মেন্যু
tomake valobasi he nobi

তোমাকে ভালবাসি হে নবী

প্রকাশনী : দারুল কলম
ইতিহাসের মানদন্ডে এর চেয়ে উচ্চস্তরের গ্রন্থ রচনা করা সম্ভব ছিলো,তবে এটা অসম্ভব যে,কোন অমুসলিম লেখক ভক্তি-ভালবাসার,এর চেয়ে সুন্দর কোন উপঢৌকন দরবারে নববীতে পেশ করতে পারবেন।টাই এই গ্রন্থের সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্য।কিতাবটি পড়লে... আরো পড়ুন
পরিমাণ

90 

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
Get it on Google Play

8 রিভিউ এবং রেটিং - তোমাকে ভালবাসি হে নবী

5.0
Based on 8 reviews
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    Mst Halima Akter:

    আফসোস হয়! বড়ই আফসোস হয়!
    আমরা নাকি মুসলমান! আমরা নাকি নবী প্রেমিক! অথচ, আমরা গুরুদত্ত সিং এর মতো নবী (সাঃ) কে জানতে পারি নি। মাষ্টার ডিগ্রি করছেন বড় বড় সার্টিফিকেট অর্জন করছেন ঠিকই, জীবনে কয়বার, কয়টি সিরাত (নবীর জীবনী) পড়ছেন। আপনি নবী (সাঃ) কে জানলেন ই না আবার দাবি করেন নবী প্রেমিক। এটা ফাঁপা বুলি, ভণ্ডামি, চরম মূর্খতা।

    আসা যাক মূল কথায়,
    তোমাকে ভালোবাসি হে নবী (সাঃ)
    গ্রন্থটিতে অতি সংক্ষেপে নবীজি (সাঃ) এর জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন। এটি অবশ্য পূর্ণাঙ্গ সিরাত গ্রন্থও নয়। কিন্তু, লেখকের আবেগ জড়িত লেখা, হৃদয়ের আকুতি বইটিকে করেছে অন্যান্য।

    জাহেলিয়াতের যুগ! মিথ্যা যেখানে ছিল মামুলি বিষয়। সেই যুগেই সত্যবাদী খেতাব পান তিনি (সাঃ)। সকলের প্রিয়, শ্রদ্ধা ও স্নেহের ছিলেন আব্দুল্লাহ পুত্র মুহাম্মদ (সাঃ)। কাফের, মুশরিকদের একমাত্র বিশ্বস্ততা জায়গা ছিল এখানে। তিনি ছিলেন তাদের অতি আপন।

    তবে, হুট করে এ কি হল!
    হঠাৎ আপন সবাই এরকম আচরণ করছে কেন?
    নিজ গোত্রের লোক, এমনকি কাফের, মুশরিকরা যাকে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করত, নির্দ্বিধায় যার কাছে আমানত রাখত, তিনি কিছু বললে নির্ঝঞ্ঝাটে তা সত্য হবে বলে বিশ্বাস করত।
    তাকেই আজ সবাই মিথ্যেবাদী বলে বেড়াচ্ছে!
    কেন? কি তার (সাঃ) অপরাধ?

    তার (সাঃ) এর অপরাধ একটাই তিনি জাহেলিয়াতের সকল শিরকি কার্যক্রম কে ভাগাড়ে ফেলে তাওহীদে বিশ্বাস ও দাওয়াত দেওয়া শুরু করেছেন। এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, সকল মিথ্যা রব’দের অস্বীকার ও মানুষদের আল্লাহর দ্বীনে দাওয়াত ই ছিল তার (সাঃ) একমাত্র অপরাধ। যার দরুন বিশ্বস্ততায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মানুষ টা সবার কাছে হয়ে যান মিথ্যেবাদী, হাসির পাত্র।

    যিনি ছিলেন তাদের কাছে অতি স্নেহের তার প্রতিই তাদের এ কেমন পাশবিক আচরণ!
    সিজদারত অবস্থায় তার উপর পঁচা নাড়িভুঁড়ি চাপিয়ে দেওয়া, হত্যার চেষ্টা, পাথরের আঘাতে রক্তাক্ত করা এমন আরো অনেক অমানবিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি (সাঃ)। তবুও তিনি তার মত থেকে, আল্লাহর দ্বীন থেকে চুল পরিমাণ সরে যান নি। কাফেররা যখন নারী, নেতৃত্ব ইত্যাদির লোভ দেখাতে শুরু করলো, তখন তিনি বললেন “আমার এক হাতে চন্দ্র আর এক হাতে সূর্য এনে দিলেও আমি এ পথ থেকে বিপথ হব না”
    কাফেররা কুরাইশদের সাথে সব ধরনের ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। যার ফলে না খেয়ে, পেটে পাথর বেধে থেকেছেন বছরের পর বছর।

    কেন তিনি এরকম করছেন, এ উদ্যম মনোবল, দৃঢ়চেতা মনোভাবের পিছনের শক্তি কি? কেই বা এই সাহসীর সাহসের অনুপ্রেরণা দাতা?

    বিস্তারিত জানতে আপনাকে পড়তেই হবে। এটা বা অন্য কোনো সিরাত গ্রন্থ। তবে যারা আগে কোনো সিরাত গ্রন্থ পড়েন নি, তাদের জন্য এটা কার্যকরী হবে বলে আমি মনে কর।

    5 out of 5 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    abraramin2522005:

    রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জিবনী লিখেছেন এক হিন্দু! শুধু লেখেননি, প্রতিটা কথায় রাসূলের প্রতি অতুলনীয় আবেগ ঢেলে দিয়েছেন। রাসূলের প্রতি তাঁর সে কি ভালোবাসা। রাসূলের প্রসংশায় লোকটা একেবারে পঞ্চমুখ। আফসোসের সাথে বলতে হচ্ছে, রাসূলকে এতটা ভালো অনেক মুসলমানও (!) বাসে না, যতটা ভালোবেসেন এই বিধর্মী! এতটা আবেগ দিয়ে সীরাত লিখেছেন ইনি যে পড়ার সময় আমি কয়েকবার লেখকের নাম চেক করেছি, কার লেখা পড়ছি, একজন হিন্দুর, নাকি কোনো মুসলিমের?

    রাসূলের উদ্দেশ্যে হৃদয় উজার করে সুবিশাল একটা কবিতা লিখেছেন বইয়ে শুরুতেই। কবিতার প্রতিটা পঙক্তিতে রাসূলের প্রতি তাঁর সীমাহীন দরদ উথলে উঠছে। মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় এক শ্বাসে কবিতাটা পড়ে গিয়েছি। এরকম দরদমাখা কবিতা পড়বার পর আমার বিস্মিত হবার ক্ষমতা নষ্ট গিয়েছিল। আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল যে এটা কোনো হিন্দুর লেখা। একজন হিন্দু কীভাবে রাসূলকে এতটা ভালোবাসতে পারে?

    বইটি পড়বার সময় আমি যেমন হতবাক হয়েছিলাম, আমার চেয়েও দিগুণ আশ্চর্যান্বিত হয়েছিলেন আদীব হুজুর (বইটির অনুবাদকের উপনাম, মূল নাম আবু তাহের মিসবাহ) কারণ তিনি পড়েছিলেন লেখকের নিজের ভাষায়। আমার পুরো বিশ্বাস আছে আদীব হুজুরের কলমের প্রতি। যেহেতু উনি অনুবাদ করেছেন, তাই আমি বইটা পড়া শুরু করেছিলাম। আর বইটা পড়তে গিয়ে এক হিন্দুর রাসূলের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখে হতবাক হচ্ছিলাম। আমি জানি, আদীব হুজুরের অনুবাদ পড়া মানে লেখকের নিজের ভাষায়েই পড়া। কিন্তু আদীব হুজুর নিজেই স্বীকার করেন— লেখকের প্রতিটি শব্দ যেই পরিমাণ আবেগে টইটম্বুর ছিল, অনুবাদ করার সময় তা অনেকাংশে ঝরে পড়েছে।

    বইয়ের প্রতিটি লাইন প্রিয় রাসূলের প্রতি অতুলনীয় আবেগে মাখা। প্রতিটি বাক্যে রাসূলের প্রতি ভালোবাসা ঝরে পড়ছে। আমি এখন পর্যন্ত যত সীরাত পড়েছি, তন্মধ্যে রাসূলের প্রতি এত আবেগময় সীরাত আর একটা পাইনি। হায়! হিন্দু হয়ে লোকটা রাসূলকে যতটা ভালোবাসল, আমরা মুসলিম হয়েও ততটা ভালোবাসতে পারলাম না।

    7 out of 7 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    humayun126224:

    খুব অল্প লেখক-ই এমন ভাব প্রকাশ করতে পারেন। যদিও লেখক মুসলিম নন, কিন্তু আমি আশ্চর্য হয়েছি তার এমন মমতা নিয়ে রাসুল (স.) এর জীবনি তুলে ধরায়।
    বইটি পড়ে আবেগ-আপ্লুত হওয়া আমার কাছে মনে হয় স্বাভাবিক। তাই স্বভাবতই আবেগ-আপ্লুত হয়েছি।
    তাই ভাবছি অনুবাদ যদি এমন হয়, তবে কে জানি এর আসল কপিটি কেমন ছিল!
    3 out of 3 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    মোহাম্মদ ওমর:

    বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
    ______________________

    “হে আহমদ!তোমার প্রেমে এ অধম হিন্দুস্তানীর কোমল হৃদয় যে ক্ষত-বিক্ষত!অনুগ্রহ করে তাতে সান্ত্বনার শীতল পরশ বুলাতে এসো না প্রিয়তম!চৌদ্দশ বছর সাক্ষী!কোন ইউসুফ কোন মিশরে তোমার মতো প্রেম-সমাদর পায়নি।কেননা,তোমাতেই শুধু ঘটেছে বিধাতার অপরূপ রূপ-মহিমার অপূর্ব প্রকাশ।তাই হাজার বছরের ব‍্যবধানেও কোন পাষান এড়াতে পারে না তোমার স্বর্গীয় জ‍্যোতির্ময়তার হাতছানি।”
    -গুরুদত্ত সিং

    ______________________

    সত‍্যের আলো ছড়াতে,পুণ‍্যের পথ দেখাতে এক মহামানবের আবির্ভাব হলো।তাঁর শুভ দর্শনে দৃষ্টি যাদের প্রেমমুগ্ধ হলো,জীবন-স্বপ্ন তাদের সফল হলো।এ পরশমণির পরশ সৌভাগ্য যারা লাভ করলো,খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি তারা হলো।এ স্বর্গ-পুষ্পের সান্নিধ্য-সৌরভ যারা পেলো বিশ্ব-বাগানে তারা গোলাবের খুশবু ছড়ালো।
    কে তিনি!যার দর্শন লাভে পাষানের বুক চিরে হেদায়াত প্রবেশ করে।অতপর ওই হেদায়াতের আলোয় পাষান খাঁটি সোনার চেয়েও খাঁটি হয়ে ওঠে!
    তিনিতো সেই মেষ পালক আরব বালক যিনি জন্মের পর পিতার চেহারা দেখতে পান নি।স্নেহময়ী মাতা আর দাদাকেও হারিয়েছিলেন বাল‍্য বয়সেই।
    যার সত‍্যবাদিতা আর বিশ্বস্ততার কথা ছড়িয়ে পড়েছিল আরবের উপত্যকা থেকে উপত্যকায়‌।
    যিনি নিয়ে এসেছিলেন হেদায়াতের বার্তা।যার স্পর্শ পেয়ে ঝগড়া-বিবাদে পরিপূর্ণ ইয়াসরিব হয়ে উঠেছিল সোনার মদিনা।
    যিনি অন‍্যায়ের পতন এবং ন‍্যায় ও সত‍্যের জন‍্য লড়াই করেছেন।
    তিনিতো সকলের প্রিয় প্রেমাস্পদ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।যিনি শুধু প্রত‍্যেকটা মুমিনের চোখের জ‍্যোতিই নন;প্রতিটা মানুষের,প্রতিটা প্রানীর জন‍্য রহমত।
    তাইতো মুসলিম-অমুসলিম সকলেই উনার জীবন নিয়ে আলোচনা করেছেন।হতে চেয়েছেন ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ব‍্যক্তির প্রেমিক হওয়ার গর্বিত কাফেলার সদস‍্য।
    তেমনি একজন অমুসলিম-নাম তার গুরুদত্ত সিং-লাহোর হাইকোর্টের বার-এট-ল;তিনিও ভালোবাসাপূর্ন ভাষায়,হৃদয়ের গভীর থেকে উর্দুভাষায় এক নবী জীবনী রচনা করেছেন।
    নাম তার “রাসুলে আরাবী”।
    বইটির বাংলা অনুবাদ করেছেন আমাদের সবার প্রিয় ব‍্যক্তি,বাংলা সাহিত্যের গর্ব মাওলানা আবু তাহের মেছবাহ সাহেব।

    বইটির বাংলা অনুবাদের নাম:তোমাকে ভালোবাসি হে নবী
    প্রকাশনায়:দারুল কলম

    নাম দেখেই বইটির মহত্ত্ব বুঝা যায়।একজন অমুসলিম ব‍্যক্তি কিভাবে নবীপ্রেমের এক নিদর্শন প্রকাশ করেছেন বইটি পড়লেই তা বুঝা যায়।
    মাওলানা আবু তাহের মেছবাহ সাহেবের ভাষায়

    “এক কথায় অপূর্ব।যেমন ভক্তি-ভালোবাসার আবেগ উচ্ছ্বাস,তেমনি ভাষা ও সাহিত্যের ছন্দময় প্রকাশ।বইটির প্রতিটি পাতায় পাতায় নবীপ্রেমের একটি ঝর্ণাধারা যেন কল্লোল ধ্বনি তুলে বয়ে চলেছে।”

    তাই নবীপ্রেমীকদের প্রতি আহ্বান বইটি একবার পড়েই দেখুন।দেখুন একজন অমুসলিম ব‍্যক্তি কিভাবে তার নবীপ্রেমের অনুভূতিকে সাহিত‍্যের ভাষায় অম্লান করে তুলেছেন।
    সেই প্রত‍্যাশায়….

    ______________________

    একটি বিশেষ সতর্কতা:
    বইটি যেহেতু একজন অমুসলিম ব‍্যক্তি লিখেছেন তাই বইটিতে ভুল-ত্রুটি থাকাই স্বাভাবিক।তাই পাঠকদের প্রতি অনুরোধ,বইটি পড়ার আগে একজন মুসলিম লেখকের দ্বারা রচিত সীরাত অর্থাৎ নবী জীবনী পড়ে নিন।
    সীরাত পড়া না থাকলে বইটি পড়বেন না।

    আল্লাহ মুসলমানদের বইটি থেকে জ্ঞান নেয়ার তওফিক দান করুন,আমিন।

    2 out of 3 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  5. 5 out of 5

    shafiqulislam29456:

    গ্রন্থ-আলোচনা:-‘তোমাকে ভালবাসি হে নবী!’-একটি সংক্ষিপ্ত সীরাত গ্রন্থ। ‘সীরাত’। অন্তরে অদ্ভুত এক ভালো লাগার অপূর্ব তরঙ্গ সৃষ্টি করে। আলোচ্য বইটিতে রয়েছে চারটি অধ্যায়। তার সাথে যুক্ত হয়েছে ‘হৃদয়ের আকুতি’-নামক ভিন্ন আরেকটি অধ্যায়।

    ★হৃদয়ের আকুতি:-আরবের সৌভাগ্য আর ভারতের দুর্ভাগ্য, এ নিয়েই লেখক রচনা করেছেন, ‘হৃদয়ের আকুতি’-নামক অধ্যায়। মহানবীর জম্মে আরব সৌভাগ্যবান হয়েছে। অন্যদিকে দূর্ভাগা হয়েছে ভারতভূমি। যে ভারতে এত ঋষি-মহাঋষির আগমন সে ভারতভূমি মহানবীকে না পাওয়ায় ভক্তের তীব্র আক্ষেপের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে এ অধ্যায়ের প্রতিটি লাইনে। বই থেকে উল্লেখ করছি এ অধ্যায়ের খণ্ডাংশ…

    “হে বালু সাগরের ‘আরবিস্তান’! বিশ্ব মানচিত্রে একদা তুমি এমনই অখ্যাত অবজ্ঞাত ছিলে যে, সভ্য জগত জানতো না, আরব নামের কোন দেশ আছে, আর সেখানে মানুষর সমাবেশ আছে, অথচ বিশ্ব আজ তাকিয়ে আছে তোমার পানে কী বিপুল বিস্ময় নিয়ে! তোমার প্রেমে কাতর নয় কোন্ সে মন! তোমার দর্শন-পিপাসু নয় কোন্ নয়ন! এবং তোমার আশীর্বাদের ভিখারী নয় কোন্ সে রাজা! কোন্ সে রাজ্য!…”

    →→এরপর প্রথম অধ্যায়ে প্রিয়নবীর জম্মের পূর্ব থেকে বিবাহ পর্যন্ত আলোচনা করা হয়েছে। মুহাম্মদ-এর পিতা আব্দুল্লাহ অসুস্থ হয়ে ইন্তেকাল করেন ব্যবসায়িক কাজ শেষ করে ফিরতি পথে। স্বামীকে হারিয়ে মুষড়ে পড়েন আমিনা। এরমধ্যে ঘর আলো করে পুত্র মুহাম্মদের জম্ম। এভাবে এগিয়ে চলা।…

    আবারও প্রিয়নবীর জীবনে আসলো শোক। হারালেন মা’কে। এর কয়েক বছর পর দাদাকেও। এ যেন শোকের ওপর শোক। এরপর চাচা আবু তালিব দায়িত্ব নিলেন আপন ভাতিজা ‘মুহাম্মদ’ -এর। একসময় হলো ব্যবসায় হাতে খড়ি। খাদিজা মুগ্ধ হলেন মুহাম্মদ-এর সততা, ন্যায়-পরায়নতা, বিনয় ও ভদ্রতা দেখে। প্রস্তাব এলো খাদিজার পক্ষ হতে। কবুল করলেন মুহাম্মদ। হলো ‘বিবাহ’।

    →→দ্বিতীয় অধ্যায়ে নবুওয়তের পূর্বাভাস থেকে তায়েফ গমন ও সেখান থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত আলোচনা করা হয়েছে।

    ‘পড়, হে মুহাম্মদ!’ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ধ্যানমগ্ন অবস্থায় শুনতে পেলেন এই অদৃশ্য নির্দেশ।

    এভাবে তিনি নবী হলেন। আল্লাহ তাআলা তাকে রাসূল হিশেবে মনোনীত করলেন। সর্বপ্রথম খাদিজা ইসলাম গ্রহণ করে ধন্য হলেন। একসময় প্রকাশ্যে দাওয়াতের কাজ শুরু হলে কোরেশের অসহনীয় নির্যাতন সহ্য করলেন আল্লাহর প্রেরিত দূত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। কোরেশরা যখন দেখলো এভাবে দমানো যাবে না মুহাম্মদ-কে, তখন প্রলোভন দেখাতে লাগলো। যিনি এসেছেন বিশ্ব জগতের মালিক আল্লাহ তাআলার দিকে মানুষকে আহ্বানের জন্য, তিনি কি এ প্রলোভনে প্রলোভিত হন! কক্খনও নয়। এবার তায়েফের পথে চলা।…

    সেখান থেকে ফেরা এবং পুণরায় কোরেশের বাঁধা।…

    →→তৃতীয় অধ্যায়ে মদীনা হিজরত থেকে খন্দক যুদ্ধ পর্যন্ত আলোচিত হয়েছ।

    আল্লাহ তাআলার আদেশে মদীনার পথে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। নবীর শুভাগমনে মদীনায় শুরু হলো আনন্দ উৎসব।

    এছাড়া এ অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে:-

    ★জিহাদ কী ও জিহাদ কেন?
    ★বদর যুদ্ধ
    ★বদরে বন্দীদের সাথে মুসলমানদের আচরণ
    ★অহুদ যুদ্ধ
    ★অহুদ যুদ্ধে প্রিয়নবীর জন্য সাহাবায়ে কেরামের আত্মত্যাগ।

    →→চতুর্থ অধ্যায়ে হোদায়বিয়ার সন্ধি থেকে অন্তিম মুহূর্ত পর্যন্ত আলোচিত হয়েছে।

    এ অধ্যায়ে যে সমস্ত বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে:-
    ★হোদায়বিয়ার সন্ধি
    ★মক্কা অভিযান
    ★বিদায় হজ
    ★অন্তিম মুহূর্ত।

    পাঠ-প্রতিক্রিয়া:-

    ভালো-লাগা:-‘তোমাকে ভালবাসি হে নবী!’- আগ্রহ জাগানোর জন্য এ নামই যথেষ্ট। লেখকের নাম দেখে আগ্রহ বাড়ে আরও কয়েকগুণ। বইটি বাংলায় রূপায়ণ করেছেন আবু তাহের মিছবাহ। অনুবাদ খুব ঝরঝরে এবং সাবলীল। মনে হয়নি কোনো অনুবাদ গ্রন্থ পড়ছি। বরং লেখকের মৌলিক গ্রন্থ বলেই অনুভত হয়েছে। পড়ার সময় প্রচণ্ড আবেগাপ্লুত হয়েছি। হৃদয় তরঙ্গে অদ্ভুত এক জোয়ার অনুভব করেছি। কখনও পড়তে পড়তে কেঁদেছি, কখনও কাঁদতে কাঁদতে পড়েছি। আর ভেবেছি, যিনি এত সুন্দর করে এত আবেগ মিশিয়ে প্রিয়নবীর জীবনী লিখতে পারেন, তিন কীভাবে মুসলমান না হয়ে থাকতে পারেন!

    √√বইয়ের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক:- কোনোকিছু নিয়ে অভিযোগের তেমন সুযোগ নেই। অনুবাদ সাবলীল। প্রচ্ছদ সিম্পল, তবে অসাধারণ। বাইন্ডিং চমৎকার। ছাপা একটু অস্পষ্ট ছিলো। যা আরেকটু ভালো হতে পারতো। তবে দাম অনুযায়ী সবকিছু মিলিয়ে অসাধারণ মনে হয়েছে।

    7 out of 8 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top