পাগলের মাথা খারাপ
কেউ যদি বিজ্ঞান নিয়ে একটা বই লিখে আর বইয়ের নাম দেয় ‘ভূতের বাচ্চা আইনস্টাইন’! কেউ যদি দর্শন নিয়ে বই লিখে আর নাম দেয় ‘হনুমানের বাচ্চা সক্রেটিস’! অবশ্যই সেটা এক্সেপ্টেবল না। কারণ, নামগুলো স্ব স্ব ক্ষেত্রে একেকটি ব্র্যান্ড হয়ে গেছে।
কোনো পণ্ডিত যদি রাজনীতি নিয়ে বই লিখে বইয়ের নাম দিয়ে দেয় …র বাচ্চা জিয়া, তাহলে ভাঙ্গা কোমর নিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও বিএনপির লোকজন রাস্থায় বেরিয়ে আসতে চেষ্টা করবে। আর কোনো কারণে এবং অকারণেই ‘…র বাচ্চা শেখ মুজিব’ নাম দিলে তো আর হয়েছেই। লেখকের চৌদ্দগোষ্ঠীর খবর হয়ে যাবে।
নামে কিছুই যায় আসে না আবার অনেক কিছুই যায় আসে। তাই, যে যুক্তিতে ভূতের বাচ্চা আইনস্টাইন/সক্রেটিস/জিয়া/মুজিব বলা অমার্জনীয় ধৃষ্টতা হবে, সেই যুক্তিতে; বরং তারচে’ও শক্তিশালী যুক্তিতে ‘ভূতের বাচ্চা সোলায়মান’ বলাটাও অমার্জনীয় ধৃষ্টতার শামিল… ‘পাগলের মাথা খারাপ’ বইটি এই প্রেক্ষাপটেই রচিত
-
-
save offবাইবেল কুরআন ও বিজ্ঞান
লেখক : ড. মরিস বুকাইলিপ্রকাশনী : দারুস সালাম বাংলাদেশ400 ৳232 ৳১৯৮১ সালের কথা। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্যান্সিসকো ...
-
save offকুরআন দিয়ে নিজের চিকিৎসা করুন
প্রকাশনী : সবুজপত্র পাবলিকেশন্স70 ৳50 ৳অনুবাদ: হাফেয মাহমুদুল হাসান পৃষ্ঠা ৯৭ পকেট সাইজ ...
-
featureচিন্তাপরাধ
লেখক : আসিফ আদনানপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন190 ৳পৃষ্ঠা - ১৯২ 'যতক্ষণ সাম্রাজ্যের সার্বভৌমত্ব স্বীকার ...
-
hotগল্পগুলো অন্যরকম
লেখক : সিহিন্তা শরীফা, আনিকা তুবা, আফিফা আবেদিন সাওদা, আরমান ইবন সোলাইমান, আরিফ আজাদ, আরিফ আবদাল চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম, আলী আবদুল্লাহ, জাকারিয়া মাসুদ, নুসরাত জাহান, মাহমুদুর রহমান, যাইনাব আল-গাযি, শারিন সফি, শিহাব আহমেদ তুহিন, শেখ আসিফ, সাদিয়া হোসাইন, সানজিদা সিদ্দীক কথাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন350 ৳245 ৳জীবনের কাছে মাঝে মাঝে গল্পও তুচ্ছ ...
-
hotহিউম্যান বিয়িং শতাব্দীর বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব
লেখক : ইফতেখার সিফাতপ্রকাশনী : নাশাত220 ৳154 ৳সম্পাদক : মুহাম্মাদ আফসারুদ্দীন পৃষ্ঠাসংখ্যা : ১৬০ বাঁধাই ...
-
save offসিক্রেটস অব জায়োনিজম
লেখক : হেনরি ফোর্ডপ্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স300 ৳285 ৳অনুবাদ: ফুয়াদ আল আজাদ আমেরিকার বিখ্যাত ফোর্ড ...
-
আয়নাঘর
লেখক : ড. ইয়াদ কুনাইবীপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন200 ৳অনুবাদ - ইলমহাউস অনুবাদক টিম সম্পাদনা - ...
-
কাশগড় কত না অশ্রুজল
লেখক : মোহাম্মদ এনামুল হোসাইনপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন260 ৳সম্পাদনা: আসিফ আদনান পৃষ্ঠা: ২৬৪ কভার: পেপার ব্যাক ত্রিশ ...
-
hotইমাম মাহদী: রূপকথা নয়, সত্য
প্রকাশনী : সীরাত পাবলিকেশন200 ৳150 ৳অনুবাদক: মহিউদ্দিন রূপম, আশিক আরমান নিলয় সম্পাদনা: ...
-
save offইলুমিনাতি
লেখক : আবদুল কাইয়্যুম আহমেদপ্রকাশনী : বইকেন্দ্র234 ৳187 ৳ইউরোপের সম্পদ কুক্ষিগত করার জন্য দীর্ঘ ...
-
alif20arif – :
বুক রিভিউ **************************************
বইয়ের নামঃ পাগলের মাথা খারাপ, লেখকঃ রশীদ জামীল,প্রকাশনীঃ কালান্তর প্রকাশনী, প্রেক্ষাপটঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, কভারঃ হার্ডকভার,প্রথম প্রকাশঃ মার্চ ২০১৭,পৃষ্ঠাঃ ১১৯,মুদ্রিত মূল্যঃ ১৪০ টাকা,প্রচ্ছদঃ কাজী সফওয়ান, ISBN : 9789849260684➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
👉উৎসর্গঃ বইটির উৎসর্গটা খুবই আবেগঘন এবং ভিন্নতর লেগেছে, যেন এর মধ্যে একটা মায়া জড়িয়ে আছে। উৎসর্গটিঃ
“মিনহাজ
ছেলেটিকে এখনো কোলে নেওয়া হয়নি
ছেলেটিকে কখনো কোলে নেওয়া হবে না।”➖➖➖➖
👉লেখকঃ রশীদ জামীল মূলত একজন অনলাইন ব্লগার।তথাকথিত ব্লগিং বলতে যা বুঝি তিনি তা না করে বরং ইসলামের পক্ষে ব্লগিং করেন।ব্লগিং এর পাশাপাশি তিনি একজন লেখকও বটে।এ পর্যন্ত তিনি অনেকগুলো পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন। যারই ধারাবাহিকতায় তার লেখা অন্যতম পাঠকনন্দিত বই “পাগলের মাথা খারাপ”।➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
👉মূল আলোচনাঃ🔸পাগলের মাথা খারাপ বইটি মূলত হেড টু হেড অর্থাৎ লেখা দিয়ে লেখার প্রতিবাদ।বইটির মূল বিষয় মুহম্মদ জাফর ইকবালকে ঘিরে, তার লেখা ভুতের বাচ্চা সুলায়মান (নাউজুবিল্লাহ) বইটিকে ঘিরে।যার প্রতিবাদে বইটি লেখা।
বইটির একটি বিশেষ দিক হলো, ইসলামের বিরুদ্ধে কথা হলেই আমরা মাঠে আন্দোলনের জন্য নেমে পড়ি। কিন্তু আমাদের উচিত লাঠির জবাব লাঠি দিয়ে দেওয়া। লেখক সেই কাজটিই করেছেন।জাফর ইকবালের লেখা বইয়ের প্রতিবাদে তিনি উক্ত বইটি লিখেছেন। ➖➖➖
🔸বইটিকে প্রথমত একটি রম্য হাসির বই মনে হলেও, বইটি এমনভাবে লেখা যে বইটি আমাদের আনন্দ দেওয়ার পাশাপাশি ভাবতে ও জানতেও শেখাবে।সেভাবেই বইটি লেখা হয়েছে। বইটিকে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে বইটি প্রধানত তিনটি অংশে আলোচনা করা হয়েছে।১ম ভাগে জাফর ইকবাল, ২য় ভাগে হযরত সুলায়মান (আ) এবং শেষ ভাগে বাংলাদেশে চলমান নানা বিষয় নিয়ে লেখা। ➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
🔸বইটির প্রথম দিকের পুরো টপিক জাফর ইকবালকে নিয়ে লেখা যা পুরোটাই হাসির।এ পার্ট পড়লে হাসতে হাসতে শেষ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হবে।সূচিপত্র দেখলেও তা বোঝা যায়। সূচিপত্রে রয়েছে বইটির নামকরণ, জাফরনামা,সেক্টর কমান্ডার (শূন্য) পদে নিয়োগ, স্যারের কাছে জিজ্ঞাসা সহ নানা পার্ট।এখানে যৌক্তিকভাবে স্যারের সমালোচনা করলেও তিনি যে পুরোপুরি নাস্তিক না বরং ইসলাম বিদ্বেষী তা দেখিয়েছেন।➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
🔸বইটির মধ্যম ভাগে জাফর ইকবালের বইয়ের প্রতিবাদে হযরত সুলায়মান আ কে নিয়ে লেখা। তার যে কত সম্মান মহান আল্লাহ দিয়েছেন তা লেখক আল কুরআন থেকে তুলে ধরেছেন।এছাড়া নানা মিথ্যা ঘটনাকেও তুলে ধরেছেন যা সমাজে প্রচলিত।শেষে হযরত সুলায়মান আ এর জীবন থেকে কি কি শিক্ষা পাই তা দেওয়া হয়েছে।➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
🔸বইটির শেষ ভাগে বাংলাদেশের চলমান নানা ইসলাম বিদ্বেষী পদক্ষেপ, বড় ধরনের সমস্যাগুলো তুলে ধরেছেন। যার মধ্যে রয়েছে সুশীলগিরি, আই এম জিপিএ ফাইভ,সময়ের ওপাশে কারা,অসুস্থ কলম, আক্রান্ত জাতি ইত্যাদি সূচিপত্র উল্লেখযোগ্য।সমস্যাগুলোর মধ্যে মুক্তচিন্তার নামে ইসলাম বিদ্বেষ ও নাস্তিকতা,বর্তমান শিক্ষার দুরবস্থা, জঙগিবাদ,সরকারের ও সুশীল সমাজের মাদ্রাসা ও ইসলাম বিদ্বেষসহ নানা বিষয়। এসব সমস্যা উল্লেখ করার পর লেখক আমাদের করণীয় সম্পর্কে বাচতে হলে জাগতে হবে কলামে লিখেছেন।এখানে সরকার,সমাজ,নেতা,আলেম-ওলামা,সাধারণ মানুষ কার কী করণীয় তুলে ধরেছেন।➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
👉মন্তব্যঃ সত্যি বলতে বইটি একজন সচেতন পাঠক হিসেবে সকলের পড়া উচিত। এছাড়া বইটিতে হাসি থাকায় যারা বই পড়ে না তাদেরও বই পড়তে আগ্রহ যোগাবে।সর্বশেষ বলব বইটি না পড়লে পাঠকরা অনেক কিছু মিস করবেন।একটানে পড়ার মতো একটি বই এটি। তাই সকল পাঠককে বইটি পড়ার জন্য একান্তভাবে বলছি।➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
শেষ করছি বইয়ের হাস্যকর কিছু লাইন দিয়ে,
“”” আফসোস মাত্র ১৩ দিনের জন্য স্যারের আর যুদ্ধে যাওয়া হলো না।সরি স্যার।দেশের স্বাধীনতা আপনার রণশৈলী থেকে বঞ্চিত থেকে গেল।
টীকা
স্বাযুসং= স্বাধীনতা যুদ্ধের সংগীত
উৎসর্গ : জাফর ইকবাল স্যার
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধের তেরো দিন
প্রকাশকাল : অমর একুশে বইমেলা ২০৪১”””
মাহমুদুল হাসান – :
পাগলের মাথা খারাপ।বইটি মূলত অ্যান্টি-ইসলামিস্ট অর্থ্যাৎ ইসলাম-বিদ্বেষী এবং তাদের বিভিন্ন কুকর্মের বিরুদ্ধে লেখা।লেখক যেভাবে তাদের অপকর্মের জবাব দিয়েছেন তাতে মোহিত হতে হয়।বইটিতে রসাত্মক ভাষাও ব্যাবহার করা হয়েছে।তাই হাসির উপাদানও খুজে পাওয়া যায়।তাছাড়া এতে গঠনমূলক কিছু আত্মসমালোচনাও রয়েছে।এবং আমাদের করণীয় সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে।বইটিতে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর আমি পেয়েছি।যেমন মাঝেমধ্যে আমার মনে প্রশ্ন জাগতো যে,কিছু দিন পরপর একটার পর একটা ইসলাম-বিদ্বেষী ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করে থাকে।কিন্তু কেন এরকম করে? দেশের মধ্যে কোন শক্তিটি তাদের সাহস জোগায়? এর জবাব আমি এই বইটির মধ্যে খুঁজে পেয়েছি।এছাড়া আরেকটি প্রশ্ন আমার মনে ঘুরপাক খেতো সেটা হচ্ছে আমাদের দেশের পরিচিত এক লেখক তার নামের আগে ‘মুহম্মদ’লিখে থাকে।’মুহাম্মদ’কিংবা ‘মুহাম্মাদ’ নয়।এটা একদমই গলদ এবং আমাদের প্রিয় নবীজী (সঃ)এর পবিত্র নামের একধরণের অপমানও হয় বটে।তো তিনি কেন এভাবে বিকৃত ভাবে লিখেন? সে প্রশ্নটি রশীদ জামীল সাহেব সরাসরি তাকেই জিজ্ঞেস করেছিলেন।কী উত্তর দিয়েছেন তিনি? এ বইটি পড়লে জানতে পারবেন।এছাড়াও তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েও অংশ নেননি অথচ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফেরিওয়ালা হয়ে বসে আছেন যেন তাকে ‘বীর বিক্রম’টাইপের কোন খেতাব দেওয়া উচিত।তার এহেন কাজের সমুচিত জবাব রসাত্মক ভাবে দেওয়া হয়েছে।তাছাড়া নাস্তিকতা এবং ইসলাম-বিদ্বেষ যে এক নয় তাও পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা হয়েছে।এবং খুবই সূক্ষ্মভাবে ক্ষমতার দম্ভে বিভোর এবং অপরাধে নিমজ্জিতদের ধিকৃত এবং সতর্ক করা হয়েছে।যেমন “… মানুষ তো আজ শীতলক্ষ্যায় ভাসে,দেশের নদী;স্বচ্ছ পানি।সময় যখন বিগড়ে যাবে,দেশের নদও মুখ ফেরাবে,তখন বঙ্গোপসাগরই হবে কিশতির ঠিকানা।আগামীর ছাত্ররা,উৎসুখ মেজাজে তারা পাঠ করবে ইতিহাস;এক দেশে এক রাণী ছিল…”। তবে বইটির কয়েকটি শব্দ বুঝতে একটু কষ্ট হতে পারে কিন্তু তারপরও বইটি পড়ে আপনি মজাই পাবেন।বইটি রচিত হয়েছে এক বিতর্কিত লেখকের একটি বইয়ের নামকরণ নি, বইটি হচ্ছে ‘ভূতের বাচ্চা সোলাইমান'(আসতাগফিরুল্লাহ)।লেখক তাকে জবাব দেওয়ার পাশাপাশি হযরত সুলাইমান(আঃ)এর বৈশিষ্ট্য এবং কিছু ঘটনাও বর্ণণা করেছেন।বইটি আমার অনেক পছন্দ হয়েছে এবং আমার বিশ্বাস আপনারও পছন্দ হবে এবং খুব ভালো লাগবে।
আবু বকর সিদ্দিক – :
বই পড়ার পাশাপাশি ভালোবাসি বই সংগ্রহ করতে। আমার হাতখরচের টাকা থেকে বেশ কিছু অংশ আলাদা করে রাখি বই কেনার জন্যে। এছাড়াও, মাঝেমধ্যেই আব্বুর কাছ টাকা নিই। তারপর সেই টাকার সাথে আমার টাকা মিলিয়ে যখন বেশ বড়সড় একটা অংকে দাঁড়ায়, তখনই চলে যাই বইপট্টিতে— মানে বাংলাবাজারে। কিনে ফেলি আমার পছন্দের বইগুলো।
লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে আর বই কেনা হয়ে ওঠেনি। তবে গতমাস থেকে আবার শুরু করেছি বই কেনা। বেশ কিছু বই কিনেছিলাম গতমাসে। তন্মধ্যে রশীদ জামীলের ‘পাগলের মাথা খারাপ’–এ বইটিও ছিল। যদিও অন্যান্য বই পড়ার কারণে এ বইটির কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। কিন্তু গত দুদিন আগে শেলফ গোছানোর সময় বইটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়। ব্যস্! তারপরেই বসে গেলাম বইটি নিয়ে।
বইটিতে লেখক আমাদের দেশ— তথা বাংলাদেশের বিভিন্ন সমস্যার দিকগুলো তুলে ধরেছেন। শুরুটা জাফর ইকবালকে দিয়ে করলেও— তারপর সবাইকেই তিনি উত্তম-মধ্যম দিয়েছেন। বিশেষ করে আমাদের সমাজে সুশীল নামক সু-শীলদেরকে। এদিকে নাস্তিকদেরও ছেড়ে কথা বলেননি। মোটকথা, আমাদের দেশ ও সমাজের সমস্যাগুলো তিনি তুলে ধরেছেন এবং সেই সাথে তার প্রতিকারের উপায়ও বাতলে দিয়েছেন। আমি মনে করি, এ বইটি সকলেরই পড়া দরকার। কেননা, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের দেশকে আমাদেরই বাঁচাতে হবে। শুধু সরকারের আশায় বসে থাকলে চলবে না। আর তাই আমাদের উচিত— নিজেদের দায়িত্ব সম্মন্ধে সচেতন হওয়া। এ বইয়ে লেখক আমাদের সেই দায়িত্ব সম্মন্ধেও আলোচনা করেছেন।
আমার ব্যক্তিগত অনুভূতিঃ—
একজন পাঠক হিসেবে আমি শুধু এটুকুই বলবো, এ বইটি আপনারা সকলেই পড়ুন। হ্যাঁ, আদেশের সুরেই বলছি— কারণ, এ বইটিতে আপনারা পাবেন বর্তমান সময়ের চলমান সব সমস্যার ইতিবাচক সমাধান। ‘কথার জবাব কথা দিয়ে’ আর ‘লেখার জবাব লেখা’—এই বিষয়টিই লেখক বারবার বোঝাতে চেয়েছেন। আমরা যে যেকোনো ইস্যু নিয়ে শুধু গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে তার প্রতিবাদ জানাই— এটা কতটা যুক্তিসঙ্গত? বইটি পড়লেই আপনারা সব সুস্পষ্টরূপে বুঝতে পারবেন বলে আমি মনে করি।
লেখক পরিচিতিঃ—
রশীদ জামীল— এই প্রজন্মের একজন শক্তিমান লেখক। যাকে তরুণ লেখকদের আইডলও বলা যায়। তরুণদের অনেকেই যার লেখার স্টাইল ফলো করে। রশীদ জামীল লেখালেখি করছেন ১৯৯৬ সাল থেকে। দেশবিদেশের পত্রিকা-জার্নালে লিখেছেন তিন শতাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও কলাম। ভ্রমণ করেছেন ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার অনেকগুলো দেশ।
কঠিন কথা সহজ ভাষায় লিখতে পারা কঠিন একটি কাজ। কিন্তু— এই কঠিন কাজটি রশীদ জামীল সহজভাবে করে থাকেন। সুখের মত কান্না, হুমুল্লাজিনা, বিশ্বাসের বহুবচন, জ্ঞান বিজ্ঞান অজ্ঞান, আহাফি, মমাতি, পাগলের মাথা খারাপ, চেতনার আস্তিন–সহ ৩৭টি পাঠকপ্রিয় বইয়ের রচয়িতা এই লেখক ২০০৮ সালে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ তরুণ কলামিস্ট হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন।
এই লেখকের একটি বিরাট বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি যা ভাবেন এবং বিশ্বাস করেন— তা-ই অকপটে লিখে ফেলেন। এতে কেউ খুশি হয়। আবার কেউ করে গালিগালাজ। তখন তিনি তাঁর অন্যতম আরেকটি বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগান। সেটি হলো তিরস্কার আর তোষামোদ— দুটোকেই পাশ কাটিয়ে চলা।
লেখকের পথচলা আরও প্রাণবন্ত হোক।
{লেখক পরিচিতিটি কালান্তর প্রকাশনীর ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।}
Sheikh Md. Yasin Arafath – :
❏ ভূমিকাঃ
❛পাগলের মাথা খারাপ❜ বইটি ডক্টর জাফর ইকবালের বিতর্কিত নামকরণে দূষিত বই ভূতের বাচ্চা সোলায়মান❜র প্রেক্ষাপটে রচিত। তবে মনে রাখা দরকার বইটি জাফর ইকবালের বইয়ের কাউন্টার হিসেবে লিখা হয়নি। মূলত ভূতের বাচ্চা..
নামকরণই আপত্তি থেকেই বইটি লিখা। বইটির ভালো লাগা একটি চরণ-
❛ইনসাফ জিতে যাক, স্বরব্যঞ্জনের ব্যঞ্জনায়❜
❏ বই পরিচিতিঃ
একটি নাম যেকোনো বস্তু বা ব্যক্তির শনাক্ত বহন করে। আবার সেই নামটি যদি মানুষের মনে জায়গা করে নেয় আর যেই নামটি যদি কেউ বিকৃতভাবে ইউজ করে তাহলে মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লাগাটা স্বাভাবিক। সুতরাং নামের ক্ষেত্রে কিছু যায় না আসে বল্লেও অনেক ক্ষেত্রে অনেক কিছুই যায় আসে। যেহেতু জাফর ইকবাল স্যারের বিতর্কিত বইয়ের নামের আপত্তি থেকেই বইটি লিখা সেহেতু প্রথমে জাফর ইকবাক স্যারকে নিয়েই কিছু টপিক আলোচিত হয়েছে। এই আলোচ্য অংশে স্থান পেয়েছে শ্রদ্ধেয় লেখক রশীদ জামীল ভাইয়ের সাথে জাফর স্যারের প্রথম মোলাকাতের ২ পৃষ্ঠা ধরে বর্ণনা। তাছাড়াও আলোচিত হয়েছে জাফর ইকবাল স্যার কি সত্যিই নাস্তিক? এছাড়াও নাস্তিকতার সংজ্ঞা, নাস্তিকরা যে খাঁটি ভেজাল। কারণ বঙ্গীয় নাস্তিকদের কাজই হলো ধর্মের বিরোধীতা করা আর স্পষ্ট করে বলতে গেলে ইসলাম ধর্মেরই বিরোধীতা করা। কিন্তু যারা প্রকৃত নাস্তিক তারা ধর্মের বিরোধীতা করে না, বরং সম্মান করে।
দ্বিতীয় যে বিষয়ে বইটিতে লিখিত হয়েছে নাম, নামের প্রভাব, নাম এবং অসাম্প্রদায়িকতা এই টপিকে। এই অংশে মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী সাহেবের অসাধারণ একটি ঘটনা উল্লেখিত হয়েছে। হযরত সোলায়মান (আ.) একজন জগদ্বিখ্যাত নবী সুতরাং তাঁর নাম বিকৃতভাবে ব্যবহার করে মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করাটা কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের ব্যক্তির কাজ হতে পারে না।
তৃতীয় আলোচ্য বিষয় নবীসম্রাট হযরত সোলায়মান আলাইহিস সালাম কে নিয়ে। সোলায়মান (আ.) এর অনুসারী শুধু মানবজাতিই ছিল না বরং জিনজাতিও তাঁর অনুসারী ছিল। এই অংশে আল্লাহর নবী সোলায়মান (আ.) কে নিয়ে কুরআনের আলোকে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে এবং সর্বশেষে হযরত সোলায়মান (আ.) এর জীবন ও মরণ থেকে কিছু শিক্ষা আমাদের জন্য তুলে ধরা হয়েছে।
চতুর্থ আলোচিত বিষয় আমাদের বর্তমান কথিত সুশীল সমাজকে নিয়ে তাদের সুশীলগিরি নিয়ে। তাছাড়াও এই কথিত সুশীলসমাজ সমাজ প্রগতিশীল দেখাতে গিয়ে অতি প্রগতিবাজী দেখিয়ে সমাজে নষ্টামি, নোংরামি, বেহায়াপনা করে বেড়াচ্ছে। তাছাড়া তারা মুক্তচিন্তার নামে এক বিকৃত চিন্তাধারা তরুনদের মধ্যে ঢুকাচ্ছে।
পঞ্চম সমসাময়িক বিষয় তথা আমাদের শিক্ষাব্যবসস্থা নিয়ে আলোচিত হয়েছে বইটিতে। কিছু সুশীল আছে যারা শুধু স্কুল-কলেজের শিক্ষার অনেক গান গাইবে এবং মাদ্রাসা শিক্ষাকে সেকেলে, গোঁড়া ইত্যাদি নামে অভিহিত করবে। কিন্তু স্কুল-কলেজের শিক্ষার ভুল-ত্রুটিগুলো তাদের চোখে পড়বে নাহ। তাছাড়াও বাংলাদেশে ধর্মনিরেপেক্ষতার নামে যে বিষ পান করাচ্ছে কথিত সুশীলরা তার কিছু বর্ণনা আছে।
ষষ্ঠ গুলশানের জিম্মি ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখক তার ভাবনাকে তিনটি সূত্র ধরে এগিয়েছেন-
১) এখানে হোতা কারা তাদের মূল উদ্দেশ্য কি?
২) ঘটনার প্রকৃত চিত্র কি?
৩) এখন বাংলাদেশের করণীয় কি?
বিস্তারিত বইয়ে জানতে পারবেন ইন শা আল্লাহ।
তাছাড়া এরপরে ❛সময়ের ওপাশে কারা❜ এই টপিককে নয়টি ক্যাটাগড়িতে ভাগ করা হয়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে জনগনের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। এবং ❛ভন্ডবাদ নিপাত যাক❜ টপিক টিকে ৬ টি ধাপে আলোচনা করা হয়েছে।
সর্বশেষের দিকের ❛আত্মবিস্মৃতি❜ টপিকে ওলামায়ে কেরামের দায়িত্ব, তাদের বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে আলোচিত হয়েছে। তাছাড়া যারা বর্তমানে সুশীলগিরি করে ফেতনা ছড়াচ্ছেন আলেমদের উচিত তাদের কাছে হেদায়াতের বাণী নেওয়া যাওয়া কারণ আলেমরা হলেন নায়েবে নবী। এই বিষয়টির দিকে বইটিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও এই অংশে লেখকের একটি পুরনো লিখা সংযোজন আছে; যা ৭ টি ধাপে আলোচিত। এবং শেষাংশে ❛কি পড়ব কেন পড়ব❜ টপিক টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
❏ বইটি কারা পড়বেন?
বইটি মূলত জেনারেল লাইনের স্টুডেন্ট থেকে মাদ্রাসা লাইনসহ সকলের জন্যেই উপযোগী। তাছাড়াও সমসাময়িক বিষয় উল্লেখিত থাকায় যেকোনো মানুষই বইটি পড়তে পারেন। বইটি পড়ে যেমন জ্ঞানার্জন, শিক্ষা নিতে পারবেন তেমনি মাঝে মধ্যে খুবই মজা পাবেন বইটির হাস্যরসাত্মক কথাগুলো পড়ে।
❏ লেখক পরিচিতিঃ
রশীদ জামীল এই প্রজন্মের একজন শক্তিমান লেখক। দেশ-বিদেশের পত্রিকা-জার্নালে লিখেছেন তিন শতাধিক প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও কলাম। তার লিখার একটি গুণ হলো তিনি কঠিক ভাষাকে সহজভাবে লিখে পাঠকের জন্য উপস্থাপণ করতে পারেন। তিনি প্রায় ৪০ টিরও বেশি পাঠকপ্রিয় বইয়ের রচয়িতা। ২০০৮ সালে তিনি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ তরুণ কলামিস্ট হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন।
✓ রেটিং : ০৯/১০ ✓
Moniruzzaman kha – :