আবদুল কাদির জিলানি
অনুবাদক : মুফতি আবদুল্লাহ তালহা
সম্পাদক : সালমান মোহাম্মদ
পৃষ্ঠাসংখ্যা: ১৪৮
কাগজ: অফহোয়াইট পেপার, হার্ডবোর্ড বাঁধাই
ইসলামের ইতিহাস যেসব ব্যক্তির জীবন ও কর্মের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হয়েছে শায়খ আবদুল কাদির জিলানি তাঁদের অন্যতম। শায়খ জিলানি ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছেন ইসলামের প্রতি আহ্বান, সমাজ থেকে শিরক-বিদআত দূরীকরণ, দীনি শিক্ষার প্রসার ও উম্মাহকে জিহাদের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণে তাঁর আকর্ষণীয় পদ্ধতির কারণে। তাঁর ইসলামি বক্তব্যে হাজার হাজার মানুষ পাপ ও অন্যায় কাজ থেকে তাওবা করত; ইসলাম পালন ও টিকিয়ে রাখার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ত। আব্বাসি খিলাফতের সেই সময়টায় তাঁর এই কর্মযজ্ঞ বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা লাভ করে। অনেকেই তাঁকে অনুসরণ করে দীনি দাওয়াত ও ব্যক্তিপরিশুদ্ধির কাজ করতে থাকে। তাঁর কাজ ও পদ্ধতির অনুসরণই একটা সময় ‘কাদিরিয়া তরিকা’ নামে প্রসিদ্ধি পায়।
ভারত উপমহাদেশে যাঁরা ইসলাম প্রচারে কাজ করেছেন তাঁদের অনেকেই শায়খ আবদুল কাদির জিলানির পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন। ফলে উপমহাদেশে তিনি বড়পির হিসেবে সুপরিচিতি পেয়েছেন। তাঁর প্রতি অতি শ্রদ্ধা থেকে মানুষের মুখে মুখে জন্ম নিয়েছে নানা কল্পকাহিনি। তৈরি হয়েছে তাঁর বানোয়াট জীবনকথা। বিশ্বখ্যাত ইতিহাসবিদ ড. শায়খ আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি বিষয়টি লক্ষ করে রচনা করেছেন তাঁর বিশুদ্ধ জীবনচরিত। তথ্য ও বিশুদ্ধ বর্ণনার আলোকে তুলে ধরেছেন একজন সত্যিকার দায়ির কর্ম ও জীবনের উদ্দেশ্য।
আমাদের দেশের সর্বসাধারণের মাঝে শায়খ আবদুল কাদির জিলানিকে নিয়ে যেসব মনগড়া কল্পকাহিনি প্রচলিত আছে; শায়খকে নিয়ে যেসব শিরক-বিদআতের ব্যবসা রমরমা হয়ে আছে, সে-সবের অসারতা ও বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পাঠককে পথ দেখাবে শায়খ আবদুল কাদির জিলানির এই জীবনীগ্রন্থ। সত্য ইতিহাসের বইতালিকায় এই গ্রন্থ সমৃদ্ধির ইট হিসেবে যুগ যুগ ধরে টিকে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
-
-
hotইসলামের চার নক্ষত্র: চার ইমাম
লেখক : ড. সালমান আল আওদাহপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন335 ৳248 ৳অনুবাদ: ওয়াফি অনুবাদক টিম সম্পাদনা: মুফতী মাহমুদুল ...
-
save offইমাম সিরিজ (৬টি বই)
প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন1,436 ৳1,048 ৳জ্ঞানের রাজ্যে ডুব দেবার এক নিরন্তর ...
-
save offআফিয়া সিদ্দিকী (গ্রে লেডি অব বাগরাম) (পেপারব্যাক)
প্রকাশনী : প্রজন্ম পাবলিকেশন220 ৳169 ৳সংকলন: টিম প্রজন্ম সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে চলা কথিত ...
-
hotইমাম মাহদী: রূপকথা নয়, সত্য
প্রকাশনী : সীরাত পাবলিকেশন200 ৳150 ৳অনুবাদক: মহিউদ্দিন রূপম, আশিক আরমান নিলয় সম্পাদনা: ...
-
save offনববি শিষ্টাচার ও দুনিয়া-বিমুখতার মূর্তপ্রতীক হাসান বসরি (রহ)
লেখক : আল্লামা ইবনুল জাওযী (রহঃ)প্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন216 ৳162 ৳অনুবাদ : হাসান মাসরুর সম্পাদনা : মুফতি ...
-
hotসালাফদের জীবনকথা
প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন320 ৳234 ৳অনুবাদ: মাসউদ আলিমী পৃষ্ঠা: ২৪০ (পেপারব্যাক কভার) ঐশী আলোয় উদ্ভাসিত ...
-
save offসালাফদের ইলমী শ্রেষ্ঠত্ব
লেখক : ইমাম ইবনু রজব হাম্বলি (রহঃ)প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আসলাফ120 ৳88 ৳
-
save offউম্মাহর কিংবদন্তিরা
প্রকাশনী : সন্দীপন প্রকাশন300 ৳225 ৳'হিরোজ অব ইসলাম' লেকচার সিরিজ অবলম্বনে। সেলিব্রেটি! শব্দটি ...
-
save offযেমন ছিলেন তাঁরা
লেখক : শাইখ খালিদ আল হুসাইনান রহঃপ্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন277 ৳208 ৳পৃষ্ঠা সংখ্যা ২০০ সালাফদের অনুসরণ করা, তাঁদের ...
-
hotমুহাম্মদ আল-ফাতিহ
লেখক : ড. আলী মুহাম্মদ সাল্লাবীপ্রকাশনী : মুহাম্মদ পাবলিকেশন320 ৳234 ৳তৎকালীন বিশ্বের পরাশক্তি রোমান সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থল ...
-
Md Amdadullah Tafhim – :
বইঃ আবদুল কাদের জিলানি
লেখকঃ ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
■ প্রাক-কথনঃ
ভারতীয় উপমহাদেশে যে সুফি-সাধকের নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয় তিনি শায়েখ আবদুল কাদের জিলানি র.। একজন সৎ, নির্ভীক ও উচ্চ মনোবল সম্পন্ন সমাজ সংস্কারক। সমাজ সংস্কারকমূলক গণদাওয়াত, ওয়াজ-নসীহত ও আত্নশুদ্ধির মেহনত করে নতুন মানসপটে জাগিয়ে তুলতেন ঈমানী চেতনা ও আল্লাহ প্রদত্ত বিধানাবলী মেনে চলার অদম্য স্পৃহা। মানুষের হৃদয়কাননে গেঁথে দিতেন আল্লাহ প্রেমের অমিয়সুধা। সঠিক ও প্রকৃত জ্ঞানার্জন ও ইবাদাতের বিশুদ্ধ ও নির্ভেজাল তরিকায় উম্মাহকে উদ্ধুদ্ধ করতেন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের প্রতিযোগিতায়।
কতক অজ্ঞ ও জাহেলদের মাধ্যমে মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে কল্পিত, বানোয়াট জীবনকথা। ফলে জনমনে দানাবেঁধেছে সংশয় ও সন্দেহের বীজ। এ বিষয়টির প্রতি লক্ষ রেখে আবদুল কাদের জিলানি র. এর জীবনী গ্রন্থের প্রয়োজন ছিল সময়ের অপরিহার্য দাবী। আর সে দাবীর বাস্তবিক রুপ ড. আলী মুহাম্মাদ সাল্লাবি রচিত ও কালান্তর প্রকাশনীর শ্রমলব্ধ প্রচেষ্টা “আবদুল কাদের জিলানি” বইটি।
■ বিষয়বস্তুর নিরিখে-
ছোট কলেবরের এই বইটির নাম থেকেই বিষয়বস্তু পরিস্কার হয়ে যায়। আবদুল কাদের জিলানি র. এর জীবন ও কর্ম নিয়ে বইটি নয়টি অধ্যায়ে বিভক্ত। যে বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে তার সংক্ষিপ্তসার-
• শুরুর দিকে বইটিতে তাঁর নাম,বংশ, জ্ঞান অন্বেষণে সফর ও তাঁর শায়েখদের নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাঁর আকিদা-বিশ্বাস ও আকিদা বিশ্লেষণ পদ্ধতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা স্থান পেয়েছে।
• সহজ-সাবলীলভাবে বোধগম্য ভাষায় ঈমান, কবিরা গুনাহ, তাওহিদে উলুহিয়্যাহ, রুবুবিয়্যাহ, ইবাদাত কবুলের শর্তাদি ও তাওহীদ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে তাঁর অবস্থান পরিস্কার করা হয়েছে।
• ইসলামে বিদ’আতের নিন্দা ও ভয়াবহতা ,কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী জীবনযাপনের গুরুত্ব, দ্বীনি বিষয়ে নেতৃত্বশীলদের আনুগত্য বিষয়ক অবস্থান, তাসাউফের মর্ম ও তাৎপর্য, আধ্যাত্মিক চর্চা-সাধনা, বিশুদ্ধ জ্ঞানার্জন ও তদানুসারে আমলের গুরুত্বারোপের বিস্তারিত আলোচনা স্থান পেয়েছে।
• ‘কাদেরিয়া তরিকা’ প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট এবং যে বৈশিষ্ট্যগুলোর জন্য অন্যান্য তরিকা থেকে ‘কাদেরিয়া তরিকা’ আলাদা তা আলোচনার পাশাপাশি তরিকার উসুল ও মূলনীতি, ইসলামি শিক্ষা ও শিষ্টাচার এবং শায়েখ প্রণীত মুরিদের শিষ্টাচারনীতির বিশদ ব্যখ্যা এবং তাঁর সমাজ সংস্কার মূলক কাজগুলোর পর্যাপ্ত আলোচনার মাধ্যমে বইটি পূর্ণতা লাভ করেছে।
■ বইটি কেন পড়া অতীব জরুরিঃ
ড. আলী সাল্লাবির অধ্যয়ন ও গবেষণার অনুপম সার-নির্যাস সম্পন্ন এই বইটি থেকে পাঠক জানতে পারবেন একজন পীর কেমন হওয়া উচিত এবং মুরিদের সাথে ভক্ত বা মুরিদের আচরণ কেমন হওয়া উচিত। এছাড়াও, সত্যিকারার্থে দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি বলতে কি বোঝায়, আল্লাহকে পেতে হলে কি পরিমাণ ও কি ধরণের চেষ্টা মুজাহাদা প্রয়োজন তা সম্পর্কে পাঠক সম্যক ধারণা লাভ করবে। সর্বোপরি, একজন সহিহ আকিদাধারী বিশুদ্ধ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলার প্রত্যয় খুঁজে পাবেন প্রতিটি পাঠক।
■ লেখক সম্পর্কে কিছু কথাঃ
জীবন ও কর্ম বিষয়ক বক্ষমান গ্রন্থটির লেখক প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, কুরআন ও সুন্নাহর বিশুদ্ধ জ্ঞানের অধিকারী, সালাফগনের বক্তব্যের আবেদন ও প্রকাশশৈলী রক্ষায় তৎপর ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি। যারা তাঁর বইপত্রের সাথে পরিচিত তারা জানেন গ্রন্থ রচনার ক্ষেত্রে অন্যসব বিষয়ের থেকে তিনি প্রাধান্য দেন তথ্য ও প্রমাণাদির সন্নিবেশের ক্ষেত্রে। ফলে তাঁর গ্রন্থগুলোতে প্রকাশিত হয়ে উঠে তথ্যবহুল ও বাহুল্যবর্জিত সর্বাঙ্গীন ও সুন্দররুপ। তেমনি একটি যুগান্তকারী একটি বই ‘আবদুল কাদের জিলানি’।
■ বইটির বেশ কিছু দিকঃ
• তথ্যসমৃদ্ধ ও বাহুল্যবর্জিত।
• প্রয়োজনীয় রেফারেন্স সমৃদ্ধ।
• ছোট কলেবরে হলেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদিতে অত্যন্ত
প্রভাব সৃষ্টিকারী।
■ ব্যক্তিগত অনুভবের অনুসিঞ্চনঃ
শিক্ষাব্যবস্থায় বাধ্যতামূলকভাবে অনেক বিজ্ঞ মনিষীদের (ল্যালিন,স্টালিন,কাল মার্কস, সক্রেটিস,আইনস্টাইন ইত্যাদি) জীবনী ও কৃতিত্ব আমরা পড়ে থাকি। কিন্তু সেগুলো থেকে শিক্ষালাভ এবং জীবনে প্রয়োগযোগ্য তথ্যের সমাহার খুব কমই পরীলক্ষিত হয়। কিন্তু শরীয়াত ও তরীকতের উচ্চমার্গীয় ব্যক্তি হিসেবে আবদুল কাদের জিলানি র. এর জীবন ও কর্ম বিষয়ক বইটি ব্যক্তিগত ভাবে একজন আদর্শ মানুষ হতে, বিশুদ্ধ আকিদা ও আখলাক অর্জনে যথেষ্ট অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
■ শেষ কথাঃ
দুনিয়া বিমুখতার মূর্তপ্রতীক আবদুল কাদের জিলানি র. ছিলেন সমকালীন আলেমদের মধ্যে মর্যাদায় অনন্য ও অতুলনীয়। তাঁর জীবন ও কর্মের প্রত্যেক পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য ও অগুনিত মুক্তোঝরা উপদেশাবলি। দুনিয়া প্রীতি ও অন্তরের অসুস্থতা পরিহার করে আবদুল কাদের জিলানি র. এর জীবন থেকে অমূল্য নসিহাহ নিয়ে দ্বীন ও দুনিয়া সাজানোর অপরিসীম প্রত্যয় নিয়ে সুখপাঠ্য এই বইটি পড়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে শেষ করছি।
■ এক নজরে বই পরিচিতিঃ
বইঃ আবদুল কাদের জিলানি
লেখকঃ ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
অনুবাদকঃ আব্দুল্লাহ তালহা
প্রকাশনাঃ কালান্তর প্রকাশনী
ধরণঃ জীবন ও কর্ম বিষয়ক
পৃষ্ঠাঃ ১৪৭
মুদ্রিত মূল্যঃ ২০০/-
কভারঃ হার্ড কভার
_________________
md raihan – :
বই :আব্দুল কাদির জিলানি
লেখক : ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি
অনুবাদক : আবু আবদুল্লাহ আহমদ
সম্পাদক : আবুল কালাম আজাদ
প্রকাশক : কালান্তর প্রকাশনী
মুদ্রিত মূল্য : ৳ ২০০
লেখক পরিচিতি :
ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি ১৯৬৩ সালে লিবিয়ার বেনগাযি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। গাদ্দাফীর প্রহসনের স্বীকার হয়ে তিনি আট বছর কুখ্যাত আবু সালিম কারাগারে আটক ছিলেন। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি সৌদি আরব এবং সুদানে ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করেন, ১৯৯৯ সালে ওমদুরমান ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করে। তার রাজনৈতিক দীক্ষাগুরু বিশ্বখ্যাত ফকিহ ও রাজনীতিক ড. ইউসুফ আল কারজাবি। ড. আলি সাল্লাবি সিরাত, ইতিহাস, ফিকহ এবং উলুমুল কুরআনের ওপর আশির অধিক কিতাব রচনা করেছেন। ইসলামি ইতিহাসের তাত্ত্বিক রচনা তাকে পুরো মুসলিমবিশ্বে সর্বাধিক পরিচিতি লাভ করিয়েছে।আব্দুল কাদির জিলানি রহঃ জীবন ও কর্ম বইটিও তার অন্যতম এক কীর্তি। এ মহা মনীষীর জীবনীকে তিনি তার দক্ষ ঐতিহাসিক মেধাকে কাজে লাগিয়ে সহজভাবে তুলে ধরেছেন পাঠকের সামনে। কালান্তর প্রকাশনী তাঁর সিরাত গ্রন্থ সহ খলীফাগণ এবং ইসলামি সাম্রাজ্যের বইগুলো বাংলায় অনুবাদ করে ইতোমধ্যে প্রকাশিত করেছে।
একনজরে বইটির প্রয়োজনীয়তা
শায়খ আবদুল কাদির জিলানি (রহ)।বাংলাদেশে যাকে বড় পীর আব্দুল কাদের নামে চিনে। বাংলাদেশে আব্দুল কাদির জিলানিকে চিনে না এমন মানুষ নেই বল্লে চলে। যাকে নিয়ে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে চলে কল্প-কাহিনি যার কোনো ভিত্তি নেয়। তার জীবনি নিয়ে বাজারে পাওয়া যায় অনেক বই বানোয়াট বই পুস্তক। তাকে নিয়ে এমন অনেক কথা প্রচলিত যা মানুষ বিশ্বাস করলে ইমান চলে যাবে। তার কারামত এর নামে মানুষকে গিলানো হয় আজগুবি সব গল্প।আব্দুল কাদির জিলানি রা. জীবন ও কর্ম বইটিতে ড. আলি সাল্লাবি সুন্দর ও সাবলীল ভাবে তুলে ধরেছেন।শায়খের জন্ম,বংশ,জন্মস্তান তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে।শায়খ আলি সাল্লিবির বই একরকম ভালো লাগা কাজ করে।তিনি বই এর মধ্যে শায়খ আব্দুল কাদির জিলানির জীবনিককে তুলে দরেছেন।এই বইয়ে তার আকিদা হত বিশ্বাস কি রকম ছিল তা তুলে ধরেছেন। এই বইয়ে আরো উটে এসেছে মুসলিম বিশ্বে তার অবদানের কথা।তার কারামত দিয়ে মানুষ তুলে ধরতে চায় তার তিনি বড় অলি ছিলেন।কিন্তু কেউ বলে না তার আচারণ এমন ছিল,তার গুলাবলি এমন ছিল সবাই শুধু তার কারামত দিয়ে তাকে মানুষের সামনে তুলে ধরে। তার অবশ্যয় অনেক কারামত ছিল।কিন্তু মানুষ তার আচারণ,গুনাবলি উল্লেখ করে না।এই বই লেখক শায়খ আব্দুল কাদির জিলানির সামান্য উস্তাদগণেন কথা উল্লেখ করেছেন। শায়খের জিবনীককে জানার জন্য এমন একটা বই আর হবে না।
কেন এই বইটি পড়বেনঃ
১)এতে কোনো অতিরঞ্জিত কথাবার্তা কিংবা ভিত্তিহীন বর্ণনা করা হয়নি।
২)খুবই সাবলীলভাবে এই গ্রন্থটি উপস্থাপন করা হয়েছে।
৩)শায়খের বিশুদ্ধ জীবন জেনে তার নামে প্রচলিত ভ্রান্ত বর্ণনা থেকে বাঁচতে এই বইটি সব থেকে উপযুক্ত।
মোঃ রায়হান উদ্দিন
রেটিংঃ ৫/৫
Mohammad Rakibul Islam – :
আমমাাদের সমাজে শায়খকে নিয়ে এক ধরনের ভাবনা কাজ করে যে শায়খের দীনদারিত্ব শুধু কারামতের মধ্যে সীমাবদ্ধ।হ্যা অবশ্যই তার অসংখ কারামত ছিলো যে ব্যাপারে বলেছেন ইমাম ইজ্জুদ্দিন আবদিস সালাম (রহঃ) ও ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ)।কিন্তু আমাদের সমাজে কেউ তার শানে কথা বলতে গিয়ে বলেনা যে তার গুণাবলি এমন ছিলো বা তিনি উত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি বলে উঠতেন৷ সবাই তার কারামত বর্ননা করে তার দীনদারিত্বকে প্রমাণ করতে চাই। যার মধ্যে হাজারো৷ কথা কারামতের নামে এমন থাকে যেগুলো বিশ্বাস করলে সে আর যাই হোক মুমিন থাকতে পারেনা।
আর তার সেই গুণাবালি সম্পর্কে জেনে তা আমাদের জীবনে বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিয়েছে কালান্তর।কালান্তরের এই গ্রন্থটিতে রয়েছে শায়খের ছোট থেকে শায়খ আবদুল কাদির৷ জিলানি হয়ে উঠার ইতিহাস।রয়েছে জ্ঞান অর্জনের জন্য তার দেওয়া ত্যাগের কথা।রয়েেছে শাসকের অন্যায়ের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদের কথা।এছাড়া তার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে বিস্তারিত রয়েছে।তার কিছু শিক্ষকদেরও বর্ণনা এই বইটিতে বিদ্যমান রয়েছে।
কেন এই বইটি পড়বেনঃ
১)এতে কোনো অতিরঞ্জিত কথাবার্তা কিংবা ভিত্তিহীন বর্ণনা ঠাঁই পাইনি
২)খুবই সাবলীলভাবে এই গ্রন্থটি উপস্থাপন করা হয়েছে
৩)শায়খের বিশুদ্ধ জীবন জেনে তার নামে প্রচলিত ভ্রান্ত বর্ণনা থেকে বাঁচতে
nayeemislam1719 – :
এই বইতে শায়খের জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্ব বিষয় সামনে চলে এসেছে। দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে শুরু করে সপ্তম অধ্যায় পর্যন্ত অংশটুকু বইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে কারণে এখানে আকিদা এবং অন্যান্য বিষয়ে শায়খের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অনুবাদক টিকার ব্যবহার করেছেন তবে আরো কিছু জায়গায় টিকা দিয়ে বিভিন্ন শব্দ ব্যাখা করলে ভাল হতো যেমন: মুতাকাল্লিমিন, কালামশাস্ত্র, তাসাওউফ ইত্যাদি। যেসব বিষয় নিঃসন্দেহে সবার ভাল লাগবে: কবিরা গুনাহর শ্রেণীবিন্যাস, মানুষের প্রতি সুধারনা পোষণ, ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক, সাদিক ও সিদ্দিকের পার্থক্য, তাওবা এবং আকিদা নিয়ে শায়খের দৃষ্টিভঙ্গি। শায়খের সত্যাবাদিতা নিয়ে যে ঘটনাটা সমাজে প্রচলিত তা পাওয়া যাবে এই বইয়ের ৯৪ পৃষ্ঠাতে।
শায়খ হাম্বলি মাযহাবের অনুসারী ছিলেন। ইমাম আহমেদ ইবনে হাম্বলের কিতাবুয জুহদে জাবিহাতুল্লাহের ব্যাপারে যে মত উল্লেখ করা হয়েছে সেটা সম্ভবত শায়খ আব্দুল কাদির জিলানিও পোষন করতেন যদিও এই মতটি আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের নিকট গ্রহণযোগ্য নয়। এহ্ইয়াউস সুনান বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ে শায়খ আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) সাধকদের গ্রন্থে ভুল সম্পর্কে আলোচনা করতে যেয়ে উল্লেখ করেছেন যে ‘শায়খ আব্দুল কাদির জিলানি লিখেছেন যে আবু হানীফা নু’মান ইবনু সাবেত ও তার অনুসারীগণ বিভ্রান্ত জাহান্নামী ৭২ দলের একটি দল’-এই বিষয়টি নিয়ে গ্রন্থে কোন আলোচনা চোখে পড়লো না।
নবম অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে “তৎকালে অধিকাংশ আলিম প্রসিদ্ধ এবং বড় বড় মাঠ ও স্থানগুলোতে ওয়াজ করার প্রতিযোগিতা করত” –এ যেন বর্তমানের সময়েরই প্রতিচ্ছবি! শায়খ সে যুগের দরবারি আলেমদের ব্যাপারে বেশ সোচ্চার ছিলেন এবং মসজিদের মিম্বরে শাসকের সামনে দাড়িয়েও শাসকের সমালোচনা করেছেন। নবম অধ্যায়ের শেষ অংশে শায়খের সংস্কারমূলক কার্যক্রম নিয়ে যেসব আলোচনা করা হয়েছে সেসব ক্রুসেড যুদ্ধের ইতিহাস জানা পাঠকদের জন্য অধিক উপযোগী মনে হয়েছে। শেষ দিকে সারসংক্ষেপ অংশটি অপ্রোয়জনীয় মনে হয়েছে।
শায়খ আব্দুল কাদির জিলানির এই জীবনীগ্রন্থ অনুবাদের ক্ষেত্রে অনুবাদক, সম্পাদক, প্রকাশনী চমৎকার কাজ করেছেন। আর লেখক সম্বন্ধে আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। আল্লাহ সবাইকে উত্তম বিনিময় দান করুন।