মেন্যু
mohaproloy theke onontojibon

মহাপ্রলয় থেকে অনন্তজীবন

অনুবাদ: আব্দুল্লাহ ইউসুফ পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৪২৪ ধরণ: হার্ডকভার সময়ের পথপরিক্রমায় একদিন বেজে উঠবে মহাপ্রলয়ের শিঙ্গাধ্বনি। থেমে যাবে জীবনের এই অবিশ্রান্ত কোলাহল। চোখের পলকেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে মায়াভরা এই জগৎ। কবর ফেটে মানুষগুলো সব জীবন্ত বেরিয়ে... আরো পড়ুন
পরিমাণ

420  560 (25% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
Get it on Google Play

1 রিভিউ এবং রেটিং - মহাপ্রলয় থেকে অনন্তজীবন

5.0
Based on 1 review
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    Hasnain Islam Emon:

    ❀বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।

    মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু এবং মৃত্যু পরবর্তী কিয়ামত, পুনরুত্থান ও হাশর,হাউয,শাফায়াত,মীযান,পুলসিরাত, সর্বশেষ জান্নাত ও জাহান্নাম সবকিছু সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তা’আলা জানিয়ে দিয়েছেন। সবকিছুই আমাদের সামনে তুলে দেওয়া হয়েছে কিন্তু আমরা সঠিক দ্বীন এবং মৃত্যু পরবর্তীত জীবনের গুরুত্ব এবং ভয়াবহতা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানতে চাই না। কিন্তু এসব জরুরি বিষয়ের ভয়াবহতা সম্পর্কে আমরা কতোটুকুই বা জানি।

    “মহাপ্রলয় থেকে অনন্তজীবন” বইটির শিরোনাম দেখেই বুঝতে পারছেন, আমাদের জীবনের বেলা যখন ফুরিয়ে আসবে,অন্তিম সময়ের মুখোমুখি যখন আমরা হবো তখন কি কি ঘটবে তা নিয়েই এই বই।

    ♦বইটিতে যা যা রয়েছেঃ

    বইটির মূল আরবি নাম কিয়ামাতু কুবরা অর্থাৎ বড় কিয়ামাত।
    এ বইয়ে কিয়ামাত থেকে অনন্তজীবনের সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে।
    লেখক এ বইটি কোনো অধ্যায়ে বিভক্ত করেননি মোট ১৪টি পরিচ্ছেদে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করেছেন।

    এখানে যেসব বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানা যাবেঃ

    কিয়ামত দিবসের প্রসিদ্ধ নামসমূহ,
    শিঙায় ফুঁ দেওয়ার মাধ্যমে জীবনের
    চিরসমাপ্তি হওয়ার কথা , শিঙায় ফুঁ দানকারি
    ফেরেস্তা, শিঙায় ফুঁ দেওয়ার সংখ্যা এবং কোনদিন দিনের কথা, পুনর্জীবন ও পুনরুত্থান,হাশরের ময়দান, পুনরুত্থানের দলিল-প্রমাণ , পুনরুত্থানে
    অবিশ্বাসীদের বিভ্রান্তির জবাব, কিয়ামত সম্পর্কে সকল নবি তাদের উম্মতকে পুনরুত্থানের কথা ও আহালে কিতাবের মাধ্যমে কিয়ামতের বিবরণ, কিয়ামতের ভয়াবহতার প্রমাণ, কিয়ামত দিবসে কাফির, গুনাহগার মুমিন, মুত্তাকি মুমিনের অবস্থা কেমন
    হবে তার বিবরণ দেওয়া হয়েছে,রাসুল
    সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাফায়াত
    শেষ দিবসের হিসাবের মর্মকথা, পরিস্থিতি, সেদিনকাদের জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে, কোন কোন মূলনীতির আলোকে হিসাব নেওয়া হবে ,কোন আমল সম্পর্কে সর্বপ্রথম
    জিজ্ঞাসা করা হবে, সৃষ্টির মধ্যকার জুলুম ও অন্যায় কিসাস এবংমিজানের মর্মকথা ও
    মিজান বিষয়ে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর আকিদার বর্ননা করেছেন, রাসুল (সাঃ)
    হাউজে কাউসার সম্পর্কে বিবরণ, পরিশেষে
    জান্নাত ও জাহান্নামে মানুষদের
    একত্রিত করার কথা ব্যক্ত করেছেন। লেখক প্রতিটি বিষয়কে খুব সহজভাবে উপস্থাপন করেছেন ।

    ♦পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
    ▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔

    বইটি একদমই নতুন। বই পড়ে যা দেখলাম তাতে বিষয়বস্তগুলোর আলোচনায় লেখক কোনো
    ফাঁক-ফোকর রাখেননি বরং প্রতিটি বিষয়
    কুরআন-হাদিসের রেফারেন্স সহ তুলে ধরেছেন।

    আমার চোখে এখন পর্যন্ত আখিরাতের উপর রচিত বইগুলোর মাঝে এই বইটি সবচেয়ে পরিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ হবে বলে মনে হয়েছে।

    এখানে কিয়ামতের চিত্র, হাশরের ময়দানের বিভীষিকা ও শেষ বিচারের ধাপগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। মানুষকে দুনিয়ামুখী থেকে পরকালমুখী করতে বইটি অনেকটা সহায়তা করবে ইনশাআল্লাহ।

    বইটির লেখাগুলো অতি দীর্ঘ নয়, তাই পড়ার সময় মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা নেই।
    বইদুটো পড়ে অনুবাদককে ধন্যবাদ না দিলে উনার সাথে অন্যায় করা হবে।

    রুহামার আগের বইগুলো যদি কেউ পড়ে থাকেন বা কমপক্ষে দেখে থাকেন, তবে এই বইয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী হতে পারবেন যে আরো একটি ভালো বই সংগ্রহের সুযোগ আপনার হচ্ছে।

    ♦যে কারনে বইটি অনন্যঃ
    ▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔

    আমার কাছে কয়েকটি কারনে এই বইটি অন্য অনেক বইয়ের থেকে আলাদা-

    ▣প্রথমেই বলতে হয়,রুহামা পাবলিকশন্সের বইসমূহের বাহ্যিক দিকসমূহ অর্থাৎ, প্রচ্ছদ, পৃষ্ঠার মান, পৃষ্ঠা সজ্জা, লেখার ফন্ট, বানানের নির্ভুলতা সবকিছু সর্বদাই
    প্রশংসনীয়।

    ▣আরেকটি বিষয় হলো সূচীপত্র।সূচীপত্র এমনভাবে সাজানো হয়েছে যে একবার
    সূচীপত্রে চোখ বুলিয়েই বইয়ের সার্বিক বিষয়বস্তু
    সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

    ▣বইটি পড়ার পর আমাদের মনে পরকালে,জান্নাত- জাহান্নামের ভয়,প্রভুর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসার উদ্রেক ঘটবে বলে আশা করা যায়।

    ▣ বইটিতে যেভাবে ধারাবাহিকভাবে মৃত্যু থেকে শুরু করে একেবারে কিয়ামত পরবর্তী জীবন সম্পর্কে খুঁটিনাটি আলেচনা করা হয়েছে, এমনটা আমি এর আগে কখনও পাইনি।

    ▣অনুবাদের কথা বলতে গেলে, আব্দুল্লাহ ইউসুফ ভাইয়ের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতায় বইদুটো হয়েছে সহজবোধ্য এবং অনন্য।

    ♦ অন্যান্য পাঠকরা বইটি কেন পড়বেনঃ
    ▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
    মৃত্যু থেকে আখিরাতের জীবনের পূর্ণাঙ্গ সফর সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা এবং আখিরাতের
    প্রতি বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করতে বইটি আমাদের সাহায্য করবে।
    রুহামা মানেই যেহেতু ভিন্ন স্বাদের কিছু তাই সহজেই আশা করা যাই এবারেও রুহামার নতুন এই বইটি পাঠকেরা আগ্রহের সাথেই গ্রহন করবে।

    ♦লেখক পরিচিতিঃ
    ▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔▔
    বইটির লেখক শাইখ উমর সুলাইমান
    আল-আশকার। জন্মেছেন ১৯৪০ সালে ফিলিস্তিনের নাবলুস জেলার বুরকা গ্রামে। ১৩ বছর বয়সে চলে আসেন মদিনায়। এখান থেকে সমাপ্ত করেন স্নাতক। স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট
    করেন আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ছিলেন বেশ বাকপটু বা বাগ্মী। প্রায় ৭২ বছর বয়সে ২০১২ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন। রেখে গেছেন বেশ কিছু মহামূল্যবান কিতাব।

    বাংলা ভাষায় অত্যন্ত সুন্দর অনুবাদ করেছেন আবদুল্লাহ ইউসুফ ভাই।

    2 out of 2 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top