বইটির নামই তার ভেতরকার আলোচ্য বিষয়ের প্রতিনিধিত্ব করছে। জ্বি, বইটিতে আলোচিত হয়েছে মাগফিরাতের পথ ও পদ্ধতি। পাপাচারে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ব্যক্তি কীভাবে মহান রব্বুল আলামীনের মাগফিরাত লাভ করতে পারে, অত্র পুস্তিকায় তাই চিত্রিত করেছেন ইমাম ইবনু রজব হাম্বলি রহিমাহুল্লাহ।
.
• বইয়ের আদ্যোপান্ত :
ছোট্ট একটি বই। রিসালাহ বা পুস্তিকা বলাই শ্রেয়। অথচ অতীব জরুরি ইলমে পরিপূর্ণ ছোট্ট এ বইটি।
বইটির শুরুতেই যোগ করা হয়েছে লেখক পরিচিতি। খুব সংক্ষেপে লেখকের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। এরপর যুক্ত করা হয়েছে অনুবাদকের কথা। অনুবাদক আহমাদ ইউসুফ শরীফ অত্র পুস্তিকাটি অনুবাদ করতে গিয়ে যেসব মূলনীতি সামনে রেখেছেন, তা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন এখানে।
এবার শুরু মূল পুস্তিকার আলোচনা। মূল আলোচনা শুরু হয়েছে আল্লাহ রব্বুল ইজ্জতের দরবারে ক্ষমাপ্রার্থনা বিষয়ে জামেউত তিরমিজির একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিসে কুদসী দিয়ে। এরপর লেখক কয়েক পৃষ্ঠাব্যাপী মুহাদ্দিসগণের মতামত উল্লেখ করে এ হাদিসের সনদের বিশুদ্ধতা নিরূপণ করেছেন।
বইয়ের শুরুতেই হাদিস উল্লেখের কারণ কী? এর কারণ হচ্ছে, এ হাদিস থেকেই লেখক তাঁর বইয়ের বাকি আলোচনা এগিয়ে নিয়েছেন। লেখকের ভাষায়, “(উক্ত) হাদিসে বর্ণিত তিনটি বিষয়ই হলো মাগফিরাত তথা মুক্তিলাভের উপায়।” কী সেই তিনটি বিষয়?
১. আশাবাদী মনে দুআ করা
২. ইস্তিগফার অর্থাৎ ক্ষমা প্রার্থনা করা
৩. তাওহীদ অর্থাৎ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার একত্ববাদে পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখা।
অতঃপর লেখক এ তিনটি বিষয়ের ব্যাখ্যা করেছেন বইয়ের বাকি অংশে।
মাগফিরাত লাভের প্রথম উপায় : আশাবাদী মনে দুআ করা। কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী, আমরা আল্লাহকে ডাকলে তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দেবেন। তাই আল্লাহকে বেশি বেশি ডাকা বা তাঁর মাগফিরাত লাভের জন্য তাঁর দরবারে বেশি বেশি দুআ করা একান্ত জরুরি।
দুআর আদব কী? দুআ কবুলের শর্ত কী? দুআকারীর অবশ্যকর্তব্য কী? আল্লাহ তা’আলা কেমন দুআকারী বান্দাকে পছন্দ করেন? এ প্রশ্নগুলোর দালিলিক উত্তর মিলবে বইয়ের শুরুর দিকেই।
কখনো কখনো বান্দার দুআ আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। তবে বাহ্যিকভাবে সেই দুআ কবুল না হলেও এর বিনিময়ে আল্লাহ বান্দাকে কিছু না কিছু দান করেন। এ বিষয়েও দালিলিক আলোচনা পাবেন বইটিতে।
“বান্দার গুনাহের তুলনায় আল্লাহর ক্ষমা সীমাহীন” শিরোনামে অতি সংক্ষেপে বইটিতে এমন কিছু বর্ণিত হয়েছে, যা পড়ার পর যে কেউই আল্লাহর ক্ষমার ব্যাপারে আরো বেশি আশাবাদী হবে, আল্লাহর প্রতি জন্ম নেবে অন্যরকম এক টান।
মাগফিরাত লাভের দ্বিতীয় উপায় হিসেবে লেখক উল্লেখ করেছেন ‘বেশি বেশি ইস্তিগফার অর্থাৎ ক্ষমা চাওয়া’।
বইয়ের এ অংশে লেখক মাগফিরাত, ইস্তিগফার এবং তাওবার পরিচয় উল্লেখপূর্বক এ তিনের মধ্যকার পার্থক্য বর্ণনা করেছেন। এছাড়াও লেখক বর্ণনা করেছেন পরিপূর্ণ ও মাকবুল ইস্তিগফারের স্বরূপ, একই সাথে তাওবা ও ইস্তিগফার পাঠ করার বিধান এবং ইস্তিগফারের উত্তম পদ্ধতি।
দিনে ক’বার ইস্তিগফার করা প্রয়োজন? যেখানে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনে ৭০-১০০ বার তাওবা-ইস্তিগফার করতেন, সেখানে আমাদের কতবার ইস্তিগফার করা দরকার, তা সহজেই অনুমেয়। এ প্রসঙ্গেও দলিল ভিত্তিক আলোচনা উপস্থাপিত হয়েছে বইটিতে।
যাদের গুনাহ কম, তাদের নিকট ইস্তিগফারের দুআ কামনা করা শুধু জায়েজই নয়, বরং বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ পর্যায়ে লেখক এ বিষয়টিই পরিস্কার করেছেন।
মাগফিরাতের তৃতীয় উপায় হচ্ছে তাওহীদের ইয়াকিন। যার তাওহীদ বিশুদ্ধ থাকবে, গুনাহগার হলেও সে এক পর্যায়ে জান্নাতে যাবে। তাই আল্লাহর মাগফিরাত লাভের জন্য তাওহীদ বিশুদ্ধ হওয়া আবশ্যক। বইটির শেষাংশে লেখক এ বিষয়েই আলোকপাত করেছেন, এছাড়াও দেখিয়েছেন মাগফিরাত লাভের জন্য উপযুক্ত তাওহীদের স্বরূপ।
.
• পাঠান্তে অনূভুতি : যা কিছু ভালো লেগেছে :
অসাধারণ একটি বই। প্রচ্ছদ সুন্দর, বাইন্ডিংও বেশ। সংক্ষিপ্ত, সহজবোধ্য, অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। সংক্ষিপ্ত হওয়া সত্ত্বেও দলিলপত্রের পর্যাপ্ততা বইটিকে দিয়েছে এক অন্যরকম মান। অনুবাদও বেশ ঝরঝরে। বইটির হৃদয়গ্রাহী বর্ণনা যেকারো অন্তর স্পর্শ করবে, নাড়া দিবে বিবেকে। কীভাবে অল্প কথায় অধিক ভাব প্রকাশ করা যায় বা অল্প কথায় সফলভাবে পাঠককে প্রভাবিত করা যায়, এ বইটি তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। পাপাচারের এ বল্গাহীন যুগে বিষয়বস্তুর বিচারে বইটি বেশ প্রয়োজনীয়।
.
• পাঠান্তে অনূভুতি : যা মন্দ লাগার মতো :
মন্দ লাগার মতো মোটাদাগে তেমন কিছু নেই। তবে কভারের ব্যাপারে কিছুটা অতৃপ্তি কাজ করছে। বইটির কভার পেপারব্যাক। কিন্তু ফ্ল্যাপ নেই। কিছুটা নাড়াচাড়া করার পরই কভার মুচড়িয়ে উল্টে যায়। পেপারব্যাক কভারে ফ্ল্যাপ থাকা প্রয়োজন। অথবা কভারের কাগজ অন্তত আরো শক্ত হওয়া উচিত। আরেকটি বিষয়, সাধারণত সাম্প্রতিক সময়ের বইগুলোর শেষে ‘পাঠকের পাতা’ শীর্ষক কিছু খালি পৃষ্ঠা থাকে, যেখানে পাঠক তাঁর অনুভূতি বা কোনো প্রয়োজনীয় নোট লিখে রাখেন। এ বইটিতে তা নেই।
.
• লেখক সম্পর্কে দু’কলম :
ইমাম হাফিজ আবুল ফারাজ ইবনু রজব হাম্বলি রহিমাহুল্লাহ। জন্ম ৭৩৬ হিজরিতে বাগদাদের এক ইলমসম্পন্ন পরিবারে। ইলম অর্জন করেছেন ইমাম ইবনুল কায়্যিম জাওযিয়্যাহ এর মতো সময়ের সবচে’ প্রাজ্ঞ আলিমদের নিকট। রচনা করেছেন বহুসংখ্যক কালজয়ী গ্রন্থ। তাফসীরশাস্ত্র, হাদিসশাস্ত্র, ফিকহশাস্ত্র, জীবনীগ্রন্থ, নসিহামূলক গ্রন্থ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে রয়েছে তাঁর বহুসংখ্যক মৌলিক রচনা। এ মহান মনীষী ইন্তেকাল করেন ৭৯৫ হিজরির ৪ঠা রমযান। রহিমাহুল্লাহ।
2 out of 2 people found this helpful. Was this review helpful to you?
বইঃ মাগফিরাতের পথ ও পাথেয়
লেখক : ইমাম ইবনু রজব হাম্বলি (রহঃ)
অনুবাদকঃ আহমাদ ইউসুফ শরীফ
প্রকাশনী : শব্দতরু
গায়ের দাম ৮০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৬৪
বইটি কেন পড়বেন?
আমরা অনেকেই চাই আল্লাহর ক্ষমা, মাগফেরাত, গুনাহ থেকে মুক্তি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতে যেতে। কিন্তু আমরা সেই পথ ও পুয়ায় ভালভাবে জানিনা। প্রসিদ্ধ আলেম ইবনু রজব হাম্বলির লেখা এই বইটি সেই আলোকিত পথ দেখাবে।
লেখক পরিচিতিঃ
বইয়ের শুরুতে আছে এই আলেমের পরিচিতি। তিনি বাগদাদে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর বহু প্রসিদ্ধ শিক্ষক ছিলেন এবং তিনি নিজেও অনেকে আলেমের শিক্ষক। তাফসীর, হাদিস, ফিকহ ইত্যাদিতে ছিল তাঁর অগাধ পান্ডিত্য। এসব বিষয়ে তিনি সমকালীন শ্রেষ্ঠ আলেম হিসাবে বেশ কিছু বই লিখে গেছেন।
অনুবাদকের কথায় বইটি অনুবাদ করতে কিছু মূলনীতি তিনি বর্ননা করেছেন।
বইয়ের সারমর্মঃ
মাগফিরাতের অর্থ, মাগফিরাত লাভের উপায় বর্ননা করা হয়েছে শুরুর দিকে। আল কুরআনের আয়াত, হাদীস, মনিষীদের উক্তি, কবিতা ইত্যাদির মাধ্যমে সুন্দরভাবে এসবের স্বরূপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
দোয়া কবুলের সময়, শর্ত ইত্যাদি জেনে এই বইয়ের সাহায্যে দোয়া করার উত্তম গাইডলাইন পাওয়া যাবে।
ইসতিগফার, তাওবা বিষয়েও এসেছে বিস্তারিত আলোচনা। গুনাহ থেকে ফিরে আসার জন্য প্রয়োজন এই তাওবা। তাওবা কবুল হওয়ার শর্ত, পদ্ধতি ইত্যাদি বর্নিত হয়েছে সাবলীলভাবে, বিস্তারিত রেফারেন্স সহকারে।
বইটির অনন্য দিকঃ
সকল আয়াত, হাদীসেই সুনির্দিষ্ট, বিস্তারিত রেফারেন্স দেয়া হয়েছে যা বইটিকে করে তুলেছে নির্ভেজাল, অথেনটিক। আল্লাহ, রাসূল, সাহাবী, সালাফদের নামের পরে সুন্দর ক্যালিগ্রাফি দিয়ে দোয়া প্রকাশ করা হয়েছে।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
দোয়া, তাওবা, মাগফিরাত এর মত বেসিক বিষয়ে সুন্দর এই বইটি সবারই পড়া উচিৎ ও ঘরে রাখা উচিৎ। নিজ ও পরিবারের সার্বিক কল্যানে এই বইটি অনন্য।
বইয়ের কাগজের মান, ছাপা, বাইন্ডিং বেশ সুন্দর। প্রচ্ছদটা আরেকটু ফুটিয়ে তুলতে পারলে আরো ভাল লাগতো।
রেটিংঃ ৮.৫/১০
2 out of 2 people found this helpful. Was this review helpful to you?
মাগফিরাত লাভের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো মুমিনের আন্তরিক অনুশোচনা, অনুতাপ ও পুনরায় পাপ আর না করার আন্তরিক ইচ্ছা ও সিদ্ধান্ত। সেই সাথে আল্লাহর মহববত, কুবলিয়্যাত লাভের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
মাগফিরাত সম্পর্কে আল কুরআনে অসংখ্য আয়াত ও রাসূল (স:) হতে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আল কুরআনে বর্ণিত সেসব আয়াত ও রাসূল (স:) এর হাদীসসমূহ কে উপজীব্য করে ইবনে রজব আল-হাম্বলি (রহ.) এক অনবদ্য লিখে গেছেন। যার নাম ” আসবাবুল মাগফিরাহ ” । অভিজ্ঞ অনুবাদক আহমাদ ইউসুফ শরীফ কতৃক বাংলায় অনুবাদের পর যার নাম দেয়া হয়েছে “মাগফিরাতের পথ ও পাথেয় “।
.
▶ সার-সংক্ষেপঃ-
বইতে লেখক মাগফিরাত লাভের উপায় গুলোকে তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত করে আলোচনা করেছেন। যথা-
১। মাগফিরাত লাভের প্রথম উপায়ঃ-
আল্লাহর নিকট হতে মাগফিরাত লাভ করতে হলে আল্লাহ তায়ালার সীমাহীন দয়া ও ক্ষমার সীফাতের কথা মনে করে দুআ করতে হবে। কেননা দুআ হলো এমন এক নিয়ামত যার মাধ্যমে সকল গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন। দুআর কার্যকারিতার কথা উল্লেখ করে পবিত্র কুরআনের সূরা মুমিনের ৬০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন “তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো”। তবে দুআ কবুল হওয়ার জন্য বেশকিছু শর্ত, পদ্ধতি, সময় ও নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে। আমরা যদি এগুলোর প্রতি লক্ষ্য কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারি তাহলেই কেবল তিনি আমাদের দোয়াসমূহ কবুল করবেন।
.
২। মাগফিরাত লাভের দ্বিতীয় উপায়ঃ-
এ অধ্যায়ে লেখক ইস্তিগফার ও মাগফিরাত কাকে বলে সে সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। এছাড়া কোন কোন সময় ইসতিগফার হয়ে ওঠে দোয়া কবুলের অন্তরায়। ইসতিগফারের উত্তম পদ্ধতি কি তা জানা যাবে এই অধ্যায় পড়ে । এই অধ্যায়ের শেষে লেখক আলোচনা করেছেন তওবা ও ইসতিগফারের বিভিন্ন বিধান সম্পর্কে।
.
৩। মাগফিরাতের লাভের তৃতীয় উপায়ঃ-
মাগফিরাত লাভের তৃতীয় উপায় হলো তাওহিদ। আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তাওহিদ । তাওহিদ হলো একমাত্র আল্লাহকে সবকিছুর স্রষ্টা হিসেবে স্বীকার করা। এবং তার সাথে কোন কিছুর শরীক না করা। কেননা আল্লাহ তায়ালা সব গুনাহ ক্ষমা করলেও শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করেন না। আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে প্রথম শর্ত হলো তাওহিদ। আল কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন-
নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করবেন না। এটা ছাড়া অন্য সব যাকে ইচ্ছে মাফ করবেন এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করল, সে এক মহা অপবাদ আরোপ করল।” (সূরা নিসা -৪৪)
এছাড়াও এই অধ্যায়ে তাওহিদের স্বরুপ সম্পর্কে আলোচনা স্থান পেয়েছে।
.
▶ বইটি কেন পড়বেন??
১। কারণ এতে আলোচিত হয়েছে তাওবা, ইসতিগফার ও মাগফিরাতের বিভিন্ন দিক।
১। আপনি যদি দোয়া কবুলের স্থান, পদ্ধতি, ও সময় সম্পর্কে ধারণা পেত্র চান তাহলে বইটি অবশ্যই পড়ুন।
৩। আপনি যদি তাওহিদের গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বইটি আপনার জনই।
.
▶ ব্যক্তিগত অনূভুতিঃ-
ব্যক্তিগত অনূভুতি যদি বলতেই হয় তাহলে বলবো বইটি এককথায় অসাধারন। সংক্ষিপ্ত পরিসরে দৈনন্দিন ইবাদতের ক্ষেত্রে তাওবা, মাগফিরাত, তাওহিদ, ইসতিগফার সম্পর্কে বেশ ফলপ্রসূ আলোচনা উঠে এসেছে। সকল দ্বীনদার মু’মিনের জন্য এই বই অসাধারণ ও অনবদ্য একটি রচনা হবে বলে আশা করি।
.
▶ শেষ কথাঃ-
পরিশেষে বলতে হয় এত সুন্দর একটি বই পাঠকের হাতে পৌছানোর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন।
2 out of 2 people found this helpful. Was this review helpful to you?
দ্বীন মুহাম্মাদ – :
বইটির নামই তার ভেতরকার আলোচ্য বিষয়ের প্রতিনিধিত্ব করছে। জ্বি, বইটিতে আলোচিত হয়েছে মাগফিরাতের পথ ও পদ্ধতি। পাপাচারে আকণ্ঠ নিমজ্জিত ব্যক্তি কীভাবে মহান রব্বুল আলামীনের মাগফিরাত লাভ করতে পারে, অত্র পুস্তিকায় তাই চিত্রিত করেছেন ইমাম ইবনু রজব হাম্বলি রহিমাহুল্লাহ।
.
• বইয়ের আদ্যোপান্ত :
ছোট্ট একটি বই। রিসালাহ বা পুস্তিকা বলাই শ্রেয়। অথচ অতীব জরুরি ইলমে পরিপূর্ণ ছোট্ট এ বইটি।
বইটির শুরুতেই যোগ করা হয়েছে লেখক পরিচিতি। খুব সংক্ষেপে লেখকের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। এরপর যুক্ত করা হয়েছে অনুবাদকের কথা। অনুবাদক আহমাদ ইউসুফ শরীফ অত্র পুস্তিকাটি অনুবাদ করতে গিয়ে যেসব মূলনীতি সামনে রেখেছেন, তা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন এখানে।
এবার শুরু মূল পুস্তিকার আলোচনা। মূল আলোচনা শুরু হয়েছে আল্লাহ রব্বুল ইজ্জতের দরবারে ক্ষমাপ্রার্থনা বিষয়ে জামেউত তিরমিজির একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিসে কুদসী দিয়ে। এরপর লেখক কয়েক পৃষ্ঠাব্যাপী মুহাদ্দিসগণের মতামত উল্লেখ করে এ হাদিসের সনদের বিশুদ্ধতা নিরূপণ করেছেন।
বইয়ের শুরুতেই হাদিস উল্লেখের কারণ কী? এর কারণ হচ্ছে, এ হাদিস থেকেই লেখক তাঁর বইয়ের বাকি আলোচনা এগিয়ে নিয়েছেন। লেখকের ভাষায়, “(উক্ত) হাদিসে বর্ণিত তিনটি বিষয়ই হলো মাগফিরাত তথা মুক্তিলাভের উপায়।” কী সেই তিনটি বিষয়?
১. আশাবাদী মনে দুআ করা
২. ইস্তিগফার অর্থাৎ ক্ষমা প্রার্থনা করা
৩. তাওহীদ অর্থাৎ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার একত্ববাদে পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখা।
অতঃপর লেখক এ তিনটি বিষয়ের ব্যাখ্যা করেছেন বইয়ের বাকি অংশে।
মাগফিরাত লাভের প্রথম উপায় : আশাবাদী মনে দুআ করা। কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী, আমরা আল্লাহকে ডাকলে তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দেবেন। তাই আল্লাহকে বেশি বেশি ডাকা বা তাঁর মাগফিরাত লাভের জন্য তাঁর দরবারে বেশি বেশি দুআ করা একান্ত জরুরি।
দুআর আদব কী? দুআ কবুলের শর্ত কী? দুআকারীর অবশ্যকর্তব্য কী? আল্লাহ তা’আলা কেমন দুআকারী বান্দাকে পছন্দ করেন? এ প্রশ্নগুলোর দালিলিক উত্তর মিলবে বইয়ের শুরুর দিকেই।
কখনো কখনো বান্দার দুআ আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। তবে বাহ্যিকভাবে সেই দুআ কবুল না হলেও এর বিনিময়ে আল্লাহ বান্দাকে কিছু না কিছু দান করেন। এ বিষয়েও দালিলিক আলোচনা পাবেন বইটিতে।
“বান্দার গুনাহের তুলনায় আল্লাহর ক্ষমা সীমাহীন” শিরোনামে অতি সংক্ষেপে বইটিতে এমন কিছু বর্ণিত হয়েছে, যা পড়ার পর যে কেউই আল্লাহর ক্ষমার ব্যাপারে আরো বেশি আশাবাদী হবে, আল্লাহর প্রতি জন্ম নেবে অন্যরকম এক টান।
মাগফিরাত লাভের দ্বিতীয় উপায় হিসেবে লেখক উল্লেখ করেছেন ‘বেশি বেশি ইস্তিগফার অর্থাৎ ক্ষমা চাওয়া’।
বইয়ের এ অংশে লেখক মাগফিরাত, ইস্তিগফার এবং তাওবার পরিচয় উল্লেখপূর্বক এ তিনের মধ্যকার পার্থক্য বর্ণনা করেছেন। এছাড়াও লেখক বর্ণনা করেছেন পরিপূর্ণ ও মাকবুল ইস্তিগফারের স্বরূপ, একই সাথে তাওবা ও ইস্তিগফার পাঠ করার বিধান এবং ইস্তিগফারের উত্তম পদ্ধতি।
দিনে ক’বার ইস্তিগফার করা প্রয়োজন? যেখানে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দিনে ৭০-১০০ বার তাওবা-ইস্তিগফার করতেন, সেখানে আমাদের কতবার ইস্তিগফার করা দরকার, তা সহজেই অনুমেয়। এ প্রসঙ্গেও দলিল ভিত্তিক আলোচনা উপস্থাপিত হয়েছে বইটিতে।
যাদের গুনাহ কম, তাদের নিকট ইস্তিগফারের দুআ কামনা করা শুধু জায়েজই নয়, বরং বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ পর্যায়ে লেখক এ বিষয়টিই পরিস্কার করেছেন।
মাগফিরাতের তৃতীয় উপায় হচ্ছে তাওহীদের ইয়াকিন। যার তাওহীদ বিশুদ্ধ থাকবে, গুনাহগার হলেও সে এক পর্যায়ে জান্নাতে যাবে। তাই আল্লাহর মাগফিরাত লাভের জন্য তাওহীদ বিশুদ্ধ হওয়া আবশ্যক। বইটির শেষাংশে লেখক এ বিষয়েই আলোকপাত করেছেন, এছাড়াও দেখিয়েছেন মাগফিরাত লাভের জন্য উপযুক্ত তাওহীদের স্বরূপ।
.
• পাঠান্তে অনূভুতি : যা কিছু ভালো লেগেছে :
অসাধারণ একটি বই। প্রচ্ছদ সুন্দর, বাইন্ডিংও বেশ। সংক্ষিপ্ত, সহজবোধ্য, অনন্য বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। সংক্ষিপ্ত হওয়া সত্ত্বেও দলিলপত্রের পর্যাপ্ততা বইটিকে দিয়েছে এক অন্যরকম মান। অনুবাদও বেশ ঝরঝরে। বইটির হৃদয়গ্রাহী বর্ণনা যেকারো অন্তর স্পর্শ করবে, নাড়া দিবে বিবেকে। কীভাবে অল্প কথায় অধিক ভাব প্রকাশ করা যায় বা অল্প কথায় সফলভাবে পাঠককে প্রভাবিত করা যায়, এ বইটি তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। পাপাচারের এ বল্গাহীন যুগে বিষয়বস্তুর বিচারে বইটি বেশ প্রয়োজনীয়।
.
• পাঠান্তে অনূভুতি : যা মন্দ লাগার মতো :
মন্দ লাগার মতো মোটাদাগে তেমন কিছু নেই। তবে কভারের ব্যাপারে কিছুটা অতৃপ্তি কাজ করছে। বইটির কভার পেপারব্যাক। কিন্তু ফ্ল্যাপ নেই। কিছুটা নাড়াচাড়া করার পরই কভার মুচড়িয়ে উল্টে যায়। পেপারব্যাক কভারে ফ্ল্যাপ থাকা প্রয়োজন। অথবা কভারের কাগজ অন্তত আরো শক্ত হওয়া উচিত। আরেকটি বিষয়, সাধারণত সাম্প্রতিক সময়ের বইগুলোর শেষে ‘পাঠকের পাতা’ শীর্ষক কিছু খালি পৃষ্ঠা থাকে, যেখানে পাঠক তাঁর অনুভূতি বা কোনো প্রয়োজনীয় নোট লিখে রাখেন। এ বইটিতে তা নেই।
.
• লেখক সম্পর্কে দু’কলম :
ইমাম হাফিজ আবুল ফারাজ ইবনু রজব হাম্বলি রহিমাহুল্লাহ। জন্ম ৭৩৬ হিজরিতে বাগদাদের এক ইলমসম্পন্ন পরিবারে। ইলম অর্জন করেছেন ইমাম ইবনুল কায়্যিম জাওযিয়্যাহ এর মতো সময়ের সবচে’ প্রাজ্ঞ আলিমদের নিকট। রচনা করেছেন বহুসংখ্যক কালজয়ী গ্রন্থ। তাফসীরশাস্ত্র, হাদিসশাস্ত্র, ফিকহশাস্ত্র, জীবনীগ্রন্থ, নসিহামূলক গ্রন্থ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে রয়েছে তাঁর বহুসংখ্যক মৌলিক রচনা। এ মহান মনীষী ইন্তেকাল করেন ৭৯৫ হিজরির ৪ঠা রমযান। রহিমাহুল্লাহ।
Montasir Mamun – :
লেখক : ইমাম ইবনু রজব হাম্বলি (রহঃ)
অনুবাদকঃ আহমাদ ইউসুফ শরীফ
প্রকাশনী : শব্দতরু
গায়ের দাম ৮০ টাকা
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৬৪
বইটি কেন পড়বেন?
আমরা অনেকেই চাই আল্লাহর ক্ষমা, মাগফেরাত, গুনাহ থেকে মুক্তি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতে যেতে। কিন্তু আমরা সেই পথ ও পুয়ায় ভালভাবে জানিনা। প্রসিদ্ধ আলেম ইবনু রজব হাম্বলির লেখা এই বইটি সেই আলোকিত পথ দেখাবে।
লেখক পরিচিতিঃ
বইয়ের শুরুতে আছে এই আলেমের পরিচিতি। তিনি বাগদাদে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর বহু প্রসিদ্ধ শিক্ষক ছিলেন এবং তিনি নিজেও অনেকে আলেমের শিক্ষক। তাফসীর, হাদিস, ফিকহ ইত্যাদিতে ছিল তাঁর অগাধ পান্ডিত্য। এসব বিষয়ে তিনি সমকালীন শ্রেষ্ঠ আলেম হিসাবে বেশ কিছু বই লিখে গেছেন।
অনুবাদকের কথায় বইটি অনুবাদ করতে কিছু মূলনীতি তিনি বর্ননা করেছেন।
বইয়ের সারমর্মঃ
মাগফিরাতের অর্থ, মাগফিরাত লাভের উপায় বর্ননা করা হয়েছে শুরুর দিকে। আল কুরআনের আয়াত, হাদীস, মনিষীদের উক্তি, কবিতা ইত্যাদির মাধ্যমে সুন্দরভাবে এসবের স্বরূপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
দোয়া কবুলের সময়, শর্ত ইত্যাদি জেনে এই বইয়ের সাহায্যে দোয়া করার উত্তম গাইডলাইন পাওয়া যাবে।
ইসতিগফার, তাওবা বিষয়েও এসেছে বিস্তারিত আলোচনা। গুনাহ থেকে ফিরে আসার জন্য প্রয়োজন এই তাওবা। তাওবা কবুল হওয়ার শর্ত, পদ্ধতি ইত্যাদি বর্নিত হয়েছে সাবলীলভাবে, বিস্তারিত রেফারেন্স সহকারে।
বইটির অনন্য দিকঃ
সকল আয়াত, হাদীসেই সুনির্দিষ্ট, বিস্তারিত রেফারেন্স দেয়া হয়েছে যা বইটিকে করে তুলেছে নির্ভেজাল, অথেনটিক। আল্লাহ, রাসূল, সাহাবী, সালাফদের নামের পরে সুন্দর ক্যালিগ্রাফি দিয়ে দোয়া প্রকাশ করা হয়েছে।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
দোয়া, তাওবা, মাগফিরাত এর মত বেসিক বিষয়ে সুন্দর এই বইটি সবারই পড়া উচিৎ ও ঘরে রাখা উচিৎ। নিজ ও পরিবারের সার্বিক কল্যানে এই বইটি অনন্য।
বইয়ের কাগজের মান, ছাপা, বাইন্ডিং বেশ সুন্দর। প্রচ্ছদটা আরেকটু ফুটিয়ে তুলতে পারলে আরো ভাল লাগতো।
রেটিংঃ ৮.৫/১০
abdur0rahman99 – :
মাগফিরাত সম্পর্কে আল কুরআনে অসংখ্য আয়াত ও রাসূল (স:) হতে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আল কুরআনে বর্ণিত সেসব আয়াত ও রাসূল (স:) এর হাদীসসমূহ কে উপজীব্য করে ইবনে রজব আল-হাম্বলি (রহ.) এক অনবদ্য লিখে গেছেন। যার নাম ” আসবাবুল মাগফিরাহ ” । অভিজ্ঞ অনুবাদক আহমাদ ইউসুফ শরীফ কতৃক বাংলায় অনুবাদের পর যার নাম দেয়া হয়েছে “মাগফিরাতের পথ ও পাথেয় “।
.
▶ সার-সংক্ষেপঃ-
বইতে লেখক মাগফিরাত লাভের উপায় গুলোকে তিনটি অধ্যায়ে বিভক্ত করে আলোচনা করেছেন। যথা-
১। মাগফিরাত লাভের প্রথম উপায়ঃ-
আল্লাহর নিকট হতে মাগফিরাত লাভ করতে হলে আল্লাহ তায়ালার সীমাহীন দয়া ও ক্ষমার সীফাতের কথা মনে করে দুআ করতে হবে। কেননা দুআ হলো এমন এক নিয়ামত যার মাধ্যমে সকল গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দিতে পারেন। দুআর কার্যকারিতার কথা উল্লেখ করে পবিত্র কুরআনের সূরা মুমিনের ৬০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন “তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিবো”। তবে দুআ কবুল হওয়ার জন্য বেশকিছু শর্ত, পদ্ধতি, সময় ও নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে। আমরা যদি এগুলোর প্রতি লক্ষ্য কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারি তাহলেই কেবল তিনি আমাদের দোয়াসমূহ কবুল করবেন।
.
২। মাগফিরাত লাভের দ্বিতীয় উপায়ঃ-
এ অধ্যায়ে লেখক ইস্তিগফার ও মাগফিরাত কাকে বলে সে সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। এছাড়া কোন কোন সময় ইসতিগফার হয়ে ওঠে দোয়া কবুলের অন্তরায়। ইসতিগফারের উত্তম পদ্ধতি কি তা জানা যাবে এই অধ্যায় পড়ে । এই অধ্যায়ের শেষে লেখক আলোচনা করেছেন তওবা ও ইসতিগফারের বিভিন্ন বিধান সম্পর্কে।
.
৩। মাগফিরাতের লাভের তৃতীয় উপায়ঃ-
মাগফিরাত লাভের তৃতীয় উপায় হলো তাওহিদ। আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তাওহিদ । তাওহিদ হলো একমাত্র আল্লাহকে সবকিছুর স্রষ্টা হিসেবে স্বীকার করা। এবং তার সাথে কোন কিছুর শরীক না করা। কেননা আল্লাহ তায়ালা সব গুনাহ ক্ষমা করলেও শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করেন না। আল্লাহর ইবাদতের ক্ষেত্রে প্রথম শর্ত হলো তাওহিদ। আল কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন-
নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করা ক্ষমা করবেন না। এটা ছাড়া অন্য সব যাকে ইচ্ছে মাফ করবেন এবং যে আল্লাহর সাথে শরীক করল, সে এক মহা অপবাদ আরোপ করল।” (সূরা নিসা -৪৪)
এছাড়াও এই অধ্যায়ে তাওহিদের স্বরুপ সম্পর্কে আলোচনা স্থান পেয়েছে।
.
▶ বইটি কেন পড়বেন??
১। কারণ এতে আলোচিত হয়েছে তাওবা, ইসতিগফার ও মাগফিরাতের বিভিন্ন দিক।
১। আপনি যদি দোয়া কবুলের স্থান, পদ্ধতি, ও সময় সম্পর্কে ধারণা পেত্র চান তাহলে বইটি অবশ্যই পড়ুন।
৩। আপনি যদি তাওহিদের গুরুত্ব ও অপরিহার্যতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বইটি আপনার জনই।
.
▶ ব্যক্তিগত অনূভুতিঃ-
ব্যক্তিগত অনূভুতি যদি বলতেই হয় তাহলে বলবো বইটি এককথায় অসাধারন। সংক্ষিপ্ত পরিসরে দৈনন্দিন ইবাদতের ক্ষেত্রে তাওবা, মাগফিরাত, তাওহিদ, ইসতিগফার সম্পর্কে বেশ ফলপ্রসূ আলোচনা উঠে এসেছে। সকল দ্বীনদার মু’মিনের জন্য এই বই অসাধারণ ও অনবদ্য একটি রচনা হবে বলে আশা করি।
.
▶ শেষ কথাঃ-
পরিশেষে বলতে হয় এত সুন্দর একটি বই পাঠকের হাতে পৌছানোর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন।