মেন্যু
khadija ra. prothom muslim ebong shesh nobi muhammad sw er bibi

খাদিজা (রাঃ) প্রথম মুসলমান এবং শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর বিবি

পৃষ্ঠা: ১৩৬ ইতিহাসের প্রতিটি ক্রন্তিলগ্র্নেই সময়োপযুগি মহান ব্যক্তিত্বের জন্ম হয়েছে। খাদিজা (রা.) ছিলেন ইসলামের সূচনালগ্নে ঐরকম একজন মহান ব্যক্তিত্ব। তিনি এক অবিস্মরণীয় জীবন কাটিয়েছেন। তার সেই জীবনের অবদান ও মহাত্ম্য সম্পর্কে... আরো পড়ুন
পরিমাণ

120  240 (50% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

4 রিভিউ এবং রেটিং - খাদিজা (রাঃ) প্রথম মুসলমান এবং শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর বিবি

5.0
Based on 4 reviews
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    ইশরাত জাহান তাইফা:

    অসাধারণ একটি বই যার প্রতিটি লাইন যেনো মুক্তোর মালা মতন। প্রতিটি পাতা পড়েছি আর যেন সেসময়কার পরিস্থিতিগুলো অনুধাবন করছি , একটা ঘোর কাজ করছি, রসূল (স:) এর প্রতি ভালোবাসা যেনো আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।
    আল্লাহ এর লেখক ও অনুবাদক দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম জাযা দান করুন।
    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    Tasnim Sanzida:

    #ওয়াফিলাইফ_পাঠকের_ভাল_লাগা_জুলাই_২০২০
    বইঃ প্রথম মুসলমান এবং শেষ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিবি খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা।
    মূল লেখক: রাশীদ হাইলামায
    অনুবাদকঃ মুহাম্মাদ আদম আলী

    লেখক পরিচিতিঃ
    ——————————
    তুরস্কের মুসলমানদের কাছে খুবই জনপ্রিয় এই ইসলামী গবেষক এবং সীরাত লেখক। তাঁর লিখা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনী তুরস্কে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া বইগুলোর একটি। তাঁর সবগুলো বই ই তার্কিস ভাষায় লিখা। আমেরিকার নিউজার্সি থেকে “তুগরা বুকস” তাঁর অনেকগুলো বই ইংরেজিতে অনুবাদ করে প্রকাশ করেছে।

    বইটির বিষয়বস্তুঃ
    ——————————-
    বইটিতে মূলত খাদিজা রাদ্বিআল্লাহু আনহা এর জীবন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, সেই সাথে উঠে এসেছে ইসলাম প্রকাশ পরবর্তী কিছু মর্মান্তিক ঘটনা।

    অন্ধকারের যুগে জন্মগ্রহণ করেও খাদিজা রাদ্বিআল্লাহু আনহা ছিলেন অন্য রকম এক ব্যক্তিত্ব। তার সম্মান ও আভিজাত্য ছিল সর্বজন স্বীকৃত। এজন্য সবাই তাকে “তাহিরা” (পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন) বলে ডাকত। কুরাইশ মহিলাদের মধ্যে তাকে “সারিদা”(একজন বিশিষ্ট মহিলা) বলে ডাকা হতো। তার ” যাইদা” নাম ও প্রচলিত ছিল, কোনো কিছু দ্রুত অনুধাবন করা, এর অন্তর্নিহিত অর্থ বোঝার ক্ষেত্রে পারদর্শীতার জন্য এই নামটি দেওয়া হয়েছিল।

    নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওহী পাওয়ার পর, সর্ব প্রথম শেষ সংবাদ তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা কেই দিয়েছিলেন এবং খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা নির্দ্বিধায় তা স্বীকার করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। সর্ব প্রথম ঈমান আনার সৌভাগ্য কেবল তারই হয়েছিল। তার সাহায্য সহোযোগিতা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর অর্পিত কাজের ভার লাঘব করেছিল। নবীজি প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী এর কাছে এসে সান্ত্বনা ও নিরাপত্তা পেয়েছেন। তার ভালবাসা ও আনুগত্য সকল প্রকার বিরোধের চেয়ে শক্তিশালী হওয়ার দরুণ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দুঃখের মেঘগুলো কেটে যেত একের পর এক।

    বইটিতে খুব সুন্দর করে খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর পরিবার সম্পর্কে, নবিজির সাথে বিবাহ সম্পর্কে, ওহীর পূর্বের ইশারা, ফেরেশতার আগমন, প্রথম মুসলমান হওয়া, রাসূলকে প্রতি পদক্ষেপে অনুসরণ, বয়কট এবং খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর দুনিয়াকে বিদায়, তার মৃত্যুর পর নবিজির অবস্থা ইত্যাদি জিনিস গুছিয়ে বলা হয়েছে। শেষে সহজে মনে রাখার জন্য ঘটনাগুলো ক্রমানুসারে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে

    খাদিজা রাদ্বিআল্লাহু আনহা এর মৃত্যুর অনেক বছর পর ও নবিজি তাকে ভুলতে পারেন নি। আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা একবার নবীজিকে বলেছিলেন, কেন ঐ মহিলাকে এত বেশি স্মরণ করতে হবে যে কিনা কয়েক বছর আগে ইন্তেকাল করেছেন। আরো বলতেন, “আল্লাহ তার পরিবর্তে উত্তম নারী আপনাকে দান করেছেন।” সম্ভবত এটা কোনো দৈব ঘটনা নয়। আল্লাহর ইচ্ছা এটাই ছিল যে, এ সুযোগে তিনি নবীর মুখ থেকে খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর গুনাবলী সম্পর্কে কিছু শুনবেন। নবিজি আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা এর মন্তব্যে মোটেও খুশি হননি। তিনি বলেছিলেন,

    “তার মত কে হতে পারবে? আল্লাহ তার চেয়ে উত্তম নারী আমাকে দান করেন নি। মানুষ যখন আমাকে মানতে অস্বীকার করেছে, তখন সে আমার প্রতি ঈমান এনেছে। মানুষ যখন আমাকে মিথ্যাবাদী বলেছে, সে আমাকে সত্যবাদী বলেছে। মানুষ যখন আমাকে বঞ্চিত করেছে, তখন সে তার সম্পদে আমাকে অংশীদার করেছে। আল্লাহ তার মাধ্যমে আমাকে সন্তান দান করেছেন।”

    আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা নবীজির কাছে মাফ চাইলেন এবং প্রতিজ্ঞা করলেন যে ভবিষ্যতে খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা সম্পর্কে মন্দ কিছু আর বলবেন না।

    আমার পাঠ্যানুভূতিঃ
    ———————————-
    অবশ্যই এরকম একজন মহিয়সী নারী সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে খুব ভাল লাগছে। আসলেই তো, কে তার মতো হতে পারবে? এত দৃঢ় মনোবলের পরিচয় তিনি রেখে গেছেন, যা নারী পুরুষ সকলের কাছে নিজেকে পরিশুদ্ধ করার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্বরূপ। তার অঢেল সম্পত্তি অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন। তিনি জানতেন দুনিয়াবি এইসব ত কিছুই না, সেগুলোকে “স্থায়ী” করতে তাই তিনি আল্লাহর রাস্তায় নবিজির কাছে সব সোপর্দ করলেন। মক্কাবাসী মুসলিমদের যখন বয়কট করল, ব্যবসা বাণিজ্য, খাদ্যদ্রব্য পাঠানো সব বন্ধ করে দিল, খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা চাইলেই সেই বয়কট এড়াতে পারতেন, যদি না তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে থাকতে না চাইতেন। কিন্তু তিনি তা করেন নি। এক সময়কার ধনাঢ্য এই মহিলা ক্ষুধার যন্ত্রণায় মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছেন তাও নবিজির সঙ্গ ছাড়েন নি।

    আগে খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর পরিবার সম্পর্কে এত কিছু জানতাম না, কিন্তু এই বই এ অনেক কিছু জানতে পারলাম। আল্লাহ এই বইয়ের লেখক, অনুবাদক, প্রকাশককে উত্তম প্রতিদান দান করুন, আমিইন।

    মুদ্রণ মূল্যঃ২৪০ টাকা
    ওয়াফিলাইফ দিচ্ছেঃ ১৪৪ টাকায়
    ওয়াফিলাইফ এর পেইজে বইটি পেতে এই লিনক আপনাকে সাহায্য করবেঃ
    https://www.wafilife.com/shop/dr-roshid-hailazam/khadija-prothom-musolman-ebong-sesh-nobi-muhammad-sm-bibi/

    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    মুহাম্মাদ রুবেল মিয়া:

    বইয়ের নাম: প্রথম মুসলমান ও শেষ নবী মুহাম্মদ সা. এর বিবি হযরত খাদিজা রাযি.
    লেখক: রাশিদ হাইলামায
    অনুবাদ: মুহাম্মদ আদম আলী
    মুদ্রিত মূল‍্য: ২৪০ টাকা
    পৃষ্ঠাসংখ‍্যা: ১৪৪
    প্রকাশনী: মাকতাবাতুল ফুরকান

    যারা মডেল,মানুষ সাধারণত তাদেরকেই অনুসরণ করতে চায়।
    এই মডেল যদি হয় সত‍্যিকার অর্থেই আদর্শবান,তাহলে তার অনুসারীরাও আদর্শবান হবে।
    আর যদি মডেল হয় বদকার পথভ্রষ্ট,তাহলে তার অনুসারীরাও তেমনি হবে।

    আমাদের মডেল হচ্ছেন সাহাবায়ে কেরাম রাযি.। উনারাই সত‍্যিকার আদর্শবান মডেল। ফলে তাদের অনুসরণ করার মধ‍্যেই কল‍্যান নিহীত।
    তাই আমাদের সাহাবায়ে কেরাম রাযি. সম্পর্কে জানতে হবে এবং সর্বদা তাদেরই অনুসরণ করতে হবে।

    হযরত খাদিজা রাযি. হলেন ইসলামের ইতিহাসের প্রথম মুসলমান এবং প্রথম সাহাবীয়া।
    উনার পুরো জীবনটাই ইসলাম আর ইসলামের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন‍্য কেটেছে।
    তিনি ছিলেন পুত-পবিত্র এক মহিলা। ফলে জাহেলিয়াতের যুগেই তিনি তাহিরা বা পবিত্র উপাধি পেয়েছিলেন।
    মক্কার এই ধনী ব‍্যবসায়ী খাদিজা রাযি. কিভাবে রাসুলুল্লাহ সা. এর বিবি হলেন,কিভাবে তিনি বিনা সন্দেহে ইসলাম গ্রহণ করলেন এবং কিভাবে রাসুলুল্লাহ সা. কে সর্বদা আগলে রাখলেন,তা আমাদের সবার জানা দরকার।

    মহান আল্লাহ তাআলা হযরত খাদিজা রাযি. কে উনার কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ দুনিয়াতেই উনাকে হযরত জিবরিল আ. এর মাধ্যমে সালাম জানিয়েছেন।সুবাহানআল্­লাহ।

    তাই উনার সম্পর্কে জানা প্রতিটা মু’মিন নারী-পুরুষের জন‍্যই জরুরী। এমনকি অমুসলিমদের জন‍্যও।

    উনার সম্পর্কে জানার জন‍্যই একটি আদর্শ বই “প্রথম মুসলমান ও শেষ নবী মুহাম্মাদ সা. এর স্ত্রী খাদিজা রাযি.”।
    বইটিতে হযরত খাদিজা রাযি. এর সংক্ষিপ্ত জীবনী খুব দরদ আর ভালোবাসাপূর্ণ ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে।
    ইতিহাস আর জীবনী প্রেমীদের জন‍্য একটি আদর্শ বই।
    আর সাহাবা প্রেমিকদের জন‍্য চিন্তা ও আদর্শের খোরাক।

    পাঠপ্রতিক্রিয়া:
    আমার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী খাদিজা রাযি. সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। কিন্তু এ সম্পর্কে কোনো বই পাচ্ছিলাম না। অবশেষে আল্লাহ তাআ’লা আমাকে উক্ত বইটির সন্ধান দিলেন।
    আলহামদুলিল্লাহ, বইটি আমার মনের খোরাক জুগিয়েছে। বইটি পড়ে আমি খাদিজা রাযি. এর সংগ্রামী জীবন, ইসলামের প্রতি উনার মহব্বত,নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি সীমাহীন ভালোবাসা ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি।
    এছাড়াও উনার জীবনী থেকে শিক্ষা পেয়েছি কিভাবে কঠিন পরিস্থিতিতেও সত্যকে সঙ্গ দেওয়া যায়,ইসলামের জন্য কষ্ট সহ্য করা যায়,কিভাবে সমাজের বিরুদ্ধে গিয়ে সত্যকে উপলব্ধি ও গ্রহণ করা যায়।
    এভাবে বইটি আমার আত্মিক উৎকর্ষ সাধনে দারুন ভুমিকা রেখেছে।

    বইটি পড়ার প্রয়োজনীয়তা:
    ইসলামপ্রেমী,সাহাবাপ্­রেমী প্রত্যেকটা মানুষের বইটি পড়া উচিত বলে আমি মনে করি।
    কারণ,এই বই থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়ার আছে অনেক কিছু।
    যা পাঠক বইটি পড়লেই বুঝতে পারবেন।
    আল্লাহ তাআ’লা আমাদের সবাইকে বইটি পড়ার এবং এ থেকে শিক্ষা নেওয়ার তওফিক দান করুন,আমিন।

    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    Rizwana Tasnim:

    #ওয়াফিলাইফ_পাঠকের_ভালো_লাগা_জুলাই_২০২০

    বিসমল্লাহির রাহমানির রাহীম

    বইঃ প্রথম মুসলমান এবং শেষ নবী মুহাম্মাদ(সা) এর বিবি খাদিজা রাদ্বিয়ালল্লাহু আনহা।

    মূল লেখকঃ রাশীদ হাইলামায
    অনুবাদঃ মুহাম্মাদ আদম আলী
    প্রচ্ছদ মূল্যঃ ২৪০ টাকা

    বর্তমান প্রজন্ম তো বস্তাপচা,সেকেলে হুমায়নের উপন্যাসের রুপা সাজতে বেশ আগ্রহী। অথচ উম্মুল মুমিনীনদের জীবনী তারা জানতেও আগ্রহী নয়। ছোট্ট একটি নজরকারা মলাটে এক মহীয়সী নারীর জীবনী উঠে এসেছে। স্বয়ং আল্লাহ সুবহানু তা’আলা যাঁকে সালাম জানিয়েছেন। রাসূল(সা) এর দুঃসময়ের সঙ্গী হয়েছেন, পরম মমতার পরশে রাসূলের দুঃখ গুলো সরিয়ে দিয়েছেন। হ্যা, পাঠক বলছি উম্মুল মুমিনীন খাদিজা(রা) এর কথা।

    লেখক পরিচিতিঃ
    লেখকের নাম অনেকেই হয়ত প্রথমবার জানতে পেরেছেন। রাশীদ হাইলামায তুরস্কের অধিবাসী। একজন ইসলামি গবেষক এবং সীরাত লেখক হিসেবে পরিচিত এখন পুরো বিশ্বে। আমেরিকার নিউজার্সি থেকে “তুগরা বুকস” তার অনেকগুলো বই ইংরেজিতে অনুবাদ করে প্রকাশ করেছে।

    বই বিষয়ঃ প্রিয় পাঠক, শিরোনাম দেখে নিশ্চয়ই আন্দাজ করেছেন বইটি কাকে নিয়ে লেখা, কি বিষয়ে লেখা। উম্মুল মুমিনীন খাদিজা(রা) এর জীবনী নিয়ে বইটি। তাঁর জন্ম,কার বোন, সংসার জীবন, সংগ্রাম, বিদায় যাবতীয় কথন উঠে এসেছে ছোট্ট একটি বইতে। অনেকের সন্দেহ হতে পারে ছোটো একটি বইয়ে কীভাবে এতকিছু উঠে আসতে পারে। প্রিয় পাঠক, ছোটো বই বলে অবহেলায় ঠেলে দিবেন না।

    রাসূল(সা) এর অতি প্রিয়,দুঃসময়ের ছায়ার মত পাশে থাকা মানুষটি, চিন্তার কালো মেঘ ছেয়ে গেলে আচল বিছিয়ে সাত্বনা এবং মনে সাহস জুগিয়ে দেবার মত মানুষটি হলেন তাঁর সহধর্মিণী খাদিজা(রা)। তার ব্যক্তিত্ব,সম্মান এবং আভিজাত্য খুব বেশি পরিচিত ছিলো। এজন্য তাকে সবাই “তাহিরা” নামে ডাকত। যার অর্থ হচ্ছে “পবিত্র এবং পরিচ্ছন্ন”। কুরাইশ মহিলাদের মধ্যে তাকে “সারিদা” ডাকা হতো। “যাইদা” নামেও তাকে সম্মোধন করা হতো।

    দামেস্কে সফর শেষে কীভাবে রাসূল(সা) এর সাথে বিয়ের আয়োজন,পরিবার পরিজন, শান্তির ঘর, প্রথম মুসলিম হওয়া,ফেরেশতার সাথে সাক্ষাৎ,রাসূলের প্রতি পদক্ষেপ অনুসরণ, অবশেষে অমোঘ মৃত্যুর মধ্যে দিয়ে চির বিদায়। প্রত্যেকটি ঘটনা হৃদয় ছোঁয়া ভাবে বইটিতে উঠে এসেছে। আলহামদুলিল্লাহ।

    বইটি ভালো লাগার কারণঃ
    প্রিয় পাঠক, আপনার কি ভালো লাগবে না একজন মহীয়সী নারীর জীবন কথন পড়তে। যাঁর নসিব হয়েছে রাসূল(সা) এর সহধর্মিণী হওয়ার, যাকে স্বয়ং আল্লাহ সুবহানু তা’আলা উচ্চ মর্যাদা দান করেছেন তার সম্পর্কে জানতে পারছেন চোখ ধাঁধানো একটি মলাটে আপনার কি ভালো না লেগে পারে!!

    আমার তো পুরো বইটিই ভালো লেগেছে। তবুও কিছু উল্লেখ করি।
    ১)ছোট একটি মলাবদ্ধে আমি এক মহীয়সীকে জানতে পেরেছি।
    ২) তাঁর চলন, চরিত্র, ব্যক্তিত্ব, সংসার জীবন,স্বামীর প্রতি অনুরাগ সম্পর্কে জানতে পেরেছি।
    ৩) সুন্দর ভাবে প্রতি পৃষ্ঠায় রেফারেন্স উল্লেখ করা হয়েছে।
    ৪) সব মিলিয়ে বইটি আমার পথ চলার এক অন্য রকম দিশা দিয়েছে।

    পাঠ্যানুভূতিঃ হেদায়াত পাওয়ার পর যখন আশেপাশের মানুষের কথায় রবের নেয়ামত,দয়া হতে ছিটকে যাচ্ছিলাম তখন বইটি পড়েছি নিজের মনোবলকে শক্ত করার জন্য। বইটিতে মাঝে মাঝে চোখ বুলাই। ছোটো একটি বই ছিলো এবং আছে আমার প্রেরণার এবং মনোবলের উৎস হয়ে। যতবার পড়ি মুগ্ধতায় হৃদয় পুলকিত হয়ে ওঠে। নিজেকে বিচার করতে সহজ হয়। প্রিয় পাঠক, সব শেষে বলবো এটি একটি অসাধারণ বই।

    বইটি কারা এবং কেনো পড়বেনঃ
    বইটি নারী-পুরুষ উভয়েই পড়বেন এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। বোনেরা পড়বেন এজন্য যে তিনি কেমন ছিলেন আর আপনি আমি কেমন!! নিজেকে বিচার করার জন্য। আর ভাইয়েরা পড়বেন মা,বোন, স্ত্রী আর কন্যাকে সুপথে পরিচালিত করার জন্য।
    আর এছাড়াও জানতে কি ইচ্ছে করে না! যে রাসূলের স্ত্রী কেমন ছিলেন!
    সুতরাং সকলেই পড়ুন।
    আল্লাহ সুবহানু তা’আলা লেখক,অনুবাদক এবং প্রকাশনি সংশ্লিষ্ট সকলকে নেক হায়াত দান করুন।

    বইটি সম্পর্কে জানতে নিম্নের লিংকে ভিজিট করুন
    https://www.wafilife.com/shop/dr-roshid-hailazam/khadija-prothom-musolman-ebong-sesh-nobi-muhammad-sm-bibi/

    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top