কাসাসুল হাদিস (রাসুল ﷺ বর্ণিত শ্রেষ্ঠ কাহিনী)
ভাষান্তরঃ মুফতি আবুল ওয়াফা শামসুদ্দিন অাযহারী
(দাওরায়ে হাদিস ও তাখাসসুস ফিল ফিকহ (ইফতা)
জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ,ঢাকা১২০৪।
অনার্স, ইসলামিক ল্য,আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়,কায়রো,মিশর।)
সম্পাদক: মুফতি খালিদ সাইফুল্লাহ কাসেমি
(ফাযেলে দারুল উলুম দেওবন্দ,ভারত।)
পৃষ্ঠা ৪৫০
হার্ডকভার
৮০মি কালার কগজ
কাসাস। গল্প শুধু গল্প নয়। হৃদয় গলে, জীবন গড়ে এবং পথ দেখায় আনন্দের অফুরন্ত হায়াতের দিকে। এটি-ই সত্যিকারের কাসাস-গল্প। আর এই গল্প যদি হয় সহিহ হাদিসের শব্দে, বহুল নির্বাচিত ও বিশ্বনবি হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুখ-নিঃসৃত তাহলে পাঠক মাত্রই উপকৃত হবেন -এটি একেবারে সোজা কথায় বলা যায়।পৃথিবীর সূচনা থেকে মানুষ গল্প-কাহিনি বলতে ও শুনতে ভালবাসে। এর প্রধান কারণ হল, গল্প থেকে সহজে উপদেশ গ্রহণ ও বাস্তব জীবনে তা সহজে প্রয়োগ করা যায় । তাই প্রত্যেক জাতি, ধর্ম, সমাজ ও ইতিহাস-ঐতিহ্যকে নির্ভর করে নানা গল্প-কাহিনি সৃষ্টি হয়েছে। রোমান, পারসিক, হিন্দি ও আরবিসহ নানা সভ্যতার গল্পের সমৃদ্ধ বই রয়েছে। তেমনি ইসলামি সভ্যতার মাঝে রয়েছে গল্প-কাহিনির সম্ভার। এগুলো ব্যক্তি গঠনে, সমাজ বিনির্মাণে ও রাষ্ট্র গঠনে এবং পরিচালনায় বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল কালের আবর্তনে ও বিভ্রান্তির বেড়াজালে সেই গল্প-কাহিনি আজ কোন দিক-দর্শন দেয় না, বরং অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়। কুসংস্কারের পাহাড় তৈরি করে, সত্যকে আড়াল করে এবং প্রকৃত আকিদা-বিশ্বাসে ভ্রান্তির প্রলেপ দেয়। রেফারেন্সহীন অসংখ্য বানোয়াট কেস্সা-কাহিনি এখন ওয়াজ-মাহফিল ও জুমার খুৎবায় সরব রয়েছে।মুসলিম সমাজের সমাজিক প্রেক্ষপটে ও বাংলা ভাষাভাষিদের জন্য বিশুদ্ধু হাদিসের বর্ণনায়, কাহিনি থেকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা-শিষ্টাচার সংগ্রহ করে এবং প্রয়োজনীয় যথাযথ বিশ্লেষণ করে একটি গল্প-কাহিনির নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ ইসলামি পাঠাগারে সংযোজন করা খুবই জরুরি ছিল। এমন পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে “কাসাসুল হাদিস” গ্রন্থটি একটি সংস্কারমূলক ভূমিকা পালন করবে।বিশেষ করে দ্বিনের দাঈ, ওয়ায়েজ-বক্তা ও ইমাম-খতিবগণের ইসলামি আদর্শ প্রচারে বইটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করি।
Out of stock
-
-
hotকুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন330 ৳231 ৳এককথায়— কুরআন কীভাবে আমাদের জীবনের কথা ...
-
hotজীবন যেখানে যেমন
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন275 ৳192 ৳আরিফ আজাদের নতুন বই 'জীবন যেখানে ...
-
hotরাসূলের চোখে দুনিয়া (কিতাবুয যুহদ) (হার্ড কভার)
লেখক : ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ)প্রকাশনী : মাকতাবাতুল বায়ান275 ৳201 ৳দুনিয়া এক রহস্যঘেরা জায়গা। এখানে মানুষ ...
-
hotআস-সুন্নাহ প্যাকেজ (৩টি বই একত্রে)
প্রকাশনী : আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স1,290 ৳903 ৳উস্তাদ মুহাম্মাদ হুবলস বলেন, "আমরা রসূল ...
-
save offকুরআন-সুন্নাহর আলোকে পোশাক, পর্দা ও দেহ-সজ্জা
প্রকাশনী : আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স360 ৳252 ৳পৃষ্ঠা: ৩৬৮ কভার: হার্ড কভার 'সতর' এর সংজ্ঞা ...
-
hotগল্পগুলো অন্যরকম
লেখক : সিহিন্তা শরীফা, আনিকা তুবা, আফিফা আবেদিন সাওদা, আরমান ইবন সোলাইমান, আরিফ আজাদ, আরিফ আবদাল চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম, আলী আবদুল্লাহ, জাকারিয়া মাসুদ, নুসরাত জাহান, মাহমুদুর রহমান, যাইনাব আল-গাযি, শারিন সফি, শিহাব আহমেদ তুহিন, শেখ আসিফ, সাদিয়া হোসাইন, সানজিদা সিদ্দীক কথাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন350 ৳245 ৳জীবনের কাছে মাঝে মাঝে গল্পও তুচ্ছ ...
-
hotআল-আদাবুল মুফরাদ (দুই খণ্ড)
প্রকাশনী : পথিক প্রকাশন1,150 ৳575 ৳তাহকিক: শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানি রহ. ও শাইখ শুআইব ...
-
hotহাদীসের নামে জালিয়াতি
প্রকাশনী : আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স540 ৳378 ৳কুরআন কারীমের পরে রাসূলুলাহ (সাঃ)-এর হাদীস ...
-
Tasnim Tarannum – :
গল্প কি কেবলই গল্প হয়? যদি তাতে ফুটে উঠে এক উত্তম জীবনের চিত্র, বাস্তবতা ও শিক্ষা তবে তাইতো আমাদের পৌঁছে দিতে পারে সফলতার দ্বারপ্রান্তে। তেমনই অনবদ্য কিছু গল্পের সংকলন ‘কাসাসুল হাদিস’। ‘কাসাস’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ ধারাবাহিকভাবে ঘটনা বর্ণনা করা। আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ) বিভিন্ন সময় কুরআন ও নিজ জীবনের আলোকে বেশ কিছু ঘটনা বর্ণনা করেছেন। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মহামানব বর্ণিত এই গল্পগুলো নিছক গল্পই ছিল না, তাতে উঠে এসেছে জীবনের নানা সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় বিবিধ শিক্ষা যা হতে পারে আমাদের অন্ধকার থেকে আলোকিত সঠিক পথে পরিচালিত করার দিশারী। পবিত্র সেইসব সমৃদ্ধ কাহিনী সংকলন করে মিশরের আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাইখ ড. মুস্তফা মুরাদ মিশরী প্রকাশিত করেন ‘কাসাসুল হাদিস’।
বইটিতে হাদিস ভিত্তিক গল্পগুলোকে তিন ভাগে সম্পাদনা করা হয়েছে যাতে রাসুল সাঃ এর আবির্ভাবের পূর্ববর্তি ঘটনাবলী, নবী সাঃ এর সমকালীন জীবনের সাথে সম্পৃক্ত হাদিস এবং কিয়ামাত সংক্রান্ত ঘটনাসমূহগুলো মূলতঃ প্রতিফলিত হয়েছে। মূল বইটির সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে একে বাংলা ভাষায় সহজ ও সাবলীলভাবে অনুবাদ করেছেন মুফতি আবুল ওয়াফা শামসুদ্দিন আযহারী। বেশ কিছু বিশ্লেষণ ও গবেষণা যোগ করায় অনুবাদিত বইটি পেয়েছে এক অনন্য মাত্রা। প্রতিটি ঘটনার শেষে দেয়া হয়েছে হাদিসের রেফারেন্স, হাদিসটি কোন প্রকারের (অর্থাৎ সহিহ, জাল, জয়িফ ইত্যাদি) তা উল্লেখ করা হয়েছে এবং ঘটনাটির প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা ও চরিত্রের সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষাগুলো পয়েন্ট আকারে বর্ণনা করা হয়েছে যাতে করে পাঠক সহজেই এর থেকে জীবনের জন্য প্রযোজ্য উপদেশ গ্রহণ করতে পারেন।
তবে বইটিতে বানানগত ভুল ও ফুটনোটের ফন্ট সাইজে তারতম্য লক্ষণীয়, যা অনেক সময় পড়ার আনন্দকে নষ্ট করে দিতে পারে। অধিকন্ত, কাঠামোগত ভারসাম্য বজায় না রাখার কারনেও অনেক ক্ষেত্রে তা পাঠকের মনে বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে। যেমন কয়েকটি গল্পের শেষে এর শিক্ষণীয় বিষয়বস্তু ‘ঘটনার মুক্তামালা’ শিরোনামে সুন্দরভাবে করা ব্যক্ত হলেও বেশ কয়েকটি গল্পের শেষে ‘ঘটনা আমাকে যা বলে’ শিরোনামে তা উল্লেখ্য করা হয়েছে। বইটির পরবর্তী সংস্করণে এই অসংগতিগুলোকে সংশোধন করে তা প্রকাশ করা হবে বলে আশা করি।
গল্প পড়তে যারা ভালবাসেন তাদের ভালো লাগার মত একটি চমৎকার বই “কাসাসুল হাদিস” যাতে রয়েছে ইসলামী সভ্যতার বিপুল গল্পভান্ডার। কুসংস্কারের মূলোৎপাটন করে একটি আদর্শ সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে এই ধরনের বই বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে প্রকাশকের মত আমারও একই প্রত্যাশা।
Al meraz – :
হে নবী! আমি আপনাকে কতক নবী সম্পর্কে জানিয়েছি আবার কতক নবী সম্পর্কে কিছুই জানাইনি।
আদম (আ) থেকে শুরু করে হযরত মুহম্মদ
(সাঃ) পর্যন্ত যেসকল নবিদের নাম কুরআনে এসেছে সকলের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা রাসুল সা কে আবহিত করেছেন।আবার এমনও কতক নবী আছে যার সম্পর্কে তিনি কিছুই জানাননি।আমরা যেমন বিভিন্ন ধরনের গল্প বলি,আল্লাহও তেমনি রাসুল সা কে গল্প বলতেন।আর সেটা অহীর মাধ্যমে। কুরআনে বহু আয়াতে পূর্ববর্তী নবীদের ঘটনা উল্লেখিত আছে।এমনকি শুধু ঘটনা নিয়েই একটি সুরা রয়েছে।যার নাম সুরা আল কাসাস।কাসাস অর্থ-কেচ্ছা,কাহিনী,গল্প।আভিধানিক অর্থে কাসাস
বলতে ধারাবাহিকভাবে কোন ঘটনা বর্ণনা করাকে বুঝায়।
গল্প করতে বলতে আর শুনতে কেবা না ভালবাসে।যত রকমই গল্প বলা হোক একটা সময় সেটা ক্লান্তিকর ও বিরক্তিময় পেয়ে বসে।কিন্তু যদি সেই গল্পগুলো এমন হয় যা অাল্লাহ ও তার নবীগণদের নিয়ে কিংবা এমন গল্প যা রাসুল সা স্বয়ং বলে গেছেন।তখন সেগুলো শুনতে কতই না প্রশান্তি আসে।এমনটা শুধু আমাদের ক্ষেত্রেই হয় না।রাসুল সা যখন তার সাহাবীদের সামনে গল্প করতেন তখন সাহাবিরা এতোটা সময় ধরে বসে থেকেও তাদের কাছে সে সময়টা তৃপ্তিদায়ক হতো না।তারা রাসুল সা এ সাহচর্যকে ছাড়তে চাইতেন না।এক সাহাবী বলতেন-আমি যতক্ষণ রাসুলের সাথে থাকি ততক্ষন মনে হয় যে ঈমানের উপরে আছি।কিন্তু রাসুল থেকে দূরে যাওয়া মাত্রই মনে হয় আমার ঈমানে বিচ্যুতি হতে যাচ্ছে।রাসুল সা সাহাবীদের ঈমানী শক্তি বৃদ্ধি করতেন বিভিন্নধরনের গল্প বলে,যা ছিল আল্লাহ তায়ালার প্রেরিত অহী।সে গল্পগুলো পুর্ববর্তী নবী ও উম্মতদের।এভাবে গল্প বলার প্রধান কারণ হল,গল্প থেকে সহজে উপদেশ গ্রহণ,শিক্ষা অর্জন ও বাস্তব জীবনে তা সহজে প্রয়োগ করা যায়।এমনকি নিজের অতীত ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায় গল্প দ্বারাই।তাই রাসুল সা বলেছেন-
আমার উম্মতের কাছে বনী ইসরাঈলের গল্প বলাতে কোন দোষ নেই।
হযরত আদম আ থেকে শুরু করে রাসুল সা ও তার সাহাবীদের নিয়ে যত গল্প ও ইতিহাস রচনা হয়েছে এসব কিছুই আমাদের ইসলামী চেতনা,প্রেরণার একমাত্র ধারক বাহক।কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল কালের আবর্তনে বিভ্রান্তির বেড়াজালে সেই গল্প-
কাহিনি আজ কোন দিক-দর্শন দেয় না,বরং অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়।কঠিন সত্যকে আড়াল করে,বাস্তুবাদী চিন্তা নিয়ে ইসলামী আকিদা বিনষ্ট করার লক্ষ্যে আজ রেফারেন্সহীন বহু বানানো গল্প রাসুলের নামে বলে ওয়াজে খুতবায় চালানো হয়।যা ঈমান।হাদিসে নেই এমন কোন গল্প রাসুলের নামে চালানো চরম কুফরী।আর রাসুল যা যা বলেছেন অক্ষরে অক্ষরে সবই তো হাদিসে আবদ্ধ করা হয়ে আছে।এর বাইরে কিছুই নেই।কিন্তু সঠিকভাবে অধ্যায়ন না করা,দ্বীনি ইলেম না থাকা,রেফারেন্স দেয়া বই না পড়ার কারণে বানানো গল্পে আজ ছেয়ে গেছে।আমাদের গল্পের জন্য তো কুরআন ও হাদিসই যথেষ্ট।সব গল্প তো এখানেই। এই অবস্থার কথা ভেবেই কুরআন,হাদীসের অসাধারণ ঘটনাবলীর একটি নির্বাচিত সংকলন করা।বইটির লেখক মূলত এই উদ্দেশ্যই রচনা করেন যে,আমরা যেন মিথ্যা ঘটনা থেকে বের হয়ে আসতে পারি।আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে যেন সহিহ হাদিসের ঘটনাগুলো শুনিয়ে ঈমান বৃদ্ধি করাতে পারি।
মিসেরর প্রখ্যাত আলেম ও আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাইখ ড.মুস্তফা মুরাদ আযহারী রচিত ‘কাসাসুল হাদীস’গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদ।সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতাবাতুস সুন্নাহ প্রকাশ করেছে বইটি।ভাষান্তর করেছেন মুফতী শামসুদ্দিন আযহারী।বইটিতে রয়েছে সহিহ হাদীসে বর্নিত গল্প এবং রাখা হয়েছে উপদেশ।
বইটিকে তিনটি অধ্যায় করা হয়েছে।
১.রাসুল সা এর পূর্ববর্তী নবীদের ঘটনা যা আদম থেকে ঈসা আ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ৫৫ টি গল্পে সাজানো হয়েছে।যা বইয়ের প্রায় অর্ধাংশ।
২.তারপর রাসুল এর আগমনকালীন,সমকালীন ও সাহাবীদের নিয়ে বেশ কিছু গল্প রয়েছে।এ দুই ভাগের প্রতিটি গল্প শেষে উপদেশ মূলক পয়েন্ট “ঘটনার মুক্তমালা” ও “ঘটনা আমাকে যা বলে” রয়েছে।
৩.সবশেষে কেয়ামত ও আখিরাতের আলোচনা এবং হাদিসের পরিভাষা ও পারিভাষিক পরিচিতি দেয়া হয়েছে।যা সহিহ,যয়ীফ,মওযু হাদিস সম্পর্কে ধারণা দেয়।
বইটির প্রচ্ছদ,প্রিন্ট,পাতা সবকিছু মোটামোটি ঠিক থাকলেও বাংল্ বানানে বেশ কিছু ভুল এসেছে।আশা রাখবো প্রকাশনী বইটি আরেকবার পরিমর্জিত করবে ইনশাল্লাহ।
মোবারকবাদ বইটির প্রকাশনী,লেখক ও অনুবাদক কে।
reaz0313 – :
আরবি এ শব্দের অর্থ দাঁড়ায় গল্প বা কাহিনী। প্রাত্যহিক জীবনে আমাদের যে সব কথোপকথন হয়, তার অনেকটা জুড়েই হয়তো থাকে কাসাস বা কাহিনী। সেটা কখনো হতে পারে কারো অভিজ্ঞতা, কখনোবা স্রেফ একটা ঘটনা। মহাগ্রন্থ আল-কুরআনেও অনেক কাসাস বা কাহিনী বর্ণিত আছে। এমনকি পূর্ণ একটি সূরাই আছে যার নাম “কাসাস”। কিন্তু কেমন হবে যদি আপনি হাজার হাজার বছর আগের এমন কোন ঘটনা শুনছেন, যা বর্ণনা করেছেন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ ﷺ ? হাদিসে বর্ণিত এরকম কিছু গল্পের ঝাঁপিই পাঠকদের সামনে উন্মুক্ত করবে “কাসাসুল হাদিস” বইটি।
◾ বই পরিচিতি_________
কাসাসুল হাদিস বইটি মূলত সহিহ হাদিসে বর্ণিত কতকগুলো গল্পের সংকলন। পর্যাপ্ত টীকা ও রেফারেন্স সহকারেই কাহিনীগুলোকে তুলে আনা হয়েছে এ বইতে। বইটিতে হাদিসের গল্পগুলো ৩ টি অধ্যায়ে ভাগ করে বর্ণনা করা হয়েছে; যেখানে-
প্রথম অধ্যায়ে এসেছে রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর আবির্ভাবের পূর্ববর্তী ঘটনাগুলো। এখানে বর্ণিত হয়েছে মোট ৫৪ টি ঘটনা।
দ্বিতীয় অধ্যায়ে তুলে আনা হয়েছে রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর সমকালীন ঘটনাসমূহ।
তৃতীয় অধ্যায়ে বিবৃত হয়েছে কিয়ামাতের পূর্বলগ্ন ও আখিরাত সম্পর্কিত কাহিনীগুলো। আলোচিত হয়েছে মোট ১০ টি ঘটনা।
বইটির শেষাংশে “হাদিসের পরিভাষা পরিচিতি” শিরোনামে হাদিস সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিভাষা সংক্ষেপে বর্ণিত হয়েছে। অতঃপর বিশালাকার এক গ্রন্থপঞ্জির মাধ্যমে বইটির পরিসমাপ্তি ঘটেছে।
বইটিতে হাদিসের অনেক প্রচলিত ও বিখ্যাত কাহিনী যেমন স্থান পেয়েছে, তেমনি বর্ণিত হয়েছে অপেক্ষাকৃত কম আলোচিত গল্পও। অনুবাদের ধরণ ও বর্ণনাভঙ্গি মোটাদাগে সন্তোষজনক। তবে একই গল্পের একাধিক হাদিসের বর্ণনার বেলায় কখনো কখনো দুইটি বর্ণনাই তুলে আনা হয়েছে- যা সমন্বিত হলে হয়তো ঘটনাগুলোর একক বর্ণন-ই আরও পরিশীলিত হতে পারতো।
◾ কেন পড়বেন বইটি_________
[+] বইটিতে শুধু সহিহ হাদিসভিত্তিক ঘটনা বা কাহিনীগুলোই স্থান পেয়েছে।
[+] প্রতিটি কাহিনীতেই যথেষ্ট রেফারেন্স উল্লেখ আছে।ক্ষেত্রবিশেষে আছে টীকা-ব্যাখ্যাও।
[+] প্রতিটি ঘটনার শেষেই “ঘটনার মুক্তামালা” অথবা “ঘটনা আমাকে যা বলে” শীর্ষক অনুচ্ছেদগুলোতে পয়েন্ট আকারে গল্পগুলো থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা তুলে ধরা হয়েছে।
◾ সমালোচনার চশমায়_________
বইটির নজরকাড়া প্রচ্ছদ ও কাগজের চমৎকার মান সত্ত্বেও কিছু অসংলগ্নতা সচেতন পাঠকের দৃষ্টি এড়িয়ে যাবে না। যেমন-
[-] প্রথম সংস্করণ হওয়ায় বইটিতে বেশ ভুল বানান পরিদৃষ্ট হয়েছে; যা প্রকাশনীর বক্তব্য অনুযায়ী, পরবর্তী সংস্করণে সংশোধন করে নেয়া হবে।
[-] বইটির শুরুতে “লেখক ও পাণ্ডুলিপি সম্পর্কে বিশিষ্ট জনদের অভিমত” শীর্ষক অংশে যে পরিমাণ অভিমত উল্লিখিত হয়েছে, তা বইটির তাৎপর্য ও গাম্ভীর্যের সাথে সাযুজ্যপূর্ণ নয়।
[-] বইটির বিভিন্ন স্থানে পাদটীকা বা ফুটনোটের ফন্টসাইজে বেশ তারতম্য পরিলক্ষিত হয়েছে। এছাড়া মূল বইয়ের ফন্ট সাইজও খানিকটা ছোট হতে পারতো।
তবে এসব অসঙ্গতির পরেও এটা বলা যেতেই পারে যে প্রচ্ছদ, কাগজের মান, বাঁধাই ইত্যাকার ব্যাপারে বইটি মাকতাবাতুস সুন্নাহকে পাঠকমহলে নূতনভাবে পরিচিত করবে।
◾ পরিশেষে_________
হাদিসের কাহিনী মানেই সত্যিকার ঘটনা। আর হাদিসে বর্ণিত এই সত্য গল্পগুলো থেকে জ্ঞান আহরণ করে চিন্তাজগতকে আলোকিত করতে যে কোন শ্রেণির পাঠককে “কাসাসুল হাদিস” বইটি সহযোগিতা করবে ইনশা আল্লাহ।
tanvirislampavel30 – :