বিশ্বাসের জয়
কোনো বই পড়ে ঈমান বেড়েছে, এমনটা আমার খুব কম হয়েছে। আব্দুল্লাহ মজুমদার ভাইয়ের অনূদিত এ বইটি আমার পড়া সেই হাতে গোনা কয়েকটির মধ্যে একটি, যা পড়ে আমি অন্তরের ঈমানের স্বাদ পেয়েছি, মিন্ট ফ্লেভারের। মনে হয়েছে, হৃৎপিণ্ড কেউ মেনথল দিয়ে ধুয়ে দিয়েছে। যদিও মূল বিষয়বস্তু একজন মুমিন ও একজন সংশয়ীর কথোপকথন, কিন্তু সংশয়ীর খোরাকের চেয়ে ঈমানওয়ালাদের খোরাক এই বইয়ে বেশি। অবশ্য সংশয়ী যদি তার্কিক না হয়ে ভাবুক হন, তবে এ বই তাকে হয়তো শুরু থেকে আরেকবার ভাবাবে। কিছু বই একবার পড়ে ফেলে রাখতে নেই, বার বার পড়তে হয়।
এই বইটি আমাদের সপ্তাহে একবার করে পড়া উচিত বলে মনে হয়েছে। সেই সাথে প্রতিদিন কিছু সময় বইয়ের কথাগুলো আরেকজনের কাছে আওড়ানো দরকার, যাতে কথাগুলো একেবারে ভেতরে বসে যায়, সত্তার সাথে মিশে যায় (assimilation)।
তাওহীদ আর রিসালাতের সত্যায়ন এবং আমার সত্তা যেন একাকার হয়ে যায়, আমার প্রতিটা নিঃশ্বাস যেন বলে তাওহীদ ও রিসালাত সত্য। তাহলে বের হবার কালেও নিঃশ্বাস কালিমার সত্যায়ন ছাড়া ভিন্ন কিছু বলার সুযোগই পাবে না। এজন্য এই বইটি নিয়মিত পড়া এবং এখানে আল্লাহর সিফাত ও রিসালাতের সত্যতা যেভাবে খুলে খুলে বিস্তারিত উঠে এসেছে, সেভাবে আরেক মুসলিম ভাইয়ের সাথে জবান নাড়িয়ে আলোচনা আমি নিজেও করব, ইন শা আল্লাহ, আপনাদেরও করার আহবান।
ড. হুসামউদ্দীন হামিদ রচিত ‘বিশ্বাসের জয়’ বইটি নিয়ে ডা. শামসুল আরেফীনের অভিমত। ইতোপূর্বে বইটি ‘মেঘ কেটে যায়’ নামে সমকালীন প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছিল। বিশেষ কারণে বইটির প্রচ্ছদ ও নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
-
-
hotপ্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স225 ৳214 ৳কভার: হার্ড কভার পৃষ্ঠা: ১৬৮ বর্তমান যুগ হলো ...
-
hotচিন্তাপরাধ
লেখক : আসিফ আদনানপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন190 ৳180 ৳পৃষ্ঠা - ১৯২ 'যতক্ষণ সাম্রাজ্যের সার্বভৌমত্ব স্বীকার ...
-
hotপ্রত্যাবর্তন
লেখক : সমকালীন সংকলন টিমপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন350 ৳245 ৳মুসলিমের ঘরে জন্ম নিয়েও আমি হয়ে ...
-
hotডাবল স্ট্যান্ডার্ড
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার360 ৳252 ৳কিছু লোক ইসলামকে সে শত্রু হিসেবে ...
-
hotডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২.০
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন392 ৳290 ৳দ্বীন নিয়ে অজ্ঞতা আমাদের সমাজের রন্ধে ...
-
hotআরজ আলী সমীপে
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন260 ৳182 ৳আরজ আলী মাতুব্বর। জন্মেছেন বরিশালে। প্রাতিষ্ঠানিক ...
-
hotজবাব (পেপার ব্যাক)
লেখক : আরিফ আজাদ, জাকারিয়া মাসুদ, ডা. শামসুল আরেফীন, মহিউদ্দিন রূপম, মুহাম্মাদ মুশফিকুর রহমান মিনার, রাফান আহমেদ, শিহাব আহমেদ তুহিনপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন300 ৳210 ৳আমরা হয়ত অনেকেই জানি না, জনপ্রিয় ...
-
hotকষ্টিপাথর
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার360 ৳252 ৳আরবীতে একটা প্রবাদ আছে, كل شيء يرجع ...
-
save offসংশয়বাদী
লেখক : ড্যানিয়েল হাকিকাতজুপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন260 ৳247 ৳ড্যানিয়েল হাক্বিকাতযু। হালের একজন দা'ঈ ইলাল্লাহ। ...
-
Redwan Nabil – :
জীবনের বিভিন্ন সময় আমাদের মনে সংশয়ের বীজ বপন হয়। অনেক সময় সঠিক পথে ফিরে অাসতে পারলেও প্রায় সময়ই তারা ডুবে যায় অন্ধকারের অতল গহ্বরে। মুসলিম পরিবারের সন্তানদের মধ্যে এই মাহামারি খুবই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তাই এই সময়ে সংশয়ের বীজ শিকড় সহ উপরে ফেলতে মুসলিম ভাইদের এগিয়ে আসা সময়ের দাবি। এইরকমই একজন মুসলিম ভাই এগিয়ে এসেছেন এক সংশয়ে পড়া ভাইয়ের সাহায্যে। ড. হুসামুদ্দীন হামিদ সংশয়ে পড়া এক ভাইকে বের করে এনেছেন অন্ধকার থেকে আলোতে। সংশয়কে উপরে ফেলেছেন শিকড় থেকে।
#আামার_ভাবনাঃ
বইটি পড়ে চোখ বারবারই অশ্রুশিক্ত হয়ে পড়েছিল।
আগে কখনো এভাবে ভাবিনি যে আমরা আল্লাহর এত নিয়ামতের মধ্যে ডুবে আছি। লেখক কুরআন ও বিজ্ঞানের মাধ্যমে প্রমান করেছেন আমরা কীভাবে মহান আল্লাহ তাআলার নিয়ামতরাজির মধ্যে ডুবে আছি। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সত্য নবি হিসেবে প্রমানিত করেছেন। কুরআনের ভবিষ্যৎবানী দ্বারা প্রমান করেছেন কুরআন মহান আল্লাহ তাআলার বানী। সত্যিই লেখকের কথা গুলোর মাধ্যমে মনে হচ্ছিল মেঘ গুলো কেটে যাচ্ছে। সংশয়বাদী ভাই বের হয়ে এসেছেন কালো অন্ধকার থেকে।
বইটি শুধু সংশয়বাদীদের জন্যই নয় বরং মুসলিম যুবকদেরকে ইসলাম সম্পর্কে নতুন করে শিখাতে সাহায্য করবে৷ হৃদয়ে সংশয় না থাকলেও ইসলামকে নতুন করে জানাবে। বইটিতে অজানা কিছু গল্পের অবতারণা করেছেন।
বইটি সম্পাদনা করেছেন ‘ডবল স্টান্ডার্ড-১,২’ এর পাঠক প্রিয় লেখক ডা. শামসুল আরেফীন। তিনি বইটির মান আরও উন্নত করেছেন সম্পাদনার মাধ্যমে।
redwannabil116 – :
জীবনের বিভিন্ন সময় আমাদের মনে সংশয়ের বীজ বপন হয়। অনেক সময় সঠিক পথে ফিরে অাসতে পারলেও প্রায় সময়ই তারা ডুবে যায় অন্ধকারের অতল গহ্বরে। মুসলিম পরিবারের সন্তানদের মধ্যে এই মাহামারি খুবই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তাই এই সময়ে সংশয়ের বীজ শিকড় সহ উপরে ফেলতে মুসলিম ভাইদের এগিয়ে আসা সময়ের দাবি। এইরকমই একজন মুসলিম ভাই এগিয়ে এসেছেন এক সংশয়ে পড়া ভাইয়ের সাহায্যে। ড. হুসামুদ্দীন হামিদ সংশয়ে পড়া এক ভাইকে বের করে এনেছেন অন্ধকার থেকে আলোতে। সংশয়কে উপরে ফেলেছেন শিকড় থেকে।
#আামার_ভাবনাঃ
বইটি পড়ে চোখ বারবারই অশ্রুশিক্ত হয়ে পড়েছিল।
আগে কখনো এভাবে ভাবিনি যে আমরা আল্লাহর এত নিয়ামতের মধ্যে ডুবে আছি। লেখক কুরআন ও বিজ্ঞানের মাধ্যমে প্রমান করেছেন আমরা কীভাবে মহান আল্লাহ তাআলার নিয়ামতরাজির মধ্যে ডুবে আছি। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সত্য নবি হিসেবে প্রমানিত করেছেন। কুরআনের ভবিষ্যৎবানী দ্বারা প্রমান করেছেন কুরআন মহান আল্লাহ তাআলার বানী। সত্যিই লেখকের কথা গুলোর মাধ্যমে মনে হচ্ছিল মেঘ গুলো কেটে যাচ্ছে। সংশয়বাদী ভাই বের হয়ে এসেছেন কালো অন্ধকার থেকে।
বইটি শুধু সংশয়বাদীদের জন্যই নয় বরং মুসলিম যুবকদেরকে ইসলাম সম্পর্কে নতুন করে শিখাতে সাহায্য করবে৷ হৃদয়ে সংশয় না থাকলেও ইসলামকে নতুন করে জানাবে। বইটিতে অজানা কিছু গল্পের অবতারণা করেছেন।
বইটি সম্পাদনা করেছেন ‘ডবল স্টান্ডার্ড-১,২’ এর পাঠক প্রিয় লেখক ডা. শামসুল আরেফীন। তিনি বইটির মান আরও উন্নত করেছেন সম্পাদনার মাধ্যমে।
M. Hasan Sifat – :
–
❖ বিষয়বস্তু—
““““““““““`
মূলত বিশ্বাসের সাথে সংশয়ের যে দ্বন্দ্ব, তার তুলনামূলক আলোচনা নিয়েই রচিত এই বইটি ।
একজন সংশয়বাদী বিক্ষিপ্ত মনে একটি অনলাইন ফোরামে এসেছিলেন । নিজ মনের অভিব্যক্তি তিনি অকপটে স্বীকার করেছিলেন । তার মনে উদয় হওয়া স্রষ্টা,ধর্ম এসব বিষয়ে নানান প্রশ্ন তিনি করেছিলেন সেখানে । এই বইয়ের লেখক “হুসাম উদ্দিন হামেদ” তার সেসব প্রশ্নের উত্তর দেয়া শুরু করেন । হাত ধরে তাকে এগিয়ে নিয়ে চলেন সত্যের দিকে । কিন্তু সে কি সত্যের পথ পেয়েছিলো ? নাকি উল্টো পথে ফিরে গিয়েছিলো ? জানতে হলে পড়তে হবে পুরো বইটি ।
–
❖ পাঠ্যানুভূতি—
“““““““““““““
এই বইটা পড়ে আর যাইহোক নাস্তিক্যবাদের উপর অটল থাকার কোনো মানেই হয় না, যদিনা আল্লাহ্ অন্তরে মোহর মেরে না দেন । বইটা গতানুগতিক ধারার নাস্তিকতার বিরুদ্ধে লেখা বইগুলোর মতো না । একেবারেই অন্যরকম মনে হয়েছে । অনেক নতুন নতুন বিষয় উঠে এসেছে বইয়ে । চিন্তার জগতে ঝড় বইয়ে দিয়েছে । দাগ কেটে গেছে মনের অলিতে-গলিতে । লেখক তাঁর দরদ মাখা কথার একঝুড়ি পশরা সাজিয়েছেন বইয়ের পাতায়-পাতায় । অনুবাদও চমৎকার হয়েছে । অনুবাদ করেছে, “আবদুল্লাহ্ মজুমদার” ভাই । বইটাতে আরেকজন প্রিয় লেখক “ডা. শামসুল আরেফীন” ভাইয়েরও হাতের স্পর্শ রয়েছে । আরেকটি ভাল লাগার অনুভূতি হচ্ছে- বইটি হার্ডকভার । হার্ডকভার বই পড়ার যে সুবিধা তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না ।
–
❖ কেন পড়বেন বইটি ?
“““““““““““““““““
বইটা কেবল সংশয়বাদীদের জন্যই না । যাদের ঈমান দূর্বল, তাদের অন্তত একবার হলেও বইটা পড়া উচিত । বইটা পড়া শেষে অন্তরে অন্যরকম একটা তৃপ্তি অনুভূত হবে । অন্তরে ঈমানের এক অন্যরকম স্বাদ পাবেন, মিন্ট ফ্লেভারের । মনে হবে, হৃৎপিণ্ড কেউ মেনথল দিয়ে ধুয়ে দিয়েছে । যদিও মূল বিষয়বস্তু একজন মুমিন ও একজন সংশয়ীর কথোপকথন, কিন্তু সংশয়ীর খোরাকের চেয়ে ঈমানওয়ালাদের খোরাক এই বইয়ে বেশি । অবশ্য সংশয়ী যদি তার্কিক না হয়ে ভাবুক হয়, তবে এ বই তাকে হয়তো শুরু থেকে আরেকবার ভাবাবে ।
–
কিছু বই একবার পড়ে ফেলে রাখতে নেই, বার বার পড়তে হয় । এই বইটি আমাদের সপ্তাহে একবার করে পড়া উচিত বলে মনে হয়েছে । সেই সাথে প্রতিদিন কিছু সময় বইয়ের কথাগুলো আরেকজনের কাছে আওড়ানো দরকার, যাতে কথাগুলো একেবারে অন্তরে বসে যায়, সত্তার সাথে মিশে যায় । আল্লাহর সিফাত ও রিসালাতের সত্যতা যেভাবে খুলে খুলে বিস্তারিত উঠে এসেছে বইয়ে, তাতে আপনার ঈমানের স্তর আরো কয়েকধাপ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে, ইন শা আল্লাহ্ ।
–
বইটি প্রকাশিত হয়েছে “সমকালীন প্রকাশন” থেকে ।
প্রচ্ছদ মূল্য—২৬৮ টাকা ।
পৃষ্ঠা সংখ্যা—১৫৫
তাহাসিন আহাম্মেদ – :
.
বিশ্বাসী-অবিশ্বাসীর দ্বন্দ্ব চলছে। আলোচনা জুড়ে যুক্তি-পাল্টা যুক্তির সয়লাব। একসময় অবিশ্বাসী জন পিছু হটে যায়। বিশ্বাসী জন তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে। ভাবে ‘সত্য সে তো জয়ী হবারই।’ অথচ এই দ্বন্দ্ব-সংঘাত সত্য আসার পর থেকেই চলমান। আজ অবধি৷ এর শেষ হয়নি,হচ্ছে না এবং হক্ব যতদিন থাকবে বাতিলের সাথে এই বিবাদের শেষ হবে না। অবিশ্বাসীরা পরাজিত হবে,খোঁড়া যুক্তির আগা ভাঙা তীরের তূনীর তুলে ছুট্ লাগাবে অন্য কোন বিশ্বাসী হৃদয়ে আঘাত হানার লক্ষ্যে। কারণ? “নিশ্চয় যারা অস্বীকার করে,তাদের আপনি সাবধান করুন আর না করুন—তারা স্বীকার করবে না।”* তারা তো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেই যে তাদের সামনে যত প্রমাণ,যত দলিলই আসুক—তারা সত্যকে মেনে নিবে না। অস্বীকার করবেই করবে।
কিন্তু এমন যদি হয় যে একজন সংশয়বাদী,নাস্তিকতা সম্পর্কে যে দৃঢ় বিশ্বাসী অথচ সে জানে সত্য অন্যকিছু,অন্য কোথাও। সুশোভিত মিথ্যা তাকে বারংবার ধোঁকায় ফেলে সত্য অবধি পৌঁছাতে দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় একজন কেউ তার হাত ধরলো,ধৈর্য ধরে,শান্ত-বিনয়ী কোমল সুরে হক্ব এবং বাতিলের মধ্যেকার সুস্পষ্ট পার্থক্যকে তুলে ধরলে সে নিশ্চয়ই সত্য যে পথ তা চিনে নিবে,নিবেই। কেননা সে তো বিশ্বাস করার জন্যেই উন্মুখ হয়ে আছে। তার অন্তরের বদ্ধ জানালা সে খুলে দিয়েছে৷ গোঁড়ামি,অহংকার সত্য সামনে আসলেও নিজের বিশ্বাসের প্রতি অটল থাকার অন্ধত্ব থেকে নিজেকে মুক্ত করেছে।
এই হাত ধরার কাজটাই করার জন্য আলোচ্য গ্রন্থ ‘মেঘ কেটে যায়’।
.
| গ্রন্থ পর্যালোচনা |
.
ফিলিস্তিন।
আল কুদসের ভূমি ফিলিস্তিন।
এই পূণ্য ভূমির এক আদম সন্তান ‘আবুল হাকাম।’ যিনি তাঁর শেকড় থেকে চলে গেছেন দূরে আর শিখর থেকে এসেছেন নেমে। অবিশ্বাস,আত্ন দ্বন্দ্বের শিকার,দ্বিধা-সংশয় আর সন্দেহের ভারে নুব্জ্য এক বিশ্বাসী আত্না। সত্যের সন্ধানে ‘মুন্তাদা-আত তাওহিদ’ নামক অনলাইন ফোরামে রাব্বুল আলামীনের পরিচয় চেয়ে,ইসলামকে জানতে চেয়ে,আত্নপরিচয় চিনতে চেয়ে প্রশ্ন করলেন। উত্তর নিয়ে আসেন প্রাজ্ঞবান,ধৈর্যশীল এক বিশ্বাসী ‘ড. হুসামুদ্দীন হামিদ’। দিলের সব দরদ ঢেলে একের পর এক উত্তর দিতে থাকেন ‘আবুল হাকামের’ প্রশ্নের।
.
‘তিনিই আল্লাহ’,
‘রাসূল ও রিসালাত’,
‘জ্ঞান ও ক্ষমতা’,
‘কঠিন চুক্তি’,
‘আরেক দফা চুক্তি’,
‘রাসূলদের পথ’,
ইত্যাদি শিরোনামে বইটিতে সাজানো হয়েছে ‘আবুল হাকামের’ প্রশ্নের উত্তরে ‘ড. হুসামুদ্দীনের’ ছয়টি জবাব। বইটি কেন পড়া উচিত যদি বলতে হয় তাহলে বলা যায় এর প্রতিটা অধ্যায় এতটাই জ্ঞানপূর্ণ যে একজন অবিশ্বাসীকে যেমন নাড়া দিয়ে যাবে,তেমনি নাড়া দিবে একজন বিশ্বাসীকে। ঈমানওয়ালাদের হৃদয় ঈমানের সুগন্ধিতে পূর্ণ করে দেওয়ার খোরাক আছে বক্ষ্যমাণ বইটিতে। ‘রাসূলদের পথ’ শিরোনামে যে জবাবটি গ্রন্থিত হয়েছে এই একটি জবাবই এমন বিস্ময়কর ক্ষমতাসম্পন্ন যে যেকোন অবিশ্বাসীকে একবার অন্তত ভাবাবে,তার বিশ্বাসের ভিত নাড়িয়ে দিবে আর বিশ্বাসী হৃদয়ে এনে দিবে শ্বাশত সৌন্দর্যের আরও একটি দৃষ্টান্ত।
.
মোদ্দাকথা প্রতিটা জবাবের এমন শক্তি যে,যিনি নিজের দোদুল্যমান অন্তর নিয়ে সন্দিহান হয়ে বলছেন,’আমি সর্বান্তকরণে একজন স্রষ্টার উপস্থিতি অনুভব করি; কিন্তু অজ্ঞাত কোনো কারণে আমি তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারছি না। তাকে স্রষ্টা হিসেবে মেনে নিতে পারছি না।’ সেই তিনি সত্যের পথে যাত্রা শুরু করে ঈমানদীপ্ত ঘোষণা দিলেন,’যে মহান স্রষ্টা কোনো স্তম্ভ ব্যতীতই মহাকাশকে সমুন্নত করে রেখেছেন আমি তাঁর শপথ করে বলছি,”ঈমানে স্বাদ অপার্থিব।” ‘
.
| বৈশিষ্ট্য |
.
বেশ ঝরঝরে,প্রাণবন্ত,গতিময় অনুবাদ। প্রায় মূলানুগ। একেবারেই মনে হয়নি অনুবাদ পড়ছি। এর আগে অনুবাদক ‘আব্দুল্লাহ মজুমদারের’ অনুদিত ‘সবর’ বইটির অনুবাদের মানও ভালো ছিল।
.
বইয়ের পৃষ্ঠা সজ্জা বেশ দৃষ্টিনন্দন। কুরআনুল কারীম থেকে নেওয়া আয়াত,হাদীস শরীফ,সালাফদের বিভিন্ন উক্তি দৃষ্টি আকর্ষিত করার মতো কোট করে দেওয়া ছিল। ফন্টের আকার,ধরণ,মান সবই ভালোই।
.
প্রতি পৃষ্টার টিকা পৃষ্টার নিচেই সংযোজন করা হয়েছে। পাঠকদের জন্য সুবিধাজনক বটে।
.
| অভিযোগ |
.
পুরো বইটিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে যিনি,যার অন্তর ছোঁয়া কথামালা অবিশ্বাসী হৃদয়ে ঝড় তুলছে,বিশ্বাসীদের বিশ্বাসকে পোক্ত করে ঈমান বৃদ্ধি করছে সে ‘ড. হুসামুদ্দীন হামিদ’ সম্পর্কে কোন তথ্য দেওয়া হয়নি। ঈমানের মৌলিক বিষয়াদি তাঁর আলোচনায় এসেছে,অথচ এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আলোচনাকারীই অন্ধকারে রয়ে গেছে। তাঁর আকিদা,ইলম,মানহাজ সম্পর্কে পাঠককে আলাদা করে ধারণা দেওয়ার প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু তা বইয়ে অনুপস্থিত।
.
অনুদিত বইয়ে অনুবাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এক্ষেত্রেও অনুবাদক যে মন-প্রাণ ঢেলে কাজটি সম্পন্ন করেছেন তা পড়তে গিয়ে কেবলই মনে হচ্ছিল। অথচ প্রচ্ছদে অনুবাদকের নাম সংযোজন করা হয়নি। বই হাতে নিয়ে মলাটে বই এবং লেখকের নাম দেখে এক মুহুর্তের জন্য ভ্রম হয়েছিল এ বুঝি মৌলিক বই।
.
| বই সংশ্লিষ্টদের একটুখানি পরিচিত |
.
অনুবাদ জগতে মোটামুটি নিজের একটা অবস্থান গড়ে নিয়েছেন ‘আব্দুল্লাহ মজুমদার’। সমকালীন প্রকাশন থেকে অনুবাদকের প্রকাশিত আরও কিছু আলোচিত বই যথাক্রমে ইমাম ইবনুল কায়্যিম রহিমাহুল্লার ‘সবর’, শায়খ ড. আব্দুল করীমের ‘জীবন পথে সফল হতে’,শায়খ ইবরাহীম আস সাকরান রচিত ‘কুরআনের সাথে হৃদয়ের কথা’ ইত্যাদি। এছাড়াও এই বিশের বছরে প্রকাশিত হয়েছে ড. হানান লাশিন রচিত ‘জীবন যদি হতো নারী সাহাবীদের মতো।’ এছাড়া সম্পাদকদ্বয়ও ইসলামী অঙ্গনের পরিচিত মুখ। ডা. শামসুল আরেফিন স্বনামধন্য,অসাধারণ জ্ঞান-গুণ সম্পন্ন লেখক।
.
রেটিংঃ ৮/১০
*সূরা আল বাকারা,আয়াতঃ৬
Hasansifat1996 – :
বইটা কেবল সংশয়বাদীদের জন্যই না । যাদের ঈমান দূর্বল, তাদের অন্তত একবার হলেও বইটা পড়া উচিত । বইটা পড়া শেষে অন্তরে অন্যরকম একটা তৃপ্তি অনুভূত হবে ।
বইটি সম্পাদনা করছেন আরেকজন প্রিয় লেখক “ডা. শামসুল আরেফীন” ভাই ।
বইটি পড়ার পর আপনি অন্তরে ঈমানের এক অন্যরকম স্বাদ পাবেন, মিন্ট ফ্লেভারের । মনে হবে, হৃৎপিণ্ড কেউ মেনথল দিয়ে ধুয়ে দিয়েছে । যদিও মূল বিষয়বস্তু একজন মুমিন ও একজন সংশয়ীর কথোপকথন, কিন্তু সংশয়ীর খোরাকের চেয়ে ঈমানওয়ালাদের খোরাক এই বইয়ে বেশি । অবশ্য সংশয়ী যদি তার্কিক না হয়ে ভাবুক হয়, তবে এ বই তাকে হয়তো শুরু থেকে আরেকবার ভাবাবে ।
–
সংশয়বাদী পক্ষ, বিশ্বাসী পক্ষ, রাসূল ও রিসালাত, তিনিই আল্লাহ, জ্ঞান ও ক্ষমতা, কঠিন চুক্তি, আরেক দফা চুক্তি, রাসূলদের পথ, সত্যের পথে যাত্রা – শিরোনামে চমৎকার সব আলোচনা,যুক্তিতর্ক,প্রশ্নোত্তরের মেলা বসেছে বইয়ের পাতায় । হৃদয়ের মেঘ কেটে যাওয়ার এই উপাখ্যান দিয়েই সাজানো হয়েছে— “মেঘ কেটে যায়” ।
মূলত বিশ্বাসের সাথে সংশয়ের যে দ্বন্দ্ব, তার তুলনামূলক আলোচনা নিয়েই রচিত এই বই ।
–
একজন সংশয়বাদী বিক্ষিপ্ত মনে একটি অনলাইন ফোরামে এসেছিলেন । নিজ মনের অভিব্যক্তি তিনি অকপটে স্বীকার করেছিলেন । তার মনে উদয় হওয়া নানান প্রশ্ন তিনি করেছিলেন সেখানে । এই বইয়ের লেখক “হুসামুদ্দীন হামিদ” তার সেসব প্রশ্নের উত্তর দেয়া শুরু করেন । হাত ধরে তাকে এগিয়ে নিয়ে চলেন সত্যের দিকে । কিন্তু সে কি সত্যের পথ পেয়েছিলো ? নাকি উল্টো পথে ফিরে গিয়েছিলো ? জানতে হলে পড়ে ফেলুন পুরো বইটি ।
–
কিছু বই একবার পড়ে ফেলে রাখতে নেই, বার বার পড়তে হয় । এই বইটি আমাদের সপ্তাহে একবার করে পড়া উচিত বলে মনে হয়েছে । সেই সাথে প্রতিদিন কিছু সময় বইয়ের কথাগুলো আরেকজনের কাছে আওড়ানো দরকার, যাতে কথাগুলো একেবারে ভেতরে বসে যায়, সত্তার সাথে মিশে যায় । আল্লাহর সিফাত ও রিসালাতের সত্যতা যেভাবে খুলে খুলে বিস্তারিত উঠে এসেছে বইয়ে, তাতে আপনার ঈমানের স্তর আরো কয়েকধাপ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে, ইন শা আল্লাহ্ ।
–