সভ্যতার সংকট
লেখক : ড.আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপস
প্রকাশনী : সিয়ান পাবলিকেশন
বিষয় : মুসলিম সভ্যতা ও সংস্কৃতি
পৃষ্ঠা : 173, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 2nd Printed, 2016
আইএসবিএন : 9789843368829, ভাষা : বাংলা
সমকালীন বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ইসলামকে সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনুধাবন করার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে। কারণ অনেকেই মনে করেন যে, খোদ মুসলিম বিশ্বের মধ্যে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে চলমানের সংঘাতের আসল কারণ ‘সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব’। এই একুশ শতক, এবং একুশ শতককে ছাড়িয়ে মুসলিম জাতির সভ্যতার সাথে ইসলামের এই যে সুগভীর সম্পর্ক, তা উপলব্ধি করতে হলে ‘সংস্কৃতি’ এবং সংস্কৃতির আলোচনায় ব্যবহৃত বিভিন্ন পরিভাষা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখা অপরিহার্য।
সমকালীন বিশ্ব পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ইসলামকে সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অনুধাবন করার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বের দাবি রাখে। কারণ অনেকেই মনে করেন যে, খোদ মুসলিম বিশ্বের মধ্যে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে চলমানের সংঘাতের... আরো পড়ুন
-
-
hotগল্পগুলো অন্যরকম
লেখক : সিহিন্তা শরীফা, আনিকা তুবা, আফিফা আবেদিন সাওদা, আরমান ইবন সোলাইমান, আরিফ আজাদ, আরিফ আবদাল চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম, আলী আবদুল্লাহ, জাকারিয়া মাসুদ, নুসরাত জাহান, মাহমুদুর রহমান, যাইনাব আল-গাযি, শারিন সফি, শিহাব আহমেদ তুহিন, শেখ আসিফ, সাদিয়া হোসাইন, সানজিদা সিদ্দীক কথাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন350 ৳245 ৳জীবনের কাছে মাঝে মাঝে গল্পও তুচ্ছ ...
-
save offতাতারিদের ইতিহাস (দুই খণ্ড)
লেখক : ড. রাগিব সারজানীপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল হাসান800 ৳400 ৳তাতারীদের ইতিহাস গ্রন্থটি ষষ্ঠ শতাব্দির মুসলিম ...
-
save offমুসলিমদের পরাজিত মানসিকতা
লেখক : আব্দুল্লাহ আল খাতিরপ্রকাশনী : সন্দীপন প্রকাশন70 ৳51 ৳যখন আপনি কোনো মুসলিমের কাছে পুনর্জাগরণের ...
-
featureমুসলিম উম্মাহর পতনে বিশ্বের কী ক্ষতি হলো?
লেখক : সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভীপ্রকাশনী : দারুল কলম300 ৳এই মহামূল্যবান বইটি লেখা হয়েছিল আরবীতে ...
-
hotইসলাম ও পাশ্চাত্য সভ্যতার সংঘাত
প্রকাশনী : সাবিল পাবলিকেশন185 ৳135 ৳পশ্চিমা সভ্যতা আজ বিজয়ী শক্তি। তার ...
-
hotপ্রাচ্যবিদদের ইসলামচর্চার নেপথ্যে
লেখক : ড. মুসতাফা আস সিবায়ীপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার120 ৳94 ৳প্রাচ্যতত্ত্ব একটি প্রকল্প, যেখানে জ্ঞানগত প্রণোদনা ...
-
hotবিজয়ী কাফেলা
লেখক : ড. ইউসুফ আল কারযাভীপ্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স220 ৳154 ৳অনুবাদ: ফারুক আজম পৃষ্ঠা: ১২৮ (পেপার ব্যাক ...
-
Amit Hasan – :
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটিতে ইসলামি সভ্যতার সাথে পশ্চিমা সভ্যতার পারস্পরিক দ্বন্দ্ব, ইসলামি সংস্কৃতি এবং তার তুলনামূলক বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে।
বইটি পাঁচটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত। প্রথম অধ্যায়ে পশ্চিমা সভ্যতার সূচনাবিন্দু শিরোনামে পশ্চিমা সভ্যতায় পৌত্তলিক চেতনার প্রভাব, এর ফলাফল, রোমান সভ্যতার ইতিবৃত্ত, ডারউইনিজম, পশ্চিমা সভ্যতার সৃষ্ট ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্র, এর মূলনীতি এগুলোর সাথে ইসলামের সংঘাত কোথায় তার তুলনামূলক বিশ্লেষণ আলোচনা করা হয়েছে।
আজ পশ্চিমা সভ্যতার বিষবাষ্পের হাওয়া ছড়িয়ে পরেছে মুসলিম বিশ্বে। যার ফলাফল আজকের মুসলিম সমাজ ইসলাম থেকে বিচ্যুত হয়ে পশ্চিমাদের সৃষ্ট মতবাদে বুঁদ হচ্ছে। বক্ষ্যমাণ বইটির দ্বিতীয় অধ্যায়ে রেওয়াজ-প্রথার জালে বাধাঁ পড়া ইসলাম শিরোনামে পশ্চিমা শক্তির বেড়াজালে মুসলিমদের আটকে পড়ার কারণ, এর সমাধান, যুগে যুগে এমন বেড়াজাল থেকে বের হওয়ার প্রচেষ্টারত সংস্কারগণ, তাঁদের দ্বারা সংঘটিত আন্দোলন, তাঁদের হাত ধরে ইসলামের পুনর্জাগরণ বিষয়ক আলোচনা উঠে এসেছে।
তৃতীয় অধ্যায়ে ইসলামি সংস্কৃতি শিরোনামে ইসলামের ভিত্তি, ইসলামে নৈতিক মূল্যবোধ এর ভিত্তি, মানদন্ড, নৈতিকতার সূত্রাবলি আলোচিত হয়েছে।
চতুর্থ অধ্যায়ে ইসলামের মৌলিক ভিত্তিসমূহ, এই ভিত্তি গুলো যে ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলে তার বৈশিষ্ট্য ও প্রভাব, এগুলোর ব্যাপারে গতানুগতিক মুসলিমদের দৃষ্টিভঙ্গি আলোকপাত করা হয়েছে।
বইটির শেষ অধ্যায়ে ঈমানের স্তম্ভ সমূহ সবিস্তার আলোকপাত করা হয়েছে। এই স্তম্ভ গুলোতে যে ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলে তার বৈশিষ্ট্য ও মানব চরিত্রে এগুলোর প্রভাব আলোচনা করা হয়েছে।
পাঠ প্রতিক্রিয়া-
সাবলীল অনুবাদ ও অসাধারণ সাহিত্যমান বইটিকে করেছে অনন্য। বইটি একটি তথ্যবহুল বই। কুরআন সুন্নাহর পাশাপাশি কিছু পরিভাষা ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেগুলোর যথাযথ রেফারেন্স উল্লেখ করা হয়েছে।
বইটি প্রতিটি সচেতন মুসলিমের পাঠ করা উচিত বলে মনে করি। বইটি পাঠের মাধ্যমে একজন মুসলিম তার পালনকর্তা প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থার সাথে মানব রচিত সভ্যতার মূল্যায়ন করতে পারবে। ইসলামি সভ্যতাই যে একমাত্র প্রতিষ্ঠিত মননশীল সভ্যতা তা অনুধাবন করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
Mst Halima Akter – :
যদিও তারা ‘মুসলিম মৌলবাদ’কে চিহ্নিত করেছে সভ্যতার জন্য ‘সমস্যা’ হিসেবে, তথাপি অধ্যাপক হান্টিংটন এসব দাবিকে সম্পূর্ণ নাকচ করে দিয়ে গোটা ইসলামকেই পশ্চিমাদের জন্য মূল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কারণ ইসলামি সভ্যতা মৌলিকভাবেই পশ্চিমা সভ্যতা থেকে সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী।আর এর পেছনে রয়েছে মুসলিমদের চিন্তাধারার দুইটি মূল চালিকাশক্তি। অতি সংক্ষেপে তা হলো:
১. মুসলিমরা নিজেদের সংস্কৃতিকে অন্য যেকোনো সংস্কৃতি থেকে শ্রেষ্ঠতর গণ্য করে।
২. মুসলিমদের মনে তাদের দেশে ইসলামি আইন বা শারী’আহ বাস্তবায়নের আকাঙ্ক্ষা।
মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম (রাহিমাহুল্লাহ) চমৎকার একটি কথা লিখেছেন তাঁর ‘পাশ্চাত্য সভ্যতার দার্শনিক ভিত্তি’ বইটিতে। সেটি হচ্ছে: “ডারউইনের মতবাদ মানুষের মানবিক ও আধ্যাত্মিক মূল্যমানকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছে। আর ফ্রয়েড মানুষের উন্নতমানের মহান পবিত্র চরিত্র গুণের উপর তীর চালিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। অত:পর কার্লমার্কস এসে সামাজিক ও নৈতিক পরিবর্তনের মূলে অর্থনৈতিক কার্যকারণের অনিবার্যিক কার্যকরতা প্রমাণ করে মানুষকে নিতান্তই অর্থনৈতিক জীব প্রমাণ করতে বলিষ্ঠ বৈজ্ঞানিক যুক্তি উপস্থাপন করেছেন।”
পাশ্চাত্য সভ্যতার দার্শনিক ভিত্তি (মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম)
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, এই বইটিতে তিনি সংক্ষেপে কিন্তু সহজ ভাষায় গুছিয়ে ইসলামের মৌলিক ভিত্তি, ইসলামি সংস্কৃতি, আর ঈমানের স্তম্ভসমূহ নিয়ে আলোচনা করেছেন। যা সত্যিই অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
ডক্টর ফিলিপসের জীবন বর্ণাঢ্যময়তার চাইতেও বেশি কিছু। তিনি ছিলেন কানাডায় অভিবাসিত একজন কৃষ্ণাঙ্গ। তাই পশ্চিমা সভ্যতাকে দেখেছেন একেবারে কাছে থেকে। কানাডাতে ফ্রেজার ইউনিভার্সিটিতে প্রাণরসায়ন বিষয়ে পড়ার সময় সমাজতন্ত্রের ডাকে বইখাতা ফেলে রাস্তায় নামেন। কৃষ্ণাঙ্গ ও সমাজতন্ত্রীদের নানা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। এমনকি একপর্যায়ে সমমনা কম্যুনিস্টদের সাথে কম্যুনাল লিভিংয়ে অবধি থাকেন। পুঁজিবাদের পর সমাজতন্ত্রের কুৎসিত রূপটি তার সামনে উন্মোচিত হয় প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে।
সভ্যতার বর্তমান নৈতিক স্খলনের মুহূর্তে এরকম একটি বইয়ের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। এক আল্লাহ’র দাসত্বের দিকে আহ্বান জানিয়ে মনুষ্যরচিত বিধানের দাসত্বের জিঞ্জির থেকে মুক্ত করার দিশারি এই বইটি। ডক্টর আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপসের যুগান্তকারী একটি কাজ। যেই কাজ তাঁর পূর্বসূরি মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রহীম (রাহিমাহুল্লাহ) শুরু করে গিয়েছিলেন, তিনি সেটিতে পূর্ণাঙ্গ অবয়ব দিতে চলেছেন।
জিম তানভীর ভাই এই বইটির অনুবাদক। আলহামদুলিল্লাহ্, তিনি অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় অনুবাদের কাজটি করেছেন। ভাষান্তরের ক্ষেত্রে কোথাও কঠিন বা দুর্বোধ্যতার কোনো ছাপ রাখেননি। আল্লাহ উনাকে উত্তম বারাকাহ দান করুন। শার’ই সম্পাদক হিসেবে শায়েখ ডক্টর মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী রয়েছেন। বইটিতে উনার শার’ই সম্পাদনা বইয়ের মানকে আরোও উচ্চকিত করেছে।