মেন্যু
meghpakhi

মেঘপাখি

পৃষ্ঠা : 160, কভার : পেপার ব্যাক
শীতকাল এলে একটা হাদীস খুব শোনা যায়, "শীত ঋতু মুমিনের বসন্তকাল।" (কারণ হিসেবে বলা হয়, শীতে দিন ছোটো, বেশি বেশি নফল সাওম রাখা যায়; রাতগুলো বড়, পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে জায়নামাযে দাঁড়ানোর... আরো পড়ুন
পরিমাণ

177  242 (27% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

4 রিভিউ এবং রেটিং - মেঘপাখি

4.8
Based on 4 reviews
5 star
75%
4 star
25%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
Showing 3 of 4 reviews (5 star). See all 4 reviews
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    সায়মা:

    চমৎকার বই
    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    Faiza newaz:

    মেঘপাখি
    ” মাটির জীবন,আকাশের দর্পণে”

    শরৎ,হেমন্ত,শীত,বসন্ত পালাক্রমে প্রকৃতিতে এসে সাজিয়ে দেয় প্রকৃতিকে এক অনুপম সৌন্দর্যে।আচ্ছা!এই সৌন্দর্য,এই আবর্তন কি কখনো আমাকে ভাবিয়েছে?আমি ভাবি না,আমাকে তাই ভাবায় না।

    লেখক কবি বলেই হয়তো এই আবর্তন তার নিকট ধরা দিয়েছে অনিন্দ্য সুন্দররূপে।তাই শরতের কোনো এক বিকেলে নদীভ্রমন করতে করতে,হেমন্তের পাকা ধানে ভরা হলুদ সমু্দ্র দেখতে দেখতে,শীতল ছায়াবীথির মাঝখানে বসে ঝিরঝিরে বাতাসের সাথে কথা বলতে বলতে লেখক আমাকে ঘুরিয়েছেন কবিতার হাটে,উঁকিঝুঁকি দিয়েছেন কুরআন ও হাদিসের পাতায়।

    আমার কাছে বই হলো চিন্তার খোরাক।তাই এমন বই পড়া উচিত যা চিন্তার খোরাক যোগায়।লেখক সম্পর্কে এক বাক্যে বলতে হলে বলবো—”চিন্তা করতে শেখায় ইনি।”

    “উদ্ভিদের উপর একটা বাকশো চেপে দিয়ে দেখেন,সেই বাকশোতে যদি একটিমাত্র ছিদ্র থাকে,আলোর ছোয়া পেতে উদ্ভিদ যেভাবেই হোক সেই ছিদ্র দিয়েই বেরিয়ে আসবে।আমাদের তো বিবেক-বু্দ্ধির অভাব নেই,আমরা কেনো আলোর সন্ধানে ছুটি না?”

    চিন্তার বিষয় বটে!
    চলুন চিন্তা করি মেঘপাখিকে সহযোগী করে।
    কারণ,আমরা যে স্বপ্ন দেখি জান্নাতে পাখি হয়ে ওড়ার।আচ্ছা ওড়ার সময় আমরা কোন পাখির রূপ নেব??
    আল্লাহ যদি আমাদের মেঘপাখি বানিয়ে দেন মজা হবে না?

    আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা তাওফিকদাতা।

    2 out of 2 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    রেজাউল বাবলু:

    বইঃ মেঘপাখি
    লেখকঃ আব্দুল্লাহ মাহমুদ নজীব
    .
    লেখক তার ‘বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর’ বইয়ে গ্রীষ্ম, বর্ষা আর বসন্ত ঋতু নিয়ে লিখেছিলেন। এই বইটি তারই সিকুয়েল বলা চলে। এটা তিনি লিখেছেন বাকি ৩ ঋতু নিয়ে অর্থাৎ শরৎ, হেমন্ত ও শীতকে নিয়ে।
    .
    প্রথম গল্পটা শরৎ নিয়ে। গল্পের নাম ‘মেঘপাখি’। লেখক শরৎের রূপবিভা নিয়ে সাবলীল ভংগিমায় গল্প বলে গেছেন। পড়ে মনে হচ্ছিল না যে এটা একটা গল্প। মনে হচ্ছিল যেন লেখক শরতের প্রত্যেকটা সৌন্দর্য এখনই চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন আর তাই লিখে যাচ্ছেন। শরতের বর্ণনায় ফুল, ফল থেকে পাখি কিংবা রাতের আকাশ কিছুই সম্ভবত বাদ যায়নি লিখায়। প্রাসঙ্গিকভাবে অনেক কবিতাও এসেছে। সবচেয়ে মজাদার অংশ যা আমার লেগেছে তাহলো আরবি ভাষার উপর লেখকের দক্ষতা দেখে বারাকাল্লাহ। কুরআনের শব্দচয়ন এতটাই মুগ্ধ করেছে বলার অপেক্ষা রাখেনা সুবহানাল্লাহ। কিছুক্ষণ পরপর শুধু আফসোস হচ্ছিল কেন আরবিটা বুঝিনা। আল্লাহ তাওফিক দিন। এছাড়া রাসূল(সাঃ) এর অনেক হাদিসও এসেছে। সাহাবীদের নবীজী(সাঃ) কিভাবে উপমা দিয়ে বুঝাতেন তাও লেখক আলোচনা করেছেন এখানে।
    .
    দ্বিতীয় গল্পটা হেমন্ত নিয়ে, নাম ‘জলে জ্বলে জোনাকি’। হেমন্তের কথা শুনলেই আমার মাথায় যা প্রথম আসে তাহলো এসময়টা ধান ঘরে তোলার মৌসুম। লেখকও এখানে তা নিয়ে গল্প বলেছেন। ধান মাড়াই থেকে শুরু করে গোলায় তোলা তারপর নবান্ন উৎসব নিয়েও কথা উঠে এসেছে গল্পের ভংগিতেই। ধান মাড়াই করতে গিয়ে গরুর প্রতি কৃষকের মায়া যা রাসূল (সাঃ) আমাদের শিখিয়ে গিয়েছেন তাও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তাছাড়া এসময়টায় জলাশয়গুলোতে পানি শুকিয়ে আসে। তাই মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠে গ্রামের দুরন্ত ছেলেরা,দলবেঁধে তারা খাঁড়িসেঁচে মাতে। মাছের কথা আসতেই লেখক বাদ রাখেননি ‘আসহাবুত সাবত’ মানে শনিওয়ালাদের গল্প করতে। এই ব্যাপারে সূরা আ’রাফে আলোচনাটা এখানে তুলে ধরেছেন এবং এখান থেকে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার কথাও বলেছেন। শেষের দিকে জোনাক পোকা নিয়েও গল্প আছে যেখান থেকে দ্বিতীয় গল্পটার নামকরণ।
    .
    তৃতীয় এবং শেষ গল্প হলো ‘মাঘনিশীতের কোকিল’। নাম শুনেই বুঝা যাচ্ছে শীত ঋতু নিয়েই গল্পটা। আগের গল্পের মতই এখানে শীতের প্রাকৃতিক পরিবেশ, ফুল, ফল আর পাখি সবকিছু নিয়েই গল্প এগিয়েছে। শীত আমার প্রিয় ঋতু তাই পড়তে আলাদাই একটা ভালোলাগা কাজ করছিল। যাইহোক, শীত আসছে তাতে খেজুরের রস-গুড় বা পিঠাপুলির আলোচনা হবেনা তা কি হয়, তাই এসব নিয়েও গল্প আছে৷ শীত আবার অনেক সাহাবিরাও পছন্দ করতেন৷ তাদের একজন হলেন আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ(রাঃ)। তিনি শীতকে রীতিমতো স্বাগত জানাতেন। আরেকজন সাহাবি মুয়াজ ইবনু জাবাল (রাঃ) মৃত্যুশয্যায় কেঁদেছিলেন শীতের রাতের ইবাদাতকে মিস করবেন বলে৷ রাসূল(সাঃ) শীতকে বলেছেন ‘মুমিনের বসন্ত’। কেননা এসময় রাত দীর্ঘ বিধায় সহজে তাহাজ্জুদে উঠা যায় আবার দিন ছোট বলে কম কষ্টে দিনে রোযা রাখা যায়। এছাড়া এই গল্পে প্রাসঙ্গিকভাবে রাসূল (সাঃ) পছন্দ করতেন ভালোবাসতেন এমন কিছু জিনিসের নামও আছে। আরো অনেক আয়াত এবং হাদিসকে এখানে সুন্দরভাবে আলোচনায় আনা হয়েছে৷
    .
    নতুনভাবে আপনাকে অনেক কিছুই বুঝতে, ভাবতে শিখাবে বইটি। আর আমার মতো যারা আরবি পারেন না তাদের মনে মনে আফসোস হবে কেন আরবিটা বুঝেন না। এত সুন্দর আরবি ভাষা যা বুঝলে কুরআনের সৌন্দর্য উপভোগ করা যেত।
    6 out of 6 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top