বাংলাদেশ ও ইসলাম আত্মপরিচয়ের ডিসকোর্স
লেখক : মুসা আল হাফিজ
প্রকাশনী : শোভা প্রকাশ
বিষয় : ইসলামি গবেষণা
পৃষ্ঠা : 144, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2021
আইএসবিএন : 9789849473190
একটি জাতির আত্মপরিচয় গঠনে ইতিহাসের রয়েছে বিশাল তাৎপর্য। ইতিহাসের নানান পর্ব, ক্রিয়া -প্রতিক্রিয়া, ঘাত-প্রতিঘাতের ভিতর দিয়ে গড়ে উঠে একটি জনগোষ্ঠীর স্বতন্ত্র পরিচয়। কিন্ত সেই ইতিহাসকে যখন তুলে ধরা হয় বিকৃত বয়ানে তখন সেটা আত্মপরিচয়ের জন্য রীতিমতো হুমকিস্বরূপ। আমাদের জাতিসত্তা, ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে প্রচলিত আছে বিবিধ বয়ান যা আমাদের নিজস্ব পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে। সেইসব বয়ানকে দূরে সরিয়ে এই বইটিতে লেখক তুলে ধরেছেন এই ভূখন্ডের প্রকৃত ইতিহাস, বহিঃশত্রুদের বিরুদ্ধে এই ভূমিপুত্রদের প্রতিরোধ, বাংলায় ইসলামের আগমন এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্রমবিকাশককে।
একটি জাতির আত্মপরিচয় গঠনে ইতিহাসের রয়েছে বিশাল তাৎপর্য। ইতিহাসের নানান পর্ব, ক্রিয়া -প্রতিক্রিয়া, ঘাত-প্রতিঘাতের ভিতর দিয়ে গড়ে উঠে একটি জনগোষ্ঠীর স্বতন্ত্র পরিচয়। কিন্ত সেই ইতিহাসকে যখন তুলে ধরা হয় বিকৃত... আরো পড়ুন
-
-
hotবুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের ইতিবৃত্ত
লেখক : মাওলানা ইসমাইল রেহানপ্রকাশনী : নাশাত475 ৳347 ৳কাগজ : ৭০ গ্রাম অফহোয়াইট বর্তমান মুসলিম ...
-
hot১০০১ মুসলিম আবিষ্কার: মুসলিম সভ্যতার অনন্য গৌরবগাথা
প্রকাশনী : মুসলিম ভিলেজ1,200 ৳840 ৳বইটি প্রতিটি বাংলাভাষী মুসলিমদের সংগ্রহে রাখা ...
-
save offএটা সালাফগণের মানহাজ নয়!
লেখক : শাইখ ড. মুহাম্মাদ বাযমূলপ্রকাশনী : বিলিভার্স ভিশন পাবলিকেশন্স449 ৳337 ৳▢ সাইজ: ৫.৫ X ৮.৫ ইঞ্চি। ▢ ...
-
hotপ্রাচ্যবাদ ও ইসলাম
লেখক : মুসা আল হাফিজপ্রকাশনী : ইত্তিহাদ পাবলিকেশন900 ৳450 ৳প্রাচ্যবাদ ও ইসলাম গুরুত্বপূর্ণ এক আলোচ্যবিষয়। ...
-
ইতিহাসের অপবাদ : অপবাদের ইতিহাস
লেখক : ড. ইউসুফ আল কারযাভীপ্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স330 ৳ইতিহাস জাতির স্মৃতিশক্তি। শত্রুরা আমাদের ইতিহাস ...
-
save offদাড়ি
লেখক : ড. গওহার মুশতাকপ্রকাশনী : কালান্তর প্রকাশনী110 ৳77 ৳গ্রন্থটিতে লেখক তাফসির, হাদিস, ফকিহদের মতামত, ...
-
save offপ্রেম ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব
লেখক : মুফতী হারুন রসুলাবাদীপ্রকাশনী : আনোয়ার লাইব্রেরী400 ৳232 ৳পৃষ্ঠা: ৩৩৬ (অফসেট ক্রিম) হার্ড কভার প্রেম কী? ...
-
sorwar – :
shoaibhasan30800 – :
লেখক:-মুসা আল হাফিজ
প্রকাশনী:-শোভা প্রকাশ
ধরণ:-ঐতিহাসিক
একটি জাতির আত্মপরিচয় গঠনে ইতিহাসের রয়েছে বিশাল তাৎপর্য। ইতিহাসের নানান পর্ব, ক্রিয়া -প্রতিক্রিয়া, ঘাত-প্রতিঘাতের ভিতর দিয়ে গড়ে উঠে একটি জনগোষ্ঠির স্বতন্ত্র পরিচয়। কিন্ত সেই ইতিহাসকে যখন তুলে ধরা বিকৃত বয়ানে তখন সেটা আত্মপরিচয়ের জন্য রীতিমতো হুমকিস্বরূপ। আমাদের জাতিসত্তা, ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে প্রচলিত আছে বিবিধ বয়ান যা আমাদের নিজস্ব পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে। সেইসব বয়ানকে দূরে সরিয়ে এই বইটিতে লেখক তুলে ধরেছেন এই ভূখন্ডের প্রকৃত ইতিহাস, বহিঃশত্রুদের বিরুদ্ধে এই ভূমিপুত্রদের প্রতিরোধ, বাংলায় ইসলামের আগমন এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ক্রমবিকাশককে।
সেই হিমযুগের সময় থেকেই এই ভূমি মানুষের পদচারণায় মুখরিত, এখানে সভ্যতার সূচনা হয়েছে বহু আগেই এবং গড়ে উঠেছিলো এক শক্তিশালী রাজ্য “গঙ্গারিডাই ” যার সন্তানেরা রুখে দিয়েছিলো দিগ্বিজয়ী বীর আলেকজেন্ডারের বিজয়রথ।
বৈদিক যুগের শেষের দিকে বাংলায় প্রবেশ করে আর্যরা। মূলত কৃষিকাজ ছিলো আর্যদের প্রধান পেশা আর সেই সুবাদে এই উর্বর ভূমিতে তাদের আগমন ঘটে। নিজেদের নাক উচুঁ জাতি মনে করা আর্যদের আগমনের সাথে সাথে শুরু হয় এক সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। সেই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এই ভূমির সন্তান অস্ট্রিক-দ্রাবিড়দের লড়াই জারি থাকে কয়েক শতাব্দী ব্যাপি।
কিন্তু একের পর এক রাজশক্তির পৃষ্ঠোপোষকতায় এদেশে ঘাটি গেড়ে বসে ব্রাক্ষণ্যবাদ। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয় তীব্র বৈষম্যমূলক বর্ণপ্রথা। ছিন্ন -বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সামাজিক সংহতি। রাজশক্তির অত্যাচার, অবিচার, নিপীড়নের ফলে দুর্বিষহ হয়ে উঠে গণমানুষের জীবন।
বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদের ভাষায় ফুটে উঠেছে সেই নিপীড়নের করুণ চিত্র। চর্যাপদের কবিরা ছিলেন সমাজের প্রান্তিক শ্রেণীর মানুষ। তাদের ভাষা ছিলো রাজলাঞ্চিত। চর্যার পদাবলির মধ্যো দিয়ে প্রতিধ্বনিত হয়েছে এদেশের শ্রমজীবী, মজলুম মানুষের কন্ঠস্বর।
অন্যায়, অত্যাচার, অশালীনতা আর বর্ণ বৈষম্যে এদেশের সমাজ যখন বিপর্যস্ত তখনই এই ভূমিতে আগমন ঘটে তুর্কি বীর বখতিয়ার খিলজীর। ১২০৪
সালে তিনি বাংলা বিজয় করেন। পতন ঘটে অত্যাচারী সেন রাজবংশের। অন্যায়, অবিচারে জর্জরিত মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো।
কিন্তু বখতিয়ারের এই বাংলা বিজয় নিয়ে ছড়ানো হয়েছে নানান বিভ্রান্তি। ঐতিহাসিক নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধংসের অভিযোগ তুলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। অথচ বখতিয়ারের বাংলা বিজয়ের পরও অব্যাহত থেকেছে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। তাকে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে আক্রমণকারী হিসেবে অথচ এ ভূমির নিপীড়িত মানুষজনের কাছে তিনি ছিলেন মুক্তির দূত। এমনকি লক্ষণ সেনের রাজকবিও মুসলিমদের বাংলায়া প্রবেশকে তুলনা করেছেন দেবতাদের আগমনের সঙ্গে।
বহুকাল ধরেই এদেশের রাজশক্তির কাছে এই ভূমিপুত্রদের ভাষার কোনো মূল্যায়ন ছিলোনা। বৈদিক সাহিত্যে স্থানীয়দের ভাষাকে বলা হয়েছে ইতরের ভাষা, পক্ষীকুলের ভাষা। অবশেষে বখতিয়ারের বঙ্গবিজয়ের ফলে বাংলা ভাষার সেই শুভদিন আসলো যার ধারাবাহিকতায় চর্যাপদের সেই ভ্রূণ অবস্থা থেকে বাংলা ভাষার বিকাশ আরাম্ভ হলো।
পরবর্তীতে স্বাধীন সুলতানি আমলে বাংলা ভাষা লাভ করে রাজশক্তির পৃষ্ঠপোষকতা। অসংখ্য কালজয়ী সাহিত্য এই সময় বাংলা ভাষায় অনূদিত হয়। সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায় এদেশের হিন্দু- মুসলিম সমাজে শুরু হয় এক নবজাগরণ।
বখতিয়ারের বঙ্গবিজয়ের মাধ্যমে মুসলিমদের রাজশক্তির প্রতিষ্ঠা ঘটলেও এদেশে ইসলামের আগমন ঘটে সাহাবীদের যুগে। আরবীয় বণিকদের মাধ্যমে বাংলায় ইসলামের প্রচার শুরু হয়। পরবর্তীতে অসংখ্য পীর-আউলিয়াদের আগমন ঘটে এই ভূমিতে। যাদের অক্লান্ত মেহনতের ফলে এই জনপদে ছড়িয়ে পড়ে তাওহীদের সুমহান বাণী।
ইতোপূর্বে বাংলা নামে অখন্ড কোনো ভূমির অস্তিত্ব ছিলোনা। বাংলা বিভক্ত ছিলো পুন্ড্র, সমতল, হরিকেল নামক বিভিন্ন প্রদেশে। অবশেষে সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ সমগ্র বাংলাভাষী এলাকা অধিকার করে “শাহ-ই-বাঙ্গালাহ ” উপাধি ধারণ করেন। যার ফলে ইতিহাসে প্রথমবারের মত সমগ্র বাংলা ভূমি একত্রিত হয় এবং বাঙালি জাতি লাভ করে এক একক ও স্বতন্ত্র পরিচয়।
সমালোচনা :-চর্যাপদ কেনো নেপালে পাওয়া গেলো? এর উত্তরে সত্যজিৎ চৌধুরী বলেন তুর্কি আক্রমণের ফলে বৌদ্ধ পন্ডিতেরা ভয়ে নেপালে পালিয়ে যান। সত্যজিৎ চৌধুরীর এই দাবিকে খন্ডন করতে গিয়ে লেখক বলেন ” যদি এইরকম কোনো পরিস্থিতি থাকতো তাহলে চর্যার কোনো পদে সেই ভয়ের উল্লেখ থাকতো, যখন কবিরা দেশত্যাগে বাধ্য হচ্ছেন।” কিন্তু চর্যাপদের রচনাকাল ৬৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দ। বখতিয়ারের বাংলা বিজয় এর পরের ঘটনা। সুতরাং তুর্কি আমলে বৌদ্ধ পন্ডিতরা নির্যাতনের শিকার হোক বা না হোক সেটা চর্যাপদে উল্লেখ থাকার কথা নয়। তবে মুসলিমদের বাংলা বিজয় বৌদ্ধদের কাছে মোটেও ভীতিকর ছিলোনা বরং তাদের কাছে এটি ছিলো ভগবানের দানস্বরুপ