শারঈ সম্পাদকঃ শায়খ Abdur Rohman
ভাষা সম্পাদকঃ Shihab Ahmed Tuhin
.
অন্ধকার গুহা। মুখ খোলা, কিন্তু আলো আসছে না। আকাশে যে রোদ নেই! অবশেষে সূর্য উদিত হল। রোদের প্রথম সে পরশ ছড়িয়ে গেল প্রান্তরে, পাহাড়ে, দ্বীপান্তরে। সে আলো চুইঁয়ে ঢুকলো আঁধার গুহাতেও।
আলো? সে এক আহ্বানের আলো।
.
কেমন করে এলো সে আলো?
নগরীর পাহাড় থেকে অনেক কাল আগে এক যুবক এলাকাবাসীকে ডেকেছিলেন। যিনি পরিচিত ছিলেন সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত নামে। দস্যুরা আক্রমণ করেছে ভেবে সবাই পড়িমরি করে পাহাড়ের দিকে ছুটে গিয়েছিল সে ডাকে। কিন্তু না! তিনি দুনিয়ার বিপদের কথা জানাতে তাদের ডাকেননি। ডেকেছিলেন পরকালের ভয়াবহ বিপদের কথা জানাতে। কেউ শোনেনি। তবে আল্লাহর ইচ্ছায় একসময় সে যুবকের দেখানো পথে বহু মানুষ আলোর দিশা পেয়েছিল।
.
আজ বহু বছর পর কিছু দস্যু সেই আলোর মশালকে নিভিয়ে দিতে পঙ্গপালের মত আক্রমণ করেছে। ওদের লক্ষ্য, একজন মুমিনের জীবনে সবচে’ দামী সম্পদ ঈমানকে ছিনিয়ে নেয়া। মুসলিমদের জীবনটাকে উদ্দেশ্যহীন বানিয়ে ফেলা। অন্ধকার জগতের সেই ডাকুদের বিরুদ্ধে এ বই ক্ষুদ্র এক প্রচেষ্টামাত্র। যেন ঈমানদারেরা তাদের হীনমন্যতা ঝেড়ে ফেলে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে।
.
আর গুহার অধিবাসীরা ফিরে আসে অন্ধকার থেকে আলোতে।
শারঈ সম্পাদকঃ শায়খ Abdur Rohman
ভাষা সম্পাদকঃ Shihab Ahmed Tuhin
.
অন্ধকার গুহা। মুখ খোলা, কিন্তু আলো আসছে না। আকাশে যে রোদ নেই! অবশেষে সূর্য উদিত হল। রোদের প্রথম সে পরশ ছড়িয়ে গেল...
আরো পড়ুন
codeoflife – :
*বইঃ অন্ধকার থেকে আলোতে -২
*লেখকঃ মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান মিনার
*প্রকাশনীঃ সমর্পণ প্রকাশন
*পৃষ্ঠাঃ ১৬৮
*মূল্যঃ ২৫০ টাকা (৩০% ছাড়ে ১৭৫ টাকা)
____________________
নাস্তিক মুক্তমনাদের অন্ধকার জগতের বিরুদ্ধে সংগ্রামে লেখকের এটি ২য় বই।১৬৮ পৃষ্ঠার এই বইয়ে তিনি পবিত্র কুরআন,হাদিস,তাফসির,সিরাত, বিভিন্ন গবেষণা এমনকি non muslim এবং secular source থেকেও মোট ৩৫৯ টি reference দিয়ে তিনি নাস্তিক মুক্তমনাদের দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছেন।
___________________
এই বইয়ে তিনি মোট নাস্তিক মুক্তমনা ও ইসলাম বিরোধীদের ১৭ টি অভিযোগের জবাব দিয়েছেন।
বইটি শুরুই করেছেন তিনি মুহাম্মদ সাঃ এর নবুয়তের সত্যতা নিয়ে নাস্তিক মুক্তমনারা যে অভিযোগ তুলে তার উচিৎ জবাব দিয়ে। নামাজ রোজার পার্থিব উপকারের জন্য পালন করা না আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পালন করা উচিৎ তাও তিনি লিখেছেন। নাস্তিক মুক্তমনারা কুরআনকে প্রাচীন কবি ইমরুল কায়েসের কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে; লেখক এরও উচিত জবাব দিয়েছেন।আল্লাহ কেন শয়তান সৃষ্টি করলেন?এই লেখাটি ছিল অসাধারণ। কারণ কোনো কিছুর পূর্ণ মাহাত্ম্য বোঝা যায় এর বিপরীতধর্মী কোনো কিছুর মাধ্যমে। ইসলামের সড়ক নিরাপত্তার মূলনীতি নিয়ে তিনি লিখেছেন। কাবা ও আল আকসা নির্মাণের সময়ের ব্যবধান সম্পর্কে হাদিসের তথ্যের যৌক্তিকতাও তিনি তুলে ধরেছেন। জিজিয়াকে অনেকে অমুসলিমদের প্রতি শোষণমূলক বিধান মনে করে। লেখক দেখিয়েছেন জিজিয়ার চেয়ে ভালো বিধান আর হতে পারে না। হাদিসে গিরগিটি হত্যার বিধান , এই নিয়েও তিনি চমৎকার লিখেছেন। অনেক খ্রিষ্টান মিশনারি দাবি করে কুরআনে নাকি খ্রিস্টানদের Trinity নিয়ে ভুল তথ্য আছে, লেখক এরও দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছেন।নাস্তিকরা বলে, আল্লাহ কী করে শেষরাতে পৃথিবীর নিকটতম আসমানে নেমে আসতে পারেন, যেখানে পৃথিবীর সর্বত্রই কোনো না কোনো সময় শেষরাত থাকে?
লেখক খুব সুন্দর করে এর জবাব দিয়েছেন।ইহুদিরা কি আসলেই উজাইর(Ezra) কে আল্লাহর পুত্র বলে বিশ্বাস করে?এ নিয়েও লেখা আছে এই বইয়ে। এছাড়াও বর্তমান মুসলমানদের দুরবস্থা ও ইসলামের সত্যতা নিয়ে লিখেছেন তিনি। সর্বশেষ এক গল্প দিয়ে বইটির ইতি টেনেছেন।
___________________________
আজ নাস্তিক মুক্তমনা ও ইসলাম বিদ্বেষীরা ইসলামের আলোর মশালকে নিভিয়ে দিতে হায়েনার মতো আক্রমণ করছে। লক্ষ্য একটাই,একজন মুমিনের জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ ঈমানকে ছিনিয়ে নেওয়া, তার জীবনটাকে উদ্দেশ্যহীন বানিয়ে ফেলা।অন্ধকার জগতের সেই ডাকুদের বিরুদ্ধে এই বই ক্ষুদ্র এক প্রচেষ্টা মাত্র। যাতে বিশ্বাসীরা তাদের পালে হাওয়া পায়।
_____________________
“অন্ধকার থেকে আলোতে” সিরিজের ২য় বই এটি। এই সিরিজটি আমাদের সব মুসলমানের একবার হলেও পড়া উচিত, যাতে আর কেউ ইসলাম নিয়ে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করলে আমরা তার দাঁতভাঙা জবাব দিতে পারি।আল্লাহ এই বইয়ের লেখকের লেখায় বারাকাহ দান করুক,আমিন।
______________________
🔥রিভিউ লেখকঃ Abdullah Mohammad
______________________