লাভ ক্যান্ডি (হার্ডকভার)
লেখক : জাফর বিপি
প্রকাশনী : নিয়ন পাবলিকেশন
পৃষ্ঠা ১৭৬
কভার: হার্ড কভার
একজন স্বামী কী কারণে বিপথে যায়? একজন স্ত্রী ঠিক কী কারণে ফেলনা হয়? বইটিতে তার স্বরূপ উন্মোচন হয়েছে। এবং এর যথাযথ প্রতিকারে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও ক্লিনিক্যালি করনীয় বিষয়গুলো সাহিত্যের মোড়কে গল্পে গল্পে উঠে এসেছে।
এতে বিবাহিত দম্পতির জন্য রয়েছে প্রেশক্রিপ্সহন। আর অবিবাহিত যুবক-যুবতীদের জন্য রয়েছে অমূল্য সাজেশন।
পৃষ্ঠা ১৭৬
কভার: হার্ড কভার
একজন স্বামী কী কারণে বিপথে যায়? একজন স্ত্রী ঠিক কী কারণে ফেলনা হয়? বইটিতে তার স্বরূপ উন্মোচন হয়েছে। এবং এর যথাযথ প্রতিকারে ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও ক্লিনিক্যালি... আরো পড়ুন
-
-
hotকুররাতু আইয়ুন (যে জীবন জুড়ায় নয়ন)
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আসলাফ195 ৳142 ৳এই লেখা শুধুমাত্র যারা ইসলাম অনুযায়ী ...
-
hotনবীজির সংসার ﷺ
লেখক : মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আসলাফ267 ৳195 ৳অনুবাদ: আয়াতুল্লাহ নেওয়াজ পৃষ্ঠা: ১৬৭ হার্ড কভার নবীজি! আমাদের ...
-
hotকুররাতু আইয়ুন ২ (যে জীবন জুড়ায় মনন)
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আসলাফ270 ৳197 ৳ডা. শামসুল আরেফীনের পেশা চিকিৎসা। কিন্তু ...
-
বিয়ে স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর
লেখক : মির্জা ইয়াওয়ার বেইগপ্রকাশনী : সিয়ান পাবলিকেশন94 ৳বিয়ের মতো অনবদ্য একটি আশীর্বাদ দুঃসহ ...
-
hotভালোবাসার চাদর
লেখক : ড. আবু আমিনাহ বিলাল ফিলিপ্সপ্রকাশনী : সিয়ান পাবলিকেশন295 ৳215 ৳একটি গল্প শুনেছিলাম। দাম্পত্য অশান্তির তিক্ত ...
-
hotবিয়ের আগে : ফ্যান্টাসি নয়, হোক বাস্তব প্রস্তুতি
প্রকাশনী : উমেদ প্রকাশ186 ৳136 ৳স্পিডব্রেকারের কাজ কি মানুষকে গন্তব্যে পৌঁছতে ...
-
hotপারিবারিক বিপর্যয়ের কারণ
লেখক : মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদপ্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন80 ৳60 ৳অনুবাদক : আব্দুল্লাহ ইউসুফ সম্পাদক : মুফতি ...
-
hotদ্য কেয়ারিং ওয়াইফ
লেখক : মোঃ মতিউর রহমানপ্রকাশনী : মিফতাহ প্রকাশনী300 ৳222 ৳শরঈ সম্পাদক : মুফতি নাজমুল ইসলাম কাসিমী বর্তমান ...
-
hotদ্য কেয়ারিং হাজব্যান্ড
লেখক : মোঃ মতিউর রহমানপ্রকাশনী : মিফতাহ প্রকাশনী250 ৳185 ৳শরঈ সম্পাদক : মুফতি নাজমুল ইসলাম ...
-
আশরাফ-উজ-জামান – :
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যে আসলে কতটা মধুর তা এই বইটি পড়লে পাঠক বুঝতে পারবেন।
এটি আসলেই একটি পারিবারিক প্রেস্ক্রিপশন।প্রত্যেক যুবক-যুবতী, স্বামী-স্ত্রীর বইটি পড়া উচিত।
প্রতিটি নব-দম্পতীর জন্য অবশ্য পাঠ্য একটি বই।যারা নব-দম্পতীদের জন্য বই উপহার দিতে চান, তাদেরকে আমি এই বইটি সাজেস্ট করব।
লেখকের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল এত সুন্দর লেখনীর জন্য।
(বইয়ের দাম আমার কাছে কিছুটা বেশি মনে হয়েছে)
নুরিয়াদ ইসলাম তানযীল – :
hasibur3118 – :
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত,কি কি বিষয়ে সবসময় লক্ষ্য রাখা উচিৎ ,
সন্তান নেয়া বিষয়ে টিপস সহ
অনেক কিছু গল্পের মাধ্যমে সাবলীল ভাবে শিখিয়ে দিয়েছে এই বইটি।
আল্লাহ্ তাআলা লেখক কে উত্তম প্রতিদান দান করুন।
আমার আম্মু বইটা পড়ে আব্বুর প্রতি আর বেশি যত্নবান হয়েছেন,আলহামদুলিল্লাহ।
পরিশেষে একটা কথাই বলব , যদি আমার সামর্থ্য থাকত যুবক যুবতী অবিবাহিত সবাইকেই এই বইটা গিফট করতাম ।
দোয়া চাই ,আল্লাহ্ হাফেজ।
arifinalmahmud2020 – :
মোবাইলে ফোন এলো! মোবাইলের রিং-এর কারণে আমার কল্পনায় ছেদ পরলো, যারপরনাই ব্যথিত হলাম,রাগও হলো,মনে মনে বললাম ফোনটা আসার সময়ই খুজে পেলো, এই সময়ই আসতে হলো! ফোন রিসিভ করার পর অপর পাশ থেকে ফারহান ভাইয়া বললো: আরু! জলদি বাসায় এসো, তোমার সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে।
এটা বলেই ফোন রেখে দিলো।
আমার মনটা খারাপ হয়ে গেল,লাভ ক্যান্ডি বুঝি আর শেষ করা হলো না,করুন চোখে তাকিয়ে রইলাম লাভ ক্যান্ডির দিকে,কিন্তু কি আর করার,যেতে তো হবেই।
রিক্সা নিলাম,ধানমন্ডি যাবো। রিক্সায় বসার পর বারবার লাভ ক্যান্ডি’র গল্পগুলো মাথায় ঘুরছিল,আর নিজের একাকিত্ব অনুভব করলাম।
উনি থাকলে দু’জনে একসাথে রিক্সায় চড়ে যেতে পারতাম।
হঠাৎই একটা ঝাকুনি রিক্সা থামলো ট্রাফিক জ্যামে,দূর থেকে ইসলামিয়া লাইব্রেরী’র সাইনবোর্ড দেখা যাচ্ছিল,হঠাৎ মাথায় এক বুদ্ধি খেলে গেল, চিন্তা করলাম ভাইয়ার জন্য একটা ‘লাভ ক্যান্ডি নিয়ে যাব’
যেমন ভাবনা তেমন কাজ। রিক্সাওয়ালা কে বললাম,:
আপনি এখানে একটু ওয়েট করুন আমি জাস্ট ৫ মিনিট এর জন্য আসছি। রিক্সাওয়ালা মাথা ঝাকুনি দিয়ে হ্যাঁ বললো।
রিক্সা থেকে নেমে সোজা চলে গেলাম ইসলামিয়া লাইব্রেরী’তে।
আসসালামু আলাইকুম,’লাভ ক্যান্ডি’ বই টা আছে? জিজ্ঞেস করলাম এক দোকান কর্মচারিকে। দোকান কর্মচারী বলল: আছে। কয়টা দিমু?
বললাম একটা দিন।’লাভ ক্যান্ডি’ বইটা নিয়ে এল কর্মচারী, তারপর জিজ্ঞেস করলো: হুজুর আর কিছু লাগবে? বললাম না, তবে এই বইটা সুন্দর করে প্যাকিং করে দিন,কর্মচারী মাথা দুলিয়ে প্যাকিং করার কাজে লেগে গেল,প্রায় অল্পক্ষণের ভিতরেই কাজ শেষ হয়ে গেল,বইয়ের দাম চুকিয়ে বেরিয়ে পরলাম,খুব খুশি খুশি লাগছিল।
আজ নিশ্চয়ই ভাইয়া খুব খুশি হবে।
রিক্সায় উঠে সোজা চলে এলাম ফারহান ভাইয়ের বাসায়। দরজায় নক করতেই দরজা খুললো ফারহান ভাই,যেন আমার অপেক্ষাতেই ছিল।
হাসিমুখে সালাম করলাম ভাইয়াকে,
তিনিও সালামের উত্তর দিয়ে ভিতরে আসার আহবান জানালেন,বাসায় ফাকা ফাকা দেখে জিজ্ঞেস করলাম,
‘আংকেল–আন্টি কোথায়? তাদের দেখছি না যে? ফারহান ভাই বললো সব খুলে বলছি তোমাকে আমার রুমে চলো আগে। এতক্ষন ভাইয়া খেয়ালই করেনি যে আমার হাতে কিছু একটা আছে,গিফটের প্যাকেট দেখতেই চমকে উঠলো,আর বললো
‘তুমি কি আগে থেকেই এসব জানতে,সেই উপলক্ষেই তুমি এটা নিয়ে এসেছো তাই না?’
আমি বেচারা হকচকিয়ে গেলাম,কিছুই বুঝতে পারলাম না,
বললাম কিসের উপলক্ষ? আর আমি তো এসব বিষয় কিছুই জানি না।
ফারহান ভাইয়া হাফ ছেড়ে বাচলো,বললো ভিতরে এসো দ্রুত।
আরু! তুমি তো জানোই আমি তোমার কাছে কোনো কিছু গোপন করি না,তুমি শুধু আমার ছোট ভাই না,আমার বন্ধু,আমার সহযোগী।
আজ হঠাৎ কি কারণে এসব বলছো আমি কিছুই বুঝতে পারছি না,কি হয়েছে আমায় সব খুলে বলো। বললাম ফারহান ভাইকে। ফারহান ভাই বলতে শুরু করলো : বিয়ে নিয়ে তার অমত,সে বিয়ে করতে চায় না,কারণ কোনো মেয়েকেই তার বিশ্বাস নেই,কারণ সে দেখেছে তার অফিস সহপাঠীদের।তারা প্রত্যেকদিন নিজের সংসারিক কাহিনী নিয়ে গল্প করে,যেখানে ফুটে ওঠে অশান্তির ছায়। আর সেগুলো শুনতে শুনতে ফারহান ভাইয়ের দিলে এটা গেথে গেছে যে’বিয়ে মানেই অশান্তি, জবাবদিহিতার ভয়,পরাধীন। ভাইয়া একটানা তার কথা বলে যেতে লাগলো,আর আমি চুপচাপ শুনতে লাগলাম। ভাইয়া এটাও বললো যে তার ফ্যামিলি থেকে আজ কনে দেখতে গিয়েছে,
ভাইয়ারও যাওয়ার কথাছিল,কিন্তু তিনি বলেছেন ‘আমি বিয়ে করব না,তোমাদের যেতে ইচ্ছে হচ্ছে হলে যাও’ অগত্যা তার আব্বু-আম্মু ও তার বোনই গেলেন মেয়ে দেখতে।
একটানা কথা বলে এখন দম ছাড়লেন। আর আমার দিকে তাকিয়ে উত্তরের আশায় চেয়ে রইলেন।
আরিফীন এখন আমি কি করব? প্লিজ কিছু বলো। যে করেই হোক,বিয়েটা বন্ধ করতে হবে,আমি কিছুতেই বিয়ে করব না, প্লিজ তুমি এর সলিউশন দাও। আমি ভাইয়ার কথাগুলো নিয়ে ভাবতে লাগলাম, কি করা যায়। হঠাৎ মাথায় এলো,আরে! আমি তো সলিউশন সাথে করে নিয়েই এসেছি। দ্রুত প্যাকেট টা নিয়ে ফারহান ভাইয়ের হাতে ধরিয়ে দিলাম, আর বললাম
: তুমি যা যা উওর চাও,সব এখানে পাবে।
ভাইয়া প্যাকেট খুলে দেখতে পেলন একটি বই,যার নাম ‘লাভ ক্যান্ডি’।
বইটা দেখে ভাইয়া কিছুটা খুশি হলেন কারণ সেও আমার মত
“বইপোকা”। ফারহান ভাই আমাকে বললো: সত্যিই এই বইয়ের ভেতর আমার সমাধান পাবো?
আমি হাসিমুখে হ্যাঁ বললাম। আর বললাম এই বই পড়ার পরও যদি তুমি বিয়ে করতে না চাও,তখন আমি নিজে আংকেল–আন্টিকে বলব তোমায় যেন বিয়ের জন্য জোরাজুরি না করেন। ঠিক আছে তো? ভাইয়া হ্যাঁ / না কিছুই বললেন না,তবে কিছুটা নাখোশ হলেন,কারণ আমি সরাসরি মুখে কোনো সলিউশন না দিয়ে একটা বই ধরিয়ে দিলাম। আচ্ছা ভাইয়া এখন আসি?
আসি মানে? দুপুরে না খেয়ে কোথাও যাওয়া হবে না,কিছুটা রেগেই বললেন।
আন্টি তো বাসায় নেই,তাহলে রান্না কে করবে? আজ পুরান ঢাকায় যাব খেতে। থাকতে না চাইলেও বিরিয়ানির লোভে থেকে গেলাম।
৩ দিন পরের ঘটনা……!
‘লাভ ক্যান্ডি’ বইটা খুব আনন্দ নিয়েই শেষ করলাম। ১ বার নয়,দুই বার। খুব চমৎকার লাগলো। লেখকেকে খুব মনে ধরলো। লেখককে দেখার খুব আগ্রহ হলো,কিন্তু সেটা সম্ভব হলো না,তাই সেই চিন্তা বাদ দিলাম।কিন্তু মন ভরে দু’আ করলাম লেখকের জন্য।
হঠাৎই ফোন বেজে উঠলো,সেই ফারহান ভাইয়ার ফোন। ফোনটা রিসিভ করেই কানে নিলাম।
হ্যালো,বাবা আরিফীন বলছো?
কন্ঠস্বর শুনে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম,কারণ এটা ফারহান ভাইয়ের কন্ঠস্বর নয়,অন্য কেউ।
জ্বি আমি আরিফীন বলছি,কিন্তু আপনি কে?
আমি ফারহানের বাবা। বাবা তুমি কি একটু বাসায় আসতে পারবে? আসলে খুব উপকার হতো। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। সেদিন ফারহান আর আজ তার বাবা! ঘটনা বুঝতে পারলাম না। তাই আসবো বলে দিলাম।
দরজা খুলেই ফারহান ভাইয়া খুব খুশি হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আমি কিছুটা আন্দাজ করলাম তার কারণ, কিন্তু পুরোপুরি সিউর হলাম না। বাসায় ঢুকতেই দেখলাম কয়েকজন ছেলে মিলে কার্ড গোছাচ্ছে এক রুমে। ফারহান ভাইয়া আমাকে নিয়ে তার রুমে চলে গেল।
কেমন আছো আরিফীন? বললাম আলহামদুলিল্লাহ। তুমি কেমন আছো? সে বললো অনেক অনেক ভালো,আলহামদুলিল্লাহ। ভাইয়ার খুশির কারণ জানতে চাইলাম।
তুমি চলে যাওয়ার পর ‘লাভ ক্যান্ডি’ পড়া শুরু করলাম। প্রথম প্রথম খুব অবাক হচ্ছিলাম,কারণ এমন বই আমি আর কখনো পড়িনি। মানুষের দাম্পত্য জীবন এত সুখের হতে পারে কখনো কল্পনাতেও আসেনি।
সেদিন বাবা-মা মেয়ে দেখে এসে আমার মতামত জানতে চাইলেন আমি রাজি কিনা। আমি পরে জানাব বলে দিলাম। কারণ বইটা পড়ার পর আমার মনে ঝড় শুরু হয়ে গেছে। বিশ্বাস করো আরু! আমি সে রাতেই পুরো বই শেষ করে ফেলেছি,কিন্তু স্বাদ মেটেনি।
তাই তার পরেরদিনও বইটা আরো ২বার শেষ করলাম। তুমি বলেছিলে না যে আমার সব উত্তর বইতে দেয়া আছে? হ্যাঁ আরিফীন হ্যাঁ, তুমি ঠিকই বলেছিলে। আমার সমস্ত ভুল ভেঙে গেছে বিয়ে নিয়ে। আর তাইতো আমি নিজেই এখন বিয়ের জন্য দ্রুত প্রস্তুতি নিচ্ছি। তুমি আমার ঘুমন্ত চোখ খুলে দিয়েছো,আমি এতদিন চোখ বন্ধ করে দেখেছি। আর আজ আমি চোখ খুললাম। এখন থেকে চোখ খুলেই দেখব। তুমি জানো না সেদিন আমি কি পরিমাণ খুশি যে হয়েছি,নিজের অজান্তেই চোখ দিয়ে অশ্রু গড়য়ে পড়েছিল। লেখকের জন্য মন থেকে দু’আ করেছি,আমি একা করেছি তাই না,বাবা-মা, বোন সবাই খুব দু’আ করেছে লেখকের জন্য। যার কারণে তাদের ছেলের অন্ধ চোখ খুলে গেছে। সত্যিই আমি খুব খুব খুশি।
ভাইয়ার কথা শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম। মহান রবের নিকট শুকরিয়া আদায় করলাম। আর তারপর কি করলাম শুনবেন আপনারা.??
বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করলাম। বিয়ে করার জন্য না, বিয়ে খাওয়ার জন্য।
পরিশেষে : আজ সে ফারহান ভাই খুব শান্তিতে জীবন পার করছেন। বিয়েও করেছেন খুব দ্বীনদার ফ্যামিলির মেয়ে।আলহামদুলিল্লাহ।
কিন্তু যেই জিনিসটার মাধ্যমে তিনি এত বড় নেয়ামতের মূল্য বুঝতে পারলেন,সেই জিনিসের শুকরিয়া কি তিনি আদায় করবেন না? হ্যাঁ অবশ্যই করেছেন। সে এখন মিশনে নেমেছে। যেই মিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিটি যুবকের হাতে ‘লাভ ক্যান্ডি’ পৌছে দেয়া। সে কিন্তু লেখকে’কে হাদিয়াও দিবে বলেছে।
সেই মহান লেখক হচ্ছেন Jafor BP ভাই।সেই ফারহান ভাই আর তার স্ত্রী প্রতিদিনই দু’আ করেন লেখকের জন্য। জাফর ভাইয়ের খুব বড় ফ্যান হয়ে গিয়েছে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই। আল্লাহ তার নেক হায়াত বৃদ্ধি করুন সাথে সাথে আমাদেরকে যেন এরকম আরো বেশি বেশি উপহার দিতে পারে আল্লাহ তায়া’লা তাকে সেই তাওফিক দান করুন।
লেখার শেষে এটাই বলব যে_
প্রতিটি যুবকের হাতে ‘লাভ ক্যান্ডি’ থাকুক।
প্রতিটি যুবতীর কাছে ‘লাভ ক্যান্ডি’ পৌছুক।
প্রতিটি স্বামী ‘লাভ ক্যান্ডি’ পড়ুক।
প্রতিটি স্ত্রী ‘লাভ ক্যান্ডি’ বুকে ধারণ করুক।
আব্দুর রহমান – :
.
➤ সার-সংক্ষেপ:-
লাভক্যান্ডি বইতে মোট ১২টি গল্প রয়েছে। এই ১২টি গল্পকে লেখক চারটি অধ্যায়ে বিন্যাস্ত করে আলোচনা করেছেন। বইয়ের প্রধান চরিত্র আদিব ও হাসান নামে দুই বন্ধুকে ঘিরে। যেখানে দেখা যায় আদিব তার স্ত্রী ও সাংসারিক জীবন নিয়ে সুখে শান্তিতে দিন কাটাচ্ছে। পক্ষান্তরে হাসানের পরিবারে নেই কোন সুখ, স্বচ্ছন্দ ও ভালোবাসার দেখা। সবখানেই যেন ছেয়ে আছে বিষাদের ঘনঘটা। এছাড়াও বইতে ডা. রাকিব সহ আরো বেশকিছু চরিত্রের উপস্থিতি রয়েছে।
এক্ষনে আমি বইয়ের চারটি অধ্যায় সম্পর্কে খুব সংক্ষেপে আলোচনা করবো। ইনশাআল্লাহ-
প্রথম অধ্যায়:-
এই অধ্যায়ের গল্পে গল্পে উঠে এদেছে আদীব ও স্নেহার সুখময় দাম্পত্য জীবনের কথা । প্রেম, ভালোবাসা, রোমান্স যে বৈধভাবেও হতে পারে এই অধ্যায়টি না পড়লে পাঠকের কাছে তা অপূর্ণই থেকে যাবে। সৎ সুন্দর ও পবিত্র ভালোবাস গুলো বুঝি এমনই হয় মাশাআল্লাহ। আহা! তাদের সংসার কত সুখের। এ যেন দুনিয়াতেই জান্নাতের আবহ।
দ্বিতীয় অধ্যায়
একজন মা তার সন্তানকে পৃথিবীর বুকে আনার জন্য কি পরিমাণ কষ্ট সহ্য করেন তার একটি বর্ণনা পাবেন এই অধ্যায়ে। সেই সাথে পাঠক বুঝতে পারবেন নিজ অবস্থা যত প্রতিকুল মাঝেই থাকুক না কেন পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়ার মাঝের অনেক কল্যাণ নিহিত রয়েছে। এই অধ্যায়ে পাঠক পাবেন এক ধৈর্যশীল বাবা ও তার পরিবারের দায়িত্বসম্পন্ন উপাখ্যান। যা পড়ে পাঠকের চোখ অশ্রুজলে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।
তৃতীয় অধ্যায়:-
নিজের অনুভব ও অনূভুতিকে গভীরভাবে নাড়িয়ে দেয়ার মত তিনটি গল্প রয়েছে এই অধ্যায়ে। এছাড়া সরস চিঠি গল্পে মাইশাকে দেয়া একটি চিঠির বার্তা। যেই চিঠির কথা গুলোর মর্ম উপলদ্ধির জন্য হলেও প্রত্যেক জন্য বইটি একবার পড়া উচিত।
চতুর্থ অধ্যায়
বর্তমান সময়ের মানুষগুলোর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এটি। লেখক পারিবারিক প্রেসক্রিপশন ১ ও পারিবারিক প্রেসক্রিপশন ২ বামের দুটি গল্পে নিখুঁতভাবে পারিবারিক সমস্যা ও তার সমাধানগুলো তুলে ধরেছেন।
.
➤ বইয়ের যা কিছু ভালো লেগেছে:-
১। দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় প্রচ্ছদ।
২। গল্পের পরতে পরতে সুন্দর উপমার ব্যবহার।
৩। সহজ, সরল ও উপযোগী শব্দচয়ন।
৩। আকর্ষণীয় শব্দের মাধ্যমে গল্পগুলোর নামকরণ।
➤ যে কারণে বইটি পড়বেন:-
বইটি আপনি তার অন্যতম কারণ হলো বইতে আপনি গল্পে গল্পে সুখময় জীবনের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাবেন। এমন কিছু দিকনির্দেশনা পাবেন যা আপনার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম।
বইয়ের গল্পগুলোতে হয়তো শেষে কোন টুইস্ট নেই বা এমন কোন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি নেই যা আপনাকে শেষ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাবে তবুও আপনি দ্রুততার সাথে বইটি পড়তে বাধ্য হবেন। এর অন্যতম কারণ হলো বইয়ের প্রতিটি পাতায় আপনি পাবেন শিক্ষণীয় উপাদান। প্রতিটি চরিত্রের সাথে আপনি নিজেকে কল্পনা করবেন। মনে হবে প্রতিটি গল্প বুঝি আপনাকে উদ্দেশ্য করেই লেখা হয়েছে।
.
➤ ব্যক্তিগত অনূভুতি:-
ব্যক্তিগত অনূভুতি যদি বলতে হয় তাহলে বলবো বইটি এককথায় অসাধারন। প্রতিটি পাতায় রয়েছে লেখকের কঠোর পরিশ্রমের ছোয়া। বইতে বিবাহিত এবং অবিবাহিত সকলের জন্য রয়েছে শিক্ষণীয় অনেক টিপস।
সবগুলো গল্প মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত এবং শান্তির সঞ্চারক। গল্পগুলো পড়ে পাঠক কখনো হাসবেন আবার কখনো চক্ষুদয় অশ্রুসিক্ত হয়ে গড়িয়ে পড়বে অশ্রুফোটা। সুখপাঠ্য গদ্য ও গল্পের মাধ্যমে অভিনব উপস্থাপন কৌশল পাঠককে আকৃষ্ট করে রাখবে বইয়ের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। যার প্রত্যেকটি গল্পই ছিল আলাদা বৈশিষ্ট্য ও ভিন্ন মাত্রার স্বাদে ভরপুর।
তাই সকলের প্রতি অনুরোধ লাভক্যান্ডি বইটি একবার হলেও পড়ুন, সেই সাথে বইতে দেয়া বিভিন্ন টিপস গুলো ফলো করতে চেষ্টা করুন। দেখবেন দুনিয়ার জীবনে আপনিই হবেন সর্বময় সুখের অধিকারী, ইনশাআল্লাহ।