মেঘপাখি
শীতকাল এলে একটা হাদীস খুব শোনা যায়, “শীত ঋতু মুমিনের বসন্তকাল।” (কারণ হিসেবে বলা হয়, শীতে দিন ছোটো, বেশি বেশি নফল সাওম রাখা যায়; রাতগুলো বড়, পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে জায়নামাযে দাঁড়ানোর সুযোগও পাওয়া যায় বেশি।) এই হাদীস কারও কাছে শুনলে আমার মনে পড়ে দাদার কাছে শেখা একটা ফার্সি শের, যার অর্থ : “বসন্ত এসেছে বলে পাথরে তো আর ফুল ফুটবে না। রঙিন ফুল ফুটবে শুধু মাটিতে। ফুল যদি ফোটাতে চাও, মাটি হয়ে যাও।” অন্তরটা মাটির মতো নরম না হলে বসন্তের কোনো প্রভাব তাতে পড়বে না। যেমনটি আমি ও আমার মতো কিছু কাষ্ঠকঠিন হৃদয়ের মানুষের ক্ষেত্রে ঘটছে। বসন্তকে কাজে লাগিয়ে ইবাদাতের ফুল ফোটাতে চাইলে, আত্মশুদ্ধির সুঘ্রাণে মুখর হতে চাইলে হৃদয়টা নরম হওয়া চাই। চৌচির পাথুরে জমিনও বৃষ্টিবর্ষণের পর নরম হতে শুরু করে। আমরা যারা হৃদয়টা পাথরপ্রতিম বানিয়ে রেখেছি, এই ভরা-বসন্তে একপশলা বৃষ্টিবর্ষণের কোশেশ করতে পারি। এই বৃষ্টির জন্যে মেঘ দরকার। সেই মেঘের ঠিকানা খুঁজে পেতে আপনার সহযোগী হতে চায় ‘মেঘপাখি’।
- ৫৯৯ টাকা অর্ডারে ১টি ফ্রি আমল চেকলিষ্ট।
- ৮৯৯ টাকা অর্ডারে ১টি ফ্রি বই।
-
-
hotজীবন যেখানে যেমন
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন260 ৳177 ৳আরিফ আজাদের নতুন বই 'জীবন যেখানে ...
-
hotহিফজ-যাত্রা (একজন সাধারণ মানুষ যেভাবে ৬ মাসে হাফিজ হবেন)
লেখক : কারি মুবাশ্শির আনওয়ারপ্রকাশনী : ইলহাম ILHAM152 ৳ – 182 ৳অনুবাদ: মাসুদ শরীফ পৃষ্ঠা: ১৬০ ম্যানচেস্টারে বেড়ে ওঠা ...
-
hotদুআ কবুলের গল্পগুলো
লেখক : রাজিব হাসানপ্রকাশনী : আযান প্রকাশনী280 ৳204 ৳অনুবাদ, সংগ্রহ ও সম্পাদনাঃ রাজিব হাসান দু’আ ...
-
hotগল্পগুলো অন্যরকম
লেখক : সিহিন্তা শরীফা, আনিকা তুবা, আফিফা আবেদিন সাওদা, আরমান ইবন সোলাইমান, আরিফ আজাদ, আরিফ আবদাল চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম, আলী আবদুল্লাহ, জাকারিয়া মাসুদ, নুসরাত জাহান, মাহমুদুর রহমান, যাইনাব আল-গাযি, শারিন সফি, শিহাব আহমেদ তুহিন, শেখ আসিফ, সাদিয়া হোসাইন, সানজিদা সিদ্দীক কথাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন350 ৳238 ৳জীবনের কাছে মাঝে মাঝে গল্পও তুচ্ছ ...
-
save offফেরা ২
লেখক : বিনতু আদিলপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন186 ৳126 ৳জাগতিক নিয়মে, সব পাখি নীড়ে ফেরে। ...
-
hotপ্রদীপ্ত কুটির
লেখক : আরিফুল ইসলামপ্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন192 ৳142 ৳মাহির আর লাফিজা। ভার্সিটিতে পড়াবস্থায় দুজনের ...
-
save offআরিফ আজাদের দুটো বই (জীবন যেখানে যেমন ও নবি জীবনের গল্প)
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন481 ৳337 ৳এই প্যাকেজে আরিফ আজাদের নতুন দুটো ...
-
hotআই লাভ কুরআন
লেখক : মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার600 ৳450 ৳প্রতিটি মুমিনই কুরআন কারীমকে ভালোবাসে। সবাই ...
-
save offরৌদ্রময়ী
প্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন235 ৳174 ৳আসলে রৌদ্রময়ী একটি ক্যানভাসের নাম, যেখানে ...
-
Faiza newaz – :
” মাটির জীবন,আকাশের দর্পণে”
শরৎ,হেমন্ত,শীত,বসন্ত পালাক্রমে প্রকৃতিতে এসে সাজিয়ে দেয় প্রকৃতিকে এক অনুপম সৌন্দর্যে।আচ্ছা!এই সৌন্দর্য,এই আবর্তন কি কখনো আমাকে ভাবিয়েছে?আমি ভাবি না,আমাকে তাই ভাবায় না।
লেখক কবি বলেই হয়তো এই আবর্তন তার নিকট ধরা দিয়েছে অনিন্দ্য সুন্দররূপে।তাই শরতের কোনো এক বিকেলে নদীভ্রমন করতে করতে,হেমন্তের পাকা ধানে ভরা হলুদ সমু্দ্র দেখতে দেখতে,শীতল ছায়াবীথির মাঝখানে বসে ঝিরঝিরে বাতাসের সাথে কথা বলতে বলতে লেখক আমাকে ঘুরিয়েছেন কবিতার হাটে,উঁকিঝুঁকি দিয়েছেন কুরআন ও হাদিসের পাতায়।
আমার কাছে বই হলো চিন্তার খোরাক।তাই এমন বই পড়া উচিত যা চিন্তার খোরাক যোগায়।লেখক সম্পর্কে এক বাক্যে বলতে হলে বলবো—”চিন্তা করতে শেখায় ইনি।”
“উদ্ভিদের উপর একটা বাকশো চেপে দিয়ে দেখেন,সেই বাকশোতে যদি একটিমাত্র ছিদ্র থাকে,আলোর ছোয়া পেতে উদ্ভিদ যেভাবেই হোক সেই ছিদ্র দিয়েই বেরিয়ে আসবে।আমাদের তো বিবেক-বু্দ্ধির অভাব নেই,আমরা কেনো আলোর সন্ধানে ছুটি না?”
চিন্তার বিষয় বটে!
চলুন চিন্তা করি মেঘপাখিকে সহযোগী করে।
কারণ,আমরা যে স্বপ্ন দেখি জান্নাতে পাখি হয়ে ওড়ার।আচ্ছা ওড়ার সময় আমরা কোন পাখির রূপ নেব??
আল্লাহ যদি আমাদের মেঘপাখি বানিয়ে দেন মজা হবে না?
আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা তাওফিকদাতা।
Md Rezaul Hossain – :
#বুকরিভিউ_১
শীতকাল মুমিনদের জন্য বসন্তকালের সমতুল্য!!! এ কথাই মেঘপাখি বইয়ের “মাঘনিশীথের কোকিল” নামের অধ্যায়ে উঠে এসেছে।
মেঘপাখি মূলত একটি গল্পপ্রবন্ধ। যার লেখক আব্দুল্লাহ মাহমুদ নজীব।
বইটিতে সুন্দর সাহিত্যের আবির্ভাব ঘটেছে। সাহিত্য যে এতটা সুন্দর হতে পারে তা হয়তো আব্দুল্লাহ মাহমুদ নজীব- ভাই এর লেখায় প্রকাশ পেয়েছে।
সাহিত্য মানেই আমরা বুঝি হারাম প্রেমসহ আরও অনেক কিছু। কিন্তু সাহিত্য যে সত্যি অতুলনীয় তা এই মেঘপাখি- তে প্রকাশ পায়।
মেঘপাখি- তে বিভিন্ন সুন্নত সম্পর্কে নতুন ভাবে পরিচিতি লাভ করবেন। নবীজি সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- যা পছন্দ করতেন তা যদি কোন সাহাবারা দেখতেন তারাও তা পছন্দের তালিকায় যুক্ত করতেন। এভাবেই কুরআন ও হাদিস এর আলোকে এই সাহিত্য তৈরি হয়েছে।
বইয়ের মধ্যে কিছু ভালোলাগা ফুলের নাম উল্লেখ করছি। যেমন, মেহেদি ফুল, গ্যাজানিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, কসমস ইত্যাদি।
বইটির সব থেকে ভালো যেই অধ্যায়টি আমার কাছে লেগেছে তা হল,
“মাঘনিশীথের কোকিল”। প্রথমে বইটি পড়ে খুব একটা ভালো লাগছিলো না। আস্তে আস্তে এর প্রেমে পড়ে গেলাম। সত্যি খুবই সুন্দর একটি গল্পপ্রবন্ধ।
বইয়ের রেটিং ব্যাপারটা আমার সাথে যায় না। আর এটা খুব বেশি কার্যকরী নয়। কারণ একটা বই লিখতে যা শ্রম ব্যয় হয় তা ১-২ দিনে পড়ে ফেলে রেটিং দেওয়াটা আমার পক্ষে অন্তত সম্ভব নয়। আমি বেশি হলে এর ভালো খারাপ দিকগুলো তুলে ধরতে পারি। এটুকুই।
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে উত্তম নেক হায়াত দান করুন। আমিন।
মেঘপাখি
লেখক : আবদুল্লাহ মাহমুদ নজীব
প্রকাশনী : সমর্পণ প্রকাশন
বিষয় : ইসলামী সাহিত্য, গল্প-উপন্যাস এবং সফরনামা
রেজাউল বাবলু – :
লেখকঃ আব্দুল্লাহ মাহমুদ নজীব
.
লেখক তার ‘বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর’ বইয়ে গ্রীষ্ম, বর্ষা আর বসন্ত ঋতু নিয়ে লিখেছিলেন। এই বইটি তারই সিকুয়েল বলা চলে। এটা তিনি লিখেছেন বাকি ৩ ঋতু নিয়ে অর্থাৎ শরৎ, হেমন্ত ও শীতকে নিয়ে।
.
প্রথম গল্পটা শরৎ নিয়ে। গল্পের নাম ‘মেঘপাখি’। লেখক শরৎের রূপবিভা নিয়ে সাবলীল ভংগিমায় গল্প বলে গেছেন। পড়ে মনে হচ্ছিল না যে এটা একটা গল্প। মনে হচ্ছিল যেন লেখক শরতের প্রত্যেকটা সৌন্দর্য এখনই চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন আর তাই লিখে যাচ্ছেন। শরতের বর্ণনায় ফুল, ফল থেকে পাখি কিংবা রাতের আকাশ কিছুই সম্ভবত বাদ যায়নি লিখায়। প্রাসঙ্গিকভাবে অনেক কবিতাও এসেছে। সবচেয়ে মজাদার অংশ যা আমার লেগেছে তাহলো আরবি ভাষার উপর লেখকের দক্ষতা দেখে বারাকাল্লাহ। কুরআনের শব্দচয়ন এতটাই মুগ্ধ করেছে বলার অপেক্ষা রাখেনা সুবহানাল্লাহ। কিছুক্ষণ পরপর শুধু আফসোস হচ্ছিল কেন আরবিটা বুঝিনা। আল্লাহ তাওফিক দিন। এছাড়া রাসূল(সাঃ) এর অনেক হাদিসও এসেছে। সাহাবীদের নবীজী(সাঃ) কিভাবে উপমা দিয়ে বুঝাতেন তাও লেখক আলোচনা করেছেন এখানে।
.
দ্বিতীয় গল্পটা হেমন্ত নিয়ে, নাম ‘জলে জ্বলে জোনাকি’। হেমন্তের কথা শুনলেই আমার মাথায় যা প্রথম আসে তাহলো এসময়টা ধান ঘরে তোলার মৌসুম। লেখকও এখানে তা নিয়ে গল্প বলেছেন। ধান মাড়াই থেকে শুরু করে গোলায় তোলা তারপর নবান্ন উৎসব নিয়েও কথা উঠে এসেছে গল্পের ভংগিতেই। ধান মাড়াই করতে গিয়ে গরুর প্রতি কৃষকের মায়া যা রাসূল (সাঃ) আমাদের শিখিয়ে গিয়েছেন তাও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তাছাড়া এসময়টায় জলাশয়গুলোতে পানি শুকিয়ে আসে। তাই মাছ ধরার উৎসবে মেতে উঠে গ্রামের দুরন্ত ছেলেরা,দলবেঁধে তারা খাঁড়িসেঁচে মাতে। মাছের কথা আসতেই লেখক বাদ রাখেননি ‘আসহাবুত সাবত’ মানে শনিওয়ালাদের গল্প করতে। এই ব্যাপারে সূরা আ’রাফে আলোচনাটা এখানে তুলে ধরেছেন এবং এখান থেকে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার কথাও বলেছেন। শেষের দিকে জোনাক পোকা নিয়েও গল্প আছে যেখান থেকে দ্বিতীয় গল্পটার নামকরণ।
.
তৃতীয় এবং শেষ গল্প হলো ‘মাঘনিশীতের কোকিল’। নাম শুনেই বুঝা যাচ্ছে শীত ঋতু নিয়েই গল্পটা। আগের গল্পের মতই এখানে শীতের প্রাকৃতিক পরিবেশ, ফুল, ফল আর পাখি সবকিছু নিয়েই গল্প এগিয়েছে। শীত আমার প্রিয় ঋতু তাই পড়তে আলাদাই একটা ভালোলাগা কাজ করছিল। যাইহোক, শীত আসছে তাতে খেজুরের রস-গুড় বা পিঠাপুলির আলোচনা হবেনা তা কি হয়, তাই এসব নিয়েও গল্প আছে৷ শীত আবার অনেক সাহাবিরাও পছন্দ করতেন৷ তাদের একজন হলেন আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ(রাঃ)। তিনি শীতকে রীতিমতো স্বাগত জানাতেন। আরেকজন সাহাবি মুয়াজ ইবনু জাবাল (রাঃ) মৃত্যুশয্যায় কেঁদেছিলেন শীতের রাতের ইবাদাতকে মিস করবেন বলে৷ রাসূল(সাঃ) শীতকে বলেছেন ‘মুমিনের বসন্ত’। কেননা এসময় রাত দীর্ঘ বিধায় সহজে তাহাজ্জুদে উঠা যায় আবার দিন ছোট বলে কম কষ্টে দিনে রোযা রাখা যায়। এছাড়া এই গল্পে প্রাসঙ্গিকভাবে রাসূল (সাঃ) পছন্দ করতেন ভালোবাসতেন এমন কিছু জিনিসের নামও আছে। আরো অনেক আয়াত এবং হাদিসকে এখানে সুন্দরভাবে আলোচনায় আনা হয়েছে৷
.
নতুনভাবে আপনাকে অনেক কিছুই বুঝতে, ভাবতে শিখাবে বইটি। আর আমার মতো যারা আরবি পারেন না তাদের মনে মনে আফসোস হবে কেন আরবিটা বুঝেন না। এত সুন্দর আরবি ভাষা যা বুঝলে কুরআনের সৌন্দর্য উপভোগ করা যেত।