মেন্যু
prachin banglar dorbesh

প্রাচীন বাংলার দরবেশ

প্রকাশনী : নবপ্রকাশ
পৃষ্ঠা : 80, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 1st Published, 2022
আইএসবিএন : 9789843529121
১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে ইখতিয়ারউদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজির নদীয়া বিজয়েরও বহু আগে, সেই সপ্তম শতাব্দীতে এ ভূখণ্ডের সঙ্গে ইসলামের যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছিল। তখন থেকেই সময়ে সময়ে আরব-আজমের বহু পীর-দরবেশ ও ওলি-আউলিয়া এ... আরো পড়ুন
পরিমাণ

96  120 (20% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

1 রিভিউ এবং রেটিং - প্রাচীন বাংলার দরবেশ

5.0
Based on 1 review
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    muhammad abdul kadir:

    গতকাল বাড়ি ফেরার পথে সফরের জন্য মনস্থ করেছিলাম । সেই হেতুতেই রাতের মধ্যে ঘুম আর ক্লান্তির সমূহ ব্যস্ততাকে বিদেয় করলাম। সাতসকাল। ভোরের আলো ফোটার খানিক পরেই পাথেয় সঙ্গে নিলাম। শুরু হলো সফর…

    আমি চলে এসেছি খ্রিষ্টীয় একাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে। এক পড়ন্ত বিকেল; আফগানী এক দরবেশের সাথে। আপাততঃ আমাকে দরবেশের খাদেম ধরে নিতে পারেন আপনারা। আফগানের বলখ শহরের এক রাজপুত্র ছিলেন আমার দরবেশ। সামান্য এক বাঁদির নিনাদ আর আর্তনাদ ঘুরিয়ে দিয়েছিল তাঁর পথ । তাঁর মানজিল। রাজদরবার পিছনে ফেলে চলে গেলেন দিমাশকে। মুরশিদের সান্নিধ্যে থেকে কাটিয়ে দিলেন তিন যুগ । মুরশিদ যখন বুঝতে পারলেন শাগরিদের আত্মশুদ্ধির চর্চা পূর্ণতার সর্বোচ্চ চূড়াটিও স্পর্শ করে ফেলেছে, তিনি নতুন সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন। ইসলাম প্রচার প্রসারে আপন শাগরেদ সুলতান মাহমুদকে বিপদসংকুল একটি মিশনের রাহবার বানিয়ে দিলেন। এক বিকেলে বাঙ্গালা মুলুকের উদ্দেশ্যে শাগরিদকে বিদায় জানালেন শায়খ। মৎস্যাকৃতির জাহাজে চড়ে মুরশিদের বাচাইকৃত সহযোগী সমেত সমুদ্রে মিলিয়ে গেলেন সুলতান মাহমুদ। হ্যাঁ‚ তিনিই— সুলতান মাহমুদ মাহিসওয়ার। এখান থেকেই আমি যোগ দিলাম তাঁর সাথে, কল্পনায় চড়ে তাঁর খাদেম হয়ে। আমরা জাহাজের নোঙর ফেললাম সন্দ্বীপের বন্দরে। জাহাজ থেকে নামতেই দরবেশকে উদ্দেশ্য করে এগিয়ে এলো এক কুলি। আমাদের অবাক করে দিয়ে সালাম দিলো দরবেশকে। বন্দর নগরীর এক নিভৃত জায়গায় তাঁবু পাতলাম আমরা। এ ক্ষেত্রে কুলি লোকটি আমাদের অনেক কাজে আসলো। জ্ঞাত হলাম সালাম দিয়ে এগিয়ে আসা কুলি লোকটি মুসলমান। তার বাড়ি এখানে না, সুদূর হরিরামনগরে। সেখানে কয়েকটি মুসলিম পরিবার বাস করে। তাঁরা ভালো নেই। স্থানীয় রাজার নানাবিধ অত্যাচার তাদেরকে সহ্য করতে হচ্ছে। ইসলামের বিধিবিধান পালনের জো নেই, রাজার সৈন্যসামন্তরা বিভিন্নভাবে তাদের উপর নিপীড়ন চালায়। সেই নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরেই মা-বাবা স্বজন-পরিজনকে ফেলে পালিয়ে এসেছে এই তরুণ মুসলিম কুলি লোকটি। দরবেশ মনস্থ করলেন আমরা যাচ্ছি হরিরামনগরে। সদলবলে…

    এভাবেই এগোচ্ছিলো আমার সফর। একাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে শুরু করেছিলাম, কল্পনায় সাঁতরে ;সুলতান মাহমুদ শাহ বলখি মহিসাওয়ারের খাদেম সেজে। তারপর যোগ দিলাম শাহ সুলতান কামরুদ্দিন রুমির দলে। শাগরেদ বনে। শেষমেশ পিছু ধরলাম দরবেশ আদম শহীদের। তাঁর সাথে পৌঁছুলাম ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রায় শেষার্ধে। এ পর্যায়ে শেষ হলো আমার সফর । এ এক প্রাণবন্ত সফর। সফরের পাথেয় হিশেবে হাতে নিয়েছিলাম হামমাদ রাগিব ভাইয়ের ‘প্রাচীন বাংলার দরবেশ’ বইখানা। ইতিহাসকে উপজীব্য করে নরোম সুখদ গদ্য দিয়ে গড়ে তুলেছেন গল্পের শরীর। ফিকশনধর্মী গল্পের ন্যায় টানটান উত্তেজনা। পুরোটা পড়ার ইচ্ছে না-থাকা সত্বেও পুরোটা পড়তেই হলো আমাকে! যেন শুরু করলে শেষ না করে উপায় নেই এর মেছাল। প্রশংসাযোগ্য এই বইখানার ওজন আরও বেড়ে গেছে— সময়ের শক্তিমান লেখক নানান গুণে গুণান্বিত আমাদের গুরুজন কবি ও গবেষক মুসা আল হাফিজ হাফিজাহুল্লাহর লিখে দেওয়া ভূমিকার মাধ্যমে। যে বইয়ের ভূমিকায় মুসা আল হাফিজ প্রশংসাবাক্য লিখে দেন সেখানে আমার মতো কাটখোট্টা টাইপের পাঠক কি-ই বা আর স্তুতি গাইবে! এককথায় বললে— বহুদিন পর একখান বই পড়লাম ।

    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top