দৃষ্টি শয়তানের বিষাক্ত তীর
লেখক : আবদুল মালিক আল কাসিম
প্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন
অনুবাদ ও সম্পাদনা : হাসান মাসরুর
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৮৮
বেহায়পনার এই যুগে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো দৃষ্টি সংযত রাখা। রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে ঘরের চার দেয়ালেও মুক্তি নেই। চোখের পলকেই নিজেকে ধ্বংসের অতলে ডুবিয়ে দেবার সকল ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। ফলে মুমিন শত ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও চোখের ওপর লাগাম পরাতে পারে না। বার বার ব্যর্থ হয়।
তবে দৃষ্টি সংযত রাখার এই বিষয়টি নতুন নয়। সালাফগণ এ নিয়ে কার্যকরী অনেক নসিহত দিয়ে গেছেন। যুগে যুগে মানুষ সেগুলো অনুসরণ করে মুক্তি পেয়েছেন বিইজনিল্লাহ। শায়খ আব্দুল মালিক কাসিম রহ. দৃষ্টি সংযত রাখার গুরুত্ব, উপায়, ইত্যাদি নিয়ে চমৎকার এই বইটি রচনা করেছেন। যেন যুবকরা প্রত্যেক যুগে বেঁচে ফিরতে পারে, দৃষ্টিকে হেফাজত রাখার দ্বারা প্রকৃত ঈমানের স্বাদ উপভোগ করতে পারে।
অনুবাদ ও সম্পাদনা : হাসান মাসরুর
পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৮৮
বেহায়পনার এই যুগে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো দৃষ্টি সংযত রাখা। রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে ঘরের চার দেয়ালেও মুক্তি নেই। চোখের পলকেই নিজেকে... আরো পড়ুন
-
-
hotবেলা ফুরাবার আগে
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন335 ৳245 ৳বেলা ফুরাবার আগে... নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। ...
-
hotমনের ওপর লাগাম
লেখক : আল্লামা ইবনুল জাওযী (রহঃ)প্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন173 ৳128 ৳বিবেক আছে বলেই মানুষ পশুপাখি থেকে ...
-
hotএবার ভিন্ন কিছু হোক
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন340 ৳248 ৳প্রতিদিন একটা একঘেয়েমি চক্রে কেটে যাচ্ছে ...
-
hotঘুরে দাঁড়াও
লেখক : ওয়ায়েল ইব্রাহিমপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন310 ৳229 ৳ঘুরে দাঁড়াও বইটি পর্ন-আসক্তি থেকে মুক্তিলাভের ...
-
hotটাইম ম্যানেজমেন্ট
লেখক : ইসমাইল কামদারপ্রকাশনী : সিয়ান পাবলিকেশন228 ৳166 ৳ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর রেশমি কাপড়ের ...
-
hotআল্লাহর প্রতি সুধারণা
লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়াপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন175 ৳129 ৳জাবের রদ্বি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ...
-
hotনফসের বিরুদ্ধে লড়াই
লেখক : মাহমুদ বিন নূরপ্রকাশনী : রাইয়ান প্রকাশন220 ৳161 ৳কতজন-ই তো বলে—আমি তাহাজ্জুদে উঠতে পারি ...
-
hotএপিটাফ
লেখক : সাজিদ ইসলামপ্রকাশনী : বুকমার্ক পাবলিকেশন228 ৳171 ৳ধরণ: লেকচার সংকলণ পৃষ্ঠা: ১৪৪ কভার: পেপার ব্যাক উস্তাদ ...
-
featureম্যাসেজ
লেখক : মিজানুর রহমান আজহারিপ্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স300 ৳ইসলাম এক নক্ষত্র, যার সংস্পর্শে সমস্ত ...
-
Md.Mahbub – :
ধরুন কারো শরীরে এলার্জি হলে চুলকানো নিষেধ থাকে। কারণ চুলকানোর দ্বারা এলার্জি বৃদ্ধি পায়।কিন্তু রোগী যখন চুলকায় তখন তার কাছে সাত রাজ্যের স্বাদ এই চুলকানোতেই মনে হয়।পরক্ষণেই শুরু হয়ে যায় জ্বালাপোড়া।
দৃষ্টির ব্যাপার টা ঠিক এমনই খারাপ জিনিসের প্রতি দৃষ্টি দিলে প্রথমে ভালোই লাগে। কিন্তু পর মুহূর্তেই অন্তরের স্বাদ বিস্বাদে পরিণত হয়। এই লাগামহীন দৃষ্টির কারনেই ঈমান ধ্বংস হয়ে যায় অন্তরের প্রশান্তি বিলুপ্ত হয়ে যায়। যারা দৃষ্টিকে অবনত রাখে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা তাকে সুদৃঢ় ঈমান দান করে,যার মিষ্টতা সে অন্তরে অনুভব করে।
“দৃষ্টি শয়তানের বিষাক্ত তির ” বইটা অসাধারণ সুন্দর সাবলীল ভাষায় লেখক উপস্থাপন করেছেন। ইংশাআল্লাহ বই দ্বারা আপনিও উপকৃত হবেন
Mohammad Sadique – :
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তা’লার অসংখ্য ও অগণিত নেয়ামতের মধ্যে দৃষ্টিশক্তি অন্যতম একটি নিয়ামত। কিন্তু বর্তমান যুগের মানুষেরা অতিমাত্রায় এ নিয়ামত খেয়ানত করছে। যার ফলে সমাজে আজ যেনা -ব্যভিচার, ধর্ষণের ঘটনায় ভরপুর। কেননা দৃষ্টি যেনা-ব্যভিচার ধর্ষণের বার্তাবাহক। সকল অপকর্মের প্রথম ধাপ। দৃষ্টিই প্রথমে মানুষের অন্তরের মধ্যে উদ্রেককে জাগ্রত করে, যা আস্তে আস্তে শক্তিশালী হয়ে যেনা-ব্যভিচার, ধর্ষণের ঘটনায় পরিণত হচ্ছে। দৃষ্টি আরেকটি বড় বিপদ হচ্ছে , এটি মানুষের মনে দীর্ঘ আফসোসের উদ্রেক ঘটায়। কোনো মানুষ যখন কোনো হারাম জিনিসের উপর দৃষ্টি দেয়, তখন তার অন্তর আফসোস বাড়িয়ে তোলে। সেই জিনিস না পাওয়ার ব্যাথ্যা ও যন্ত্রণা অনুভব করে।
চিন্তা করুন ! হারাম জিনিসের দিকে দৃষ্টিপাত কত মারাত্মক। এমনকি দৃষ্টিপাত কি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চোখের জেনা বলে আখ্যায়িত করেছেন। একজন মুমিনকে অবশ্যই তা থেকে দূরে থাকতে হবে।
অধিকাংশ মানুষ গায়রে মাহরামের প্রতি বারবার দৃষ্টি দেওয়াকে ছোট গুনাহ মনে করে ভুল করে। অনেক মুসলিম শয়তানের এ ফাঁদে পড়ে, অসংখ্য পাপের কাজে জড়িয়ে গেছে। প্রতিটি খারাপ জিনিস দৃষ্টি পাত আমাদের অন্তরের ক্ষতবিক্ষত করে। যার ফলে আমাদের অন্তরের সময় মরে যায়। আমরা ইবাদতে শান্তি পাই না, সহজেই পাপ কাজে লিপ্ত হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের সালাফরা এ বিষয়ে অনেক সতর্ক ছিলেন। তারা পরস্পরকে দৃষ্টি সংযত করার উপদেশ দিতে।
কি আছে এই বইয়ে –
১.বইটির মাধ্যমে অবৈধ ইসলাম দৃষ্টিপাতের ফিতনা সম্পর্কে
২.দৃষ্টি সংযত রাখার উপদেশ প্রতি উপদেশ।
৩.দৃষ্টি সংযত রাখার উপকারিতা।
৪. দৃষ্টি ব্যাপারে সালাফদের ভয়।
কেন এই বইটি পড়বেন-
আমরা যেন কুদৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব এবং এর ফলে সৃষ্ট ভয়াবহ পরিণতির ব্যাপারে ধারনা লাভ করে সতর্ক হতে পারি, দৃষ্টিকে অবনত রেখে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে পারি। ইনশাআল্লাহ বই উপকারী আসবে।
লেখক পরিচিতি –
ড. শাইখ আব্দুল মালিক আল-কাসিম। আরব-বিশ্বের খ্যাতনামা লেখক, গবেষক ও দায়ি।
mdjamaluddin80972 – :
নৈতিক চরিত্রের অধঃপতন শুরু হয় দৃষ্টির মাধ্যমে। যিনার সূত্রপাত ঘটে দৃষ্টির মাধ্যমে। যেখানে অপরাধের সূত্রপাত, সেখানেই একজন মুমিনকে আটকিয়ে দিতে চায় ইসলাম। এজন্য শরীয়াত কোনো নারীর দিকে ইচ্ছাকৃত অপ্রয়োজনীয় দৃষ্টিপাতকে জায়েয রাখে নি। বর্তমান যুব সমাজের ধ্বংসের প্রথম কারণ হল নারীর ফিতনা। আর এ ফিতনা থেকে নিজেকে দূরে রাখার প্রধান উপায় হচ্ছে দৃষ্টিকে সংযত রাখা।
খারাপ দৃষ্টির কুফলসমূহ, দৃষ্টি সংক্রান্ত শরীয়াতের দিকনির্দেশনা, দৃষ্টি সংযত রাখার উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা বর্তমানে প্রতিটি মুসলিম যুবকের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করি। এক্ষেত্রে শাইখ আব্দুল মালিক আল কাসিম সাহেবের ‘দৃষ্টি শয়তানের বিষাক্ত তির’ বইটি অত্যন্ত উপযোগী বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।
☆লেখক পরিচিতি (প্রকাশনীর পেজ থেকে সংগৃহীত)
———————————————————
ড. শাইখ আব্দুল মালিক আল-কাসিম। আরব-বিশ্বের খ্যাতনামা লেখক, গবেষক ও দায়ি। জন্মেছেন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ১২০ কি.মি. উত্তরে অবস্থিত ‘বীর’ নগরীতে—বিখ্যাত আসিম বংশের কাসিম গোত্রে। তাবলিগে দ্বীন ও ইলমে নববির চর্চা ও প্রসারে এই গোত্রের ব্যাপক অবদান রয়েছে। তাঁর দাদা শাইখ আব্দুর রহমান বিন মুহাম্মদ বিন কাসিম আল-আসিমি আন-নাজদি রহ. ছিলেন হাম্বলি মাজহাবের প্রখ্যাত ফকিহ। শাইখ আব্দুল মালিক আল-কাসিম সাহেবের পিতা শাইখ মুহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান রহ.-ও ছিলেন আরবের যশস্বী আলেম ও বহু গ্রন্থপ্রণেতা।
☆বইটির কিছু বৈশিষ্ট্য:
—————————–
¤বইটি কুরআনের আয়াত, রাসূল (সা)-এর হাদিস, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈসহ সালফে সালেহীনদের বক্তব্য, বিভিন্ন ছোট ঘটনা, লেখকের দরদমাখা উপদেশ ইত্যাদি দিয়ে সাজানো।
¤বইটি পড়ার সময় মনে হতে পারে, একজন শুভাকাঙ্ক্ষী ও কল্যাণকামী দ্বীনী ভাই বা বন্ধু তার অপর একজন দ্বীনী ভাই বা বন্ধুকে হৃদয়ের আকুতি দিয়ে ডেকে ডেকে যেন বলছেন, “ফিরে এসো সত্যের পথে। অন্যায় দৃষ্টি দিয়ে নিজেকে শেষ করে ফেলিও না।” লেখক পাঠককে কখনো সম্বোধন করেছেন ‘প্রিয় ভাই’ বলে, কখনো আবার ‘হে প্রিয়’ বলে, কখনো ‘হে যুবক’ বলে, কখনো ‘প্রিয় মুসলিম ভাই আমার’ বলে। কত দরদমাখা বর্ণনাভঙ্গি!
¤বইটি ছোট। কেউ চাইলে এক বসাতেই পড়ে ফেলতে পারেন।
¤ লেখক বইটির ভিতরে যে কথাগুলো লিখেছেন সেগুলোও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অপ্রাসঙ্গিক বলার সুযোগ নেই।
¤বইয়ের মূল লেখা ৮৫ নং পৃষ্ঠা পর্যন্ত। এরপর ‘পাঠকের পাতা’ নামে দুটা পৃষ্ঠা রাখা হয়েছে যেখানে পাঠক প্রয়োজনীয় কিছু কথা লিখে রাখতে পারবেন। সেটা হতে পারে বইটি পড়ার পর তার অনুভূতি অথবা বইটির শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ অথবা বইয়ের উল্লেখযোগ্য কিছু লাইন।
☆বইটি যাদের কেনা উচিত:
————————————
▪বইটি অবিবাহিত যুবকরা কেন পড়বে?
শয়তান মূলত যবকদের বেশি ব্যবহার করে, কারণ তাদের এ-ই সময় শরিরে যৌবনের চাহিদা বেশি থাকে আর শয়তান তাদের দৃষ্টিতে পুরা পৃথিবীকে রঙ্গিন করে উপস্থাপন করে,এ সময় যৈবিক চাহিদা মিটানোর জন্য যুবকরা শয়তানের ফাঁদে পা দেয়।যার ফলে তাদের নৈতিক অধপতন হয়।প্রতিটি যুবকের উচিত বইটি কিনে পড়া। একবার নয়, বারবার পড়া, মাঝে মাঝেই পড়া।
▪বিবাহিত যবককেরা কেন পড়বে?
বিবাহিত যুবকদের জন্যও বইটি গুরুত্বপূর্ণ। বিবাহের পরেও অনেক যুবক জ্বীনা ব্যভিচারে লিপ্ত হতে পারে,এখেত্রে শরীয়তের বিধিনিষেধ আর এ-র জন্য শাস্তির কথা উল্লেখ রেয়েছে।তাই প্রতিটি যুবকের উচিত বইটি কিনে বার বার পড়া।
▪মেয়েরা বইটি কেনো পড়বে?
দৃষ্টি সংক্রান্ত গুনাহ যদিও ছেলেদের দ্বারা বেশি সংঘটিত হয়, কিন্তু মেয়েরাও এ থেকে মুক্ত নয়। একদিকে কোনো ছেলের দিকে কুচিন্তাসহ দৃষ্টিপাত বৈধ নয়। আরেকদিকে ছেলেদের কুদৃষ্টি থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য পর্দা করা উচিত। এ উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি বোনদেরও উচিত এ বইটি কিনে বার বার পড়ে নিজেদের সংশোধন করা।
▪অভিভাবকরা কেনো পড়বে?
যেসব অভিভাবকের যুবক সন্তান আছে, তারা যদি তাদের সন্তানদের নৈতিক অধপতন না চান তাহলে তাদের উচিত বইটি কিনে সন্তানদের পড়তে দেয়া।
◾যারা বিভিন্নভাবে যুবকদের মাঝে দাওয়াতী কাজ করেন, তাদের উচিতএ বইটি কিনে উপহার দেয়া।
◾বিভিন্ন পাঠাগারে এ বইটি ও এ জাতীয় আরো কিছু বই রাখা উচিত, যেগুলো যুব সমাজের চরিত্র গঠনে সহায়ক।
Nuruddin Khandakar – :
খারাপ দৃষ্টির কুফলসমূহ, দৃষ্টি সংক্রান্ত শরীয়াতের দিকনির্দেশনা, দৃষ্টি সংযত রাখার উপায় ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করা বর্তমানে প্রতিটি মুসলিম যুবকের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করি। এক্ষেত্রে শাইখ আব্দুল মালিক আল কাসিম সাহেবের ‘দৃষ্টি শয়তানের বিষাক্ত তির’ বইটি অত্যন্ত উপযোগী বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।
☆লেখক পরিচিতি (প্রকাশনীর পেজ থেকে সংগৃহীত)
——————————————————————–
ড. শাইখ আব্দুল মালিক আল-কাসিম। আরব-বিশ্বের খ্যাতনামা লেখক, গবেষক ও দায়ি। জন্মেছেন সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ১২০ কি.মি. উত্তরে অবস্থিত ‘বীর’ নগরীতে—বিখ্যাত আসিম বংশের কাসিম গোত্রে। তাবলিগে দ্বীন ও ইলমে নববির চর্চা ও প্রসারে এই গোত্রের ব্যাপক অবদান রয়েছে। তাঁর দাদা শাইখ আব্দুর রহমান বিন মুহাম্মদ বিন কাসিম আল-আসিমি আন-নাজদি রহ. ছিলেন হাম্বলি মাজহাবের প্রখ্যাত ফকিহ। শাইখ আব্দুল মালিক আল-কাসিম সাহেবের পিতা শাইখ মুহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান রহ.-ও ছিলেন আরবের যশস্বী আলেম ও বহু গ্রন্থপ্রণেতা।
☆বইটির কিছু বৈশিষ্ট্য:
—————————–
¤বইটি কুরআনের আয়াত, রাসূল (সা)-এর হাদিস, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈসহ সালফে সালেহীনদের বক্তব্য, বিভিন্ন ছোট ঘটনা, লেখকের দরদমাখা উপদেশ ইত্যাদি দিয়ে সাজানো।
¤বইটি পড়ার সময় মনে হতে পারে, একজন শুভাকাঙ্ক্ষী ও কল্যাণকামী দ্বীনী ভাই বা বন্ধু তার অপর একজন দ্বীনী ভাই বা বন্ধুকে হৃদয়ের আকুতি দিয়ে ডেকে ডেকে যেন বলছেন, “ফিরে এসো সত্যের পথে। অন্যায় দৃষ্টি দিয়ে নিজেকে শেষ করে ফেলিও না।” লেখক পাঠককে কখনো সম্বোধন করেছেন ‘প্রিয় ভাই’ বলে, কখনোবা ‘প্রিয় বন্ধু’ বলে, কখনো আবার ‘হে প্রিয়’ বলে, কখনো ‘হে যুবক’ বলে, কখনো ‘প্রিয় মুসলিম ভাই আমার’ বলে। কত দরদমাখা বর্ণনাভঙ্গি!
¤বইটি ছোট। কেউ চাইলে এক বসাতেই পড়ে ফেলতে পারেন। তবে মাঝে মাঝে একই জাতীয় কথা বারবার আসাতে একটু একঘেয়েমি লাগতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতিদিন কয়েক পৃষ্ঠা করে পড়া যেতে পারে।
¤কিছু ক্ষেত্রে শিরোনামের সাথে ভিতরের কথায় পুরোপুরি মিল নেই। ভিতরে অন্য বিষয়ে হালকা আলোচনা আছে। তবে ভিতরে যে কথাগুলো লেখা আছে সেগুলোও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অপ্রাসঙ্গিক বলার সুযোগ নেই।
¤বইয়ের মূল লেখা ৮৫ নং পৃষ্ঠা পর্যন্ত। এরপর ‘পাঠকের পাতা’ নামে দুটা পৃষ্ঠা রাখা হয়েছে যেখানে পাঠক প্রয়োজনীয় কিছু কথা লিখে রাখতে পারবেন। সেটা হতে পারে বইটি পড়ার পর তার অনুভূতি অথবা বইটির শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ অথবা বইয়ের উল্লেখযোগ্য কিছু লাইন।
☆বইটি যাদের কেনা উচিত:
————————————
৹অবিবাহিত ও বিবাহিত প্রতিটি যুবকের উচিত বইটি কিনে পড়া। একবার নয়, বারবার পড়া, মাঝে মাঝেই পড়া।
৹দৃষ্টি সংক্রান্ত গুনাহ যদিও ছেলেদের দ্বারা বেশি সংঘটিত হয়, কিন্তু মেয়েরাও এ থেকে মুক্ত নয়। একদিকে কোনো ছেলের দিকে কুচিন্তাসহ দৃষ্টিপাত বৈধ নয়। আরেকদিকে ছেলেদের কুদৃষ্টি থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য পর্দা করা উচিত। এ উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে আমি মনে করি বোনদেরও উচিত এ বইটি কিনে পড়া।
৹যেসব অভিভাবকের যুবক সন্তান আছে, তাদের উচিত বইটি কিনে সন্তানদের পড়তে দেয়া।
৹যারা বিভিন্নভাবে যুবকদের মাঝে দাওয়াতী কাজ করেন, তাদের উচিতএ বইটি কিনে উপহার দেয়া।
৹বিভিন্ন পাঠাগারে এ বইটি ও এ জাতীয় আরো কিছু বই রাখা উচিত, যেগুলো যুব সমাজের চরিত্র গঠনে সহায়ক।