সুলতান আওরঙ্গজেব আলমগির
সম্পাদক: আবদুর রশীদ তারাপাশী
১৫২৬ খ্রিষ্টাব্দে পানিপথের যুদ্ধে ইবরাহিম লোদিকে পরাজিত করে সম্রাট বাবরের হাতে প্রতিষ্ঠিত হয় হিন্দুস্থানের ইতিহাসে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও প্রভাবশালী সাম্রাজ্য—ইতিহাসের পাতায় যা ‘মোগল সাম্রাজ্য’ নামে চির ভাস্বর হয়ে আছে। হিন্দুস্থানের বুকে সর্বশেষ নেতৃত্ব দেওয়া তৈমুরের বংশোদ্ভূত এ মোগলদের হাতেই তদানীন্তন সময়ে জ্ঞানবিজ্ঞান, অর্থনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা-দীক্ষা ও সমরবিদ্যা—এককথায় সবকিছুতেই উন্নতি ও সমৃদ্ধির শীর্ষ শিখরে পৌঁছে গিয়েছিল হিন্দুস্থান।
বাবর, হুমায়ুন, আকবর, জাহাঙ্গির ও শাহজাহানের পর সালতানাতের বাগডোর হাতে নিয়েছিলেন এই সাম্রাজ্যের সবচেয়ে ন্যায়পরায়ণ, বিচক্ষণ, দূরদর্শী ও আলোচিত শাসক সুলতান আওরঙ্গজেব আলমগির—যিনি দোর্দণ্ড প্রতাপের সঙ্গে সুদীর্ঘ ৫১ বছর সাম্রাজ্য পরিচালনা করেছিলেন।
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি এ ন্যায়পরায়ণ সুলতানেরই বর্ণাঢ্য শাসনামলের ঐতিহাসিক ধারাভাষ্য। জন্ম, বেড়ে ওঠা ও সিংহাসনে আরোহণের প্রেক্ষাপট থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর ‘জিহাদি-জীবন’-এর প্রতিটি অধ্যায় এতে আলোচিত হয়েছে। বাঙলার কট্টর হিন্দুসম্প্রদায়, আফগানের খাইবার ও আফ্রিদি গোত্রসমূহ, সৎনামি, জাট আর রাজপুতদের বিদ্রোহ দমনসহ প্রাসঙ্গিক সব আলোচনা স্থান পেয়েছে। ইতিহাসের এ মজলুম সুলতানের ওপর উত্থাপিত সব অভিযোগ নিয়েও সরল আলোচনা করা হয়েছে। ধুলোবালি ঝেড়ে আড়ালে থেকে যাওয়া বাস্তবতাগুলো সামনে আনা হয়েছে। সর্বোপরি সুলতানের মৃত্যুর পর সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকার নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বিবরণও বাদ যায়নি।
Out of stock
-
-
hotশিকড়ের সন্ধানে
লেখক : হামিদা মুবাশ্বেরাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন430 ৳318 ৳পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৯৬ টি কভার: পেপার ব্যাক ‘Know ...
-
hotইসলামের ইতিহাস (নববী যুগ থেকে বর্তমান)
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আসলাফ470 ৳348 ৳অনুবাদক: কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক সম্পাদক: মীযান ...
-
hotইসলামের চার নক্ষত্র: চার ইমাম
লেখক : ড. সালমান আল আওদাহপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন335 ৳251 ৳অনুবাদ: ওয়াফি অনুবাদক টিম সম্পাদনা: মুফতী মাহমুদুল ...
-
hotভারতবর্ষে মুসলিম শাসন : হাজার বছরের ইতিহাস
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল ইসলাম770 ৳447 ৳ভাষান্তর : মুহাম্মাদুল্লাহ ইয়াহইয়া অতিরিক্ত টীকা সংযোজন ...
-
save offইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা
লেখক : হেদায়াতুল্লাহ মেহমান্দপ্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন414 ৳306 ৳'ইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা' বইটি মূলত ...
-
hotইমাম সিরিজ (৬টি বই)
প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন120 ৳ – 990 ৳সম্পাদনা: আকরাম হোসাইন কভার: পেপার ব্যাক পৃষ্ঠা: ১ম খণ্ড ১৬৮, ২য় ...
-
hotঅবাধ্যতার ইতিহাস
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন385 ৳269 ৳যেভাবে আর যে কারণে ধ্বংস হয়েছে ...
-
hotসীরাত বিশ্বকোষ (১১ খণ্ড)
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার11,000 ৳6,380 ৳মোট খণ্ড ১১ এবং পৃষ্ঠাসংখ্যা : ...
-
save offলস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি (ইসলামের হারানো ইতিহাস) (পেপার ব্যাক)
লেখক : ফিরাস আল খতিবপ্রকাশনী : প্রচ্ছদ প্রকাশন260 ৳190 ৳অনুবাদক: আলী আহমাদ মাবরুর পৃষ্ঠা: ২৮৬ লস্ট ইসলামিক ...
-
hotইমাম মাহদী: রূপকথা নয়, সত্য
প্রকাশনী : সীরাত পাবলিকেশন200 ৳150 ৳অনুবাদক: মহিউদ্দিন রূপম, আশিক আরমান নিলয় সম্পাদনা: ...
-
hanifmahamudi10 – :
#কালান্তর_ওয়াফিলাইফ_রিভিউ_প্রতিযোগিতা
বইঃ দ্য গ্রেটেস্ট সুলতান অব দ্য মোগল এম্পায়ার আওরঙ্গজেব আলমগির
লেখকঃ ফাহাদ আব্দুল্লাহ
ধরণঃ ইতিহাস(মোগল আমল)
প্রকাশনাঃ কালান্তর প্রকাশনী
প্রচ্ছদ মূল্যঃ ৩০০ টাকা
প্রথম প্রকাশঃ একুশে বইমেলা, ২০২০
সুধাকর(হাতি) তার প্রতিদ্বন্দ্বী কে দেখতে না পেয়ে এবার আরো হিংস্র হয় এবং তেড়ে আসে এক বালকের দিকে। তবে বালকটি ভয়ে ভড়কে না গিয়ে সাহসিকতা দেখিয়ে সুধাকর হাতির মাথায় বর্শা নিক্ষেপ করে। বালকের এই অসীম সাহসিকতা দেখে সুলতান তাকে “বাহাদুর” উপাধিতে ভূষিত করে। এই বালকটিই মোগল সাম্রাজ্যের সবচেয়ে সমৃদ্ধ সুলতান, আওরঙ্গজেব আলমগির।
*জন্মঃ ১৬১৮ সালে জন্মগ্রহণ করে এই সম্রাট।
*বেড়ে ওঠাঃ তিনি ছিলেন অনেক পরীশ্রমী ও মেধাবি। অল্প বয়সেই কুরআনের হিফয সম্পন্ন করেন এবং আরো উচ্চ পর্যায়ে পড়াশোনা করেন। তিনিও ছিলেন একজন বিচক্ষণ আলিম।
##শাসনঃ মাত্র ১৮ বছর বয়সেই দক্ষিণাত্যের সুবেদার হিসেবে নিয়োগ পান। এরপরে গুজরাটের সুবেদার। সুবেদার থাকাকালে ব্যর্থতা হিসেবে পারসিকদের বিরুদ্ধে জয় না পাওয়াকে ধরা গেলেও, এটা ব্যর্থতা হিসেবে না ধরাই ভালো কারণ আওরগজেব তখন শুধু সহকারী সেনাপতির ভুমিকায় ছিল, মূল ছিল সাদুল্লাহ খান। তার আদেশের বাইরে আওরঙ্গজেবের কিছু করার ছিল না।
দ্বিতীয় বারের মতো দক্ষিনাত্যের দায়িত্ব পেলে সুলতান এবার দক্ষিণাত্যের ভরপুর উন্নতি করেন। এতে অবশ্য দারাশিকো(আওরঙ্গজেবেরর বড় ভাই) ইর্ষান্বিত হত।
সুলতানের জীবনের একটা বড় অংশ জুড়েই জড়িত আছে দক্ষিণাত্য। কি তার জীবনের শুরুতে বা কি শেষে, এই দক্ষিণাত্যেই তার শাসন যুদ্ধ শুরু ও শেষ। শাসনের শুরুর কালে এই দক্ষিণাত্যে বিশৃঙ্খলা দমন করেন, বিভিন্ন রাজ্যের সুশাসন ফিরিয়ে আনেন। তার জীবনের শেষ সময়েও এই দক্ষিণাত্যেই মারাঠাদের দমন করেন।
##বিজাপুর ও গোলকুন্ডাঃ দক্ষিণাত্যে অঞ্চলের অন্তর্গত এ দুটি প্রদেশ। সুলতানের জীবনে এই দুটি প্রদেশের ঘটনাসমূহ দিয়েই ভরপুর। তবে বিজাপুরে যুদ্ধচলাকালীর দারা গভীর ষড়যন্ত্র করে আওরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে। অবশ্য সুলতান বিচক্ষণতার সাথে পরিস্থিতি সামাল দেন।
##সুলতান হিসেবে আওরঙ্গজেবঃ
*রাজ্য জয়ঃ সুলতান হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়ে সুলতান তার রাজ্য বিস্তৃত করেন এবং সুশাসন ফিরিয়ে আনেন। এ সময়ে তিনি বিভিন্ন বিদ্রোহী গোত্রের দৌড়াত্ব ও বিদ্রোহ দমন করেন। তার মধ্যে ইউসুফজাই, খাইবার, আফ্রিদি, জট, সৎনামী, শিখ, রাজপুত, ও মারাঠা উল্লেখযোগ্য। তবে সুলতান কে সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হয়েছে রাজপুত ও মারাঠাদের দমন করতে। এদের মধ্যে মারাঠারাই সুলতানের শাসনের প্রায় পুরোটা অংশ জুরেই ছিল। এদের মধ্যে শিবাজি ও তার পিত্র শোম্ভাজি ছিল নাটের গুরু। শিবাজি ও শোম্ভাজি এমন কোনো অপরাধ ও নৈরাজ্য নেই যা তারা করে নাই। অপরাধ জগতের সবকিছু তারা করেছে। বিশেষ করে মুসলমানদের উপর সব ধরণের নির্যাতন তারা করেছে। ইতিহাসবিদ রা লিখেন,” প্রতি দশমী উৎসবের পর শম্ভাজি সসৈন্যে বের হয়ে লুটপাটের মাধ্যমে ধনদৌলত জমানো শুরু করে। বিশেষ করে, খান্দাশ এবং বুরহানপুরের অঞ্চলে ব্যপক লুটতরাজ করে। ফলে বহু অভিজাত ও সম্ভ্রান্ত পরিবারের পুরুষেরা নিজেদের স্ত্রী – কন্যাদের নিজ হাতে হত্যা করছিল, যাতে অন্তত মারাঠাদের হাতে পাশবিকভাবে তাদের ইজ্জত-আব্রু খোয়াতে না হয়।”[সুত্রঃ অত্র বই পৃষ্ঠা-১৩৬) এইরক জগন্য ছিল মারাঠাদের নির্যাতন।
সুলতান এই মারাঠাদের দমন করেন নিজের শেষ সময় পর্যন্ত। নিজে যুদ্ধের ময়দানে থেকে তাদের দমন করেন।
#সুলতানের শাসনামলে কিছু চরিত্রঃ
*মির জুমলাঃ সুলতানের বিশ্বস্ত ও অনুগত সালর।
*রাজা জাসোনাথ সিংহঃ তিনি গাদ্দান নামেই অভিহিত। ধর্মাতে দারার হয়ে সুলতানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ক্ষমা চাইলে সুলতান তাকে ক্ষমা করে। পরে অন্যান্য প্রদেশের সুবাদারির দায়িত্ব দিলেও সুলতানের বিরুদ্ধে মারাঠাদের সাহায্য করে। এভাবে শেষ জীবন পর্যন্ত গাদ্দারি করে।
*শিবাজি ও শম্ভাজিঃ মোগল ইতিহাসে কুখ্যাত দুই মাবব রুপী পশু। মসলমানিদের উপর এমন কোনো নির্যাতন নেই যা তারা করে নি।
*দারাশিকোঃ সুলতানের বড় ভাই। আওরঙ্গজেব সুবেদার থাকাকালেই তার সাথে ষড়যন্ত্র করে। সবশেষে সিংহাসনের লড়াইয়ে যুদ্ধে পরাজিত হয়।
*মুআজ্জামঃ সুলতানের পুত্র। বিভিন্ন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে সুলতানের হয়ে সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেছেন।
###সুলতানের জীবনযাপনঃ সুলতান খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদ হতে অতিরিক্ত কিছুই নিতেন না। নিজ হাতে টুপি সেলাই করতেন, কুরআনের অনুলীপি লিখতেন।
*রাষ্ট্রীয় জীবনঃ রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে সুলতাম ছিলেন খুবই বিচক্ষণ, ন্যায়পরায়ণ শাসক। তার শাসনামলে তিনি রাজ্য হতে বিশৃঙ্খলা দূর করে শান্তির বাতাস বইয়েছেন।
*ধর্মীয় জীবণে সুলতানঃ সুলতান ছিলেন ধার্মিক একজন মানুষ। এত বড় সাম্রাজ্যের সম্রাট হয়েও তিনি সাধারণ জীবনযাপন করতেন ও ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতেন ও সম্রাজ্যে বাস্তবায়ন করতেন। কোনো জুলুম নিপীড়ন তিনি তার কালে করেন নি।
##সুলতানের উপরে যত অপবাদঃ সুলতানের জীবনের সব স্বর্গীয় কীর্তিকে ধামাচাপা দেওয়ার নিমিত্তে শিয়া, হিন্দু ও ইংরেজ ইতিহাসবিদিরা তাদের আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেগুলো যে তাদের বিদ্বেষ ছিল তা এই বইয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বিশেষ করে মন্দির ভাংগার অভিযোগ যে অসার ছিল তা অন্তত প্রমান হয়ে যায়। এভাবে সংক্ষিপ্ত ভাবে সুলতানের উপর আরোপিত অভিযোগ গুলো খন্ডন করা হয়েছে এই বইয়ে।
# বইটি মোট ৫ টি অধ্যায়ে ভাগ করে আলোচনা করা হয়েছে।
#ভালো লাগার দিকঃ বইয়ের শুরুতে মোগল সম্রাজ্যের একটি মানচিত্র দেওয়া আছে, যা বুঝতে সাহায্য করেছে মোগল সম্রাজ্য কে। আবার শেষে কাল নির্ঘন্ট হিসেবে বইয়ে উল্লিখিত ও অনুল্লিখিত সব সালের ঘটনাপ্রবাহ উল্লেখ করা হয়েছে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে বইয়ের শেষের প্রান্তে ” এক নজরে আওরঙ্গজেব-পরিচিতি” শিরোনামে একটা পরিচ্ছেদ উল্লেকজ করা। এতে সুলতানের পরিবার সম্পর্কে সহজেই ধারণা পাওয়া যায়। পরিশেষে বলবো, বইটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। এবং আমি মনে করি প্রত্যেকেরই বই টি পড়া উচিত, অন্তত সুলতান সম্পর্কে সঠিক ইতিহাস জানার জন্য।
jibonmahmudperfectboy – :
বই:দ্য গ্রেটেস্ট সুলতান অব দ্য মোগল এম্পায়ার ‘আওরঙ্গজেব আলমগীর’।
ধরণ: ইতিহাস ঐতিহ্য ও ইসলামিক
ব্যক্তিত্ব।
লেখক: ফাহাদ আবদুল্লাহ।
প্রচ্ছদ:আবুল ফাতাহ।
সম্পাদক: আবদুর রশীদ তারাপাশী।
প্রকাশনীঃ কালান্তর প্রকাশনি।
প্রথম প্রকাশ: একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৩৭
মুদ্রিত মূল্য: ৩০০
‘সুবহে সাদিক হতে তখনো বেশ দেরি। এরই মধ্যে শাহজাদা মুহাম্মদ খান খুররম এর তাঁবুর ভিতর থেকে সদ্যপ্রসূত শিশু সন্তানের কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। কিছুক্ষণ পর শাহজাদা ভেতর থেকে সুসংবাদ নিয়ে বের হন। সুলতান জাহাঙ্গীর তার নাম রাখেন আওরঙ্গজেব। কে জানত, খুররমের ঘর আলোকিত করে আসা এ সন্তানই হবে মোঘল সালতানাতের ইসলামী সালতানাতে বদলে দেওয়া ৫০ বছর সাম্রাজ্য পরিচালনাকারী ইতিহাসের এক মহান আদর্শ পুরুষ! কে জানত, এ ছোট্ট শিশুটিই হবে সুলতান আবুল মুজাফফর আল মানসুর মুহিউদ্দিন মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব আলমগীর’। এই মহান সুলতান ৪১ বছর বয়সে মোগল সিংহাসনে আরোহণ করে সুদীর্ঘ ৫০ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করেন । আওরঙ্গজেব ছিলেন উপমহাদেশের সবচেয়ে দূরদর্শী ও ন্যায়পরায়ণ শাসক।বিদ্বেষী মনোভাব থেকে স্যার যদুনাথ সরকারের মতো অনেক নামিদামি ইতিহাসবিদ ও সুলতানের উপর অসংখ্য অপবাদ আরোপ করে থাকেন । কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে তিনি কারও উপর অবিচার করেননি। সুলতান হওয়া সত্ত্বেও তিনি সদাসিদে জীবনযাপন করেছেন। ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি ইসলামী শরিয়া গ্রন্থটি তাঁর তত্তাবধানে রচিত হয়েছিল।মোগল সাম্রাজ্যের এই মহান গাজী সুলতান ৯১ বছর বয়সে পরকালের পথে পাড়ি জমান।
পাঠ অনুভূতি: ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে গেলে, আমি যখন বইটি পড়ছিলাম তখন সুলতানের সব ঘটনা চিত্র আকারে আমার সামনে ফুটে উঠছিল। আফসোস হয়, বর্তমানে যদি এমন সুলতান থাকতো আল্লাহর কসম মুসলিম উম্মাহ সবার শির্ষে থাকতো। বইটি পড়ে প্রশান্ত হয়ে গেছে মনটা।লেখার মান: লেখক ফাহাদ আবদুল্লাহ তরুণ প্রজন্মের জন্য গর্ব। তিনি বিশুদ্ধ উৎস থেকে বইটি লিখেছেন। এই বইটিতে তিনি মহান সুলতানের জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ৩টি অধ্যায়ে আলোচনা করেছেন এবং বাকি ২য় অধ্যায় আলোচনা করেছেন মৃত্যুপরবর্তী উত্তরাধিকার লড়াই ও সুলতানের বিরুদ্ধে আনীত মিথ্যা অভিযোগ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে। অত্যন্ত সাবলীলভাবে বইটি লিখেছেন লেখক ফাহাদ আবদুল্লাহ।
সম্পাদনা: আবদুর রশীদ তারিপাশী গুনি একজন সম্পাদক, তার সম্পদনায় যাদু আছে বলা যায়।
ছাপা ও বাঁধাই: বইটির ছাপা ও বাঁধাই ছিলো চোখ ধাঁধানোর মতো। ব্যক্তিগতভাবে বলতে গেলে খুবই ভালো লেগেছে।
বইটি কেন প্রয়োজন: কিভাবে ৪০ লাখ বর্গকিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে পড়িয়েছিলেন তার সাম্রাজ্য? কিভাবে তিনি ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল মৃত্যু অবধি এবং সুলতান আলমগীর বিশুদ্ধ ইতিহাস জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে আমাদের বাংলার গর্ব ফাহাদ আবদুল্লাহ লেখা বইটি পড়তে হবে।পরিশেষে বলতে চাই লেখক ফাহাদ আবদুল্লাহ লেখা সুলতান আওরঙ্গজেব আলমগীর এর জীবনী সম্বলিত বইটি প্রত্যেক মুসলমানের ঘরে ঘরে পৌছে যাক। এমন সুন্দর একটি বই পাঠকের সমীপে উপস্থাপন করার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বইয়ের লেখক, সম্পাদক, প্রকাশক সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে কবুল করুন এবং ইসলামের জন্য আরও অধিক পরিমাণে কাজ করার তাওফিক দিন, আমিন।
jibonmahmudperfectboy – :
jibonmahmudperfectboy – :
jibonmahmudperfectboy – :