মেন্যু
totto chere jibone

তত্ত্ব ছেড়ে জীবনে

পৃষ্ঠা : 208, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 2nd Published, 2013
আইএসবিএন : 9789843375889, ভাষা : বাংলা
ডাক্তার হোক কিংবা ইঞ্জিনিয়ার, হিসাবরক্ষক কিংবা অফিস সহকারী; চাকুরীর জন্য যেখানেই যাবেন সিলেকশন বোর্ড আগেই দেখতে চাইবেন ‘অভিজ্ঞতা ঝুলিতে কী আছে’? হ্যা, এটা অস্বাভাবিকও নয়। কারণ, পুথিগত বিদ্যা যতোই থাক... আরো পড়ুন
পরিমাণ

187  250 (25% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
Get it on Google Play

3 রিভিউ এবং রেটিং - তত্ত্ব ছেড়ে জীবনে

5.0
Based on 3 reviews
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    Abdullah:

    মা শা আল্লাহ!
    অসাধারণ একটি বই।
    চিন্তার ভিত নাড়িয়ে দিবে আপনার।
    Must Read.
    1 out of 2 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. rupomermail:

    জাযাকাল্লাহু খয়র। আল্লাহ্‌ আপনার ইলমে এবং আমলে বারাকাহ দিক। আপনার ক্রয়কৃত বইগুলোকে দুনিয়া ও আখিরাতের সাফল্যের ওছিলা বানিয়ে দিক।
  3. 5 out of 5

    SHOHAN:

    শুধু টাকা দিয়ে বইয়ের কাগজ মাপা যায়য় ঠিকই কিন্তু বইগুলোর জ্ঞান মাপা সম্ভব নয়। আমি wafi-Life থেকে বেশ কয়েকটা বই কিনি, প্রায়-১২-১৩ টা সবগুলো বই আমার মন কেড়েছে।আমার মনে হয় ওয়াফি-লাইফ ভালো বইগুলো যাচাই করে বইগুলো তাদের ওয়েবসাইটে আনে। কারণ, আমি এই পর্যন্ত একটি বইও এমন পাইনি যে বই জ্ঞান ছাড়া অন্য কোনো কথা বলেছে। এই ওয়েবসাইটের সন্ধান পেয়ে আমি নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি, এবং এই বইগুলোর ডিলেভারি অনেক সুন্দর করে প্যাকেট করায় বইগুলো নতুন অবস্তায় পাওয়া যায়। ইসলামের জ্ঞান বাড়ানোর জন্য এটি একটি অসাধারণ ওয়েবসাইট।
    9 out of 9 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    Hasansifat1996:

    সাল ২০১৬ । দ্বীনের পথে গুটিগুটি পায়ে হাঁটতে শিখেছি মাত্র । এখন যেমন অনলাইনে প্রচুর ইসলামি বইয়ের গ্রুপ আছে, সে সময়টাতে ছিল না । কয়েকটা ছিল বোধহয় । কিন্তু সেগুলোর নামগন্ধও জানতাম না । জানবোই বা কিভাবে ! তখনতো আমি জাহিলিয়াতের গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে বেড়াচ্ছিলাম । গান-মুভির রিভিউ দেয়া গ্রুপ/পেইজ গুলোর সাথেই ছিল আমার এক্টিভিটি । তবুও কিভাবে কিভাবে যেন একটা বইয়ের সন্ধান পেলাম । নাম– “তত্ত্ব ছেড়ে জীবনে” ।
    সেক্যুলার প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে, তাদের ধ্যান ধারনায় বড় হওয়া এই আমাকে সেদিন প্রচন্ড জোড়ে ধাক্কা দিয়েছিলো একটা বই । বইটির নাম– “তত্ত্ব ছেড়ে জীবনে” ।
    ক্যাম্পাসের সেই অস্থিতিশীল পরিবেশেও স্রোতের বিপরীতে চলতে সাহস জুগিয়েছে একটা বই । নাম— “তত্ত্ব ছেড়ে জীবনে” ।

    বইটা প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১১ সালে ।
    প্রকাশিত হওয়ার সালটা দেখে আফসোস করেছিলাম । কেন আরো ৫ বছর আগে বইটা হাতে এলো না !

    বইটা যখন পড়ছিলাম, মনে হচ্ছিলো আমার এতদিনের করা ভুলগুলো চোখে আঙুল দিয়ে কেউ দেখিয়ে দিচ্ছে । চিন্তাশীল অন্তর নিয়ে, পুরো বইটা পড়েছি । ইসলামের আদেশ-নিষেধ, অনুশাসনগুলোর সাথে আমার বাস্তব জীবন কীভাবে সম্পৃক্ত, মুসলিম হিসেবে আমার কী করার কথা আর আমি কী করছি– এই ব্যাপারগুলো আমাকে ভাবাতে বাধ্য করেছে এই বই ।

    ২০৮ পৃষ্ঠার বইটিতে ছোট-বড় মোট ৩৯ টি প্রবন্ধ রয়েছে । প্রতিটি আর্টিকেলে ছিল নতুনত্ত্বের ছোঁয়া । ইখলাসপূর্ন লেখা ।
    আমার প্রিয় কয়েকটা প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করছি—
    =
    ★ শুভ জন্মদিন
    ““““““““““““““
    নিজের জন্ম তারিখের প্রতি সবারই একটা আলাদা টান থাকে । বিশেষ করে ফেসবুক আসার পর এ টান আরো বেশি বেড়ে গেছে । আমিও এর ব্যাতিক্রম ছিলাম না । ফ্রেন্ডলিস্টের সব বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানাতাম । ভার্সিটিতে বন্ধুদের জন্মদিন পালনেও অংশ নিতাম । কিন্তূ এই অধ্যায়টা পড়ার পর “জন্মদিন পালন” করা সম্পর্কে আমার পুরো ধারনাই পাল্টে গেছে । জাহিলিয়াতের ঘোর কেটে বাস্তবতায় ফিরে এসেছিলাম । এই আর্টিকেলটি পড়ার পর “শুভ জন্মদিন” নামক শব্দটা আমার কাছে নেহায়েত নাটুকেপনা হিসেবে মুখোশ উন্মোচন করলো ।

    ★ পয়লা বৈশাখের বাঙালিত্ব
    “““““““““““““““““““““`
    ছোটবেলা থেকে মিশনারী স্কুলে পড়ার কারনে বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছি । আর সেটা বুঝতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে । সেই স্কুল জীবনেই হাতে খড়ি হয়েছিল “আমি আগে বাঙালি তারপর অন্যকিছু”—এই সেক্যুলার ধারনার । বিশ্বাস করুন,আমার এই সেক্যুলার ধ্যান ধারনা পাল্টে গেছে এই অধ্যায়টা পড়ার পর ।

    ★ শারদীয় শুভেচ্ছা
    “““““““““““““““
    আমার বেশ কিছু হিন্দু বন্ধু ছিল । শুধু বন্ধু বললে ভুল হবে, একদম ঘনিষ্ঠ বন্ধু । অবশ্য এখন আর সেই ঘনিষ্ঠতা নেই । আছে, নামে মাত্র বন্ধুত্ব । ওদের সাথে কাটানো দিনগুলো মনে পরলে আফসোস হয় । আমি তো প্রায়ই পথভ্রষ্ট হয়ে যাচ্ছিলাম । আল্লাহই আমাকে পথ দেখিয়েছেন । দূর্গাপূজায় ওদের সাথে মন্দিরে গিয়েছি,,শুভেচ্ছা জানিয়েছি । এগুলো করার একটাই কারন ছিল সেক্যুলার শিক্ষার বানী,”ধর্ম যার যার উৎসব সবার”–স্লোগানে বিশ্বাসী হওয়া । পরবর্তীতে কিছুটা হেদায়েত পাওয়ার পর পূজা মন্ডপে যেতাম না । কিন্তূ কেন যাবো না ? এমনকি শুভেচ্ছাও কেন জানাবো না ? শুভেচ্ছা জানালে ক্ষতি কি ? — এ প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা ছিল না । । সবগুলো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেলাম “শারদীয় শুভেচ্ছা” নামের এই প্রবন্ধে ।

    ★ গান না শুনলেই কি নয়
    ★ এত সুর এত গান
    ““““““““““““““““““““““`
    এই দুটো অধ্যায় গান নিয়ে লেখা হয়েছে ।
    গান বাজনা যে একজন মানুষের মন মেজাজকে কি পরিমান প্রভাবিত করে, আমি নিজেই তার ভয়ংকর এক প্রমান ।
    একটা সময় গান-বাজনা ছাড়া থাকতে পারতাম না । অবস্থা এমন ছিল যে, কবরেও গান শোনার একটা ব্যবস্থা থাকলে ভাল হতো । এই প্রবন্ধ দুটো পড়ার পর, আল্লাহ্ করুনা করে আমাকে এই জঘন্য মনোভাব থেকে বের করে এনেছেন । এরপর একদিন মেমোরী কার্ড থেকে সমস্ত গানের শিকড়সহ উপড়ে ফেলে দিয়েছিলাম ।
    লেখক এই দুটো অধ্যায়ে কয়েকটা গানের কথা উল্লেখ করেছেন । যার মধ্যে কয়েকটাই আমার প্রিয় ছিল । কিন্তূ গানগুলোর কথা এতটাই ভয়াবহ শির্ক মিশ্রিত যে,এই বইটা না পড়লে আমি হয়তো কখনো জানতামই না । যারা আমার মতো গানের অন্ধ পাগল তাদের অবশ্যই এই অধ্যায় দুটো চিন্তাশীল অন্তর নিয়ে পড়া উচিত ।

    ★ শয়তান
    “““““““““`
    আমাদের প্রকাশ্য শত্রু ‘ইবলিস’ কে নিয়ে এই অধ্যায়টি । আদম (আ.) কে সিজদা দিতে অস্বীকার করায় ইবলিস যে অন্যায়গুলো করছে সেগুলোকে লেখক ৭টি পয়েন্টে দেখিয়েছেন । দুঃখের বিষয় যে, আমি সেই ৭টি পয়েন্টের মধ্যে নিজেকে ৬টি পয়েন্টে খুঁজে পেয়েছিলাম । মানে,এই ৬টি অন্যায়-অপরাধ আমি প্রতিনিয়তই করি । এই অধ্যায়টা না পড়লে আমি কখনই জানতাম না যে, ইবলিসের সাথে আমার এত মিল । আল্লাহ্ সংশোধনের পথ দেখিয়ে দিলেন, এই বইয়ের মাধ্যমে ।

    ★ দাড়ি কি রাখতেই হবে
    ““““““““““““““““““`
    দাড়ি রাখা সম্পর্কে অনেক ভুল ধারনা ছিল আমার, সে অজ্ঞতা দূর হয়েছে এই বই পড়ে । দাড়ি রাখতে আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে দুটো বই । তার মধ্যে একটা হচ্ছে– “তত্ত্ব ছেড়ে জীবনে” আরেকটা হচ্ছে– “ডাবল স্টান্ডার্ড” । আল্লাহ্ যেন এই দুই বইয়ের লেখকদেরকে উত্তম প্রতিদান দেন ।

    ★ কাক বাবা-মায়ের গল্প
    ““““““““““““““““““
    এটা বইয়ের একদম শেষ অধ্যায় । এই অধ্যায়ে লেখক ছোট-ছোট ৮টি গল্প লিখেছেন । ৪ নাম্বার গল্পটা পড়ে আমি তো অবাক !! এতো আমারই গল্প !
    গল্পটাঃ–
    মাঃ—কাল থেকে ঘরে দুধ নেই,এনে দিবি বাবা? এক কাপ চা খাব,মাথাটা খুব ধরেছে ।
    ছেলেঃ—কিন্তু মা,কাল যে আমার পরীক্ষা ।
    মাঃ— তাহলে থাক্ । ভালো করে পড় ।
    দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার শব্দে জননীর দীর্ঘশ্বাসটা চাপা পড়ে যায় ।
    ——গল্পটা পড়ার পর আমার চোখে ভাসছিল, কিভাবে প্রতিদিন আমি আমার মায়ের কথার অবাধ্য হই,কত অবিচার করি তার প্রতি । গল্পটা যখন পড়ছিলাম তার কিছুক্ষন পরই রান্নাঘর থেকে আম্মুর ডাক আসে । ফ্রিজ থেকে কি যেন নিয়ে তার কাছে দিয়ে আসতে বলেছিলো । পড়ার মাঝখানে কেউ ডাকাডাকি করলে বিরক্ত লাগে । কিন্তু বিশ্বাস করুন, সেদিন আমি তার ডাকে একটুও বিরক্ত হইনি । সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে তাকে সাহায্য করে দিয়ে এসেছি । আল্লাহ্ আমাদেরকে বাবা-মায়ের প্রতি ধৈর্যশীল হতে সাহায্য করুন ।
    ==============================

    পরিশেষে বলতে চাই,, আমার মতো যারা সেক্যুলার শিক্ষা- প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করে, সেক্যুলার ধ্যান-ধারনায় বড় হয়েছেন তাদের সংগ্রহে অবশ্যই এই বইটা থাকা উচিত । হ্যা, বইতে কিছু ভুল-ত্রুটি রয়েছে । কিন্তু সেগুলো নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাচ্ছি না । যোগ্যতার অভাব । আলিমরা বলবেন সেগুলো নিয়ে । তবে ভুল ত্রুটি গুলোকে একপাশে রাখলে, বইটা সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে খুবই উপকারী । বিশেষ করে আমরা যারা জেনারেল লাইনে পড়াশোনা করেছি তাদের জন্যে । আমার পরিবর্তনের পিছনে যে বইয়ের এতো এতো ভূমিকা রয়েছে, আর যাই হোক সেগুলোকে অস্বীকার করতে পারবো না ।

    অবাস্তব বিষয় গুলো নিয়ে বড় হওয়ার কারনে বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছিলাম । ছোটবেলা থেকে মেনে আসা সব মতবাদ গুলো ছিলো মিথ্যে,ভ্রান্ত । বইটা পড়ার পর এ কথা গুলোই মনে হয়েছে যে,, এত দিন কেন জানিনি ? কেন বুঝিনি ? কেন এভাবে চিন্তা করতে শিখিনি ?
    16 out of 18 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top