খুতবাতুল ইসলাম
প্রকাশনী : আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স
-
-
save offবাইবেল কুরআন ও বিজ্ঞান
লেখক : ড. মরিস বুকাইলিপ্রকাশনী : দারুস সালাম বাংলাদেশ400 ৳232 ৳১৯৮১ সালের কথা। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্যান্সিসকো ...
-
save offকুরআন দিয়ে নিজের চিকিৎসা করুন
প্রকাশনী : সবুজপত্র পাবলিকেশন্স70 ৳50 ৳অনুবাদ: হাফেয মাহমুদুল হাসান পৃষ্ঠা ৯৭ পকেট সাইজ ...
-
featureচিন্তাপরাধ
লেখক : আসিফ আদনানপ্রকাশনী : ইলম হাউজ পাবলিকেশন190 ৳পৃষ্ঠা - ১৯২ 'যতক্ষণ সাম্রাজ্যের সার্বভৌমত্ব স্বীকার ...
-
hotআল্লাহর প্রতি সুধারণা
লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়াপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন175 ৳129 ৳জাবের রদ্বি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ...
-
hotশিকড়ের সন্ধানে
লেখক : হামিদা মুবাশ্বেরাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন430 ৳314 ৳পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৯৬ টি কভার: পেপার ব্যাক ‘Know ...
-
hotগল্পগুলো অন্যরকম
লেখক : সিহিন্তা শরীফা, আনিকা তুবা, আফিফা আবেদিন সাওদা, আরমান ইবন সোলাইমান, আরিফ আজাদ, আরিফ আবদাল চৌধুরী, আরিফুল ইসলাম, আলী আবদুল্লাহ, জাকারিয়া মাসুদ, নুসরাত জাহান, মাহমুদুর রহমান, যাইনাব আল-গাযি, শারিন সফি, শিহাব আহমেদ তুহিন, শেখ আসিফ, সাদিয়া হোসাইন, সানজিদা সিদ্দীক কথাপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন350 ৳245 ৳জীবনের কাছে মাঝে মাঝে গল্পও তুচ্ছ ...
-
save offসাইকোলজি ইসলামি দৃষ্টিকোণ
লেখক : ড. আইশা হামদানপ্রকাশনী : সীরাত পাবলিকেশন350 ৳262 ৳অনুবাদ: সিফাত-ঈ-মুহাম্মদ সম্পাদনা: ডা. শামসুল আরেফীন পৃষ্ঠা সংখ্যা: ...
-
hotহিউম্যান বিয়িং শতাব্দীর বুদ্ধিবৃত্তিক দাসত্ব
লেখক : ইফতেখার সিফাতপ্রকাশনী : নাশাত220 ৳154 ৳সম্পাদক : মুহাম্মাদ আফসারুদ্দীন পৃষ্ঠাসংখ্যা : ১৬০ বাঁধাই ...
-
সিক্রেটস অব জায়োনিজম
লেখক : হেনরি ফোর্ডপ্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স300 ৳অনুবাদ: ফুয়াদ আল আজাদ আমেরিকার বিখ্যাত ফোর্ড ...
-
save offশয়তান যেভাবে ধোঁকা দেয় (তালবিসে ইবলিস)
লেখক : আল্লামা ইবনুল জাওযী (রহঃ)প্রকাশনী : দারুল আরকাম700 ৳350 ৳ভাষান্তর : মুফতি আবু সাআদ পৃষ্ঠা : ৪৮০ দ্বিতীয় ...
-
almeraz0179 – :
মহানবী (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর কুবার মসজিদে প্রথম জুমার নামাজ আদায় করেন। এতে রাসূলুল্লাহ
(সা.) নিজেই ইমামতি করেন। এদিন জুমার নামাজের আগে তিনি দুটি খুতবা প্রদান করেন। তখন থেকেই শুক্রবারে জুমার নামাজের জামাতের আগে দুটি খুতবা প্রদানের প্রথা প্রচলিত।রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রথমত একটি খেজুরগাছের খুঁটির সঙ্গে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন।এরপর রাসুলের পরামর্শ নিয়ে সাহাবিরা মিম্বার তৈরি করলে তিনি তার ওপর দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন। ওই মিম্বারে তিনটি তাক ছিল। নবীজি (সা.) তৃতীয় তাকে দাঁড়াতেন ও বসতেন। নবীজি (সা.)-এর ওফাতের পর হজরত আবু বকর (রা.)-এর খিলাফতের সময় তিনি দ্বিতীয় তাকে দাঁড়াতেন। হজরত ওমর(রা.)-এর খিলাফতের সময় তিনি তৃতীয় তাকে দাঁড়াতেন। অতঃপর হজরত উসমান (রা.)-এর খিলাফতের সময় তিনি দ্বিতীয় তাকে দাঁড়াতেন এবং এ প্রথাই বর্তমানে প্রচলিত।খুতবার শাব্দিক অর্থ বক্তৃতা বা বক্তৃতা করা।
ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় খুতবা বলা হয় এমন
বক্তৃতা, যাতে মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ
তায়ালার প্রশংসা, তাঁর একত্ববাদের ঘোষণা,
রাসূলুল্লাহ (সা.) এর প্রতি দরুদ এবং উপস্থিত
সাধারণের প্রতি উপদেশ বিদ্যমান থাকে।
নবী (সা.) জুমার নামাজের আগে ‘খুতবা’ বা
বয়ান-বক্তৃতায় বিভিন্ন উপদেশমূলক কথা বলতেন।
আত্মগঠনের কথা বলতেন। সাহাবাদের ঈমান ও
আমলের ব্যাপারে সতর্ক করতেন।ইসলামে জুমার খুতবা ও বয়ানের তাৎপর্য সীমাহীন।একটি ঘুণে ধরা সমাজকে জাগাতে, মুসলিম উম্মাহ ও ইসলামী সমাজে ঈমানের আলো জিইয়ে রাখতে জুমার বয়ান ১৪০০বছর ধরে ভূমিকা রেখে আসছে।খতিবদের ওয়াজ নসিহত ও সমাজসচেতন বয়ান মুসলিম উম্মাহর মাঝে ঈমানের গতি ছড়ায়।সমাজ বিনির্মাণের শুদ্ধতম চাবিটি রয়েছে খতিবগণের হাতেই। জুমার মিম্বার থেকে সে আলো ছড়িয়ে পড়ে মন থেকে মনে, সমাজ থেকে সমাজে। এ
মিম্বর থেকে একজন খতিব সত্য ও ন্যায়ের বার্তা দেন। কথা বলেন সমাজে প্রচলিত অন্যায়-অবিচার,চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই,সন্ত্রাস,জঙ্গিবাদ,হত্যাকাণ্ড ইত্যাদির বিরুদ্ধে।সমাজ জনসাধারণে আত্মশুদ্ধি গঠনে জুমার মিম্বর যে
ভূমিকা রাখে অন্য কোনো উপায় ততটা কার্যকরি নয়।গণসচেতনতা তৈরির জন্য মসজিদের মিম্বারের
চেয়ে শক্তিশালী কেন্দ্র আর কিছুই নেই।জুমার দিনে সবচেয়ে বেশি মানুষের সমাগম ও জমায়েত হতো।রাসুল সা এই সুযোগটাকে তিনি কাজে লাগাতেন আল্লাহর বানী প্রচারের জন্য।তাই তিনি সমকালীন প্রক্ষাপটের উপর বয়ান করতেন।কিন্তু বর্তমানে আমাদের সমাজে জুমার দিন খুতবার সময়টাকে গুরুত্ব দেয়া হয়না।তাছাড়া সমাজের অধিকাংশ মসজিদ অবহেলিত।যোগ্য ও উচ্চ শিক্ষিত ইমামের চেয়ে সস্তা ও অনুগত ইমাম খোঁজা হয়।আর কম শিক্ষিত ইমাম হওয়ার কারণে খুতবার বিষয় বস্তুগুলোকে সংগ্রহ,সজ্জিত ও উপস্থাপন করতে পারে না বলে যথাযুক্ত খুতবা পেশ করা হয় না।এই কথা মাথায় রেখে সম্মানিত খতিবগণের হাতে সসজ্জিত একটি খুতবার বই রচনা করার মতো মহৎ উদ্যোগ নেন সুপরিচিত ব্যাক্তি ড.খোন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর। তিনি কুরআন ও সুন্নাহের আলোকে জীবন ও সমাজমুখী খুতবা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি তাদের সামনে উপস্থাপন করার লক্ষ্যে এবং সমকালীন প্রেক্ষাপটের উপর নজর রেখে “খুতবাতুল ইসলাম” বইটি রচনা করেছেন।বইটির অন্তর্গঠন কতটা চমকপ্রদ হতে পারে সেটি সূচিপত্রে চোখ বুলালেই বুঝা যাবে।আরবী ১২ মাসের জন্য প্রত্যক মাসেই ৪টি করে বয়ান রয়েছে।যা ওই মাসের সাথে সম্পৃক্ত।দু ঈদের খুতবা এবং বিবাহের খুতবাও লিপিত। তবে এ বইটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে, যা অন্য সকল বই থেকে আলাদা করে তুলেছে। সেটি হলো এখানে ইংরেজি ১২ মাসের যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসগুলো রয়েছে সেগুলোর উপরেও আলোকপাত দিয়েছেন।বাংলা ভাষী মানুষ যেহেতু আরবী বুঝে না,তাই আরবি খুতবাগুলো সংক্ষেপে রাখা হয়েছে এবং বড় অক্ষরে ছাপা হয়েছে।খুতবায় কুরআনের আয়াত ও হাদিস আরবি-বাংলাসহ যথেষ্ট পরিমানে উল্লেখ করা হয়েছে।
এককথায় বলতে গেলে “খুতবাতুল ইসলাম” বইটি অন্যসব খুতবার বইগুলো থেকে সব দিক দিয়েই মানসম্মত।