মেন্যু
kinbodontir kotha bolchi

কিংবদন্তির কথা বলছি

প্রকাশনী : নাশাত
আমরা অনেকেই আজকাল 'ফিকশন' শব্দের অর্থ ঠিকঠাক বুঝি না। অধিকাংশই মনে করি, 'ফিকশন' মানে গাল-গপ্পো, ইতিহাস-রাজনীতির সাথে যার কোন সম্পর্ক নেই। এভাবে রূপকথা ও ফিকশন শব্দদু'টি প্রায় সমার্থবোধক হয়ে উঠেছে।... আরো পড়ুন
পরিমাণ

131  180 (27% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

3 রিভিউ এবং রেটিং - কিংবদন্তির কথা বলছি

5.0
Based on 3 reviews
5 star
100%
4 star
0%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    আহসান হাবিব:

    সবসময় বাবার মুখে শুনি মাওলানা মুহিউদ্দীন খান (রহ.) এর কথা। বাবা যখন মেডিকেল এর স্টুডেন্ট, তখনই নাকি তিনি প্রথম উনার সহোবতে আসেন। আস্তে আস্তে সময় পেরোনোর সাথে সাথে বাবা মাওলানা মুহিউদ্দীন হুজুরের সাথে বেশি বেশি দেখা করতে থাকলেন। সময় পেলেই তার কাছেই যেতেন কিছু মূল্যবান নসীহাহ্ নেওয়ার জন্যে। বাবার সাথে হুজুরের বলা অনেক মূল্যবান কথা শুনি। আর বাবা উনার খুব ঘনিষ্ঠদের মধ্যেই একজন ছিলেন। একবার বাবা উনার মাসিক মদীনার অফিসে যাওয়ার পর রুমে কুরআন তেলওয়াত এর আওয়াজ শুনতে পান। তখন বাবা হুজুরকে জিজ্ঞেস করলে হুজুর বলেন, ‘এটা সৌদি থেকে আনা ডাক্তার সাহেব। আপনার পছন্দ হয়েছে নাকি?’ উত্তরে বাবা বলেন, ‘জ্বি হুজুর, আমার ক্যাসেট এর তেলওয়াত খুব ভালো লেগেছে। যদি সম্ভব হয় আমাকেও এক সেট কিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিন।’ কয়েকদিন পরেই বাবাকে হুজুর তলব করেন এবং বাবা সেখানে যাওয়ার পরই হুজুর তাকে এক সেট ক্যাসেট উপহার দেন। আব্বু সেসিন অনেক খুশি হয়েছিল। এছাড়াও আব্বু যখনই সুযোগ পেত, মুহিউদ্দীন হুজুরের লিখা বই কিনতো। আর প্রতি মাসে অথবা সপ্তাহে বাবার নামে ডাকটিকিটে মাসিক মদীনা পত্রিকা আসতো। এখনো সেই আমলে লিখা হুজুরের অনেক বই সংগ্রহে আছে আলহামদুলিল্লাহ। আসলে বাবার মুখ থেকে যতটুকু শুনেছি, হুজুর খুবই সিধেসাধা, দিল খোলা একজন মানুষ ছিলেন। আমার বাবা সবসময় বলেন উনি হুজুরকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসেন, হুজুরও প্রায়ই বলতেন, ‘ডাক্তার সাহেব, আপনাকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসি।’ কত সুন্দর ছিল সেই মহব্বত। ইন শা আল্লাহ বাবা এবং হুজুর যেন জান্নাতে মুলাকাত করেন দোয়া করি।

    আসলে এত লিখা এই জন্যই যে বই এর যিনি মেইন ক্যারেক্টার ,তার সম্পর্কে যে বর্তমান জেনারেশন জানবে বিশেষ করে আমার মতো যারা যুবক, অকল্পনীয়। আলহামদুলিল্লাহ অবশেষে হুজুরের জীবনি নিয়ে একটি বই বের হবে দেখে আমি আনন্দিত। বাবা এখনো এই খবরটি জানেন না। না জানি বাবা জানলে আরো কত বেশি খুশি হবেন!

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    Ahmed Shamim Hasan:

    ছোটবেলায় আমার আম্মাকে দেখতাম ‘মাসিক মদিনা’ পড়তে। সেই সময়ে ‘মাসিক মদিনা’ বেশ পপুলার ছিল। আম্মা ছিলেন এই পত্রিকার নিয়মিত পাঠিকা। তখন ইসলামী পত্রিকা বলতে এটাকেই বুঝতাম। সেখান থেকেই মাওলানা মহিউদ্দিন খান রাহিমাহুল্লাহর নামের সাথে পরিচয়। এরপরে বাসায় ‘জীবনের খেলাঘরে’ বইটাও কেনা হয়, যদিও সেটা এখনো পড়া হয়নি। সেদিন অনলাইন বুকশপে ‘কিংবদন্তীর কথা’ এই বইটা চোখে পড়লো এবং সাথে জানলাম যে এটা মাওলানার জীবনকাহিনীর উপর লেখা। তখন বেশ আগ্রহ হয় ওনার জীবনী সম্পর্কে জানার, তাই সাথে সাথেই বইটা অর্ডার দিয়ে দেই।
    বইয়ের পাঠানুভূতি বলতে গেলে বলতে হয়, প্রথম বই হিসেবে লেখক খুব চমৎকার লেখা উপহার দিয়েছেন। গল্পের আঙ্গিকে বইয়ের বুনন বেশ ভালো লেগেছে। মাসিক মদিনা এবং মাওলানা মহিউদ্দীন খান রাহিমাহুল্লাহর জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং সংগ্রামের ব্যাপারে জানতে পেরেছি। যে কাউকে পড়তে দেয়ার মত একটা বই।
    বইটা পড়তে গিয়ে একটা ব্যাপার বার বার মনে হচ্ছিল যে, আমাদের সাম্প্রতিক সময়ের ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব যেমন মুনশী মেহেরুল্লাহ, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ফররুখ আহমদ, মাওলানা মহিউদ্দিন খান (রঃ) প্রমুখদের সম্পর্কে নিজেরা জানা এবং অন্যদের জানানোটা সময়ের দাবী। তাদের সম্পর্কে বেশি বেশী লেখা, আলোচনা করাটা খুবই জরুরী। আমাদের কাছে ইতিহাসকে সঙ্কুচিত করে ‘রাজনৈতিক চক্করে’ সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের যদি আমরা স্মরণ না রাখি, তাদের কাজ থেকে যদি আমাদের ইন্সপিরেশন না নিতে পারি, তাহলে আমাদের আগামীর পথচলা কোনোভাবেই সার্থক ও সফল করা সম্ভব হবে না। আমাদের তরুণ প্রজন্মের সামনে এই মানুষদের কর্মকান্ড, সংগ্রাম এবং সফলতার গল্প অবশ্যই অবশ্যই তুলে ধরতে হবে।
    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    মুহাম্মাদ ইবনু ত্বয়্যিব:

    “কিংবদন্তির কথা বলছি” বৈদিক হলে প্রথমে অভিভূত হয়েছি অর্পণ দেখে। আর শব্দে শব্দে বাক্যে বাক্যে এতটাই বিস্মিত হয়েছি যে, বিশ্বাস হতে চাচ্ছিল না— এটা কোনও কওমী ছাত্রের লেখা, আবার তাঁর প্রথম বই। সত্যি হুমায়ুন আজাদের শিশুতোষে এমন মজা পাওয়া যায় যদিও তাতে কোনও শিক্ষা-দীক্ষা থাকে না।
    .
    বইটি অনেক পছন্দ হলেও এক গতিতে প্রথমে এগোতে পারিনি। কারণ, খান সাহেব রাহিমাহুল্লাহ মুমূর্ষ অবস্থায় যে, অসহায়ত্ববোধে দিনাতিপাত করেছেন, আমার বাবা দীর্ঘ এক বছর ধরে এমন অবস্থা পার করছেন— সালাতের ব্যকুলতার পাশাপাশি তাদরিসের জন্য তাঁর একই অবস্থা। তাই বিদায় ধ্বনি গুলো কেমন জানি বাবার সাথে মিলে যাচ্ছিল। ফলে চোখের অবাধ অশ্রু থামাতে ব্যর্থ হয়ে এগোতে পারিনি।
    .
    অধ্যায়টি শেষ হলে অনেক দুঃখের কাহিনী থাকলেও সামনে বাড়তে বাধা সৃষ্টি হয়নি। অবশ্য নোনাজল ধরেছে কিছু কাহিনী পড়ে। আবার আনন্দে চোখ বড় হয়েছে— ইতিহাসের কোনো কোনো মনীষীর পরিচয় জেনে বইয়ের পাতায় পাতায়। সন্তান গড়ে তুলতে মা-বাবার ত্যাগ-তিতিক্ষা পরিলক্ষিত হয়েছে— বইটির কানায় কানায়। স্বদেশী ও ইংরেজ শত্রুদের পরিচয় এসেছে ধাপে ধাপে। আবার বিপ্লবী শিক্ষক মনীষীদের খোঁজ বের করে তুলে ধরেছেন একটু পরে পরে যা, পড়ার গতিকে তেজস্বী গতিতে তাড়িত করেছে পরবর্তীতে। সাথে কিছু প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে বাধ্য করেছে।
    .
    ধূর! কে কিংবদন্তি এটা বলতে একেবারে ভুলে গেছি! তিনি‌ বাংলায় ইসলামি রেঁনেসার পথিকৃৎ। শত বৈচিত্রের মাঝে তাঁর জীবনে রয়েছে ঐক্যের সুর আল্লামা মহিউদ্দিন খান রাহিমাহুল্লাহ।
    .
    সত্যি বইটি পড়ে আমি আপ্লুত। কিছু শিক্ষণীয় বিষয় জানতে সবাইকে বইটি পড়তে বলবো।
    ১- বড়দের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করতে।
    ২- আদব-আখলাক ও শিক্ষাদীক্ষার পাশাপাশি বড়দের সংস্পর্শ উপকারীতা উপলব্ধি করতে।
    ৩- শত শত বিপদাপদ উপেক্ষা করে কিভাবে মা-বাবা সন্তান প্রতিপালন করে তা বুঝতে।
    ৪- একনজরে গল্পের পাতায় পাতায় বাংলার ইতিহাস দেখে নিতে।
    ৫- বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পরিচয় পেতে।
    ৬- ইতিহাস দর্পণে শত্রু-মিত্র চিনে নিতে।
    ৭- বিপদ আপদে হতোদ্যম নাহয়ে উদ্যমী হয়ে উঠতে।
    .
    অল্প কিছু ছোট মাথায় যা, এসেছে, বলেছি। বোদ্ধমহল ভালো-মন্দ নির্ণয় করতে পারবেন। আমি শুধু ভালো পেয়েছি, বিধায় বলেছি।
    3 out of 3 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top