মেন্যু
tinii amar Rabb

তিনিই আমার রব

অনুবাদক : আব্দুল্লাহ মজুমদার
সম্পাদক : আবুল হাসানাত কাসেমী, উস্তায আকরাম হোসাইন, উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ
পৃষ্ঠা : 164, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 2nd Edition, 2019
প্রকাশকের কথা:  বইটির রচয়িতা শায়খ আলী জাবের আল ফিফী (হাফিজাহুল্লাহ)। এই বইটি হচ্ছে মহান আল্লাহ সুবাহান ওয়া' তা'য়ালার দশটি মহান নামের ব্যাখ্যা। আল্লাহ রাব্বুল আলা'মীনের দশটি নামকে জীবনের প্রতিটা দৃষ্টিকোণ, প্রতিটা... আরো পড়ুন
পরিমাণ

212  290 (27% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
Get it on Google Play

23 রিভিউ এবং রেটিং - তিনিই আমার রব

5.0
Based on 23 reviews
5 star
95%
4 star
4%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    Shadman Sakib Rummat:

    Alhamdulillah. This book brings you closer to Allah and help you know Him much better. In all aspects of your life you will be able to feel the Almighty Lord if you go through the book. May Allah give baraka to the whole team behind this book.
    8 out of 10 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    বৃষ্টি জলি:

    আল্লাহ আমাদের সৃষ্টিকর্তা। তাঁর অনেকগুলো নাম রয়েছে। এ নামগুলোকে বলা হয় ‘আল-আসমাউল হুসনা’ তথা সুন্দরতম নামসমূহ।
    আল্লাহ তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যবানে আমাদের জানালেন,
    নিশ্চয় আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম আছে, একশটির একটি কম। যে এগুলোকে পূর্ণ ঈমানসহ অনুধাবন করল সে জান্নাতে প্রবেশ করল।
    এ হাদীসে আল্লাহর নিরানব্বইটি নামই আয়োও করার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। এখন এ আয়ওের ধরন কেমন হবে? এর উওরে ইবনুল কায়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন— এটি তিন ভাবে হবে।

    ১. এ শব্দগুলো জানা।
    ২. এগুলোর মর্মার্থ জানতে পারা।
    এগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে চাওয়া এবং এগুলোর দাবি অনুসারে ‘আমল করা’।

    আল্লাহর নান্দনিক নামগুলো হতে পারে ‘ঈমানের বড়সড় একটি দরজা’। এর ভেতর দিয়ে বান্দা এক বিশেষ পবিএ জগতে প্রবেশ করে। যেখানে তার অন্তর আল্লাহর সম্মানে তাকে সিজদা করে এবং তাঁর ভয়ে, বিনম্র ভালোবাসায় তাঁরই অভিমুখী হয়।তাঁর দয়ার ভান্ডার অফুরন্ত। তিঁনি সব কিছু শোনেন, স-অ-ব কিছু দেখেন।

    আল্লাহর নামগুলো না জানলে তো আমরা মরুভূমিতে পথহারা লোকের মতো হয়ে যাব। মরুভূমির গনগনে রোদে আমাদের দিনগুলো, আমাদের প্রাত্যহিক ‘আমলগুলো ঝলসে যাবে। ফলে অন্তরে সারাক্ষণ বিরাজ করবে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ।
    তাই, সবচেয়ে আপনজন হিসেবে আমাদের আল্লাহকেই বেছে নেয়া উচিত। তাঁর উপর ঈমান এনে- তাঁরই সামনে নত হয়ে, লাভ করার চেষ্টা করলে আমরা সুখী হতে পারবো। আমাদের ভাগ্যের দুয়ার খুলে যাবে।

    আল্লাহ তায়ালা’র রয়েছে অসংখ্য গুণাবলি। এই বইটি, আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আনহু এর দশটি গুণবাচক নাম দিয়ে সাজানো হয়েছে। এই গুণবাচক নামগুলির বিস্তারিত বর্ণনা, গুরুত্ব ও তাৎপর্য খুবই চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনি নামগুলো যখন পড়তে শুরু করবেন- কিছু পৃষ্ঠা পড়ার পরেই আপনার চোখের কোণে কখন যে পানির ফোঁটা জমে যাবে টেরই পাবেন না।

    ❄️?❄️ বইটি থেকে কিছু অংশ তুলে ধরছি যেন পাঠকরা বইটি পড়তে আগ্রহী হন—

    ??? অন্তরটা কেবল তাঁর জন্যই রাখুন—
    নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু কে বলেছেন—
    তুমি চাইলে আল্লাহর কাছে চাইবে।
    যখনই আপনার কোনো কিছুর প্রয়োজন হবে, তখন তা যার কাছে চাইবেন— তিনি যেন আল্লাহই হন।
    এক আল্লাহভীরু ব্যাক্তি থেকে আবু হামিদ আল-গাযালী রাহিমাহুল্লাহ একটি কথা বর্ণনা করেছেন— যা আমার খুবই ভালো লেগেছে। সেখানে তিনি আল্লাহর মহান নামের ব্যাপারে বলেছেন, ‘আপনার অন্তরটি আপনি অন্য সব কিছু থেকে শূণ্য করে শুধু আল্লাহর জন্য রাখুন। তারপর তাঁকে যে নামেই ডাকবেন তিনি সাড়া দেবেন।‘
    আপনার ওপর যখন কোনো বিপদ আসে, ধরে নিন সেটি কোনো চিঠি। এ চিঠি আপনাকে বলছে, ‘আপনার একজন রব আছেন। তাঁকেই ডাকুন।‘

    ??? আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আনহু’র একটি গুণবাচক নাম হলো ‘আল-হাফীয তথা মহারক্ষক’।
    মহান রক্ষক তো তিনিই, যার দেওয়া কান দিয়ে আপনি হারাম শোনেন। অথচ মুহূর্তের মধ্যে তা অক্ষম ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তিনি আপনাকে তা ব্যবহার করার সুযোগ দেন।

    মহান রক্ষক তো তিনিই, যার দেওয়া চোখ দিয়ে আপনি হারাম দেখেন। অথচ ক্ষণিকের মধ্যে তাঁর দৃষ্টি কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তিনি আপনাকে তা ব্যবহার করার সুযোগ দেন।

    তিনি আপনার দ্বীনেরও সংরক্ষক। আর এর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য আপনি সিজদায় গিয়ে বলবেন, “হে অন্তরসমূহ ও দৃষ্টিসমূহের পরিবর্তনকারী, আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের ওপর অটল রাখুন।“

    ??? মহান রবের আর একটি গুণবাচক নাম হচ্ছে ‘আশ-শাফী তথা আরোগ্যদাতা।‘
    তিনি আপনাকে আরোগ্য দেন—
    ?️? সামান্য মাধ্যমে,
    ?️? বিস্ময়কর মাধ্যমে,
    ?️? যেটা মাধ্যম না সেটা দিয়েও,
    ?️? আবার কোনো মাধ্যম ছাড়াই।
    মুমিন শুধু চিরজ্ঞীব আল্লাহর কাছেই আশ্রয় নেবে। তিনি বলেছিলেন—
    “ আর যখন আমি অসুস্থ হই তখন তিনিই সুস্থ করেন”।
    আল-কুরআন= ২৬:৮০

    ?♥️? আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আনহু এর আরেকটি গুণবাচক নাম হলো : ‘আশ-শাকুর তথা গুণগ্রাহী।‘
    এক বেদুইনকে বলা হলো, ‘তুমি তো মরবে।‘
    সে বলল, ‘তারপর কোথায় যাবো?’
    ‘আল্লাহর কাছে।‘
    ‘তাহলে যার কাছে কল্যাণ ছাড়া আর কিছুই পাবো না, তাঁর কাছে যেতে ভয় কীসের?’
    আহ, কী অপার্থিব অনুভূতি। আল্লাহর ওপর কত বড় আশা এই বেদুইনের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে। এ ব্যাপারে কুরআনও স্বীকৃতি দিয়ে বলে—
    “তোমাদের যে সব নি’য়ামাত আছে তা আল্লাহর থেকেই”।
    আল-কুরআন= ১৬:৫৩

    সব কিছুই স্বাস্থ্য, টাকা-পয়সা, বিশ্রাম ও সন্তুষ্টি—যা কিছু আপনাকে ঘিরে রেখেছে তার সবই আল্লাহর থেকে।
    “আপনার ওপর আল্লাহর অনুগ্রহ বিশাল”।
    আল-কুরআন= ০৪:১১৩
    আপনি সাকুল্যে ষাট-সত্তর বছর তাঁর ইবাদাত করেন। তার মধ্যে অধিকাংশই আবার কোনো কষ্ট ছাড়া ঘুমিয়ে বা বৈধ (মুবাহ) কাজ করেই। তারপরও তিনি আপনাকে এমন জান্নাত উপহার দেন যেটা আসমান যমীন পরিব্যাপ্ত করে আছে, যে জান্নাতে আপনি বাস করবেন অনন্তকাল।
    না করতেই যিনি এত দিতে পারেন, তাহলে সামান্য করলে তিঁনি ঠিক কতটা দেবেন?

    ?⏳? শেষ করতে চাই, সহীহ মুসলিমের (২৬৬) একটি হাদিস দিয়ে—সুহাইব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
    ‘যখন জান্নাতবাসী জান্নাতে প্রবেশ করবে তখন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা’আলা বলবেন, “তোমরা কি এমন কিছু চাও—যা আমি অতিরিক্ত দেব?” জান্নাতীগণ বলবে, “আপনি কি আমাদের চেহারা শুভ্র করেননি? আমাদের কি আপনি জান্নাতে প্রবেশ করাননি? আমাদেরকে কি আপনি জাহান্নাম থেকে রক্ষা করেননি?” এ কথার পর আল্লাহ তাঁর পর্দা সরিয়ে দেবেন। জান্নাতীগণ তাদের রবকে দেখার মতো এত প্রিয় আর কিছুই পাবে না।‘

    6 out of 9 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 4 out of 5

    মোহাম্মদ আলী আজগর:

    আল্লাহর পরিচয় জানার এবং বুঝার এক অসাধারণ বই ৷ আল্লাহর কাছ থেকে কিভাবে গুণবাচক নামের মাধ্যমে চাওয়া যায়, পাওয়া যায় তারও অসাধারণ এক প্রয়াস লক্ষ্য করা যায় বইটিতে ৷
    3 out of 4 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    মো. ইমতিয়াজ মুনিম:

    আসসালামু আলাইকুম, বইটি চমৎকার!দ্বীন শেখার জন্য প্রথমেই মনে হয় যে মহান রাব্বুল আলামীনের পরিচয় জানা জরুরী। তাহলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সম্পর্কে মনের মধ্যে কোন ধোয়াশা থাকবে না। এই বইটি ঠিক সেই জন্য যথার্থ। তবে সবগুলো আসমাউস সিফাত নিয়ে এখানে আলোচনা নেই বিধায় বইটি পড়ার পর আরো অন্যগুলোর ব্যাপারে তৃষ্ণা জন্মাবে পাঠকের। আল্লাহর সিফাতগুলো জানার ফলে শয়তানের আর স্থান হবে না মনে বিভ্রান্ত করার ও অধৈর্য্যশীল করার। যেকোন দীনী জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য অবশ্যপাঠ্য হতে পারে বইটি। অত্যন্ত সুন্দর আলোচনা ও ভাষাশৈলী ব্যবহৃত হয়েছে। অনুবাদটিও চমৎকার হৃদয়গ্রাহী। মনেই হয়না যে বই পড়ছি। বিশেষ করে নিজে নিজে শব্দ করে পড়লে মনে হবে যে নিজেই নিজেকে দারস দিচ্ছি…………..আল্লাহ আমাদের উপকারী ইলম অর্জন এর পথকে মজবুত দৃঢ় করে দিন। ওয়াফি লাইফকে ধন্যবাদ।
    8 out of 9 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  5. 5 out of 5

    mamunhpath:

    আমার রবকে চেনার জন্য অসাধারণ একটা বই । আপনি যদি আপনার রবকে চিনতে চান তাহলে পড়তে পারেন ।
    18 out of 21 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top