তিনিই আমার রব
অনুবাদক: আব্দুল্লাহ মজুমদার
সম্পাদনা: আকরাম হোসাইন
সহ-সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ মাহমুদ, আবুল হাসানাত কাসেমী
বানান ও ভাষারীতি: জাবির মুহাম্মদ হাবীব, এইচ. এম. সিরাজ
পৃষ্ঠা : ১৬৫
দ্বিতীয় সংস্করণ: ডিসেম্বর ২০১৯
প্রকাশকের কথা:
বইটির রচয়িতা শায়খ আলী জাবের আল ফিফী (হাফিজাহুল্লাহ)। এই বইটি হচ্ছে মহান আল্লাহ সুবাহান ওয়া’ তা’য়ালার দশটি মহান নামের ব্যাখ্যা। আল্লাহ রাব্বুল আলা’মীনের দশটি নামকে জীবনের প্রতিটা দৃষ্টিকোণ, প্রতিটা ক্ষেত্র থেকে ব্যাখ্যা করতে লেখক পাঠকদের নিয়ে প্রবেশ করেছেন ভিন্ন এক জগতে। সেই জগতে কোন দুঃখ নেই, কোন কষ্ট নেই। সেই জগতে নেই কোন হতাশা, না পাওয়ার যাতনা। সেই জগত কেবল রব আর তাঁর বান্দার। সে জগতে রাজা হলেন আরশের অধিপতি, আর দাস তথা প্রজা হলো বান্দারা। সেখানে পৃথিবীর কোন মন্ত্রী নেই, প্রধানমন্ত্রী নেই। নেই কোন সেলেব্রেটি। সবাই সেখানে কেবলই বান্দা।
আল্লাহ কুরআনে বলেছেন তাঁকে তাঁর সুন্দর সুন্দর নামগুলো ধরে ডাকতে। কিন্তু কেনো তিনি এমনটা বলেছেন? কখনও কি চিন্তা করেছি? আল্লাহর নামগুলোর পেছনে কি নিগূঢ় এক রহস্য, কি যে এক মাহাত্ম্য লুকিয়ে আছে, তা কি আমরা জানি? জানিনা। লেখক এই বইটিতে সেই রহস্যের দ্বার উন্মোচনের চেষ্টা করেছেন খুব সুনিপুণভাবে।
বইটির ফ্ল্যাপ থেকেঃ
‘যে তৃষ্ণার্ত হৃদয় প্রতিক্ষায় থাকে এক পশলা বৃষ্টির, যে পথভোলা পথিক খুঁজে ফেরে পথ, সঁপে দেওয়ার তাড়নায় যে নয়নযুগল হয়ে ওঠে অশ্রুসিক্ত, পাপে নিমজ্জিত যে অন্তর অন্বেষণ করে বেড়ায় রহমতের বারিধারা, তাদের রবের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার, তার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াসই হলো তিনিই আমার রব’।
hotবেলা ফুরাবার আগে
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন287 ৳201 ৳পৃষ্ঠা: ১৯২ কভার: পেপারব্যাকবেলা ফুরাবার আগে...নিজেকে আবিষ্কারের একটি ...
hotমনের ওপর লাগাম
লেখক : আল্লামা ইবনুল জাওযী (রহঃ)প্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন156 ৳116 ৳অনুবাদ: মাসুদ শরীফ সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-মাসউদ পৃষ্ঠা: ১০৩ কভার: হার্ড ...
hotটাইম ম্যানেজমেন্ট
লেখক : Ismail Kamdarপ্রকাশনী : সিয়ান পাবলিকেশন218 ৳152 ৳অনুবাদক : মুহাম্মাদ ইফাত মান্নান পৃষ্ঠা : ...
save offআল্লাহকে পেতে চাইলে
প্রকাশনী : আনোয়ার লাইব্রেরী700 ৳406 ৳অনুবাদ : কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক পৃষ্ঠা ...
hotআল্লাহর প্রতি সুধারণা
লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়াপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন175 ৳130 ৳অনুবাদ ও তাখরীজ: মাওলানা রাশেদুল ইসলাম, ...
hotএপিটাফ
লেখক : সাজিদ ইসলামপ্রকাশনী : Bookmark Publication200 ৳148 ৳ধরণ: লেকচার সংকলণ পৃষ্ঠা: ১৪৪ কভার: পেপার ব্যাকউস্তাদ ...
hotদুআ কবুলের গল্পগুলো
লেখক : রাজিব হাসানপ্রকাশনী : আযান প্রকাশনী280 ৳196 ৳অনুবাদ, সংগ্রহ ও সম্পাদনাঃ রাজিব হাসান দু’আ ...
save offওয়াসওয়াসা (শয়তানের কুমন্ত্রণা)
প্রকাশনী : সমর্পণ প্রকাশন167 ৳117 ৳অনুবাদ- আশরাফুল আলম সাকিফ সম্পাদনা- মানযুরুল করিম নিরীক্ষণ- ...
save offআত্মশুদ্ধি
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল বায়ান92 ৳64 ৳অনুবাদক: আব্দুল্লাহ আল-মাসউদ মোট পৃষ্ঠা : ৬৪আত্মশুদ্ধি নিয়ে ...
fahimmuhammad.iisd – :
SUMMA JAHAN – :
**বই পরিচিত**
=============
বই:তিনিই আমার রব
লেখক : শাইখ আলী জাবির আল ফাইফী
প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন
বিষয় : ইবাদত, আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা
অনুবাদক: আব্দুল্লাহ মজুমদার
পৃষ্ঠা : ১৬৫
মূল্য:২৭২ টাকা-২০%ছাড়=২১৮ টাকা
***লেখক পরিচিতি***
================
বইটির রচয়িতা শাইখ আলী জাবির আল ফাইফী (হাফিজাহুল্লাহ)।তার রচিত’লিআন্নাকাল্লাহ’ আরববিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয়তা কুড়ায়।এই বইটি তারই অনুবাদ।
এই বইটি হচ্ছে মহান আল্লাহ সুবাহান ওয়া’ তা’য়ালার দশটি মহান নামের ব্যাখ্যা।আল্লাহ কুরআনে বলেছেন তাঁকে তাঁর সুন্দর সুন্দর নামগুলো ধরে ডাকতে।
“”তিনিই আমার রব””বইটিতে রয়েছে মূল্যবান সব উপকরণ যা পাঠককে আল্লাহর সাথে একান্ত পরিচয় করিয়ে দেবে ইনশাআল্লাহ। যাতে বিশ্বাসীর হৃদয় আল্লাহকে আরো ভাল করে চিনতে জানতে ও বুঝতে পারবে। আল্লাহর অনুগ্রহ ছাড়া আমাদের জীবনের একটি সেকেন্ড কল্পনা করা যায় না, তার দয়া ও অনুগ্রহ বাঁচিয়ে রেখেছে এই পৃথিবীতে।তার দেওয়া অসংখ্য নিয়ামত সর্বদা গ্রহণ করছি।
লেখক চমৎকারভাবে আল্লাহর নাম গুলোর বর্ণনা এবং সেগুলোর তাৎপর্য উল্লেখ করেছেন বইটিতে। আল্লাহর পবিত্র নাম গুলোর অর্থ সেগুলোর পেছনের নিগূঢ় রহস্য কে লেখক বইয়ের প্রতিটি পাতায় পাতায় তুলে ধরেছেন।
**আল্লাহর দশটি গুণবাচক নাম:
========================
১.আস-সামাদ:স্বয়ংসম্পূর্ণ:
————————————–
সমস্ত দুঃখ-দুর্দশা,দুর্যোগ-দুর্ঘটনা, বিপদ-মুসিবত থেকে আশ্রয়দাতা মহান আল্লাহ।সুখ-সমৃদ্ধির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ বা দুঃখ-দুর্দশায় তার দিকে ছুটে যাই তিনি আমাদের রব আস-সামাদ।আল্লাহ স্বয়ংসম্পূর্ণ তার কোন কিছুর প্রয়োজন হয় না বরং তিনি সকলের প্রয়োজন পূর্ণ করেন।
২ আল-হাফীয: মহারক্ষক:
————————————–
আল্লাহ সবকিছুর ব্যাপারে পরিপূর্ণ জ্ঞান রাখেন।তিনি তার বান্দাদের গুনা কাজে পতিত হওয়া থেকে রক্ষা করেন ।রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা প্রদানের সর্বোচ্চ ক্ষমতা কেবল তারই।”হে আল্লাহ আপনি আমাকে অগ্র-পশ্চাৎ,ডান-বাম ও উপরের দিক হতে রক্ষা করুন, আমি নিম্নমুখী গুপ্তহত্যার শিকার হওয়া থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই”
৩.আল-লাতীফ:সূক্ষদর্শী:
————————————-
মহান আল্লাহ দয়া ও সূক্ষদর্শী তায় অনন্য একজন। এজন্য তিনি সবচেয়ে সহজ উপায় সবচেয়ে কঠিন সমস্যাগুলো সমাধান করেন।অতি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ জিনিসও তিনি দেখেন।
৪.আশ-শাফী: আরোগ্যদাতা:
——————————————
তিনি একমাত্র সত্তা যিনি সুস্থতা দান করেন। বান্দার শরীরকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখেন। বান্দা রোগে আক্রান্ত হলে মহান আল্লাহ তায়ালাই শেফা দান করেন।
৫.আল-ওয়াকীল: কর্মবিধায়ক:
———————————————
আল্লাহ আপন সত্তার ঘোষণা করে বলেন তিনি পূর্ব ও পশ্চিমের রব, তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই অতএব তাঁকেই আপনি গ্রহণ করুন কর্মবিধায়ক রুপে।একথাটি অন্তর থেকে বলুন হে আল্লাহ আপনি আমার তত্ত্বাবাধায়ক।
৬ আশ-শাকূর: গুনগ্রাহী:
———————————–
আল্লাহর চিত্র হলো তিনি বান্দার গুনাহ মাফ করেন। বান্দার দোষ গোপন রাখেন, সব বাড়িয়ে দেন, সচ্ছলতা ও সন্তান দান করেন। সুস্থতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন,জীবনকে সুখময় করেন, আপনাকে সুনাম ও সুখ্যাতি দান করেন, দোয়া কবুল করেন,তাঁর সান্নিধ্যে একাকী সময় কাটানোর সুযোগ দেন, তিনি আপনাকে হেদায়েতের উপর স্থির রাখেন অথচ আপনার চেয়েও জ্ঞানী বুদ্ধিমান ও ধর্মীয় জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তি বেদিন হয়ে যায়।
৭.আল-জাব্বার: মহিমান্বিত:
—————————————–
আল-জাব্বার নামের তাৎপর্য এই যে মহান সত্ত্বা এই নামটি ধারণ করে আছেন।তিনি তাঁর বান্দার দেহ-মনের ভাঙ্গন দূর করেন।এ কারণে যখন কোন বান্দা এই নামের ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করে, তখন সে দুশ্চিন্তা মুক্ত হয়ে প্রশান্তি লাভ করেন। একমাত্র তিনিই মনের ক্ষত প্রতিকারের ক্ষমতা রাখেন।যেন বান্দা সুখে-দুখে তাঁরই দিকে ছুটে যায় তারই কাছে আশ্রয় নেয়।
৮.আল-হাদী:পথপ্রদর্শক:
————————————
হেদায়েত শব্দের আভিধানিক অর্থ হল পথ দেখানো বা গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া। অন্ধকারে আলোর জগতে ফিরে আসা। মিথ্যার বেড়াজাল ছিন্ন করে সত্যের দিশা লাভ করা।আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বান্দার পথ দেখান, পথ ভ্রষ্ট থেকে মুক্তি দিয়ে সত্য পথের দিশা দেন। অন্ধকার থেকে আলোর দিকে পরিচালিত করেন। আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি বস্তুকে সৃষ্টির আকৃতি দিয়েছেন তারপর পথ নির্দেশ করেছেন।আল্লাহর পথ নির্দেশ শুধু মানবজাতির সাথে সম্পৃক্ত নয় বরং আল্লাহ সকল সৃষ্টিকে পথ দেখান।
৯.আল-গাফূর:মহাক্ষমাশীল:
——————————————
আল্লাহ তায়ালার ক্ষমা ও অনুগ্রহ ছাড়া আমরা এতো টুকু সময় এই পৃথিবীতে বাঁচতে পারতাম না। আল্লাহ তায়ালা যে বিধিবিধান দিয়েছেন,তা আমরা কতটুকু সঠিক ভাবে পালন করি?তার দেয়া অসংখ্য নিয়ামত সর্বদা গ্রহণ করি, কিন্তু তার প্রতি কৃতজ্ঞতা কতটুকু আমাদের? আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন, তার ইবাদতের জন্য। মানুষ দুনিয়া পেয়ে, অর্থ- সম্পদের লোভে পড়ে, আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করতে ভুলে গিয়েছে।তাও মহাক্ষমাশীল আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে আমাদের ক্ষমা করে দেন।
১০.আল-কাবীর: নিকটবর্তী:
—————————————-
আল্লাহ তায়ালা আরশের উপর আছেন। বান্দার ডাকে তিনি বান্দার সবচেয়ে নিকটে চলে আসেন। তিনি আপনার ঘাড়ের রগ থেকে আপনার নিকট অধিক নিকটে। তিনি আপনার কথা শুনেন, আপনার কাজ দেখেন, আপনার কোন কিছুই তার কাছে গোপন নয়। বান্দা দোয়া শেষ করার সাথে সাথে তার আহ্বানের আল্লাহ সাড়া দেন। কারণ আল্লাহ এত কাছে যে মানুষ কল্পনাও করতে পারে না।তাই ঠোঁট নাড়িয়ে আপনার মনে মনে বলা কথাটিও তিনি শুনেন।
আল্লাহ তায়ালার মহান নামগুলো সম্পর্কে জানতে বইটি পড়ুন।বইটির প্রতিটি পাতা আপনাকে মুগ্ধ করবে।
sjcomputer2017 – :
Rehmatullah Sojol – :
.
এবার ‘নিজের সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিত্ব’ এর জায়গায় যদি মহান আল্লাহ রব্বুল ইযযাহ কে নিয়ে কিছু বলতে বলা হয় আর উপরের শর্তটা জুড়ে দেওয়া হয় তাহলে আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই কিছু মুহূর্ত পর আমতা আমতা করা শুরু করে দিবে।
.
তো, এর পিছনে কারণ কি তাহলে? যেই আল্লাহর ব্যাপারে আমরা দাবি করি যে, তাকেই আমরা সবচে’ বেশি ভালোবাসি সেই আল্লাহর ব্যাপারে বলতে গেলে তো আমতা আমতা করার কথা না। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?
.
সমস্যা হলো, আল্লাহ সম্পর্কে আমাদের অজ্ঞতা। আল্লাহর নামসমূহ নিয়ে চিন্তাভাবনা না করা। যেই নামসমূহের ব্যাপারে নবিজী সা. বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম আছে, একশটির একটি কম। যে এগুলোকে পূর্ণ ঈমানসহ অনুধাবন করলো সে জান্নাতে প্রবেশ করলো।
.
তো, আল্লাহর বান্দাকে আল্লাহর নামসমূহের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে শাইখ আলী জাবির আল ফাইফী হাফিযাহুল্লাহ রচনা করেছেন, লি আন্নাকাল্লাহ। আর সেটাকে বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের বোধগম্য করতে ভাষান্তর করেছেন করেছেন, প্রিয় বড় ভাই, আব্দুল্লাহ মজুমদার। আর সেটাকে প্রকাশ করেছে অন্যতম প্রিয় প্রকাশনী, সমকালীন প্রকাশন।
.
বইটির ভেতরে শাইখ ফাইফী হাফিযাহুল্লাহ বিস্তারিত আলোচনা করেছেন, আল্লাহর দশটি নাম নিয়ে। সেগুলো হলো –
১. আস-সমাদ। যে রব স্বয়ংসম্পূর্ণ। যিনি কারো মুখাপেক্ষী নন। সবাই যার মুখাপেক্ষী।
২. আল-হাফীয। যে রব সবসময় তাঁর বান্দাদের রক্ষা করেন।
৩. আল-লাত্বীফ৷ যে রব তাঁর বান্দাদের প্রতি সূক্ষ্মদৃষ্টি রাখেন। বান্দা যা করে সব তিনি দেখেন।
৪. আশ-শাফী। বান্দা ব্যাধিতে ভুগলে যে রব আরোগ্য দেন।
৫. আল-ওয়াকীল। যে রব পরম নির্ভর যোগ্য। যার সন্তুষ্টি কামনায় জীবনের সব আমোদ-প্রমোদ কে ছুড়ে ফেলা যায়।
৬. আশ-শাকুর। যে রব গুনগ্রাহী। বান্দা যত তাঁর গুন গায় তিনি বান্দাকে ততই দিতে থাকেন।
৭. আল-জাব্বার। যে রব মহিমান্বিত। যিনি বান্দার শরীর বা হৃদয়ের ভাঙন ঠিক করে দেন।
৮. আল-হাদী। পথপ্রদর্শক। বান্দাকে যিনি সঠিক পথের সন্ধান দেন।
৯. আল-গফূর। যে রব অনেক অনেক অনেক বেশি ক্ষমাশীল। বান্দা আসমান পর্যন্ত গুনাহ করে ফেললেও যিনি আসমান সমান ক্ষমার চাদর নিয়ে বান্দাকে ঢেকে দেন।
১০. আল-ক্বরীব। যে রব আপনার অনেক কাছে থাকেন। যে রব আপনার সাথে রাগ করে কখনো আপনার থেকে দূরে চলে যান না। আপনি যখনই তাকে ডাকেন তখনই তিনি সাড়া দেন।
.
পরিশেষে, প্রত্যেক ভাই এবং বোনদের উদ্দেশ্যে বলবো, আপনি যদি সত্যিই আল্লাহর সাথে পরিচিত হতে চান, নিজের ঈমানকে নবায়ন ও পরিশুদ্ধ করতে চান, ঈমানের জমীনে যদি বর্ষাতে চান বৃষ্টির বারিধারা, তাহলে ‘তিনিই আমার রব’ বইটি আপনার জন্য অবশ্যপাঠ্য একটি বই। যা বৃদ্ধি করবে আপনার ঈমান আর আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে আপনার রবের আরো কাছাকাছি…
AlamgirAhamedChowdhury – :
আমি বইটির এক কপি এই শর্তে বিতরণ করেছি যেন প্রাপ্ত বেক্তি নিজে পড়ে অপরকে প্রদান করে এবং সংগ্রহে রাখতে চাইলে নিজের জন্য একটি কিনে নেয়। আর বইটি অপর বেক্তিকে একই শর্তে বিতরণ করে।
আদ্ধাতিক জীবনি শক্তির সঞ্চার করতে বইটিকে আমার এমনই ভালো লেগেছে যে আমি অপর ভাইবোনের কল্যাণের জন্য এমন উদ্যোগ নিয়েছি।
Sobuz Ahmmed – :
Sadia Mehejabin – :
শাদমান – :
Shahinur – :
বদিউজ্জামান – :
মোক্তাদির – :
Shadman Sakib Rummat – :
বৃষ্টি জলি – :
আল্লাহ তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যবানে আমাদের জানালেন,
নিশ্চয় আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম আছে, একশটির একটি কম। যে এগুলোকে পূর্ণ ঈমানসহ অনুধাবন করল সে জান্নাতে প্রবেশ করল।
এ হাদীসে আল্লাহর নিরানব্বইটি নামই আয়োও করার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। এখন এ আয়ওের ধরন কেমন হবে? এর উওরে ইবনুল কায়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেন— এটি তিন ভাবে হবে।
১. এ শব্দগুলো জানা।
২. এগুলোর মর্মার্থ জানতে পারা।
এগুলোর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে চাওয়া এবং এগুলোর দাবি অনুসারে ‘আমল করা’।
আল্লাহর নান্দনিক নামগুলো হতে পারে ‘ঈমানের বড়সড় একটি দরজা’। এর ভেতর দিয়ে বান্দা এক বিশেষ পবিএ জগতে প্রবেশ করে। যেখানে তার অন্তর আল্লাহর সম্মানে তাকে সিজদা করে এবং তাঁর ভয়ে, বিনম্র ভালোবাসায় তাঁরই অভিমুখী হয়।তাঁর দয়ার ভান্ডার অফুরন্ত। তিঁনি সব কিছু শোনেন, স-অ-ব কিছু দেখেন।
আল্লাহর নামগুলো না জানলে তো আমরা মরুভূমিতে পথহারা লোকের মতো হয়ে যাব। মরুভূমির গনগনে রোদে আমাদের দিনগুলো, আমাদের প্রাত্যহিক ‘আমলগুলো ঝলসে যাবে। ফলে অন্তরে সারাক্ষণ বিরাজ করবে দুশ্চিন্তার কালো মেঘ।
তাই, সবচেয়ে আপনজন হিসেবে আমাদের আল্লাহকেই বেছে নেয়া উচিত। তাঁর উপর ঈমান এনে- তাঁরই সামনে নত হয়ে, লাভ করার চেষ্টা করলে আমরা সুখী হতে পারবো। আমাদের ভাগ্যের দুয়ার খুলে যাবে।
আল্লাহ তায়ালা’র রয়েছে অসংখ্য গুণাবলি। এই বইটি, আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আনহু এর দশটি গুণবাচক নাম দিয়ে সাজানো হয়েছে। এই গুণবাচক নামগুলির বিস্তারিত বর্ণনা, গুরুত্ব ও তাৎপর্য খুবই চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনি নামগুলো যখন পড়তে শুরু করবেন- কিছু পৃষ্ঠা পড়ার পরেই আপনার চোখের কোণে কখন যে পানির ফোঁটা জমে যাবে টেরই পাবেন না।
❄️?❄️ বইটি থেকে কিছু অংশ তুলে ধরছি যেন পাঠকরা বইটি পড়তে আগ্রহী হন—
??? অন্তরটা কেবল তাঁর জন্যই রাখুন—
নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু কে বলেছেন—
তুমি চাইলে আল্লাহর কাছে চাইবে।
যখনই আপনার কোনো কিছুর প্রয়োজন হবে, তখন তা যার কাছে চাইবেন— তিনি যেন আল্লাহই হন।
এক আল্লাহভীরু ব্যাক্তি থেকে আবু হামিদ আল-গাযালী রাহিমাহুল্লাহ একটি কথা বর্ণনা করেছেন— যা আমার খুবই ভালো লেগেছে। সেখানে তিনি আল্লাহর মহান নামের ব্যাপারে বলেছেন, ‘আপনার অন্তরটি আপনি অন্য সব কিছু থেকে শূণ্য করে শুধু আল্লাহর জন্য রাখুন। তারপর তাঁকে যে নামেই ডাকবেন তিনি সাড়া দেবেন।‘
আপনার ওপর যখন কোনো বিপদ আসে, ধরে নিন সেটি কোনো চিঠি। এ চিঠি আপনাকে বলছে, ‘আপনার একজন রব আছেন। তাঁকেই ডাকুন।‘
??? আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আনহু’র একটি গুণবাচক নাম হলো ‘আল-হাফীয তথা মহারক্ষক’।
মহান রক্ষক তো তিনিই, যার দেওয়া কান দিয়ে আপনি হারাম শোনেন। অথচ মুহূর্তের মধ্যে তা অক্ষম ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তিনি আপনাকে তা ব্যবহার করার সুযোগ দেন।
মহান রক্ষক তো তিনিই, যার দেওয়া চোখ দিয়ে আপনি হারাম দেখেন। অথচ ক্ষণিকের মধ্যে তাঁর দৃষ্টি কেড়ে নেওয়ার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তিনি আপনাকে তা ব্যবহার করার সুযোগ দেন।
তিনি আপনার দ্বীনেরও সংরক্ষক। আর এর কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য আপনি সিজদায় গিয়ে বলবেন, “হে অন্তরসমূহ ও দৃষ্টিসমূহের পরিবর্তনকারী, আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের ওপর অটল রাখুন।“
??? মহান রবের আর একটি গুণবাচক নাম হচ্ছে ‘আশ-শাফী তথা আরোগ্যদাতা।‘
তিনি আপনাকে আরোগ্য দেন—
?️? সামান্য মাধ্যমে,
?️? বিস্ময়কর মাধ্যমে,
?️? যেটা মাধ্যম না সেটা দিয়েও,
?️? আবার কোনো মাধ্যম ছাড়াই।
মুমিন শুধু চিরজ্ঞীব আল্লাহর কাছেই আশ্রয় নেবে। তিনি বলেছিলেন—
“ আর যখন আমি অসুস্থ হই তখন তিনিই সুস্থ করেন”।
আল-কুরআন= ২৬:৮০
?♥️? আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আনহু এর আরেকটি গুণবাচক নাম হলো : ‘আশ-শাকুর তথা গুণগ্রাহী।‘
এক বেদুইনকে বলা হলো, ‘তুমি তো মরবে।‘
সে বলল, ‘তারপর কোথায় যাবো?’
‘আল্লাহর কাছে।‘
‘তাহলে যার কাছে কল্যাণ ছাড়া আর কিছুই পাবো না, তাঁর কাছে যেতে ভয় কীসের?’
আহ, কী অপার্থিব অনুভূতি। আল্লাহর ওপর কত বড় আশা এই বেদুইনের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে। এ ব্যাপারে কুরআনও স্বীকৃতি দিয়ে বলে—
“তোমাদের যে সব নি’য়ামাত আছে তা আল্লাহর থেকেই”।
আল-কুরআন= ১৬:৫৩
সব কিছুই স্বাস্থ্য, টাকা-পয়সা, বিশ্রাম ও সন্তুষ্টি—যা কিছু আপনাকে ঘিরে রেখেছে তার সবই আল্লাহর থেকে।
“আপনার ওপর আল্লাহর অনুগ্রহ বিশাল”।
আল-কুরআন= ০৪:১১৩
আপনি সাকুল্যে ষাট-সত্তর বছর তাঁর ইবাদাত করেন। তার মধ্যে অধিকাংশই আবার কোনো কষ্ট ছাড়া ঘুমিয়ে বা বৈধ (মুবাহ) কাজ করেই। তারপরও তিনি আপনাকে এমন জান্নাত উপহার দেন যেটা আসমান যমীন পরিব্যাপ্ত করে আছে, যে জান্নাতে আপনি বাস করবেন অনন্তকাল।
না করতেই যিনি এত দিতে পারেন, তাহলে সামান্য করলে তিঁনি ঠিক কতটা দেবেন?
?⏳? শেষ করতে চাই, সহীহ মুসলিমের (২৬৬) একটি হাদিস দিয়ে—সুহাইব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
‘যখন জান্নাতবাসী জান্নাতে প্রবেশ করবে তখন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা’আলা বলবেন, “তোমরা কি এমন কিছু চাও—যা আমি অতিরিক্ত দেব?” জান্নাতীগণ বলবে, “আপনি কি আমাদের চেহারা শুভ্র করেননি? আমাদের কি আপনি জান্নাতে প্রবেশ করাননি? আমাদেরকে কি আপনি জাহান্নাম থেকে রক্ষা করেননি?” এ কথার পর আল্লাহ তাঁর পর্দা সরিয়ে দেবেন। জান্নাতীগণ তাদের রবকে দেখার মতো এত প্রিয় আর কিছুই পাবে না।‘
মোহাম্মদ আলী আজগর – :
মো. ইমতিয়াজ মুনিম – :
mamunhpath – :