অবিশ্বাসের বিভ্রাট
পৃষ্ঠা – ১৪০
কাভার- হার্ড কাভার
যাদের লেখা থাকছে:
Asif Adnan
Nafis Shahriar
Rafan Ahmed
Muhammad Mushfiqur Rahman Minar
ডঃ জাভেদ আকবার আনসারী
মাওলানা আব্দুল মাজিদ দরিয়াবাদী
লস্ট মডেস্টি ব্লগ পর্নোগ্রাফিঃ মানবতার জন্য হুমকি
Tanbir Hasan Bin AbdurRofiq
Hossain Shakil
Mahfuj Alamin
বিশ্বাস প্রতিটি মানুষেরই অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। বিশ্বাস ছাড়া কোনো সুস্থ মানুষই পাওয়া যাবে না। অনেক মানুষ, হরেক রকম বিশ্বাস। কিন্তু সকল বিশ্বাসই সঠিক বিশ্বাস নয়, হতে পারে না। কেবলমাত্র একটি বিশ্বাসই শ্বাশ্বত ও নির্ভুল হতে পারে। এক শ্বাশ্বত, সঠিক ও নিখাঁদ বিশ্বাসের স্বচ্ছ জলধারা আজ ছায়াচ্ছন্ন অজস্র অবিশ্বাসের কালো আঁধারে। ফলে সেই বিশুদ্ধ জলধারাকে আজ দেখতে হচ্ছে অবিশ্বাসের রঙে, ঢঙে। ছদ্মবেশে হরেক রকম বিশ্বাস নামের কু-বিশ্বাসে বিশ্বাসের গতর জড়িয়ে আছে। বিশ্বাসের চারার সাথে লেপ্টে আছে কিছু অবিশ্বাসের আগাছা। সেই নিখাঁদ বিশ্বাসের স্বচ্ছ প্রস্রবণ থেকে অবিশ্বাসের অপছায়াগুলোকে সরিয়ে দেওয়ার একটি ছোট্ট প্রয়াস ‘অবিশ্বাসের বিভ্রাট’। বিশ্বাস শরীরের রক্তের মত, রক্ত মানুষের প্রাণ সচল রাখে, সেই রক্তের সাথে যখন বিষাক্ত পদার্থ মিলিত হয়ে যায় তখন রক্তকে শুদ্ধ করা জরুরী হয়ে পড়ে, তা না হলে মানুষের জীবন ঝুঁকির মুখে পতিত হয়। রক্তকে বিশুদ্ধ করতে হলে রক্তের সাথে বয়ে বেড়ানো দূষণকে বের করে দিতে হয়। একইভাবে বিশ্বাসকে খাঁটি করতে হলেও বিশ্বাসের সাথে বিশ্বাস নাম নিয়ে ঘাপটি মেরে থাকা মলিন অবিশ্বাসগুলোও চিনে নিতে হবে। যাতে করে শ্বাশ্বত বিশ্বাসের বিমল জলধারা থেকে সকল অবিশ্বাসের আভাস দূর হয়ে যায়, কোনো মুখোশধারী আগাছা এগিয়ে এসে বিশ্বাসকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করতে না পারে, বিশ্বাস যেন তার অমলিন, নির্মল আর আবিল রুপে ফিরে আসতে পারে। যেই বিশ্বাস মানুষের মুক্তির একমাত্র রাজপথ। আজ বিশ্বাসের সেই আগাছাগুলোকে চিনে দেওয়াই আমাদের ইচ্ছা ও লক্ষ্য।
-
-
hotপ্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স225 ৳220 ৳কভার: হার্ড কভার পৃষ্ঠা: ১৬৮ বর্তমান যুগ হলো ...
-
featureচিন্তাপরাধ
লেখক : আসিফ আদনানপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন190 ৳পৃষ্ঠা - ১৯২ 'যতক্ষণ সাম্রাজ্যের সার্বভৌমত্ব স্বীকার ...
-
hotডাবল স্ট্যান্ডার্ড
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার400 ৳280 ৳কিছু লোক ইসলামকে সে শত্রু হিসেবে ...
-
hotপ্রত্যাবর্তন
লেখক : সমকালীন সংকলন টিমপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন350 ৳227 ৳মুসলিমের ঘরে জন্ম নিয়েও আমি হয়ে ...
-
hotডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২.০
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন392 ৳290 ৳দ্বীন নিয়ে অজ্ঞতা আমাদের সমাজের রন্ধে ...
-
hotআরজ আলী সমীপে
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন260 ৳169 ৳আরজ আলী মাতুব্বর। জন্মেছেন বরিশালে। প্রাতিষ্ঠানিক ...
-
hotজবাব (পেপার ব্যাক)
লেখক : আরিফ আজাদ, জাকারিয়া মাসুদ, ডা. শামসুল আরেফীন, মহিউদ্দিন রূপম, মুহাম্মাদ মুশফিকুর রহমান মিনার, রাফান আহমেদ, শিহাব আহমেদ তুহিনপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন315 ৳205 ৳আমরা হয়ত অনেকেই জানি না, জনপ্রিয় ...
-
hotকষ্টিপাথর
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার360 ৳252 ৳আরবীতে একটা প্রবাদ আছে, كل شيء يرجع ...
-
সংশয়বাদী
লেখক : ড্যানিয়েল হাকিকাতজুপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন260 ৳ড্যানিয়েল হাক্বিকাতযু। হালের একজন দা'ঈ ইলাল্লাহ। ...
-
Wahida Akhtar Sanna – :
বিশ্বাসের দেয়ালে যাদের অবিশ্বাসের চিড় আছে অথবা বিশ্বাস নিয়ে যাদের মানসিক অবস্থান আগে থেকেই শক্ত, উভয় শ্রেণির পাঠকই পড়তে পারেন বইটি। শুধু অবিশ্বাসীদের জন্য নয় বরং বিশ্বাসীদের মধ্যে যারা নিজের প্রবৃত্তির অনুকরণে ইসলামের নতুন এবং সুবিধাজনক ব্যাখ্যা দিতে চান, তাদের সকলের জন্য উপকারী হবে বইটি।
বইটতে অধ্যায় আছে মোট ১৪টি।
– সংশয় পথ
– স্রষ্টার অস্তিত্ব এবং কিছু বিভ্রান্তির অবসান
– বিবর্তন বনাম স্রষ্টা?
– পুঁজিবাদের কালিমা
– পুঁজিবাদ, সমতা ও সমধিকার
– হিউম্যানিজম ও স্বাধীনতার যথেচ্ছা ব্যবহার
– প্রাচ্যবাদী চশমা
– আলেয়ার আলো
– স্বর্গের দিন স্বর্গের রাত!
– ইসলামে কি আদৌ ধর্ষণের শাস্তি বলে কিছু আছে?
– সাহাবী উবাই ইবনু কা’ব(রা)-এর মুসহাফে অতিরিক্ত সুরা ছিলো কি?
– সাত হরফ কি কুরআনের একাধিক ভার্সন?
– মুসলিমরা দলে দলে বিভক্ত, তাহলে ইসলাম কীভাবে সত্য ধর্ম হয়?
– ফিরে তাকাও
একেকটি অধ্যায় একেকজন লেখকের লেখা হওয়ায় বইটির তথ্য সম্ভার বিশাল। জুন ২০১৯ এ প্রকাশিত বই হওয়ায় এতে উঠে এসেছে #MeToo_movement সহ একেবারে সাম্প্রতিক অনেক তথ্য।
‘হিউম্যানিজম ও স্বাধীনতার যথেচ্ছা ব্যবহার’ – অধ্যায়টিতে ‘স্বাধীনতা’র নতুন ব্যাখ্যা পেয়েছি। ‘প্রাচ্যবাদী চশমা’ অধ্যায়ে কার্লাইলের মত মনীষীর ভণ্ডামি তুলে ধরা হয়েছে, দেখানো হয়েছে নবীজী (সাঃ)-এর অনেক গুনগান করেও মিছরির ছুরি ব্যবহার করে এমন ভণ্ড ব্যাক্তিরা কিভাবে ইসলামের ক্ষতি করে যাচ্ছে।
নাস্তিকদের উত্থাপিত কিছু প্রশ্নের উত্তর আছে; আছে পাশ্চাত্যের জীবনের আদতে বহুল আকাঙ্ক্ষিত মনে হলেও আসলে কত করুণার, চাকচিক্যময় জীবনের উন্নতি আর সুখ-শান্তির আড়ালে কি ভয়াবহ সত্য লুকিয়ে আছে – কারণসহ তার ব্যাখ্যা!
এই বইটিতে ভিন্ন ভাষা থেকে অনুবাদকৃত লেখা স্থান পেয়েছে মোট ৩টি। আমি বেশির ভাগ সময়ই অনুবাদ পড়ে মজা পাই না, এখানকার ৩টির মধ্যে ২টির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আর কিছু খুব ছোটখাটো টাইপিং মিস্টেকও চোখে পরেছে।
সবশেষে বলতে হয়, সাধুরূপী ভণ্ডদের ভণ্ডামির কবলে পরে অবিশ্বাসের শেকড় প্রোথিত হওয়ার আগেই তা যাচাই করে নেয় দরকার। ‘কেউ শমসের নিয়ে এগিয়ে এলে তার বিপক্ষে তরবারী ধরা যায়, কিন্তু যে জানের দোস্ত সেজে সাক্ষাৎ বিষ নিয়ে আসে তাকে রুখবে কার সাধ্য?’
আব্দুর রহমান – :
কিন্তু ইসলাম কে বুঝতে হলে নাস্তিকদের যুক্তি দিয়ে বুঝানোর দরকার নেই। কেননা ইসলাম কোন যুক্তির ধর্ম না। বরং যুক্তি যেখানে শেষ সেখান থেকেই ইসলামের শুরু। ইসলাম থেকে খুজে নিতে হয় কল্যান। যে ইসলাম দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যান লাভের একমাত্র মাধ্যম।
ইসলামের বিধান বুঝার ক্ষেত্রে যুক্তি ও বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের কার্যকারিতা আছে । কিন্তু সেটা একমাত্র মানদন্ড নয়। কেননা যুক্তি ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা আছে। সেই সাথে এগুলো সর্বদা পরিবতনশীল ।
নাস্তিকদের সংশয় গুলোর জবাব দিয়ে ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরার মানসে রচিত একটি অন্যতম বই ” অবিশ্বাসের বিভ্রাট “। বইটি নাস্তিকদের যুক্তি ও অপব্যাখায়া গুলোর প্রতিবাদ করেই লেখা নয়। বরং আরো অনেক ধরনের লেখাই স্থান পেয়েছে। বইটি একটি সংকলিত গ্রন্থ। এখানে বেশ কয়েকজন লেখকের লেখা স্থান পেয়েছে। যারা ইতোমধ্যেই লেখক ও সম্পাদক হিসেবে বেশ পরিচিতি অর্জন করেছেন। লেখকগণ হলো-
আসিফ আদনান
নাফিস শাহরিয়ার
রাফান আহমেদ
মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান মিনার
ড: জাভেদ আকবার আনসারী
মাওলানা আব্দুল মাজিদ দরিয়াবাদী
লস্ট মডেস্টি ব্লগ
তানভীর হাসান বিন আব্দুর রফিকখোসাইন শাকিল
মাহফুজ আলামিন
বইতে এসব লেখকদের সর্বমোট ১৪ টি প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে।
মনের বিশ্বাস কে নাস্তিকদের বোনা অবিশ্বাসের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করে একই সাথে বিশ্বাসের ভিত্তি মজবুত করার জন্য লেখকগণ এখানে শব্দের পর শব্দের পশরা সাজিয়েছেন। কখনো বিজ্ঞান, কখনো ধর্ম, আবার কখনো যুক্তি, দর্শন, ও ইতিহাসের সাহায্যে তথ্যগুলোকে সহজ ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। বইটির প্রতিটি প্রবন্ধ নাস্তিকদের বিভিন্ন সন্দেহ ও সংশয়ের জবাবে এক একটি হাতিয়ার স্বরুপ।
.
# ব্যক্তিগত অনূভুতিঃ- #
ব্যক্তিগত অনূভুতি যদি বলতে হয় তাহলে বলবো বইটি এককথায় অসাধারন। বইয়ের প্রতিটি পাতায় রয়েছে লেখকগণের কঠোর পরিশ্রমের ছোয়া।
বইটি পড়ার পর বুঝতে পেরেছি সমাজের প্রতিটি কোনায় কোনায় কি অবলীলায় না নাস্তিকতার মতবাদের ইন্দ্রজাল প্রথিত হয়েছে। বইটি সংকলিত গ্রন্থ হওয়ায় প্রত্যেকের লেখায় যেন ভিন্নরকম স্বাদ রয়েছে । প্রবন্ধগুলো সাজানো হয়েছে অসংখ্য তথ্য, উপাত্ত ও রেফারেন্স এর মাধ্যমে । বইয়ের সুখপাঠ্য গদ্য ও অভিনব উপস্থাপন কৌশল পাঠককে আকৃষ্ট করে রাখবে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।
বইটি হতে পারে নাস্তিকতার বিভীষিকাময় অন্ধকার জীবনে এক পশলা বৃষ্টি, একটু মুক্ত বাতাসের সন্ধান ।
সব মিলিয়ে বইটি খুবই ভালো এবং উপকারী।
নাস্তিকতার ভয়াল থাবায় আজ জর্জরিত পুরো সমাজ। তাই সকল পাঠক বইটি একবার হলেও পড়ুন। আর মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন অবিশ্বাসের জঞ্জাল সেই সাথে অন্তরে ফুটিয়ে তুলুন ইসলামের সৌন্দর্য।
nishumoshiur – :
আমাদের সমাজ ব্যবস্থা প্রতিটা ক্ষেত্রই যখন ষড়যন্ত্রের শিকার, তখন একদল হক্বপন্থী মানুষ বের হবেই ষড়যন্ত্রগুলোকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখে দেয়ার। মানুষকে সচেতন করতে একদল মানুষ সামনে আসবেই, যারা সমাজকে ষড়যন্ত্রের হাত থেকে বাঁচানোর। তেমনি কিছু সংখ্যক দ্বীনদার ভাইয়ের প্রচেষ্টায় সমাজের কিছু বাতিল দৃষ্টিভঙ্গি ও মতবাদ নিয়ে সংকলিত হয়েছে এই বই।
বই পর্যালোচনাঃ
শুরুতেই আসিফ আদনান ভাইয়ের আকর্ষণীয় ও বর্তমানে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় নিয়ে অধ্যায় আছে, যার নাম ‘সংশয় পথ’। আমাদের সমাজে এক শ্রেণীর সংশয়বাদী দেখা যায়, যাদের নিয়ে পরবর্তীতে মুসলিমদের মাঝে একটা দল তৈরী হয়ে যাচ্ছে। এই দল নিজেকে ইলসামের গণ্ডি থেকে বাহির না করে, নিজেরাই পশ্চিমাদের মতো একটা ইসলামকে সমাজের সামনে নিয়ে এসেছে। এই মডারেট, পশ্চিমা ইসলাম একমাত্র পবিত্র ইসলাম ধর্মের অনেক বিষয়কে পশ্চিমাদের পছন্দ মতো করে সমাজে পরিচয় করে দিচ্ছে। যেমন- নারীর অধিকার, যিনা, সমকামিতা ইত্যাদি। লেখক যথেষ্ট তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে এর অন্তর্নিহিত কারণসমূহ ও প্রতিকারে উপায় উল্লেখ করেছেন।
এরপরের অধ্যায়ে স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিগুলোর বুদ্ধিবৃত্তিক উত্তর দেয়া হয়েছে। সঠিকভাবে শিক্ষা না দেয়ার প্রভাবে কিছু নাস্তিকের প্রশ্নে অনেকেই জ্ঞান কম থাকার কারণে চট করেই বিভ্রান্তির শিকার হয়। অথচ সেসব প্রশ্নের সহজ উত্তর নিজেরাই পারবো, শুধু একটু চিন্তার মোড়কে পরিবর্তন করতে হয়। মানুষ তো সৃষ্টিগতভাবেই অনুগত পরায়ণ। যখন সে আসল সৃষ্টিকর্তার অানুগত্য করবে না, তখন সে নিজের অথবা অন্যদের বানানো নকল সৃষ্টিকর্তার আনুগত্য করবে। আনুগত্য কিন্তু সে করবেই।
বর্তমান সমাজ পুঁজিবাদ ছাড়া কল্পনা করা যায় না। দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্র এখন পুঁজিবাদের শিকার। সমাজতন্ত্র ভেঙে যখন নতুন এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা আসলো, নিয়ে আসলো অনেক আশা। কিন্তু সেটা ছিল শুভঙ্করের ফাঁকি। সম্পদের মালিকানা ব্যক্তিগতভাবে জনগণ পেল, কিন্তু সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার করতে পারলো শুধু ঐ পুঁজিপতিরাই। দুনিয়ার মোট সম্পদের বিশাল অংশ মাত্র কয়েকজন মানুষের হাতে। এই মতবাদে জনগণকে অনেক কিছুর অধিকার দেয়ার কথা বললেও আসলে সেসব দেয়া হয় না। জনগণ এখানে শুধু সেসব অধিকার চাইতে পারবে, যেসবের অধিকার পুঁজিপতিরা দিতে রাজি থাকবে। এভাবে আরও বিশ্লেষণ নিয়ে সাজানো হয়েছে দুটি অধ্যায়।
হিউম্যানিজম নিয়ে সাজানো পরের অধ্যায়টি বর্তমান সমাজের আরেক ভেলকি। এখানে মানুষকে পরম বিচারকের আদালতে স্থান করে দিয়ে, তাকে যা ইচ্ছা তাই করার অধিকার দেয়াকেই মূলত হিউম্যানিজম বলে। দার্শনিকদের সংজ্ঞাকে বিশ্লেষণ করলে যে সংজ্ঞা বের হয়, আসলে তা বর্তমান প্রেক্ষাপটের সাথে মিলে না। প্রত্যেক মানুষেরই নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে। এসব দৃষ্টিভঙ্গি কারো না কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়। অতএব একদল মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এক হলেও, অারেকদলের দৃষ্টিভঙ্গি এক হবে না। তাই কোনভাবেই মানুষ ভুলত্রুটির উর্ধ্বে হতে পারে না। কিন্তু এই মতবাদে এই বিষয়কে এড়িয়ে মানুষের মনকে স্বয়ং সম্পূর্ণ ধরে বিচার করা হয়েছে। অথচ ইসলাম নির্দিষ্ট সমীনার ভেতর মানুষকে তার স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের প্রতি দৃষ্টি দিয়েছে। সেগুলো পূরণের হালাল ও উত্তম পন্থা বলে দিয়েছে। এই হিউম্যানিজম যে সমাজ ও ইসলামের জন্য ক্ষতিকর তা এই অধ্যায়ে দেখানো হয়েছে।
সমাজের বিভিন্ন বাতিল মতবাদ ও ষড়যন্ত্রের আলোচনা হবে অথচ প্রাচ্যবিদ্যার কথা আসবে না, তা হতে পারে না। ইসলাম আসার পর থেকে এই বিদ্যার চর্চা পশ্চিমারা যে কত বেশি পরিমাণ করেছে, তা একজন সচেতন মুসলিম একটু চারিদিকে নজর দিলেই টের পাবে। মাওলানা দরিয়াবাদী সাহেবের এই লেখা অনুবাদ করে নিয়ে আশা অবশ্যই মিনারাহ ডেস্ক প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। নাস্তিক ও তাদের দেয়া দলিল সমন্ধে জানতে প্রাচ্যবিদ্যার পরিচয় জানা অবশ্যক। তাদের দলিলের যে কোন দলিল নেই তা সমাজের কয়জনই আর খবর রাখে। কিছুটা ভাল লেখা লেখে তাতে কিছুটা বিষাক্ত চিন্তা মিশালে অনেকেই বুঝতে পারে না, যে লেখকের উদ্দেশ্যটা কি। সে কি সত্যই লেখেছে, নাকি ষড়যন্ত্র করেছে। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিয়ে প্রাচ্যবিদদের ষড়যন্ত্রের কিছু নমুনা তুলে ধরা হয়েছে।
বর্তমান সমাজে নারীর যৌন নিপীড়ন এক নতুন স্তরে এসেছে। এই ‘লস্ট মডেস্টি’ ব্লগের দুটা অধ্যায় এখানে এসেছে। যেখানে উন্নত সভ্যতার দাবিদার পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যৌন নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্রের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। অথচ ইসলাম কত বেশি নিরাপত্তা নারীদের দিয়েছে, যার উদাহরণ আমরা ইসলামী সমাজে আমরা ইতিহাসে দেখছি।
এরপরে নাস্তিকদের ইসলাম নিয়ে চারটি প্রশ্নের বিতর্ককে খণ্ডায়ন করা হয়েছে, দলিল ও যুক্তি দিয়ে। শেষ অধ্যায়ে, মাহফুজ আলামিন ভাইয়ের বর্তমান তরুণ প্রজন্মের প্রতি হৃদয় নিঙরানো কথা তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে তরুণ প্রজন্মকে পশ্চিমাদের দেয়া ভয়ংকর চশমাকে চোখ থেকে সরিয়ে, প্রকৃত সত্য খোঁজার প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। বই প্রকাশ ও এতে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যকে তুলে ধরা হয়েছে, যে তরুণরা যেন এসব বাতিল মতবাদ ও ষড়যন্ত্রের জালে আটকে না যায়। তারা যেন সুস্থ দুনিয়াগঠন করে বাঁচতে শেখে এবং শেখায়।
বইটার পৃষ্ঠা সজ্জা চমৎকার হয়েছে। অধ্যায় বিন্যাস ভাল হয়েছে। নাস্তিকদের প্রশ্নের উত্তরের অধ্যায়ের বদলে আরও কিছু বাতিল মতবাদের বিশ্লেষণ আনলে পাঠকগণ আরও উপকৃত হতো। পাঠকগণ বইট পড়ে তাদের চিন্তাধারা ও মানসিকতার পরিবর্তনের ইচ্ছা অবশ্যই করবে বলে আশা করি।
Rifath – :
মাস্টারপিস ꫰ আর হ্যাঁ WafiLife এর সার্ভিস অনেক ভালো ꫰ ঢাকার বাইরে ৩-৪ দিনের ভেতরেই পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ
Rifath Ahmed – :
মাস্টারপিস ꫰ আর হ্যাঁ WafiLife এর সার্ভিস অনেক ভালো ꫰ ঢাকার বাইরে ৩-৪ দিনের ভেতরেই পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ