মেন্যু
kitabul mokaddos, injil shorif o isayi dhormo

কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম

বিষয় : বিবিধ বই
পরিমাণ

28  40 (30% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

3 রিভিউ এবং রেটিং - কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম

5.0
Based on 3 reviews
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    ghasforinghd:

    গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল গুলোতে একটা নতুন ধরনের ফেতনার সৃষ্টি করা হয়েছে সেটা হচ্ছে “ঈসায়ী মুসলিম”।

    ঐসব প্রত্যন্ত অঞ্চলের কম শিক্ষিত বা অশিক্ষিত মুসলিমদের টার্গেট করে “ঈসায়ী তরিকা” নামে একটা নতুন দলে ভেড়ানো হয়। তাদের বুঝানো হয় যে মুক্তির পথ যদি পেতে চাও তাহলে ঈসা আ: কে অনুসরণ করতে হবে কেননা পৃথিবীতে কেয়ামতের আগে ঈসা নবীই আবার আসবেন এ কথা কুরআনেই লেখা আছে। তারা কুরআন ও হাদীসের বিভিন্ন আয়াতের অপব্যাখ্যা করে সেসব মুসলিমদের কনভিন্স করে ফেলে। এভাবে ঈসায়ী তরিকায় কনভার্ট করার পর পরবর্তীতে কয়েকটি ধাপে তাদেরকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করা হয়।

    মুলত খ্রিস্টান মিশনারিরা মুসলিমদেরকে সরাসরি খ্রিস্টান বানাতে ব্যর্থ হয়ে এ ধরনের কৌশল গ্রহণ করেছে। কারণ তারাই স্টাডি করে দেখেছে যে গত ২৫০ বছরেও তারা বাংলায় খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারে তেমন সফলতা পায়নি যার কারণে তারা এখন এই ভিন্নপথ অবলম্বন করছে।

    ভয়াবহ ব্যাপার হলো তারা এই ঈসায়ী তরিকা প্রচার করতে গিয়ে অনেক মুসলিম ও ইসলামী শব্দ তাদের প্রচারণায় ব্যবহার করছে যার ফলে ঐসব সাধারণ অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত মুসলিমরা বুঝতেই পারছি না যে তাদেরকে মূলত খ্রিস্টান বানানো হচ্ছে। আর এভাবেই তারা তাদের ঈমান হারাচ্ছে।

    খ্রিস্টান মিশনারীদের এসব অপতৎপরতা জবাবেই ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার এই বইটি লিখেছেন। বইটিতে তিনি বাইবেলে পরস্পরবিরোধী বিভিন্ন কথাবার্তা গুলো তুলে ধরেছেন। খ্রিস্টান মিশনারীরা ঈসায়ী তরিকার দাওয়াত দিতে আসলে কিভাবে তার জবাব দিতে হবে ও মোকাবেলা করতে হবে এ বিষয়ে বিভিন্ন কৌশল ও উদাহরণ দেখিয়েছেন ডঃ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার।

    বইটি মাত্র ৮০ পৃষ্ঠার হলেও এই বইটি পড়ে খ্রিস্ট ধর্মের অসারতা এবং বাইবেলে বিভিন্ন পরস্পর বিরোধী কথা সম্পর্কে মোটামুটি একটা ভাল ধারণা পাওয়া যাবে।

    প্রত্যেকটা মুসলিমের এই বইটা পড়া উচিত। তাহলে খ্রিস্টান মিশনারীদের অপতৎপরতা যদি আপনার সামনেও এসে উপস্থিত হয় তাহলে খুব সহজেই তাদেরকে জবাব দিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

    2 out of 2 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    redwannabil116:

    #ওয়াফিলাইফ_পাঠকের_ভাল_লাগা_জুন_২০২০

    বইঃ কিতাবুল মোকাদ্দাস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম,

    লেখকঃ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ),
    প্রকাশনীঃ আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স।

    #রিভিউঃ
    বর্তমান সময়ে খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচারকদের আনাগোনা বাংলাদেশে বেশ লক্ষ করা যাচ্ছে। তারা মুসলিমদের খ্রিষ্টান ধর্মে দিক্ষিত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। বিশেষ করে সাধারণ মুসলিম ভাই-বোনদের কুরআনের অপব্যাখা দিয়ে ধর্মান্তরিত করছে। এই সমস্যা বর্তমানে মহামারী আকার ধারণ করছে। কিন্তু খ্রিষ্টানদের বাইবেল পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে তাদের বাইবেলে অনেক বৈপরীত্যে আছে। অথচ তারা আসে আমাদের ধর্মগ্রন্থের ভুল ধরতে!! বিষয়টা সত্যিই ডাবল স্টান্ডার্ড। তাই তাদের বাইবেল নিয়ে সংক্ষেপে তুলে ধরেছেন স্যার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ)। তিনি ছোট কলেবরে খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় গ্রন্থ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

    #বইটিতে_খ্রিষ্টানদের_গ্রন্থের_যেসব_বিষয়_আলোচনা_হয়েছেঃ
    বইটিতে লেখক খ্রিষ্টানদের গ্রন্থগুলোর বৈপরীত্য সংক্ষেপে তুলে ধরেছেন। তিনি খ্রিষ্টান ধর্ম এবং সত্যিকার ঈসায়ী ধর্মের তুলনামূলক আলোচনা করেছেন। খ্রিষ্টানদের উদ্ভাবিত মতুন সব বিধি-বিধান এবং এর অসারতা বাইবেলের আলোকে তুলে ধরেছেন। কুরআনের আয়াত নিয়ে খিষ্টান ধর্ম প্রচারকদের অপব্যাখা এবং সঠিক ব্যাখা আলোচনা করেছেন। নবি মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে মিথ্যাচারের স্বরূপ তুলে ধরেছেন।

    #পাঠক_ভাবনাঃ
    কিতাবুল মোকাদ্দাস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম বইটিতে লেখক খ্রিষ্টান ধর্মের বিষয়গুলো কম কলেবরে খুবই সংক্ষেপে এবং সাধারণ পাঠকের বোধগম্য করে তুলে ধরেছেন। এতে করে যে কোন পাঠকই খ্রিষ্টান ধর্মের অসারতা এবং এটি একটি মানুষের বানানো ধর্ম তা সহজেই বুঝতে পারবেন। মনে হয়েছে যেন খ্রিষ্টানদের সব ধর্মগ্রন্থ পড়ে ফেলেছি।

    বইটি সমকালীন পরিস্থিতির এবং প্রেক্ষাপটে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। বইটি খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচারকদের বিরুদ্ধে এবং তাদের প্রশ্নের বিরুদ্ধে একটি দলিল। আর আমাদের মুসলিম ভাই-বোন যারা খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে তাদের জন্য খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

    #বই_থেকে_চয়ন_করাঃ
    মুসলমানদের অভ্যন্তরীন কোন্দল খৃষ্টান প্রচারকদের জন্য ধর্মান্তরকরণকে অত্যন্ত সহজ করেছে। মুসলিমগণ ছোটখাটো মতভেদ নিয়ে এমন ভয়ঙ্কর দলাদলি শত্রুতায় লিপ্ত হয় যে, চোখের সামনে মুসলিম ভাই-বোনগণ মুরতাদ হয়ে যাচ্ছেন কিন্তু কেউ গুরুত্ব দিচ্ছেন না। অনেক সময় অবস্থা এরূপ যে, মুসলমান খৃষ্টান হয় হোক, তবে আমার মত বা দলের কোন ক্ষতি না হলেই হলো! মুসলমান খৃষ্টান হলে কষ্ট লাগে না, কিন্তু অন্য কোন মুসলিম দল বা মতের অনুসরণ করলে কষ্ট লাগে!! নিজের দলের কেউ অন্য দলে গেলে কষ্ট লাগে। কিন্তু মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মত মুরতাদ হয়ে অন্য ধর্মে চলে গেলে এবং তার বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করলে কষ্ট লাগে না! এটি কি ইমানের দুর্বলতার লক্ষন নয়?

    পৃষ্ঠাঃ ৮০,
    মুদ্রিত মূল্যঃ ৪০ টাকা,

    বইটি পাবেন নিচের লিংকেঃ
    https://www.wafilife.com/shop/books/kitabul-mokaddas-injil-shorif-o-isayii-dhormo/

    2 out of 2 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    Rehmatullah Sojol:

    ১৯৭৮ সালে আমেরিকার কলরাডো রাষ্ট্রের কলরাডো স্প্রীংস শহরে North American conference on Muslim evangelization অর্থাৎ, ‘মুসলিমদের খৃষ্টান বানানো বিষয়ে উত্তর আমেরিকার সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে মিশনারিগণ পরবর্তী অর্ধশতকের মধ্যে বাংলাদেশ-সহ এশিয়ার কয়েকটি মুসলিম দেশকে খৃষ্টান-প্রধান বানানোর পরিকল্পনা করেন। এ উদ্দেশ্য বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় সহস্রাধিক প্রচারক তাদের কাজ করে চলেছেন।

    সেই সম্মেলনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাংলাদেশে খৃষ্টান মিশনারিদের প্রচার পদ্ধতি গতানুগতিক প্রচার পদ্ধতির চেয়ে ভিন্ন। এরা দেখেছে এদেশের বেশিরভাগ মুসলিমই নিজেদের ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ। তাই, এরা নিজেদেরকে ঈসায়ী মুসলমান দাবি করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুসলিমদের বিভ্রান্ত করছে এবং খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করছে। এরা নিজেদের বাইবেলকেও দিয়েছে ইসলামি নাম – ‘কিতাবুল মোকাদ্দস’। এই বইটিকে তারা তাওরাত-যাবুর-ইঞ্জিলের শিক্ষার সম্মিলিত রুপ দাবি করে ইসলামের ওপর কালিমা লেপন করছে এবং মুসলিমদের করছে বিভ্রান্ত।

    ইসলামের ওপর এই কালিমা লেপনের জবাব দিতে এবং মুসলিমদেরকে তথাকথিত ‘ঈসায়ী মুসলমান’দের বিভ্রান্তি থেকে বাঁচাতে ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ কলম ধরেন। লিখে ফেলেন – ‘কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম’ নামের বইটি। বইটি প্রকাশিত হয়েছে – আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন থেকে।

    • বইটির বিষয়বস্তু:

    বইটিতে সংক্ষিপ্ত আকারে মোট উনিশটি অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে৷ প্রথমেই স্যার রাহিমাহুল্লাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা লিখেছেন। এরপর প্রথম অধ্যায়ে আলোচনা করেছেন, ঈসা মাসিহের ধর্মে মিথ্যার অনুপ্রবেশ নিয়ে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে এসেছে প্রচলিত ‘কিতাবুল মোকাদ্দস’ এর সাথে তাওরাত-যাবুর-ইঞ্জিলের তূলনামূলক আলোচনা। এরপর ধাপে ধাপে স্যার রাহিমাহুল্লাহ এনেছেন ইঞ্জিলের বিকৃত হওয়ার ইতিহাস, সাধু পলের আবির্ভাব, সাধু পলের প্রচারিত ধর্মের সাথে ঈসা আ. এর ধর্মের বৈপরীত্য, খৃষ্টানদের ধর্মগ্রন্থগুলোরমধ্যে পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা ইত্যাদি বিষয়গুলোসহ আরো নানান গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা৷ প্রত্যেক অধ্যায়ে স্যার রাহিমাহুল্লাহ দেখিয়েছেন খৃষ্টান ধর্মের ভিত কতটা নড়বড়ে। ইসলাম নিয়ে তাদের আপত্তিগুলো যে কতটা দুর্বল ও অযৌক্তিক সেটা বোঝা যাবে বইটি পড়লেই। সর্বেশষ অধ্যায়ে স্যার রাহি. মুসলিমদের প্রতি একটি নিবেদন রেখেছেন। সেখানে তিনি মুসলিমদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। নিজেদের মধ্যে কোন্দল থামিয়ে মিশনারিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আবেদন করেছেন।

    • বইটির ভালো দিক-খারাপ দিক:

    বইটির সবচেয়ে ভালো দিক হলো, বইটিতে স্যার রাহিমাহুল্লাহ অনেক ছোট কলেবরে, মাত্র ৮০ পৃষ্ঠায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা নিয়ে এসেছেন। সাথে সাথে বইয়ের মূল্য রাখা হয়েছে মাত্র ২০ টাকা। যাতে এটা সবার জন্য সংগ্রহ করা ও পড়া সহজ হয়। বইটি পড়ার পর, খৃষ্টান ধর্ম সম্পর্কে মোটামুটি কম্প্রিহেন্সিভ একটা ধারণা পেয়েছি। ইসলাম নিয়ে তাদের অপপ্রচারের জবাবগুলো পেয়েছি। আর খারাপ দিক বলতে গেলে শুধুমাত্র কিছু বানান ভুল আর টাইপিং মিস্টেক ছাড়া আর কিছু চোখে পড়েনি।

    পরিশেষে, সকল মুসলিম ভাই ও বোনদের উদ্দেশ্যে বলবো, আপনারা স্যারের এই বইটা অবশ্য অবশ্যই স্যারের এই বইটি পড়বেন। এই বইয়ের কন্টেন্টগুলো নিয়ে পরিবার এবং সমাজে আলোচনা করবেন। যাতে, জনসাধারণের মাঝে সতর্কতা সৃষ্টি হয়। কেউ তাদেরকে ‘ঈসায়ী মুসলমান’ সেজে ধোঁকা দিতে এলে তারা যেনো তাদের দ্বারা বিভ্রান্ত না হয়ে বরং মুখের ওপর জবাব দিতে পারে।

    আল্লাহর কাছে মিনতি, তিনি যেনো আমাদেরকে তাঁর দ্বীনের ওপর অটল রাখেন এবং আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কুফফারদের সাথে লড়ার তৌফিক দেন।

    3 out of 3 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No