মেন্যু
nobijir shongshar

নবীজির সংসার ﷺ

অনুবাদ: আয়াতুল্লাহ নেওয়াজ পৃষ্ঠা: ১৬৭ হার্ড কভার নবীজি! আমাদের নবীজি! আমাদের প্রাণের চেয়ে প্রিয় নবীজি! কখনো কী ভেবেছি নবীজি স. এর সংসার জীবন কেমন ছিলো? স্ত্রীদের সাথে কেমন ছিলেন তিনি? তিনিও যে স্ত্রীদের সাথে... আরো পড়ুন
পরিমাণ

198  267 (26% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

14 রিভিউ এবং রেটিং - নবীজির সংসার ﷺ

4.9
Based on 14 reviews
5 star
92%
4 star
7%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
Showing 13 of 14 reviews (5 star). See all 14 reviews
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    Sheikh Israt:

    নবীজি..!
    আমাদের সবার প্রিয় নবীজি যার কথা শুনলেই চোখ হয় অশ্রু-সজল..।
    যার নাম উচ্চারণ করলেই আমরা দরুদপাঠ করি।
    সেই নবীজি (স.) এর সংসার কেমন ছিলো কখনো কি ভেবে দেখেছি?
    কখনো কি তার সাংসারিক জীবন নিয়ে ভেবেছি?

    তার স্ত্রীর সংখ্যা কি ১ অথবা ২ ছিলো?
    নাহ..! বরং ১১ জন স্ত্রীর সংসার ছিল তার।
    যদিও নবীজি (স.) ইন্তেকালের আগেই খাদিজা (রা.) ও যয়নাব বিনতে খুযাইমা মৃত্যুবরণ করেন।
    বাকি ৯ জন স্ত্রী জীবিত ছিলেন। ( আয়িশা(রা.), হাফসা (রা.), সওদা (রা.)
    যয়নাব (রা.), মাইমুনা (রা.)
    উম্মে হাবিবা (রা.), সাফিয়া (রা.), উম্মে সালামা (রা.) এবং জুরায়রিয়া (রা.).!

    ★মূলপাঠ:
    কেমন ছিলো স্ত্রীদের প্রতি নবীজি (স.) এর ব্যবহার?
    কেমন ছিলো উম্মুল মুমিনিনদের সাথে সম্পর্ক?নবীজি (স.) এর স্ত্রীদের সাথে সম্পর্ক এমন ছিলো যে তিনি খাদিজা (রা.) এর মৃত্যুর পরও তাকে অধিক স্মরণ করতেন।
    ★তিনি সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে প্রিয়তমা স্ত্রীদের খোঁজ খবর নিতেন।

    ★স্ত্রীর ঠোঁট লাগনো পাত্রে নিজে ঠোঁট লাগিয়ে পানি পান করতেন।
    ★স্ত্রীর সাথে একি পাত্রে গোসল করতেন।
    ★স্ত্রীর কোলো মাথা রেখে ঘুমাতেন।
    ★স্ত্রীর সাথে সফর করতেন।
    ★স্ত্রীদের উপনামে ডাকতেন।
    ★স্ত্রীদের নিয়ে দাওয়াত কবুল করতেন।
    ★ স্ত্রীদের মতামত কে গুরুত্ব দিতেন।
    ★স্ত্রীদের প্রশংসা করতেন।
    শুধু এই বইয়ে স্ত্রীদের কথা বলা হয়েছে তাই নয়।
    শুধু কি স্ত্রীরাই সংসারের সদস্য?
    সন্তান-সন্তানীরা কি সংসারের সদস্য নয়?

    আচ্ছা কেমন ছিলো সন্তানের সাথে প্রিয় নবিজীর সম্পর্ক?..
    চার মেয়ে ছাড়া বাকি ছেলেরা জন্মের পরপরই ইন্তেকাল করেন।
    তিনি কন্যাদের প্রতি ছিলেন স্নেহময়।
    ★সন্তানদের সাথে ভালো আচরণ করতেন।
    ★বিয়ে দেওয়ার আগে তাদের মতামত জিজ্ঞেস করতেন।
    ★মেয়েদের জন্য উপহার পাঠাতেন।
    ★বিয়ের পরও তাদের দেখতে যেতেন, তাদের যত্ন নিতেন।
    এছাড়া তিনি তার নাতি-নাতনিদের প্রতি ছিলো কোমল। তিনি নাতিদের পিঠে উঠিয়ে খেলা করতেন।
    তাদের নিয়ে মসজিদে যেতেন। কোনো হাদিয়া পেলে তাদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন।
    এছাড়া আত্নীয়,অতিথী ও সাহাবাদের সাথে আচার-আচরণ ছিলো বন্ধুর মতো। সাহাবাদের ব্যাপারে তিনি সজাগ থাকতেন। সাহাবাদের খোঁজ নিতেন।

    এই বইটি যেকারণে পড়া উচিতঃ যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলাই আমাদের পরিবার ও সমাজে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
    বাড়ছে অশান্তি।
    ভাঙছে সংসার। আত্নীয়দের সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে।
    অথচ আমাদের প্রিয় নবি (স.) আত্নীয়দের ব্যাপারে ছিলেন অধিক সতর্ক।
    আমাদের সমাজের মতো ছিলো না ১৪০০ বছর আগের প্রিয় নবী (স.) এর সমাজ।
    তিনি যেমন ইসলামের দাওয়াত মানুষের নিকট পোঁছে দিতেন তেমনি তিনি সমাজের দিকে ও সতর্ক দৃষ্টি রাখতেন। এই বইটি পড়ে আমাদের সমাজ ও সংসার এর গুরুত্ব বুঝবো।
    স্ত্রীদের প্রতি উদার হবো।
    সন্তানদের প্রতি হবো স্নেহশীল।
    আত্নীয়দের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবো।
    প্রতিবেশি আর মুসলিম ভাই-বোনদের প্রতি হবো সৎ ও নিষ্ঠা। তাদের বিপদে এগিয়ে আসবো।
    শেষ কথা:
    একজন আদর্শ মুসলিম হতে শেখাবে এই ছোট বইটি। শুধু তাই নয়, একজন প্রকৃত ঈমানদার বান্দা হতে ও সাহায্য করবে।

    (ইনশাল্লাহ)

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    সুমাইয়া:

    বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম

    আসসালামু আ’লাইকুম,

    এই বইয়ের রিভিউ দেয়াটাও আমার কাছে কম মনে হবে। তবুও ছোট করে বলি ইনশাআল্লাহ। জানা ও শেখার জন্য পড়া এক জিনিস এবং ভালবেসে পড়া আরেক জিনিস। এই বইটি আমাদের প্রিয় রাসূল (সাঃ) এর সংসার জীবন নিয়ে তৈরি। সিরাহ পড়ে যেভাবে সেই সময় তে চলে গিয়েছিলাম, এই বইটি পড়েও এমন অনুভূত হ্য়।
    আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি, অনেকে পরিবার এ সমস্যার কারণে অনেকে পরিবারে অশান্তি হয়। স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে দূরত্ব বেড়ে যায়।
    অথচ আমাদের উচিত আমাদের এই প্রিয় মানুষটির জীবন কে আমাদেরর আইডল বানানো। নবীজীর (সাঃ) এর জীবনের দিকে তাকানো। কত কষ্ট করে জিহাদ, দাওয়াহর মাঝেও পরিবারকে সুন্দর ভাবে আগলে রাখতেন। এমন উত্তম আখলাক আমাদের মাঝে ধারণ করা জরুরি। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুক। আমীন।

    বইটি পড়ার জন্য সকল ভাই বোনদের অনুরোধ রইল।
    আর ওয়াফি লাইফ কেও অনেক শুকরিয়া।

    জাযাকুমুল্লাহ খইর।

    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    MAMUNUR ROSHID:

    এক কথায় অসাধারণ একটি বই। বইটি পড়লে নিঃসন্দেহে সাংসারিক অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
    2 out of 2 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    habibcmtdp:

    বর্তমান ফেতনার সময়ে আমরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পরিসংখ্যানে দেখছি আমাদের সামাজিক সম্পর্কগুলো নাজুক হয়ে যাচ্ছে। সমাজে ডিভোর্সের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে আশঙ্কাজনক হারে। সন্তানের সাথে মা-বাবার দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কি? এক্ষেত্রে আমাদের জন্য রয়েছে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’এর উত্তম আদর্শ। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা বলেন,”অবশ্যই তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ, তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও পরকাল প্রত্যাশা করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে।” [আল-আহযাবঃ ৩৩ঃ২১] {আল-বায়ান}
    বইটিতে লেখক মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ হাফিযাহুল্লাহ রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’এর পারিবারিক জীবনকে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছন। আমাদের সমাজে এখন স্বামী-স্ত্রী, বাবা-ছেলে ঠিক মত কথাও বলে না। কিন্তু নবীজি সা. স্ত্রীদের মন ভালো কিংবা খারাপ আছে কি না খেয়াল রাখতেন। উদাহণস্বরূপ, তিনি সা. আয়িশাকে রাযি. বললেন,”আমি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারি, কখন তুমি আমার উপর খুশি, আর কখন মন খারাপ করে থাক।” আয়িশা রাযি. জিজ্ঞেস করলেন, “কিভাবে বুঝতে পারেন?” তিনি সা. উত্তর দিলেন,”যখন তুমি সন্তষ্ট থাক, তখন শপথের সময় বল, ‘মহাম্মাদের রবের কসম’, আর যখন মন খারাপ কর, তখন বলো, ‘ইবরাহীমের রবের কসম।'” আয়িশা রাযি. বললেন, “হ্যাঁ, (আপনি ঠিক ধরেছেন) আল্লাহ্‌র রাসূল, সেক্ষেত্রে শুধু আপনার না উচ্চারণ করা থেকেই বিরত থাকি।”
    এই রকম অনেক সুন্দর সুন্দর ঘটনা বইটিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা আমাদের সবচেয়ে প্রশান্তির জায়গা, আমাদের পারস্পরিক কাছের সম্পর্কগুলোকে নতুন করে ভাবতে শিখাবে।
    আল্লাহ্‌ লেখক, অনুবাদক ও প্রকাশনার সাথে জড়িত সকলকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুক।
    আমাদের আত্নশুদ্ধির জায়গা গুলোকে পরিশুদ্ধ করুক। আমিন

    হাবিব

    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  5. 5 out of 5

    Munsi Mohammad Naeem:

    বিসমিল্লাহি রাহমানির রাহিম!
    ভালোবাসা আসে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে, আর সেটা যদি হয় স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা তাহলে সেখানে প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর থেকে বেশি কেউ তার প্রিয়তমা জীবনসঙ্গিনীকে ভালোবাসেনি এবং বাসতে পারবেওনা; তেমনি উম্মুল মুমিনিন রাদিয়াল্লাহুয়ানহাদের থেকেও কেউ তার প্রিয়তম জীবনসঙ্গীকে ভালোবাসেনি এবং বাসতে পারবেওনা| শুধু স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার ক্ষেত্রেই না; সংসার, সমাজ, আত্মীয়তা, দুনিয়ার সব ক্ষেত্রেই নবী কারিম (সাঃ) দুনিয়ার মানুষের জীবন আদর্শ|
    আর এই স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা, সংসার, সমাজ, আত্মীয়তা এ সব বিষয়ের শ্রেষ্ঠটা জানার ইচ্ছা থাকলে এই বইটা খুব গুরুত্বপূর্ণ| বইটিতে রেফেরেন্স সহ সব তথ্য দেওয়া আছে|
    জাজাকাল্লাহু খাইরান!
    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top