13 রিভিউ এবং রেটিং - অবাধ্যতার ইতিহাস
Showing 10 of 13 reviews (5 star). See all 13 reviews
যেভাবে আর যে কারণে ধ্বংস হয়েছে পূর্বের অনেক সভ্যতা, যেভাবে মানুষকে বরণ করতে হয়েছিলো আল্লাহর অনিবার্য আযাব—তার আদ্যোপান্ত জানতেই ‘অবাধ্যতার ইতিহাস’ বইটি। মোটকথা, কীভাবে আমরা ইউরোপীয় চিন্তাগুলোকে গ্রহণ করে আমাদের দ্বীন ছেড়ে দিয়েছি। তার ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে এই বইতে।
smshaheen97 – :
‘ধর্ম’ বিষয়ে পূর্ব এবং পশ্চিমের অভিজ্ঞতা একেবারে বিপরীত দুই মেরুর। প্রাচ্য যখন ইসলামের আলোয় আলোকিত হয়ে সারা দুনিয়ায় ছড়ি ঘুরিয়ে বেড়াচ্ছে—রাজনীতি, সমরনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান ও জাগতিক সকল বিষয়ে; ঠিক তখনই পাশ্চাত্যে (বিশেষ করে ইউরোপ) বিকৃত খ্রিষ্টবাদের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে লক্ষ লক্ষ জনতা। চার্চের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে যখন তাদের অবস্থা অবর্ণনীয়; ঠিক তখনই ডাক এলো ‘এনলাইটমেন্টের’—ধর্মের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য। মানুুষ বিদ্রোহ ঘোষণা করলো ধর্মের বিরুদ্ধে, স্রষ্টার বিরুদ্ধে।
ধর্ম নিয়ে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকলেও আমাদের সেসবের বালাই নেই। ধর্ম আমাদের জন্য সব সময় রক্ষাকবচের মতো কাজ করেছে। ফলে ইউরোপের অভিজ্ঞতার ফলাফল প্রাচ্যে এসে প্রয়োগ করার সুযোগ নেই। কিন্তু মানবতার (!) ফেরিওয়ালা পশ্চিমা ডাকাতেরা মুসলিম শাসনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বস্তুগত সকল কিছু যেমন লুটে নিয়েছে এ অঞ্চল থেকে, তেমনি তাদের ভ্রান্ত চিন্তার বীজও বুনে দিয়ে গেছে মানুষের চিন্তা ও মননে। ফলে আধুনিক হওয়ার নামে আজকে আমরা আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের সঙ্গে ধৃষ্টতা দেখাতেও পিছপা হচ্ছি না। বিষয়টি এমন এসে দাঁড়িয়েছে—আমাদের শরীর এখানে অবস্থান করলেও চিন্তা ও বিবেক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে পশ্চিম থেকে।
•
ডা. শামসুল আরেফীন এদেশে তরুণদের চিন্তার বাঁক বদলে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছেন। তার লেখা ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’ বইটি পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম। অসাধারণ যুক্তিতর্কের আদলে তিনি নব্য নাস্তিকদের করা প্রশ্নগুলোর সমুচিত জবাব দিয়েছিলেন। এরপর ওই ধারার আরও কয়েকটি বই তিনি লিখেছেন। তবে আমাদের আলোচনার বইটির বিষয়বস্তু একেবারে ভিন্ন। এখানে যেমন রয়েছে ইতিহাসের ঘটনাপ্রবাহ—ইউরোপে খ্রিষ্টবাদের ইতিহাস ও ই/হু-দিবাদ নিয়ে আলোচনা, তেমনি রয়েছে মুসলিম যুবকদের চিন্তাকে শাণিত করে দেওয়ার মতো কিছু বিষয়।
আধুনিক সময়ে এসে যে মতবাদগুলো বিশ্বে খুব প্রসার লাভ করেছে—গণতন্ত্র, নারীবাদ, সমকামী আন্দোলন, স্যেকুলারিজম, পুঁজিবাদ এগুলো নিয়ে দারুণ আলোচনা এসেছে। একজন পাঠক বইটি পাঠ করতে গিয়ে এই বিষয়গুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি এর সমস্যা এবং তা থেকে উত্তরণের পথও খুঁজে পাবে সহজেই। যেহেতু বইটি একাডেমিক ধাঁচে লেখা, তাই প্রচুর রেফারেন্স রয়েছে; যা পাঠককে আরও গভীরে গিয়ে পড়াশোনা করতে উদ্বুদ্ধ করবে।
‘অবাধ্যতার ইতিহাস’ বইটিকে আমার কাছে ইতিহাস, দর্শন, ইসলামি মূল্যবোধ ও নানান মতবাদ সম্পর্কে জানার জন্য একটা স্পেশাল ‘প্যাকেজ’ বলে মনে হয়েছে। আমি মনে করি—প্রতিটি সচেতন তরুণ-তরুণীর জন্য বইটি অপরিহার্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। কারণ, আমাদের জানা দরকার ঠিক কোন্ সময়ের মধ্য দিয়ে আমরা এগিয়ে চলছি।
Anjuman Naher Jui – :
উম্মতের এই হালত হলো কিভাবে আজ? অন্তরে এমন প্রশ্ন আসে কি! অন্তর কি তখন ছুটে বেড়ায় এর উত্তরের সন্ধানে?
কারণ আমরা আজ খুলে ফেলেছি সোনার হার, নামিয়েছি মুকুট। কেন খুললাম আমরা? কাদের ইশারায়?
পশ্চিমাদের! তাদের সাথে যে ধর্মের সম্পর্কটা বড়োই গোলমেলে আর ভয়াবহ। তাদের চোখ দিয়ে যদি ইসলাম কে দেখতে চাই তাহলে তো ইসলাম একটা ধর্ম ব্যতীত আর কিছুই নাহ। কিন্তু ভাই ইসলাম একটা দ্বীন। পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। সর্বকালের সর্বযুগের উপযোগী, আধুনিক।
একটু চোখ বুলান মুসলিম বিশ্বে আমাদের অভিজ্ঞতার দিকে। কি ছিলাম আমরা সেই স্বর্নযুগে! ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ,অর্থনীতি,রাজনীতি সকল দিক দিয়ে রোল মডেল।
আর তাদের কাছে উপস্থাপিত বিকৃত ধর্মে তাদের অভিজ্ঞতা ছিল নিকৃষ্ট। সেই সময়ে ছিল তারা সবচেয়ে নির্যাতিত। তাই তো তারা ধর্মের শিকল খুলে আজ শান্তির বয়ান দিয়ে যায়। আর আমরা শান্তিকে মাটি চাপা দিয়ে তার উপর দাড়িয়ে শান্তি খুঁজে বেড়াই। কি আজব আমরা!!
উম্মত নিজেকে জানো। ইতিহাস পড়, শোনো। এই বইটি এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে মোটেও মনে হবে নাহ ইতিহাস পড়ছেন। এর প্রতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে মনে হবে কেউ আপনার অন্তর নাড়া দিচ্ছে। মনে কেউ বলছে-” উম্মত দেখ কেন হচ্ছে এসব! কি কি করতে হবে আমাদের।”
আলহামদুলিল্লাহ, লেখককে অসংখ্য মুবারকবাদ এমন একটি যুগোপযোগী তথ্যবহুল বইয়ের জন্য। এর সাথে সম্পৃক্ত সকলকেই মুবারকবাদ।
Mohammad Shahjahan – :
A must read book. I would definitely recommend this book to every Muslim brothers and sisters. May Allah make us find the straight path.
তানভীর আহমেদ নিলয় – :
বইটা একটা আস্ত প্যাকেজ বলা যায়। আমাদের জীবন চলার পাথেয় হিসেবে অনেক সুন্দর একটা সলিউশন।
অবাধ্যতার ইতিহাসে মূলত জানানো হয়েছে-
১. আমাদের অতীত ইতিহাস।
২. আমাদের কে লুটে পুটে খেয়েছে কিভাবে বিদেশিরা!
৩. আমরা কিভাবে অবাধ্য হয়ে নিজেদের পায়ে নিজেই কুড়াল মেরে চলেছি।
৪. কিভাবে আমরা কাফির দের অনুসরণ করে নিজেদের জান্নাতের পিথ থেকে দূরে সরে গেছি।
৫. কিভাবে দুনিয়ার সফলতার নামে আমরা দিন দিন জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছি খোদ দুনিয়াকেই।
৬. কি কি ফ্যাক্টর আমাদের জাতীর অধপতনের মূল কারণ।
৭. উনার গুরুত্বপূর্ণ নসীহা।
আমার পক্ষে সম্ভব হলে আমি বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে এই বইটি কিনে উপহার দিতাম।
আল্লাহ ডা সাহেব কে উত্তম বদলা দান করুন। আমিন।
আশরাফুল আরেফিন – :