যে জীবন মরীচিকা
লেখক : আব্দুল মালিক আল কাসিম
প্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন
অনুবাদ : আরিফ আবদাল চৌধুরি।
সম্পাদনা : শাহাদাত হুসাইন খান ফয়সাল
পৃষ্ঠা সংখ্যা ১২৮
একদল মানুষ আছে যারা এই দুনিয়াটাকে একটা বোঝা হিসেবে দেখে। আরেকদলের কাছে আখিরাতটাই গৌণ। এই দুই দলের মাঝেও একটি দল আছে যারা দুনিয়াকে ঠিক সেভাবে প্রাধান্য দেয় যেভাবে দুনিয়াকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। যতোটুকু প্রাধান্য দিয়েছিলেন রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যেভাবে প্রাধান্য দিয়েছিলেন আমাদের সালাফ-আস-সালেহীনগণ। প্রান্তিক দুই দলের বাইরে এসে এই দলটা দুনিয়া থেকে সংগ্রহ করে নেয় আখিরাতের রশদ। কুড়িয়ে নেয় পরকালের পাথেয়। সেই সৌভাগ্যবানদের জীবন থেকে টুকরো টুকরো ঘটনা, তাদের কথা, তাদের চলন, তাদের জীবন দিয়েই সাজানো ‘যে জীবন মরিচীকা’ বইটি।
অনুবাদ : আরিফ আবদাল চৌধুরি।
সম্পাদনা : শাহাদাত হুসাইন খান ফয়সাল
পৃষ্ঠা সংখ্যা ১২৮
একদল মানুষ আছে যারা এই দুনিয়াটাকে একটা বোঝা হিসেবে দেখে। আরেকদলের কাছে আখিরাতটাই গৌণ। এই দুই দলের মাঝেও একটি... আরো পড়ুন
-
-
hotবেলা ফুরাবার আগে
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন335 ৳245 ৳বেলা ফুরাবার আগে... নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। ...
-
hotমনের ওপর লাগাম
লেখক : আল্লামা ইবনুল জাওযী (রহঃ)প্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন173 ৳128 ৳বিবেক আছে বলেই মানুষ পশুপাখি থেকে ...
-
hotএবার ভিন্ন কিছু হোক
লেখক : আরিফ আজাদপ্রকাশনী : সমকালীন প্রকাশন340 ৳248 ৳প্রতিদিন একটা একঘেয়েমি চক্রে কেটে যাচ্ছে ...
-
hotটাইম ম্যানেজমেন্ট
লেখক : Ismail Kamdarপ্রকাশনী : সিয়ান পাবলিকেশন228 ৳160 ৳ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর রেশমি কাপড়ের ...
-
hotরাসূলের চোখে দুনিয়া (কিতাবুয যুহদ) (হার্ড কভার)
লেখক : ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ)প্রকাশনী : মাকতাবাতুল বায়ান275 ৳201 ৳দুনিয়া এক রহস্যঘেরা জায়গা। এখানে মানুষ ...
-
hotআল্লাহর প্রতি সুধারণা
লেখক : ইমাম ইবনু আবিদ দুনইয়াপ্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন175 ৳129 ৳জাবের রদ্বি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ...
-
hotম্যাসেজ
লেখক : মিজানুর রহমান আজহারিপ্রকাশনী : গার্ডিয়ান পাবলিকেশন্স300 ৳255 ৳ইসলাম এক নক্ষত্র, যার সংস্পর্শে সমস্ত ...
-
hotএপিটাফ
লেখক : সাজিদ ইসলামপ্রকাশনী : বুকমার্ক পাবলিকেশন228 ৳171 ৳ধরণ: লেকচার সংকলণ পৃষ্ঠা: ১৪৪ কভার: পেপার ব্যাক উস্তাদ ...
-
hotনফসের বিরুদ্ধে লড়াই
লেখক : মাহমুদ বিন নূরপ্রকাশনী : রাইয়ান প্রকাশন220 ৳154 ৳কতজন-ই তো বলে—আমি তাহাজ্জুদে উঠতে পারি ...
-
জান্নাতুল ফেরদৌস – :
sanjida9828 – :
#বুক_রিভিউ_৪
বইঃযে জীবন মরীচিকা
লেখকঃশাইখ আব্দুল মালিক আল-কাসিম
ভাষান্তরঃআরিফ আবদাল চৌধুরি
প্রকাশনীঃসমকালীন প্রকাশন
মূল্যঃ ১৭৫
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ১২৬
“এই পার্থিব জীবনতো ক্রীড়া-কৌতুক ব্যতীত কিছুই নয়।পারলৌকিক জীবনই তো প্রকৃত জীবন,যদি তারা জানতো!”(সূরা আল আনকাবূত,আয়াত ৬৪)
মৃত্যু জীবনের এক চিরন্তন সত্য।এ দুনিয়ায় ধন-সম্পদ,যশ-খ্যাতি সব কিছু ছেড়ে আমাদেরকে মহান আল্লাহর কাছেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে।তাই দুনিয়ার প্রতি ততটুকুই আশা রাখা উচিৎ যতটা কেবল বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট।ক্ষনিকের এই আবাসস্থল ভুলিয়ে দিয়েছে আমাদের পরকালের জীবনের কথা,সেই জীবনের জন্য কাজ করে পাথেয় সংগ্রহের কথা।
****বইটির বিষয়বস্তুঃ
____________________
দুনিয়াতে আমাদের প্রেরণ করার উদ্দেশ্য হলো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লার আনুগত্য ও দাসত্ব করা।কিন্তু আমরা কয়জন তা সঠিক ভাবে পালন করছি?দুনিয়াতে দুনিয়াদারি করে যেমন বেঁচে থাকতে হবে তেমনি আখিরাতের ও সম্বল যোগাড় করতে হবে।এই দুই জীবনেরই ভারসাম্য রক্ষা করে চলার জন্য বলা হয়েছে বইটিতে।দুনিয়া যেনো কোনভাবেই আখিরাতের উপরে প্রাধান্য না পায় তাই উল্লেখ্য বইয়ের মূল বিষয় ও শিক্ষা।
****বইটি কাদের জন্যঃ
_____________________
যারা আখিরাতকে ভুলে,শেষ বিচারের দিনকে ভুলে দুনিয়ার জীবনের পিছনে ছুটছে তাদের জন্য আদর্শ হবে বইটি।আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ’লার কাছে কতটা মূল্য এই দুনিয়ার সেটা জেনে সেভাবেই তারা গুরুত্ব দিতে শিখবে।জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য খুঁজতে খুঁজতে যারা হতাশ তাদের জন্য বইটির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
****পাঠ্যানুভূতিঃ
________________
বইটি পড়ে যা মনে হয়েছে এটি দুনিয়াপ্রীতি কমিয়ে নিজের ঈমানকে মজবুত করবে,আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে সহায়ক হবে।বইটিতে সালাফগনের উদ্ধৃতি গুলো যেনো জীবনের স্বরুপকে আরো অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।তবে বইটিতে অনেক জায়গায় সূচিপত্রের শিরোনামগুলোর সাথে ভিতরের কথাগুলোর মিল পাইনি বলে আমার মনে হয়েছে।শিরোনামগুলো দেয়া হলেও কেমন যেনো পুরোটা এক ধাঁচে লেখার মতো।
*****মন্তব্যঃ
_____________
জীবনে চূড়ান্ত সফলতা তখনই অর্জিত হবে যখন আমরা জান্নাতে প্রবেশ করবো।তাই আখিরাতকে সর্বাগ্রে রেখে তার জন্য কাজ করে যাওয়ার অনুপ্রেরণা নিতে অবশ্যই পড়ুন এই বইটি।
Marium Rakib – :
বইটির শুরুতে ‘সম্পাদকের কথা’ শিরোনামে খুবই উপকারী কতগুলো কথা লিখেছেন। এত সুন্দর কথা যা পড়ে যেকোন মানুষ বুঝতে পারবে যে, দুনিয়া কত তুচ্ছ, আখিরাত কত ব্যাপক। কথাগুলো লিখেছেন উস্তায শাহাদাত হুসাইন খান ফয়সাল রাহিমাহুল্লাহ। বইটি প্রকাশিত হওয়ার আগেই তিনি পাড়ি জমালেন আখিরাতের পথে। আসলেই, যে জীবন মরীচিকা……
যুহদ আসলে কি?
যুহদ হল – জীবনধারনের জন্য যা কিছু নিতান্ত প্রয়োজন, তা বাদে অন্য সমস্ত কিছুকে ত্যাগ করা, যদিওবা তা হালাল হয়। যুহদ হচ্ছে উচ্চতা হারাতে থাকা ‘হট এয়ার বেলুন’ থেকে ভারী জিনিসপত্র নিচে ফেলে দেয়া, এমন সব জিনিস, যেগুলো না হলেও যাত্রীদের চলবে। যুহদ হচ্ছে জান্নাতে অনন্তকাল অবসর যাপনের কথা স্মরণ করতে করতে দুনিয়াতে আমরন পরিশ্রম করে যাওয়া। হারাম তো বটেই,যা কিছু আল্লাহ হালাল করেছেন, তার মধ্য থেকেও যে জিনিসগুলো না হলেও আমি চলতে পারবো, সেগুলোকে পর্যন্ত পিছনে ফেলে আসার নাম যুহদ।
জীবনে যুহদের চর্চা করতে পারলে আপনার কি লাভ?
আপনি যদি আপনার জীবনে যুহদের চর্চা করতে পারেন, তাহলে আপনার ছেড়েদেয়া দুনিয়াবি সামগ্রী আপনার এবং গুনাহর কাজগুলোর মাঝখানে এক ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ তৈরী করে দেবে, যা অতিক্রম করে শয়তান আর আগের মত সহজে আপনাকে আক্রমণ করতে পারবে না। আগে যেই কামনগুলো নিয়ন্ত্রন করতে আপনি বার বার ব্যর্থ হতেন, যুহদ রপ্ত করার পর সেগুলো থেকে আপনি অবলীলায় মুখ ঘুরিয়ে নিতে পারবেন।
দুনিয়ার জীবন তো একটা অস্থায়ী বাসস্থান, চলার পথের স্টেশনের মত। যার পরেই রয়েছে চূড়ান্ত গন্তব্যের পথে মূল যাত্রা, যেখানে আছে দুনিয়ার জীবনের হিসাব দেয়া ও পুরষ্কারগ্রহণের পর্ব। দুনিয়ার চাকচিক্য মরীচিকার মত, যতই কাছে যাই, কেবলই মনে হয়, যার আশায় এগিয়েছি- তা মিথ্যা। দুনিয়ার লোভ কখনো শেষ হয়না।
আমাদের সালাফদের মধ্যে যুহদ ছিলো একটা কমন বৈশিষ্ট্য। তারা নিজেদের জীবনে যুহদের চর্চা করতেন। দুনিয়াকে ততটুকুই গুরুত্ব দিতেন, যতটুকু গুরুত্ব এর পাওয়া উচিত।
আলোচনার সুবিধার জন্য বইটিকে অনেকগুলো চ্যাপ্টারে বিভক্ত করা হয়েছে। বইটির শুরুতে আছে যুহদ সম্পর্কিত কুরআনের আয়াত ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর হাদিস। এরপর সালাফদের কথা, ঘটনাগুলো দিয়েই বইটি সাজানো হয়েছে।
বইটি পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিলো যেন সালাফ আস সালেহিনের জামানায় প্রবেশ করেছি। বইয়ের লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক- সবাইকে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন। এমন চমৎকার একটি বই প্রকাশ করার জন্য সমকালীন প্রকাশনকে ধন্যবাদ। বইটির প্রচ্ছদ, পৃষ্ঠাসজ্জা সুন্দর হয়েছে। ব্যক্তিগত রেটিং- ৪/৫
Umme Kulsum – :
yousuf – :