মেন্যু
mukto batasher khoje

মুক্ত বাতাসের খোঁজে

রিভিউ লেখক : Nabil Zawad‎ . পর্নোগ্রাফি.... ইতস্তত বোধ করবেন না, এদিক ওদিক তাকিয়ে স্ক্রল ডাউন করে চলে যাবেন না। নিজেরই ক্ষতি করবেন। তো যা বলছিলাম, বইটা লিখা পর্নোগ্রাফি নিয়ে, পর্নাসক্তি নিয়ে।... আরো পড়ুন
পরিমাণ

230 

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

32 রিভিউ এবং রেটিং - মুক্ত বাতাসের খোঁজে

5.0
Based on 32 reviews
5 star
96%
4 star
3%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    MD.Moinuddin Chowdhury Sakib:

    পর্নোগ্রাফি,ব্লু ফিল্ম,হস্তমৈথুন এর অন্ধকার জগৎ নিয়ে বাংলা ভাষায় লিখা প্রথম বই। অনেকেই দেখেছি অনেক সময় এ কথা বলে আক্ষেপ করতে ইশ! যদি আমার পর্যাপ্ত টাকা হত তাহলে সবাইকে এই বইটি হাদিয়া দিতাম… আমার বেলায়ও ঠিক এই অনুভুতিটি কাজ করেছে এই বই পড়ার সময়। এই নীল জগৎ যে কিভাবে একজন ব্যক্তি, পরিবার,সমাজ ও জাতি ধবংস করার জন্যে যথেষ্ট তা এই বইয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্তের সাহায্যে ও অসংখ্য গবেষণা ও পরিসংখ্যানের মাধ্যমে পরিষ্কার ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পুরো বিশ্বজুড়ে পর্ন আসক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর অনিবার্য ভয়াবহ ফলাফলও আমাদের চোখের সামনে রয়েছে। বিকৃত যৌনাচার,রেইপ,মার্ডার এমনকি মানবপাচার মতো জঘন্য সব অপরাধ এর সাথে কিভাবে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত তা এই বইয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

    শুধু তাই-ই নয়, কিভাবে কুড়ে কুড়ে মেরে ফেলা এই আসক্তি থেকে আল্লাহর সাহায্য নিয়ে নিজেকে ও নিজের পরিবারের সদস্যদের ও বন্ধুদের রক্ষা করবেন তারও অত্যন্ত বাস্তবসম্মত পদ্ধতি দেখিয়ে দেয়া হয়েছে।

    উম্মাহর যুবকরা যতো বেশি এই জগতে অগ্রসর হবে ততো বেশি অন্ধকার ও অনিশ্চিত ভবিষ্যত হবে এই উম্মাহর। কারণ এর শুরুটা নিস্পাপ আগ্রহ থেকে হলেও শেষ জাহান্নামের ইন্ধন হয়ে। তাই আমাদের সকলের উচিৎ এই অন্ধকার জগৎ সম্পর্কে আমাদের সন্তান-সন্ততি ও সমাজের সকল শ্রেণীর লোকদের সাবধান করা। হাই কনফিগারেশন সেল ফোন আর হাইস্পিড ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করে দিয়ে আপনার সন্তানকে নিরাপদ ভাবার মত বোকামি করবেন না।সবাই-ই নিষ্পাপ আগ্রহ নিয়ে এই জগতে পাঁ বাড়ায়। অবশেষে, আল্লাহ লষ্ট মডেষ্টির ভাইদের উত্তম থেকে উত্তম প্রতিদান দিন করুন তাদের এই চেষ্টাকে উভয় জাহানের কামিয়াবির উসিলা হিসেবে কবুল করুন।

    বইটি মূলত দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথম।ভাগ “অনিবার্য যত ক্ষয়”। এ ভাগে আলোচিত হয়েছে পর্নোগ্রাফি ও তার ফলাফলে হস্তমৈথুন এর নানা ক্ষতিকর দিক। আর এ বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে রেফারেন্স দেয়া হয়েছে ইন্টারনেট এর বিভিন্ন লিংক থেকে শুরু করে গবেষনাধর্মী বিভিন্ন গ্রন্হের।

    .
    সবচেয়ে মজার বিষয়, যে পাশ্চাত্যে পর্নোগ্রাফি আজ ইন্ডাস্ট্রীতে পরিণত হয়ে এক মহীরূহের আকার ধারণ করেছে, সেই পাশ্চাত্যেই এর বিরুদ্ধে গবেষনা সবচেয়ে বেশী। পর্ন মুভি দেখাকে যারা ক্ষনিকের বিনোদন ভেবে সস্তির নিঃশ্বাস নেন, তাদের জন্য বইয়ের এ অংশটি হতে পারে এটম বোমা স্বরূপ।

    .
    আমাদের জীবনে আরেকটি অভিশাপ হচ্ছে হস্তমৈথুন। মৈথুন আমাদের ক্ষনিকের আনন্দ দেয়। কিন্তু ক্ষনিকের এই আনন্দ আমাদের জীবনকে যে কিভাবে অন্ধকারে ঠেলে দিতে পারে তা আসলে আমাদের কল্পনারও অতীত। আমাদের যুব সমাজ আজ কোন কিছু না ভেবেই হস্তমৈথুনের ভয়াল গর্তে গিয়ে পড়ে যাচ্ছে।

    .
    বইয়ের একটি চ্যাপ্টারে এই হস্তমৈথুনকে আতশ কাঁচের নীচে রেখে গবেষনা করা হয়েছে সম্পূর্ণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে। হস্তমৈথুন কেন ক্ষতিকর এবং এটি একজনের শারিরিক, মানসিক, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে কিভাবে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়েছে। এ অধ্যায়টি অশেষ উপকারী।

    .
    পর্নেগ্রাফি ও হস্তমৈথুন আসলে পারস্পরিক সম্পর্কিত। তাই পর্নোগ্রাফি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে এ ব্যাপারটি চলেই আসে। আমাদের সমাজে পর্নোগ্রাফি যেমন এক মহামরি, তেমনি হস্তমৈথুনও মহারারির রূপ ধারন করেছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে আমাদের সমাজে সচেতনতা তৈরীর কোন প্রচেষ্টা নেই। হস্তমৈথুনের ৫/১০ মিনিটের আনন্দ কারো জীবনে যে কি অভিশাপ ডেকে নিয়ে আসতে পারে তা আমরা চিন্তাও করতে পারি না।

    .
    “অনিবার্য যত ক্ষয়” অংশটি আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয় সেই ভয়াবহতার সাথে, যার ব্যাপারে আমরা আজ সম্পূর্ন গাফেল। আমরা যাকে উপেক্ষা করি চরম অবহেলায়, সেই ৫/১০ মিনিটের আনন্দই আমাদের জীবনে একদিন।দুঃখের কারন হয়ে দাঁড়াতে পারে। ক্ষয়।হতে হতে আমাদের জীবনকে পচনশীল করে তুলতে পারে।

    .
    দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে “বৃত্তের বাইরে”। এ অংশে মূলত পর্নোগ্রাফি ও হস্তমৈথুনের এ নারকীয় নেশা থেকে কিভাবে নিজেকে মুক্ত করা যায়, কিভাবে এ আবদ্ধ জীবনকে পেছনে ফেলে মুক্ত বাতাসের সন্ধান করা যায়, সে ব্যাপারে আলোকপাত করা হয়েছে। আমার স্হির বিশ্বাস, আমাদের অনেকেরই এ অংশটি বিশেষ উপকারে আসবে। কারণ, বাহিরে ভালো মানুষের মুখোশ পরা আমাদের অনেকেই দীর্ঘদিনের বদ অভ্যাসে আজ পর্নোগ্রাফির নেশায় নেশাতুর। কাজেই, এই অংশটি আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হবে ইনশা’আল্লাহ।

    .
    বিভিন্ন ঘটনাকে কেইস স্টাডি হিসেবে নিয়ে তার উপর ভিত্তি করে সমাধান দেবার চেষ্টা করা হয়েছে। যা বেশ অভিনব এবং উপকারী সন্দেহ নেই। পর্ণোগ্রাফির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গেলে বৈজ্ঞানিক ও ইসলামের দৃষ্টি কোন থেকে কি কি উপায় ও পন্হা অবলম্বন করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। স্বামীর পর্নাসক্তিকে স্ত্রীদের কি করণীয় তা নিয়ে স্ত্রীদের প্রতিও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নসীহা। সর্বোপরি বইটিতে সমাজের নানা স্তরের মানুষের উপর দৃষ্টি দেয়া হয়েছে। যা আমাদের জন্য অশেষ উপকারী হবে।

    মেডিকেল সাইন্স-সাইকোলজি প্রভৃতির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, কুরআন-হাদিস হতে শিক্ষা– এ বিষয়গুলো খুব সুন্দরভাবে খাপে খাপে বসেছে, সহজবোধ্য মনে হয়েছে। বইটা পড়ার সময় বিরক্তি আসেনি। এজন্য লেখকদের পাশাপাশি সম্পাদক, শারঈ সম্পাদকগণও প্রশংসার দাবী রাখেন।

    .
    বইটা যাদের পড়া প্রয়োজনঃ

    ছেলে-মেয়ে, আসক্ত-অনাসক্ত সবার পড়তে হবে। রিভিউটা শেষ করছি সুশীল সমাজের স্বাধীনচেতা পূজারিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। মুক্তমনা নামধারি যারা স্বাধীনতার নামে ছেলে মেয়েদের গাইডলাইন ছাড়াই ইন্টারনেটের জগতে ছেড়ে দিচ্ছেন, নিজের রব এর আদেশ-নিষেধকে তোয়াক্কা না করে অবাধ ফ্রি মিক্সিং, বেপর্দা চলাফেরা আর টিভির সামনে পরিবার নিয়ে বেহায়ার মত মুন্নি বদনাম বা হলিউড মুভি দেখে মনে করছেন আমার ছেলে-মেয়ে স্মার্ট হচ্ছে, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে তারা যে কিভাবে পথভ্রষ্ট হচ্ছেন আর অন্যদেরও করছেন অনেকটাই আঁচ করতে পারবেন বইটা পড়লে।

    যারা মাদকতার রাজ্যে,পর্ণগ্রাফি ও হস্থমৈথুনের মতন অন্ধকার জগতে নিমজ্জিত তাদের সহ প্রত্যক যুবক ও অভিভাবককে “মুক্ত বাতাসের খোঁজে” বইটা পড়া উচিৎ।

    5 out of 5 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    মো ইলিয়াসহোসেন:

    বই টি পড়ে নিজের সমপর্কে নতুন করে ভাবার খোরাক জুগিয়েছে। আলহামদুলিল্লা, নিজেকে সংশোধনের বা মূল্যায়নের সুযোগ পেলাম। আল্লাহ সবাই কে এই মহা বিপর্যয় থেকে সবাই কে হেফাজত করুন।
    4 out of 4 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    আবু বকর সিদ্দিক:

    বর্তমানে আমরা একটি নিষ্ঠুরতম শতাব্দী অতিক্রম করছি। চারিদিকে অন্যায়-অবিচার, খুন-ধর্ষণ, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, সুদ-ঘুষ, দূর্নীতি— ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। মানুষকে পশুতে রূপান্তরিত করবার জন্যে উঠে পড়ে লেগেছে শয়তানের চ্যালা-চামুন্ডারা। এদের দলে রয়েছে বেশ কিছু— না, আরও বেশি “মানুষরূপী শয়তান”। এরা মানুষের মুখোশ পরে থাকলেও— আসলে এরা সবচে’ জঘন্যতম শয়তান। ক্ষমতা আর টাকার জোরে এরা সর্বদাই থাকে বিচার-আচারের উর্ধ্বে। কোনো আইনই এদের হাতে হাতকড়া পরাতে পারে না।

    (আমার কথার মোড় হয়তো পাল্টে যাচ্ছে। তবুও উপরোক্ত অংশটুকু ভূমিকা হিসেবে না লিখলেই নয়।)

    বলছিলাম, আমাদের শতাব্দীর কথা। যেই শতাব্দীর কেবলমাত্র ১৯টি বছর পার হয়েছে। আর এরই মধ্যে বদলে গেছে গোটা পৃথিবী। পৃথিবীর এই বদলে যাওয়ার বাতাস লেগেছে আমাদের সমাজে। তাই সেও বদলে না গিয়ে পারেনি।

    বর্তমানে আমাদের সমাজের অবস্থা খুবই করুণ। বিনোদনের নামে যতসব অশ্লীলতা-প্রদর্শনীকে সমাজ নির্দ্বিধায় মেনে নিয়েছে। ফলে, দিনের পর দিন এসব অশ্লীলতা-প্রদর্শনীর মাত্রা ক্রমশ; বেড়েছে বৈ কমেনি। এভাবেই একসময় তা “পর্নোগ্রাফি”তে এসে পৌঁছেছে।

    আমাদের বর্তমান প্রজন্ম এখন পর্নোগ্রাফির বিষাক্ত ছোবলে নীল হয়ে আছে। কিশোর থেকে শুরু করে বয়ষ্ক— কেউই রেহাই পাচ্ছে না এর ভয়ানক ছোবল থেকে। যার ফলে, পৃথিবীতে অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে চলেছে ধর্ষণের হার। আর পতিতালয়ের কথা নাহয় বাদই দিলাম।

    একটা সময় এই “পর্নোগ্রাফি” নামক ভাইরাসটিকে খুব একটা পাত্তা দেওয়া হতো না। ফলে ধীরে ধীরে এটি একটি মহামারীর রূপ ধারণ করেছে। আর সেই মহামারীতে এখন প্রচুর পরিমাণে আক্রান্ত হচ্ছে আমাদের যুব, তরুণ ও কিশোর সমাজ। যে সময়টা ছেলেদের মাঠে খেলাধুলায় কাটানোর কথা— সে সময়টা তারা ঘরে বসে ইন্টারনেটেই কাটিয়ে দিচ্ছে। ফলে তারা শারীরিক ভাবে তো অলস হচ্ছেই— সাথে মানসিক ভাবেও প্রচণ্ড কুঁড়ে হয়ে যাচ্ছে। আর কথাতেই তো আছে, “অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা”। তাই শয়তানও তার কাজের কাজটা করে ফেলছে। অল্প বয়সেই তাদের মন-মস্তিষ্ক বিগড়ে দিচ্ছে। আর ধীরে ধীরে তাদেরকে “পর্নোগ্রাফি”র জালে আটকে ফেলছে।

    “পর্নোগ্রাফি”র জালে যারাই একবার আটকেছে— তাদের বেশিরভাগই বরবাদ হয়ে গেছে। কারণ, এর ফাঁদে যারা একবার আটকায়, তারা কেউই সহজে বেরুতে পারে না। ফলে সেখানেই আটকে থাকে আজীবন।

    আলহামদুলিল্লাহ! যুগের এই ক্রান্তিলগ্নে “লস্ট মডেস্টি” নামক একটি সংগঠন মানুষের পাশে দাঁড়াবার চেষ্টা করছে। তারা ইতোমধ্যে এ বিষয়ে একটা বই লিখেছে— যার নাম “মুক্ত বাতাসের খোঁজে”। বইটিতে তারা “পর্নোগ্রাফি”র ক্ষতিকর সব দিকগুলো তুলে ধরেছে এবং এসবের থেকে বেঁচে থাকার পথও বাতলে দিয়েছে।

    বইটি আমার কাছে দারুণ লেগেছে। বর্তমান সময়ে এ বইটি সকলেরই পড়া দরকার। হোক সে পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত কিংবা অনাসক্ত! প্রত্যেকেরই বইটি পড়া জরুরী বলে আমি মনে করি। কারণ, এ বইটি পড়ে আপনি আপনার পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত কোনো বন্ধু, সহপাঠী কিংবা কোনো আত্মীয়— সবাইকেই এর থেকে বেঁচে থাকার আহ্বান জানাতে পারবেন। তাদেরকে বোঝাতে পারবেন এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্মন্ধে। এত কিছু নাহয় বাদই দিলাম— তাদেরকে অন্তত; অনুপ্রেরণাটুকু তো দিতে পারবেন!

    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    sadicgc098:

    “নীল জগত” এ তো এক ভয়াবহ অভিসাপের নাম। যেই অভিসাপ ভেঙ্গে দিচ্ছে তিলে তিলে গড়ে তোলা একটি পরিবার, ভেঙ্গে দিচ্ছে পারস্পরিক বিশ্বাস, নষ্ট করে দিচ্ছে যুবসমাজের অন্তর। সেই অভিসাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে বাংলাদেশের এটিই একমাত্র বই। আসিফ আদনান ভাইয়ের বই মানেই বৈজ্ঞানিক যুক্তি, প্রীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কোনো কথা নেই। নীল অভিসাপের ভয়াবহ বিষ বাষ্পে আক্রান্ত প্রতিটি মানুষের জন্য এই বইয়ের প্রয়োজনীয়তা অক্সিজেনের তুলনায় কম নয়।
    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  5. 5 out of 5

    almeraz0179:

    বর্তমানে যুবসমাজের হুমকির সবচেয়ে বড় কারণ পর্ণগ্রাফী।এটি একজন মানুষকে হায়েনায় পরিণত করে। পর্ন-আসক্তরা মেয়েদেরকে শুধু ভোগের বস্তু হিসেবে দেখে।।স্ত্রীও যে একটা মানুষ, এই মানুষটাকে যে ভালোবাসা যায়,সুখ-দুঃখ শেয়ার করা যায় এটা তারা ভাবতে পারে না। পর্নোগ্রাফি তাদের এই সুস্থ চিন্তাশক্তি নষ্ট করে দেয়। তারা মনে করে যৌনতাই সবকিছু। তারা মনে করে পর্নে দেখানো যৌনতাই আদর্শ যৌনতা।

    যখন আমাদের সমাজে পর্নকে ট্যাবু বানিয়ে যুবসমাজকে অন্ধকার খাদের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছিল ঠিক তখনই পুরো সমাজব্যবস্থার বিপরীতে গিয়ে কিছু ভাই ঘুরে দাড়াবার আহ্বান করলেন। খাদের কিনারা থেকে যুবসমাজকে টেনে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চালাতে লাগলেন। এরই ধারাবাহিকতা “মুক্তো বাতাসের খোঁজে” বইটি প্রকাশিত হয়। অসংখ্য পর্ন-আসক্তকে তিনি ঘুরে দাড়াতে সাহায্য করেছেন। আসক্তের জন্য এ বইটি অত্যন্ত সহায়ক হবে। প্রতিটি অধ্যায়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ বইটির দেয়া টিপসগুলো ঠিকমতো ফলো করেন তাহলে ইনশাআল্লাহ অচিরেই এই ভয়ালগ্রাসী নামক মহামারী থেকে মুক্তি পাবেন।

    4 out of 4 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top