যেসব হারামকে অনেকেই তুচ্ছ মনে করে
লেখক : মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
প্রকাশনী : রুহামা পাবলিকেশন
বিষয় : হালাল হারাম
পাপ যখন ব্যক্তিগত পর্যায়ে থাকে তখন এর ক্ষতি কেবল ব্যক্তি নিজেই ভুগে। তার মনে হয়ত এর জন্য অনুশোচনা বোধ থাকে। ফলে তাওবার সুযোগ থাকে। কিন্তু যখন সেই পাপ সামাজিকভাবে প্রচলিত হতে শুরু করে, তখন মানুষ ভুলতে থাকে ‘এটা মূলত পাপ’। আমাদের সমাজে এমন অনেক বিষয় আছে, যা মানুষ স্বাভাবিকভাবেই করে যাচ্ছে, অথচ সেগুলো স্পষ্টত হারাম। মনে নেই কোনো আফসোস, নেই কোনো তাওবার অনুশোচনা। ফলে আমৃত্যু মানুষ সেগুলো হালাল ভেবে করতে থাকে।
শায়েখ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ (হাফি.) সৌদির বিখ্যাত একজন আলেমে-দ্বীন। তিনি বইটিতে সেই বিষয়গুলো কুরআন সুন্নাহের দলিলের আলোকে তুলে ধরেছেন, যেসব হারামকে অনেকেই তুচ্ছ মনে করে।
.
সফট কভার
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১২০
পাপ যখন ব্যক্তিগত পর্যায়ে থাকে তখন এর ক্ষতি কেবল ব্যক্তি নিজেই ভুগে। তার মনে হয়ত এর জন্য অনুশোচনা বোধ থাকে। ফলে তাওবার সুযোগ থাকে। কিন্তু যখন সেই পাপ সামাজিকভাবে প্রচলিত... আরো পড়ুন
-
-
save offমিউজিক শয়তানের সুর
লেখক : শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিলপ্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন47 ৳35 ৳অনুবাদ- মুহাম্মাদ ইউসুফ শাহ চারপাশে চোখ ...
-
hotমুমিনের বিনোদন
লেখক : মুহাম্মাদ সালেহ আল মুনাজ্জিদপ্রকাশনী : মুহাম্মদ পাবলিকেশন230 ৳168 ৳অনুবাদক : আবদুন নুর সিরাজি সম্পাদনা : ...
-
hotহালাল হারামের বিধান
লেখক : ড. ইউসুফ আল কারযাভীপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন890 ৳605 ৳মুসলিম হিসেবে হালাল-হারামের ব্যাপারে আমাদের সর্বোচ্চ ...
-
hotইজ মিউজিক হালাল?
লেখক : ড. গওহর মুশতাকপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন350 ৳245 ৳এ বইটি মুসলিম-অমুসলিম, যুবক-বৃদ্ধ, ছাত্র-শিক্ষক নির্বিশেষে ...
-
hotআধুনিক কালের খেলাধুলা ও বিনোদন : ঈমান ধ্বংসের প্রাচীন ফাঁদ
লেখক : মাওলানা মামুনুর রশীদপ্রকাশনী : সত্যায়ন প্রকাশন140 ৳98 ৳বর্তমান সময়টা ফিতনার। এ সময়ে আমাদের ...
-
Sheikh Israt – :
আর তুমি তাদের মধ্য থেকে অনেককে দেখতে পাবে যে, তারা পাপে, সীমালঙ্ঘনে এবং হারাম ভক্ষণে ছুটোছুটি করছে। তারা যা করছে, নিশ্চয় তা কতইনা মন্দ!
( সূরা মাইদাহ:৬২)
বর্তমানে মুসলিমদের মাঝে এমন বহু লোক আছে,যারা বিভিন্নভাবে হারামে লিপ্ত হচ্ছে।
অথচ তারা হারাম কে হারাম মানতে চাইনা, তারা হারাম কে তাদের জন্য হালাল করে নিয়েছেন।
আর হালাল কে পরিণত করেছে হারামে।
এই ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন ‘
হে মুমিনগণ, আল্লাহ যে সব পবিত্র বস্তু তোমাদের জন্য হালাল করেছেন, তোমরা তা হারাম করো না এবং তোমরা সীমালঙ্ঘন করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।
( সূরা আনআম:৮৭)
বর্তমানে হারাম কাজগুলোকে তারা ভিন্ন নামে ব্যবহার করে। যেমন: সুদকে মুনাফা,ঘুষকে হাদিয়া- উপঢৌকন বলে চালিয়ে দিচ্ছে। মদ বেচাকেনা চলছে কোমল পানীয়র নামে। ফ্রেন্ডশিপ এর মধ্যে প্রশান্তি খুঁজতে গিয়ে জড়িয়ে পরছে জিনা ব্যভিচারে..! এইভাবেই ইসলামবিরোধীরা হারাম কে হালাল করে নিয়েছেন।
তারা হারামগুলো কে হালাল করে মুসলিমের মাঝে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপক প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। আর মুসলিম ছেলেমেয়েরা ধোঁকায় পড়ে তাতে অংশগ্রহণ করছে উল্লাসের সাথে। এইভাবেই মুসলিমরা দ্বীনহীন হয়ে পড়ছে।
তারা হারামে জড়িয়ে পড়ায় হারাম কেমন, হারাম কি সেইটা জানার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।
ফলে মুসলিম সন্তানরা দ্বীন ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে যাচ্ছে। তারা হারাম হালালের ব্যবধান করতে পাড়ছে না। এতে তারা অধিকাংশ্য হারাম কে তুচ্ছ মনে করছে।
এই পরিস্থিতি সামলাতে শাইখ সালেহ আল- মুনাজ্জিদের লেখা ‘ যেসব হারামকে অনেকেই তুচ্ছ মনে করে ‘ বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বই থেকে:
শিরক,জিনা,জাদু-ম্যাজিক,করবপূজা,রাশিফল বিশ্বাসকরা, সমকামিতা,দাইয়ুছী, সুদ খাওয়া, চুরি করা,জুয়াখেলা,অন্যর জমি দখল করা,গান-বাজনায় অধিক মেতে ওঠা,গীবত,মদপান করা,চোখলখুরি করা,মিথ্যা বলা/ সাক্ষ্যদান,পরচুলা,দাবা খেলা, নারী-পুরুষের বেশ ধরা, মেয়েদের ছোটখাটো-পাতলা ও টাইট পোশাক পরিধান,টাকনুর ব্যাপারে উদাসীন,মৃত ব্যাক্তির মাতম করা, প্রতিবেশির সাথে মন্দ আচারণসহ অনেক হারাম বিষয় তিনি উল্লেখ করেছেন।
বইটি যেকারণে পড়া উচিত: স্বভাবগত একজন মুসলিম যখন হারাম পথে চলে তখন তার কাছে দুনিয়ার সব হারামই হালাল মনে হয়।
যখন সে অধিকাংশ মানুষকে তার মতো পথ অবলম্বন করতে দেখে তখন সে বুঝতে পারে না সমাজটা ফিতনায় পরিপূর্ন। যখন তাদের কাছে উপরোক্ত হারাম গুলো তুলে ধরা হয় তারা সেই ব্যাপারে উদাসিনাতায় ডুবে থাকে। তারা বিভিন্ন অযৌতিক মত দেয়।
এছাড়াও বাকি হারামের কথা বইয়ে লেখক সুন্দর ভাবে উল্লেখ করেছেন।
একজন মুসলিম যদি বইটি পড়ে সে অনুধাবন করবে। হারাম থেকে ফিরে আসতে পারবে।
দ্বীনের পথ ধরে সামনে অগ্রসর হতে পারবে।
বিশ্বাসীদের কাতারে অটল-অবিচল থাকতে বইটি এক অপরিসীম ভূমিকা রাখবে। ইনশাল্লাহ..!