মেন্যু
je jibon foringer je jibon jonakir

যে জীবন ফড়িঙের যে জীবন জোনাকির

পৃষ্ঠা : 176, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 1rst published 2021
এই দ্বীন পালন যেন উত্তপ্ত মরুভূমিতে একাকি পথ চলা, তৃষ্ণায় কাতর হয়ে ছুটে চলা, থমকে যাওয়া, মাটিতে গড়িয়ে পড়া, শীতল পানিতে ডুকা মেটানো, কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া গাছের ছায়ায়। উস্কোখুস্ক চুল,... আরো পড়ুন
পরিমাণ

187  250 (25% ছাড়ে)

পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন
পছন্দের তালিকায় যুক্ত করুন

20 রিভিউ এবং রেটিং - যে জীবন ফড়িঙের যে জীবন জোনাকির

4.9
Based on 20 reviews
5 star
90%
4 star
10%
3 star
0%
2 star
0%
1 star
0%
 আপনার রিভিউটি লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  1. 5 out of 5

    Ahmed Shamim Hasan:

    সাজিদ ভাইয়ের লেখা সরল, সহজবোধ্য, হৃদয়গ্রাহী, তবে ‘হালকা’ নয়। এই সহজ, সরল কথাগুলোই আপনার হৃদয়ে এমনভাবে দাগ কাটবে যে আপনি নিজেকে আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে ভাবতে বাধ্য হবেন, কি করছি আমি? এর নামই কি জীবন? এই জীবনের লক্ষ্য কি? গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয়া এই নিশ্চিন্ত জীবনে মাঝে মাঝে এমন কিছু নাসীহাহ, রিমাইন্ডার দরকার পড়ে যা অন্তরে নাড়া দিবে, চিন্তার দুয়ারে আঘাত করবে, নতুন করে ভাবতে শেখাবে। এই বইটি তেমনই কিছু লেখার সংকলন। নিজে পড়ুন, অন্যদের পড়তে দিন, লেখাগুলো নিয়ে ভাবুন। একবার না, বার বার।

    জনে জনে বিলি করার বইয়ের লিস্টে আরো একটি বই যুক্ত হলো।

    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  2. 5 out of 5

    তামিস্রা জেসমিন:

    সফলতা কী? চমৎকার রেজাল্ট, মোটা অঙ্কের বেতন পাওয়া চাকরি, বড় ঘরে বিয়ে- সর্বোপরি বিলাসিতার উপকরণ নিয়ে ঝামেলামুক্ত একটা জীবন। আমাদের সমাজে ‘সফলতা’র এই সংজ্ঞায় প্রচলিত আছে তাই না?

    কিন্তু সত্যিকারের সফলতা যদি তাই হয়, তবে ভালো রেজাল্ট করেও মানুষ সুখী হয় না কেন? কেন চমৎকার রেজাল্টের পর ভালো চাকরি পাওয়ার তাড়া থাকে? সম্পদের পাহাড় গড়েও মানুষের অপ্রাপ্তির বেদনা থাকে কেন? জবাবটা লেখক এভাবে দিয়েছেন-

    “কারণ এই দুনিয়ায় কারও পক্ষেই সত্যিকারের সুখের সন্ধান পাওয়া সম্ভব নয়। এখানে বড়জোর প্রতিযোগিতা করা যায়, দুনিয়ার পেছনে ছুটে সময়টা নষ্ট করা যায়। আমাদের আলটিমেট লক্ষ্য হলো দুনিয়ার সময়টাকে কাজে লাগিয়ে জান্নাত পর্যন্ত পৌঁছাতে পারা।”

    জি। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য জান্নাত। সুখ আর সফল হওয়ার স্থান এটি। কিন্তু সমাজ “দুনিয়ায় বেঁচে থাকাটাই” আমাদের লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করে দিয়েছে। কখনো নিজেকে এ প্রশ্ন করেছেন- পশু-পাখির মতো বেঁচে থাকাই যদি আমাদের লক্ষ্য হয় তবে মেধা আর রুচিবোধের মতো স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য মানুষকে কেন দেয়া হয়েছে? নিশ্চয় মানুষ সৃষ্টির অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে। আর এই বইয়ের পাতায় পাতায় আছে সেই মহান উদ্দেশ্যের কথা।

    শুধু মানব সৃষ্টির উদ্দেশ্য নয়। সফলতার পেছনে ছুটতে গিয়ে বেসামাল হয়ে যাওয়া মানুষটার জন্য এই বইয়ে আছে সফলতার সঠিক সংজ্ঞা। জীবন নিয়ে ত্যক্ত-বিরক্ত মানুষটাকেও বলে দেয়া হয়েছে সুখের আসল ঠিকানা।

    এভাবে লেখক তার অভিজ্ঞতার জমিন থেকে তুলে আনা একেকটি অভিজ্ঞতা দিয়ে জীবনঘনিষ্ঠ এই বিষয়সমূহ ব্যাখ্যা করেছেন। জীবনের মোড়ে মোড়ে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার উল্লেখ করে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন সেই ঘটনার প্রাপ্ত শিক্ষা। এক কথায় বলি, কারও জীবন যদি বেসামাল হয়ে যায়, অন্তর যদি কঠিন হয়ে যায়, খুব হতাশ লাগে, জীবনকে অর্থহীন মনে হয়- এই বইয়ে লম্বা একটা ডুব দিবেন। সত্যি বলছি, কোনো একটা অধ্যায়ে হয়তো সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন ইন শা আল্লাহ।

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  3. 5 out of 5

    firozaayat214:

    বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের তৎপর হতে হবে। কিয়ামতের ময়দানে আল্লাহ সাত শ্রেনীর মানুষকে তার আরশের নিচে ছায়া দিবেন। তার এক শ্রেনী হলো যারা দুনিয়াতে একে অপরের সাথে আল্লাহর জন্যই সম্পর্ক গড়েছে আর আল্লাহর জন্যই কারো সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আমাদের দুনিয়ায়ী সম্পর্ক গুলো আমাদের বন্ধুত্ব কেবলমাত্র আল্লাহর জন্য ই হওয়া উচিত।

    সাজিদ ভাইয়ের, আবরার ফাহাদের জন্য
    আকাশের ওপারে যে একটা অনিন্দ্য সুন্দর বাড়ির যে বর্ননা রয়েছে তা দেখে আমার ও মনে হয়েছে ইস! আমি ও যদি আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হতে পারতাম।

    আমি মনে প্রাণে চাই আল্লাহ আমাদের সেই জীবনের স্বপ্ন অন্তরে দিন যে জীবন আল্লাহর জন্য বাঁচে। যে জীবন ঘাস ফড়িং কিংবা জোনাকি পোকার মতো বন্দি নয়। যে জীবন অনেকের ভীড়ে পরাজিত, অধঃপতিত মানুষিকতার নয়।যে জীবন এক বিঘত বুকে বিশাল আকাশ ধারণ করে বাঁচে। যেদিন বুক এফোড় ওফোড় করে বেরিয়ে যাবে শত্রুর আঘাত, মাটিতে গড়িয়ে পড়বে প্রথম রক্তবিন্দু, আল্লাহ সুবহানাহু তায়া’লা দেখিয়ে দিবেন জান্নাত সেদিন হয়তো আকাশের ওপারের ঐ জীবনের জন্য কিছু সঞ্চয় হবে। আমরা সেই জীবনের প্রত্যাশি যেন হতে পারি। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। আমাদের অক্ষমতা আর অবহেলাকে ক্ষমা করুন। আমাদের সময়ে বরকত দিন। তার দ্বীনের সাথে আমাদের অন্তরটাকে বেঁধে নিন।

    বইটি কেন পড়বেন?
    হরহামেশার জীবন থেকে বের হতে হলে আপনাকে এই বইটি একবার হলেও পড়তে হবে। হয়তো এই দুনিয়ার এই রঙিন জীবন ছেড়ে ওপারের নতুন জীবনের সন্ধান খুঁজে পেতেও পারেন।

    মনের আকুতিঃ-
    পৃথিবীর প্রতিটি অশান্ত হৃদয়ের মানুষের কাছে বইটি পৌঁছে যাক।সকলেই লাল নীল হিরার বাড়ির সন্ধান পাক।যেখানে আমাদের কখনো মন খারাপ হবে না,কোনো খারাপ লাগা থাকবে না, কোনো দুঃখ থাকবে না, কোনো কষ্ট থাকবে না, কোনো অপ্রাপ্তি থাকবে না………
    থাকবেনা কোনো কান্তি, হতাশা, কিংবা না পাওয়ার বেদনা……….

    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  4. 5 out of 5

    মুজাহিদুর রহমান:

    অনন্যসাধারণ রচনা 🧡
    পড়তে পড়তে মনে হলো প্রতিটি কথায় যেন আমার জন্য লেখা ❤️
    Was this review helpful to you?
    Yes
    No
  5. 5 out of 5

    Tasnim Mostafiz:

    আলহামদুলিল্লাহ। খুবই সরল ও সাবলীল ভাষায় রচিত বইটি।বইটির সবথেকে যে লাইনটা মনকে নাড়া দিয়েছে তা হলো- যে জীবনের স্বপ্ন তারা আমাদের দেখায়, সে জীবনের কাছে তারা নিজেরাই পরাজিত। আর রিযিক নিয়ে যে পার্টটি রয়েছে সেটা একেবারেই মন ছুঁয়ে গেছে। আসলেই ইচ্ছে আছে, সামর্থ্য আছে কিন্তু রিযিকে নেই বলেই আমরা পাই না।এরকম বাস্তবসম্মত ছোট ছোট কাহিনি সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে যার মূল বার্তাই হলো যে জীবন ফড়িং এর যে জীবন জোনাকির সে জীবনে দ্বীন স্থান পায় না।আর আমাদের তাই জোনাকির আর ফড়িং এর মতো জীবন চাই না।আমরা চাই চির আকাঙ্ক্ষিত জান্নাত,স্বপ্নের সোনালি সে তোড়ণ।সব মিলিয়ে বইটি একজনকে দ্বীন আঁকড়ে ধরার অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে বিশ্বাস করি।জাযাকাল্লাহ খইরন লেখকের প্রতি।
    1 out of 1 people found this helpful. Was this review helpful to you?
    Yes
    No