কে উনি?
লেখক : মোহাম্মদ তোয়াহা আকবর
প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন
বিষয় : সীরাতে রাসূল (সা.), দাওয়াহ, দ্বীনের পথে আহ্বান, ধর্মতত্ত্ব, সংশয়বাদ, নবীজির সীরাহ বিষয়ক সেরা বইগুলো
পৃষ্ঠা : 128, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 1st Edition
এই বইতে সুদৃঢ়, সুপ্রতিষ্ঠিত ইতিহাস থেকেই একের পর এক প্রমাণ করা হবে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন নবি ছিলেন। সত্য নবি। সত্যের দিকে আহ্বানকারী আল্লাহর সত্যিকারের একজন বার্তাবাহক, মেসেঞ্জার। একজন ট্রু প্রফেট।
এই বইটি পড়ে পাঠক-পাঠিকা গালে হাত দিয়ে ভাবনার অতলে তলিয়ে যাবে, ঘুমাতে পারবে না আর চিন্তায় চিন্তায়। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনীর পাতায় পাতায়, কুরআনের পরতে পরতে তার নবুওয়াতের সত্যতা দেখে নিতে, ভেবে বের করে শেখার চেষ্টা করবে নিজে নিজে। উনাকে অস্বীকার করার আর কোনো ভিত্তিই খুঁজে পাবে না নিজের ভেতরে। মুখে অস্বীকার করলেও, ভেতর থেকে ঠিকই জেনে যাবে, উনি নবি, সত্য নবি। আর উনাকে নবি হিসেবে সত্য জানলেই ইসলামের সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায় অন্তরের ভেতর।
এই বইতে সুদৃঢ়, সুপ্রতিষ্ঠিত ইতিহাস থেকেই একের পর এক প্রমাণ করা হবে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন নবি ছিলেন। সত্য নবি। সত্যের দিকে আহ্বানকারী আল্লাহর সত্যিকারের একজন বার্তাবাহক, মেসেঞ্জার।... আরো পড়ুন
-
-
hotবেলা ফুরাবার আগে
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন335 ৳234 ৳বেলা ফুরাবার আগে... নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। ...
-
hotআর রাহীকুল মাখতূম
প্রকাশনী : তাওহীদ পাবলিকেশন্স750 ৳525 ৳আর রাহীকুল মাখতূম: একটি অনবদ্য সীরাত-গ্রন্থ। ...
-
hotনবি জীবনের গল্প
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন245 ৳171 ৳আরিফ আজাদের নতুন বই 'নবি জীবনের ...
-
hotএপিটাফ
লেখক : সাজিদ ইসলামপ্রকাশনী : বুকমার্ক পাবলিকেশন228 ৳171 ৳ধরণ: লেকচার সংকলণ পৃষ্ঠা: ১৪৪ কভার: পেপার ব্যাক উস্তাদ ...
-
save offফেরা ২
লেখক : বিনতু আদিলপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন190 ৳139 ৳জাগতিক নিয়মে, সব পাখি নীড়ে ফেরে। ...
-
save offহে আমার মেয়ে (হুদহুদ প্রকাশন)
লেখক : শাইখ আলী তানতাভীপ্রকাশনী : হুদহুদ প্রকাশন80 ৳40 ৳লেখক আলী আল তানতাবী মিশরের একজন ...
-
hotতুমি ফিরবে বলে (ফিমেল ভার্সন)
লেখক : জাকারিয়া মাসুদপ্রকাশনী : সাবিল পাবলিকেশন300 ৳219 ৳শারঈ সম্পাদক: হাফিজ আল মুনাদী তারুণ্যের জোয়ার ...
-
সিরাজাম – :
_____________
“কে উনি?”- বইয়ের প্রচ্ছদে “?” এর আদলে আরবি হরফ মীম দেওয়া হয়েছে। আর মীম মানে মুহাম্মদ। অর্থাৎ বইয়ের নাম কে উনি মুহাম্মদ?
▪️বইয়ের ধরণ: সিরাহ
▪️বই কথন:
_____________
হৃদয় কুমার নামের সত্যানুরাগী, পড়ুয়া ছেলে বিভিন্ন বই ঘেঁটে, মুসলিম ইতিহাসবিদ ও স্কলারদের লেকচার, তাদের লেখা বায়োগ্রাফিগুলো, বিভিন্ন রিসার্চ আর্টিকেল খুঁটিয়ে দেখে বুঝতে পারে মুহাম্মদ নামের কেউ একজন ছিলেন যিনি অসাধারণ ব্যক্তি ছিলেন। ওরেয়ন্টালিস্ট গবেষকরা শত্রুপক্ষ হয়েও যেখানে তাঁর এই বায়োগ্রাফিগুলো দেখে অবাক বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সেখানে হৃদয়ের না মানার প্রশ্ন আসে না। তবুও তার মনে প্রশ্ন রয়ে যায়।
সে বুঝতে পারে, দেড় হাজার বছর পরেও সেই মুহাম্মদের কথা মানুষ অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করে, তাঁকে আদর্শ হিসেবে মেনে নেয়, তাঁর কথা আজ অবধি সত্য হয়। তিনি নাকি ছিলেন সত্য নবী, একমাত্র সত্তার নির্বাচিত বার্তাবাহক। কিন্তু হৃদয় ভাবতে থাকে কীভাবে দেড় হাজার বছর পরেও সে নির্দ্বিধায় বুঝে নিতে পারবে তিনি কিছুই মিথ্যা বলে যাননি এবং তিনি মস্তিষ্কের কোন সমস্যার কারণে বিভ্রান্ত ছিলেন না।
হৃদয়ের সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য আমরা দেখি বইয়ের দৃশ্যপটে হৃদয়ের একজন ভাইয়া থাকে। আর সেই ভাইয়া তাকে হৃদয়ের গহীন থেকে মোহাব্বতের সাথে সবকিছু বুঝিয়ে দেয়। সত্য চিনিয়ে দেয়৷ যার দরুণ, বইয়ের শেষে আমরা হৃদয় কুমারকে ‘আব্দুল্লাহ’ রূপে দেখতে পাই।
.
হৃদয়ের প্রশ্ন ছিলো চারটি।
১/ মুহাম্মদ মিথ্যাবাদী ছিলেন
২/ অথবা মানিসকভাবে বিভ্রান্ত ছিলেন
৩/ তিনি মিথ্যাবাদী ছিলেন এবং একইসাথে মানসিকভাবে সমস্যাগ্রস্ত ছিলেন
৪/ অন্যথায় তিনি সঠিক ছিলেন।
চারটি প্রশ্নের প্রথম দুটি মিথ্যা প্রমাণিত হলেই অনায়াসে তৃতীয়টিও মিথ্যা প্রমাণিত হয়। আর তার মানে চতুর্থটি সত্য। অর্থাৎ মুহাম্মদ সঠিক ছিলেন। তিনি সত্য নবী ছিলেন।
হৃদয়ের এই চারটি প্রশ্নের উত্তর দিতে ভাইয়া প্রথমেই মুহাম্মদের ‘আল-আমীন’ নাম, আরবী ভাষার গভীরতা, মুহাম্মদের নবুয়ত প্রাপ্তিসহ, প্রিয় নবী (সা:) এর ক্ষমার দৃষ্টান্ত, রাজনীতি, সমরনীতি, আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল, তাঁর হিজরত সবকিছুই উল্লেখ করেছেন দরদী কন্ঠে। তিনি দেখিয়েছেন মুহাম্মদ (সা:) কিভাবে পারিবারিক জীবন থেকে রাষ্ট্র পরিচালনা, যুদ্ধের ময়দান থেকে শুরু করে অর্থনীতি, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে পররাষ্ট্রনীতি- সবকিছুতেই সমানতালে তাঁর এক্সিলেন্স দেখিয়েছেন।
এছাড়াও বইটিতে নবীজীর (সা:) করা ১৯টি ভবিষ্যদ্বাণী উল্লেখ করেছেন। শিরোনাম দেওয়া হয়েছে, “Some Fullfilled Prophecies Of The Last True Prophet”। যেগুলো তাঁর জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পরে, আজ অবধি সত্য হয়ে চলছে।
.
বইয়ের প্রথম অংশে আমরা দেখবো, কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার এত বছরের চাকরির অভিজ্ঞতায় এই প্রথম একটা অদ্ভুত লাশ দেখেন। লাশের মুখে হাসি ফুটে রয়েছে৷ একটা কল এসেছে লাশের পকেটে থাকা মোবাইলে। তিনি চিন্তা করেন কলটা রিসিভ করবেন।
বইয়ের শেষ অংশে আমরা দেখি পুলিশ কলটা রিসিভ করার আগেই স্ক্রিনের দিকে তাকান। সেখানে সেভ করা নামটা ছিলো “হৃদয়ে আব্দুল্লাহ”।
golammoulajamil – :
Sayed Ahmed Faysal – :
আমি আমার প্রতিটা মুসলিম, অমুসলিম ভাই-বোনদের প্রতি অনুরোধ করবো, এই বইটি অন্তত একবার হলেও পড়বেন। সত্য তালাশ করার মতো একটা মন নিয়ে পড়বেন।
➤ বইটির নাম “কে উনি?” অবশ্য ওখানে প্রশ্নবোধক চিহ্নের মাঝে আরবি “م(মীম)” অক্ষর টি ব্যবহার করা হয়েছে। আর “মীম” দিয়ে সায়্যিদিনা মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। মানে পুরো বইটি ওনার পরিচয়, কে উনি সেই সম্পর্কেই লেখা।
লেখক Mohammed Touaha Akbar ভাইয়ের দ্বিতীয় মৌলিক বই এটি। প্রথম বই “উল্টো নির্ণয়”, নিজের স্রষ্টাকে চেনার, স্রষ্টার বিষয়ে সংশয় দূর করার মতো চমৎকার একটি গ্রন্থ লেখার পর স্রষ্টার সর্বশেষ সত্য বার্তাবাহক-কে চেনার কথা এবং তিনি নবী হওয়ার সত্যতা প্রমাণের বিষয় নিয়ে লিখেছেন দ্বিতীয় বই “কে উনি?”
স্রষ্টার অস্তিত্বের সত্যতা আর একত্বের অকাট্যতা বুঝে ফেলার পর তাঁর পথকে সঠিক পদ্ধতিতে গ্রহণ করার ভাবনায় সবার আগে প্রশ্ন আসে মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নিয়ে। ওনি স্রষ্টাকে পাওয়ার যেই পথ দেখিয়েছেন, সেটা আসলেই সঠিক পথ কিনা, উনি আসলে সত্য নবী ছিলেন কিনা, নাকি উনি মিথ্যা নবী ছিলেন!
বইটি গল্পের মতো করে লেখা হয়েছে। তবে, বইটিতে ইতিহাস থেকে উল্লেখিত প্রতিটি ঘটনাই সম্পূর্ণ বাস্তব ও সত্য। তবে মূল গল্পে বর্ণিত নাম এবং চরিত্রগুলো পুরোপুরি বাস্তব নয়, আবার সম্পূর্ণ অবাস্তবও নয়।
হৃদয় কুমার নামের এক অনুসন্ধিৎসু অমুসলিম ছেলে সত্যকে খুঁজে বেড়াচ্ছে, সত্যকে জানার চেষ্টা করছে। আর নিজের মধ্যেই নিজের মনের দুই প্রান্তকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে যুক্তি পাল্টা যুক্তি দিয়ে নিজের সাথে এক তর্কযুদ্ধে লড়াই করছে। নিজের সাথে নিজের সেই যুদ্ধের বিষয়গুলো আবার বিস্তারিত নোট করে রাখছে৷ আর তাকে সাহায্য করছে একজন ভাই। হৃদয় কুমার ইতোমধ্যে স্রষ্টার অস্তিত্বের এবং একত্বের বিষয়ে পড়াশোনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছে। এখন তার মাথায় স্রষ্টার দেখানো পথ কোনটা, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত। এবং এই উত্তর খুঁজতে গিয়ে মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পথ সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করছে। তার আগে মুহাম্মদ লোকটিকে নিয়ে পড়াশোনা করছে, এবং ওনার পরিচয়, ওনি আসলেই সত্য নবী ছিলেন কিনা, সেটার উত্তর খুজতেছে। এবং শেষ পর্যন্ত উত্তর পেয়েও যায়, খুব ভালো করেই শক্ত প্রমাণাদি সহ উত্তর পেয়ে সত্যের সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।
বইটিতে আমরা হৃদয় কুমারের সেই উত্তর খোঁজার বিষয়গুলো নিজেদের জীবনঘনিষ্ঠ ভাবে দেখতে পাবো।
প্রাচ্যের-পশ্চিমের ইতিহাসবিদরা যেহেতু সাক্ষী দিচ্ছেন আর মুসলিম স্কলারদের রেকর্ড করে রাখা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে লেখা বায়োগ্রাফিগুলো সেই ইতিহাসকে আরও মজবুত ভিত্তি দিচ্ছে, সেহেতু পরিষ্কারভাবেই বুঝতে এবং মানতে বাধ্য হতে হয় যে, মুহাম্মদ নামে একজন এসেছিলেন, যার জীবনের কাজ, ঘটনা আর কথামালাকে অদ্ভুত কিন্তু কার্যকরী উপায়ে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে।
এর পর মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্পর্কে যত প্রশ্ন জাগে, ওনার সত্যতা নিয়ে যত রকম প্রশ্ন হতে পারে, সবগুলো প্রশ্নের সারাংশ হিসেবে লেখক হৃদয় কুমারের মাধ্যমে ৪টি স্টেটমেন্ট দাঁড় করিয়েছেন।
১. হয়তো তিনি মিথ্যাবাদী ছিলেন।
২. নতুবা তিনি মানসিকভাবে বিভ্রান্ত ছিলেন।
৩. অথবা তিনি একইসাথে মিথ্যাবাদী এবং মানসিকভাবে সমস্যাগ্রস্ত ছিলেন।
৪. অন্যথায় তিনি সঠিক ছিলেন।
অর্থাৎ, যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তিনি মিথ্যাবাদী ছিলেন না, মানসিকভাবে বিভ্রান্তও ছিলেন না, তবে ৩নং পয়েন্টের বিষয়টিও ক্লিয়ার হয়ে যায়, মানে একই সাথে মিথ্যাবাদী এবং মানসিকভাবে সমস্যাগ্রস্তও ছিলেন না।
তাহলেই কিন্তু প্রমাণিত হয়ে যায় যে, তিনি যা বলেছেন বুঝেশুনে নিষ্ঠার সাথে সত্য বলেছেন।
আর লেখক বইটিতে ক্রমান্বয়ে এই বিষয়গুলোই শক্তভাবে প্রমাণ করেছেন যে, তিনি মিথ্যাবাদী ছিলেন না, মানসিকভাবে বিভ্রান্ত ছিলেন না, বরং তিনি সত্য নবী ছিলেন। এই ৩ টি বিষয়েই পয়েন্ট ধরে ধরে অনেকগুলো করে প্রমাণ তুলে ধরেছেন।
ওনি যে মিথ্যাবাদী ছিলেন না, সেটা অনেকগুলো পয়েন্টে অনেকগুলো প্রমাণ তুলে ধরেছেন।
তারপর ওনার মানসিক কোনো সমস্যা ছিলো না, সেটারও অনেকগুলো প্রমাণ তুলে ধরেছেন। এবং কেউ নিরপেক্ষ মন নিয়ে পড়লে শুধু একটি পয়েন্ট ই তাদের মস্তিষ্ককে বুঝিয়ে দিবে, যে আসলেই তিনি মিথ্যাবাদীও ছিলেন না, মানসিকভাবে বিভ্রান্তও ছিলেন না।
আর তাহলে…
তাহলে নিরপেক্ষ নিউরন অবশ্যই মানতে বাধ্য যে উনি যা বলেছেন, সঠিক বলেছেন। কিন্তু মস্তিষ্ক মানতে চাইলেও তখনও যাদের মন মানতে চায় না, অন্তর দিয়ে অনুভব করতে পারেনা ওনার সত্যতা, তাদের জন্য বইয়ে পরবর্তী ধাপ হচ্ছে ওনি যে সত্য নবী ছিলেন, সেই বিষয়ের প্রমাণ উপস্থাপন।
লেখক ২০ টিরও বেশী প্রমাণ তুলে ধরেছেন পয়েন্ট আকারে, ওনার নবুওয়াতের সত্যতার বিষয়ে। চিন্তার ক্ষুধা তৈরি করতে ওনার করা হাজারো ভবিষ্যতবাণীর মধ্য থেকে ২০ টিরও বেশী বাছাইকরা ভবিষ্যতবাণী, যা ইতোমধ্যে হুবহু সত্য পরিণত হয়েছে, একে একে তুলে ধরা হয়েছে ওনার সত্যতা প্রমাণের জন্য। সুদৃঢ়, সুপ্রতিষ্ঠিত ইতিহাস থেকেই একের পর এক প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন নবী ছিলেন। সত্য নবী। সত্যের দিকে আহ্বানকারী আল্লাহর সত্যিকারের একজন বার্তাবাহক, মেসেঞ্জার। একজন ট্রু প্রফেট।
বইটি পড়ে পড়ে পাঠক-পাঠিকা গালে হাত দিয়ে ভাবনার অতলে তলিয়ে যাবে। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনির পাতায় পাতায়, কুরআনের পরতে পরতে তাঁর নবুওয়াতের সত্যতা দেখে নিতে, ভেবে বের করে শেখার চেষ্টা করবে নিজে নিজে। উনাকে অস্বীকার করার আর কোনো ভিত্তিই খুঁজে পাবে না নিজের ভিতরে। মুখে অস্বীকার করলেও, ভেতর থেকে ঠিকই জেনে যাবে, উনি নবী, সত্য নবী৷
➤ বইটি সহজ ভঙ্গিমায়, সহজ আবেদন এর মাধ্যমে লেখা হয়েছে। বইটি পড়ার সময় মনে হবে নিজের খুব আপন কেউ, বিশাল এক আগুনের কুন্ডলী থেকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ আবেদন জানাচ্ছে, হৃদয়কে নিংড়ে আমাকে বাঁচানোর জন্য আকুতি মিনতি করছে। দাওয়াহ এর উদ্দেশ্যে লেখা বইয়ে এমন আবেদন খুব প্রয়োজন, যেহেতু অমুসলিম ভাইদেরও জন্যও বইটি।
বইটির আরেকটি চমৎকার দিক হলো এর লেখার ধরণ। বাংলা রচনার মতো নিরস শব্দেও লেখা নয়, আবার গম্ভীর, কঠিন শব্দেও লেখা নয়। চমৎকার হৃদয়গ্রাহী শব্দ চয়ন করে সাঁজানো পুরো বইটি। যেকোনো পর্যায়ের পাঠক সহজেই বইটি পড়তে পারবে এবং যেকোনো স্তরের পাঠকের হৃদয়কে স্পর্শ করে যাবে। এবং বইটিতে সামান্য রহস্যের স্বাদও পাবেন। বইটির শুরু হয়েছে একটি খুন হওয়া ব্যক্তির ঘটনার মাধ্যমে, যার রহস্য রয়ে গেছে শেষ অবধি। এবং বইটির একদম শেষ দিকে, মাত্র আড়াই লাইনে সেই রহস্যের সামান্য খোলাসা করে বাকীটুকু রহস্য ই রেখে দিয়েছেন বইটির লেখক।
তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমি রিকমেন্ড করবো মুসলিম অমুসলিম যেকেউ নিরপেক্ষ হৃদয় নিয়ে বইটি পড়ার আগে রাসূলে আরাবি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনী সম্পর্কে একটু পড়াশোনা করে নিবেন। তাহলে এই বইটি আপনার জন্য হবে “নুরুন আলা নূর”। অর্থাৎ আপনার জন্য একদম বেস্ট হবে তাহলে। যেহেতু বইটিতে নবীজির জীবনী থেকে বহু ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে, তাই সীরাহ (রাসূলের জীবনী) পড়ে নিলে আপনার ইতোমধ্যে পড়া প্রতিট ঘটনাতেই যে ওনার নবুওয়াতের সত্যতা ছিলো, সেটা ভাবতে শেখাবে আপনাকে।
তাই হাজার পৃষ্ঠার সীরাতকোষ না হোক, অন্তত সীরাতের ছোট্ট কোনো গ্রন্থ পড়ে নেয়ার অনুরোধ জানাই। একজন অমুসলিম, শিখ ধর্মের অনুসারী গুরুদত্ত সিং এর লেখা মাত্র প্রায় ১০০ পৃষ্ঠার “তোমাকে ভালোবাসি হে নবী” বইটি অন্তত পড়ে নিতে পারেন। তাহলে এক ঢিলে দুই পাখি। “কে উনি” বইটির প্রকৃত স্বাদ যেমন আস্বাদন করতে পারবেন, আবার একজন অমুসলিম মানুষের রাসূলে আরাবির প্রতি এতোটা ভালোবাসা, মুগ্ধতা সম্পর্কে জানতে পেরেও বিস্মিত হবেন। কতোটা হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা নিয়ে লিখেছেন, তাও একজন অমুসলিম লেখক! আর সেই বইটি পড়ার পরে “কে উনি” বইয়ের হৃদয় কুমারের সত্য খোঁজার যুদ্ধ সম্পর্কে পড়ুন। জানুন।
আমি আমার সকল মুসলিম, অমুসলিম ভাই-বোনদের অনুরোধ করবো, বইটি অন্তত একবার হলেও পড়ুন।
আমার সামর্থ্য থাকলে বইটি আমার পরিচিত সকল মুসলিম, অমুসলিম ভাইদের হাদিয়া দিতাম। হাতে ধরিয়ে দিয়ে অন্তত একবার হলেও পড়ার জন্য অনুরোধ করতাম।
আপনারাও নিজেরা পড়ুন, আর ঐসব লোকদের পড়তে দিন, যাদেরকে আপনি আগুনের কুন্ডলি থেকে বাঁচাতে চান। যারা মিথ্যার সাগরে ডুবে আছে, শিরকের মধ্যে নিমজ্জিত! যদি এই অবস্থাতেই তারা মৃত্যুবরণ করে, তাহলে তো….
তাই তাদেরকে নিয়ে একটু ভাবুন, নিজেও বাঁচুন তাদেরকেও বাঁচানোর চেষ্টা করুন।
বইটির আন্তরিকতা নিয়ে লেখা, আবেদন কাউকে প্রত্যাবর্তন না করাতে পারলেও, অন্তত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সম্পর্কে জানার আগ্রহের বীজ বপন করে দিবে, ইন-শা-আল্লাহ।
বইটির লেখক, সম্পাদক, প্রকাশক সহ সংশ্লিষ্ট সকলের খিদমত আল্লাহ তা’আলা কবুল করুক এবং দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দান করুক, ইলম এর মধ্যে বারাকাহ দান করুক, সেই কামনা করি।
sakibrishfat – :