কুরআন বোঝার মজা
কুরআন আমাদের প্রতি আল্লাহর নাযিলকৃত প্রত্যাদেশ। এতে আমাদের জন্য রয়েছে হিদায়াত ও পথনির্দেশ। কুরআন নাযিলের অন্যতম উদ্দেশ্যই হলো বান্দা এর আয়াতগুলো নিয়ে ভাবনার সমুদ্রে ডুব দিবে। চিন্তার তলদেশ থেকে মনি-মুক্তো কুড়িয়ে আনবে। যারা নিজেদেরকে কুরআন তিলাওয়াতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে রাখে, কুরআনের আদেশ-নিষেধ-উপদেশ নিয়ে ভাবে না, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে তিরষ্কার করেছেন। কেউ যদি কুরআন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা না করে তবে বুঝতে হবে তার অন্তর তালাবদ্ধ হয়ে আছে। তার উচিত অবিলম্বে এই তালা খোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং আল্লাহর এই তিরষ্কারে পতিত হওয়া থেকে নিজেকে রক্ষা করা। কুরআন নিয়ে আমরা কিভাবে ভাববো, এই ভাবনা থেকে আমরা কী ধরনের স্বাদ আস্বাদন করতে পারব সেই বিষয়গুলোই তুলে ধরা হয়েছে ‘কুরআন বোঝার মজা’ বইটিতে। কুরআন কেন্দ্রিক বিভিন্ন ধরনের অনেকগুলো লেখার সমষ্টি এই বইটি, যা পাঠকের সামনে কুরআনের সৌন্দর্য ও শক্তি চমৎকারভাবে তুলে ধরবে ইনশাআল্লাহ।
-
-
save offবাইবেল কুরআন ও বিজ্ঞান
লেখক : ড. মরিস বুকাইলিপ্রকাশনী : দারুস সালাম বাংলাদেশ400 ৳232 ৳১৯৮১ সালের কথা। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্যান্সিসকো ...
-
hotকুরআনের মানচিত্র—Atlas of the Quran
লেখক : ড: শাওকি আবু খলিলপ্রকাশনী : মুসলিম ভিলেজ580 ৳406 ৳গ্রন্থটি একটি এটলাস গ্রন্থ। গ্রন্থটি মানচিত্র, ...
-
hotকুরআনে বর্ণিত সকল দুআ ও তার তাফসির
লেখক : মোঃ হাসিবুর রহমানপ্রকাশনী : আলোকিত প্রকাশনী365 ৳266 ৳শারঈ সম্পাদক: শাইখ আব্দুল্লাহ শাহেদ আল ...
-
hot৩০ মজলিসে কুরআনের সারনির্যাস
লেখক : মুফতি জিয়াউর রহমানপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আসলাফ460 ৳340 ৳আচ্ছা কেমন হয়, মৌলিক বিষয়বস্তুর আলোকে ...
-
hotহিফয করতে হলে
প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন150 ৳105 ৳ভাষান্তর : উস্তায আব্দুল্লাহ মাহমুদ সম্পাদনা : ...
-
save offনূরুন আলা নূর
প্রকাশনী : সীরাত পাবলিকেশন127 ৳95 ৳অনুবাদ: মহিউদ্দিন রূপম পৃষ্ঠা: ৯৫ কভার: পেপার ব্যাক ড. জাকির ...
-
save offনূরানী পদ্ধতিতে ২৭ ঘন্টায় কুরআন শিক্ষা
লেখক : প্রকৌশলী মইনুল হোসেনপ্রকাশনী : মীনা বুক হাউস400 ৳260 ৳মইনুল হোসেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ বি ...
-
save offসহিহভাবে কুরআন শিক্ষা তাজওইদ
লেখক : যাইনাব আল-গাযিপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আসলাফ165 ৳107 ৳পৃথিবীর সবচে শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হলো পবিত্র ...
-
hotতাদাব্বুরে কুরআন (কুরআন বোঝার রাজপথে আপনার প্রথম স্বপ্নযাত্রা)
লেখক : আদিল মুহাম্মাদ খলিলপ্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন707 ৳516 ৳আচ্ছা, আপনি কি কখনো কুরআনে কারিম ...
-
Montasir Mamun – :
লেখক : আবদুল্লাহ আল মাসউদ (Abdullah Al Masud)
প্রকাশনী : সমর্পণ প্রকাশন (Somorpon Prokashon)
মোট পৃষ্ঠা : ১৬০
গায়ের মূল্যঃ ২৪২ টাকা
কভার: পেপার ব্যাক
বইটি কেন পড়বেন?
**********************
আল কুরআন শুধু সওয়াবের জন্য নয়, মজা সহকারে পড়ার জন্য উৎসাহ পাবার একটি ভাল মাধ্যম এই সুন্দর বইটি। কুর আনের প্রতি আপনার ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা বেড়ে যাবে এই বই পড়লে। কিছু উপমার বর্ননা, সুন্দর ভাষারীতি ইত্যাদির কারনে আল কুরআন যে এক বিস্ময়কর কিতাব তা এই বইয়ের পাতায় পাতায় বর্নিত আছে যা মুগ্ধ করবেই।
বইয়ে যা যা আছেঃ
*******************
শুরুতেই ভূমিকায় লেখক আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করে বই সম্পর্কে দু কথা বলেছেন। এরপর বিভিন্ন অধ্যায়ে আল কুর আন সম্পর্কে নানা আকর্ষনীয় তথ্য উপস্থাপন করে আল কুর আনের প্রতি ভালোবাসা বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন পাঠকের হৃদয়ে।
আল কুরআন নিয়ে কেন ভাবা দরকার? কীভাবে ভাবলে এর প্রতি ভালোবাসা জন্মাবে এগুলো তিনি খুব সুন্দর, সাবলীল ভাবে ব্যাখ্যা, বিশ্লেষন করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যা সাধারন বা জেনারেল লাইনে পড়া পাঠকরাও ভালভাবে বুঝতে পারবে। আল কুর আন যে কত সুন্দর শৈল্পিক দৃষ্টান্ত দেয়, অর্থ ভালোভাবে না বুঝলে যে কত কিছু মিস হয়ে যায় তা তিনি অনেক উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
বিভিন্ন আয়াতকে তিনি জীবনের সাথে মিলিয়েছেন, শিক্ষা বর্ননা করেছেন বাস্তবতার আলোকে, এই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে। মনে হয়েছে আল কুরআন আমাদের কত আপন। আমাদের হৃদয়ের সাথে মিশে আছে!নানা ঘটনার সাথে আয়াতের যোগসূত্র মিলিয়ে তিনি করেছেন এক সুন্দর উপস্থাপনা যার মাধ্যমে প্রমানিত হয়েছে আল কুরআন আসলেই অনন্য।
উপলব্ধিঃ
***********
জীবনের চলার পথের নানা ঘটনার সাথে আল কুরআ নের আয়াতগুলোর প্রাসঙ্গিকতা তিনি এত সুন্দরভাবে বর্ননা করেছেন যেন মনে হয়েছে আল কুরআন এই মাত্র আমার জন্যই মনে হয় নাযিল হলো।উপলব্ধি করেছি আসলেই আরবী শেখা দরকার। আল কুরয়ানের মুল মজা পেতে হলে এঁকে অবশ্যই বোঝা দরকার।
রেটিং ৯/১০
muslimahislamrh – :
সবচেয়ে ভালো লেগেছে জাভেদ কায়সার ভাইয়ের কথা দেখে। আলহামদুলিল্লাহ ওনার ফেসবুকের লেখার ধরনের কারণে নিজের মধ্যে অনেক পরিবর্তন করতে পেরেছি।
“এখন আমি বদলে গেছি”, “যাচ্ছ কোথায় তোমরা”, “বিপদের কলকব্জা” এর প্রতিটি কথা যেন আমাদের প্রতিটি মানুষের বাস্তব জীবনের কথা।
“আমাদের কেউই নিরাপদ নই”, ” সুন্দর মৃত্যুর প্রস্তুতি”, “শরীয়তের মেজায”, “রিযকের উৎস ” এর অনেক অংশই পেজমার্ক করে রেখেছি নিজের জন্য রিমাইন্ডার হিসেবে।
আলহামদুলিল্লাহ আমার মনে আসা কিছু প্রশ্নের উত্তরও পেয়েছি এই বই মারফত। বিশেষ করে “কুরআন কেন আরবি ভাষায় নাযিল হল?”, “আরবি ছাড়া কি কুরআন পরিপূর্ণরুপে হৃদয়ংগম করা সম্ভব?” এই প্রশ্নগুলোর সদুত্তর পেয়েছি। অনেক তথ্যবহুল ছিল “ইতিহাস ও বাস্তবতার দর্পণে কুরআনের চ্যালেঞ্জ”। এই অংশের প্রশ্নটা আমাদের অনেকেরই।
আর শেষে সূরা কাহফের শেষ অংশের শিক্ষণীয় দিকগুলো অসাধারণভাবে নতুন করে কুরআন নিয়ে চিন্তা করার খোরাক জুগিয়েছে।
তবে এই বই একবার পড়ে রেখে দেয়ার মতো মনে হয়নি। আরো অনেকবার পড়া হবে ইনশা আল্লাহ।
SUMMA JAHAN – :
বই:কুরআন বোঝার মজা
লেখক : আবদুল্লাহ আল মাসউদ
প্রকাশনী : সমর্পণ প্রকাশন
বিষয় : কুরআন বিষয়ক আলোচনা
মোট পৃষ্ঠা : ১৬০
কভার: পেপার ব্যাক
মূল্য:২৪২ টাকা-৩১%ছাড়=১৬৮ টাকা
কুরআন আমাদের প্রতি আল্লাহর নাযিলকৃত প্রত্যাদেশ। কোরআন নাজিল এর উদ্দেশ্য হলো বান্দা এর আয়াত গুলো নিয়ে ভাবনা -চিন্তা করবে এবং কোরআন এর বিধিনিষেধ অনুযায়ী আমল করবে। কোরআন হল বান্দার জীবন যাপনের নির্দেশাবলি। এতে আমাদের জন্য রয়েছে হিদায়াত ও পথনির্দেশ। যারা নিজেদেরকে কুরআন তিলাওয়াতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ করে রাখে, কুরআনের আদেশ-নিষেধ-উপদেশ নিয়ে ভাবে না, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে তিরষ্কার করেছেন। কেউ যদি কুরআন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা না করে তবে বুঝতে হবে তার অন্তর তালাবদ্ধ হয়ে আছে।
আমাদের মাতৃভাষা আরবী না। আরবী ভাষার অর্থ আমরা বুঝি না।পবিত্র কোরআন আল্লাহ তায়ালা আরবী ভাষায় নাজিল করেছেন। কোরআন এর যে ভাষা তাহলো অতি উচ্চ মানের আরবী ভাষা। সাধারণ মানুষ কোরআন নিয়ে তাদাব্বুর(চিন্তা-ভাবনা) না করলে, কোরআন এর ভাষার অর্থ বোঝা সম্ভব না।আর নন-আরবদের জন্য তো ব্যাপারটা আরো কঠিন।
সব মুসলিমই কোরআন তেলাওয়াত করতে পারি, আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু শুধু পড়েই যাই,এর অর্থ কিছুই বুঝতে পারি না।যার কারণে কোরআন এর বাণী আমাদের অন্তরে বেঁধে না, আমাদের ভাবায় না, আমরা কোরআন এর আদর্শে জীবন গড়তে পারি না, কারণ আমরা বুঝিই না।
একবার ভাবুন তো, আরবের মানুষেরা কোরআন তেলাওয়াত শুনেই ইসলাম গ্রহণ করেছে, কারণ তারা অর্থ বুঝত। তাহলে কি আছে এই গ্রন্থে?কি এর মর্ম বাণী। আমাদের কি সেই অমিয় বাণী বুঝতে ইচ্ছে করে না?
নামাজ আমরা ঠিকই আদায় করি, কিন্তু চোখে পানি আসে না, আল্লাহ তায়ালার স্বরণ হয় না,মন ঘুরে আসে দুনিয়ার সব প্রান্ত থেকে, কারণ আমরা কোনো সূরার অর্থ বুঝি না। মুখস্থ পড়ে যাই।
আমাদের উচিত কোরআন এর বেশি বেশি তাফসীর পড়া। সাথে সাথে আরবী ভাষা শেখা।যাতে অন্তর দিয়ে কোরআন বুঝতে পারি।
এই বইটি পড়লে বুঝতে পারবেন কোরআন কিভাবে পড়লে অর্থ বুঝতে পারবো, অন্তরে অনুভব করব “”কোরআন বোঝার মজা””।
কুরআন নিয়ে আমরা কিভাবে ভাববো, এই ভাবনা থেকে আমরা কী ধরনের স্বাদ আস্বাদন করতে পারব সেই বিষয়গুলোই তুলে ধরা হয়েছে ‘কুরআন বোঝার মজা’ বইটিতে।
রাহনুমা সিদ্দীকা – :
কোরআন। একটি শব্দ যার মধ্যে লুকিয়ে আছে মুক্তির পরশ পাথর। যে পরশ পাথর আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ সা এর উপর দয়াময় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লার এক অপরিসীম দয়ার দান। আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ সা এই পরশ পাথরের ছোঁয়ায় মাটির পৃথিবীতে জান্নাতি সমাজ গড়েছেন। যে কোরআন দিয়ে নবীজি সা মাটির পৃথিবী নূরের আলোয় আলোকিত করেছেন সে কোরআন নিয়ে তাদ্দাবুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কোরআন তো অনেকেই তেলাওয়াত করে কিন্তু আগের সেই নূরানী সমাজ কেন এখন পাওয়া যায় না তার সঠিক কারন জানা জরুরি। আর এই জরুরত নিয়ে বই তেমন একটা চোখে পড়ে না।কোরআন নামক আলোয় অন্ধকার কলব কেন বর্তমানে তেমন করে আলোকিত হচ্ছে না এ বিষয়ে বই আমাদের বাংলা ভাষায় খুব বেশি প্রচলিত নেই। লেখকের রচিত “কুরআন বোঝার মজা” বইটি এদিক থেকে এক দৃষ্টান্ত স্থানীয় ব্যতিক্রম। এই বইটিতে লেখক কুরআন কিভাবে জীবনের পথ আলোকিত করে জীবনকে আল্লাহর সাথে জুড়ে দেয় তা অত্যন্ত সুনিপুণরূপে চিত্রায়ণ করেছেন। তুলে ধরেছেন বিপর্যস্ত জীবনের করুণ চাহনিতে কোরআন রহমতের বারিধারায় সিক্ত হওয়ার উপায়।
লেখক পরিচিতিঃ
বইটির লেখক আবদুল্লাহ আল মাসউদ এর জন্ম নোয়াখালী জেলায়। কোরআন নিয়ে তাদ্দাবুর ও তাফাক্কুরের উপর তাঁর অনেক সুখ্যাতি রয়েছে। এর আগে তাঁর আরো দুইটি মৌলিক বই প্রকাশিত হয়েছে। একটা ”নাস্তিকতার স্বরূপ সন্ধানে” আরেকটা ”অসংগতি”।
উৎসর্গঃ
লেখক বইটি ” নূরুল কোরআন ” নামক প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়াকফ করেছেন। এর থেকে প্রাপ্ত রয়েলিটির মাধ্যমে কোরআনের আলো সমাজের বুকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য লেখক কাজ আন্জাম দেবার পরিকল্পনা করেছেন।
সার সংক্ষেপঃ
লেখক তাঁর পুরো বইটিকে ছোট ছোট কয়েকটি অধ্যায়ে ভাগ করে আলোচনা করেছেন। সেগুলো হলোঃ
১. কুরআন বোঝার মজা
২. কুরআন নিয়ে ভাবনাঃ কী কেন কীভাবে
৩. এখন আমি বদলে গেছি
৪. কুরআন কাদের জন্য হিদায়াত
৫. কুরআনঃ না বলেও কত কথা বলে
৬. কুরআন কেন আরবি ভাষায় নাযিল হল
৭. আরবি ছাড়া কি কুরআন পরিপূর্ণরূপে হৃদয়ঙ্গম করা সম্ভব
৮. আশা ও আকাঙ্খার দোলাচলে
৯. বিয়ে করতে কী লাগে
১০. আমরা কেউই নিরাপদ নই
১১. সুন্দর মৃত্যুর প্রস্তুতি
১২. যাচ্ছ কোথায় তোমরা
১৩. আসমানি হাদিয়া
১৪. শরীয়তের মেজায
১৫. বিপদের কলকব্জা
১৬. সরল হিসাব
১৭. আপন যখন পর
১৮. দরহমের মরহম
১৯. রিযকের উৎস
২০. ইতিহাস ও বাস্তবতার দর্পণে কুরআনের চ্যালেন্জ
২১. টুকরো টুকরো তাদ্দাবুর
২২. একটি ঘটনা ও কয়েকটি শিক্ষা।
প্রতিটি অধ্যায়ই যেন বিস্ময়তার চাদরে মোড়ানো। প্রিয় পাঠক, চলুন দেখে আসি বিস্ময়তার রূপগুলো।
১. কুরআন বোঝার মজা
প্রেমপাত্র একটা চিঠি পাঠিয়েছে। কিন্তু সে চিঠির ভাষা পড়তে পারলেও বুঝতে পারিনা। চিঠিতে সে আমাকে কি লিখেছে তা আমি বুঝতে যদি নাই পারি তাহলে সে চিঠি প্রেরণকারীর মর্যাদা কিভাবে রক্ষা হয়। আর সে চিঠিতে যদি কোন নির্দেশনা থাকে তাহলে না বুঝলে তা কিভাবে পালন করা সম্ভব। তখন তাকে কিভাবেই বা প্রেমপাত্র বলব।চিঠির ভাষা কেন বোঝা দরকার তা এখানে লেখক অতীব যত্নের সাথে বুঝিয়েছেন। জ্ঞান- বুদ্ধি হীন একজন মানুষ সূরাতুল ফাতিহার মাধ্যমে কুরআন নামক শহরে প্রবেশের পর পুরো শহর ঘুরে কিভাবে একজন জ্ঞানসম্পন্ন মানুষে পরিণত হয়ে সূরাতুন নাসের মাধ্যমে শহরের শেষ ফটকে হাজির হয় তার চিত্র এখানে অংকিত হয়েছে।
২. কুরআন নিয়ে ভাবনাঃ কী কেন কীভাবে
মন তো কখনো স্থির থাকে না। সবসময়ই কিছু না কিছু ভাবে। কিন্তু এসব ভাবনার বিনিময়ে যদি সওয়াব পাওয়া যায়, অন্তর আলোকিত হয়; তাহলে সেই ভাবনাটাই কি শ্রেয় নয়? ভাবনার জগত কে কীভাবে মূল্যবান করা যায় তা এ অধ্যায়ের আলোচনায় দেখতে পাওয়া যায়।
আচ্ছা! মনে চাইলো, কুরআন নিয়ে ভাবতে বসে গেলাম। আকাশ কুসুম চিন্তা করে ফেললাম।এটাতো তাদ্দাবুর হলো না। সবকিছুর জন্যই সুনির্দিষ্ট নিয়মাবলী আছে। তাহলে কুরআনের তাদ্দাবুরের কেন কোন নিয়ম কানুন থাকবে না।তাদ্দাবুর করতে হলেও কিছু নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সীমানা দিয়ে যেতে হয়। আর এই নিয়মাবলিগুলোই এ অধ্যায়ের আলোচ্য বিষয়।
৩. এখন আমি বদলে গেছি
মানুষের ভেতরে আরেকজনেরও বসবাস আছে।যে মানুষকে প্ররোচনা দেয় ওমুকের কত বড় বাড়ি, কত সুন্দর গাড়ি। তোমার নাই। ইস, তোমার যদি থাকত! হ্যাঁ, এই প্ররোচনা দানকারীর সাথে সংগ্রামে বিজয় তোমারই হবে। কিন্তু কিভাবে হবে? সেটাই লেখক এখানে অত্যন্ত সুচারুভাবে চিত্রিত করেছেন।
৪. কুরআন কাদের জন্য হিদায়াত
একজন মুশরিক বা কাফের বা মুমিন রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে। হঠাৎ সে রাস্তার বিপরীত দিকে একটা ডায়মন্ডের টুকরো দেখতে পেলো। এখন, এই ডায়মন্ড থেকে উপকার পেতে হলে কি ঐ মুশরিক বা মুমিন ব্যক্তি ডায়মন্ডের কাছে যাবে না ডায়মন্ড নিজে তার কাছে আসবে। নিশ্চয়ই ডায়মন্ডের কাছে তাকে যেতে হবে। তেমনি কুরআন থেকে হেদায়েত পেতে হলে কুরআনের কাছেই পাঠককে যেতে হবে। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই বক্রতা পরিহার করে সাদা মনে যেতে হবে। কেননা, কুরআনই কারো জন্য হেদায়েত আবার কারো জন্য গোমরাহির কারন। প্রিয় পাঠক, আপনি কিভাবে সাদা মন নিয়ে কুরআন কাছে এসে হেদায়েত নামক রত্নের দেখা পাবেন ড. মরিস বুকাইলির মতো তা এখানে দেখতে পাবেন।
৫. কুরআনঃ না বলেও কত কথা বলে
একরূপে বিমোহিত পাঠক যখন ঐ রূপের মধ্যেই নিগূঢ়তম আরো একটি রূপের সন্ধান পাবে তখন পাঠকের বিমোহিতের মাত্রাটা কেমন হবে তা বোদ্ধা পাঠক চাইলে এই অধ্যায়ের আলোচনা কে সামনে রেখে মাপতে পারেন।
৬. কুরআন কেন আরবি ভাষায় নাযিল হল
শরৎচন্দ্র তার “শ্রীকান্ত” বইয়ে লিখেছেন — “মানুষের অত্যন্ত ব্যথ্যার অনুভূতি প্রকাশ করিবার ভাষা বোধ হয় আজিও আবিষ্কৃত হয় নি।”
আমি যখন আরবী ভাষা শিখি তখন শুধু মনে হতো ওহে শরৎ বাবু তুমি কেন আরবি ভাষার সাথে সখ্যতা গড়লে না। তাহলে তোমার মনের ব্যাথ্যা প্রকাশের জন্য ভাষা খোঁজার আফসোস হতো না।
হ্যাঁ, আরবি ভাষা যে কতটা সমৃদ্ধ, কতটা ব্যক্তিত্বপূর্ণ, কতটা গাম্ভীর্যপূর্ন, কতটা আত্নমর্যাদাশীল তা আরবি ভাষা শেখা ছাড়া বোঝা সম্ভব নয়। তাঁর কিছুটা প্রাথমিক ধারণা এ অধ্যায়ের গর্ভে লিপিবদ্ধ হয়েছে।
৭. আরবি ছাড়া কি কুরআন পরিপূর্ণরূপে হৃদয়ঙ্গম করা সম্ভব
আপনাকে যদি বলি একটা সাপের কথা। তাহলে আপনি প্রশ্ন করবেন, সাপটি কি বড় না ছোট? সাপটি কি ভয়ংকর না ভয়ংকর না? কতগুলো জিজ্ঞাসা আপনার মনে। কিন্তু আরবীতে যদি বলা হয় “হায়াতুন”– তাহলে আপনি বুঝে যাবেন সাপটি জাস্ট শুধু সাপ ভয়ংকর নয়। কিন্তু যদি বলি “সু’বানুন”– তাহলে আপনি বুঝে যাবেন সাপটি বিশালাকৃতির এবং ভয়ংকরও বটে। এমনি ভাবেই বোদ্ধা পাঠককে লেখক এখানে পষ্ট করে দিয়েছেন কেন আরবি ছাড়া অনুবাদের সাহায্যে কোরআন পরিপূর্ণ হৃদয়ঙ্গম সম্ভব নয়।
৮. আশা ও আকাঙ্খার দোলাচলে
আমি একটা ভালো কাজ করলাম। হৃদয়ে একটু আশার সঞ্চার ঘটলো আল্লাহ আমাকে প্রতিদান দিবেন। কিন্তু হৃদয় নামক দাঁড়িপাল্লার অপর প্রান্ত তো আতংকিত। যদি আমার এই কাজটা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য না হয়। এমনি দোলাচলের মাঝে আল্লাহর ন্যায়বিচার কেমন হবে তা এখানে আলোচিত হয়েছে।
৯. বিয়ে করতে কী লাগে
দুনিয়ার সব খাবার খাওয়ার জন্য শুধু একজনই দায়ী। সে হলো যাওজ। এই বিষাক্ত ধারণাটি সমাজের মগজে একেবারে বদ্ধমূল হয়ে গেছে। আর এই বদ্ধমূল গলদ ধারনাটিকে কোরআনের চোখে দেখার জন্য লেখক এখানে কোরআনি লেন্স বসিয়েছেন।
১০. আমরা কেউই নিরাপদ নই
আমি নামায পড়ি, রোযা রাখি, কুরআনকে ভালবাসি। কিন্তু এই ভালবাসাকে সম্বল বানিয়ে ঈমান নিয়ে কবরে যেতে পারব এমন গ্যারান্টি কি আমি দিতে পারবো? হৃদয় তো সতত পরিবর্তনশীল। অনেক বড় বড় আলিম পর্যন্ত ঈমান নিয়ে কবরে যেতে পারেননি। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে — শেষ ভালো যার সব ভালো তার।এই শেষটা যেন ভালো হয় তার জন্য কি উপায় অবলম্বন করা যায় তা এখানে বাতলে দিয়েছেন।
১১. সুন্দর মৃত্যুর প্রস্তুতি
জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য যে জিনিস যার মাধ্যমে এই দুনিয়ার পর্দা নেমে যাবে। আর উন্মোচন হবে সেই বারযাখের পর্দা। সেই অনাঙ্কাখিত মৃত্যুর জন্যও যে প্রস্তুতির প্রয়োজন; যেন দুনিয়ার পর্দা নামার পর পরের জীবনে আলো পাওয়া যায়। সেই প্রস্তুতির মাল- সামনার দেখা এখানে পাওয়া যাবে।
১২. যাচ্ছ কোথায় তোমরা
আমরা রুহের জীবন থেকে দুনিয়ার জীবনে এসেছি, পরকালের জীবনে আবার চলে যাব। এটা আমরা মুসলমানরা সবাই জানি। কিন্তু তা স্বত্বেও আমরা দুনিয়ার জীবনের চাকচিক্যে মুগ্ধ হয়ে পরকালীন জীবনের কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছি। লেখক এখানে কোরআনের সেই সাবধানতা যেন দরদমাখা বিগলিত হৃদয় নিয়ে পাঠককে বোঝাচ্ছেন যে যাওয়ার কথা কোথায়, আর যাচ্ছ কোথায়!
১৩. আসমানি হাদিয়া
কুরআনের তাদ্দাবুর কিভাবে হৃদয় নামক ঊষর ভূমিকে উর্বর করে শস্য- শ্যামলিমায় ভরে তোলে লেখক তার কলমের আঁচড়ে তা এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন।
১৪. শরীয়তের মেজায
কুরআনের অনন্য এক স্বকীয়তা হলো তাঁর রয়েছে নিজস্ব মেজায। সে কারো মেজাযে চলে না। এজন্য কুরআনকে বুঝতে হলে তাঁর নিজস্ব মেজাযেই বুঝতে হবে। ব্যক্তির নিজের মেজাযে বুঝলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর কুরআনের এই মেজাযটাকে লেখক অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত উপায়ে এখানে উপস্থাপন করেছেন।
১৫. বিপদের কলকব্জা
বিপদ আর মানব জীবন একে অপরের পরিপূরক। চাইলেও বিপদকে এড়ানো যায় না। কিন্তু এই বিপদটাকে লাভজনক ব্যবসায়ে কিভাবে পরিণত করা যায় তার কুরআনি দীক্ষা লেখক বিবৃত করেছেন নিজস্ব ঘটনাবলী দিয়ে।
১৬. সরল হিসাব
মাদার তেরেসা কেন জান্নাতে যাবে না তা পাঠককে অনুধাবনের জন্য লেখকের কুরআনি গবেষণা পাঠকের চোখ কচলিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে।
১৭. আপন যখন পর
কেয়ামতের ময়দানে কেউ আপন হবে না। এমনকি সাধের দেহ- হাত- পা- চামড়া এগুলোও না। এ অধ্যায়টি পড়তে যেয়ে অজান্তেই লোনাজল কপোল ছুঁতে পারে। আর সর্তকতা তৈরী হবে শরীরের অন্যান্য পার্টকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে।
১৮. দরহমের মরহম
আরাম আয়েশ আর ইলম অর্জন এই দুইটার সহাবস্থান অসম্ভব। তবে হ্যাঁ, যারা কুরআনকেই বানাতে পারে জীবনের আরাম-আয়েশ তাদের কাছেই পাওয়া যাবে উত্তম মরহম। সেই মরহম কিভাবে দরহমে লাগিয়ে উপকৃত হওয়া যায় সে পথের সন্ধান এখানে উপস্থাপিত হয়েছে।
১৯. রিযকের উৎস
রিযিকের পেরেশানিতেই মানুষের যত অস্থিরতা। কিন্তু মহান আল্লাহ যে এই পেরেশানি থেকে দূরে থাকার পথ বাতলে দিয়েছেন তা অনেকেই জানলেও মানার ক্ষেত্রে তেমন আড়ম্বরতা দেখা যায় না। আবার আল্লাহর কাছে চাওয়ার ক্ষেত্রেও কিভাবে চাইব এ বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই রিযিক চাওয়া ও পাওয়ার পদ্ধতির সাথে লেখক এখানে সাবলীলভাবে পরিচয় করে দিয়েছেন।
২০. ইতিহাস ও বাস্তবতার দর্পণে কুরআনের চ্যালেন্জ
বইটির এখানে এসে পাঠকের বইয়ের মাঝের সাবলীল চলাটা হঠাৎ থমকে যাবে। বিদ্যা, বুদ্ধি ও জ্ঞানের ধারালো তরবারি দিয়ে মনুষ্য প্রজাতি পৃথিবীর সবকিছু এফোড় ওফোড় করে দিচ্ছে।আর সেই মনুষ্য প্রজাতি কি না কুরআনের মতো কিছু রচনা করতে পারবে না। চ্যালেন্জ দিয়েছেন খোদ আল্লাহ তাআ’লাই। মনুষ্য প্রজাতির তো উচিত ছিল আগেই বিনত মস্তকে আল্লাহর দরবারে অপারগতা স্বীকার করে লুটিয়ে পড়া। কেননা চ্যালেন্জদাতা যে মহান আল্লাহ তাআ’লা যিনি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সুনিপুণ রূপে সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু তবুও মানুষ সেই চ্যালেন্জ সাদরে গ্রহণ করেছে।ফলাফলের বিশদ ঘনঘটার যে চিত্র লেখক এখানে তুলে ধরেছেন তা পড়লে পাঠক সহসাই তার অবস্থান বুঝতে পারবেন। কি দূর্বল চিত্ত দিয়ে কত বড় হেকমতের চ্যালেন্জ সে গ্রহণ করেছিল, করেছে, করছে হয়তবো ভবিষ্যতেও করবে।
২১. টুকরো টুকরো তাদ্দাবুর
লেখক এখানে কুরআনের কিছু আয়াতের মাঝে লুকায়িত মনিমুক্তার সাথে পাঠকের চিন্তার পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।
২২. একটি ঘটনা ও কয়েকটি শিক্ষা
কুরআনে বর্ণিত ঘটনাগুলো এমনে এমনেই বর্ণনা করা হয়নি। এর থেকে যেন মানুষ শিক্ষা নিতে পারে এটাও একটা উদ্দেশ্য। তেমনি কুরআনের সূরাতুল কাহাফে বর্ণিত মূসা আ ও খিজির আ এর ঘটনার মাঝে কি অমূল্য শিক্ষা রয়েছে তা এখানে লেখক একে একে বর্ণনা করেছেন। যে শিক্ষা মানুষকে নবরূপে জন্ম দিবে।
পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ
আলোচ্য গ্রন্থটির অনেকগুলো সৌন্দর্যের মধ্যে একটা হচ্ছে মানবজীবনের সবকিছুর জন্য যে কুরআনেই চোখ বুলাতে হবে এবং তা থেকেই আলো নিয়ে জীবনকে আলোকিত করতে হবে, তবে জীবনের কোন প্রয়োজনে কখন-কোথায়-কিভাবে – কতটুকু কোরআন থেকে নিয়ে জীবনের আলো জ্বালাব তা অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে তুলে ধরেছেন। লেখক অত্যন্ত মনোযোগের সাথে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন কুরআনের সাথে যে ধরনের যোগসূত্র স্থাপন করা প্রয়োজন সেদিকটাতে পাঠকের বন্ধ চিন্তার জগত উন্মোচন করে আলোড়ন সৃষ্টি করতে। এদতস্বত্বেও বইটির যিনি প্রুফশীট দেখেছেন তিনি আর একটু মনোযোগী হলে বানান ভুলের বিষয়গুলো চোখে দৃষ্টিকটু হয়ে বিঁধতো না। এর মাঝেও কিছু কিছু লাইনে খুব সামান্য কিছু শব্দের অবস্থান থাকলে লাইনগুলো আরো বেশি মানানসই ও শক্তিশালী ও অর্থে সমৃদ্ধ হতো।
আত্মচিন্তাঃ
বইটি আমাকে ভাবনার গহব্বরে নিয়ে গেছে। শুধু একটা কথাই বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে কেন সাহাবীদের রা একটা সূরা পড়তে বছর লেগে যেত।কেনো মুশরিক কাফেররাও গোপনে কুরআন শুনতো, কেন উমর রা এর জীবন একটা আয়াতের প্রভাবে পাল্টে গেল। কিন্তু আমিও তো কুরআন পড়ি, তাহলে আমার জীবন কেন বদলায় না।পরিশেষে বুঝলাম কুরআন পড়ি কন্ঠ দিয়ে তাই এ অবস্থা। কুরআন তো পড়ার সময় আগে হৃদয় যাবে তারপর না কন্ঠ যাবে। আমার বিশ্বাস আমার ক্ষেত্রে যা হয়েছে অন্যদের ক্ষেত্রেও তাই হবে। বইটি যে পড়বে সে কুরআনকে হৃদয়ে ধারনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে।
বৈশিষ্ট্যঃ
কিছু বই আলো ছড়ায়, জ্ঞানের আলো। কিছু বই অতীতের ইতিহাস জানায় আর কিছু বই মাুনষকে তার আসল পথের সন্ধান দিয়ে জীবন নদীর গতিপথ পাল্টে দেয়। এই বইটি তেমনি কুরআনের আলোকে সঠিকভাবে ব্যবহার করে জীবন প্রদীপ জ্বালিয়ে জীবন নদীকে সঠিক পথে চালোনোর জন্য অনন্য একটা বই।
ব্যক্তিগত মতামতঃ
সর্বোপরি বইটি কুরআনের সাথে সঠিক উপায়ে যোগসূত্র স্থাপনের জন্য অসাধারণ একটা বই।বইটির পাতায় পাতায় কুরআনের মনি-মুক্তা গুলো যেন খেলছে। বইটির প্রচ্ছদ থেকে শুরু করে অঙ্গসজ্জা ও পৃষ্ঠার আভিজাত্য সবই দৃষ্টিনন্দনীয়।ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, প্রত্যেকের সংগ্রহে বইটি থাকা উচিত। যাতে করে নিজে, নিজের পরিবার পরিজন এমনকি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কুরআনের সাথে সঠিক উপায়ে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে জীবনকে কুরআনি রঙে রাঙাতে পারে; যেন শুধু কণ্ঠ নয় হৃদয়ও তারতীলের সাথে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারে। আর হৃদয় যখন কুরআন তাদ্দাবুর করবে কেবল তখনই বিনির্মাণ হবে কুরআনি সমাজ।
sjcomputer2017 – :