মুক্ত বাতাসের খোঁজে
রিভিউ লেখক : Nabil Zawad
.
পর্নোগ্রাফি…. ইতস্তত বোধ করবেন না, এদিক ওদিক তাকিয়ে স্ক্রল ডাউন করে চলে যাবেন না। নিজেরই ক্ষতি করবেন। তো যা বলছিলাম, বইটা লিখা পর্নোগ্রাফি নিয়ে, পর্নাসক্তি নিয়ে। সাইবার ক্রাইম, ধর্ষণ, হত্যা, সমকামিতা, অজাচার, মানব পাচার, পরিবার ভাঙন,মাদকাসক্তি – এমন হাজারো বীভৎস গল্পের মূল হোতা এই মরনব্যাধি কীভাবে আমাদের উসখুস করা নিষ্পাপ চেহারাগুলোকে চুপেচুপে স্রেফ গিলে ফেলছে তা নিয়ে লিখা, ব্যক্তি-পরিবার-সমাজ কীভাবে এই নীল দুনিয়ার ক্ষুধার্ত লালসার লুপে পড়ে অক্সিজেনের অভাবে হাঁসফাঁস করে ডুবে মরছে তা নিয়ে লিখা। এ মৃত্যু মানসিক মৃত্যু, শারীরিক মৃত্যু। কষ্টহীন মৃত্যু হলেও হত, নাহ এ তীব্র যন্ত্রণা দিয়ে যায়। এতটুকু লেখা বইটার ১২৫ পৃষ্ঠা ব্যাপী ‘অনিবার্য যত ক্ষয়’ অধ্যায়টা উঁকি মেরে দেখানো অনেকটা। ‘‘সামান্য বিনোদন’’, ‘‘এটা একটা আর্ট’’, ‘‘আমি তো কারো ক্ষতি করছি না, বরং নিজেকে সংযত রাখছি অন্য কারোর সাথে এমন না করে’’- ভদ্র মুখোশের আড়ালে এইসব অজুহাত যে সমাজে কত পশু তৈরি করেছে, করে চলছে এর সামান্য ধারনা পাবেন এই অধ্যায়ে।
আমি পাঠক সমাজকে সাবধান করে দিচ্ছি, অনেক লিখাই হজম করতে কষ্ট হবে, দুনিয়ার কদর্য রূপ সম্পর্কে খুব কমই সচেতন, খুব কমই সতর্ক আমরা এটা নতুন করে উপলব্ধি করবেন এই বইয়ে। বইটা পড়া শুরু করে মাঝপথে এসে দম বন্ধ হয়ে আসছে বলে মনে হলেও প্লিজ চলে যাবেন না। আপনি মুখ লুকালেও সত্য কখনো বদলাবে না, সব সমস্যা আপনাআপনি ঠিক হয়ে যাবে না। তাহলে কী করবেন? বইটার পরের ১০৬ পেজ ধরে লিখা ‘বৃত্তের বাইরে’ অধ্যায়টি ভালোভাবে পড়ুন, মনোযোগ দিয়ে। লেখক খুব যত্ন নিয়ে ভেঙে ভেঙে আলোচনা করেছেন কীভাবে এই অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে, নোংরা, গ্লানিময় জীবন থেকে বের হয়ে আসা যায়। এটা সবার জানা খুব দরকার। আপনি নিজে বা আপনার পরিবারের সন্তান/ ভাই/ বোন হয়তো এই মরণব্যাধিতে আসক্ত কিংবা আপনার স্বামী বা স্ত্রী! কীভাবে সামলাবেন পরিস্থিতি? কীভাবে নিজে বের হয়ে আসবেন? এসবের উত্তর দেয়া আছে এখানে। প্রয়োজন শুধু মনের জেদ আর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাওয়া। বইয়ের একদম শেষের লেখাটা (‘মুক্ত বাতাসের খোঁজে’) অনেক অনুপ্রেরণা দিবে।
-
-
hotঘুরে দাঁড়াও
লেখক : ওয়ায়েল ইব্রাহিমপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন310 ৳226 ৳ঘুরে দাঁড়াও বইটি পর্ন-আসক্তি থেকে মুক্তিলাভের ...
-
আকাশের ওপারে আকাশ
লেখক : লস্ট মডেস্টি ব্লগপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন280 ৳একটা অদ্ভুত সমস্যার মধ্যে আছি আমরা। সমাজ ...
-
save offনজরের হেফাজত : সফলতার হাতিয়ার
লেখক : ড. শাইখ মাহমুদ মিসরিপ্রকাশনী : মুহাম্মদ পাবলিকেশন130 ৳95 ৳অনুবাদ : আল-আমিন ফেরদৌস ইমাম ইবনুল কাইয়িম ...
-
save offদৃষ্টি শয়তানের বিষাক্ত তীর
লেখক : আবদুল মালিক আল কাসিমপ্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন112 ৳83 ৳অনুবাদ ও সম্পাদনা : হাসান মাসরুর পৃষ্ঠা ...
-
মুক্তি সম্ভব
লেখক : মোঃ সাদেক হোসেন মিনহাজপ্রকাশনী : সপ্তশীষ প্রকাশন150 ৳প্রথম যেদিন পর্ন দেখেছিলেন, হয়ত ভেবেছিলেন—এটা ...
-
hotআসক্তি থেকে মুক্তির যাত্রা (প্যাকেজ)
লেখক : মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ, ওয়ায়েল ইব্রাহিম, মুহাম্মাদ হোসাইন, মোঃ সাদেক হোসেন মিনহাজ, লস্ট মডেস্টি ব্লগ847 ৳720 ৳বলতে না পারা আসক্তিতে শেষ হয়ে ...
-
hotডিপ্রেশন : কারণ ও প্রতিকার
লেখক : মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদপ্রকাশনী : ইহসান পাবলিকেশন204 ৳138 ৳নিঃসন্দেহে দুনিয়ার যে কোনো দুশ্চিন্তা, বিষণ্ণতা ...
-
save offমুক্ত বাতাসের খোঁজে, আকাশের ওপারে আকাশ (প্যাকেজ)
লেখক : লস্ট মডেস্টি ব্লগপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন510 ৳500 ৳একটা অদ্ভুত সমস্যার মধ্যে আছি আমরা। সমাজ ...
-
নীল বিষ
লেখক : গার্ডিয়ান টিমপ্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স150 ৳আমি আবিদ। কাজ করি তরুণদের নিয়ে। ...
-
MD.Moinuddin Chowdhury Sakib – :
শুধু তাই-ই নয়, কিভাবে কুড়ে কুড়ে মেরে ফেলা এই আসক্তি থেকে আল্লাহর সাহায্য নিয়ে নিজেকে ও নিজের পরিবারের সদস্যদের ও বন্ধুদের রক্ষা করবেন তারও অত্যন্ত বাস্তবসম্মত পদ্ধতি দেখিয়ে দেয়া হয়েছে।
উম্মাহর যুবকরা যতো বেশি এই জগতে অগ্রসর হবে ততো বেশি অন্ধকার ও অনিশ্চিত ভবিষ্যত হবে এই উম্মাহর। কারণ এর শুরুটা নিস্পাপ আগ্রহ থেকে হলেও শেষ জাহান্নামের ইন্ধন হয়ে। তাই আমাদের সকলের উচিৎ এই অন্ধকার জগৎ সম্পর্কে আমাদের সন্তান-সন্ততি ও সমাজের সকল শ্রেণীর লোকদের সাবধান করা। হাই কনফিগারেশন সেল ফোন আর হাইস্পিড ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করে দিয়ে আপনার সন্তানকে নিরাপদ ভাবার মত বোকামি করবেন না।সবাই-ই নিষ্পাপ আগ্রহ নিয়ে এই জগতে পাঁ বাড়ায়। অবশেষে, আল্লাহ লষ্ট মডেষ্টির ভাইদের উত্তম থেকে উত্তম প্রতিদান দিন করুন তাদের এই চেষ্টাকে উভয় জাহানের কামিয়াবির উসিলা হিসেবে কবুল করুন।
বইটি মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথম।ভাগ “অনিবার্য যত ক্ষয়”। এ ভাগে আলোচিত হয়েছে পর্নোগ্রাফি ও তার ফলাফলে হস্তমৈথুন এর নানা ক্ষতিকর দিক। আর এ বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে রেফারেন্স দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট এর বিভিন্ন লিংক থেকে শুরু করে গবেষনাধর্মী বিভিন্ন গ্রন্হের।
.
সবচেয়ে মজার বিষয়, যে পাশ্চাত্যে পর্নোগ্রাফি আজ ইন্ডাস্ট্রীতে পরিণত হয়ে এক মহীরূহের আকার ধারণ করেছে, সেই পাশ্চাত্যেই এর বিরুদ্ধে গবেষনা সবচেয়ে বেশী। পর্ন মুভি দেখাকে যারা ক্ষনিকের বিনোদন ভেবে সস্তির নিঃশ্বাস নেন, তাদের জন্য বইয়ের এ অংশটি হতে পারে এটম বোমা স্বরূপ।
.
আমাদের জীবনে আরেকটি অভিশাপ হচ্ছে হস্তমৈথুন। মৈথুন আমাদের ক্ষনিকের আনন্দ দেয়। কিন্তু ক্ষনিকের এই আনন্দ আমাদের জীবনকে যে কিভাবে অন্ধকারে ঠেলে দিতে পারে তা আসলে আমাদের কল্পনারও অতীত। আমাদের যুব সমাজ আজ কোন কিছু না ভেবেই হস্তমৈথুনের ভয়াল গর্তে গিয়ে পড়ে যাচ্ছে।
.
বইয়ের একটি চ্যাপ্টারে এই হস্তমৈথুনকে আতশ কাঁচের নীচে রেখে গবেষনা করা হয়েছে সম্পূর্ণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে। হস্তমৈথুন কেন ক্ষতিকর এবং এটি একজনের শারিরিক, মানসিক, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে কিভাবে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়েছে। এ অধ্যায়টি অশেষ উপকারী।
.
পর্নেগ্রাফি ও হস্তমৈথুন আসলে পারস্পরিক সম্পর্কিত। তাই পর্নোগ্রাফি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এ ব্যাপারটি চলেই আসে। আমাদের সমাজে পর্নোগ্রাফি যেমন এক মহামরি, তেমনি হস্তমৈথুনও মহারারির রূপ ধারন করেছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আমাদের সমাজে সচেতনতা তৈরীর কোন প্রচেষ্টা নেই। হস্তমৈথুনের ৫/১০ মিনিটের আনন্দ কারো জীবনে যে কি অভিশাপ ডেকে নিয়ে আসতে পারে তা আমরা চিন্তাও করতে পারি না।
.
“অনিবার্য যত ক্ষয়” অংশটি আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয় সেই ভয়াবহতার সাথে, যার ব্যাপারে আমরা আজ সম্পূর্ন গাফেল। আমরা যাকে উপেক্ষা করি চরম অবহেলায়, সেই ৫/১০ মিনিটের আনন্দই আমাদের জীবনে একদিন।দুঃখের কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে। ক্ষয়।হতে হতে আমাদের জীবনকে পচনশীল করে তুলতে পারে।
.
দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে “বৃত্তের বাইরে”। এ অংশে মূলত পর্নোগ্রাফি ও হস্তমৈথুনের এ নারকীয় নেশা থেকে কিভাবে নিজেকে মুক্ত করা যায়, কিভাবে এ আবদ্ধ জীবনকে পেছনে ফেলে মুক্ত বাতাসের সন্ধান করা যায়, সে ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়েছে। আমার স্হির বিশ্বাস, আমাদের অনেকেরই এ অংশটি বিশেষ উপকারে আসবে। কারণ, বাহিরে ভালো মানুষের মুখোশ পরা আমাদের অনেকেই দীর্ঘদিনের বদ অভ্যাসে আজ পর্নোগ্রাফির নেশায় নেশাতুর। কাজেই, এই অংশটি আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে ইনশা’আল্লাহ।
.
বিভিন্ন ঘটনাকে কেইস স্টাডি হিসেবে নিয়ে তার উপর ভিত্তি করে সমাধান দেবার চেষ্টা করা হয়েছে। যা বেশ অভিনব এবং উপকারী সন্দেহ নেই। পর্ণোগ্রাফির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলে বৈজ্ঞানিক ও ইসলামের দৃষ্টি কোন থেকে কি কি উপায় ও পন্হা অবলম্বন করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। স্বামীর পর্নাসক্তিকে স্ত্রীদের কি করণীয় তা নিয়ে স্ত্রীদের প্রতিও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নসীহা। সর্বোপরি বইটিতে সমাজের নানা স্তরের মানুষের উপর দৃষ্টি দেয়া হয়েছে। যা আমাদের জন্য অশেষ উপকারী হবে।
মেডিকেল সাইন্স-সাইকোলজি প্রভৃতির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, কুরআন-হাদিস হতে শিক্ষা– এ বিষয়গুলো খুব সুন্দরভাবে খাপে খাপে বসেছে, সহজবোধ্য মনে হয়েছে। বইটা পড়ার সময় বিরক্তি আসেনি। এজন্য লেখকদের পাশাপাশি সম্পাদক, শারঈ সম্পাদকগণও প্রশংসার দাবী রাখেন।
.
বইটা যাদের পড়া প্রয়োজনঃ
ছেলে-মেয়ে, আসক্ত-অনাসক্ত সবার পড়তে হবে। রিভিউটা শেষ করছি সুশীল সমাজের স্বাধীনচেতা পূজারিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মুক্তমনা নামধারি যারা স্বাধীনতার নামে ছেলে মেয়েদের গাইডলাইন ছাড়াই ইন্টারনেটের জগতে ছেড়ে দিচ্ছেন, নিজের রব এর আদেশ-নিষেধকে তোয়াক্কা না করে অবাধ ফ্রি মিক্সিং, বেপর্দা চলাফেরা আর টিভির সামনে পরিবার নিয়ে বেহায়ার মত মুন্নি বদনাম বা হলিউড মুভি দেখে মনে করছেন আমার ছেলে-মেয়ে স্মার্ট হচ্ছে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে তারা যে কিভাবে পথভ্রষ্ট হচ্ছেন আর অন্যদেরও করছেন অনেকটাই আঁচ করতে পারবেন বইটা পড়লে।
যারা মাদকতার রাজ্যে,পর্ণগ্রাফি ও হস্থমৈথুনের মতন অন্ধকার জগতে নিমজ্জিত তাদের সহ প্রত্যক যুবক ও অভিভাবককে “মুক্ত বাতাসের খোঁজে” বইটা পড়া উচিৎ।
মো ইলিয়াসহোসেন – :
আবু বকর সিদ্দিক – :
(আমার কথার মোড় হয়তো পাল্টে যাচ্ছে। তবুও উপরোক্ত অংশটুকু ভূমিকা হিসেবে না লিখলেই নয়।)
বলছিলাম, আমাদের শতাব্দীর কথা। যেই শতাব্দীর কেবলমাত্র ১৯টি বছর পার হয়েছে। আর এরই মধ্যে বদলে গেছে গোটা পৃথিবী। পৃথিবীর এই বদলে যাওয়ার বাতাস লেগেছে আমাদের সমাজে। তাই সেও বদলে না গিয়ে পারেনি।
বর্তমানে আমাদের সমাজের অবস্থা খুবই করুণ। বিনোদনের নামে যতসব অশ্লীলতা-প্রদর্শনীকে সমাজ নির্দ্বিধায় মেনে নিয়েছে। ফলে, দিনের পর দিন এসব অশ্লীলতা-প্রদর্শনীর মাত্রা ক্রমশ; বেড়েছে বৈ কমেনি। এভাবেই একসময় তা “পর্নোগ্রাফি”তে এসে পৌঁছেছে।
আমাদের বর্তমান প্রজন্ম এখন পর্নোগ্রাফির বিষাক্ত ছোবলে নীল হয়ে আছে। কিশোর থেকে শুরু করে বয়ষ্ক— কেউই রেহাই পাচ্ছে না এর ভয়ানক ছোবল থেকে। যার ফলে, পৃথিবীতে অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে চলেছে ধর্ষণের হার। আর পতিতালয়ের কথা নাহয় বাদই দিলাম।
একটা সময় এই “পর্নোগ্রাফি” নামক ভাইরাসটিকে খুব একটা পাত্তা দেওয়া হতো না। ফলে ধীরে ধীরে এটি একটি মহামারীর রূপ ধারণ করেছে। আর সেই মহামারীতে এখন প্রচুর পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছে আমাদের যুব, তরুণ ও কিশোর সমাজ। যে সময়টা ছেলেদের মাঠে খেলাধুলায় কাটানোর কথা— সে সময়টা তারা ঘরে বসে ইন্টারনেটেই কাটিয়ে দিচ্ছে। ফলে তারা শারীরিক ভাবে তো অলস হচ্ছেই— সাথে মানসিক ভাবেও প্রচণ্ড কুঁড়ে হয়ে যাচ্ছে। আর কথাতেই তো আছে, “অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা”। তাই শয়তানও তার কাজের কাজটা করে ফেলছে। অল্প বয়সেই তাদের মন-মস্তিষ্ক বিগড়ে দিচ্ছে। আর ধীরে ধীরে তাদেরকে “পর্নোগ্রাফি”র জালে আটকে ফেলছে।
“পর্নোগ্রাফি”র জালে যারাই একবার আটকেছে— তাদের বেশিরভাগই বরবাদ হয়ে গেছে। কারণ, এর ফাঁদে যারা একবার আটকায়, তারা কেউই সহজে বেরুতে পারে না। ফলে সেখানেই আটকে থাকে আজীবন।
আলহামদুলিল্লাহ! যুগের এই ক্রান্তিলগ্নে “লস্ট মডেস্টি” নামক একটি সংগঠন মানুষের পাশে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে। তারা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে একটা বই লিখেছে— যার নাম “মুক্ত বাতাসের খোঁজে”। বইটিতে তারা “পর্নোগ্রাফি”র ক্ষতিকর সব দিকগুলো তুলে ধরেছে এবং এসবের থেকে বেঁচে থাকার পথও বাতলে দিয়েছে।
বইটি আমার কাছে দারুণ লেগেছে। বর্তমান সময়ে এ বইটি সকলেরই পড়া দরকার। হোক সে পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত কিংবা অনাসক্ত! প্রত্যেকেরই বইটি পড়া জরুরী বলে আমি মনে করি। কারণ, এ বইটি পড়ে আপনি আপনার পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত কোনো বন্ধু, সহপাঠী কিংবা কোনো আত্মীয়— সবাইকেই এর থেকে বেঁচে থাকার আহ্বান জানাতে পারবেন। তাদেরকে বোঝাতে পারবেন এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্মন্ধে। এত কিছু নাহয় বাদই দিলাম— তাদেরকে অন্তত; অনুপ্রেরণাটুকু তো দিতে পারবেন!
sadicgc098 – :
almeraz0179 – :
যখন আমাদের সমাজে পর্নকে ট্যাবু বানিয়ে যুবসমাজকে অন্ধকার খাদের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছিল ঠিক তখনই পুরো সমাজব্যবস্থার বিপরীতে গিয়ে কিছু ভাই ঘুরে দাড়াবার আহ্বান করলেন। খাদের কিনারা থেকে যুবসমাজকে টেনে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে লাগলেন। এরই ধারাবাহিকতা “মুক্তো বাতাসের খোঁজে” বইটি প্রকাশিত হয়। অসংখ্য পর্ন-আসক্তকে তিনি ঘুরে দাড়াতে সাহায্য করেছেন। আসক্তের জন্য এ বইটি অত্যন্ত সহায়ক হবে। প্রতিটি অধ্যায়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ বইটির দেয়া টিপসগুলো ঠিকমতো ফলো করেন তাহলে ইনশাআল্লাহ অচিরেই এই ভয়ালগ্রাসী নামক মহামারী থেকে মুক্তি পাবেন।