শিকড়ের সন্ধানে
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৯৬ টি
কভার: পেপার ব্যাক
‘Know Thyself’ সক্রেটিসের বিখ্যাত একটি উক্তি। সক্রেটিস নিজেকে জানতে বলেছেন। নিজেকে জানতে পারার মধ্যেই সক্রেটিস মানবজীবনের সার্থকতা খুঁজেছেন। সক্রেটিসের এই দর্শন আদতে কানায় কানায় সত্য। মানবজীবন ঠিক তখনই পরিপূর্ণভাবে বিকাশ লাভ করে যখন মানুষ নিজেকে জানতে শুরু করে ও আত্মপরিচয়ের ব্যাপারে প্রলুব্ধ হয়। নিজেকে উদঘাটন করতে পারলেই ঠিক করে ফেলা যায় জীবনের দর্শন। জীবনের গন্তব্য, উদ্দেশ্য এবং রদবদল, সবকিছু সহজ হয়ে যায় যদি নিজেকে জানা যায়। যদি একেবারে শেকড়ে ফিরে চেনা যায় নিজের প্রকৃতি।
‘মুসলমান’ হিসেবে এই ব্যাপারটা আরও বিশদভাবে সত্য। আমরা যদি নিজেদের আত্মপরিচয়, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা প্রদত্ত গৌরবময় মর্যাদা ‘মুসলমানিত্বের’ সঠিক মর্মার্থই বুঝতে না পারি, তাহলে কীভাবে নির্ধারণ করব নিজেদের গন্তব্য এবং উদ্দেশ্য? কেন-ই বা আমরা মুসলিম, অন্যরা কেন নয়, কীভাবে আমরা মুসলিম হলাম, আমাদের ঠিক আগে, আল্লাহর একাত্মবাদে যারা আসীন ছিলেন, তারা কোন পরিচয়ে ধন্য হয়েছেন, তাদের সাথে আমাদের যোগসাজশ কোথায়? সাদৃশ্য আর বৈসাদৃশ্য কী কী—এসব জানতে পারাই হলো আমাদের আত্মপরিচয় সন্ধানের প্রথম সবক।
‘শেকড়ের সন্ধানে’ বইতে লেখিকা হামিদা মুবাশ্বরা ঠিক আমাদের জন্য এই কাজটিই করেছেন। তিনি আমাদের নিয়ে গেছেন অতীতে—একেবারে গোড়ায়, যেখান থেকে আমাদের আত্মপরিচিতির শুরু। কত হাওয়া বদল করে, কত বাঁক পেরিয়ে, কত সময় পার করে, কত ঘাত-প্রতিঘাতে আমরা আমাদের শেষ পরিচয়, ‘মুসলমান’—এ এসে ঠেকেছি, সেই মহাযাত্রার রহস্যপানে লেখিকা আমাদের ভ্রমণ করিয়েছেন। লেখিকা কেবল আমাদের সোর্স থেকে আমাদের ক্ষুধা, তৃষ্ণা নিবারণ করাননি। তিনি আমাদের কখনো তাওরাতে, কখনো ইঞ্জিলে, আবার কখনো কুরআনে ডুব দিইয়েছেন। প্রসঙ্গক্রমে ঢুকে পড়েছেন বিশাল বিস্তৃত হাদিসশাস্ত্রের ভেতরেও। লেখিকার অণ্বেষণ প্রক্রিয়া, জানার তীব্র আকাঙ্খা, সত্যকে আজলা ভরে তুলে আনার ঢঙ বেশ আশাজাগানিয়া। এ রকম একাডেমিক একটা বিষয়কে তিনি কীভাবে সাধারণ মানুষদের জন্যও উপযোগী করে ফেললেন তা-ও বিস্ময় জাগানিয়া!
-
-
featureচিন্তাপরাধ
লেখক : আসিফ আদনানপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন190 ৳পৃষ্ঠা - ১৯২ 'যতক্ষণ সাম্রাজ্যের সার্বভৌমত্ব স্বীকার ...
-
hotআল্লাহর প্রতি সুধারণা
লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়াপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন175 ৳129 ৳জাবের রদ্বি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ...
-
save offসাইকোলজি ইসলামি দৃষ্টিকোণ
লেখক : ড. আইশা হামদানপ্রকাশনী : সীরাত পাবলিকেশন334 ৳250 ৳অনুবাদ: সিফাত-ঈ-মুহাম্মদ সম্পাদনা: ডা. শামসুল আরেফীন পৃষ্ঠা সংখ্যা: ...
-
hotগল্পগুলো অন্যরকম
লেখক : সিহিন্তা শরীফা, আনিকা তুবা, আফিফা আবেদিন সাওদা, আরমান ইবন সোলাইমান, আরিফ আজাদ, আরিফ আবদাল চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম, আলী আবদুল্লাহ, জাকারিয়া মাসুদ, নুসরাত জাহান, মাহমুদুর রহমান, যাইনাব আল-গাযি, শারিন সফি, শিহাব আহমেদ তুহিন, শেখ আসিফ, সাদিয়া হোসাইন, সানজিদা সিদ্দীক কথাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন350 ৳245 ৳জীবনের কাছে মাঝে মাঝে গল্পও তুচ্ছ ...
-
hotঅবাধ্যতার ইতিহাস
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন400 ৳292 ৳যেভাবে আর যে কারণে ধ্বংস হয়েছে ...
-
hotহিউম্যান বিয়িং শতাব্দীর বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব
লেখক : ইফতেখার সিফাতপ্রকাশনী : নাশাত220 ৳154 ৳সম্পাদক : মুহাম্মাদ আফসারুদ্দীন পৃষ্ঠাসংখ্যা : ১৬০ বাঁধাই ...
-
save offইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা
লেখক : হেদায়াতুল্লাহ মেহমান্দপ্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন414 ৳302 ৳'ইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা' বইটি মূলত ...
-
save offশয়তান যেভাবে ধোঁকা দেয় (তালবিসে ইবলিস)
লেখক : আল্লামা ইবনুল জাওযী (রহঃ)প্রকাশনী : দারুল আরকাম700 ৳350 ৳ভাষান্তর : মুফতি আবু সাআদ পৃষ্ঠা : ৪৮০ দ্বিতীয় ...
-
hotজিন ও শয়তানের জগৎ
লেখক : ড. উমার সুলায়মান আল আশকারপ্রকাশনী : সীরাত পাবলিকেশন280 ৳210 ৳জিন, শয়তান—এই দুটো বিষয় নিয়ে আমাদের ...
-
hotভারতবর্ষে মুসলিম শাসন : হাজার বছরের ইতিহাস
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল ইসলাম770 ৳385 ৳ভাষান্তর : মুহাম্মাদুল্লাহ ইয়াহইয়া অতিরিক্ত টীকা সংযোজন ...
-
Zihadul Islam Nabil – :
দৈনিক ১৭ বার আমরা ফরজ সালাতে আমরা সূরা ফাতিহা তেলাওয়াত করি।শেষ আয়াতে আমরা আশ্রয় চাই ইহুদি (আল মাগদুবি আলাইহিম) এবং খ্রিস্টান (আদ-দাল্লিন) থেকে।
কিন্তু কেন?
রোজ এতবার তাদের থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করার উদ্দেশ্য কী?
ইহুদি এবং খ্রিস্টান কারা এবং তাদের পরিচয় কী?
কেনই বা আল্লাহ তাদের অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্ট বলেছেন?
(২)
কুরআনুল কারিমে একটা বৃহৎ অংশজুড়ে আল্লাহ দিয়েছেন ইহুদি-খ্রিষ্টানদের পরিচয় ও ইতিহাস।তাদের করে যাওয়া ভুলগুলো আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন।আমরা কী সেই সম্পর্কে আদৌ জানি?
আমরা জানিনা কারণ আমরা কুরআন পড়িনা।কুরআন আমাদের অধিকাংশের জীবনে কিছু অর্থহীন শব্দের ঝুড়ি,যার অবস্থান শেলফের সবচেয়ে ওপরের তাকে,কিংবা কোনো দামি সংরক্ষিত কুঠুরিতে।
(৩)
অর্থসহ কুরআন পড়তে অনেকেই উৎসাহিত করেন,কিন্তু তারা কি খোজ রাখেন-পড়তে গিয়ে আমাদের অধিকাংশ লোক বিড়ম্বনার শিকার হই।মনে হয়,কুরআনে শুধুই পূর্ববর্তী নবিদের কাহিনি।আবার,কাহিনিগুলোও যেনো এলোমেলো, কোথা থেকে শুরু এবং কথায় শেষ তা বোঝা যায়না; দৈনন্দিন জীবনের সাথে এর যেন কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই!
কখনো কি ভেবে দেখেছি- আল্লাহ রব্বুল আলামিন এর প্রেরণ করা ঐশিগ্রন্থে উল্লেখিত ঘটনাবলির সাথে আমাদের নৃত্যদিনের জীবনের কোনো প্রাসঙ্গিকতা থাকবে না-এমন কি কখনো সম্ভব? এমন ভাবাও কি অন্যয় নয়?
(৪)
কুরআনের প্রচুর আয়াত রয়েছে বনী ইসরাইল এবং তাদের ঘটনাবলী নিয়ে।আমরা অনেকে হয়তো জানি,তৎকালীন বনী ইসরায়েল বর্তমানের ইহুদি। এ বিষয়ে প্রায়ই কিছু প্রশ্ন হয়তো মাথার ভেতর ঘুরপাক খায়।
⚫বনী ইসরাইল থেকে তারা কিভাবে ইহুদি জাতিতে পরিণত হলো?
⚫ইহুদি,খ্রিষ্টান ও মুসলমান সকলেরই আদিপিতা হযরত ইব্রাহিম (আ)। তাহলে এক উম্মাহ কিভাবে ৩ ভাগে বিভক্ত হলো?
⚫ইহুদিরা দাবি করে,তারা ‘Chosen People’
তারা আরো দাবি করে ‘জেরুজালেম’ তাদের জন্মগত অধিকার,যা সৃষ্টিকর্তা তাদের দিয়েছে।এইসকল দাবির কি কোনো যথার্থতা আছে?
⚫পক্ষান্তরে খ্রিস্টান রা ঈসা ইবনে মারিয়াম (আ) কে আল্লাহর পুত্র দাবি করে।তাদের দাবির বিপক্ষে আমরা কিভাবে দাড়াতে পারি?
⚫আমরা কেনই বা মুসলিম? ইহুদি বা খ্রিষ্টান থেকে আমরা কেনই বা আলাদা? আমরা জন্মগত মুসলিম পরিচয় বহন করলেই কি জান্নাতে যেতে পারব?
এমন আরো বহু অগোছালো সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন আমাদের মনে চক্কর খায়,যার উত্তর নিয়ে আমরা হীনমন্যতায় ভুগি।এই সকল প্রশ্নের উত্তর লেখিকা দিয়েছেন অত্যন্ত গোছালো,সুন্দর,সাবলীল ও সরল ভাষায়।পুরো বইজুড়ে গল্পের ঢংয়ে নিয়ে গেছেন শিকড় থেকে শিখড়ে,জ্ঞানের গভীর থেকে গভীর অরন্যে।প্রানচঞ্চল ভাষায় চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন আমাদের পরিচয় ও ইতিহাস এবং আহলে কিতাবদের সাথে আমাদের সংশ্লিষ্টতা ও পার্থক্য;যা আমাদের উদ্ভুদ্ধ করবে-
-অর্থসহ কুরআন চর্চায়।
-সিরাত অধ্যয়নে।
– ঈমান,আকিদা ও বিশুদ্ধ তাওহীদের সুক্ষ ইলম অর্জনে।
ইনশাআল্লাহ।
সর্বোপরি,সকল জ্ঞানপিপাসুদের জন্য ‘শিকড়ের সন্ধানে’ একটা ‘মাস্ট রিড’ বই।
⬛সমালোচনা:
বইয়ের শারিরীক ও গঠনগত কিছুদিক নিয়ে কথা না বলে পারছিনা।প্রকাশনির এই ব্যাপারে নজর দেয়া উচিত।
১) বইয়ের প্রচ্ছদ খুব একটা আকর্ষণীয় মনে হয়নি।
২)প্রকাশনীর উচিত ছিল বইটা হার্ডকাভার করা।প্রায় ৩০০ পৃষ্ঠার সংগ্রহ উপযোগী অনন্যসাধারণ বই কিন্তু যত্নে না রাখলে সহজেই ছিড়ে বা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ফয়সাল আদিব – :
আল্লাহ আল কুরআনে সবচেয়ে বেশি যে জাতির ঘটনা বর্ণনা করেছেন সেটা হল বনী ইসরাইল।মহান আল্লাহ এমনি এমনিই কোন কিছু বর্ণনা করেন না। বরং তাঁর প্রতিটা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বর্ণনা কিংবা অতি সামান্য ইঙ্গিতের পিছনেও লুকিয়ে থাকে গভীর রহস্য ও কল্পনাতীত হেকমত।অনুরূপ বনী ইসরাইলের ঘটনা বর্ণনারও অন্যতম উদ্দেশ্য হল তাদের পদলঙ্খনের কারণসমূহ চিহ্নিত করে দেওয়া,এত মর্যাদা ও সম্মানের আসনে আদিষ্ট একটি জাতি কিভাবে নিজেদেরকে নির্লজ্জতা ও নিকৃষ্টতার সর্বনিম্ন স্হরে নামিয়ে আনল,কিভাবে তাওহীদকে এড়িয়ে তারা নিজেদের ধ্বংসের কবর রচনা করল এবং এগুলো থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে মুসলিমদের জন্য কেমন শিক্ষা রয়েছে, সংকট উৎরে যাওয়ার নির্দেশনা ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়কে লেখিকা খুবই সহয ও সাবলীল ভাষায় চিত্রায়িত করার প্রয়াস চালিয়েছেন বইটিতে।
বইটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল কিভাবে এক উম্মাহ ইবরাহীম আলাইহিস সালামের দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলিম এই তিন দলে বিভক্ত হয়ে পড়ল তার দিকে কুরআন হতে দলিলপ্রমাণের মাধ্যমে উপস্হাপন করা।ইহুদি-খ্রিস্টানরা যেসব কারণে অভিশপ্ত হয়েছিল আজ প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে সেই দোষগুলোই আমরা কিভাবে হরদমে চর্চা করছি তা তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।কেনই বা মুসলিমরা খেলাফতের নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হয়ে মজলুমের ভূমিকায় অবতীর্ণ হল,কেনই বা মহান আল্লাহ তাঁর দ্বীনের দায়ভার মুসলিমদের হাতে সোপর্দ করাকে উপযুক্ত মনে করছেন না এসব সূক্ষ্ম বিষয়েও গভীর আলোকপাত করা হয়েছে।শুধু তাই নয় বর্তমান ইহুদিদের দাবি অনুযায়ী তারা ফিলিস্তিনের কতৃত্ব লাভের অধিকার রাখে; এটা কতটা অযৌক্তিক এবং অবান্তর তাও বইটিতে খন্ডন করা হয়েছে। এছাড়াও ইহুদি-খ্রিষ্টানদের অসংখ্য অভিযোগ খন্ডন এবং তাদের ধর্মগ্রন্থ থেকেই তাদের দাবির অসারতা প্রমাণ করা হয়েছে আলোচ্য বইটিতে।প্রত্যেক মুসলিমের উচিত বইটা পড়ে শুধু বুক শেলফে সাঁজিয়ে রাখা নয় বরং এর সারনির্যাসকে নিজের জীবনে কাজে লাগানো।
Md.Tanzib Ali Apurbo – :
Salman Reja – :
tanvirr187 – :
প্রতিটি জাতির জন্য নিজেদের ইতিহাস জানা খুব জরুরি। সকল নবির উম্মতই মুসলিম জাতির সদস্য । আল কুরআনে একটি বিরাট অংশজুড়ে রয়েছে পূর্ববর্তী নবিদের কাহিনি।শিকড়ের সন্ধানে বইতে লেখিকা আমাদের নিয়ে গেছেন অতীতে,একেবারে গোড়াই,যেখান থেকে আমাদের আত্নপরিচয় শুরু। এখানে তৎকালীন বিভিন্ন নবির অনুসারিদের পাশাপাশি বনি ইসরাঈলের ইতিবৃত্ত বিশেষভাবে তুলে ধরেছেন।
কিভাবে ইহুদি মতবাদের সৃষ্টি,কিভাবে ঈসা নবীর প্রচার করা একত্ববাদী ইসলামি ধর্মবিশ্বাস ধীরে ধীরে বিকৃত হয়ে খৃষ্টবাদের জন্ম হয়েছে তা লেখিকা খুব সুন্দরভাবে এবং ধারাবাহিকভাবে বিবৃতি করেছেন।
সুরা বাকারার পুরোটা জুড়ে মুসা আলাইহিস সালামের কাহিনী বলা হচ্ছে,কোথা থেকে শুরু হয়েছে,কিসের পরে কী হলো তা বুঝতে হয়তো অনেকের সমস্য হয়। আসলে কুরআনের বর্ণনা পদ্ধতিটা কথোপকথনের ভঙ্গির মত। আদতে কুরআন কোনো ইতিহাসের বই নয়। তাই কাহিনিগুলো ধারাবাহিকভাবে বর্ণনা করা হয়নি। আল্লাহ হয়তো আমাদের একটা বিষয় শেখাতে চান— তখন কোনো কাহিনির যে অংশটা ওই শিক্ষার সাথে প্রাসঙ্গিক,তখন কেবল সেটাই উল্লেখ করেন। এই বইতে লেখিকা কুরআনে বর্ণিত বনি ইসরাইল এবং অন্যান্যা নবির কাহিনি ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরেছেন এবং কোন সুরা ও আয়াতের সাথে কোন সুরা এবং আয়াত এর যোগসূত্র(link up) হবে তা সুনিপুন ভাবে বর্ণনা করেছেন, যাতে যেকোন পাঠক মাত্রই তা সহজে বুঝতে পারবে।এই গ্রন্থটিতে কুরআনে বিবৃত বনি ইসরাইলের ঘটনাগুলো পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হয়েছে যাতে সহজেই বোঝা যাবে__একটি উম্মাহ থেকে কীভাবে ইহুদি, খৃষ্টান ও মুসলিম এই তিন জাতির উদ্ভব হয়েছে। এছাড়াও এই বইতে খুব চমৎকারভাবে ইবরাহিম(আঃ) থেকে আমাদের শেষ নবি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্যন্ত ক্রমটা তুলে ধরা হয়েছে।
সবাইকে বইটি পড়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।