লস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি (ইসলামের হারানো ইতিহাস) (পেপার ব্যাক)
লস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি’র ভাষা প্রাঞ্জল ও সহজবোধ্য। ইসলামের ছোঁয়ায় উদ্ভাসিত প্রায় সব জনপদের ইতিহাসের সাথে পাঠকের একটি সামগ্রিক সংযোগ ঘটিয়ে দেয়ার চেষ্টা আছে বইটিতে। পুরো পৃথিবীব্যাপী বিস্তৃত একটি জাতির দেড়হাজার বছরের ইতিহাস মাত্র শ’তিনেক পৃষ্ঠায় খুঁটিনাটিসহ সংকুলান অসম্ভব। এ কারণে লেখক ইতিহাসগ্রন্থের সন-তারিখভিত্তিক বয়ানের গতানুগতিক পদ্ধতি এড়িয়ে ঘটনাপ্রবাহের প্রধান স্রোতকে স্পর্শ করেছেন। এজন্য রাসূলুল্লাহ সা.-এর জীবন, খোলাফায়ে রাশেদীনের শাসনকাল, উপমহাদেশের ইতিহাস ইত্যাদি যেসকল অধ্যায় আমাদের মোটামুটি পরিচিত, সেগুলোর ক্ষেত্রে বইটিকে কিছুটা অপূর্ণ মনে হতে পারে। কিন্তু পরবর্তী সময়ের বিবরণ এবং আফ্রিকা, আমেরিকা কিংবা দূরপ্রাচ্যের মুসলমানদের অজানা ইতিহাস পাঠকদের চমৎকৃত করবে। এ বইটির আরেকটি অসধারণ দিক হলো, ইতিহাসের ঘটনাপ্রবাহের স্পর্শকাতর ও মতবিরোধপূর্ণ বিষয়াদির বর্ণনায় ভারসাম্য। লেখক সেক্ষেত্রে প্রধান মতগুলোকে অল্পকথায় সামনে এনে একটি সমন্বিত বিশ্লেষণ দাঁড় করিয়েছেন। ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল উদাহরণের পাশাপাশি তুলে এনেছেন বেদনাদায়ক অধ্যায়গুলোও। তাই পাঠক যুগপৎ আনন্দ-বেদনায় সিক্ত হবেন। হীনমন্যতা দূরীকরণের পাশাপাশি পাবেন আত্মপর্যালোচনার সুযোগও।
-
-
hotশিকড়ের সন্ধানে
লেখক : হামিদা মুবাশ্বেরাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন430 ৳301 ৳পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৯৬ টি কভার: পেপার ব্যাক ‘Know ...
-
hotঅবাধ্যতার ইতিহাস
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন400 ৳268 ৳যেভাবে আর যে কারণে ধ্বংস হয়েছে ...
-
save offইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা
লেখক : হেদায়াতুল্লাহ মেহমান্দপ্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন414 ৳265 ৳'ইতিহাসের আয়নায় বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা' বইটি মূলত ...
-
hotভারতবর্ষে মুসলিম শাসন : হাজার বছরের ইতিহাস
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল ইসলাম770 ৳385 ৳ভাষান্তর : মুহাম্মাদুল্লাহ ইয়াহইয়া অতিরিক্ত টীকা সংযোজন ...
-
hotসীরাত বিশ্বকোষ (১১ খণ্ড)
প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার11,000 ৳5,500 ৳মোট খণ্ড ১১ এবং পৃষ্ঠাসংখ্যা : ...
-
hotনবীজির পাঠশালা ﷺ
লেখক : ড. আদহাম আশ শারকাবিপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আসলাফ415 ৳257 ৳অনুবাদক – মুজাহিদুল ইসলাম মাইমুন সম্পাদনা – ...
-
hotমুসলিমজাতি বিশ্বকে কী দিয়েছে (চার খণ্ড)
লেখক : ড. রাগিব সারজানীপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল হাসান1,450 ৳1,334 ৳অনুবাদক : আবদুস সাত্তার আইনী (১ম, ...
-
hotআন্দালুসের ইতিহাস (দুই খণ্ড)
লেখক : ড. রাগিব সারজানীপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল হাসান1,300 ৳650 ৳আন্দালুস। অতীত-পৃথিবীতে একটি সুদীর্ঘ সময় অতিবাহিত ...
-
hotবুদ্ধিবৃত্তিক আগ্রাসনের ইতিবৃত্ত
লেখক : মাওলানা ইসমাইল রেহানপ্রকাশনী : নাশাত475 ৳347 ৳কাগজ : ৭০ গ্রাম অফহোয়াইট বর্তমান মুসলিম ...
-
save offসিরাতুন নবি সা. (১-৩ খণ্ড পূর্ণ)
লেখক : ড. আলী মুহাম্মদ আস-সাল্লাবীপ্রকাশনী : কালান্তর প্রকাশনী1,950 ৳1,209 ৳অনুবাদক টিম : নুরুযযামান নাহিদ, আবদুর ...
-
Zihadul Islam Nabil – :
এই প্রশ্নের সদুত্তর দিয়ে গেছেন আরেক মনিষী উইন্সটোন চারচিল। তিনি বলেন-“যারা ইতিহাস মনে রাখতে ব্যার্থ হয় তারাই তার পুনরাবৃত্তি করার ভুল করে থাকে।”
যে সকল কারণে উম্মাহর আজ নাজুক অবস্থা,আমরা সেই সকল ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করছি নাতো!
নিঃসন্দেহে, উম্মাহের এখন সর্বাধিক দুঃসময় চলছে,যা ক্রান্তিলগ্নের দ্বারপ্রান্তে।আমরা ধরেই নিয়েছি ‘মুসলিম উম্মাহর এই দুরাবস্থা অপরদিকে কাফের এবং পাশ্চাত্যের শ্রেষ্ঠত্বই যেন সকল যুগের বাস্তবতা’।
এক পর্যায়ে আত্মপরিচয় হারিয়ে আমরা তাদের লেগে পড়ি তাদের অনুকরণে।জ্ঞান,বিজ্ঞান,সাহিত্য,শিল্প,অস্ত্র কিংবা রণকৌশল এ আমরা তাদের আনুগত্য শিকার করে নেই।কিন্তু আমরা কি জানি আমাদেরও ছিল গৌরবজ্জল ও সাফল্যমণ্ডিত সোনালী সময়।যখন মুজাহিদরা দাপিয়ে বেড়াতো প্রাচ্য থেকে প্রান্তসীমা।কিভাবে অর্জিত হয়েছিল সেই বিজয়ী দিনগুলো?কখন সেই রংগীন অতীত হারিয়ে আমরা পতিত হলাম অন্ধকার সময়ের গহ্বরে! কেমন ছিল উত্থান পতনের এই যাত্রা!
জানতে হলে আমাদের নজর দিতে হবে ইতিহাসের পাতায়।ইতিহাসবিমূখতার কারণ অনুসন্ধান করলে,সম্ভবত এখানেই সকল ব্যার্থতার মূল এখানেই-“ইতিহাস বলতে মোটাদাগে আমরা বুঝি শুধু – রাজা-বাদশাদের নাম,ঘটনা,তার বংশের নাম,বিবরণ,জন্মের তারিখ,মৃত্যু,আরো নৃতান্তই হাবিজাবি তথ্যের জঞ্জাল।”প্রচলিত ইতিহাসের বইগুলো এই দুঃর্বিষহ নিয়মের প্রথা ধারণ করে রেখেছে দিনের পর দিন।যা একজন পাঠককে ইতিহাসের পাতায় যাত্রা শুরুর পথকে করে বর্ণীল,বন্ধুর।বিশেষ আগ্রহ নিয়ে যারা এই দুনিয়ায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয়,সময়ের পরিক্রমায় তারাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।হারানো ইতিহাস হারিয়ে যায় আরো কৃষ্ণগহ্বরে……
ঠিক এমন পরিস্থিতি তে ব্যাতিক্রম কিছু নিয়ে উপস্থিত হয় ফিরাস আল খতিব এর ‘লস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি’। ২০১৪ সালে প্রকাশিত বইটি এখন পর্যন্ত রয়েছে ইন্টারনেশনাল বেস্টসেলার বইয়ের তালিকায়।বইটির বিশেষত্ব কি?
এটি একজন পাঠককে নিয়ে যাবে ইতিহাসের অলিগলি থেকে মহাসাগড়ে। সফর করাবে ১৪০০ বছরের দীর্ঘ পথ;মক্কা থেকে ভারতবর্ষ,মদিনা থেকে স্পেন,আফ্রিকা থেকে চীন,রোমান থেকে ওসমানীয় সাম্রাজ্য পর্যন্ত।তবে এই সফরে ক্লান্তি আসবেনা সহজে।কারণ এখানে নেই তথাকথিত ইতিহাস বইগুলোর মতো তথ্যের বাহার। বরং প্রানচঞ্চল ভাষায় উন্মুক্ত করবে আপনার জ্ঞানের দরজা।ইতিহাস পাঠ এবং গবেষনার ব্যাপারে আগ্রহ তৈরীতে সর্বাত্মক সহায়ক হবে ইনশাআল্লাহ।তবে আর দেরী কিসের! ডুব দেয়া যাক উম্মাহর হারানো ইতিহাসের সমুদ্রে,শুরু হোক অজানাকে জানার প্রয়াস,হারানো জ্ঞানকে খোজার উন্মাদনা…..
pioneeraamabrar – :
বইটির প্রতি আগ্রহের অন্যতম কারণ এটাই। তাছাড়া মাত্র ২৮৬ পৃষ্ঠার মধ্যেই এই বইটিতে ইসলামী ইতিহাসের ঘটনাপ্রবাহ এত সুন্দরভাবে ও ধাপে-ধাপে আকৃতি দেওয়া হয়েছে যে, ইসলামের সমগ্র ইতিহাসের একটা মূলভাব সহজেই বলে ফেলতে পারা যায়। মোট বার অধ্যায়ে বিভক্ত এই বইয়ের প্রতিটি শব্দেই আমি ইতিহাসের এক হারিয়ে যাওয়া নির্যাস খুঁজে পেয়েছি। ইতিহাসের বই হলেও বইটির ভাষাশৈলী ফিকশনধর্মী বইয়ের মতো গতিশীল, প্রাঞ্জল ও সহজবোধ্য। ইতিহাসের ঘটনাপ্রবাহের স্পর্শকাতর ও মতবিরোধপূর্ণ বিষয়াদির বর্ণনায় বেশ ভারসাম্যপূর্ণ লেখনীর মাধ্যমে জটিল বিষয়গুলোকে লেখক খুব সাবলীলভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং অযাচিতভাবে কোনো বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগ রাখেননি। তাছাড়া লেখক শুধু ইতিহাসের ধারা বর্ণনা করেই থেমে থাকেননি, বরং প্রয়োজনে ঐতিহাসিক ঘটনার বর্ণনার পাশাপাশি লেখক নিজ দায়িত্ববোধ থেকে ঐ ঘটনার উপর্যুপরি নির্মোহ বিশ্লেষণও করেছেন। সহজ-সরল ইতিহাসের বই হলেও এই ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য একে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তাছাড়া বইটির মুগ্ধকর প্রচ্ছদ, উন্নতমানের বাঁধাই ও কাগজের কথা না বললে তো বইয়ের প্রতি অবিচার হবে!
আমি বইয়ে নেতিবাচক কিছু পাইনি, তবে দুইটি জিনিস ভালো লাগেনি! এক, কোনো সাম্রাজ্যের সামরিক দিক যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এর সামাজিক দিকও গুরুত্বপূর্ণ। লেখক উমাইয়া খিলাফতের আলোচ্য অধ্যায়টিতে এই দুইটি বিষয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেননি বলে আমার মনে হয়েছে, তবে অন্যান্য সাম্রাজ্য বিষয়ক আলোচ্য অধ্যায়সমূহের ক্ষেত্রে এমনটা আমার মনে হয়নি বললেই চলে। দুই, বইটির অনুবাদের ক্ষেত্রে ‘Ottoman Empire’-এর বাংলা অর্থ হিসেবে ‘অটোম্যান সাম্রাজ্য’ নেওয়া হয়েছে; যা আমার কাছে মানানসই লাগেনি। প্রাচ্যবিদদের দেওয়া এই নাম গ্রহণ না করে যদি ‘উসমানীয় সাম্রাজ্য’ শব্দদ্বয় অনুবাদ হিসেবে নেওয়া হতো, তাহলে বইয়ের ভাবগাম্ভীর্যতা বজায় থাকত।
যাই হোক, কোনো কিছু খারাপ লাগা গৌণ বিষয়, ভালো লাগাই মুখ্য। তাই এখন যদি আমাকে কেউ প্রশ্ন করেন, “ইসলামী ইতিহাস পড়তে চাই; কোন বই দিয়ে শুরু করব?”; উত্তরে নির্দ্বিধায় ফিরাস আল খতিব লিখিত লস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি (ইসলামের হারানো ইতিহাস) বইটি পড়তে পরামর্শ দিব। বইটিতে কোনো কঠিনতা নেই, সরলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ইতিহাস। এই বইটি পাঠককে ইতিহাসের প্রেমের জালে আটকে ফেলবে; ইতিহাস পাঠের জন্য পাঠককে আরও তৃষ্ণার্ত করবে! আমি মনে করি, প্রত্যেক মুসলিমেরই এই বইটি পড়া উচিত। জানা উচিত যে, আমাদের সেই অতীত কতই না আলোকিত ছিল; যে অতীত আমাদেরকে কোনোদিনই পিছুটান দিবে না, বরং দিবে কেবল সামনে এগিয়ে চলার নিরন্তন অনুপ্রেরণা…..
bakarsiddiq49 – :
tahmidczs – :
ইসলামপূর্ব আরব থেকে শুরু করে নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), খুলাফায়ে রাশেদিন, উমাইয়া ও আব্বাসী খিলাফত, বুদ্ধিবৃত্তিক সোনালী যুগ, ইসলামী জ্ঞানচর্চা, ক্রুসেড, অটোম্যান, সাফাভি, মুঘল সাম্রাজ্য এবং সবশেষে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর বর্তমান অবস্থা নিয়ে সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
আমার জন্য বইটার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলো খুলাফায়ে রাশেদিন, শিয়াদের সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা এবং সর্বোপরি ধারাবাহিকভাবে মুসলিম সাম্রাজ্যগুলো সম্পর্কে জানার সুযোগ পাওয়া।
পড়ার সময় মনে হয়নি যে অনুবাদ পড়ছি! বেশ ঝরঝরে অনুবাদ ছিলো।
যা ভালো লাগেনি—
মাঝখানের অনেক পৃষ্ঠায় বোল্ড করে কিছু তথ্য দেয়া ছিলো, অনেক জায়গায় তথ্যগুলো ছিলো ঐ পৃষ্ঠার তথ্যের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। তাছাড়াও এমন করে তথ্য জানানোর বিষয়টা ভালো লাগেনি
Highly recommended.
Rehmatullah Sojol – :
.
ইসলামের ইতিহাস নিয়ে খণ্ডে খণ্ডে বিশাল বিশাল গ্রন্থ রচিত হলেও মাত্র একটি খণ্ডের ছোট কলেবরে ইসলামের ইতিহাসের সামগ্রিক চিত্র নিয়ে আসার কাজ একেবারে বিরল। অথচ কোনো টপিক নিয়ে বিস্তৃত আকারে পড়ার আগে সেটা সম্পর্কে ধারণা নিতে ওই বিষয়ের সামগ্রিক চিত্র নিয়ে আসা ছোট একটা বই পড়ে নিতে বলেন গবেষকেরা।
.
ফিরাস আল খতীব তার ‘লস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি’ বইতে ইসলামের ইতিহাসের সেই সামগ্রিক চিত্র ছোট কলেবরে নিয়ে আসার মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। তিনি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ইসলামের বুদ্ধিবৃত্তিক ইতিহাস’ বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর। প্রকাশের পর থেকেই বইটি আন্তর্জাতিক বাজারে বেস্টসেলারের তালিকায় স্থান করে নেয়।
.
বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের কাছে বইটিকে বোধগম্য করতে বইটির অনুবাদ নিয়ে এসেছে প্রচ্ছদ প্রকাশন। ভাষান্তর করেছেন – আলী আহমাদ মাবরুর ভাই।
.
বইটি সম্পর্কে আরো একটি মূল্যবান তথ্য হলো, বর্তমান মিডিয়ার জনপ্রিয় তরুণ ইতিহাসবিদ ইমরান রাইহান ভাই বইটির একটি রিভিউ লিখেছেন। রিভিউটিতে ইসলামের ইতিহাস পড়তে আগ্রহী এমন সবাইকে তিনি এই বইটি পড়তে উৎসাহিত করেছেন।
.
এবার একটু ভিতরের পাঠ পর্যালোচনার কথা বলি। বইটিকে সাজানো হয়েছে মোট বারোটি অধ্যায়ে। প্রথমে লেখক একটি সুন্দর ভূমিকা লিখেছেন। তারপর প্রথম অধ্যায়ে এনেছেন ইসলামপূর্ব আরবের কথা৷ দ্বিতীয় অধ্যায়ে এসেছে নবিজী সা. এর জীবন ও তার জীবিত থাকাকালীন ইতিহাস নিয়ে। তৃতীয় অধ্যায়ে আলাপ হয়েছে, খোলাফায়ে রাশেদার যুগের ইতিহাস নিয়ে। চতুর্থ অধ্যায়ে ‘মুসলিম রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা’ শিরোনামে আলোচনা এসেছে উমাইয়া শাসনামল এবং তৎপরবর্তী আব্বাসীদের উত্থান নিয়ে। পঞ্চম অধ্যায়ে ‘বুদ্ধিবৃত্তিক সোনালী যুগ’ শিরোনামে কথা হয়েছে আব্বাসীদের আমলে মুসলিমদের বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষসাধন নিয়ে। পরের শিরোনামগুলোর ভেতরেও লেখক বিভিন্ন শিরোনামে ধারাবাহিকভাবে ইতিহাস নিয়ে এসেছেন বর্তমান সময় পর্যন্ত। যার মধ্যে সংক্ষেপে উঠে এসেছে, আন্দালুস বিজয়, কনস্টান্টিনোপল বিজয়, ভারতবর্ষে মুসলিমশাসনসহ আরো অনেক মূল্যবান আলাপ-আলোচনা।
.
পাঠানুভূতি ব্যক্ত করতে বললে বলবো, এটা আমাকে ইসলামের ইতিহাসের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। আমার ভিতর বিস্তৃতভাবে ইসলামের ইতিহাস পাঠের আগ্রহ জাগিয়ে দিয়েছে বইটি। এখন যদি আমি বিস্তৃতআকারে চার/পাঁচ খণ্ডের ইসলামের ইতিহাসের বই পড়তে যাই তাহলে সেটা বুঝতে পারা আমার জন্য অনেক সহজ হবে।
.
বইটির প্রচ্ছদ ও পৃষ্ঠাসজ্জা সত্যিই চমৎকার। বাঁধাইও বেশ ভালো৷
.
পরিশেষে, ইসলামের ইতিহাস পাঠে আগ্রহী যেকোনো ভাই বা বোনকে বলবো, প্রচ্ছদ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত ‘লস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি’ আপনার জন্য একটি অবশ্যপাঠ্য বই।