2 রিভিউ এবং রেটিং - যে কালি কলঙ্কের চেয়েও কালো
Showing 2 of 2 reviews (5 star). See all 2 reviews
পৃষ্ঠাসংখ্যা : ১৬০
কোয়ালিটি : হার্ডবোর্ড বাঁধাই
প্রকাশকাল : জুলাই ২০২০
‘সুখের কপাল ঝাড়ু দিয়ে চুলকানো’ বলে একটা কথা আছে। আমাদের অনেককে এই স্বভাবটা পেয়ে বসেছে। অলংকার হয়ে ইতিহাস হতে পারত, এমন বিষয়কেও আমরা কলঙ্কের ক্যানভাসে সাজিয়ে রাখি। ঐতিহ্যের আয়নায় কালি মেখে দিই, যে কালি আবার কলঙ্কের চেয়েও কালো হয়।
বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতি, ইসলামি আন্দোলন এবং কওমি অঙ্গন নিয়ে বিক্ষিপ্ত কথামালার মার্জিত মলাটবন্ধন; যে কালি কলঙ্কের চেয়েও কালো
Wafilife is a leading book shop in Bangladesh. We offer thousands of islamic, general and academic books at a discounted price. We provide good packaging with low shipping cost all over the Bangladesh.
মুহাম্মদ আতাউল্লাহ – :
রিভিউ নং- ৩
বই – যে কালি কলঙ্কের চেয়েও কালো
লেখক- রশীদ জামীল
প্রচ্ছদ – হামীম কেফায়েত
প্রকাশক – কালান্তর প্রকাশনী
মুদ্রিত মূল্য – ২২০ ৳
🔵 বই সম্পর্কে –
বইটি মূলত শাপলা ট্রাজেডি পরবর্তী দিন প্রবাহ এবং শোকরানা মাহফিল নিয়ে রচিত। সাথে কওমি অঙ্গনের কিছু দিক বি দিক নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কওমি অঙ্গনের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে গঠনমূলক সমালোচনা করতেও বাদ দেওয়া হয়নি। কওমি মাদরাসার উপর আরোপিত অনেক বিষয়ের জবাব অতন্ত্য সুক্ষ্মভাবে দেওয়া হয়েছে বইটিতে।
সবমিলিয়ে বইটি কওমীওলাদের জন্য একটি পেসক্রিপশন, সেটাও বলা যেতে পারে।
⚫ বড়দের কাছে বইয়ের গুরুত্ব –
বইটি প্রকাশ হওয়ার পরপরই আমার হাতে আসে। অনেক আগ্রহ নিয়েই বইটি ক্রয় করছি। পড়ার পূর্বেই উস্তাদ মুফতি মাহমুদ সাহেব বললেন তুই পড়ে পড়বি, আমি আগে খতম করে নেই। মাদরাসার শিক্ষা সচিব রাতে ওনার কামরায় এসে বইটি দেখে বললেন, হুজুর আমি আগে এক রাতে খতম করি তারপর আপনি পইড়েন। এভাবে করে হুজুরদের নিকট ঘুরতে থাকে বইটি। অবশেষে আমি নতুন একটি কিনে পড়েনি।
⚫ লেখক সম্পর্কে –
‘রশীদ জামীল’ অন্যরকম একজন লেখক। তার সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। লেখালেখি করছেন ১৯৯৬ সন থেকে। তার লেখা-ই তার পরিচয়। তার কলমে আপস বলতে কোন শব্দ নেই। সত্য লিখে যান নির্ভয়ে-নির্দিধায়। অন্য লেখকদের সঙ্গে তার দুটি পার্থক্য আমি বের করতে পেরেছি। ১/ অন্যরা সত্যকে ঘুরিয়ে-পেচিয়ে বলেন না হয় এড়িয়ে যান, আর তিনি যেটাকে সত্য মনে করেন অকপটে তা লিখে ফেলেন। ২/ অন্যদের লেখা হয় ভালো কোন উপদেশ, আবেদন, তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ বা কোন মেসেজ। আর রশীদ জামীলের প্রতিটি বই হয় এক-একটি পেসক্রিপশন।
🔵 পাঠ প্রতিক্রিয়া 🔵 –
⚫ প্রথম কথা –
আপনি কি ভুলে গেছেন লাল রক্তের কথা? বুলেট ও বারুদের কথা? উত্তাল সেই দিনগুলোর কথা? হ্যাঁ শাপলার কথা বলছি! ৫ ই মেয়ের হত্যাকান্ডের কথা বলছি। ২০১৩ সনের বরবর সেই গনহত্যার কথা বলছি। অন্য সবাই ভুলে গেলেও কোন নবী প্রেমিক মুমিন কি ভুলতে পারে সেই কালো রাতের কথা। চোখ বন্ধ করলেই তার চোখে ভেসে ওঠে এক ভয়ংকর দৃশ্য। সারি সারি গাড়িতে চড়ে আসা একপাল হায়না। মাটিতে বসে পজিশন নেয়া একপাল হিংস্র নেকড়ে। ডিভাইডারে চাপাটিথার দিল আওয়ামী ক্যাডাররা। মরনাস্ত্র হাতে ঝাকবেধে নিরিহ মুমিন শিকারে এগিয়ে যাচ্ছে একদল পিচাশ। তারপর,,,,,,,তারপর,,,,,,,,,? নিরিহনিরস্ত্র ইবাদাতরত আলিম তালিবে ইলম ও নবী প্রেমিক জনতার উপর ঝাপিয়ে পড়লো ওরা। অন্ধকারে আগ্নেআস্ত্রগুলো গর্জন করে উঠলো এক টানা। রাজ পথে কাতরালো কত মুমিন। রক্তের উপর গড়াগড়ি খেল কত মুমিন। কাটা মুরগির মত ছটফট করলো আলিমের গুলিবিদ্ধ শরির। রক্তে ভেসে গেল রাস্তা। হায়েনা গুলো সপের মত পিটিয়ে মারলো তালিবে ইলমদের। গুলিবিদ্ধ শরিরের উপর চলল নিত্য। শোনা গেল আহত মুমিনের গোগানী। গাড়িতে তোলা হলো লাশ। বরবর এই দৃশ্যগুলো যখন মুমিনের চোখে ভেসে ওঠে। রাগে ক্ষোভে সে পাগল হয়ে যায়। মনের আজান্তেই মুষ্টিবদ্ধ হয়ে যায় তার হাত। শাপলার খুনি কথিত গনতান্ত্রিক সরকার চেষ্টা করেছে কওমী সনদের পানিতে তার রক্তাক্ত হাত ধুয়ে ফেলতে। দাজ্জালী মিডিয়া চেষ্টা করেছে মিথ্যার চাদরে ধামা চাপা দিতে। গাদ্দারগুলো চেষ্টা করেছে আমাদের স্মৃতি থেকে শাপলাকে মুছে দিতে। কিন্তু তারা জানে না। শাপলা মিশে আছে আমাদের স্বপ্নে। শাপলা জেগে আছে আমাদের চেতনায়। শাপলা সঙ্গী হবে আমাদের আগামীর পথ চলায়।
কিন্তু আমাদের হৃদয়ের জাগ্রত শাপলা, আমাদের চেতনা, আগামীর রাহবার ‘শাপলা’ কে বিকিয়ে দিলো কিছু গাদ্দর-মুনাফিক। কওমী সনদের পানিতে যারা তাদের রক্তাক্ত হাত ধুয়ে ফেলতে চেয়েছে, তাদের পানি আর হ্যান্ডওয়াশ সরবরাহ করেছে এরা। এসকল উপাধি সরবরাহকারীদের চোখের আবরণ সরিয়ে দিতে এবং তাদের ভ্রষ্টতার জাবাব দিতেই ‘যে কালি কলঙ্কের চেয়েও কালো’।
⚫ শেষ কথা –
আমরা ইদানিং একটু বেশি কৃতজ্ঞ হয়ে পড়েছি৷ সবকিছুরই একটা লিমিট আছে। লিমিট ক্রস করা তো সংগত নয়। কৃতজ্ঞতা একটু কমিয়ে করলেও হতো। আমাদেরকে তো আর দয়ার দান অনুগ্রহের সম্পান দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে আমাদের পাওনা জিনিস। কেউ হাত ভেঙে দিয়ে চিকিৎসার জন্য টাকা দিলো, আর আমি তাকে রিরাট অনুগ্রহশীল দানব-মানব উপাধিতে ভূষিত করলাম। এটা যে বোকামির চুড়ান্ত সীমা সেটা যে কেন আমরা বুঝতে পারছি না! বোঝা দরকার। শত বছরের ঐতিহ্য ধুলোয় মিশানোর পূর্বে ভাবা দরকার। জেগে ওঠা দরকার। সচেতন হওয়া দরকার কওমি তরুণ প্রজন্মের।
Tarana Tabassum Tawfiqa – :
মুদ্রিত মূল্য : ২২০/-
বই পরিচিতি :
‘সুখের কপাল ঝাড়ু দিয়ে চুলকানো’ বলে একটা কথা আছে। আমাদের অনেককে এই স্বভাবটা পেয়ে বসেছে। অলংকার হয়ে ইতিহাস হতে পারত, এমন বিষয়কেও আমরা কলঙ্কের ক্যানভাসে সাজিয়ে রাখি। ঐতিহ্যের আয়নায় কালি মেখে দিই, যে কালি আবার কলঙ্কের চেয়েও কালো হয়।
বাংলাদেশের ইসলামি রাজনীতি, ইসলামি আন্দোলন এবং কওমি অঙ্গন নিয়ে বিক্ষিপ্ত কথামালার মার্জিত মলাটবন্ধন; যে কালি কলঙ্কের চেয়েও কালো।
হাদিসের কালজয়ী নয়টি গ্রন্থ থেকে ইসলামের মাজলুম ফরজ জি-হা-দ-বিষয়ক সহিহ হাদিসের সংকলন বক্ষ্যমাণ গ্রন্থ জান্নাতের সবুজ পাখি। পুনরুক্তি ছাড়া ৩৪৭টি সহিহ হাদিস এতে সংকলিত হয়েছে।
গ্রন্থটির শুরুতে জি-হা-দের তত্ত্বকথা শিরোনামে ভূমিকাস্বরূপ এক দীর্ঘ আলোচনা রয়েছে, যেখানে কুরআন, সুন্নাহ, ফিকহ ও যুক্তির আলোকে জি-হা-দের হাকিকত, তত্ত্ব ও হিকমাহ স্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি প্রচলিত কিছু সংশয় নিরসন করা হয়েছে।
গ্রন্থটিতে কোনো জয়িফ (দুর্বল) হাদিস উল্লেখ করা হয়নি—জাল, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বর্ণনা তো নয়ই। তবে এমন কিছু হাদিস আনা হয়েছে, যেগুলো হাদিসশাস্ত্রের নীতি ও ইমামগণের বক্তব্য অনুসারে সহিহ; কিন্তু হালজামানার কোনো হাদিসবিশারদ ভুলবশত সেটা জয়িফ বলেছেন। অবশ্য এসব ক্ষেত্রে টীকায় হাদিসের বিশুদ্ধতার তাহকিক উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রতিটি হাদিসের সঙ্গে তাখরিজ (গ্রন্থসূত্র) রয়েছে। প্রায় সব হাদিসের শুরুতে স্বতন্ত্র শিরোনাম যোগ করা হয়েছে, যাতে সাধারণ পাঠক এর মর্মার্থ সহজে অনুধাবন করতে পারেন এবং সবাই যেন হাদিসগুলো পূর্ণভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে পারেন।