সুলতান দ্য গ্রেট মুহাম্মাদ আল ফাতিহ
অনুবাদ: আবদুর রশীদ তারাপাশী
পৃষ্ঠা: ২৪৮
হার্ডবোর্ড বাধাই, ৮০ অফহোয়াইট পেপার
অটোমান সাম্রাজ্য মুসলমানদের স্বর্ণালি ইতিহাসের এক বর্ণালি নাম। উসমানি খেলাফত নামেই মূলত পরিচিত এই শাসনকাল। যে নাম শোনার সাথে সাথে আনন্দে নেচে ওঠে প্রাণ। ঝলমল করে ওঠে হৃদয়ের উঠোন। চোখ মুদলেই দেখা যায় নিকোপোলিসের ময়দানে বায়েজিদ ইলদারামের মুগুরের আঘাতে ভেড়া-বকরির ন্যায় পলায়নপর ক্রুসেডারদের নাজেহাল দৃশ্য। ভেসে ওঠে সুলায়মান কানুনি কর্তৃক ভিয়েনার দ্বারে করাঘাতের ছবি। বুক ফুলে ওঠে যখন দেখা যায় প্রিভিজার কাছে একা খাইরুদ্দিন বারবারুসা ইউরোপের চারশতাধিক যুদ্ধজাহাজের বহরকে খাওয়াচ্ছেন নাকানি-চুবানি। আনমনা হয়ে যেতে হয় যখন আলোঝলমল সে হৃদয়-উঠোনে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহের অনন্য কৃতিত্ব, যিনি বাস্তবায়ন করেছিলেন প্রিয়নবির ভবিষ্যদ্বাণী-সংক্রান্ত মুজিজা। চোখের সামনে ফুটে ওঠে পাহাড়ি বন্ধুর পথে পুরো নৌবহর টেনে নেওয়ার অতিলৌকিক দৃশ্য। গোল্ডেনহর্নে রাজহাঁসের মতো ভেসে বেড়ানো উসমানি নৌবহর। হাজার বছরের অজেয় দুর্গনগরী কনস্টান্টিনোপলের পতনের ছবি। দুর্ধর্ষ জেনেসারি বাহিনীর তুলনাহীন বীরত্ব।
সেই স্বর্ণালি ইতিহাসের উজ্জ্বল এক টুকরোর দ্যূতি তুলে ধরা হয়েছে সুলতান দ্য গ্রেট মুহাম্মাদ আল ফাতিহ নামক এই গ্রন্থে। এই আশায় যে, জাতির যুবশ্রেণি জেগে উঠুক। অনুধাবন করুক আমরা কী ছিলাম আর কী হয়েছি। এরপর তারা তাদের কর্তব্য নির্ধারণ করুক।
‘কালান্তর প্রকাশনী’ ঐতিহাসিক দায়মুক্তি এবং ঘুমন্ত জাতিকে জাগিয়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই প্রকাশ করে চলছে মুসলিম উম্মাহর হারিয়ে যাওয়া গৌরবময় ইতিহাস। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের প্রকাশনা ড. শায়খ আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবির ‘সুলতান দ্য গ্রেট মুহাম্মাদ আল ফাতিহ’।
-
-
hotশিকড়ের সন্ধানে
লেখক : হামিদা মুবাশ্বেরাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন430 ৳314 ৳পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৯৬ টি কভার: পেপার ব্যাক ‘Know ...
-
hotঅবাধ্যতার ইতিহাস
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন400 ৳292 ৳যেভাবে আর যে কারণে ধ্বংস হয়েছে ...
-
save offইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা
লেখক : হেদায়াতুল্লাহ মেহমান্দপ্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন414 ৳302 ৳'ইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা' বইটি মূলত ...
-
hotইসলামের ইতিহাস (নববী যুগ থেকে বর্তমান)
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আসলাফ500 ৳370 ৳অনুবাদক: কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক সম্পাদক: মীযান ...
-
hotইসলামের চার নক্ষত্র: চার ইমাম
লেখক : ড. সালমান আল আওদাহপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন335 ৳248 ৳অনুবাদ: ওয়াফি অনুবাদক টিম সম্পাদনা: মুফতী মাহমুদুল ...
-
save offইমাম সিরিজ (৬টি বই)
প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন123 ৳ – 1,005 ৳সম্পাদনা: আকরাম হোসাইন কভার: পেপার ব্যাক পৃষ্ঠা: ১ম খণ্ড ১৬৮, ২য় ...
-
hotভারতবর্ষে মুসলিম শাসন : হাজার বছরের ইতিহাস
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল ইসলাম770 ৳385 ৳ভাষান্তর : মুহাম্মাদুল্লাহ ইয়াহইয়া অতিরিক্ত টীকা সংযোজন ...
-
save offলস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি (ইসলামের হারানো ইতিহাস) (পেপার ব্যাক)
লেখক : ফিরাস আল খতিবপ্রকাশনী : প্রচ্ছদ প্রকাশন300 ৳225 ৳লস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি’র ভাষা প্রাঞ্জল ও ...
-
hotসীরাত বিশ্বকোষ (১১ খণ্ড)
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার11,000 ৳5,500 ৳মোট খণ্ড ১১ এবং পৃষ্ঠাসংখ্যা : ...
-
hotইমাম মাহদী: রূপকথা নয়, সত্য
প্রকাশনী : সীরাত পাবলিকেশন200 ৳150 ৳অনুবাদক: মহিউদ্দিন রূপম, আশিক আরমান নিলয় সম্পাদনা: ...
-
জোবায়ের বিন বায়েজীদ – :
■শুরুর কথা:
উম্মাহর ভঙ্গুর একটা চেহারা আমরা প্রতিনিয়তই দেখতে পাই।আঘাতে আঘাতে যেই চেহারা ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছে।এক সময়ের দুরন্ত শক্তিশালী উম্মাহর আজ কেন এতো অধঃপতন!! এই অধঃপতনের শক্ত একটা কারণ হলো আমরা নিজেদের ইতিহাস ভুলে গিয়েছি। আমরা ভুলে গিয়েছি আমাদের সালতানাতের সাফল্যগাঁথা।আজকে কথা বলবো “কনস্ট্যান্টিনোপল বিজেতা সুলতান দ্যা গ্রেট মুহাম্মদ আল ফাতিহ” বইটি নিয়ে।
■কেন্দ্রীয় চরিত্রের পরিচয়:
ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবী রচিত এ ইতিহাসের বইটির নায়ক মুসলিম সালতানাতের এক স্মরণীয় সিংহপুরুষ দ্যা গ্রেট সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ। যিনি তার দৃঢ়তা,একনিষ্ঠতা,বীরত্ব ও মেধা আর সাহসিকতা দিয়ে কনস্ট্যান্টিনোপল বিজয় করে রাসুল সাঃ এর ভবিষ্যৎবানীর সত্যায়ন করেছেন।মুসলিম সালতানাতে যার অবদান অবিস্মরণীয়।
অটোমান সাম্রাজ্যের এক বুদ্ধিমান মহানায়ক,যিনি পাহাড়ী বন্ধুর পথে আস্ত একটা নৌবহর টেনে নিয়ে রোমানদের চোখে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন।
■বইকথন:
বইটি মোটাদাগে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।প্রথম অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে উসামানীয় খেলাফতের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সুলতান দ্বিতীয় মুরাদের জীবন পর্যন্ত।এই ইতিহাসের পাঠশালায় অত্যন্ত অনুপমভাবে এ সালতানাতের রাজনৈতিক কৌশল,সমরক্ষেত্রের বীরত্ব, রাজ্য পরিচালনার সাফল্যের গল্পগুলো আঁকা হয়েছে।পাতায় পাতায় ফুটে উঠেছে অটোমান সুলতানদের মেধা,যোগ্যতা, ন্যায়পরায়ণতা ও আদল ইনসাফের অনুপম অবয়ব।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে উঠে এসেছে কনস্ট্যান্টিনোপল বিজয়ের ইতিহাস,তদসম্পর্কিত ধারাবাহিক ঘটনাপ্রবাহ এবং সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহের আলোকোজ্জ্বল জীবনপাঠের স্বর্ণোজ্জল প্রতিফলন। এছাড়াও এ অধ্যায়ে তৎকালীন বিশ্ব রাজনীতিতে কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের প্রভাব সম্পর্কেও আলোচনা টানা হয়েছে।
তৃতীয় অংশে খুব সংক্ষিপ্ত কলেবরে খেলাফতের কিছু ইতিহাস বিকৃতি নিয়ে আলাপ করা হয়েছে।
■এফোড়-ওফোর:
ইতিহাসের অনুদিত বই স্বভাবতই হয় নিরস আর কাঠখোট্টা।এটি একটি অনুবাদগ্রন্থ হলেও অনুবাদশৈলী সত্যিই চমৎকার। আব্দুর রশীদ তারপাশী ভাই অনুবাদের দুর্দান্ত কাজটি অত্যন্ত সুনিপুণভাবেই করেছেন। বইটির শব্দচয়ন বেশ সাবলীল আর সুখপাঠ্য।বইটিতে সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয়টি হলো বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র।সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহের এই এশিয়া ইউরোপের সেতু কনস্ট্যান্টিনোপল বিজয়ের কাহিনী যেন হৃদয়কে উদ্দীপ্ত করে তুলেছে। এই সুদূর গাঙ্গেয় বদ্বীপে থেকেও বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখার সাহস সঞ্চার করেছে হৃদয়তটে।প্রয়োজনীয় টীকা সংযোজন বইটির আরেকটি ভালো লাগার বিষয়।এতো এতো ভালোলাগার পাশাপাশি দুয়েকটি ক্ষেত্রে সামান্য কমতিও চোখে পড়েছে।বিশেষ করে মানচিত্রের উপস্থিত থাকলে বইটি আরও জীবন্ত হয়ে উঠতো বলে আমার বিশ্বাস।
■প্রচ্ছদ-পৃষ্ঠাসজ্জা:
হার্ডকভারে বাধাই করা এ দারুণ বইটি যেন অর্থবহ এক সার্থক প্রচ্ছদেই বাঁধাই হয়েছে।এছাড়াও বইটির অনুবাদশৈলী, পৃষ্ঠাসজ্জা আর শব্দচয়নও ভালো লাগার মতো। সবমিলিয়ে মুসলিম উম্মাহর এ রোগাক্রান্ত লগ্নে এমন দুর্দান্ত একটি বই সত্যিই অনেক প্রয়োজন ছিল।
■কেন পড়া দরকার বইটি:
এভাবেই যদি ভুলে থাকি আমি
নিজেদের ইতিহাস,
জীবিত থেকেও রয়ে যাবো আমি
অনুভূতিহীন লাশ।
দিন দিন আমরা মুসলিমরা যেন অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছি।আমরা ভুলে যাচ্ছি যে একসময় আমাদের শক্ত একটা মেরুদণ্ড ছিলো।ভঙ্গুর অবস্থা থেকে ঘুরে দাড়ানোর প্রত্যয়, আত্মবিশ্বাস আর একবুক সাহস সঞ্চারের জন্য এমন বিপ্লবী ইতিহাসের পাঠ নেয়া খুব প্রয়োজন।নিজেদের সাফল্যগাঁথা ইতিহাস না জানলে আমরা জীবিত থেকেও অনুভূতিহীন লাশের মতো পড়েই থাকবো।
■পাঠ্যানুভূতি:
কিছু বই পাঠের অনুভূতি ব্যক্ত করা যায় না।হৃদয়ের সব অনুভুতি প্রকাশযোগ্য নয়।
প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবী তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত লেখনী দিয়ে যুগের নতুন মুহাম্মদ আল ফাতিহ তৈরীর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।বইটি পড়তে গিয়ে যেন মুসলিম সালতানাতের দৃশ্যমান অবয়ব চোখে ভেসে উঠেছে। বইটির সাথে জড়িয়ে রয়েছে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবীর হাত! দক্ষ অনুবাদকদের ছাপ! প্রসিদ্ধ প্রকাশনীর হাত।
সবমিলিয়ে বইটিকে মাস্টারপিস এবং মাস্টরিড একটি বই বলাই যায়।
■শেষ কথা
উম্মাহর এ কঠিন সময়ে মহা বিজয়ের এই পাঠে বুকে জমা হোক হাজারো উৎসাহ আর উদ্দীপনার জোয়ার।বইটি পাঠকপ্রিয় হোক, পৌঁছে যাক মুসলিম উম্মাহর ঘরে ঘরে! উম্মাহর ঘুমন্ত-সুপ্ত সিপাহসালারেরা জেগে উঠুক নতুন করে। জাগুক যুগের নতুন মুহাম্মদ আল ফাতিহ।
‘আবার জাগুক সালতানাতের ঘোড়ার খুড়ের সুরে,
নিথর হয়ে ঘুমিয়ে থাকা মুমিন দেহের খুন,
বিজয় নিশান উড়ুক এবার তামাম বিশ্ব জুড়ে,
ফুলেল ঘ্রাণে যাকনা নিভে দ্রোহের সব আগুন!
■এক নজরে বই:
▪︎বই:কনস্ট্যান্টিনোপল বিজেতা সুলতান দ্যা গ্রেট মুহাম্মাদ আল ফাতিহ
▪︎লেখক:ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবী
▪︎ভাষান্তর:আব্দুর রশীদ তারপাশী
▪︎প্রকাশনী: কালান্তর প্রকাশনী
▪︎বইয়ের ধরন:ইতিহাস ঐতিহ্য ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব
▪︎পৃষ্টাসংখ্যা: ২৪৮
▪︎প্রচ্ছদমূল্য: ৩২৫৳
▪︎রিভিউয়ার:জোবায়ের বিন বায়েজীদ
সায়েম বিন করিম – :
লেখক – ড.আলি মুহাম্মদ সাল্লাবি
অনুবাদক – আবদুর রশিদ তারাপাশী
পৃষ্ঠাসংখ্যা -২৪৮
মুদ্রিত মূল্য-৩২৫ টাকা
প্রকাশক – কালান্তর প্রকাশনী
প্রকাশকাল -১ আগস্ট ২০১৯
বিষয়বস্ত:
ইতিহাস পাঠ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। কিন্তু বর্তমানে অনেক মুসলিম মনে করেন যে, এটি মস্তিষ্কের ওপর আলাদা করে চাপিয়ে দেয়া বোঝা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর যেহেতু আমরা নিজেদের ইতিহাস নিজেরা চর্চা করি না তাই ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করাটাও আর হয়ে ওঠে না। এডলাস হাক্সলের মতে-
‘মানুষ ইতিহাস থেকে তেমন কোনো শিক্ষা গ্রহন করে না, আর এটাই হলো ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা।’
আরেক ধরনের ইতিহাস প্রেমী আছে যারা পশ্চিমা ঐতিহাসিকদের আজগুবি লেখা পড়ে নিজেদেরই অন্তর নিজ জাতির বিরুদ্ধে কলুষিত করে ফেলছে।আর এই ঐতিহাসিক দায়বদ্ধতা থেকেই কালান্তর প্রকাশনী প্রকাশ করেছে সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ নামের বইটি। রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন :
“কনস্টান্টিনোপল বিজয় নিশ্চিত। কতইনা উত্তম ওই সেনাদল। কতইনা উত্তম ওইদলের এর সেনাপতি , মুসনাদে আহমাদ :৪/৩৩৫।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই হাদিসের পর কনস্টান্টিনোপল বিজয় পরিণত হয় কিংবদন্তীতে।উমাইয়া খেলাফতকালে ৬৭২ সালে কনস্টান্টিনোপলের অভিযানের জন্য প্রথম ঘোষণা দেওয়া হয়।কিন্তু তখন উমাইয়া খিলাফতের সময়ে কনস্টান্টিনোপল বিজয় তো হয়নি উল্টো হারাতে হয়েছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ইসলামের পতাকাবাহী আবু আইয়ুব আনসারী (রা) কে। সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ। ফাতিহ তার উপাধি। যা তাকে কনস্টান্টিনোপলের বিজেতা হিসেবে দেয়া হয়েছে। ১৪৫১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি নিজেকে সুলতান হিসেবে প্রমাণ করার জন্যে কনস্টান্টিনোপলের মত একটি শহর কে বিজয় করার সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তৎকালীন কনস্টান্টিনোপলের অবস্থা ছিল অনেকটা ভঙ্গুর। এ ভঙ্গুর অবস্থান পরেও তার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণেই শহরটি বিজয় অনেকটা অসম্ভব ছিল। যার কারণ ছিল শহরটি স্থলভাগের আশেপাশে চতুর্দশ শতাব্দীতে নির্মিত শক্তিশালী এক দেয়াল। তারপরও সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ শহরটি কে জয় করে নেন। যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভবিষ্যৎবাণী কি সত্য প্রমাণিত করে।
এ গ্রন্থ আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিবে রোমানদের আত্মার শত্রু সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ এবং তার আগের সুলতানদের সাথে যাদের জীবন নিবেদিত ছিল মহান আল্লাহর রাস্তায়।যারা ইসলামের ঝান্ডা কে উঁচু করার জন্য নিজের জীবনের অনেকটা অংশ কাটিয়েছিলেন যুদ্ধের ময়দানে । ঘটনা গুলো বর্ণনা করা হয়েছে ইনসাফের বাটখারায়। আর প্রাচ্যবিদদের অনেকের অযুক্তিক যুক্তিকে খন্ডন করা হয়েছে।
এই বইয়ের প্রথম অধ্যায় আলোচনা করা হয়েছে উসমানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সুলতান দ্বিতীয় মুরাদের জীবন পর্যন্ত। দ্বিতীয় অধ্যায় এ আলোচনা করা হয়েছে কনস্টান্টিনোপল বিজয়ী সুলতান দ্বিতীয় মুহম্মদ ও কনস্টান্টিনোপল নিয়ে।
বইটি অত্যন্ত সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় ব্যাখ্যা করার জন্য অনুবাদকের পক্ষ থেকে একটি পরিচ্ছেদ বাড়ানো হয়েছে এবং নতুন কিছু উপশিরোনাম যোগ করা হয়েছে।
পাঠ প্রতিক্রিয়া :
প্রথমে কথা বলে বইটির অনুবাদ নিয়ে ইতিহাসের বই হওয়া সত্ত্বেও এটা অনেক সুন্দরভাবে পড়ার মত একটি বই। কিন্তু বইটিতে সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ কে নিয়ে আরো ভালোভাবে আলোচনা করার দরকার ছিল। ইতিহাসের বই হিসেবে দরকার ছিল উসমানী সুলতানদের আমলের বিভিন্ন অঞ্চলের চিত্র দেওয়ার। যেহেতু অনেকেই ইতিহাস পড়ার সময় ঘটনা প্রবাহের আলোকে প্রণীত মানচিত্রগুলো গুলিয়ে ফেলেন। বইয়ের বাইন্ডিং, ফ্রন্ট, প্রচ্ছদ সবকিছুই ভালো ছিল।
রেটিং – ৪.৫/৫
মোঃ সায়েম বিন করিম
৯ই মার্চ, ২০২১
Asm Mustakim – :
লেখক – ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
অনুবাদক – আবদুর রশীদ তারাপাশী
পৃষ্ঠাসংখ্যা – ২৪৮
মুদ্রিত মূল্য – ৩২৫ টাকা
প্রকাশক – কালান্তর প্রকাশনী
প্রকাশকাল – ১ আগস্ট, ২০১৯
বিষয়বস্তু :
John Dalberg-Acton এর একটি উক্তি আছে,
❝ History is not a burden on the memory but an illumination of the soul.
নিজ জাতির ইতিহাস পাঠ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। কিন্তু আমাদের বর্তমান মুসলিম প্রজন্মের সিংহভাগই এটাকে মস্তিষ্কের ওপর এক বৃহৎ বোঝা ছাড়া কিছু মনে করে না।আর যেহেতু তারা নিজেদের ইতিহাস জানেনা তাই তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষাগ্রহণও করে না। আরেকটাশ্রেণি আছে, যারা পশ্চিমা ওরিয়েন্টালিস্টদের বিকৃত ইতিহাস পড়ে নিজেদের অন্তর নিজ জাতির প্রতিই বিদ্বেষে কলুষিত করে ফেলে।তাই শুদ্ধ ইতিহাসচর্চা(বিশেষ করে বাংলায়) অনেকটা কাঠালের আমসত্ত্বে পরিণত হয়েছে। কিন্তু, কালান্তর প্রকাশনী এই ঐতিহাসিক দায়মুক্তি থেকেই প্রকাশ করেছে মুহাম্মাদ আল ফাতিহ বইটি।
রাসুল সা. বলে গেছেন,
❝ কনস্টান্টিনোপলের বিজয় সুনিশ্চিত। কতই-না উত্তম ওই অভিযানের সেনাপতি, কতই-না উত্তম ওই অভিযানের সেনাদল – মুসনাদে আহমদ : ৪/৩৩৫
মুহাম্মাদ আল ফাতিহ। যিনি দৃঢ়তা, বীরত্ব, মেধা, সাহস ও সংকল্পের দৃঢ়তা, ন্যায়পরায়ণতা, নিষ্ঠা ও প্রজ্ঞার গুণ ও মহিমায় গুণান্বিত ছিলেন। যিনি ক্ষমতা গ্রহণ করে অনেকটা I came, I saw, I conquered ধাঁচে জয় করে নেন অনেকটা অপরাজেয় নগরী কনস্টান্টিনোপল। প্রমাণিত হয় রাসুলের ভবিষ্যদ্বাণী! নিশ্চয়ই রাসুল সা. সত্যবাদী।
উক্ত গ্রন্থ আপনাকে জানাবে রােমানদের আত্মার শত্ৰু কনস্টান্টিনােপল বিজেতা মহান সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহ এবং তাঁর বাপদাদাদের কাহিনি, যাঁদের জীবন ছিল ইসলামের সেবায় নিবেদিত। যাঁরা আল্লাহর নাম সর্বত্র উচ্চকিত করার লক্ষে বিলিয়ে দিয়েছিলেন গােটা জীবন। ঘটনাগুলাে বর্ণিত হবে ইনসাফ ও ন্যায়ের বাটখারায়।একইসাথে প্রাচ্যবিদদের মিথ্যা অপবাদ খণ্ডনও করা হবে।
বইটির প্রথম অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে উসমানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে সুলতান দ্বিতীয় মুরাদের জীবন পর্যন্ত। আর দ্বিতীয় অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে মুহাম্মাদ আল ফাতিহ ও মুসলিমদের বহুল প্রতিক্ষিত কনস্টান্টিনোপল বিজয় নিয়ে।পাঠ সাবলীল ও বইয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধির স্বার্থে অনুবাদের পক্ষ থেকে বইয়ের লেখার মধ্যেই একটা পরিচ্ছেদ বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং কিছু উপশিরোনাম বাড়ানো হয়েছে।
পাঠপ্রতিক্রিয়া :
প্রথমে বইটির অনুবাদের মান নিয়ে বলা যাক। বইটির অনুবাদ খুবই ভালো। ইতিহাসের বই হওয়া সত্ত্বেও খুব স্মুথলি পড়ে যেতে পেরেছি। কিন্তু একটা বিষয় আমার একটু দৃষ্টিকটু লেগেছে। বইটি মূলত সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহকে নিয়ে হলেও বইটির প্রায় একশো পৃষ্ঠারও বেশি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে অন্যান্য উসমানীয় সুলতানদের নিয়ে। অন্যান্য সুলতানদের নিয়ে আলাদা বই রচনা করলে বা তাদের নিয়ে এত বড় আলোচনা না করে অল্প আলোচনা করে মূল টপিক অর্থাৎ মুহাম্মাদ আল ফাতিহকে নিয়ে আলোচনা করলে বেটার হতো বলে আমার মনে হয়েছে। তাছাড়া, বইয়ে বিভিন্ন অধ্যায়ে উসমানী সুলতানদের অধিকৃত অঞ্চলগুলোর মানচিত্র দিলে বইটি আরেকটু বেশি সুখপাঠ্য হতো।বইয়ের বাইন্ডিং, ফন্ট, প্রচ্ছদ সবকিছুই ভালো ছিলো।
রেটিং – ৪.৫/৫
~ মোঃ মুস্তাকিম বি.
৬ মার্চ, ২০২১
#কালান্তর_ওয়াফিলাইফ_রিভিউ_প্রতিযোগিতা
MD. SAIDUL ISLAM – :
কনস্টান্টিনোপল পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর একটি। বাইজেন্টাইন সম্রাট প্রথম কনস্টান্টিনের হাতে ৩৩০ খ্রিস্টাব্দে এই শহরের গোড়াপত্তন ঘটে। গোটা বিশ্বে ছিল এর বিরল বৈশিষ্ট্যমন্ডিত একটি অবস্থান। মুসলমানরা যখন বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের সাথে জিহাদে লিপ্ত হয়, তখন ওই লড়াইসমূহে শহরটির ছিল আলাদা এক ভূমিকা। এই কনস্টান্টিনোপল বিজয়ীর ব্যাপারে স্বয়ং আল্লাহর রাসুল সা. প্রশংসা করে গেছেন। তিনি বলেছেন-
‘তোমরা (মুসলিমরা) অবশ্যই কনস্টান্টিনোপল বিজয় করবে। কতই না অপূর্ব হবে সেই বিজয়ী সেনাপতি, কতোই না অপূর্ব হবে তার সেনাবাহিনী।’ (মুসনাদে আহমদ ৪/৩৩৫)
ফলে ৮০০ বছরেরও বেশি সময় যাবত কনস্টান্টিনোপল বিজয় ছিল মুসলিম সেনাপতিদের কাছে একটি স্বপ্ন। বিশিষ্ট সাহাবী মুয়াবিয়া রা.-এর যুগ থেকে অনেকেই কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের চেষ্টা করে ছিলেন।
রাসুল সা.-এর সেই ভবিষ্যৎবাণী বাস্তবায়ন করার সৌভাগ্য অর্জন করেছিলেন ‘সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহ’। তিনি ছিলেন অটোমান সুলতান দ্বিতীয় মুরাদের সন্তান।
মুহাম্মাদ আল ফাতিহ ছিলেন একজন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মুসলমান। যিনি ইসলামী শরীয়তের বিধানকে যথাথ ভাবে মেনে চলতেন।
মুহাম্মাদ আল-ফাতিহ তার ধারাবাহিক পরিশ্রম ও সুগঠিত পরিকল্পনার মাধ্যমে তার স্বপ্নগুলো পূরণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তিনি সেই অপরাজেয় দুর্গশহর জয় করেছিলেন অকল্পনীয় সামরিক কৌশলে। সেনাবাহিনীকে গড়ে তুলেছিলেন অবর্ণনীয় যোগ্যতায়। তাঁর নির্দেশে সেনারা পাহাড়ি অসমতল রাস্তায় কাঠের উপর দিয়ে টেনে নিয়ে গিয়েছিল আস্ত একটা নৌবহর আর তা বাইজেন্টাইনদের কল্পনার বাইরে তাদের পেছনের দিকে নামিয়ে দিয়েছিল। এতেই দুর্বল হয়ে পড়েছিল রোমানদের নৌশক্তি। সেই সাহসী পদক্ষেপে রোমানদের লাঞ্ছনাকর পরাজয় ঘটে। বিজিত হয়েছিল অপরাজেয় হিসেবে খ্যাত কনস্টান্টিনোপল। তিনি ব্যক্তিগত সম্পদ রাজকোষে জমা দিয়ে অনেক খ্রিস্টানদের মুক্ত করে দিয়েছিলেন। অথচ তার বিরুদ্ধে অনেক ইংরেজ ইতিহাসবিদ মিথ্যা অপবাদ দেয়।
একটা সময় পৃথিবীর বুকে দাপিয়ে বেড়ানো মুসলিম জাতি নিজেদের অতীত ভুলে আজ হতাশার সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে; নিজেদের অস্তিত্বই যেন ভুলে যেতে বসেছে।
বর্তমান এই সময়ে মুসলিম জাতির এই বেহাল দশার একমাত্র কারন হল, আমরা আমাদের সোনালি অতীত ভুলে গেছি। মিথ্যা ইতিহাস দিয়ে আমাদের মহান নেতাদের জীবন ইতিহাসকে প্রতিনিয়ত কলঙ্কিত করা হচ্ছে। আর আমরা আমাদের নিজেদের সত্য ইতিহাস ভুলে সেই মিথ্যাকে সত্য ভেবে হীনমন্যতায় ভুগছি। এই সুযোগে পশ্চিমারা কেড়ে নিচ্ছে আমাদের সবকিছু।
মহান এই সুলতানের জীবনী নিয়ে ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি রচিত বইয়ের বাংলা অনুবাদ গ্রন্থ ‘কনস্টান্টিনোপল বিজেতা সুলতান দ্য গ্রেট মুহাম্মাদ আল ফাতিহ’। লিখক বইটিকে মূলত তিনটি প্রধান ভাবে ভাগ করেছে।
প্রথম অংশ:
উসমানি সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে মুহাম্মাদ আল ফাতিহ’র আগেকার সকল সুলতানের সংক্ষিপ্ত জীবনীর উল্লেখযোগ্য অংশ এখানে উঠে এসেছে। উসমান থেকে সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ পর্যন্ত সকলের বীরত্ব, ন্যায়পরায়ণতা, রাজনৈতিক কৌশল ও রাজ্য পরিচালনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।
দ্বিতীয় অংশ:
মুহাম্মাদ আল ফাতিহ ও কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের ধারাবাহিক ঘটনাপ্রবাহ, সাহসী প্রদক্ষেপ, বীরত্ব, ন্যায়পরায়ণতা, তৎকালীন বিশ্বে কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের প্রভাব এই অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে।
তৃতীয় অংশ:
এই অংশে লেখক সংক্ষেপে ইতিহাসের বিকৃতি ও উসমানি সাম্রাজ্যের সুলতানদের সম্পর্কে লিখেছেন।
বইটি পড়া কেন প্রয়োজন-
● মুসলিম উম্মার বীরত্বের সত্য ইতিহাস জানার জন্য, মহান সেই ব্যক্তিদের মত আবারো বিজয় ছিনিয়ে আনার জন্য বইটি অনেক সহায়ক হবে।
●বইটির বিশেষত্ব:
অনুবাদ বই হলেও পড়তে কোনো সমস্যা হয়নি। অনুবাদ অনেক সাবলীল ও সহজবোধ্য ছিল।
বইয়ের নাম: সুলতান দ্য গ্রেট মুহাম্মাদ আল ফাতিহ
লেখক: ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
ভাষান্তর: আবদুর রশীদ তারাপশী
প্রকাশনী: কালান্তর প্রকাশনী
মুদ্রিত মূল্য: ৩২৫৳
প্রকাশকাল: ১ আগস্ট ২০১৯
#কালান্তর_ওয়াফিলাইফ_রিভিউ_প্রতিযোগিতা
Mohammad Rakibul Islam – :
বইটিতে বিদ্যমান রয়েছে সুলতান মুহাম্মদ থেকে “সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ’ হয়ে উঠার ইতিহাস। এতে বিদ্যমান রয়েছে এমন একটি দূর্গ জয়ের যার ভবিষ্যৎবাণী করে গেছেন রাসূল (সাঃ)।সুলতানের বিচক্ষণতা,তার সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ইত্যাদি তুলে ধরা হয়েছে এই গ্রন্থে। তার বিচক্ষণতার উদাহরনস্বরুপ একটি ঘটনা হলো,বসফরাস বন্দর থেকে গোল্ডেনহর্নে জাহাজগুলো স্থলপথে নিয়ে যাওয়াার সিদ্ধান্ত।যা বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিনি তার বিচক্ষণতার প্রমান দিয়েছেন।যেটা বিজয় করার গৌরব অর্জনের জন্য প্রচেষ্ঠা চালিয়ে গেছেন অনেক বীরেরা
সেই দূর্গ কনস্টান্টিনোপল জয় করে মহাসম্মানের অধিকারী হয়েছেন সুলতান মুহাম্মদ।নিজের নামের পিছনে অর্জন করে নিয়েছেন “আল ফাতিহ’ তথা বিজয়ী উপাধি। কেয়ামত পর্যন্ত যা থাকবে তার নামের সাথে সংশ্লিষ্ট। বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে একজন শাসকের,একজন যোদ্ধার গুণবালি কেমন হওয়া উচিত।সাথে তুলে ধরা হয়েছে একজন আলেমের ভুমিকা।শায়খ আক শামসুদ্দিন (রহ)।যিনি ছোট থেকে সুলতানের মনে বিশ্বাসের বীজ বপন করেছেন যে তিনিই হবেন রাসুলের (সাঃ) ভবিষ্যৎবাণীকৃত সেই মহাবীর।সেভাবে শরিয়তের দীক্ষা দিয়ে গড়ে তুলেছেন সুলতানকে।সুলতানকে দিয়েছেন সঠিক পরামর্শ।বলা হয়,শায়খ আক শামসুদ্দিন হলেন কনস্টান্টিনোপলের আধ্যাত্মিক বিজেতা।কনস্টান্টিনোপল বিজয়ে তার অবদান সম্পর্কে বক্ষমাণ গ্রন্থে একটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে।ঘটনাটি হলো, “একদিন সুলতান শায়খের তাবুতে জনৈক লোককে পাঠালে শায়খের খাদেম তাকে ভিতরে ঢুকতে দেয়নি যার ফলে সুলতান নিজে যান সেখানে।সুলতানকেও শায়খের খাদেম ভিতরে যেতে দেননি কেননা শায়খের বারণ ছিলো কেউ যেনো তার তাবুতে না ঢুকে।সুলতান তখন খঞ্জর দিয়ে তাবু ছিড়ে দেখতে পান শায়খ সিজদাবনত রয়েছেন।তার পাগড়ি খসে পড়েছিল তার সাদা চুল দাড়ি থেকে খসে পড়ছিলো নুরানি প্রভা।শায়খ সিজদা থেকে উঠলে সুলতান দেখতে পান শায়খের চোখে অশ্রুর বিন্দু চমকাচ্ছিলো উজ্জ্বল মূতির ন্যায়।তারপর সুলতান যখন তার তাবুতে ফিরে আসেন দেখতে পান কনস্টান্টিনোপলের প্রাচীরগায়ে বিশাল ফাটল ধরেছে এবং সেই ফাটল দিয়ে শহরে ঢুকে পড়ছে মুসলিম বাহিনী।তখন তিনি আনন্দিত হয়ে বলেন,”আমি শহর বিজয়ের দরুন যতটা-না আনন্দিত,তারচেয়ে বেশি আনন্দিত এ জন্য যে,আমার যুগেও রয়েছে অসীম বরকতময় ব্যাক্তিগণ’।’সুবহানাল্লাহ শায়খের মতো আলেমের কারনে সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ’র মতো বীরেরা গড়ে উঠে।আজকের দিনে হয়তো শায়খের মতো আলেমের অভাবের ফলে সুলতানের মতো ব্যাক্তিদের গড়ে উঠা হয়না মুসলমানরা নিমজ্জিত হয় অন্ধকারের গভীর গহবরে।জুলুম নির্যাতনের শিকার হয় কুফফারদের থেকে।শায়খের মতো আলেমের অভাবে আজ মুসলমানরা সিরিয়া,আফগান,আরাকান,উইঘুর,হিন্দুস্তানে নির্যাতনের শিকার হলেও কেউ তাদেরকে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য এগিয়ে আসেনা।
আমাদের আজকের দিনে একজন শায়খ আক শামসুদ্দিনের ভীষণ প্রয়োজন যিনি তার ঈমানের বলে গড়ে তুলবেন সুলতান আল ফাতিহ’র মতো ব্যাক্তিদের।যে মুসলমানদের বাচাবে নির্যাতন,জুলুমের হাত থেকে।ফিরিয়ে আনবে উম্মাহর সেই হারিয়ে যাওয়া সোনালি অতীত।