায়ন(!) দেখে অনেক হেসেছি। এই অধ্যায়টি পড়েই হুজুর হয়ে টিমের হুজুরদের প্রখর মেধা সম্পর্কে আচ করতে পেরেছি।
দ্বিতীয় অধ্যায়টি হলো নাটিকা। হুজুরের জ্বালায় গায়ক অতিষ্ট। না পারেন গাইতে,না পারেন কথা বলতে। হুজুর দোষ ধরবেনই।
একটু শান্তিতে গান তো দূরের কথা,কথাটাও বলতে পারেন না। গায়ক সারা ঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজেও হুজুরকে পাননি।যেই না নিশ্চিন্তমনে গানের সুর ধরলেন,অমনি ফ্যানের উপর থেকে হুজুর ভুল ধরে বসলেন! হুজুরের জ্বালায় অতিষ্ট গায়ক এখন যেকোনো হুজুর দেখলেই দৌঁড়ে পালান!
এরপরের অধ্যায় ফুলান সিরিজ। আমার সবচেয়ে ভালো লাগা অধ্যায়।
ভাষ্যকার আবু ফুলান আর ক্যামেরাম্যান ইবনে ফুলান চরিত্র দুটি যেমন হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে তেমনি সত্যকে অপূর্ব ভঙ্গিমায় উপস্থাপন করেছে।সমাজে জেঁকে বসা কাফিরদের কৃষ্টি-কালচারের বিরুদ্ধে এই জুটি সদা জাগ্রত।
যেমন: ভ্যালেন্টাইন ডে,পহেলা বৈশাখ,পহেলা জানুয়ারী,ঈদ-ই-মিল্লাদুন্নবি,এপ্রিল ফুলসহ আরো অনেক কিছু।
আবু ফুলান মাঝেমধ্যেই নিজের পরিচয় ভুলে যেতেন,বিষয়টা খুবই মজার!
এভাবেই এই বই হাস্যরসের মাধ্যমে পাঠকদের সত্যের বাণী শুনিয়ে যায়।
♐পাঠপ্রতিক্রিয়া:
যদিও হাস্যরসাত্মক ভাবে বইটি লেখা হয়েছে,কিন্তু এর মূল লক্ষ্য সত্যকে উপস্থাপন করা। আমাদের মুসলিম সমাজে অনুপ্রবেশ করা কাফিরদের কালচারের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করা এবং তার নিরাময়ের ব্যবস্থা করা।
আমি মনে করি, “হুজুর হয়ে” টিমের ভাইয়েরা এতে সফল হয়েছেন।উনাদের জন্য শুভকামনা।এভাইবেই উনারা সত্যকে উপস্থাপন করে যাক সবসময়।
আর সত্যান্বেষী,জ্ঞানী মুসলিমদের সবাইকে আমি অবশ্যয় বইটি পড়ার আমন্ত্রণ জানাবো।
Mohammad Junayed – :
যথা:
১. বিটিভি সমগ্র
২. নাটিকা
৩. ফুলান সিরিজ
সব গল্প গুলোই খুব ইন্টারেস্টিং। তবে ফুলান সিরিজের গল্পগুলো বেশি জোস। এই সিরিজের গল্প গুলো পড়ে না হেসে পারলাম না। বিশেষ করে ‘এপ্রিল ফুল ডে’ পর্ব টা বেশি এক্সাইটিং ।
এই বইয়ের গল্পগুলো বিনোদনের পাশাপাশি ইসলামিক চেতনাকে জাগ্রত করে। বিশেষ করে মুসলিম সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন অনৈইসলামিক দিবসগুলো সম্পর্কে সত্য উদঘাটন এবং ইসলামিক চিন্তাভাবনাকে ফুটিয়ে তুলেছে। নিজের সংগ্রহে রাখার জন্য “হুজুর হয়ে হাসো কেন ?”একটি অনন্য ইসলামিক বই।
Ashraful Arefin – :
আবদুল্লাহ্ আল মামুন – :