কষ্টিপাথর
আরবীতে একটা প্রবাদ আছে,
كل شيء يرجع إلى أصل
“প্রত্যেক বস্তুই তার মূলের দিকে ফিরে যায়।”
বিজ্ঞানের এতো সাধনা, এতো পরিশ্রমের ফাইন্ডিংস আজ সুন্নাতের পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছে। অথম মুসলমানরা সেই ১৪০০ বছর আগ থেকে এই সুন্নাত অনুসরণ করে আসছে, যা বিজ্ঞান আজ এসে প্রমাণ করলো এগুলো মানুষের জন্য কল্যাণকর। কিন্ত মুসলমানরা এরকম লাভ ক্ষতির আশায় এই সুন্নাতগুলো মেনে আসছেনা, ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এগুলো করেছেন, এগুলো করার জন্য বলেছেন’ স্রেফ এটাই মেনে চলার জন্য যথেষ্ট। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা করার জন্য বলেছেন তার মধ্যে অবশ্যই কল্যাণ আছে। কি কল্যাণ আছে? বিজ্ঞান আজ অনেক দূর এগিয়েছে। বিজ্ঞান আনমনে বের করে এনেছে সুন্নাতের কল্যাণকর দিকগুলো।
লেখক বইটিতে বিজ্ঞানের সেইসব তথ্যগুলো দিয়েছেন যেগুলোর কল্যাণকর দিক না জেনেও মুসলমানরা তা অনুসরণ করে আসছে। জানার পর অন্তত এই বোধটা জাগ্রত হতে পারে, তাইতো আসলেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাতের মধ্যেই রয়েছে কল্যাণ। দুনিয়াতেও কল্যাণ, আখেরাতেও কল্যাণ।
Out of stock
-
-
featureপ্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স200 ৳কভার: হার্ড কভার পৃষ্ঠা: ১৬৮ বর্তমান যুগ হলো ...
-
featureচিন্তাপরাধ
লেখক : আসিফ আদনানপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন190 ৳পৃষ্ঠা - ১৯২ 'যতক্ষণ সাম্রাজ্যের সার্বভৌমত্ব স্বীকার ...
-
hotডাবল স্ট্যান্ডার্ড
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার360 ৳266 ৳কিছু লোক ইসলামকে সে শত্রু হিসেবে ...
-
hotডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২.০
লেখক : ডা. শামসুল আরেফীনপ্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন392 ৳290 ৳দ্বীন নিয়ে অজ্ঞতা আমাদের সমাজের রন্ধে ...
-
hotপ্রত্যাবর্তন
লেখক : সমকালীন সংকলন টিমপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন330 ৳244 ৳মুসলিমের ঘরে জন্ম নিয়েও আমি হয়ে ...
-
hotআরজ আলী সমীপে
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন250 ৳180 ৳আরজ আলী মাতুব্বর। জন্মেছেন বরিশালে। প্রাতিষ্ঠানিক ...
-
hotজবাব (পেপার ব্যাক)
লেখক : আরিফ আজাদ, জাকারিয়া মাসুদ, ডা. শামসুল আরেফীন, মহিউদ্দিন রূপম, মুহাম্মাদ মুশফিকুর রহমান মিনার, রাফান আহমেদ, শিহাব আহমেদ তুহিনপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন300 ৳222 ৳আমরা হয়ত অনেকেই জানি না, জনপ্রিয় ...
-
hotহোমো স্যাপিয়েন্স রিটেলিং আওয়ার স্টোরি
লেখক : রাফান আহমেদপ্রকাশনী : সন্দীপন প্রকাশন392 ৳290 ৳মোট পৃষ্ঠা : ১৮৪ (৪ কালার) কভার: ...
-
সংশয়বাদী
লেখক : ড্যানিয়েল হাকিকাতজুপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন260 ৳ড্যানিয়েল হাক্বিকাতযু। হালের একজন দা'ঈ ইলাল্লাহ। ...
-
Mahira – :
[বই রিভিউঃ]
বইটাতে মূলত বেশ কিছু সুন্নাহ’র বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আলোচিত হয়েছে। প্রাত্যহিক সুন্নাহ গুলোর সাথে বিজ্ঞানের নিবিড় সম্পর্ক উন্মোচনকারী ব্যতিক্রমধর্মী রচনা।
লেখক নবীজি (সঃ) এর প্রতিটি সুন্নাহ’র ফায়দা ও যৌক্তিকতা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে তুলনা করেছেন।
সুন্নাহ পালনের পরকালীন গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা সবাই অবগত। কিন্ত, এই বইটিতে সুন্নাহ পালনে ইহজাগতিক উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।সুন্নাহকে ব্যাকডেটেড বলার অসাড় যুক্তিকে লেখক নস্যাৎ করে দিয়েছেন তার পাল্টা যুক্তি দিয়ে। ইসলামের আধুনিকতাকে প্রমাণ করেছেন বিজ্ঞানের মধ্য দিয়ে। সুন্নাহ’কে কষ্টিপাথর বানিয়ে লেখক দেখিয়েছেন কিছু বিজ্ঞানের মিরাকল; প্রকাশ করেছেন সুন্নাহ’র অবিশ্বাস্য উপকারিতা। তুলে ধরেছেন, রাসূল (সঃ) এর কথার বিজ্ঞানের একাত্মতা পোষণের খন্ডচিত্র। বইয়ের প্রত্যেকটা টপিকেই পাঠকের আকর্ষণ থাকবে সর্বোচ্চ। “স্বপ্ন দেখুন,স্বপ্ন দেখান”, “সমতলাধিকার”, “মাতাল ধোঁয়া” ইত্যাদি মজাদার সব শিরোনামে সজ্জিত বইটি। পড়তে পড়তে পাঠক হারিয়ে যাবেন সুন্নাহ’র পরিপূর্ণতায়।
.
[ভালোলাগাঃ] এই বইটা ভালোলাগার লিস্টে শুরু থেকেই। উপভোগ্য বর্ণনা সেই সাথে রিসার্চ পেপার,ফলাফল,রেফারেন্স ইত্যাদি করেছে পাঠ্যকে সুখপাঠ্য। বাইন্ডিং,কোয়ালিটি সবই ঠিক আছে।
[বইটি কাদের জন্যঃ]
বিশ্বাসী,অবিশ্বাসী, সংশয়বাদী সকলেরই এই বইটা পড়া জরুরী। নানা ছুতোনাতায় সুন্নাহ পালন থেকে যারা পালিয়ে বেড়ান,তাদেরকে এই বইটি শাব্দিক ভাষায় দেখিয়ে দেবে তাদের ভুলের পরিধি কত বৃহৎ! বিশেষ করে যারা ইসলামের বিধানগুলোকে “সেকেলে” বলে থাকেন, তাদের জন্য তো অবশ্যপাঠ্য।
আমার বিশ্বাস, এই বইটি সুন্নাহর প্রতি পাঠককে ইসলাম নিয়ে নতুন করে ভাবনার খোরাক যোগাবে, এবং ভক্তি ও ভালোবাসা সৃষ্টি করবে।
আব্দুর রহমান – :
.
➤ সার-সংক্ষেপঃ-
বইতে লেখক ৩০ টি শিরোনামের মাধ্যমে রাসূল (স:) এর সুন্নাত সমূহ বিজ্ঞানের আলোকে ব্যাখ্যা করেছেন। যা চৌদ্দশত বছর ধরে কোন উপকারিতা জানা ছাড়াই মুসলমানরা করে আসছে। অথচ বিজ্ঞান ইদানিং তা জানতে পেরেছে।
লেখক বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সুন্নাতের ব্যাখ্যা করেছেন বিভিন্ন গবেষণাপত্র আর সংবাদপত্রের রিপোর্টকে অবলম্বন করে। সেই সাথে যুক্ত করেছেন কুরআন – হাদীসের রেফারেন্স। বইয়ের একটি অধ্যায়ের কথা আলাদাভাবে না বললেই নয়। আর তা হলো “জীবনের অপর নাম পানি”। এখানে একই পানি ভিন্ন আবেগ ও ভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে যে সুন্দর ও বাজে ক্রিস্টাল তৈরি করে তা বিভিন্ন ছবির মাধ্যমে দেখিয়েছেন। যা ছিল সত্যি মনোমুগ্ধকর।
বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের আকর্ষণীয় শব্দে নামকরণ করা হয়েছে। যেমন- কুছ মিঠা তো হো জায়ে, স্বপ্ন দেখুন স্বপ্ন দেখান, দূর্গের বাইরে পরিখা, মাছি মারা কেরানি ইত্যাদি।
.
➤ বইটি কেন পড়বেন:
বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত ও রেফারেন্স এর সাহায্যে রাসূল (স:) এর সুন্নাত সমূহের দুনিয়াবী উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে বইটি অবশ্যই পড়া উচিত। বইটি পড়ার সুন্নাহ পালনের প্রতি অনেক আগ্রহ সৃষ্টি হবে বলে আমার বিশ্বাস। প্রতিটি সুন্নাতের মধ্যে হাজারো উপকারিতা লুকানো আছে। যা বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত। তবেবামরা সুন্নাত মানবো শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশি করার জন্য, কোনো বৈজ্ঞানিক ফায়দা লাভের জন্য নয়। কেননা কেউ যদি শুধু বৈজ্ঞানিক লাভের উদ্দেশ্যে সুন্নাত মেনে চলে তবে সে হয়তো দুনিয়ার বেনিফিট পেলেও, আখিরাতে কিন্তু তার কোন অংশ নেই।
.
➤ আমার অনূভুতি
বইটি পড়ার পর সুন্নাতের প্রতি আমার ভালোবাসা বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। বইতে লেখক যেভাবে সুন্নাহ মেনে চলার স্বাস্থ্যগত উপকার ও বৈজ্ঞানিক সত্যতা তুলে ধরেছেন তা সত্যিই অসাধারন। প্রতিটি প্রবন্ধে যুক্ত করে দিয়েছেন বৈজ্ঞানিক রিসার্চ পেপার এবং প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইটের লিংক। যা বইয়ের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে।
ratul.nowkhoir – :
#কষ্টিপাথর
১৪০০ বছর উম্মাহ ভক্তির মোড়কে সায়েন্স খেয়েছে।
আজ সায়েন্স কারো একচেটিয়া বাণিজ্য…
এখনো ভক্তির মোড়কেই খান…
যুক্তিটা জানুন…
কিন্তু খান ভক্তিভরে, ভালোবেসে…
(কষ্টিপাথর এর একাংশ)
কষ্টিপাথর বইটি পড়ে মনের ভেতরে একটা আত্মতৃপ্তি পেয়েছি আমি। বইটির মধ্যে নবীজি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত গুলো এত চমৎকার ভাবে বর্ণনা করেছে যে সায়েন্স এর অস্তিত্ব রক্ষা করা মুশকিল হয়ে গেছে।
আমরা এই বইটি পড়ে জানতে পারবো, কিভাবে সায়েন্স আমাদের নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নত গুলো কে পুঁজি করে ব্যবসা করে যাচ্ছে দিনের পরে দিন। কিন্তু আমরা তা উপলব্ধি ও করতে পারিনা। আমরা শুধু ঐ যুক্তি দেখাতে পারি। কিন্তু সবার যুক্তির দাঁতভাঙ্গা জবাব আমাদের লেখক এই কষ্টিপাথর এ সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপন করেছেন।
বিজ্ঞান যেখানে অসংখ্য যুক্তি দেখাতে ব্যস্ত, সেখানে ১৪০০ বছর আগেই একজন মহামানব তার সুন্দর ব্যাখ্যা করে গেছেন।
কষ্টিপাথর বইটি সবার ঘরে ঘরে থাকা উচিৎ। এতে করে হবে কি জানেন। সুন্নত পালন করা ও শিখে যাবো তার সাথে সায়েন্স এর ফিকশন ও ধরতে পারবো। খাওয়ার সময় বিসমিল্লাহ্ বলে খাওয়া আর না বলে খাওয়ার মধ্যে কি অদ্ভুত রকমের পার্থক্য রয়েছে তা এই বইটি না পরলে বুঝবেন না।
বইটি পড়ে যা অনুভব করলাম, সায়েন্স একটি পাথর মাত্র যেখানে সুন্নত ঘষে ঘষে একটি কষ্টিপাথর এ রূপান্তরিত করা হয়েছে।
সবশেষে একটাই কথা, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাত এর উপরে কোনো বিজ্ঞান নেই।
#MRHR
mr.tahmid – :
বইটির মূল বক্তব্য হচ্ছে- নবীজির (স) সুন্নত মেনে চললে দুনিয়া-আখিরাত উভয় জাহানেই শান্তি মিলবে। যুক্তির বিচারেও এটি দাবী রাখে যে, এই বিশ্বজাহানের মালিক যিনি, যিনি সৃষ্টি করেছেন সকল বস্তু ও উপায়ান্তর, তাঁর দেখানো পথেই পাওয়া যাবে প্রভূত কল্যাণ। আখিরাতের শান্তির ব্যাপার নাহয় বুঝা গেলো, কিন্তু দুনিয়াতে সুন্নাহসম্মত জীবনবিধান কীভাবে আমাদের শান্তিময় ও সুস্বাস্থ্যময় জীবন কাটাতে সাহায্য করতে পারে তা দেখানোর চেষ্টা করেছে এ বইয়ে।
প্রত্যেক অধ্যায়কেই দুই অংশে ভাগ করা যায়। একদিকে খ্যাতনামা সব পশ্চিমা রিসার্চ জার্নালে প্রকাশিত সুন্নাহসম্মত অভ্যাস নিয়ে লেখা গবেষণাপত্র আর সংবাদপত্রের রিপোর্টকে অবলম্বন করে এগুলোর স্বাস্থ্যগত গুণাবলি তুলে ধরা হয়েছে। আবার অন্যদিকে এই অভ্যাসগুলো যে সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত তাও উল্লেখ করে উপযোগী রেফারেন্স ও হাদিসও যুক্ত করা হয়েছে।অতঃপর লেখক একটি হেলথ চার্ট দিয়ে দেখিয়েছেন বড়ো বড়ো রোগবালাই কী কী কারণে হয়ে থাকে আর কীভাবে সকল সুন্নাহকে মেনে চললে সুন্নাহ নিজেই একটি প্রেভেন্টিভ মেডিসিন হয়ে যায়।
লেখক বইটি লিখতে যথেষ্ট ঘাটাঘাটি করেছেন। Researchgate, Sciencedirect সহ বিশ্বখ্যাত সব জার্নালের থেকে প্রচুর পরিমাণে গবেষণাপত্র ঘেটেছেন। পশ্চিমা সব বাঘা বাঘা পত্রিকার রিপোর্ট ও ব্যাবহার করেছেন। এমন বইয়ের ভাষা গুরুগম্ভীর হওয়াটাই স্বাভাবিক ছিলো। কিন্তু না, লেখক স্বীয় মুন্সিয়ানার দ্বারা বইকে অসম্ভব সুখপাঠ্য করে রচনা করেছেন। সুযোগ পেলেই ব্যাবহার করেছেন হিউমারের, আবার কখনো অল্প কথায় বিবেককে ধাক্কা দিয়েছেন। লেখক নিজে একজন ডাক্তার, আর সে কারণেই হয়তবা বর্ণনাশৈলী আরো বেশি সাবলীলতা পেয়েছে, যুক্ত হয়েছে মানবদেহের নানা অভ্যান্তরীণ অঙ্গের কার্যপ্রণালীর ছবিও। সর্বোপরি লেখক সমস্ত বইটি এমন বৈঠকি ঢংয়ে লিখে গেছেন যে মনে হবে লেখক আপনার পরিচিত কেউ, একসাথে বসে চা খেতে খেতে আড্ডা দিচ্ছেন।
আপনি যদি পড়ে না থাকেন, বইটি অবশ্যই পড়বেন। সুন্নতের প্রতি আপনার ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে। বইয়ের পেজ সেটআপ, বানান, প্রচ্ছদ সবকিছুই বেশ ভালো ছিলো।
upomaupoma6 – :
কিন্তু পশ্চিমাদের ধুয়ে দেওয়া মগজ দিয়ে সবকিছু বিচার করতে গিয়ে অনেকে কোনো কোনো সুন্নাহকে ‘ব্যাকডেটেড’ মনে করে। পশ্চিমাদের দেওয়া চশমা দিয়ে দেখে বলে, ‘এগুলো তো অবৈজ্ঞানিক, কুসংস্কার’! অথচ আমাদের মনে রাখা উচিত – এই জগতের যিনি স্রষ্টা, তিনিই সবচেয়ে ভালো জানবেন সৃষ্টির ভালো-মন্দ কীসে৷ আর তিনিই তো আমাদের তার নবীকে অনুসরণ করতে বলেছেন। আমরা যে সবসময় বিজ্ঞান দিয়ে সবকিছু বিচার করতে চাই সেই বিজ্ঞানের স্রষ্টাও তো তিনিই। সেই জন্যেই তো, কোটি কোটি ডলারের গবেষণার ফল শেষে কুরআন-সুন্নাহয় এসে ঠেকে।
১৪০০ বছর আগে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেই কাজগুলো করে গেছেন, তাঁর অনুসারীরা ১৪০০ বছর ধরে যেই কাজগুলো করে আসছেন, আজ এসে বিজ্ঞানীরা সেসব সুন্নাহর ইহলৌকিক উপকারিতা আবিষ্কার করছে৷ কষ্টিপাথর বইয়ে বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার করা এমনি কিছু সুন্নাহর কথা লেখক আলোচনা করেছেন। তবে লেখক সুন্নাহকে কষ্টিপাথর হিসেবে নিয়ে বিজ্ঞানকে ঘষেছেন এই পাথরে। সুন্নাহকে বিজ্ঞান দিয়ে নয় বরং বিজ্ঞানকে বিচার করেছেন সুন্নাহ দিয়ে। কারণটা তার কাছেই শুনি, “সুন্নাতের তুলনা চলে পরিণত বৃদ্ধের সঙ্গে, যার মনন পরিপূর্ণ, সিদ্ধান্ত সুপরিপক্ক, যুক্তি পূণাঙ্গ (কেননা তা মূলত স্বয়ং আল্লাহ তাআলা থেকে উৎসারিত, এতে সংযোজন-বিয়োজনের কোনো অবকাশ নেই)। আর বিজ্ঞান হলো শিশুর মতো, যার এখনও অনেক কিছু দেখা বাকি, যার মনন এখনও গঠন হচ্ছে, সিদ্ধান্ত পরিবর্তনশীল, প্রক্রিয়া চলমান, যুক্তি ইন্দ্রিয়ের সীমায় আবদ্ধ। ”
কিন্তু আমরা কি দুনিয়ার উপকারের আশায় সুন্নাহ মানবো? উঁহু। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালোবেসে তাঁর অনুসরণ করবো, আখিরাতে লাভের আশায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার সুন্নাহকে জীবিত করল সে আমাকেই ভালোবাসল, আর যে ব্যক্তি আমাকে ভালোবাসল সে তো জান্নাতে আমার সাথেই থাকবে। (তিরমিযী)।
এই বইয়ের মধ্যে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে ‘জীবনের অপর নাম পানি’, ‘প্রলাপ’ আর সবার শেষের ‘বিদায়বেলা’ চ্যাপ্টারগুলো। বইটা পড়ার সময় ঝিমানোর কোনো চান্স নেই। লেখক আপনাকে সজাগ থাকতে বাধ্য করবেন। আরেকটা কথা, পড়ার সময় কোনো চ্যাপ্টার স্কিপ করে সামনে এগুতে গেলে ধরা খাবেন। আবার লেখক আপনাকে আগের চ্যাপ্টার পড়তে পাঠিয়ে দিবেন। লেখকের প্রশংসা না করলেই নয়। আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দিন৷ এতক্ষণ সুন্দরভাবে সব বুঝিয়ে দিয়ে ‘বিদায়বেলা’য়
★এতিম নবীকে নিজের শরীরে জায়গা দেবেন কেউ আছেন?
★এতিম নবীকে নিজের পরিবারে জায়গা দিবেন কেউ আছেন?
★২৪ঘন্টা এতিম নবীকে সাথে সাথে চোখে চোখে রাখবেন কেউ কি নেই?
এমন প্রশ্নগুলো ছুড়ে দিয়ে লেখক যেন হৃদয়টাকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে গেলেন।