মেন্যু
je jibon morichikar

যে জীবন মরীচিকা

অনুবাদ : আরিফ আবদাল চৌধুরি। সম্পাদনা : শাহাদাত হুসাইন খান ফয়সাল পৃষ্ঠা সংখ্যা ১২৮ একদল মানুষ আছে যারা এই দুনিয়াটাকে একটা বোঝা হিসেবে দেখে। আরেকদলের কাছে আখিরাতটাই গৌণ। এই দুই দলের মাঝেও একটি... আরো পড়ুন
পরিমাণ

122  175 (30% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

9 রিভিউ এবং রেটিং - যে জীবন মরীচিকা

4.2
Based on 9 reviews
Showing 1 of 9 reviews (4 star). See all 9 reviews
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 4 out of 5

    Marium Rakib:

    “যে জীবন মরীচিকা” বইটি শাইখ আব্দুল মালিক আল কাসিম এর লেখা “আদ দুনইয়া যিল্লুন যায়িল” বইটির বাংলা অনুবাদ। বইটির মূল বিষয় হল যুহদ। যুহদ মানে পুরোপুরি দুনিয়াবিমুখতা না, যুহদ মানে হল আখিরাতের চিরস্থায়ী সুখ নিশ্চিত করার জন্য দুনিয়ার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিনোদনগুলোকে বিদায় করে দেয়া। এই বইয়ে দুনিয়া ভুলে কেবল আখিরাতকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়নি। আবার, আখিরাত ভুলে তুলে আনা হয়নি ক্ষয়ে যাওয়া দুনিয়াকে। উভয়ের মধ্যে সমন্বয় করে একজন মুমিনের জীবন কিভাবে চলতে পারে, সেই কথাগুলোই খুব যত্ন আর ভালবাসার সুরে বলে গেছেন আরবের প্রখ্যাত দাঈ শাইখ আব্দুল মালিক আল কাসিম হাফিযাহুল্লাহ। আরবের সোনালী যুগের মানুষগুলোর জীবন থেকে টুকরো টুকরো ঘটনা, তাদের মুখনিসৃত বাণী, তাদের জীবনপদ্ধতিকে মানদন্ড ধরে লেখক এমনভাবে বইটিকে সাজিয়েছেন- যা যেকোন পাঠককে খুব সহজভাবে বুঝিয়ে দিতে পারবে যে, তার চলার পথ কেমন হওয়া উচিত।

    বইটির শুরুতে ‘সম্পাদকের কথা’ শিরোনামে খুবই উপকারী কতগুলো কথা লিখেছেন। এত সুন্দর কথা যা পড়ে যেকোন মানুষ বুঝতে পারবে যে, দুনিয়া কত তুচ্ছ, আখিরাত কত ব্যাপক। কথাগুলো লিখেছেন উস্তায শাহাদাত হুসাইন খান ফয়সাল রাহিমাহুল্লাহ। বইটি প্রকাশিত হওয়ার আগেই তিনি পাড়ি জমালেন আখিরাতের পথে। আসলেই, যে জীবন মরীচিকা……

    যুহদ আসলে কি?
    যুহদ হল – জীবনধারনের জন্য যা কিছু নিতান্ত প্রয়োজন, তা বাদে অন্য সমস্ত কিছুকে ত্যাগ করা, যদিওবা তা হালাল হয়। যুহদ হচ্ছে উচ্চতা হারাতে থাকা ‘হট এয়ার বেলুন’ থেকে ভারী জিনিসপত্র নিচে ফেলে দেয়া, এমন সব জিনিস, যেগুলো না হলেও যাত্রীদের চলবে। যুহদ হচ্ছে জান্নাতে অনন্তকাল অবসর যাপনের কথা স্মরণ করতে করতে দুনিয়াতে আমরন পরিশ্রম করে যাওয়া। হারাম তো বটেই,যা কিছু আল্লাহ হালাল করেছেন, তার মধ্য থেকেও যে জিনিসগুলো না হলেও আমি চলতে পারবো, সেগুলোকে পর্যন্ত পিছনে ফেলে আসার নাম যুহদ।

    জীবনে যুহদের চর্চা করতে পারলে আপনার কি লাভ?
    আপনি যদি আপনার জীবনে যুহদের চর্চা করতে পারেন, তাহলে আপনার ছেড়েদেয়া দুনিয়াবি সামগ্রী আপনার এবং গুনাহর কাজগুলোর মাঝখানে এক ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ তৈরী করে দেবে, যা অতিক্রম করে শয়তান আর আগের মত সহজে আপনাকে আক্রমণ করতে পারবে না। আগে যেই কামনগুলো নিয়ন্ত্রন করতে আপনি বার বার ব্যর্থ হতেন, যুহদ রপ্ত করার পর সেগুলো থেকে আপনি অবলীলায় মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারবেন।

    দুনিয়ার জীবন তো একটা অস্থায়ী বাসস্থান, চলার পথের স্টেশনের মত। যার পরেই রয়েছে চূড়ান্ত গন্তব্যের পথে মূল যাত্রা, যেখানে আছে দুনিয়ার জীবনের হিসাব দেয়া ও পুরষ্কারগ্রহণের পর্ব। দুনিয়ার চাকচিক্য মরীচিকার মত, যতই কাছে যাই, কেবলই মনে হয়, যার আশায় এগিয়েছি- তা মিথ্যা। দুনিয়ার লোভ কখনো শেষ হয়না।

    আমাদের সালাফদের মধ্যে যুহদ ছিলো একটা কমন বৈশিষ্ট্য। তারা নিজেদের জীবনে যুহদের চর্চা করতেন। দুনিয়াকে ততটুকুই গুরুত্ব দিতেন, যতটুকু গুরুত্ব এর পাওয়া উচিত।

    আলোচনার সুবিধার জন্য বইটিকে অনেকগুলো চ্যাপ্টারে বিভক্ত করা হয়েছে। বইটির শুরুতে আছে যুহদ সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর হাদিস। এরপর সালাফদের কথা, ঘটনাগুলো দিয়েই বইটি সাজানো হয়েছে।

    বইটি পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো যেন সালাফ আস সালেহিনের জামানায় প্রবেশ করেছি। বইয়ের লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক- সবাইকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন। এমন চমৎকার একটি বই প্রকাশ করার জন্য সমকালীন প্রকাশনকে ধন্যবাদ। বইটির প্রচ্ছদ, পৃষ্ঠাসজ্জা সুন্দর হয়েছে। ব্যক্তিগত রেটিং- ৪/৫

    10 out of 10 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
Top