শিকলবন্দী ক্ষমা
ভাষান্তর: আব্দুল্লাহ মজুমদার
ডায়ালগ ও সম্পাদনা: রাজিব হাসান
প্রচ্ছদের ধরণ: পেপারব্যাক
এ সমাজের মানুষগুলো কেন যেন অন্যদেরকে ক্ষমা করতে চায় না। ক্ষমাগুলোকে যেন তারা শিকলে বন্দী করে রেখে দিয়েছে। সাথে নানাজনের নানা রঙের ফন্দি যোগ হয়েছে। কেউই শিকল ভাঙার সন্ধি গড়ে তুলছে না। কেউ কাউকে ক্ষমা করছে না।
এভাবে চলতে থাকলে এই পাথুরে সমাজের ধ্বংস অনিবার্য। কাউকে না কাউকে শিকল ভাংতে হবে। কে আসবে? কে তার জীবন বাজী রেখে অপূর্ব ক্ষমার নজির স্থাপন করবে। সেই কাঙ্ক্ষিত সময়ই বা কখন আসবে?
আলহামদুলিল্লাহ! সে সময় এসেছে। শিকলে বন্দী কাঙ্ক্ষিত সেই ক্ষমাকে ছিনিয়ে আনার সুযোগ এবার এসেছে। বন্দী শিকল থেকে নিজেকে মুক্ত করে নেওয়ার, অবরুদ্ধ সমাজকে আলোর পথ দেখাবার, বন্দী বলয় থেকে মানুষকে মুক্ত করে নিয়ে আসার প্রত্যয় নিয়ে আযান প্রকাশনীর এবারকার আয়োজন কালজয়ী নাটক “শিকলবন্দী ক্ষমা”।
-
-
hotজীবন যেখানে যেমন
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন275 ৳192 ৳আরিফ আজাদের নতুন বই 'জীবন যেখানে ...
-
hotকুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন330 ৳231 ৳প্রি-অর্ডার করলেই গিফট! ১. আরিফ আজাদের কথা, ...
-
hotগল্পগুলো অন্যরকম
লেখক : সিহিন্তা শরীফা, আনিকা তুবা, আফিফা আবেদিন সাওদা, আরমান ইবন সোলাইমান, আরিফ আজাদ, আরিফ আবদাল চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম, আলী আবদুল্লাহ, জাকারিয়া মাসুদ, নুসরাত জাহান, মাহমুদুর রহমান, যাইনাব আল-গাযি, শারিন সফি, শিহাব আহমেদ তুহিন, শেখ আসিফ, সাদিয়া হোসাইন, সানজিদা সিদ্দীক কথাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন350 ৳245 ৳জীবনের কাছে মাঝে মাঝে গল্পও তুচ্ছ ...
-
save offফেরা ২
লেখক : বিনতু আদিলপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন190 ৳133 ৳জাগতিক নিয়মে, সব পাখি নীড়ে ফেরে। ...
-
hotপ্রদীপ্ত কুটির
লেখক : আরিফুল ইসলামপ্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন192 ৳125 ৳মাহির আর লাফিজা। ভার্সিটিতে পড়াবস্থায় দুজনের ...
-
save offদুজন দুজনার
লেখক : মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার240 ৳120 ৳এক ছাদের নিচে একত্রে অনেক বছর ...
-
hotআই লাভ কুরআন
লেখক : মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার600 ৳420 ৳প্রতিটি মুমিনই কুরআন কারীমকে ভালোবাসে। সবাই ...
-
hotচার বন্ধুর সমুদ্র অভিযান
লেখক : আলী আবদুল্লাহপ্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন200 ৳164 ৳ইশকুলের এক বাচ্চাকে পর্ণ দেখা অবস্থায় ...
-
save offজীবন জাগার গল্প ১৩ঃ ওগো শুনছো
লেখক : মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার260 ৳130 ৳বইটি পড়লে অবিবাহিতদের মনে হবে এখনি ...
-
নাজমুল হাসান সজিব – :
“বহিপীর” ও “সিরাজদ্দৌলা”
-পাঠ্যবইয়ের এই দুটি নাটকের বাইরে নাটক সাধারণত পড়া হয়ে ওঠেনি।হয়তোবা নিজেরই ব্যর্থতা; কিন্তু সাহিত্যের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন এই শাখাটার আলোচনা তেমন একটা নেই বললেই চলে।
“শিকলবন্দী ক্ষমা” নাটকটি শেষ করেছিলাম কিছুদিন আগে।তাই এটা নিয়ে কিছু লিখছি।
১৯৪৯ সালে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত একটি মিশরীয় নাটক হচ্ছে “শিকলবন্দী ক্ষমা৷”
চরিত্র পরিচয়
১.আব্দুত তাওয়াব -কেন্দ্রীয় চরিত্র
২.সালেহা- দাসী
৩.আবদুল জাওয়াদ – আব্দুত তাওয়াবের সহোদর
৪.আসিয়া – আব্দুল তাওয়াবের বোন ৫.মাস্তুরের মা
৬.কাউসার- আব্দুত তাওয়াবের স্ত্রী
মাইমূনা,ইসমাঈল, কাসেম’সহ আরো কিছু চরিত্র..
নাটকটি তিনটি পরিচ্ছদ বা অঙ্কে এবং সাতটি দৃশ্যে বিভক্ত।
কাহিনীকথা -(অগোছালো হয়ে গেছে ক্ষমাপ্রার্থী)
আব্দুত তাওয়াব একজন ব্যবসাহী লোক।পরোপকারী, ধৈর্যশীল সবই তার মাঝে বিদ্যমান। তার বড়ভাই আব্দুল জাওয়াদ পেশায় সরকারি চাকরিজীবী কিন্তু অহরহ আব্দুত তাওয়াব থেকে মিথ্যা বলে অর্থকড়ি হাতিয়ে নেয়। পরিবারে একসাথে তার বোন আসিয়া থাকেন সাথে দাসী সালেহা। ভাগ্নিদের ভালো জায়গায় বিয়েও দিয়েছেন কিন্তু সময়স্রোতে নিজে বিয়ে করেছেন চল্লিশের পর “কাউসার” এর সহিত। কিন্তু কিশোরী কাউসারের সাথে তার বনিবনা তেমন একটা না হওয়ায় বাণিজ্য করতে বিদেশযাত্রা করে বছরকয়েকের জন্য। ফেরার পরই কাওয়ারের অপ্রত্যাশিত মন্দ কাজটা সম্পর্কে জানতে পারে;গর্ভবতী হয়ে যায়।। এই কাজ আব্দুত তাওয়াব একসময় লিপ্ত হয় একেই বলে পাপের ধারা।
যদিও কাওসারের পরিবার এই কাজটা তাওয়াব থেকে লুকাতে চেয়েছিল কিন্তু একসময় সত্যটা তাওয়াব পরিবার জানতে পারে। কাওসারের অপকর্মকে ক্ষমা করে দিয়ে তার বাড়িতে গমন করে।কাওসারের সন্তানকে মানুষ করতে থাকে। আস্তে আস্তে এই ঘটনা সময়স্রোতে ঢাকা পরে। তাওয়াব মেয়ের পিতা হোন একসময়।
কিন্তু বন্ধু কাসেমের বোনেও(মাস্তুরের স্ত্রী)এই কাজে লিপ্ত হওয়ায় মাস্তুর তাকে খুন করে জেলে যায়। মাস্তুরের মা তাওয়াবকে নানাভাবে ঝামেলায় ফেললে তাকে দেখভালের দায়িত্ব নিয়ে নেয়।
একটা সময় মৃত্যুর খুব কাছে চলে যায় সে।তাওয়াবের জীবনে করা যিনার কথা সে বন্ধু কাসেম বলে। ক্ষমা চাই তার কাছে এবং সে ক্ষমা করে। সবার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে একসময় কালিমা শাহাদাত পাঠের মাধ্যমে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে।
মেসেজ –
একজন মানুষ কতটুকু ধৈর্যশীল এবং কতটুকু ক্ষমাশীল হতে পারে তা ”শিকলবন্দী ক্ষমা” বইটি পরে তা অনুধাবন করতে পারলাম।সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে পাপ কাজের প্রায়শ্চিত্ত তাকে দুনিয়াতে উপভোগ করতেই হবে,এটা লেখক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছে এই নাটকের মধ্যে।কিভাবে পারিবারিক বন্ধন মেইনটেইন করে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে হয় সেটাও তুলে ধরা হয়েছে।
পড়ে দেখতে পারেন বাকীটা স্বয়ং বিচার করুন।
Md Rezaul Hossain – :
.
বইটির মূল দিক হচ্ছে ধারা। গুনাহ এর ধারা। এ যেন এক চলমান ধাঁরা। শেষেই হতে চায় না।যতক্ষন না ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।
.
বই থেকে যা পেয়েছি তা হলো,
গল্পের মূল চরিত্রে যিনি রয়েছেন তিনি রাজ্যের সম্মানিত মানুষ। তিনি তার পাপ কাজে লিপ্ত হওয়ার পরে অনেক অনুশোচনা করেন। কিন্তু লাভ হয়নি।তার পাপ এর ধাঁরা অনেক জনকে ভোগ করতে হয়েছে, এমনকি তার স্ত্রী কেও। তার স্ত্রী এর পরে তার বন্ধুর বোনকেও।
.
আমরা এখান থেকে আরও শিক্ষা পাই যে, কেউ পাপ করলে তার পাপ যেন গোপন রাখা হয়। কেউ যদি তার গোপন পাপ এর কথা মানুষকে বলে বেড়ায় তাহলে আল্লাহ্ নারাজ হয়ে যান।
আমরা বিভিন্ন কুরআনের আয়াত ও হাদিসের মাধ্যমে জানতে পারি,
“যারা পছন্দ করে যে,ঈমানদারদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার লাভ করুক, নিঃসন্দেহে ইহাকাল ও পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। আল্লাহ্ জানেন,তোমরা জানো না”।
[সূরা আন-নূর; ২৪:১৯]
সূরা আন-নিসা এর মধ্যে আল্লাহ্ বলেনঃ “আল্লাহ্ কোন মন্দ বিষয় প্রকাশ করা পছন্দ করেন না। তবে কারো প্রতি জুলুম হয়ে থাকলে সে কথা আলাদা। আল্লাহ্ শ্রবণকারী,বিজ্ঞ”।
[সূরা আন নিসা, ৪:১৪৮]
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা:) থেকে বর্ণিত, “একজন লোক রাসূল (সা:) এর নিকট আসেলেন এবং বললেন, “হে আল্লাহ্র রাসূল! আমি মদিনার থেকে দূরবর্তী এক স্থানে এক মহিলার সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছি। সুতরাং, আমাকে আমার প্রাপ্য শাস্তি দেন’। উমর ইবনুল খাত্তাব (রা:) তখন বললেন: ‘আল্লাহ্ তো তোমার পাপ গোপন রেখেছিল, তবে কেন তুমি তা গোপন রাখলেনা?’” [সহীহ্ মুসলিম]
একইভাবে, যদি কেউ অন্যের পাপের কথা জেনে থাকে তবে তার উচিৎ তা গোপন রাখা।
রাসূল (সা:) বলেন: “যে ব্যক্তি দুনিয়ায় একজন মুসলমানের একটা কষ্ট দূর করবে, হাশরের দিন আল্লাহ্ও তার একটা কষ্ট দূর করে দিবেন; যে একজন ঋণগ্রস্তকে ঋণমুক্ত করবে, আল্লাহ্ তার দুনিয়া আর আখিরাত দুটোই সহজ করে দিবেন; আর যে ব্যক্তি একজন মুসলিমের দোষ গোপন রাখবে, দুনিয়া আর আখিরাত দুই জায়গাতেই আল্লাহ্ তার দোষ গোপন রাখবেন।” [ সহীহ্ মুসলিম]
এজন্য গোপন পাপ গোপন রাখা আমাদের দায়িত্ব এবং এর জন্য অনুশোচনা করে আল্লাহ্ এর কাছে আমাদের ফিরে আশা। আল্লাহ্ তো মহান ক্ষমাশীল ও দয়ালু। অবশ্যই তিনি আমাদের করবেন ইনশাআল্লাহ্।
.
এই নাটক এর মূল আকর্ষণ হলো,
যখন এই পাপের ধাঁরা বন্ধ হয়ে যায় তখন শিকলবন্দী ক্ষমাগুলো ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় এবং এই পাপের ধাঁরা-ও বন্ধ হয়ে যায়। শিকলবন্দী ক্ষমা গুলো ভেঙ্গে যাওয়ার পর ক্ষমাগুলো আল্লাহ্র কাছে ফিরে যায় এবং পাপীকে ক্ষমা করে দিয়ে আল্লাহ্ তাকে আপন করে নেন।
.
বইটি আমি একটানা শেষ করি। কেননা এটা একটা নাটক এর মতোই। কিন্তু এই নাটক আমাদের সমাজের অন্যান্য নাটক এর মতো নয়। এটি আমাদের মনকে কুলষিত নয় বরং মনকে পরিস্কার করতে সাহায্য করবে। আমাদের ক্ষমা করতে শেখাবে।
.
আযান প্রকাশনী-র কাছে জোরালো অনুরোধ এমন নাটক আরোও চাই। যেনো নাটক এর সংজ্ঞা বদলে যায় আমাদের সমাজে।
ইনশাআল্লাহ্ সেই দিন বেশি দূরে নয়।
.
আমরা বইটি পরে এটাই শিখতে পারবো যে, আমরা যেনো একে অন্যের পাপ কাজগুলো গোপন রাখি এবং কেউ পাপ করলে তাদের ক্ষমা করে দিতে পারি। তা না হলে সমাজে ভালো কাজের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর হয়ে যাবে। সমাজ না হলে এই পাপের কারণেই ধ্বংস হয়ে যাবে।
.
এই বইটি সবার পড়া উচিত। ক্ষমা কে শিকল থেকে মুক্ত করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ।
anisulislam122 – :
কুরআনে এসেছে “আর যারা অশ্লিল কাজ করলে অথবা নিজেদের প্রতি জুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে,অতঃপর তাদের গুনাহের ক্ষমা চাই। আর আল্লাহ ব্যতীত কে গুনাহ ক্ষমা করবে?আর তারা যা করেছে,জেনে শুনে তা তারা বারবার করে না।”(সূরা আলে ইমরান,১৩৫)
এমনি একটি ক্ষমা নিয়ে লেখা নাটক ” অস সিলসিলাতু ওয়াল গোফরান” । যার ভাষান্তর করেছে আবদুল্লাহ মজুমদার। নাম রাখা হয় “শিকল বন্দী ক্ষমা”।
নাটকের মূল চরিত্র হলো আব্দুত তাওয়াব। নাটকটির মূল গঠনা হলো ধারা। অর্থাৎ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।যা হইতো আল্লাহর ই পরীক্ষা। দৈর্য্য পরীক্ষা।
বই পড়ে যেমনি মুগ্ধ হয়েছি আব্দুত তওয়াব এর ক্ষমা দেখে।তার ভুল এর প্রাঈশ্চিত্ত দেখে। আল্লাহর কাছে তার ক্ষমা প্রার্থনা দেখে। তার দ্বৈর্য দেখে। যেই ভুল সে করেছিল সেই ভুল এর শাস্তি ফেরত পেয়েচে তার স্ত্রীর মধ্যে দিয়ে। আল্লাহ কিছু গুনাহ দুনিয়া তেই শাস্তি দিয়ে ক্ষমা করে দেন হইত তার ই উদাহরণ এটি।শেষ পর্যন্ত সে ওই মৃত্যু পেয়েছে যা আমরা সপ্ন দেখি।
শিক্ষা: আমরা হইতো আব্দুত তাওয়াব এর জায়গাই হলে পারতাম না নিজেকে সামলে নিতে। পারতাম টা নিজেদের কৃত পাপ এর ক্ষমা আল্লাহ কাছে চাইতে।পারতাম না তার মতো দৈরযো ও সবরে থাকতে। আমাদের তাই এটি একটি শিক্ষণীয় উদাহরন। যাতে আমরা ক্ষমা , দৈর্জো,আল্লাহর ওপর তাওয়াককুল রাখার শিক্ষাই ভরপুর নাটক টি।
আমার মতে সকলের প্রয়োজন বইটি পড়ার।কারণ আজকাল কার সমাজে ক্ষমা, দৈর্জ, তাওয়াক্কুলের বড়োই অভাব। ইন শা আল্লাহ বইটি পড়ে আমাদের মন গলবে। আমরা শিখতে পারবো।বইটির মূল্য ১৩০ টাকার আসে পাশে।
কিন্তূ শিক্ষা ?
জান্নাত পাওয়ার।