সর্বশেষ অপার্থিব
অজ্ঞতার গাঢ় অন্ধকার চিরে দুনিয়াতে এলো একচিলতে আলো। এ আলো আসলে ওহীর সুউজ্জ্বল রোশনাই। মানুষের মুক্তির দিশারী। এ আলোই কুরআন—মহান রবের চির অমলিন বাণী।
কিন্তু শিরক-কুফর আর অজস্র ইজমের বিষাক্ত কাদায় ডুবে থাকা মানুষের মন ক্ষণে ক্ষণে এ মহান বাণীকে নিয়ে সন্দিহান হলো। ছুড়ে দিতে চাইল নানান চ্যালেঞ্জ। বিচিত্র সব প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সৃষ্টি করতে চাইল ধোঁয়াশা। এ অপচেষ্টা যুগে যুগেই হয়েছে। কেউ স্রেফ প্রশ্ন ছুড়েছে। কেউবা ভুল বের করতে মরিয়া হয়েছে। তবু আজতক কারও অপচেষ্টাই আলোর মুখ দেখেনি। বরঞ্চ গুমড়ে মরেছে আঁধারেই।
এদিকে কুরআনপ্রেমী বিদগ্ধজনরাও বসে থাকেননি। তারাও প্রমাণ করতে চেয়েছেন—কুরআন স্রেফ ‘ধর্মগ্রন্থ’ নয়; বরং তা স্বয়ং বিশ্বপ্রতিপালকের অজর বাণী। চিরসত্য কুরআনের সত্যতার আলো ঝকঝকে দেয়ালটাকে লেখনীর মাধ্যমে চেনাতে চেষ্টা করেছেন অনেকেই। ‘সর্বশেষ অপার্থিব’ সেরকমই এক প্রেমময় প্রচেষ্টা।
নানামাত্রিক আলোচনা, যুক্তি আর খণ্ডনে সমৃদ্ধ এই বই চিন্তাশীল পাঠককে আরও একটু ভাবতে বাধ্য করবে। আর বিশ্বাসীর করতলে তা হবে এক শাণিত তরবারি।
-
-
hotপ্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স225 ৳214 ৳কভার: হার্ড কভার পৃষ্ঠা: ১৬৮ বর্তমান যুগ হলো ...
-
featureচিন্তাপরাধ
লেখক : আসিফ আদনানপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন190 ৳পৃষ্ঠা - ১৯২ 'যতক্ষণ সাম্রাজ্যের সার্বভৌমত্ব স্বীকার ...
-
hotডাবল স্ট্যান্ডার্ড
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার400 ৳280 ৳কিছু লোক ইসলামকে সে শত্রু হিসেবে ...
-
hotপ্রত্যাবর্তন
লেখক : সমকালীন সংকলন টিমপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন350 ৳227 ৳মুসলিমের ঘরে জন্ম নিয়েও আমি হয়ে ...
-
hotডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২.০
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন392 ৳290 ৳দ্বীন নিয়ে অজ্ঞতা আমাদের সমাজের রন্ধে ...
-
hotআরজ আলী সমীপে
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন260 ৳169 ৳আরজ আলী মাতুব্বর। জন্মেছেন বরিশালে। প্রাতিষ্ঠানিক ...
-
hotজবাব (পেপার ব্যাক)
লেখক : আরিফ আজাদ, জাকারিয়া মাসুদ, ডা. শামসুল আরেফীন, মহিউদ্দিন রূপম, মুহাম্মাদ মুশফিকুর রহমান মিনার, রাফান আহমেদ, শিহাব আহমেদ তুহিনপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন315 ৳205 ৳আমরা হয়ত অনেকেই জানি না, জনপ্রিয় ...
-
hotকষ্টিপাথর
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার360 ৳252 ৳আরবীতে একটা প্রবাদ আছে, كل شيء يرجع ...
-
সংশয়বাদী
লেখক : ড্যানিয়েল হাকিকাতজুপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন260 ৳ড্যানিয়েল হাক্বিকাতযু। হালের একজন দা'ঈ ইলাল্লাহ। ...
-
riham – :
রাকিবুল ইসলাম সাগর – :
.
কিন্তু এখন প্রশ্ন আসতে পারে আল্লাহ যে আসলেই দীর্ঘ ২৩ বছরে ধাপে ধাপে এই কুরআন প্রফেট মুহাম্মদের (ﷺ) ওপর নাজিল করেছেন, এর সত্যতাই কি বা প্রমাণই বা কি? মুহাম্মদ (ﷺ) তো নিজে নিজে এই কুরআন লিখে আল্লাহর থেকে এসেছে বলে চালিয়ে দিতে পারে। এই কথাটাই বা কিভাবে মিথ্যা হয়, তাই না। এমন প্রশ্ন আসতেই পারে।
.
কুরআন আল্লাহর থেকেই এসেছে এবং এই কথার পক্ষে অসংখ্য প্রমাণ নিয়েই মোহম্মদ তোহায়া আকবর ভাইয়ের লেখা এই “সর্বশেষ অপার্থিব” বইটি।
.
যেহেতু মুহাম্মদ (ﷺ) নিরক্ষর ছিলেন তাই তার পক্ষে কুরআন রচনা করা সম্ভব না, তাহলে হয়তো তিনি কারো সাহায্য নিয়ে কুরআন লিখেছেন। বেসিকলি কার কার সাহায্য নিয়ে থাকতে পারেন লেখক সেটা চার ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথমত শয়তানের সাহয্যে/ দ্বিতীয়ত পূর্ববর্তী গ্রন্থগুলো থেকে বিভিন্ন ঘটনা, তথ্য ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান আছে এমন কারো সাহায্যে/তৃতীয়ত কারো সাহায্য না নিয়ে পূর্ববর্তী গ্রন্থগুলোর সাহায্যে তিনি নিজেই কুরআন রচনা করেছেন/ কারো কোন সাহায্য ছাড়া তিনি একাই কুরআন রচনা করেছেন। এই চারটার কোনটাই যে সঠিক না লেখক সেটা সহজ সাবলীল ভাষায় ব্যাখ্যা করেছেন।
.
তারপরে লেখক আলোচনা করেছেন যে, মুহাম্মদ (ﷺ) যদি নিজেই কুরআনের রচয়িতা হতো তাহলে স্বাভাবিকভাবেই কুরআনে তার নাম বেশি আসতো, আলোচনা বেশি থাকতো কিন্তু না, কুরআনে মাত্র পাঁচবার মুহাম্মদ (ﷺ) এর নাম এসেছে। পূর্ববর্তী নবী মূসা (১৩৬ বার), নূহ (৪৩ বার), ইবরাহীম (৬৯ বার), ঈসা (২৫ বার), লূত (২৭ বার) , ইউসুফ(২৭ বার) এদের নাম সবচাইতে বেশি বার এসেছে। আলাইহিমুস সালাম।
.
এরপর আলোচনা করেছেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা রসূলকে বেশ কয়েকবার আয়াত অবতীর্ণ করে সংশোধন করে দেন।বেশ কয়েকটি ঘটনা লেখক এই প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন। এ থেকে প্রমাণ হয় মুহাম্মাদ (ﷺ) যদি নিজেই কুরআনের রচয়িতা হতেন তাহলে তাকে আবার সংশোধন করে আয়াত অবতীর্ণ করার কারণ কি?
.
ভবিষ্যতদ্বাণী: কেন এই অকারণ ঝুঁকি, অপেক্ষার অগ্নিপরীক্ষা, মানব ও দানবকে চ্যালেঞ্জের মহা ঝুঁকি কেন, ভাষার ধাঁচে আকাশ পাতাল ইত্যাদি টপিকে লেখক যে আলোচনা করেছেন তা পড়ার পর, শুধু একটা কথাই চোখের ভেসে আসবে আর তা হলো এই কুরআন মহাপরাক্রমশালী এক আল্লাহর থেকেই এসেছে, এই কুরআন কোন মানুষের পক্ষে লেখা অসম্ভব,অসম্ভব অসম্ভব।
.
“এক টুকরো অপার্থিব বিস্ময়” টপিকে লেখক সূরা বাকারা,আয়াতুল কুরসী নিয়ে যে রিং স্ট্রাকচার উল্লেখ করেছেন এটা তো অসাধারণ এক আলোচনা। যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যাবে কুরআনের ভাষাগত গঠনশৈলী দেখে।
.
বইয়ের শেষের দিকে লেখক শত চিরকুট অধ্যায়ে একশটা ছোট ছোট রিমাইন্ডার উল্লেখ করেছে৷ এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু রিমাইন্ডার অসাধারণ লেগেছে, মন ছুঁয়ে গেছে।
.
বইটি প্রত্যেক মুসলিম-অমুসলিমের সংগ্রহে থাকা উচিত, পড়া উচিত। (অমুসলিমরা বইটা পড়ে উপলব্ধি করুক আসলে কোনটা সত্য, কোনটা সঠিক পথ হতে পারে)। মুসলিম আমরা সবাই তো বিশ্বাস করি কুরআন আল্লাহর থেকেই এসেছে, তবে এই বিশ্বাসের পক্ষে শক্তপোক্ত প্রমাণ পেলে বিশ্বাসটা আরো মজবুত হবে। এ উদ্দেশ্য হলেও বইটা একবার হলেও সবারই পড়া উচিত।
Anonymous – :
আচ্ছা একজন অবিশ্বাসী যদি সত্য জানার জন্য আমাকে জিজ্ঞাসা করে কুরআন স্রষ্টার বাণী হওয়ার সত্যতা কি?
আমি কি তাকে সহজ, সরল আর সাবলীল ভাষায় বুঝাতে পারব?
উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ পারব। আলহামদুলিল্লাহ।
“সর্বশেষ অপার্থিব” বইটি যে তার জন্য।
নিরপেক্ষতার সাথে, সত্য জানার আগ্রহ নিয়ে যদি কেউ বইটি পড়ে অবশ্যই সে সেই সত্যই খুঁজে যা স্রষ্টা কর্তৃক প্রেরিত।
কিছু অনুচ্ছেদের জন্য আমার অনুভূতি তুলে ধরছি। যেগুলো তুলে না ধরলেই নয়। সুবহানাল্লাহ!
আমার মিছিলে ‘আমিঃ’
লেখক নিজের সত্যকে গ্রহণ করার গল্প এনেছেন। ৩ বছর নাস্তিকতার পথ পাড়ি দিয়ে কিভাবে সত্যের নিকট পৌছালেন তিনি সেই বর্নানাই রয়েছে এখানে। সুবহানাল্লাহ! সত্যকে মানায় রয়েছে এক শান্তি!
শুনি কার বাণীঃ
যেহেতু হযরত মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখ থেকেই সর্বপ্রথম কুরআন উচ্চারিত হয়েছে তাই এটি স্রষ্টার বাণী তখনই হবে না যখন তিনি নিজে বানিয়ে বা কারো সাহায্য নিয়ে কুরআন রচনা করবেন।
১. সুন্দরের পাঠ অসুর থেকে
২. কুম্ভীলকবৃত্তি
৩. বিদ্বানের দ্বারে পরিত্যাজ্য দুর্জন
৪. একলা চলো রে?
প্রত্যেকটা পরিচ্ছেদ প্রমাণ করেছে যে রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কুরআন নিজে বানানোর যোগ্যতা রাখেননি, এমনকি কোনো মানুষই বা জ্বিন কুরআন রচনার কাজ করতেই পারে না।
একলা চলো রে? পরিচ্ছেদের বিষয়গুলো অন্যরকম মাত্রা যোগ করেছে এক্ষেত্রে।
দুই টা টপিক উল্লেখ করতেই হচ্ছে আমাকে।
→ ‘ মানব ও দানবকে চ্যালেঞ্জের মহা ঝুকি কেন? ‘
কুরআন অনেক জায়গায় চ্যালেঞ্জ করেছে কেউ পারলে কুরআনের মতো একটি সুরা/ আয়াত এনে দেখাক৷
হাহাহা..!
এরপরই মজার কাহিনি
বিধর্মীরা কুরআনের মতো সুরা বানাতে গিয়ে এমন হাল করেছে..
আগ্রহ দমাতে না পেরে তাদের বানানো একটা সুরা তুলেই দিই-
অনুবাদ- “ওহে ব্যাঙের মেয়ে ব্যাঙ
তুমি যতো পারো ডাকতে থাকো
তোমার ওপরিভাগ পানিতে আর নিম্নভাগ মাটিতে “৷
হাহাহা, তাদের বানানো সুরা৷
কোনো তুলনাই হয় না কুরআনের সুরার সাথে৷
এমন আরো অনেকগুলো সুরা বানানোর চেষ্টা কি হাল করেছে বইটা না পড়লে বুঝা যাবে না৷
→ ভাষার ধাঁচে আকাশ পাতাল
এখানে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে কোনোভাবেই কুরআন রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখনিঃসৃত বাণী হতে পারে না৷
তাহলে কি প্রমাণিত হলো…
এখনো মনে প্রশ্ন? চিন্তা নেই। আমরা বরং সামনে আগাই।
সংরক্ষণের গল্পঃ
কুরআন সেই দেড় হাজার বছর ধরে অবিকৃত আছে, থাকবে। কারণ এর সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন স্বয়ং স্রষ্টা৷
এক টুকরো অপার্থিবঃ
এখন কুরআনে ডুব দেওয়া যাক। কি আছে এতে যা প্রমাণ করে এটা অপার্থিব।
এই অনুচ্ছেদটি পড়াকালীন মুখ হা করে ছিলাম। সুবহানাল্লাহ! আর কোনো ভাষা আসলে আমার মুখ দিয়ে বের হচ্ছিল না, হওয়ার কথাও না। সুরা বাকারার বিন্যাস এতো এত্ত বিস্ময়কর হতে পারে..! সুবহানাল্লাহ!
এখানেই কি শেষ?
আরও কিছু বিস্ময়ঃ
বিস্ময়ের রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই লেখক দিলেন বাড়ির কাজ৷ হ্যাঁ, বাড়ির কাজই বলা যায়।
তো কথামতো বসে গেলাম খাতা কলম নিয়ে৷
যখন নিজ হাতে কুরআনের সুরার/ আয়াতের গঠন বিন্যাস বুঝার চেষ্টা করছিলাম তখন সত্যিকারে রিয়েলাইজ করলাম কেন কুরআন অপার্থিব।
তীব্রভাবে স্রষ্টার অস্তিত্বকে অনুভব করেছি। ভাষায় বুঝানো সম্ভব না। সুবহানাল্লাহ!
বাক্সে বাক্সে বন্দি বাক্সঃ এতো সুক্ষ্ম চিন্তা, সুবহানাল্লাহ!
কে বানাইল রে?ঃ এই পরিচ্ছেদ পড়ার পর কোনো অবিশ্বাসীর দ্বিধা থাকার কথা নয় যে কুরআন স্রষ্টা কর্তৃক প্রেরিত। এতো এতো নিদর্শন! সব আমাদের জন্য! সুবহানাল্লাহ!
অনেক কিছু জানলাম এই পরিচ্ছেদ থেকে।
ফাঁকিবাজির দাসত্বঃ
কি করছি আমরা? এতো নফসের পুজারী। সাহাবীরা এতো কঠোর ভাবে নফসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।
অবিশ্বাস্য কিন্তু সত্য।
শত চিরকুটঃ
আসলে এগুলোকে চিরকুট বলতে একদম মন চাইছে না। আবার চিরকুট না বলেও পারছি না৷
একেকটা চিরকুট একেকটা ধাক্কা৷ উফ! এতো ধাক্কা খেলাম এই জায়গায় এসে!
যাই হোক এই ধাক্কাগুলো না খেলে ইসলাম পালনের মূল জিনিসগুলোই আমার কাছে অধরা রয়ে যেত।
স্পেস টাইম এবং আপনিঃ এই সময়টাতে এই পরিচ্ছেদটা আমার জন্য না৷
অরুণের সিদ্ধান্ত এবং আমাদের জ্ঞানার্জনঃ বিশুদ্ধ জায়াগ থেকে জ্ঞান আহরণ না করলে….
অসাধারণ ফলাফলঃ
আলহামদুলিল্লাহ এখানে এসে বুঝতে পেরেছি কুরআনের সাথে আমার সম্পর্কের হালতের করোওণ অবস্থা! আলহামদুলিল্লাহ বুঝতে পেরেছি।
“কোথায় যেন পড়েছিলাম, প্রতি ৫ জন সাহাবীর ৪ জনই নিজের পুরো জীবনকে ব্যয় করেছেন, উৎসর্গ করেছেন, শহীদ হয়েছেন, আমার কাছে সত্য দ্বীন পৌঁছাতে গিয়ে।
তাহলে পরের জেনারেশনগুলোর কাছে সত্য দ্বীন পৌঁছানোর জন্য আমি কেন শেষ বিন্দু পর্যন্ত ইনভেস্ট (বিনিয়োগ) করব না?
আমি কি শুধু নিজের সুবিধা আর আরামের জন্যই জীবনটাকে গুছাচ্ছি, সাজাচ্ছি?
উনারা যে মহান লক্ষ্য- উদ্দেশ্যের জন্য বেঁচে ছিলেন, আমি কি সেই আদর্শ আর বুঝ থেকে বিচ্যুত হিয়ে গেছি?
নিজেকে প্রশ্ন করা দরকার। ”
শত চিরকুট থেকে নেওয়া একটি চিরকুট ।
চলুন নিজেকে প্রশ্ন করি.. গভীরভাবে ভেবে দেখি সাহাবীরা দ্বীন আমাদের কাছে না পৌছানোর চেষ্টা করলে পরকালে আমাদের অবস্থান কোথায় হতো। (এখনো গ্যারান্টি কি জান্নাতে যাবো)
আমাদের আশেপাশের মানুষগুলো (অমুসলিম) আমাদের চোখের সামনে জ্বলবে আমরা দেখতে পারবো তো। সেদিন তারা যে আমাকে ধরে বসবে না কি গ্যারান্টি তার? আল্লাহ তো ন্যায় বিচারক।
যখন সঠিক বিচার করবেন আমাদের রক্ষা কোথায়?
বইটি অবশ্যই প্রত্যেকটা মুসলিমের জন্য মাস্ট রিড। আমরা যদি না জানি এই বইয়ের মূল্য কিভাবে পৌঁছাবো আমাদের সেই ভাই-বোনদের কাছে যারা অনন্তের ক্ষতির মুখে পতিত৷ তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব নেই?
হাশরের মাঠে ভয় করা উচিত এই দায়িত্বের অবহেলা সম্পর্কে।
দ্বীনকে না পৌঁছিয়ে নিজে পার পাবো?
বইঃ সর্বশেষ অপার্থিব
লেখকঃ Mohammed Touaha Akbar
সন্দীপন প্রকাশনী
Afrin Akter – :
আচ্ছা একজন অবিশ্বাসী যদি সত্য জানার জন্য আমাকে জিজ্ঞাসা করে কুরআন স্রষ্টার বাণী হওয়ার সত্যতা কি?
আমি কি তাকে সহজ, সরল আর সাবলীল ভাষায় বুঝাতে পারব?
উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ পারব। আলহামদুলিল্লাহ।
“সর্বশেষ অপার্থিব” বইটি যে তার জন্য।
নিরপেক্ষতার সাথে, সত্য জানার আগ্রহ নিয়ে যদি কেউ বইটি পড়ে অবশ্যই সে সেই সত্যই খুঁজে যা স্রষ্টা কর্তৃক প্রেরিত।
কিছু অনুচ্ছেদের জন্য আমার অনুভূতি তুলে ধরছি। যেগুলো তুলে না ধরলেই নয়। সুবহানাল্লাহ!
আমার মিছিলে ‘আমিঃ’
লেখক নিজের সত্যকে গ্রহণ করার গল্প এনেছেন। ৩ বছর নাস্তিকতার পথ পাড়ি দিয়ে কিভাবে সত্যের নিকট পৌছালেন তিনি সেই বর্নানাই রয়েছে এখানে। সুবহানাল্লাহ! সত্যকে মানায় রয়েছে এক শান্তি!
শুনি কার বাণীঃ
যেহেতু হযরত মোহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখ থেকেই সর্বপ্রথম কুরআন উচ্চারিত হয়েছে তাই এটি স্রষ্টার বাণী তখনই হবে না যখন তিনি নিজে বানিয়ে বা কারো সাহায্য নিয়ে কুরআন রচনা করবেন।
১. সুন্দরের পাঠ অসুর থেকে
২. কুম্ভীলকবৃত্তি
৩. বিদ্বানের দ্বারে পরিত্যাজ্য দুর্জন
৪. একলা চলো রে?
প্রত্যেকটা পরিচ্ছেদ প্রমাণ করেছে যে রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কুরআন নিজে বানানোর যোগ্যতা রাখেননি, এমনকি কোনো মানুষই বা জ্বিন কুরআন রচনার কাজ করতেই পারে না।
একলা চলো রে? পরিচ্ছেদের বিষয়গুলো অন্যরকম মাত্রা যোগ করেছে এক্ষেত্রে।
দুই টা টপিক উল্লেখ করতেই হচ্ছে আমাকে।
→ ‘ মানব ও দানবকে চ্যালেঞ্জের মহা ঝুকি কেন? ‘
কুরআন অনেক জায়গায় চ্যালেঞ্জ করেছে কেউ পারলে কুরআনের মতো একটি সুরা/ আয়াত এনে দেখাক৷
হাহাহা..!
এরপরই মজার কাহিনি
বিধর্মীরা কুরআনের মতো সুরা বানাতে গিয়ে এমন হাল করেছে..
আগ্রহ দমাতে না পেরে তাদের বানানো একটা সুরা তুলেই দিই-
অনুবাদ- “ওহে ব্যাঙের মেয়ে ব্যাঙ
তুমি যতো পারো ডাকতে থাকো
তোমার ওপরিভাগ পানিতে আর নিম্নভাগ মাটিতে “৷
হাহাহা, তাদের বানানো সুরা৷
কোনো তুলনাই হয় না কুরআনের সুরার সাথে৷
এমন আরো অনেকগুলো সুরা বানানোর চেষ্টা কি হাল করেছে বইটা না পড়লে বুঝা যাবে না৷
→ ভাষার ধাঁচে আকাশ পাতাল
এখানে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে কোনোভাবেই কুরআন রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখনিঃসৃত বাণী হতে পারে না৷
তাহলে কি প্রমাণিত হলো…
এখনো মনে প্রশ্ন? চিন্তা নেই। আমরা বরং সামনে আগাই।
সংরক্ষণের গল্পঃ
কুরআন সেই দেড় হাজার বছর ধরে অবিকৃত আছে, থাকবে। কারণ এর সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন স্বয়ং স্রষ্টা৷
এক টুকরো অপার্থিবঃ
এখন কুরআনে ডুব দেওয়া যাক। কি আছে এতে যা প্রমাণ করে এটা অপার্থিব।
এই অনুচ্ছেদটি পড়াকালীন মুখ হা করে ছিলাম। সুবহানাল্লাহ! আর কোনো ভাষা আসলে আমার মুখ দিয়ে বের হচ্ছিল না, হওয়ার কথাও না। সুরা বাকারার বিন্যাস এতো এত্ত বিস্ময়কর হতে পারে..! সুবহানাল্লাহ!
এখানেই কি শেষ?
আরও কিছু বিস্ময়ঃ
বিস্ময়ের রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই লেখক দিলেন বাড়ির কাজ৷ হ্যাঁ, বাড়ির কাজই বলা যায়।
তো কথামতো বসে গেলাম খাতা কলম নিয়ে৷
যখন নিজ হাতে কুরআনের সুরার/ আয়াতের গঠন বিন্যাস বুঝার চেষ্টা করছিলাম তখন সত্যিকারে রিয়েলাইজ করলাম কেন কুরআন অপার্থিব।
তীব্রভাবে স্রষ্টার অস্তিত্বকে অনুভব করেছি। ভাষায় বুঝানো সম্ভব না। সুবহানাল্লাহ!
বাক্সে বাক্সে বন্দি বাক্সঃ এতো সুক্ষ্ম চিন্তা, সুবহানাল্লাহ!
কে বানাইল রে?ঃ এই পরিচ্ছেদ পড়ার পর কোনো অবিশ্বাসীর দ্বিধা থাকার কথা নয় যে কুরআন স্রষ্টা কর্তৃক প্রেরিত। এতো এতো নিদর্শন! সব আমাদের জন্য! সুবহানাল্লাহ!
অনেক কিছু জানলাম এই পরিচ্ছেদ থেকে।
ফাঁকিবাজির দাসত্বঃ
কি করছি আমরা? এতো নফসের পুজারী। সাহাবীরা এতো কঠোর ভাবে নফসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।
অবিশ্বাস্য কিন্তু সত্য।
শত চিরকুটঃ
আসলে এগুলোকে চিরকুট বলতে একদম মন চাইছে না। আবার চিরকুট না বলেও পারছি না৷
একেকটা চিরকুট একেকটা ধাক্কা৷ উফ! এতো ধাক্কা খেলাম এই জায়গায় এসে!
যাই হোক এই ধাক্কাগুলো না খেলে ইসলাম পালনের মূল জিনিসগুলোই আমার কাছে অধরা রয়ে যেত।
স্পেস টাইম এবং আপনিঃ এই সময়টাতে এই পরিচ্ছেদটা আমার জন্য না৷
অরুণের সিদ্ধান্ত এবং আমাদের জ্ঞানার্জনঃ বিশুদ্ধ জায়গা থেকে জ্ঞান আহরণ না করলে….
অসাধারণ ফলাফলঃ
আলহামদুলিল্লাহ এখানে এসে বুঝতে পেরেছি কুরআনের সাথে আমার সম্পর্কের হালতের করোওণ অবস্থা! আলহামদুলিল্লাহ বুঝতে পেরেছি।
“কোথায় যেন পড়েছিলাম, প্রতি ৫ জন সাহাবীর ৪ জনই নিজের পুরো জীবনকে ব্যয় করেছেন, উৎসর্গ করেছেন, শহীদ হয়েছেন, আমার কাছে সত্য দ্বীন পৌঁছাতে গিয়ে।
তাহলে পরের জেনারেশনগুলোর কাছে সত্য দ্বীন পৌঁছানোর জন্য আমি কেন শেষ বিন্দু পর্যন্ত ইনভেস্ট (বিনিয়োগ) করব না?
আমি কি শুধু নিজের সুবিধা আর আরামের জন্যই জীবনটাকে গুছাচ্ছি, সাজাচ্ছি?
উনারা যে মহান লক্ষ্য- উদ্দেশ্যের জন্য বেঁচে ছিলেন, আমি কি সেই আদর্শ আর বুঝ থেকে বিচ্যুত হিয়ে গেছি?
নিজেকে প্রশ্ন করা দরকার। ”
শত চিরকুট থেকে নেওয়া একটি চিরকুট ।
চলুন নিজেকে প্রশ্ন করি.. গভীরভাবে ভেবে দেখি সাহাবীরা দ্বীন আমাদের কাছে না পৌছানোর চেষ্টা করলে পরকালে আমাদের অবস্থান কোথায় হতো। (এখনো গ্যারান্টি কি জান্নাতে যাবো)
আমাদের আশেপাশের মানুষগুলো (অমুসলিম) আমাদের চোখের সামনে জ্বলবে আমরা দেখতে পারবো তো। সেদিন তারা যে আমাকে ধরে বসবে না কি গ্যারান্টি তার? আল্লাহ তো ন্যায় বিচারক।
যখন সঠিক বিচার করবেন আমাদের রক্ষা কোথায়?
বইটি অবশ্যই প্রত্যেকটা মুসলিমের জন্য মাস্ট রিড। আমরা যদি না জানি এই বইয়ের মূল্য কিভাবে পৌঁছাবো আমাদের সেই ভাই-বোনদের কাছে যারা অনন্তের ক্ষতির মুখে পতিত৷ তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব নেই?
হাশরের মাঠে ভয় করা উচিত এই দায়িত্বের অবহেলা সম্পর্কে।
দ্বীনকে না পৌঁছিয়ে নিজে পার পাবো?
জসিম উদ্দিন – :