মেন্যু
paribarik songkote nobijir upodesh

পারিবারিক সংকটে নবিজির উপদেশ

অনুবাদক : আব্দুল্লাহ ফয়সাল
পৃষ্ঠা : 64
ভাষা : বাংলা
স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র, মজবুত ও টেকসই বন্ধন। দুনিয়ার কোনো সীমারেখায় একে সীমাবদ্ধ করা যায় না। ক্ষণস্থায়ী এই জগৎ পেরিয়ে অনন্তকালের চিরস্থায়ী জান্নাত পর্যন্ত তা বিস্তৃত। দুজনের সুসম্পর্কের কারণেই... আরো পড়ুন
পরিমাণ

74  100 (26% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

2 রিভিউ এবং রেটিং - পারিবারিক সংকটে নবিজির উপদেশ

5.0
Based on 2 reviews
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    Fahmida Afrin:

    মহান রব্বুল আলামীনের দেওয়া শ্রেষ্ঠ নেয়ামতগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পরিবার। স্বামী-স্ত্রী; এই দু’টি মানুষ থেকে সৃষ্টি হয় একটি পরিবার। এই পরিবারই আবার সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদ্রতম একক। পরিবারের সুখ-শান্তি বজায় রাখতে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয় স্বামী-স্ত্রীকে। দু’জনের চেষ্টাতেই একটি আদর্শ পরিবার গঠন করা সম্ভব। তবে একপাক্ষিক চেষ্টায় কাজটা খুবই কঠিন বা অসম্ভব প্রায়। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি পরিবারেরই ঝামেলা লেগে থাকে। পারিবারিক নানান বিষয়ে উভয়ের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। ❝পারিবারিক সংকটে নবীজির উপদেশ ❞ মোট তেইশটি সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বইটি পড়লে বুঝতে পারবেন বৈবাহিক জীবনের অধিকাংশ ঝামেলাগুলোর কারণ বইয়ে উল্লেখিত সমস্যাগুলোই। কিন্তু আশার কথা এটা যে, সমস্যাগুলোর সাথে সমাধানও রয়েছে। আর সেসব সমাধান এসেছে মানবজাতির জন্য আদর্শ দম্পতি মুহাম্মদ(ﷺ)- আয়িশা (রা)-এর দাম্পত্য জীবন থেকে। সুবহান আল্লাহ!

    নেতা হিসেবে যেমন নবীজি ﷺ ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ তেমনই স্বামী হিসেবেও তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ। সীরাহ থেকে উম্মুল মুমিনীনদের নানান বিবৃতি থেকে জানা যায় স্বামী হিসেবে নবীজি ﷺ এর অতন্ত্য সুন্দর, মিষ্টি সব স্বভাবের কথা।

    সাহাবী (রা)-রা একবার জিজ্ঞেস করেছিলেন,‘ আপনার কাছে সবচেয়ে প্রিয় মানুষ কে?’ তিনি ﷺ বলেছিলেন,‘ আয়িশা’। [বুখারীঃ১৯২৮]

    ভাবতে পারছেন? সেই যুগে সকলের সামনে নবীজি ﷺ স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছিলেন এভাবে! অথচ এই যুগেও অধিকাংশ স্বামী এতে দ্বিধাবোধ করেন। এমন আরও অনেক উদাহরণ রয়েছে নবীজির ﷺ।

    বইটিতে পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে লেখক খুব সুন্দরভাবে মুহাম্মদ ﷺ ও আয়িশা রা. এর দাম্পত্য জীবনের নানান গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে ধরেছেন গল্পের ছলে, কথোপকথনের ছলে। নাদার সাথে আম্মি আয়িশার কথোপকথন পাঠককে নিয়ে যাবে নবীজি ও আম্মাজানদের জীবনের স্মরণীয় ও সুন্দর কিছু সময়ে, কিছু ঘটনাতে। সবকিছু যেন কল্পনায় ভেসে ওঠে বইটি পড়ার সময়।

    বইটি দুই পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্বে রয়েছে নাদা ও আম্মি আয়িশা রা. -এর প্রশ্নোত্তর
    কথোপকথন এবং তাতে বর্ণিত হাদিসগুলোর রেফারেন্স।
    দ্বিতীয় পর্বে রয়েছে সন্তান সম্পর্কিত কিছু নসিহত। রয়েছে মর্মস্পর্শী একটি বাস্তব ঘটনা এবং সতর্কীকরণ বার্তা।

    সংসার, সন্তান নিয়ে ব্যস্ততা থাকায় বই পড়ার জন্য খুব বেশি সময় হয়তো পাওয়া যায় না তবুও এই ছোট্ট বইটি পড়ার চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ, সময়ও খুব বেশি লাগবে না আবার অনেক উপকৃতও হবেন এটি দ্বারা ইনশাআল্লাহ।

    সংক্ষিপ্ত আকারের এই বইটি পড়লে বেশ অনেককিছু জানতে ও শিখতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। পারিবারিক সংকটে নবীজির জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে তা প্রয়োগ করার কৌশলও হয়তো উপলব্ধি করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    ফাহমিদা আফরিন:

    স্বামী-স্ত্রীর বন্ধন পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র, মজবুত ও টেকসই বন্ধন। দুনিয়ার কোনো সীমারেখায় একে সীমাবদ্ধ করা যায় না। ক্ষণস্থায়ী এই জগৎ পেরিয়ে অনন্তকালের চিরস্থায়ী জান্নাত পর্যন্ত তা বিস্তৃত। দুজনের সুসম্পর্কের কারণেই গড়ে ওঠে প্রশান্তিময় পরিবার, সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্র। পৃথিবীর প্রধান ও মূল উপাদান—মানুষ স্বামী-স্ত্রীর সেই স্বর্গীয় বন্ধনেরই সুফল। কিন্তু কিছু অনিয়ম ও অবহেলার কারণে পবিত্র এই সম্পর্কের মাঝেও আসে ভাঙন। সুখ-শান্তির এই ঘরেও হানা দেয় অশান্তির আগুন; যা তিলে তিলে শেষ করে দেয় দুটি পরিবার, দুটি জীবন। আমরা ভাবি পারিবারিক সব সমস্যার মূলে রয়েছে যুগ থেকে পিছিয়ে থাকা, আধুনিক না হওয়া। কিন্তু না, বর্তমান যুগের উচ্চ শিক্ষিত, সম্ভ্রান্ত পরিবারের আধুনিক ছেলে শাদি। বিয়েও করেছে উঁচু ফ্যামেলির উচ্চ শিক্ষিতা সুন্দরী মেয়ে নাদাকে। শুরুর দিকে তাদের দাম্পত্যজীবন চমৎকারভাবে প্রবাহিত হলেও কিছু দিন পর থেকে শুরু হয় ভীষণ টানাপোড়েন আর দ্বিমুখী দ্বন্দ্ব। ফলে কেউ কারও ছায়া পর্যন্ত আর দেখতে চায় না, বিচ্ছিন্ন থাকতে চায় সারাজীবন।
    তা হলে মূল সমস্যা কোথায়? কী কারণে শিক্ষিত আধুনিক পরিবারগুলোও ভেঙে খান খান হয়ে যাচ্ছে? আর এর সমাধানই-বা কী? এই বইয়ে নাদা এসব জানতেই শরণাপন্ন হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে সফল ও সুখময় দম্পতি আয়িশা ও মুহাম্মাদ ﷺ-এর কাছে। নাদা সিরাতের পাতায় আয়িশা রা.-এর কাছে এক এক করে তাদের সব সমস্যার কথা তুলে ধরে এর সমাধান ও প্রকৃত রহস্য জানতে চেয়েছে। আর তিনিও সবিস্তারে নববি দম্পতির খুঁটিনাটি সবকিছু বর্ণনা করে দিয়েছেন, আর উন্মুক্ত করেছেন সুখ, সফলতার সবকটি দুয়ার।
    আশা করি এর মাধ্যমে তারাসহ পৃথিবীর সব দম্পতি খুঁজে পাবে সঠিক পথ, যার শেষপ্রান্তে রয়েছে নৈসর্গিক সুখের নিরাপদ নীড় ও নগর।

    .
    মহান রব্বুল আলামীনের দেওয়া শ্রেষ্ঠ নেয়ামতগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পরিবার। স্বামী-স্ত্রী; এই দু’টি মানুষ থেকে সৃষ্টি হয় একটি পরিবার। এই পরিবারই আবার সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদ্রতম একক। পরিবারের সুখ-শান্তি বজায় রাখতে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয় স্বামী-স্ত্রীকে। দু’জনের চেষ্টাতেই একটি আদর্শ পরিবার গঠন করা সম্ভব। তবে একপাক্ষিক চেষ্টায় কাজটা খুবই কঠিন বা অসম্ভব প্রায়। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি পরিবারেরই ঝামেলা লেগে থাকে। পারিবারিক নানান বিষয়ে উভয়ের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। ❝পারিবারিক সংকটে নবীজির উপদেশ ❞ মোট তেইশটি সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বইটি পড়লে বুঝতে পারবেন বৈবাহিক জীবনের অধিকাংশ ঝামেলাগুলোর কারণ বইয়ে উল্লেখিত সমস্যাগুলোই। কিন্তু আশার কথা এটা যে, সমস্যাগুলোর সাথে সমাধানও রয়েছে। আর সেসব সমাধান এসেছে মানবজাতির জন্য আদর্শ দম্পতি মুহাম্মদ(ﷺ)- আয়িশা (রা)-এর দাম্পত্য জীবন থেকে। সুবহান আল্লাহ!

    নেতা হিসেবে যেমন নবীজি ﷺ ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ তেমনই স্বামী হিসেবেও তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ। সীরাহ থেকে উম্মুল মুমিনীনদের নানান বিবৃতি থেকে জানা যায় স্বামী হিসেবে নবীজি ﷺ এর অতন্ত্য সুন্দর, মিষ্টি সব স্বভাবের কথা।

    সাহাবী (রা)-রা একবার জিজ্ঞেস করেছিলেন,‘ আপনার কাছে সবচেয়ে প্রিয় মানুষ কে?’ তিনি ﷺ বলেছিলেন,‘ আয়িশা’। [বুখারীঃ১৯২৮]

    ভাবতে পারছেন? সেই যুগে সকলের সামনে নবীজি ﷺ স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করেছিলেন এভাবে! অথচ এই যুগেও অধিকাংশ স্বামী এতে দ্বিধাবোধ করেন। এমন আরও অনেক উদাহরণ রয়েছে নবীজির ﷺ।

    বইটিতে পাঠকের বোঝার সুবিধার্থে লেখক খুব সুন্দরভাবে মুহাম্মদ ﷺও আয়িশা রা. এর দাম্পত্য জীবনের নানান গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে ধরেছেন গল্পের ছলে, কথোপকথনের ছলে। নাদার সাথে আম্মি আয়িশার কথোপকথন পাঠককে নিয়ে যাবে নবীজি ও আম্মাজানদের জীবনের স্মরণীয় ও সুন্দর কিছু সময়ে, কিছু ঘটনাতে। সবকিছু যেন কল্পনায় ভেসে ওঠে বইটি পড়ার সময়।

    বইটি দুই পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্বে রয়েছে নাদা ও আম্মি আয়িশা রা. -এর প্রশ্নোত্তর
    কথোপকথন এবং তাতে বর্ণিত হাদিসগুলোর রেফারেন্স।
    দ্বিতীয় পর্বে রয়েছে সন্তান সম্পর্কিত কিছু নসিহত। রয়েছে মর্মস্পর্শী একটি বাস্তব ঘটনা এবং সতর্কীকরণ বার্তা।

    সংসার, সন্তান নিয়ে ব্যস্ততা থাকায় বই পড়ার জন্য খুব বেশি সময় হয়তো পাওয়া যায় না তবুও এই ছোট্ট বইটি পড়ার চেষ্টা করবেন ইনশাআল্লাহ, সময়ও খুব বেশি লাগবে না আবার অনেক উপকৃতও হবেন এটি দ্বারা ইনশাআল্লাহ।
    সংক্ষিপ্ত আকারের এই বইটি পড়লে বেশ অনেককিছু জানতে ও শিখতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। পারিবারিক সংকটে নবীজির জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে তা প্রয়োগ করার কৌশলও হয়তো উপলব্ধি করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

    2 out of 2 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top