মেন্যু
sahabaye keramer-imandipto-jibon

সাহাবায়ে কেরামের ঈমানদীপ্ত জীবন (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) ১ম এবং ২য় খণ্ড

আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারককে (রহঃ) যখন উনার সঙ্গী সাথীরা জিজ্ঞেস করতো, আপনি আমাদের সাথে সময় না কাটিয়ে একা একা থাকেন কেন? জবাবে ইবনে মুবারক বলতেন, আমি তো সাহাবীদের সাথে থাকি? যখন... আরো পড়ুন
খন্ড নং Clear
পরিমাণ
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
Get it on Google Play

9 রিভিউ এবং রেটিং - সাহাবায়ে কেরামের ঈমানদীপ্ত জীবন (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) ১ম এবং ২য় খণ্ড

5.0
Based on 9 reviews
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    mahmudul.hasaan03:

    আলোর যত কাছাকাছি থাকা যায় ততই আলোকিত হওয়া সম্ভব। আর মহানবী ﷺ এর সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী ছিলেন সাহাবায়ে কেরাম। পাপ-পঙ্কিলতায় ভরপুর এই যুগে নিজের ঈমানকে ঝালিয়ে নিতে জানতে হবে সাহাবীদের ঈমানদীপ্ত ঘটনাবলী। এই উদ্যোগে ১০৮ জন সাহাবীর জীবনের অনন্য শিক্ষামূলক ঘটনা নিয়ে ২খণ্ডে অনুদিত হয়েছে “সাহাবায়ে কেরামের ঈমানদীপ্ত জীবন” বইটি।
    .
    সাহাবায়ে কেরাম বলতে আমরা বুঝি আবু বকর, উমর, উসমান, আলী, আবু হুরায়রা, বিলাল, আনাস, খালিদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু)— এরকম ১০-১২ জন সাহাবীর বাইরে বাকিদের ব্যাপারে তেমন জানি না। সাহাবীদের আলোচনায় ঘুরেফিরে শুধু উনাদের আলোচনাই আসে। কিন্তু এছাড়াও যে রয়েছে অসংখ্য নাম না জানা সাহাবী, যাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি। এটি সাহাবীদের কোনো জীবনীগ্রন্থ নয়; সাহাবীর জন্মসন কবে, বাবার নাম, দাদার নাম, বংশপরিচয় এগুলো নিয়ে আলোচনা না করে সরাসরি চলে গেছে ‘টু দ্যা পয়েন্টে’ অর্থাৎ তাদের ঈমানের উপর দৃঢ়তা, দুনিয়া ত্যাগের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, রাসূলের (স) প্রতি মহব্বত, সাহসিকতার সাথে লড়াই, ত্যাগ-তিতিক্ষার করুণাময় ঘটনাবলী, দ্বীনের স্বার্থে স্বীয় জীবন বিলিয়ে দিতে কুণ্ঠাবোধ না করার কাহিনী, পারস্পরিক সহমর্মিতা ও সহযোগিতার সুমহান নিদর্শনসহ জীবনের এমনসব চমকপ্রদ স্বকীয় বৈশিষ্ট্য আলোচিত হয়েছে, যা পাঠকের ঈমানী চেতনাকে উজ্জ্বীবিত করবে। প্রত্যেক সাহাবীর পুরো জীবনের বাছাই করা ঘটনাগুলো ধারাবাহিকভাবে উঠে এসেছে। প্রত্যেক ঘটনা শুরুতে দেওয়া হয়েছে উক্ত সাহাবী সম্পর্কে ক্ষুদে-বার্তা। পাপের ঘুনে ধরা সেই জাহেল সমাজের আষ্টেপৃষ্ঠে আবদ্ধ জাতিকে নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিকতার শীর্ষে তুলে কীভাবে কলুষমুক্ত পরশ পাথরে পরিণত করা হয়েছিল তার সুস্পষ্ট চিত্রাঙ্কন হয়েছে। একেকজন সাহাবীর জীবন এক ধরনের স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে মহিমান্বিত আর তাদেরই স্বপ্নীল জীবনের সরল প্রবাহচিত্র অঙ্কিত হয়েছে বইটির পাতায় পাতায়।
    .
    প্রতিটি ঘটনার প্রানবন্ত আলোচনা মেলে ধরবে সাহাবীদের সাফল্যভরা জীবনের নিখুঁত মানচিত্র। শব্দের গাঁথুনি দিয়ে ঘটনাগুলোকে বাস্তবিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে। তাদের ঈমানী তেজ দেখে কেবল বিস্মিত হওয়া আর নিজেও তাদের মতো হওয়ার স্বপ্ন বুনতে শুরু করা ছাড়া উপায় থাকবে না, ইনশাআল্লাহ। সুগঠিত ভাষাশৈলী, অভিনব উপস্থাপনা এবং ভাবনাঋদ্ধ বিষয়বৈচিত্র্য চুম্বকের মতো আকর্ষণ করবে তাদের ব্যাপারে আরো জানতে। কত সময় ধরে যে বইয়ে বুদ হয়ে থাকবেন টেরই পাবেন না। উপরন্তু রয়েছে নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্রও। প্রতিটি ঘটনার হৃদয়গ্রাহী চিত্রায়ন গাফেল হৃদয়কে নমনীয়তায় পূর্ণ করে তাদেরই আদর্শে নিজেদের গড়ে তুলতে উদ্বুদ্ধ করবে।
    11 out of 13 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    redwannabil116:

    #ওয়াফিলাইফ_পাঠকের_ভালোলাগা_জুলাই_২০২০

    #বইটি_আমাদের_কেন_পড়া_দরকার?
    ইসলামের প্রারম্ভে যারা ইসলামের পতাকা উঁচিয়ে তুলেছিলেন, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ইসলাম আজ সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত, যারা পদে পদে সয়েছেন লাঞ্চনা, দুঃখ-কষ্ট তারাই হচ্ছেন সাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)। তারাই আামাদের আমাদের পূর্বসূরি, তারাই আামাদের গর্বের বিষয়। তারাই ছিলেন ইসলামমের প্রথম সৈনিক, তারাই ছিলেন প্রকৃত ঈমানদার। যদি আমরা নিজেদের ঈমানকে পাকাপোক্ত করতে চাই তাহলে সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের জীবনী জানার বিকল্প নেই। আর জানার জন্য প্রয়োজন বিশুদ্ধ দলিলভিত্তিক কোন বই। ‘সাহাবায়ে কেরামের ঈমানদীপ্ত জীবন’ এমনই একটি বই।

    #বইটি_যেভাবে_সাজানোঃ
    বইটির প্রত্যেক খন্ডে ৫৪ জন সাহাবীর জীবনী দেয়া আছে। বইটি লেখক নিজের মত করে লিখেছেন। অন্যসব সীরাত বইয়ের মত গতবাধা নিয়মে লেখা হয়নি বইটি। এই বইটির রয়েছে বিশেষ কিছু বিশেষত্ব। লেখক বিভিন্ন সীরাত বই থেকে জ্ঞান অর্জন করে সাহাবীদের জীবনে ঘটে যাওয়া বিশেষ কিছু ঘটনা সাহিত্যের ভাষায় অসাধারণ মাধুর্য দিয়ে তুলে ধরেছেন, যা আমাদের ঈমানের পারদকে বাড়িয়ে তুলবে বহুগুন। লেখক একেকজন সাহাবীর জীবনী একেকভাবে, একেক জায়গা থেকে শুরু করেছন। ফলে করে সবার জীবনী একই ভাবে লেখা না থাকায় পাঠক একেক সাহাবীর জবনীতে একেক ধরনের স্বাদ পাবেন। কাহিনী গুলো বেশি বড় না হওয়ায় পাঠকের হাঁপিয়ে ওঠার সম্ভবনা নেই।

    #বই_সম্বন্ধে_আমার_মন্তব্যঃ
    সাহাবায়ে কেরামের ঈমানদীপ্ত জীবন বইটি পড়ে আমি অন্য এক জগতে হারিয়ে গিয়েছিলাম। মন চাইছিল বইটি একবারে পড়ে উঠি। কিন্তু এত বড় বই কি একবারে পড়ে উঠা যায় বলেন! আমি প্রত্যেকটি সাহাবীর জীবন কাহিনী পড়ছিলাম আর নিজের অজান্তেই চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে আসছিল। বিশেষ করে যখন কাহিনীর শেষের দিকে মৃত্যুর কথা পড়ছিলাম তখন। বইটি পড় আমার মনে হয়েছে আমার ঈমানের পারদ বেড়ে গিয়েছে। নিজেকে সাহাবীদের অাদর্শে উজ্জীবিত করার ইচ্ছে তৈরি হয়। সর্বোপরি এটা এমন একটা বই যে বইয়ের স্বাদ অন্য কোন সীরাত বইতে পাওয়া যাবে না।

    10 out of 11 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    redwannabil116:

    #ওয়াফিলাইফ_পাঠকের_ভালোলাগা_জুলাই_২০২০

    #বইঃ সাহাবায়ে কেরামের ঈমানদীপ্ত জীবন (রাযিয়াল্লাহু আনহুম) ১ম এবং ২য় খণ্ড,
    লেখক : ডক্টর আব্দুর রহমান রাফাত পাশা,

    #প্রথমেঃ
    ইসলামের প্রারম্ভে যারা ইসলামের পতাকা উঁচিয়ে তুলেছিলেন, যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ইসলাম আজ সারা বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত, যারা পদে পদে সয়েছেন লাঞ্চনা, দুঃখ-কষ্ট তারাই হচ্ছেন সাহাবায়ে কেরাম (রাদিয়াল্লাহু আনহুম)। তারাই আামাদের আমাদের পূর্বসরি, তারাই আামাদের গর্বের বিষয়। তারাই ছিলেন ইসলামমের প্রথম সৈনিক, তারাই ছিলেন প্রকৃত ঈমানদার। যদি আমরা নিজেদের ঈমানকে পাকাপোক্ত করতে চাই তাহলে সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুমদের জীবনী জানার বিকল্প নেই। আর জানার জন্য প্রয়োজন বিশুদ্ধ দলিলভিত্তিক কোন বই। ‘সাহাবায়ে কেরামের ঈমানদীপ্ত জীবন’ এমনই একটি বই।

    #বইটি_যেভাবে_সাজানোঃ
    বইটির প্রত্যেক খন্ডে ৫৪ জন সাহাবীর জীবনী দেয়া আছে। বইটি লেখক নিজের মত করে লিখেছেন। অন্যসব সীরাত বইয়ের মত গতবাধা নিয়মে লেখা হয়নি বইটি। এই বইটির রয়েছে বিশেষ কিছু বিশেষত্ব। লেখক বিভিন্ন সীরাত বই থেকে জ্ঞান অর্জন করে সাহাবীদের জীবনে ঘটে যাওয়া বিশেষ কিছু ঘটনা সাহিত্যের ভাষায় অসাধারণ মাধুর্য দিয়ে তুলে ধরেছেন, যা আমাদের ঈমানের পারদকে বাড়িয়ে তুলবে বহুগুন। লেখক একেকজন সাহাবীর জীবনী একেকভাবে, একেক জায়গা থেকে শুরু করেছন। ফলে করে সবার জীবনী একই ভাবে লেখা না থাকায় পাঠক একেক সাহাবীর জবনীতে একেক ধরনের স্বাদ পাবেন। কাহিনী গুলো বেশি বড় না হওয়ায় পাঠকের হাঁপিয়ে ওঠার সম্ভবনা নেই।

    #বই_সম্বন্ধে_আমার_মন্তব্যঃ
    সাহাবায়ে কেরামের ঈমানদীপ্ত জীবন বইটি পড়ে আমি অন্য এক জগতে হারিয়ে গিয়েছিলাম। মন চাইছিল বইটি একবারে পড়ে উঠি। কিন্তু এত বড় বই কি একবারে পড়ে উঠা যায় বলেন! আমি প্রত্যেকটি সাহাবীর জীবন কাহিনী পড়ছিলাম আর নিজের অজান্তেই চোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে আসছিল। বিশেষ করে যখন কাহিনীর শেষের দিকে মৃত্যুর কথা পড়ছিলাম তখন। বইটি পড় আমার মনে হয়েছে আমার ঈমানের পারদ বেড়ে গিয়েছে। নিজেকে সাহাবীদের অাদর্শে উজ্জীবিত করার ইচ্ছে তৈরি হয়। সর্বোপরি এটা এমন একটা বই যে বইয়ের স্বাদ অন্য কোন সীরাত বইতে পাওয়া যাবে না।

    8 out of 9 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    ফেরদৌস তুষার:

    যতই পড়ছি ততই অবাক হচ্ছি! কতটা দৃঢ় ছিল তাঁদের ঈমান। দুই খন্ডের যথেষ্ট বড় বই হলেও কেন জানি দ্রুতই ফুরিয়ে গেলো পড়া। ঈমান কে পুনরুজ্জীবিত করতে অবশ্যই বইটি সবার পড়া উচিত।
    12 out of 13 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  5. 5 out of 5

    Md.AbdullahBin Siraj:

    One of the best book I have ever read. Zajakallah.
    10 out of 12 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No